১৭২ আসনে 'লাঙল' প্রতীকে জাপা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ও দলটির প্রতীক/ ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ও দলটির প্রতীক/ ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন সংসদ নির্বাচনে ১৭২ আসনে 'লাঙ্গল' প্রতীকে জাতীয় পার্টি (জাপা) ভোট করবে বলে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) জানিয়েছে দলটি। এর মধ্যে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোটের হয়ে ২৯ আসনে ভোট করবে জাতীয় পার্টি। সেক্ষেত্রে এই ২৯ আসনে মহাজোটের একক প্রার্থী থাকবে লাঙ্গলের। আর বাকি আসনগুলো উন্মুক্ত থাকবে।

রোববার (৯ ডিসেম্বর) বিকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত নির্বাচন কমিশনে এসে এই তালিকা জমা দেয় জাপা।

দলটির প্রেসিডিয়াম সদস্য ফয়সল চিশতী বলেন, ‘জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে মহাজোটের ২৯ প্রার্থী ও জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে ১৪৩ প্রাথী উন্মুক্তভাবে অংশ নেবেন। মোট ১৭২টি নাম কমিশনে জমা দিয়েছি।’

তিনি বলেন, ‘শুরুতে ১৩২ জন উন্মুক্ত ধাকলেও এখন তা বেড়ে ১৪৩ জন করা হয়েছে।’

ফয়সল বলেন, ‘আমরা কখনই নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করিনি। যদিও মহোজাটে থেকে নির্বাচন করব, তবুও লাঙল প্রতীকেই নির্বাচন করব।’

মহাজোটে জাপা’র প্রার্থী যারা:

আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট থেকে জাপার প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন নীলফামারী-৩ আসনে মেজর অবসরপ্রাপ্ত রানা মোহাম্মদ সোহেল, নীলফামারী-৪ আহসান আদেলুর রহমান, লালমনিরহাট-৩ গোলাম মোহাম্মদ কাদের, রংপুর-১ মো. মসিউর রহমান রাঙ্গা, রংপুর-৩ হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ, কুড়িগ্রাম-১ একেএম মোস্তাফিজুর রহমান, কুড়িগ্রাম-২ পনির উদ্দিন আহমেদ, গাইবান্ধা-১ ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী।

বগুড়া-২ আসনে শরিফুল ইসলাম জিন্নাহ, বগুড়া-৩ নুরুল ইসলাম তালুকদার, বগুড়া-৬ মো. নুরুল ইসলাম ওমর, বগুড়া-৭ এ্যাড. আলতাফ আলী, বরিশাল-৩ গোলাম কিবরিয়া টিপু, বরিশাল-৬ নাসরিন জাহান রতনা, পিরোজপুর-৩ ডা. রুস্তম আলী ফরাজী, টাঙ্গাইল-৫ শফিউল্লাহ আল মুনির, ময়মনসিংহ-৪ বেগম রওশন এরশাদ, ময়মনসিংহ-৮ ফখরুল ইমাম।

কিশোরগঞ্জ-৩ আসনে মজিবুল হক চুন্নু, ঢাকা-৪ সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, ঢাকা-৬ কাজী ফিরোজ রশীদ, নারায়ণগঞ্জ-৩ লিয়াকত হোসেন খোকা, নারায়ণগঞ্জ-৫ সেলিম ওসমান, সুনামগঞ্জ-৪ পীর ফজলুর রহমান মিজবাহ, সিলেট-২ ইয়াহ ইয়া চৌধুরী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ জিয়াউল হক মৃধা, ফেনী-৩ অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী, লক্ষ্মীপুর-২ মো. নোমান ও চট্টগ্রাম-৫ ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ।

জাতীয় পার্টির উন্মুক্ত প্রার্থী যারা:

রংপুর-২ আসনে আসাদুজ্জামান চৌধুরী শাবলু, কুড়িগ্রাম-৩ আক্কাস আলী সরকার, কুড়িগ্রাম-৪ অবসরপ্রাপ্ত মেজর আশরাফ উদ দৌলা, গাইবান্ধা-৩ ব্যারিস্টার দিলারা খন্দকার শিল্পী, খুলনা-১ সুনীল শুভরায়, সাতক্ষিরা-১ সৈয়দ দিদার বখত্, সাতক্ষিরা-শেখ মাতলুব হোসেন লিয়ন, সাতক্ষিরা-৪ আব্দুস সাত্তার মোড়ল, জামালাপুর-৪, মোখলেছুর রহমান, শেরপুর-১ আলহাজ্ব ইলিয়াস উদ্দিন, শেরপুর-৩ মো. আবু নাসের।

সিলেট-৫ আসনে সেলিম উদ্দিন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ কাজী মামুনুর রশীদ, পঞ্চগড়-১ আবু সালেক, পঞ্চগড়-২ লুৎফর রহমান রিপন, ঠাকুরগাঁও-৩, হাফিজ উদ্দিন, দিনাজপুর-১ মো. শাহীনুর ইসলাম, দিনাজপুর-২  মো. জুলফিকার হোসেন, দিনাজপুর-৪ মো. মোনাজাত চৌধুরী, দিনাজপুর-৫ সোলায়মান সামী, দিনাজপুর-৬ মো. দেলোয়ার হোসেন, নীলফামারী-১ জাফর ইকবাল সিদ্দিকী, লালমনিরহাট-১ মো. খালেদ আখতার, রংপুর-৪ মোস্তফা সেলিম বেঙ্গল, রংপুর-৫ মো. ফখরুজ্জামান জাহাঙ্গীর।

গাইবান্ধা-৪ আসনে কাজী মো. মশিউর রহমান, গাইবান্ধা-৫ এএইচএম গোলাম শহীদ রঞ্জু, জয়পুরহাট-১ আ.স.ম. মোক্তাদির তিতাস, জয়পুরহাট-২ কাজী মো. আবুল কাশেম, বগুড়া-৪ হাজী নুরুল আমিন বাচ্চু, বগুড়া-৫ তাজ মোহাম্মদ শেখ, নওগা-১ আকবর আলী কালু, নওগা-২ মো. বদিউজ্জামান, নওগা-৩ এ্যাড. তোফাজ্জল হোসেন, নওগা-৪ মো. এনামুল হক, রাজশাহী-২ খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান, রাজশাহী-৫ মো. আবুল হোসেন, রাজশাহী-৬ মো. ইকবাল হোসেন, নাটোর-১ মো. আবু তালহা, নাটোর-২ মো. মুজিবুর রহমান সেন্টু, নাটোর-৩ ইঞ্জিনিয়ার আনিসুর রহমান।

সিরাজগঞ্জ-৩ আসনে মো. আলমগীর হোসেন, পাবনা-১ সরদার শাহজাহান, পাবনা-৫ মো. আব্দুল কাদের খান, মেহেরপুর-১ আব্দুল হামিদ, মেহেরপুর-২ মো. কেতাব আলী, কুষ্টিয়া-১ মো. শাহারিয়ার জামিল, কুষ্টিয়া-৪ মো. আশরাফুল সোলাইমান, চুয়াডাঙ্গা-১ এ্যাড. মো. সোহরাব হোসেন, যশোর-২ এবিএম সেলিম রেজা, যশোর-৩ মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, যশোর-৪ মো. জহুরুল হক, যশোর-৫ এমএ হালিম, যশোর-৬ মো. মাহাবুব আলম, মাগুরা-১ মো. হাসান সিরাজ, নড়াইল-১ মো. মিল্টন মোল্যা।

