৫ বছরে কোটিপতি মুস্তফা লুৎফুল্লাহ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সাতক্ষীরা-১ (তালা-কলারোয়া) আসনটি আওয়ামী লীগের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। এই আসন থেকে আওয়ামী লীগের ৫ জন বিদ্রোহীসহ বিভিন্ন দল থেকে ১৪ জন প্রার্থী মনোনয়ন জমা দেন। এর মধ্যে ১৪ দল মনোনীত প্রার্থী হলেন বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরোর সদস্য বর্তমান এমপি অ্যাডভোকেট মুস্তফা লুৎফুল্লাহ। গত ৫ বছরে তার প্রায় ১০গুণ আয় বেড়ে এখন কোটিপতি হয়েছেন তিনি। এই পাঁচ বছরে তার অস্থাবর সম্পদ বেড়েছে।

এদিকে কৌশলগত কারণে বিএনপি থেকে হাবিবুল ইসলাম হাবিব ও তার স্ত্রী শাহানারা পারভীন বকুল মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। অস্থাবর সম্পত্তির দিক দিয়ে সাবেক এমপি হাবিবুল ইসলাম হাবিবের চেয়ে তার স্ত্রী এগিয়ে আছেন। মামলার দিক দিয়ে সবার চেয়ে এগিয়ে আছেন হাবিবুল ইসলাম হাবিব। তার নামে হত্যাসহ ১৬টি মামলা রয়েছে।

এদিকে জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার শেখ মুজিবুর রহমানের জমি রয়েছে সবচেয়ে বেশি। তার ১৫.৫ বিঘা কৃষি জমি রয়েছে।

নির্বাচন কমিশনে প্রার্থীদের জমা দেওয়া মনোনয়নপত্রের হলফনামা থেকে এমন তথ্য মিলেছে।

অ্যাডভোকেট মুস্তফা লুৎফুল্লাহ: ১৪ দল মনোনীত প্রার্থী বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরোর সদস্য অ্যাডভোকেট মুস্তফা লুৎফুল্লাহ। তিনি বর্তমান সংসদ সদস্য। তার শিক্ষাগত যোগ্যতা এলএলবি। তার বার্ষিক আয় ২৪ লাখ ৮৩ হাজার ১৪৬ টাকা।

১৪ দল মনোনীত প্রার্থী বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরোর সদস্য বর্তমান এমপি অ্যাডভোকেট মুস্তফা লুৎফুল্লাহ ৫ বছরে কোটিপতি হয়েছেন। এই পাঁচ বছরে তার বেড়েছে অস্থাবর সম্পদ। তার নামে এক কোটি ৪ লাখ ৫০ হাজার ৩৭০ টাকার অস্থাবর সম্পদ ও ১১ লাখ ৪২ হাজার টাকার স্থাবর সম্পদ রয়েছে।

অস্থাবর সম্পত্তির মধ্যে তার নামে নগদ ৪৭ লাখ ১২ হাজার ৮৮৮ টাকা, ব্যাংকে জমা ৩ লাখ ৮২ হাজার ৪০২ টাকা, ৪৪ লাখ ৬৭ হাজার ৮০ টাকা মূল্যের প্যারাডো জিপ ও এক লাখ টাকা মূল্যের মোটরসাইকেল, ৪ লাখ ২০ হাজার টাকা মূল্যের ল্যাপটপ, টিভি, ফ্রিজ ও এসি, এক লাখ টাকার আসবাবপত্র ও ২ লাখ ৬৮ হাজার টাকার পিস্তল ও পয়েন্ট ২২ রাইফেল রয়েছে। স্থাবর সম্পদের মধ্যে তার নামে ১২ হাজার টাকা মূল্যের অকৃষি জমি ও ১১ লাখ ৩০ হাজার টাকা মূল্যের বাড়ি রয়েছে।

অন্যদিকে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের সময় দাখিলকৃত হলফনামায় তার নামে অস্থাবর সম্পদ ছিল এক লাখ টাকা মূল্যের একটি মোটরসাইকেল। বার্ষিক আয় ছিল ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা। সেই হিসাব মতো তার বার্ষিক আয় বেড়েছে প্রায় ১০ গুণের বেশি।

হাবিবুল ইসলাম হাবিব: সাতক্ষীরা-১ আসনের বিএনপির প্রার্থী হাবিবুল ইসলাম হাবিব ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পদার্থ বিজ্ঞানে এমএসসি পাশ। তিনি ঠিকাদার পেশায় যুক্ত আছেন। এছাড়া কৃষি খাত, বাড়ি ভাড়া ও ব্যবসা থেকে বাৎসরিক আয় ২০ লাখ ৬৫ হাজার ৯৭৭ টাকা। তার স্ত্রীর বার্ষিক আয় ৫ লাখ ৫৭ হাজার ৬৭৩ টাকা।

