টাঙ্গাইলের বিএনপি’র তিন হেভিওয়েট মনোনয়নপ্রত্যাশী কারাগারে
আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টাঙ্গাইলের আটটি আসনের মধ্যে তিনটি আসনের বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী তিনজন হেভিওয়েট প্রার্থী কারাগারে রয়েছেন। রাজনৈতিকভাবে বিভিন্ন মামলায় তারা কারাগারে রয়েছেন বলে জানিয়েছেন জেলা বিএনপি’র সভাপতি কৃষিবিদ শামছুল আলম তোফা।
কারাগারে থাকা টাঙ্গাইলের এই নেতারা হলেন, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপি’র কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান, সাবেক উপমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম পিন্টু। তিনি টাঙ্গাইল-২ (ভূঞাপুর-গোপালপুর) আসনে তিনবারের সাবেক সংসদ সদস্য ছিলেন। দীর্ঘদিন ধরে কারাবন্দি রয়েছেন বিনপির এই কেন্দ্রীয় নেতা। তিনি টাঙ্গাইল-২ (ভূঞাপুর-গোপালপুর) আসন থেকে দলটির মনোনয়নপ্রত্যাশী।
এদিকে টাঙ্গাইল-৭ (মির্জাপুর) আসনের দুবারের সাবেক এমপি, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির শিশু বিষয়ক সম্পাদক ও উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকীও বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন। গত ৬ নভেম্বর ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের জনসভা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি টাঙ্গাইল-৭ (মির্জাপুর) আসন থেকে মনোনয়নপ্রত্যাশী।
অপরদিকে আব্দুস সালাম পিন্টুর ভাই কেন্দ্রীয় যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু নাশকতা মামলায় দীর্ঘদিন ধরে কারাবন্দী অবস্থায় রয়েছেন। তিনি টাঙ্গাইল-৫ (সদর) ও টাঙ্গাইল-২ (ভূঞাপুর-গোপালপুর) আসন থেকে মনোনয়নপ্রত্যাশী।
জেলা বিএনপির সভাপতি কৃষিবিদ শামছুল আলম তোফা বলেন, ‘রাজনৈতিকভাবে বিভিন্ন মামলায় তারা কারাবন্দী হয়েছেন। এরা তিনজনেই হেভিওয়েট প্রার্থী। তারা মনোনয়ন পেলে বিজয়ী হবেন বলেও তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।’
উল্লেখ্য, আব্দুস সালাম পিন্টু ১৯৯১ ও ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি এবং ২০০১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টাঙ্গাইল-২ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০১ সালে তিনি জোট সরকারের উপমন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে ২০০৮ সালের জানুয়ারিতে তাঁকে গ্রেফতার করে। তারপর থেকে তিনি কারাগারে আছেন। চলতি বছরের অক্টোবর মাসে এই মামলায় তার মৃত্যুদন্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
টাঙ্গাইল-৭ (মির্জাপুর) আসন থেকে আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ও ১২ জুনের নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।