নড়াইল-২ আসনে খন্দকার ফায়েকুজ্জামান, বাগেরহাট-৩ মো. সেকেন্দার আলী মনি, বাগেরহাট-৪ সোমনাথ দে, খুলনা-৪ হাদিউজ্জামান, খুলনা-৫ মো. শহীদ আলম, খুলনা-৬ শফিকুল ইসলাম মধু, বরগুনা-২ মিজানুর রহমান মল্লিক, পটুয়াখালী-৩ মো. সাইফুল ইসলাম, পটুয়াখালী-৪ আনোয়ার হোসেন, ভোলা-১ কেফায়েত উল্লাহ নজিব, ভোলা-৩ নুরুন্নবী সুমন, বরিশাল-২ সোহেল রানা, বরিশাল-৫ একেএম মর্তুজা আবেদীন।

ঝালকাঠি-১ আসনে এমএ কুদ্দুস খান, ঝালকাঠি-২ এমএ কুদ্দুস খান, পিরোজপুর-১ মো. নজরুল ইসলাম, টাঙ্গাইল-৪ সৈয়দ মোস্তাক হোসেন রতন, টাঙ্গাইল-৭ মো. জহিরুল ইসলাম জহির, জামালপুর-১ আব্দুস সাত্তার, জামালপুর-২ মোস্তফা আল মাহমুদ, জামালপুর-৩ অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট কর্নেল মঞ্জুর আহাদ হেলাল, ময়মনসিংহ-৫ মো. সালাউদ্দিন আহমেদ মুক্তি, ময়মনসিংহ-৬ ডা. কেআর ইসলাম, ময়মনসিংহ-৭ বেগম রওশন এরশাদ, ময়মনসিংহ-৯ হাসনাত মাহমুদ তালহা।

নেত্রকোণা-৩ আসনে মো. জসীম উদ্দিন ভূঁইয়া, কিশোরগঞ্জ-৬ নুরুল কাদের সোহেল, মানিকগঞ্জ-৩ জহিরুল আলম রুবেল, মুন্সিগঞ্জ-১ শেখ সিরাজুল ইসলাম, মুন্সিগঞ্জ-৩ গোলাম মোহাম্মদ রাজু, ঢাকা-২ শাকিল আহমেদ শাকিল, ঢাকা-৭ তারেক আহমেদ আদেল, ঢাকা-৮ মো. ইউনুস আলী আকন্দ, ঢাকা-১০ মো. হেলাল উদ্দিন, ঢাকা-১১ এস.এম. ফয়সল চিশতী, ঢাকা-১২ নাসির উদ্দিন সরকার, ঢাকা-১৩ শফিকুল ইসলাম সেন্টু, ঢাকা-১৪ মোস্তাকুর রহমান।

ঢাকা-১৫ আসনে মো. শামসুল হক, ঢাকা-১৭ এইচ.এম. এরশাদ, ঢাকা-১৯ কাজী আবুল কালাম আজাদ, ঢাকা-২০ খান মো. ইসরাফিল, গাজীপুর-৩ আফতাব উদ্দিন আহমেদ, গাজীপুর-৫ রাহেলা পারভীন শিশির, নরসিংদী-১ মো. শফিকুল ইসলাম, নরসিংদী-২ মো. আজম খান, নরসিংদী-৩ আলমগীর কবির, নরসিংদী-৪ মো নেওয়াজ আলী ভূঁইয়া, নরসিংদী-৫ এমএ সাত্তার।

নারায়ণগঞ্জ-১ আসনে আজম খান, রাজবাড়ী-১ আক্তারুজ্জামান হাসান, রাজবাড়ী-২ এবিএম নুরুল ইসলাম, শরিয়তপুর-৩ মো. আবুল হাসান, সুনামগঞ্জ-৫ নাজমুল হুদা, 

