শুনানির দ্বিতীয় দিনে মনোনয়ন ফিরে পেলেন যারা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রিটার্নিং কর্মকর্তার বাছাইয়ে বাতিল হওয়া মনোনয়ন ফিরে পেতে আপিলের পরিপ্রেক্ষিতে দ্বিতীয় দিনের শুনানি শেষে ৭৮ জনের মনোনয়নপত্র বৈধ, ৬৫ জনের বাতিল ও সাতজনের মনোনয়নপত্র স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন।

শুক্রবার (৭ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত নির্বাচন ভবনে এই শুনানি শুরু হয়ে চলে বিকাল পর্যন্ত। আপিলকারীদের মধ্যে ১৬১ থেকে ৩১০ নং ক্রমিক পর্যন্ত আবেদনের শুনানির মাধ্যমে নিষ্পত্তি করে কমিশন। আর তৃতীয় দিন (৮ ডিসেম্বর) ৩১১ থেকে ৫৪৩ নম্বর আবেদন নিষ্পত্তি করা হবে।

দ্বিতীয় দিনে জাতীয় পার্টির সাবেক মহাসচিব এ  এইচ এম রুহুল আমিন হাওলাদার, স্বতন্ত্র ইমরান এইচ সরকারের মনোনয়নপত্র বাতিল করে আদালত। আর বিএনপির আামান উল্লাহ আমানের আবেদন স্থগিত এবং মনোনয়ন বৈধ হয়েছে গণফোরামের রেজা কিবরিয়ার।

এর আগে ৬ ডিসেম্বর শুনানির প্রথম দিন শুনানি হয় ১ থেকে ১৬০ নং আপিলের। শুনানি শেষে ৮০ প্রার্থী বৈধ আর অবৈধ হয় ৭৬ প্রার্থীর আবেদন ও স্থগিত করে বাকি চার প্রার্থীর আপিল।

মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ২৮ নভেম্বর পর্যন্ত তিন হাজার ৬৫টি মনোনয়নপত্র জমা পড়ে। ২ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই করে ৭৮৬ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল করে রিটার্নিং কর্মকর্তারা। এরপর ৩, ৪ ও ৫ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র ফিরে পেতে আপিল করেন বাতিল হওয়া প্রার্থীরা।

দ্বিতীয় দিন মনোনয়নের বৈধতা পেয়েছেন যারা:

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ আসনের মোহাম্মদ জিয়া উদ্দিন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ মো. মুসলিম উদ্দিন, চট্টগ্রাম-৮ হাসান মাহমুদ চৌধুরী, চট্টগ্রাম-৭ মো. আবু আহমেদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ মো. গিয়াস উদ্দিন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ আবদুল খালেক, কুমিল্লা-১০ মো. শাহজাহান মজুমদার, চাঁদপুর-৫ খোরশেদ আলম খুশু, বরিশাল-২ একে ফাইয়াজুল হক, পটুয়াখালী-১ মো. আবদুর রশিদ, বরিশাল-১ মো. বাদশা মিয়া, বরগুনা-১ মো. মতিয়ার রহমান তালুকদার, ভোলা-১ গোলাম নবী আলমগীর।

বরিশাল-২ মাসুদ পারভেজ, ঝালকাঠি-১ বজলুল হক হারুণ (তার মনোনয়ন বাতিল করতে আপিল করা হয়। শুনানিতে সেই আপিল খারিজ হয়ে যায়), পটুয়াখালী-২ মো. শহিদুল আলম তালুকদার, বরিশাল-২ সৈয়দ রুবিনা আক্তার, ভোলা-৪ নাজিম উদ্দিন আলম, বরিশাল-৪ মাহাবুবুল আলম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ মো. ছাইফুল্লাহ (হুমায়ুন মিয়া)।

ঢাকা-১৬ এর আলহ্বাজ এ কে এম মোয়াজ্জেম হোসেন, ঢাকা-৩ মোহাম্মদ সুলতান আহম্মদ খান, কিশোরগঞ্জ-২ মোহাম্মদ সালাউদ্দিন, কিশোরগঞ্জ-৬ মোহাম্মদ মুছা খান, টাঙ্গাইল-৮ মোহাম্মদ আ. লতিফ মিয়া, নরসিংদী-২ জাইদুল কবীর, কিশোরগঞ্জ-১ খালেদ সাইফুল্লাহ সোহেন খান, গাজীপুর-৩ মোহাম্মদ জহিরুল হক মণ্ডল বাচ্চু, মানিকগঞ্জ-২ মঈনুল ইসলাম খান, শরিয়তপুর-৩ সুশান্ত ভাওয়াল, কিশোরগঞ্জ-২ নুরুল ইসলাম, মুন্সীগঞ্জ-১ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ, কিশোরগঞ্জ-৩ ডা. এনামুল হক।