এছাড়া তার অস্থাবর সম্পত্তির মধ্যে নিজ নামে নগদ ১৫ লাখ ৭১ হাজার ৮০৩ টাকা, ব্যাংকে জমা ২০ লাখ ২৮ হাজার ৪৭৭ টাকা, ১০ ভরি স্বর্ণ, ১ লাখ টাকার আসবাবপত্র ও ১৯ লাখ ৬০ হাজার টাকার ট্যাংকলরি রয়েছে। তার স্ত্রীর অস্থাবর সম্পত্তির মধ্যে নগদ ৩৭ লাখ ৩০ হাজার ৮৮৯ টাকা, ১৫ লাখ টাকার এফডিআর, ৮ লাখ টাকার প্রাইভেট কার, ১০ ভরি স্বর্ণ ও ৩ লাখ ৩০ হাজার টাকার আসবাবপত্র রয়েছে।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্রের সঙ্গে দাখিলকৃত হলফনামায় তিনি এসব তথ্য উল্লেখ করেছেন। তার নামে হত্যা, হত্যার প্রচেষ্টা, চাঁদাবাজি, বিস্ফোরক দ্রব্য, মাদক, প্রতারণা, দুর্নীতি, অস্ত্র ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে ১৬টি মামলা রয়েছে। এসব মামলার মধ্যে সাতটির কার্যক্রম স্থগিত, পাঁচটি বিচারাধীন ও চারটি তদন্তাধীন রয়েছে।

হলফনামায় উল্লেখ করা হয়েছে, জেলা বিএনপি সাবেক সভাপতি হাবিব ২ দশমিক সাড়ে ১১ একর কৃষি জমি, ৪৪ দশমিক ৭৫ শতক অকৃষি জমি, পৈত্রিক ভিটায় ২ তলা বাড়ি ও রাজধানীর বনানীতে ৬তলা একটি ভবনের মালিক। এছাড়া তার স্ত্রীর নামে ৮ বিঘা কৃষি জমি ও ধানমন্ডিতে একটি বাড়ি রয়েছে।

কেন্দ্রীয় বিএনপির প্রকাশনা সম্পাদক হাবিবুল ইসলাম হাবিব বর্তমানে এক কোটি ২৪ লাখ ৮৭ হাজার ৩২৭ টাকা ঋণী।

মুজিবুর রহমান: সাতক্ষীরা-১ আসনে মনোনয়নপত্র দাখিলকারী স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার শেখ মুজিবুর রহমানের নামে ৭১ লাখ টাকার অস্থাবর সম্পদ ও ১৫.৫ বিঘা কৃষি জমিসহ ২ লাখ ৭৪ হাজার টাকার স্থাবর সম্পদ রয়েছে।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্রের সঙ্গে দাখিলকৃত হলফনামায় তিনি এসব তথ্য উল্লেখ করেন।

সাতক্ষীরা-১ আসনে এই প্রার্থী বিএসসি ইঞ্জিনিয়ার (সিভিল)। তিনি রাজনীতি ও বিভিন্ন ফার্মে উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করেন। তার বাৎসরিক আয় ৫ লাখ ৯৯ হাজার ৯৯৯ টাকা। এর মধ্যে কৃষি খাত থেকে আয় করেন ১ লাখ ৪২ হাজার ২৮৩ টাকা, পরামর্শক হিসেবে আয় ৩৮ হাজার টাকা, সম্মানী হিসেবে আয় ২ লাখ ১০ হাজার টাকা, মৎস্য খামার থেকে আয় ২ লাখ ৯ হাজার ৭১৬ টাকা।

শেখ মুজিবুর রহমানের অস্থাবর সম্পত্তির মধ্যে রয়েছে- নগদ ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা, ব্যাংকে জমা ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা, ৫ লাখ ৬০ হাজার টাকার ঋণপত্র, ৫৫ লাখ টাকার প্রাডো জিপ, ২২ তোলা স্বর্ণ (৪০ হাজার টাকা), ২ লাখ ৫০ হাজার টাকার ইলেকট্রনিক সামগ্রী ও ১ লাখ ৫০ হাজার টাকার আসবাবপত্র রয়েছে।

এছাড়া স্থাবর সম্পত্তির মধ্যে তার নিজ নামে ১৫.৫ বিঘা কৃষি জমি, ৫ শতক অকৃষি জমি ও ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা মূল্যের একটি বাড়ি রয়েছে। এছাড়া তার স্ত্রীর নামে ৭ বিঘা কৃষি জমি, ৫ শতক অকৃষি জমি, ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা মূল্যের একটি বাড়ি রয়েছে।