সিলেট-১ মাহাবুবুর রহমান চৌধুরী, সিলেট-৩ মো. ওসমান আলী, সিলেট-৪ আহমেদ তাজ উদ্দিন তাজ রহমান, মৌলভীবাজার-২ এ্যাড. মাহাবুবুল আলম শামীম, হবিগঞ্জ-১ মো. আতিকুর রহমান, হবিগঞ্জ-২ শংকর পাল, হবিগঞ্জ-৩ মো. আতিকুর রহমান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ তারেক এ আদেল, কুমিল্লা-১ মো. আবু জায়েদ আল মাহমুদ, কুমিল্লা-২ মো. আমির হোসেন, কুমিল্লা-৩ মো. আলমগীর হোসেন।

কুমিল্লা-৪ আসনে মো. ইকবাল হোসেন রাজু, কুমিল্লা-৫ মো. তাজুল ইসলাম, কমিল্লা-৭ মো. লুৎফর রেজা, কুমিল্লা-৮ নুরুল ইসলাম মিলন, কুমিল্লা-৯ এটিএম আলমগীর, কুমিল্লা-১১ খায়ের আহমেদ ভূঁইয়া, চাঁদপুর-১ এমদাদুল হক, চাঁদপুর-২ এমরান হোসেন মিয়া, চাঁদপুর-৪ মো. মাইনুল ইসলাম, নোয়াখালী-১ আবু নাসের ওয়াহেদ ফারুক, নোয়াখালী-২ হাসান মঞ্জুর, নোয়াখালী-৩ ফজলে এলাহী সোহাগ, নোয়াখালী-৪ মোবারক হোসেন, নোয়াখালী-৫ সাইফুল ইসলাম, নোয়াখালী-৬ নাসিম উদ্দিন মো. বায়জিদ।

লক্ষ্মীপুর-১ আলমগীর হোসেন, লক্ষ্মীপুর-৪ আব্দুর রাজ্জাক চৌধুরী, চট্টগ্রাম-২ জহুরুল ইসলাম রেজা, চট্টগ্রাম-৪ দিদারুল কবির, চট্টগ্রাম-৮ ফাতেমা খুরশীদ সোমাইয়া, চট্টগ্রাম-১২ মো. নুরুচ্ছফা সরকার, চট্টগ্রাম-১৪ আবু জাফর মোহাম্মদ ওয়ালি উল্লাহ, খাগড়াছড়ি সোলায়মান আলম শেঠ ও রাঙ্গামাটি এএকে পারভেজ তালুকদার। বাকি ১১ জনের নাম পাওয়া যায়নি।

   

গাজীপুরে উপজেলা নির্বাচন উপলক্ষে মতবিনিময় সভা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, গাজীপুর
গাজীপুরে উপজেলা নির্বাচন উপলক্ষে মতবিনিময় সভা

গাজীপুরে উপজেলা নির্বাচন উপলক্ষে মতবিনিময় সভা

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ সাধারণ নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু করতে গাজীপুরে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) বিকেলে গাজীপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের ভাওয়াল সম্মেলন কক্ষে এ সভার আয়োজন করা হয়।

মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর। এতে সভাপতিত্ব করেন- জেলা প্রশাসক আবুল ফাতে মোহাম্মদ সফিকুল ইসলাম।

এসময় আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও সুশৃঙ্খলভাবে করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে নির্দেশনা প্রদানসহ নানা দিক নির্দেশনা দেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর।

এর আগে নির্বাচন কমিশনারকে গাজীপুর সার্কিট হাউজে ফুলেল অভ্যর্থনা জানান জেলা প্রশাসক। পরে পুলিশের একটি দল তাকে গার্ড অফ অনার প্রদান করেন।

সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকবৃন্দ, উপজেলা নির্বাহী অফিসারগণ, রিটার্নিং অফিসার, সহকারী রিটার্নিং অফিসার, নির্বাচন সংশ্লিষ্ট অন্যান্য ব্যক্তিবর্গ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যবৃন্দ।

;