নারায়ণগঞ্জ-৪ মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন, টাঙ্গাইল-৬ মোহাম্মদ আবুল কাসেম, টাঙ্গাইল-৭ সৈয়দ মজিবর রহমান, শরীয়তপুর-২ মোহাম্মদ বাদল কাজী, মাদারীপুর-১ মোহাম্মদ শাহনেওয়াজ, নারায়ণগঞ্জ-৪ মোহাম্মদ ছালাউদ্দিন খোকা, টাঙ্গাইল-৬ ব্যারিস্টার এম আাশরাফুল ইসলাম, টাঙ্গাইল-৬ মামুনুর রহমান, টাঙ্গাইল-৩ এস এম চান মিয়া, মাদারীপুর-২ আল আমীন মোল্লা, ঢাকা-৮ এস এম সরওয়ার।

মাদারীপুর-১ আসনের নাদিরা আক্তার, ঢাকা-১ ফাহিমা হুসাইন জুবলী, কিশোরগঞ্জ-১ মোহাম্মদ আব্দুর রহমান, কিশোরগঞ্জ-৩ সাইফুল ইসলাম সুমন, ঢাকা-৮ মাহমুদা রহমান মুন্নি, ঢাকা-১৬ মোহাম্মদ আমানত হোসেন, সিলেট-৫ এম এ মতিন চৌধুরী, সিলেট-৫ সেলিম উদ্দিন, মৌলভীবাজার-১ এবাদুর রহমান চৌধুরী।

সুনামগঞ্জ-৪ আসনের মোহাম্মদ দিলোয়ার, সুনামগঞ্জ-৪ দেওয়ান জয়নুল জাকেরীন, হবিগঞ্জ-১ রেজা কিবরিয়া, সুনামগঞ্জ-৪ মোহাম্মদ আজিজুল হক, হবিগঞ্জ-১ অধ্যাপক মোহাম্মদ আব্দুল হান্নান, কিশোরগঞ্জ-৫ সেলিনা সুলতানা, টাঙ্গাইল-৬ নূর মোহাম্মদ খান, কিশোরগঞ্জ-২ এরশাদ হোসাইন, ঢাকা-১৮ সাইফুদ্দিন আহমেদ খান, টাঙ্গাইল-৩ মোহাম্মদ আতাউর রহমান খান, টাঙ্গাইল-৬ সুলতানা মাহমুদ, ঢাকা-১৮ শহীদ উদ্দিন মাহমুদ, ঢাকা-১ শামসুদ্দিন আহমেদ, মানিকগঞ্জ-২ এস এম আব্দুল মান্নান।

ঢাকা-২ আসনের সুকান্ত শফি চৌধুরী, ফরিদপুর-৪ আতাউর রহমান, শরীয়তপুর-১ সবদার এ কে এম নাসির উদ্দিন, কুড়িগ্রাম-৪ মোহাম্মদ জাকির হোসেন, রংপুর-২ শ্রী কুমারেশ চন্দ্র রায়, ময়মনসিংহ-৮ মাহমুদ হাসান সুমন, জামালপুর-১ এম. রমিদুজ্জামান মিল্লাত, ময়মনসিংহ-১ মোহাম্মদ হাবিবুল্লাহ, ময়মনসিংহ-১১ মোহাম্মদ আমান উল্লাহ সরকার, নেত্রকোনা-১ মোহাম্মদ এম এ করিম আব্বাসী ও ময়মনসিংহ-৫ জহিরুল ইসলাম।

আপিলের পরও প্রার্থিতা বাতিল যাদের:

কুমিল্লা-১ আসনের মো. আলতাফ হোসাইন, চট্টগ্রাম-৬ সামির কাদের চৌধুরী, ফেনী-৩ মো. আবদুল লতিফজান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ মো. শাহজাহান, কুমিল্লা-২ মো. আব্দুল মজিদ, বরিশাল-৬ ওসমান হোসেইন, পিরোজপুর-৩ ডা. সুধীর রঞ্জন বিশ্বাস, ঝালকাঠি-১ মো. মনিরুজ্জামান, পটুয়াখালী-১ এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার, পটুয়াখালী-২ মোহাম্মদ মিজানুর রহমান খান।