এদিকে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন জাতীয় পার্টির সৈয়দ দীদার বখত, জাসদের শেখ মো. ওবায়েদুস সুলতান বাবলু, ইসলামী আন্দোলনের এফএম আছাদুল হক, কমিউনিস্ট পার্টির আজিজুর রহমান, এনপিপির আব্দুর রশিদ।

   

ভোটের তিন বছর পর কাউন্সিলর হচ্ছেন আলী আহাম্মদ



উপজেলা করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, গৌরীপুর (ময়মনসিংহ)
ভোটের তিন বছর পর কাউন্সিলর হচ্ছেন আলী আহাম্মদ

ভোটের তিন বছর পর কাউন্সিলর হচ্ছেন আলী আহাম্মদ

  • Font increase
  • Font Decrease

ভোট গ্রহণের তিন বছর পর আদালতের রায়ে ময়মনসিংহের গৌরীপুর পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে জয় পেয়েছেন এসএম আলী আহাম্মদ।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) নির্বাচন কমিশনের উপসচিব মো. মিজানুর রহমান এই বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ ও দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনারকে চিঠি দিয়েছেন।

এর আগে মঙ্গলবার এই সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে নির্বাচন কমিশন।

জানা গেছে, ২০২১ সালের ৩০ জানুয়ারি গৌরীপুর পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই নির্বাচনে পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ড থেকে কাউন্সিলর পদে ডালিম প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন এসএম আলী আহাম্মদ। ভোটগ্রহণ শেষে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী উটপাখি প্রতীকের মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম ভূঁইয়াকে বিজয়ী ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।

এদিকে ফলাফল প্রত্যাখান করে আইনের আশ্রয় নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন আলী আহাম্মদ। দীর্ঘ আইনি লড়াই শেষে আদালত পুনরায় ভোট গণনার নির্দেশ দেওয়ার পর দেখা যায় ডালিম প্রতীক ৬০৪ ভোট ও উটপাখি প্রতীক ৫৩৯ ভোট পেয়েছে। গত বছর ২৯ অক্টোবর নিম্ন আদালত আগের ঘোষিত ফলাফল বাতিল করে ডালিম প্রতীকের প্রার্থী আলী আহাম্মদকে বিজয়ী ঘোষণা করেন।

এরপর নিম্ন আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করেন উটপাখি প্রতীকের প্রার্থী মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া। আপিলের পর উচ্চ আদালত গত ২৫ জানুয়ারি নিম্ন আদালতের রায়ের ওপর ৮ সপ্তাহ স্থগিতাদেশ দেন।

এরপর আবারও আইনি লড়াই শুরু হয়। গত ৩ মার্চ উচ্চ আদালত ও নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল আপিলের চূড়ান্ত রায় ঘোষণা করে নিম্ন আদালতের রায় বহাল রাখেন।

এস এম আলী আহাম্মদ বলেন, ‘ভোটারদের প্রতি আমার আস্থা ছিল। পাশাপাশি আমি সবসময় আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ছিলাম। আমার সাথে যে অন্যায় হয়েছিল, তার জন্য ন্যায় বিচার পেতে আইনের দ্বারস্থ হয়েছি। আইনি লড়াইয়ে ন্যায় বিচার পেয়ে জয়ী হয়েছি’।

অপরদিকে মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, ‘এই মুহূর্তে আমি এই বিষয়টি নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাচ্ছি না’।

এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে গৌরীপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. শাকিল আহমেদ বলেন, ‘ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনার স্যার এ বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নেবেন।’

;

গাজীপুরে উপজেলা নির্বাচন উপলক্ষে মতবিনিময় সভা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, গাজীপুর
গাজীপুরে উপজেলা নির্বাচন উপলক্ষে মতবিনিময় সভা

গাজীপুরে উপজেলা নির্বাচন উপলক্ষে মতবিনিময় সভা

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ সাধারণ নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু করতে গাজীপুরে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) বিকেলে গাজীপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের ভাওয়াল সম্মেলন কক্ষে এ সভার আয়োজন করা হয়।

মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর। এতে সভাপতিত্ব করেন- জেলা প্রশাসক আবুল ফাতে মোহাম্মদ সফিকুল ইসলাম।

এসময় আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও সুশৃঙ্খলভাবে করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে নির্দেশনা প্রদানসহ নানা দিক নির্দেশনা দেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর।

এর আগে নির্বাচন কমিশনারকে গাজীপুর সার্কিট হাউজে ফুলেল অভ্যর্থনা জানান জেলা প্রশাসক। পরে পুলিশের একটি দল তাকে গার্ড অফ অনার প্রদান করেন।

সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকবৃন্দ, উপজেলা নির্বাহী অফিসারগণ, রিটার্নিং অফিসার, সহকারী রিটার্নিং অফিসার, নির্বাচন সংশ্লিষ্ট অন্যান্য ব্যক্তিবর্গ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যবৃন্দ।

