মার্কা বদলের কারণে ভাগ্য খুলবে মান্নার!



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
নাগরিক ঐক্য আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নেতা মাহমুদুর রহমান মান্না। ছবি: সংগৃহীত

নাগরিক ঐক্য আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নেতা মাহমুদুর রহমান মান্না। ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মার্কা বদলের কারণে ভাগ্য খুলে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে নাগরিক ঐক্য আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নেতা মাহমুদুর রহমান মান্নার। বগুড়া-২ (শিবগঞ্জ) আসনে এবার তিনি ধানের শীষ মার্কায় সংসদ নির্বাচন করবেন। এর আগে মান্না এই আসনে নির্বাচন করেছেন। তবে তখন নৌকা মার্কার কারণে মান্না নির্বাচিত হতে পারেননি বলে মন্তব্য করেছে তার সমর্থকরা। এবার মার্কা বদলের কারণেই নাকি ভাগ্য খুলবে মান্নার।

বগুড়া-২ আসনে মার্কা বদল করে মান্নার এভাবে নির্বাচনে অংশ নেয়াকে কেন্দ্র করে এলাকায় চলছে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা। হাট-বাজার, চায়ের দোকান, মুদি দোকান, বাসস্ট্যান্ড এমনকি মাঠে কাজ করা কৃষকও কাজের ফাঁকে আলোচনা করছে মান্নাকে নিয়ে। বিভিন্ন বন্দরের চায়ের দোকানগুলোতে সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলছে সংসদ নির্বাচন নিয়ে আলোচনা। আর এই আলোচনার কেন্দ্র বিন্দু হচ্ছে মাহমুদুর রহমান মান্নার মার্কা বদল করার বিষয়টি।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Dec/05/1543987842119.gif

জানা গেছে, শিবগঞ্জ উপজেলার বিহার ইউনিয়নের বিহার ফকিরপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন মাহমুদুর রহমান মান্না। তবে তার শৈশবকাল কেটেছে নিজ এলাকার বাইরে। ছাত্র জীবনে এলাকায় যাতায়াতও কম ছিল। ১৯৯১ সালে অনুষ্ঠিত সংসদ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে প্রথম আলোচনায় আসেন মান্না। তার নিজের গড়া রাজনৈতিক দল জনতা মুক্তি পার্টি থেকে তিনি প্রথম বগুড়া-২ আসনে কাস্তে মার্কায় সংসদ নির্বাচন করেন। এরপর জনতা মুক্তি পার্টি বিলুপ্ত করে মাহমুদুর রহমান মান্না যোগ দেন আওয়ামী লীগে। ১৯৯৬ এবং ২০০১ সালের নির্বাচনে মাহমুদুর রহমান মান্না নৌকা মার্কা নিয়ে বগুড়া-২ আসনে সংসদ নির্বাচন করেন।

দীর্ঘ ১৭ বছর পর মান্না আবারো একই আসনে নির্বাচন করছেন। তবে এবার মার্কা বদল করে ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করছেন তিনি। এবার এই আসনে মান্নার মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে লাঙ্গল মার্কার সঙ্গে। মহাজোট থেকে এবার আসনটি জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।

বগুড়া জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি শরিফুল ইসলাম জিন্না এবার এ আসনে মহাজোটের প্রার্থী। ২০১৪ সালে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী না থাকায় বিনা ভোটে সাংসদ নির্বাচিত হন তিনি।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Dec/05/1543987873526.gif

এদিকে মাহমুদুর রহমান মান্না মার্কা বদল করায় এবার শরিফুল ইসলাম জিন্নার জয়লাভ করার সম্ভাবনা দেখছে না তার নিজ ইউনিয়ন রায়নগর গ্রামের ভোটাররা।

এই গ্রামের ভোটার তৌফিক, হুমায়ুন কবির, জামাল উদ্দিন ছাড়াও অন্যান্য ভোটাররা জানান, জিন্না এবার তার নিজের ভোট সেন্টারে পাশ করতে পারবেন না।