ভোলা-৪ আসনের এম এ মান্নান হাওলাদার, ঝালকাঠী-১ মোহাম্মদ শাহজালাল শামীম, পিরোজপুর-১ মনিমোহন বিশ্বাস, বরিশাল-৬ নাসরিন জাহান রতনা, বরিশাল-৪ মো. মেজবা উদ্দীন ফরহাদ, ঝালকাঠী-১ ইয়াসমিন আক্তার পপি, পিরোজপুর-৩ মো. রুস্তম আলী ফারাজী, পটুয়াখালী-২ মো. শফিকুল ইসলাম, ভোলা-২ হুমায়ন কবির, নরসিংদী-২ আলতামাশ কবীর (অনুপস্থিত), কিশোরগঞ্জ-৪ সুরঞ্জন ঘোষ।

কিশোরগঞ্জ-৩ মোহাম্মদ আম্মান খান, মানিকগঞ্জ-১ মোহাম্মদ আাতোয়ার হোসেন, ঢাকা-৮ আরিফুর রহমান, কিশোরগঞ্জ-২ মোহাম্মদ আানিসুজ্জামান, ঢাকা-১৭ মোহাম্মদ আনিসুজ্জামান খোকন, ঢাকা-৮ অবসরপ্রাপ্ত মেজর মামুনুর রশিদ, গোপালগঞ্জ-১ শামসুল আলম খান চৌধুরী, কিশোরগঞ্জ-৩ মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান নয়ন, নারায়ণগঞ্জ-১ মোহাম্মদ রেহান আফজাল, শরীয়তপুর-১ মো. আালমগীর হোসেনের আপিল আাবেদন, গোপালগঞ্জ-৩ এ জেড আপু শেখ, মুন্সিগঞ্জ-২ মোহাম্মদ নোমান মিয়া।

কিশোরগঞ্জ-২ আসনে মোহাম্মদ লুৎফুর রহমান, ঢাকা-২০ জামাল উদ্দিন আহমেদ, গাজীপুর-১ মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির, নারায়ণগঞ্জ-৩ মোহাম্মদ সাহাব উদ্দিন, নারায়ণগঞ্জ-৩ অনন্যা হোসাইন মৌসুমী, নারায়ণগঞ্জ-৪ মোহাম্মদ মামুন মাহমুদ, মৌলভীবাজার-৩ আব্দুল মোসাব্বির, হবিগঞ্জ-৩ মোহাম্মদ আ. কাদির, হবিগঞ্জ-৩ মওলানা আতাউর রহমান, সিলেট-২ অধ্যক্ষ এনামুল হক সর্দার, সিলেট-৬ মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন মিয়া।

সুনামগঞ্জ-১ আসনের কামরুজ্জামান কামরুল, সিলেট-২ মহিবুর রহমান, সুনামগঞ্জ-৫ রঞ্জিত কুমার দে, হবিগঞ্জ-১ মোহাম্মদ বদরুর রেজা, হবিগঞ্জ-৪ মোহাম্মদ আব্দুল মমিন, সিলেট-৩ আব্দুল ওদুদ, টাঙ্গাইল-৮ কাজী আশরাফ সিদ্দিকী, নরসিংদী-২ আলহ্বাজ ইঞ্জিনিয়ার মুহসীন আহমেদ, নারায়ণগঞ্জ-৩ মোশারফ হোসেন, গাজীপুর-৪ মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন, ঢাকা-১৫ মোহাম্মদ ছলীম উদ্দিন।

রংপুর-৩ আসনের হাবিবুল হক সরকার, ঠাকুরগাঁও-৩ গোপাল চন্দ্র রায়, গাইবান্ধা-৩ তফিকুল ফামিন মন্ডল, কুড়িগ্রাম-৪ ইমরান এইচ সরকার, কুড়িগ্রাম-৪ এস এম জাহাঙ্গীর, নীলফামারী-৩ মোহাম্মদ আনসার আলী, ময়মনসিংহ-৪ আবু জাফর জাহিদ হোসেন, ময়মনসিংহ-৫ মোহাম্মদ হোসেল মিয়া, শেরপুর-৩ মোহাম্মদ আবু বক্কর সিদ্দিকী ও মানিকগঞ্জ-২ মঈনুল ইসলাম খান।