উপজেলা নির্বাচন: আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা ২৩ এপ্রিল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য আগামী মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা ডেকেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) নির্বাচন পরিচালনা শাখার উপসচিব মো. আতিয়ার রহমান ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্টদের এ সংক্রান্ত চিঠি পাঠিয়েছেন।

এতে উল্লেখ করা হয়েছে, ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ সাধারণ নির্বাচন সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে অনুষ্ঠানের নিমিত্তে সংশ্লিষ্টদের উপস্থিতিতে এক সভা আগামী ২৩ এপ্রিল বেলা সকাল ১১টায় নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত হবে।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠেয় সভায় নির্বাচন কমিশনারগণ, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিব ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কর্মকর্তাগণ উপস্থিত থাকবেন।

চিঠিতে সভায় যথাসময়ে উপস্থিত থাকার জন্য নির্দেশিত হয়ে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

আতিয়ার রহমান সভার চিঠি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের (সমন্বয় ও সংস্কার) সচিব, স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব, মহাপুলিশ পরিদর্শক, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ/র‍্যাব/কোস্টগার্ড/আনসার ও ভিডিপি/ডিজিএফআই/এনএসআই, মহাপরিচালক ও অতিরিক্ত মহাপুলিশ পরিদর্শককে (এসবি) পাঠিয়েছেন।

চার ধাপে অনুষ্ঠেয় ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ইতিমধ্যে তিন ধাপের তফসিল দিয়েছে ইসি।

প্রথম ধাপের তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিল ও বাছাইয়ের সময় শেষ। বৈধ প্রার্থী এক হাজার ৭৮৬ জন, রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ১৮ থেকে ২০ এপ্রিল। আপিল নিষ্পত্তি ২১ এপ্রিল, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২২ এপ্রিল। প্রতীক বরাদ্দ ২৩ এপ্রিল, আর ১৫২ উপজেলায় ভোটগ্রহণ হবে ৮ মে।

এই ধাপের নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিয়োগ করা হয়েছে। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দায়ের করা আপিল আবেদন নিষ্পত্তি করবেন আপিল কর্তৃপক্ষ হিসেবে জেলা প্রশাসক।

দ্বিতীয় ধাপের তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিল ২১ এপ্রিল শেষ সময়, মনোনয়নপত্র বাছাই ২৩ এপ্রিল, আপিল গ্রহণ ২৪-২৬ এপ্রিল, আপিল নিষ্পত্তি ২৭ থেকে ২৯ এপ্রিল। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ৩০ এপ্রিল, প্রতীক বরাদ্দ প্রতীক বরাদ্দ ২ মে। আর ১৬১ উপজেলায় ভোটগ্রহণ হবে ২১ মে।

এই ধাপের নির্বাচনে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকদের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ভোটারের সংখ্যা ৫ লাখের বেশি যেখানে সেখানে একাধিক সহকারী রিটার্নিং অফিসার নিয়োজিত থাকবেন।

তৃতীয় ধাপের তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়ন ফরম জমার শেষ তারিখ ২ মে, মনোনয়ন যাচাই-বাছাই ৫ মে। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ৬ থেকে ৮মে।

আপিল নিষ্পত্তি ৯ থেকে ১১ মে। প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ১২ই মে। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ ১৩ই মে এবং ভোট ২৯শে মে। এই ধাপে ১১২ উপজেলায় ভোট হবে।

এই ধাপে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে অতিরিক্ত জেলা ও অতিরিক্ত আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা এবং অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে৷

আগামী ৫ জুন চতুর্থ ধাপের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে।

;

১৫০ উপজেলায় বৈধ প্রার্থী ১৭৮৬



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
১৫০ উপজেলায় বৈধ প্রার্থী ১৭৮৬

১৫০ উপজেলায় বৈধ প্রার্থী ১৭৮৬

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপের রিটার্নিং কর্মকর্তা যাচাই বাছাই শেষে মোট বৈধ প্রার্থী দাঁড়াল এক হাজর ৭৮৬ জন।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) মাঠ পর্যায় থেকে পাঠানো তথ্য একীভূত করার পর এ তথ্য জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ।