;

উপজেলা নির্বাচন: আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা ২৩ এপ্রিল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য আগামী মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা ডেকেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) নির্বাচন পরিচালনা শাখার উপসচিব মো. আতিয়ার রহমান ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্টদের এ সংক্রান্ত চিঠি পাঠিয়েছেন।

এতে উল্লেখ করা হয়েছে, ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ সাধারণ নির্বাচন সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে অনুষ্ঠানের নিমিত্তে সংশ্লিষ্টদের উপস্থিতিতে এক সভা আগামী ২৩ এপ্রিল বেলা সকাল ১১টায় নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত হবে।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠেয় সভায় নির্বাচন কমিশনারগণ, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিব ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কর্মকর্তাগণ উপস্থিত থাকবেন।

চিঠিতে সভায় যথাসময়ে উপস্থিত থাকার জন্য নির্দেশিত হয়ে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

আতিয়ার রহমান সভার চিঠি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের (সমন্বয় ও সংস্কার) সচিব, স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব, মহাপুলিশ পরিদর্শক, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ/র‍্যাব/কোস্টগার্ড/আনসার ও ভিডিপি/ডিজিএফআই/এনএসআই, মহাপরিচালক ও অতিরিক্ত মহাপুলিশ পরিদর্শককে (এসবি) পাঠিয়েছেন।

চার ধাপে অনুষ্ঠেয় ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ইতিমধ্যে তিন ধাপের তফসিল দিয়েছে ইসি।

প্রথম ধাপের তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিল ও বাছাইয়ের সময় শেষ। বৈধ প্রার্থী এক হাজার ৭৮৬ জন, রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ১৮ থেকে ২০ এপ্রিল। আপিল নিষ্পত্তি ২১ এপ্রিল, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২২ এপ্রিল। প্রতীক বরাদ্দ ২৩ এপ্রিল, আর ১৫২ উপজেলায় ভোটগ্রহণ হবে ৮ মে।

এই ধাপের নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিয়োগ করা হয়েছে। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দায়ের করা আপিল আবেদন নিষ্পত্তি করবেন আপিল কর্তৃপক্ষ হিসেবে জেলা প্রশাসক।

দ্বিতীয় ধাপের তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিল ২১ এপ্রিল শেষ সময়, মনোনয়নপত্র বাছাই ২৩ এপ্রিল, আপিল গ্রহণ ২৪-২৬ এপ্রিল, আপিল নিষ্পত্তি ২৭ থেকে ২৯ এপ্রিল। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ৩০ এপ্রিল, প্রতীক বরাদ্দ প্রতীক বরাদ্দ ২ মে। আর ১৬১ উপজেলায় ভোটগ্রহণ হবে ২১ মে।

এই ধাপের নির্বাচনে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকদের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ভোটারের সংখ্যা ৫ লাখের বেশি যেখানে সেখানে একাধিক সহকারী রিটার্নিং অফিসার নিয়োজিত থাকবেন।

তৃতীয় ধাপের তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়ন ফরম জমার শেষ তারিখ ২ মে, মনোনয়ন যাচাই-বাছাই ৫ মে। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ৬ থেকে ৮মে।

আপিল নিষ্পত্তি ৯ থেকে ১১ মে। প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ১২ই মে। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ ১৩ই মে এবং ভোট ২৯শে মে। এই ধাপে ১১২ উপজেলায় ভোট হবে।

এই ধাপে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে অতিরিক্ত জেলা ও অতিরিক্ত আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা এবং অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে৷

আগামী ৫ জুন চতুর্থ ধাপের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে।

;

১৫০ উপজেলায় বৈধ প্রার্থী ১৭৮৬



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
১৫০ উপজেলায় বৈধ প্রার্থী ১৭৮৬

১৫০ উপজেলায় বৈধ প্রার্থী ১৭৮৬

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপের রিটার্নিং কর্মকর্তা যাচাই বাছাই শেষে মোট বৈধ প্রার্থী দাঁড়াল এক হাজর ৭৮৬ জন।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) মাঠ পর্যায় থেকে পাঠানো তথ্য একীভূত করার পর এ তথ্য জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ।

তিনি জানান, প্রথম ধাপে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইসচেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন এক হাজার ৮৯০ জন। এদের মধ্যে বাছাইয়ে বাতিল হয়েছে ১০৪ জনের মনোনয়নপত্র। আর বৈধ প্রার্থীর সংখ্যা এক হাজার ৭৮৬ জন।

নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ১৮ থেকে ২০ এপ্রিল। আপিল নিষ্পত্তি ২১ এপ্রিল, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২২ এপ্রিল। প্রতীক বরাদ্দ ২৩ এপ্রিল আর ১৫০ উপজেলায় ভোটগ্রহণ হবে ৮ মে।

;