এছাড়াও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ এর মো. মেহেদী হাসান, সুনামগঞ্জ-৩ সৈয়দ শাহ মুবাশ্বির আলী, ঢাকা-২ আমান উল্লাহ আমান, ঢাকা-৯ আফরোজা আব্বাস, ঢাকা-২০ সুলতানা আহমেদ, রংপুর-১ আলহ্বাজ সি এম সাদিক ও গাইবান্ধা-১ আফরুজা বারী সাহাবাজের আপিল স্থগিত করা হয়েছে।

শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা, কমিশনার মাহবুব তালুকদার, মো. রফিকুল ইসলাম, কবিতা খানম ও অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শাহাদাত হোসেন চৌধুরী ও ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ।

   

উপজেলা নির্বাচন ব্যর্থ হলে গণতন্ত্র ক্ষুণ্ন হবে: সিইসি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

উপজেলা নির্বাচন ব্যর্থ হলে বিগত সংসদ নির্বাচনে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা প্রতিষ্ঠা হয়েছে তা ক্ষুণ্ন হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার সিইসি কাজী হাবিবুল আওয়াল।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকালে আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে মাঠ প্রশাসনের সাথে আইনশৃঙ্খলা বিষয় সভায় তিনি এই কথা বলেন।

সিইসি কাজী কাজী হাবিবুল আওয়াল বলেন, দেশের নির্বাচনে আবেগ অনুভূতির জন্য কিছুটা বিশৃঙ্খলা হয়। ভোটাররা যেন নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারে সেই ব্যবস্থা করতে হবে। যেকোন মূল্যে নির্বাচন সুষ্ঠু করতে হবে। এই নির্বাচনে ব্যর্থ হলে বিগত সংসদ নির্বাচনে যে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা প্রতিষ্ঠা হয়েছে তা ক্ষুণ্ন হতে পারে। বাংলাদেশে গণতন্ত্র আছে তা সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে প্রমাণ করতে হবে। 

সভায় দেশের সকল জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার উপস্থিত আছেন। পুলিশপ্রধান সহ স্বরাষ্ট্র ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত আছেন।

;

উপজেলা নির্বাচন: রাজশাহীর তিন উপজেলায় বৈধ ৩১ জন



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজশাহী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আগামী ২১ মে দ্বিতীয় ধাপে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এতে রাজশাহী জেলার পুঠিয়া, দূর্গাপুর ও বাগমারা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান, ভাইস-চেয়ারম্যান ও নারী ভাইস-চেয়ারম্যান পদে মোট ৩১ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ হয়েছে। প্রার্থীদের জমাকৃত মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে বৈধতার ঘোষণা দেওয়া হয়।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বেলা ১২টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে রিটার্নিং অফিসার ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) কল্যাণ চৌধুরী এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

রিটার্নিং অফিসার কল্যাণ চৌধুরী বলেন, দ্বিতীয় ধাপে আগামী ২১ মে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আগামী ২ মে প্রতীক বরাদ্দের মধ্য দিয়ে প্রার্থীদের মূল প্রচারণা শুরু হবে। উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অবাধ ও শান্তিপূর্ণ করার লক্ষ্যে নির্বাচনী সভা এবং প্রচার-প্রচারণা সংক্রান্ত নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা সকল প্রার্থীদের যথাযথভাবে মানতে অনুরোধ জানান।

তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র বাছাই করা হবে ২৩ এপ্রিল। মনোনয়নপত্র বাতিলের বিরুদ্ধে আপিল করা যাবে ২৪-২৬ এপ্রিল। আপিল নিষ্পত্তি হবে ২৭-২৯ এপ্রিলের মধ্যে। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ৩০ এপ্রিল। প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে ২ মে। প্রচার শেষে আগামী ২১ মে হবে ভোটগ্রহণ।

এসময় জানানো হয়, এই তিনটি উপজেলায় ৩১ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। চেয়ারম্যান ১০ জন, ভাইস চেয়ারম্যান ১১ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১০ জন প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র জমা দেন। এর মধ্যে ৩১ জনের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়।

