নির্বাচনে প্রার্থিতা পেতে ইসিতে সংক্ষুব্ধরা
আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থিতা পেতে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) ভিড় জমিয়েছেন মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়া সংক্ষুব্ধ প্রার্থীরা।
সোমবার (০৩ ডিসেম্বর) সকাল থেকে অনেক প্রার্থী নির্বাচন কমিশনে এসে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করছেন। কমিশনের অভ্যর্থনা কেন্দ্রে সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম শুরু হওয়ার আগেই সেখানে বিপুল সংখ্যক প্রার্থী ও তাদের অনুসারীরা জড়ো হন। তারা সাদা কাগজে তথ্য-প্রমাণসহ ইসিতে অভিযোগ দায়ের করছেন।
ইসি কর্মকর্তারা জানান, সংক্ষুব্ধরা সোমবার (০৩ ডিসেম্বর) থেকে বুধবারের মধ্যে ইসিতে অভিযোগ করতে পারবেন। পরে তাদের আবেদনের ওপর ৬ থেকে ৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত শুনানির পর সিদ্ধান্ত দেবে ইসি।
এ বিষয়ে ইসি সচিব হেলালুদ্দিন আহমদ বার্তা২৪.কমকে বলেন, নির্বাচনে অংশ নিতে আগ্রহী প্রার্থীদের আবেদন যাচাই-বাছাই করে রিটার্নিং কর্মকর্তারা বৈধ মনোনয়নপত্র গ্রহণ করেছেন। আর সারাদেশে মনোনয়ন বাতিল হয়েছে ৭৮৬টি। যাদের মনোনয়ন বাতিল হয়েছে তারা ৩, ৪ ও ৫ ডিসেম্বর কমিশনে আপিল করতে পারবেন। ৬ থেকে ৮ ডিসেম্বর তাদের আপিলের শুনানি হবে।
গতকাল (রোববার) দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার তিন আবেদনসহ সারাদেশে ৭৮৬টি মনোনয়ন বাতিল করে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তারা। ফলে বৈধ প্রার্থীর সংখ্যা দুই হাজার ২৭৯ জন।
তবে ৩৫টি আসনে কোনো প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়নি। ২৬৫ টি আসনে এক বা একাধিক প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল হয়েছে। সর্বোচ্চ বাতিল হয়েছে কুড়িগ্রাম-৪ আসনে। এখানে ১৩টি মনোনয়নপত্র বাতিল করেছে। জমা পড়েছিল ২৩টি মনোনয়নপত্র।
এর আগে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য সারাদেশে ৩০০ আসনে তিন হাজার ৫৬ জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। এর মধ্যে রংপুর বিভাগে ৩৬১টি, রাজশাহী বিভাগে ৩৫৩টি, খুলনা বিভাগে ৩৫১টি, বরিশাল বিভাগে ১৮২টি, ময়মনসিংহ বিভাগে ২৩৬টি, ঢাকা বিভাগে ৭০৮টি, সিলেট বিভাগে ১৭৭টি ও চট্টগ্রাম বিভাগে ৬৮৮টি মনোনয়ন দাখিল করেন।
সবচেয়ে বেশি মনোনয়ন জমা পড়ে ঢাকা-৮ আসনে ২২টি। মাগুরা-২ আসনে সর্বনিম্ন চারটি মনোনয়ন জমা পড়ে।