কারণ হিসেবে ভোটাররা জানান, আওয়ামী লীগের অনেক ভোটার এবার ভোট দিতে যাবে না। নির্বাচনী এলাকায় নৌকা মার্কা না থাকার পাশাপাশি সাংসদ জিন্না গত ৫ বছরে হারিয়ে যাওয়া জাতীয় পার্টিকে পুনরুদ্ধার করতে গিয়ে আওয়ামী লীগের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করেছেন।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বগুড়া-২ আসনে প্রার্থী রয়েছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের কেন্দ্রীয় নেতা মাহমুদুর রহমান মান্না, মহাজোট থেকে জাতীয় পার্টির বর্তমান সাংসদ শরিফুল ইসলাম জিন্না, সাবেক সাংসদ জামায়াত নেতা মাও. শাহাদুজ্জামান, ইসলামী আন্দোলনের জামাল উদ্দিন।

   

উপজেলা নির্বাচন: রাজশাহীর তিন উপজেলায় বৈধ ৩১ জন



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজশাহী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আগামী ২১ মে দ্বিতীয় ধাপে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এতে রাজশাহী জেলার পুঠিয়া, দূর্গাপুর ও বাগমারা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান, ভাইস-চেয়ারম্যান ও নারী ভাইস-চেয়ারম্যান পদে মোট ৩১ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ হয়েছে। প্রার্থীদের জমাকৃত মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে বৈধতার ঘোষণা দেওয়া হয়।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বেলা ১২টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে রিটার্নিং অফিসার ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) কল্যাণ চৌধুরী এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

রিটার্নিং অফিসার কল্যাণ চৌধুরী বলেন, দ্বিতীয় ধাপে আগামী ২১ মে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আগামী ২ মে প্রতীক বরাদ্দের মধ্য দিয়ে প্রার্থীদের মূল প্রচারণা শুরু হবে। উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অবাধ ও শান্তিপূর্ণ করার লক্ষ্যে নির্বাচনী সভা এবং প্রচার-প্রচারণা সংক্রান্ত নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা সকল প্রার্থীদের যথাযথভাবে মানতে অনুরোধ জানান।

তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র বাছাই করা হবে ২৩ এপ্রিল। মনোনয়নপত্র বাতিলের বিরুদ্ধে আপিল করা যাবে ২৪-২৬ এপ্রিল। আপিল নিষ্পত্তি হবে ২৭-২৯ এপ্রিলের মধ্যে। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ৩০ এপ্রিল। প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে ২ মে। প্রচার শেষে আগামী ২১ মে হবে ভোটগ্রহণ।

এসময় জানানো হয়, এই তিনটি উপজেলায় ৩১ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। চেয়ারম্যান ১০ জন, ভাইস চেয়ারম্যান ১১ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১০ জন প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র জমা দেন। এর মধ্যে ৩১ জনের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়।

উপজেলা চেয়ারম্যান পদে বৈধ প্রার্থী ঘোষিত হলেন- দূর্গাপুর উপজেলার বর্তমান চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলাম, মো. শরিফুজ্জামান, মো. আব্দুল মজিদ; পুঠিয়া উপজেলার বর্তমান চেয়ারম্যান জি.এম হিরা বাচ্চু, মো. মখলেসুর রহমান, মো. আব্দুস সামাদ, মো. আহসান উল হক মাসুদ; বাগমারা উপজেলার মো. জাকিরুল ইসলাম, মো. আ. রাজ্জাক সরকার, মোহা. নাছিমা আক্তার।

এসময় ভাইস-চেয়ারম্যান পদে বৈধ প্রার্থী ঘোষিত হন- দূর্গাপুর উপজেলা মো. আ. কাদের মন্ডল, মো. হাসেম আলী, মো. আ. মোতালেব, মো. শামীম ফিরোজ, মো. মোসাব্বের সরকার জিন্নাহ, মো. আব্দুল হক; পুঠিয়া উপজেলার মো. ফজলে রাব্বি মুরাদ, মো. আব্দুল মতিন মুকুল, মো. জামাল উদ্দিন বাগমারা উপজেলার মো. আতাউর রহমান; বাগমারা উপজেলার মো. আতাউর রহমান, মো. শহিদুল ইসলাম, মোছা. বানেছা বেগম, মোসা. সারমিন আহম্মেদ, মোসা. কহিনুর বেগম; পুঠিয়া উপজেলার মৌসুমী রহমান, মোছা. পরিজান বেগম, মোছা. শাবনাজ আক্তার; বাগমারা উপজেলার মোছা. শাহিনুর খাতুন, কহিনুর বানু, খন্দকার শাহিদা আলম, মোছা. মমতাজ আক্তার বেবী।

মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই সম্পর্কে দূর্গাপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থীরা জানান, মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে তারা বৈধতা পেয়েছেন। জেলা প্রশাসন চুল ছেঁড়া যাচাই-বাছাই শেষে প্রার্থীতা বৈধ ঘোষণা করেছেন।

মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের সময় উপস্থিত ছিলেন- সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সাকিব হাছান খাঁন, সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সানিয়া বিনতে আফজাল, উপজেলা নির্বাচন অফিসার দূর্গাপুর মো. জয়নুল আবেদীন, রাজশাহী জেলার ডিএসবি মো. আলাউদ্দিন প্রমুখ।

;

কুষ্টিয়ার দুই উপজেলায় প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম,কুষ্টিয়া
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে কুষ্টিয়ার দুই উপজেলার প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টায় জেলা নির্বাচন অফিসের সভাকক্ষে কুষ্টিয়া সদর ও খোকসা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বি ২৩ প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়।

কুষ্টিয়া জেলা নির্বাচন অফিসার ও রিটার্নিং অফিসার মুহাম্মদ আবু আনসার উপস্থিত প্রার্থীদের হাতে প্রতীক তুলে দেন।

এর মধ্যে কুষ্টিয়া সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ২ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২ জন এবং খোকসা উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৬ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৮ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জন প্রার্থী রয়েছেন।

প্রতীক বরাদ্দ পাওয়ার পরপরই প্রার্থীরা মঙ্গলবার থেকে প্রচারণায় নেমে পড়েন। আগামী ৮ মে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

;

ঝিনাইদহ-১ আসনের উপনির্বাচন ৫ জুন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঝিনাইদহ-১ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল হাইয়ের মৃত্যুর পর শূন্য আসনে আগামী ৫ জুন ভোট গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন সচিব জাহাংগীর আলম।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বিকেলে নির্বাচন কমিশনের ৩২তম সভায় শেষে গণমাধ্যমকে তিনি এই তথ্য জানান।

সভা শেষে ইসি সচিব জাহাংগীর আলম জানান, ঝিনাইদহ-১ আসনের উপনির্বাচনের ভোট গ্রহণ করা হবে। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে এ আসনে বিজয়ী আব্দুল হাইয়ের মৃত্যুতে আসনটি শূন্য হয়।

উপ-নির্বাচনের তফসিল ঘোষণাপূর্বক ইসি সচিব বলেন, উপনির্বাচনের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ ৭মে, মনোনয়নপত্র বাছাই ৯ মে, বাছাইয়ের বিরুদ্ধে আপিল ১০ থেকে ১৪ মে, আপিল নিষ্পত্তি ১৫ মে, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৬ মে এবং প্রতীক বরাদ্দ ১৭ মে। এ নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন খুলনা অঞ্চলের আঞ্চলিক কর্মকর্তা।

;

উপজেলা নির্বাচন: চতুর্থ ধাপে ৫৫ উপজেলার ভোট ৫ জুন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
চতুর্থ ধাপে ৫৪ উপজেলার ভোট ৫ জুন

চতুর্থ ধাপে ৫৪ উপজেলার ভোট ৫ জুন

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের চতুর্থ ও শেষ ধাপে ৫৫ উপজেলায় আগামী ৫ জুন ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন ইসি।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বিকেলে আগারগাঁও নির্বাচনে ভবনে ইসির ৩২তম সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

সভা শেষে ইসি সচিব জাহাংগীর আলম উপজেলা ভোটের চতুর্থ ধাপের তফসিল ঘোষণাপূর্বক বলেন, আগামী ৫ জুন দেশের ৫৪ উপজেলায় চতুর্থ ধাপের ভোটগ্রহণ হবে। সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত একটানা ভোটগ্রহণ চলবে। এর সঙ্গে নওগাঁ জেলার মহাদেবপুর উপজেলার প্রার্থীর মৃত্যুতে স্থগিত হওয়া ভোটও এ ধাপে অনুষ্ঠিত হবে, ফলে মোট ৫৫ উপজেলায় ভোট গ্রহণ হবে।

তিনি জানান, চতুর্থ ধাপে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ৯ মে, মনোনয়ন যাচাই-বাছাই ১২মে। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ১ ৩ থেকে ১৫ মে। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ১৯ মে। প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে ২০ মে।

ইসি সচিব বলেন, চতুর্থ ধাপের ভোটে ৯টি জেলায় ভোট হবে ইভিএমে। বাকিগুলোয় স্বচ্ছ ব্যালট ভোটগ্রহণ করা হবে।

;