উপজেলা চেয়ারম্যান পদে বৈধ প্রার্থী ঘোষিত হলেন- দূর্গাপুর উপজেলার বর্তমান চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলাম, মো. শরিফুজ্জামান, মো. আব্দুল মজিদ; পুঠিয়া উপজেলার বর্তমান চেয়ারম্যান জি.এম হিরা বাচ্চু, মো. মখলেসুর রহমান, মো. আব্দুস সামাদ, মো. আহসান উল হক মাসুদ; বাগমারা উপজেলার মো. জাকিরুল ইসলাম, মো. আ. রাজ্জাক সরকার, মোহা. নাছিমা আক্তার।

এসময় ভাইস-চেয়ারম্যান পদে বৈধ প্রার্থী ঘোষিত হন- দূর্গাপুর উপজেলা মো. আ. কাদের মন্ডল, মো. হাসেম আলী, মো. আ. মোতালেব, মো. শামীম ফিরোজ, মো. মোসাব্বের সরকার জিন্নাহ, মো. আব্দুল হক; পুঠিয়া উপজেলার মো. ফজলে রাব্বি মুরাদ, মো. আব্দুল মতিন মুকুল, মো. জামাল উদ্দিন বাগমারা উপজেলার মো. আতাউর রহমান; বাগমারা উপজেলার মো. আতাউর রহমান, মো. শহিদুল ইসলাম, মোছা. বানেছা বেগম, মোসা. সারমিন আহম্মেদ, মোসা. কহিনুর বেগম; পুঠিয়া উপজেলার মৌসুমী রহমান, মোছা. পরিজান বেগম, মোছা. শাবনাজ আক্তার; বাগমারা উপজেলার মোছা. শাহিনুর খাতুন, কহিনুর বানু, খন্দকার শাহিদা আলম, মোছা. মমতাজ আক্তার বেবী।

মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই সম্পর্কে দূর্গাপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থীরা জানান, মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে তারা বৈধতা পেয়েছেন। জেলা প্রশাসন চুল ছেঁড়া যাচাই-বাছাই শেষে প্রার্থীতা বৈধ ঘোষণা করেছেন।

মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের সময় উপস্থিত ছিলেন- সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সাকিব হাছান খাঁন, সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সানিয়া বিনতে আফজাল, উপজেলা নির্বাচন অফিসার দূর্গাপুর মো. জয়নুল আবেদীন, রাজশাহী জেলার ডিএসবি মো. আলাউদ্দিন প্রমুখ।

;

কুষ্টিয়ার দুই উপজেলায় প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম,কুষ্টিয়া
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে কুষ্টিয়ার দুই উপজেলার প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টায় জেলা নির্বাচন অফিসের সভাকক্ষে কুষ্টিয়া সদর ও খোকসা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বি ২৩ প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়।

কুষ্টিয়া জেলা নির্বাচন অফিসার ও রিটার্নিং অফিসার মুহাম্মদ আবু আনসার উপস্থিত প্রার্থীদের হাতে প্রতীক তুলে দেন।

এর মধ্যে কুষ্টিয়া সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ২ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২ জন এবং খোকসা উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৬ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৮ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জন প্রার্থী রয়েছেন।

প্রতীক বরাদ্দ পাওয়ার পরপরই প্রার্থীরা মঙ্গলবার থেকে প্রচারণায় নেমে পড়েন। আগামী ৮ মে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

;

ঝিনাইদহ-১ আসনের উপনির্বাচন ৫ জুন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঝিনাইদহ-১ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল হাইয়ের মৃত্যুর পর শূন্য আসনে আগামী ৫ জুন ভোট গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন সচিব জাহাংগীর আলম।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বিকেলে নির্বাচন কমিশনের ৩২তম সভায় শেষে গণমাধ্যমকে তিনি এই তথ্য জানান।

সভা শেষে ইসি সচিব জাহাংগীর আলম জানান, ঝিনাইদহ-১ আসনের উপনির্বাচনের ভোট গ্রহণ করা হবে। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে এ আসনে বিজয়ী আব্দুল হাইয়ের মৃত্যুতে আসনটি শূন্য হয়।

উপ-নির্বাচনের তফসিল ঘোষণাপূর্বক ইসি সচিব বলেন, উপনির্বাচনের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ ৭মে, মনোনয়নপত্র বাছাই ৯ মে, বাছাইয়ের বিরুদ্ধে আপিল ১০ থেকে ১৪ মে, আপিল নিষ্পত্তি ১৫ মে, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৬ মে এবং প্রতীক বরাদ্দ ১৭ মে। এ নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন খুলনা অঞ্চলের আঞ্চলিক কর্মকর্তা।

;