তিনি জানান, প্রথম ধাপে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইসচেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন এক হাজার ৮৯০ জন। এদের মধ্যে বাছাইয়ে বাতিল হয়েছে ১০৪ জনের মনোনয়নপত্র। আর বৈধ প্রার্থীর সংখ্যা এক হাজার ৭৮৬ জন।

নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ১৮ থেকে ২০ এপ্রিল। আপিল নিষ্পত্তি ২১ এপ্রিল, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২২ এপ্রিল। প্রতীক বরাদ্দ ২৩ এপ্রিল আর ১৫০ উপজেলায় ভোটগ্রহণ হবে ৮ মে।

;

নাটোরের সেই প্রার্থীকে ইসির তলব



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
নাটোরের সেই প্রার্থীকে ইসির তলব

নাটোরের সেই প্রার্থীকে ইসির তলব

  • Font increase
  • Font Decrease

নাটোরের সিংড়া উপজেলা নির্বাচনের চেয়ারম্যান প্রার্থী দেলোয়ার হোসেনকে অপহরণ করার অভিযোগে অপর প্রার্থী মো. লুৎফুল হাবিবকে তলব করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সংস্থাটির উপসচিব মো. আতিয়ার রহমান অভিযুক্তকে এ সংক্রান্ত চিঠি পাঠিয়েছেন।

এতে উল্লেখ করা হয়েছে, ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের ১ম ধাপের ০৮ মে অনুষ্ঠেয় নাটোর জেলার সিংড়া উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে প্রথম আলো পত্রিকায় ‘নাটোরে ৫ ঘণ্টার ব্যবধানে সম্ভাব্য প্রার্থী ও তার ভাইসহ তিনজনকে অপহরণ’ শিরোনামে নাটোরের সিংড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হতে ইচ্ছুক দেলোয়ার হোসেন ও তার ভাইসহ তিনজনকে অপহরণের সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। এ ঘটনায় উক্ত পত্রিকায় আপনি লুৎফুল হাবীবকে দায়ী করা হয়েছে।

ইতোমধ্যে বর্ণিত বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসন এবং গোয়েন্দা সংস্থা হতে প্রতিবেদন পাওয়া গিয়েছে। এছাড়া সকল জাতীয় দৈনিক পত্রিকা ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সচিত্র বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। উল্লিখিত প্রতিবেদন ও পত্রিকান্তে ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা প্রমাণিত হয়েছে। এরূপ ঘটনার জন্য কেন আপনার প্রার্থিতা বাতিল অথবা আপনার বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না সে বিষয়ে লিখিত জবাবসহ নির্বাচন কমিশনে (কক্ষ নং-৩১৪, নির্বাচন ভবন, আগারগাঁও, ঢাকা) আগামী ২২ এপ্রিল সোমবার বিকাল ৪টা ১০ ঘটিকায় ব্যক্তিগতভাবে উপস্থিত হয়ে ব্যাখ্যা প্রদানের জন্য মাননীয় নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত প্রদান করেছেন।

গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত সোমবার অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর নাটোর জেলা নির্বাচন অফিসে গেলে দেলোয়ার হোসেনকে গাড়িতে তুলে নিয়ে গিয়ে আহত অবস্থায় তাকে তার বাড়ির পাশে ফেলে রেখে যায় দুর্বৃত্তরা।

ভুক্তভোগী প্রার্থীর পরিবার এই ঘটনার জন্য আরেক প্রার্থী লুৎফুল হাবীব রুবেল ও তার সমর্থকদের দায়ী করেছে। উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক লুৎফুল কবীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের শ্যালক। দেলোয়ার হোসেন মনোনয়নপত্র দাখিলের আগে লুৎফুল হাবীব ছিলেন একক প্রার্থী।

;