প্রচার শুরু, রাজশাহীতে মহাজোট-ঐক্যফ্রন্টের শক্ত লড়াইয়ের আভাস



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
নির্বাচনী প্রচার শুরু হয়ে গেছে, ছবি: বার্তা২৪

নির্বাচনী প্রচার শুরু হয়ে গেছে, ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

নির্বাচনী প্রচার শুরু হয়ে গেছে। সোমবার (২ ডিসেম্বর) আনুষ্ঠানিক প্রতীক বরাদ্দ। সেই সময় পর্যন্ত তর যেনো সইছে না নেতাকর্মীদের। সকাল থেকেই শুরু করেছে পোস্টার টাঙানোর কাজ। সব মিলিয়ে পুরো রাজশাহীজুড়ে প্রচারণার সাজসাজ রব পড়েছে। আর এ প্রচারণার শুরুতেই রাজশাহীর সবকটি আসনে এবার মহাজোট ও ঐক্যফ্রন্টের মধ্যে শক্ত লড়াইয়ের আভাস মিলছে।

ইতিমধ্যে প্রচারণার সব ধরণের প্রস্তুতি নিয়েছে রাজশাহীর ৬টি আসনের আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা। দলীয় কোন্দলও মিটিয়ে ফেলেছেন তারা।

এবার শুরুতেই রাজশাহীর সবকটি আসনে মহাজোট ও ঐক্যফ্রন্টের মধ্যে শক্ত লড়াই হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। এক্ষেত্রে আগে থেকেই মাঠ গুছিয়ে রাখায় এখানে সব আসনে সুবিধায় রয়েছে আওয়ামী লীগ। তবে ১০ বছর পর মাঠে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খেতে হতে পারে বিএনপি। কারণ রাজশাহী বিএনপির মনোনয়ন প্রাপ্তরা গত ১০ বছর ধরে ছিলেন এলাকা ছাড়া। এখনো অনেকে নিজ এলাকার মাটি ছুঁতে পারেন নি। এ অবস্থায় মাঠে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খেতে হতে পারে বিএনপির প্রার্থীদের।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, রাজশাহী আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল মিটে যাওয়ায় প্রার্থীরা রয়েছেন ফুরফুরে। সব নেতাকর্মী ও প্রার্থীরা নৌকাকে বিজয়ী করতে শপথও নিয়েছেন। অন্যদিকে বিএনপির কোন্দল এখনো জিইয়ে থাকায় শুরুতেই হোচট খেতে পারেন তাদের প্রার্থীরা। তবে এখনো পর্যন্ত রাজশাহীর ভোটের মাঠ গোছানো রয়েছে আওয়ামী লীগের।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Dec/10/1544424455204.gif

সোমবার আনুষ্ঠানিক প্রতীক বরাদ্দের আগেই মহাজোট ও ঐক্যফ্রন্টের নেতাকর্মীরা নিজ নিজ এলাকায় প্রচারণায় নেমে গেছে। রাস্তার মোড়ে মোড়ে শোভা পাচ্ছে প্রার্থীদের পোস্টার।

রাজশাহী-১ (তানোর-গোদাগাড়ী) আসনে সবচেয়ে শক্ত লড়াই হবে এবার। এখানে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ওমর ফারুক চৌধুরীর সঙ্গে লড়াই হবে বিএনপির ব্যারিস্টার আমিনুল হকের। প্রায় ১৭ বছর পর এ আসনটিতে বিএনপির প্রার্থী হয়েছেন ব্যারিস্টার আমিনুল হক। আর ১০ বছর ধরে এটি ধরে রেখেছেন আওয়ামী লীগের ওমর ফারুক চৌধুরী। ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে ওমর ফারুক চৌধুরী শক্ত অবস্থানে রয়েছেন এখানে। অন্যদিকে জঙ্গি মদদদানের অভিযোগ রয়েছে ব্যারিস্টার আমিনুলের বিরুদ্ধে। ১/১১ এর পর থেকে এলাকা থেকে লাপাত্তা ছিলেন তিনি। এবারেও মনোনয়ন বাতিল হলেও শেষ পর্যন্ত আপিলে টিকে যাওয়ায় লড়াইয়ে নেমেছেন তিনি।

ফারুক চৌধুরী বলেন, আজ তিনি আনুষ্ঠানিক প্রচার শুরু করলেও তার মাঠ গোছানো রয়েছে। তিনি বলেন, তার উন্নয়নের বিপরীতে প্রার্থী হয়েছেন একজন জঙ্গী মদদদাতা। বর্তমান প্রজন্ম সেটা জেনে উন্নয়নের পক্ষে নৌকায় বেছে নিবে।

রাজশাহী-২ (সদর) আসনে এবার ১০ বছর পর মুখোমুখি লড়াই হবে ১৪ দলের প্রার্থী বর্তমান এমপি ফজলে হোসেন বাদশার সঙ্গে বিএনপির মিজানুর রহমান মিনুর। এখানে দুই প্রার্থীই শক্ত। তবে গেল সিটি নির্বাচনের প্রভাবে রাজশাহী সদরের বাতাস বাদশার দিকেই ভর করেছেন। বাদশাও সিটি নির্বাচনে মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের প্রাপ্ত ভোট হিসেব করেই সক্রিয় রয়েছেন মাঠে। তবে মিন্ওু বিএনপির শক্ত প্রার্থী।

রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুরে) আসনে বর্তমান এমপি আয়েন উদ্দিন গত ৫ বছর ধরে সক্রিয় রয়েছেন। এবারো তিনি মনোনয়ন পেয়ে মাঠে রয়েছেন সক্রিয়। তবে এ আসনে বিএনপির প্রার্থী হয়েছেন রাজশাহী মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শফিকুল হক মিলন। নির্বাচনী এলাকায় ‘বহিরাগত’ হিসেবে পরিচিত তিনি। এখানেও শক্ত লড়াই হতে পারে দুই প্রার্থীর মধ্যে।

রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনে সবচেয়ে ভালো অবস্থানে রয়েছেন বর্তমান এমপি আওয়ামী লীগের প্রকৌশলী এনামুল হক। এ আসনে এবার বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন সাবেক আমলা আবু হেনা। ২০০৮ সালের আগে তিনি এলাকার এমপি ছিলেন। তার আমলেই বাগমারায় জঙ্গী উত্থান ঘটে। গত ১০ বছর বাগমারার মাটি ছুঁয়ে দেখেন নি তিনি। তার রাজনীতি রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেল কেন্দ্রিক।

রাজশাহী-৫ (পুঠিয়া-দুর্গাপুর) আসনে এবার নতুন প্রার্থী মনোনয়ন দিয়ে চমক দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এবার এ আসনে চিকিৎসক নেতা ডা. মনসুর রহমান মাঝি হয়েছেন নৌকার। শুরু থেকে এ আসনে মনোনয়ন নিয়ে নানা জটিলতার সৃষ্টি হলেও এখন সব নেতারা মনসুর রহমানের পক্ষে ঐক্যবদ্ধ হয়েছেন। বর্তমান এমপি কাজী আবদুল ওয়াদুদ দারা মনোনয়ন বঞ্চিত হলেও এলাকায় এসে মনসুর রহমানের প্রতি একাত্ত্বতা প্রকাশ করেছেন। নৌকার পক্ষেই কাজ শুরু করেছেন। এ আসনে এবার নাটকীয়ভাবে শেষ পর্যন্ত বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন সাবেক এমপি নাদিম মোস্তফা। গত ১০ বছরের বেশী সময় ধরে এলাকায় অনুপস্থিত নাদিম। নাদিম মোস্তফা ওই আসনের জনপ্রিয় বিএনপির নেতা।

রাজশাহী-৬ (বাঘা-চারঘাট) আসনে বর্তমান এমপি পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম শুরু থেকেই নৌকার পক্ষে ঝড় তুলেছেন। এ আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী একাধিক নাশকতার মামালার আসামি বর্তমানে কারাবন্দি আবু সাঈদ চাঁদ। শাহরিয়ার উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের পরীক্ষিত বাস্তবায়নে এলাকার মানুষ এবার দলমত নির্বিশেষে নৌকার পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। দলীয় সব সংকটও কেটে গেছে। লোকাল নেতা হিসেবে তৃণমুল বিএনপিতে চাঁদের জনপ্রিয়তা আছে। বর্তমানে তিনি কারাগারে আছে।

শাহরিয়ার আলম বলেন, ২০১৪ সালে বিএনপি নির্বাচনে না এসে সারাদেশে অগ্নিসন্ত্রাসের যে ধ্বংসলীলা চালিয়েছিলো মানুষ এখনও তা ভুলেনি। বিএনপি-জামায়াত বারবার দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করে উন্নয়নে বাধাগ্রস্থ করার চেষ্টা করেছে। মানুষ আর রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে ধ্বংসযোগ্য চায়না। তারা চায় দেশের উন্নয়ন। আর দেশের উন্নয়ন করতে হলে আওয়ামী লীগ সরকারের ধারাবাহিকতা প্রয়োজন। এ ক্ষেত্রে তিনি পরীক্ষিত। তাই তার অবস্থান শক্ত বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী। শাহরিয়ার আলম জানান, তার মাঠ সাজানো রয়েছে। আজ বাঘার শাহদৌল্লাহর মাজার জিয়ারতের মধ্য দিয়ে তিনি নির্বাচনী প্রচার শুরু করবেন।

তৃণমুল ভোটাররা জানান পরপর দুইবার নির্বাচিত হয়ে এলাকায় নানামুখি উন্নয়ন করার কারণে শাহরিয়ারের পাল্লা অগের চেয়ে অনেক শক্তিশালী।

   

উপজেলা নির্বাচন: ছুটির দিনেও খোলা থাকবে অফিস



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
উপজেলা নির্বাচন: ছুটির দিনেও খোলা থাকবে অফিস

উপজেলা নির্বাচন: ছুটির দিনেও খোলা থাকবে অফিস

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপের ১৫২ নির্বাচন উপলক্ষ্যে সরকারি ও সাপ্তাহিক ছুটির দিনেও অফিস খোলা রেখে কাজ করার জন্য মাঠ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

সংস্থাটির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার উপসচিব মো. আতিয়ার রহমান এ সংক্রান্ত নির্দেশনা মাঠ পর্যায়ের জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তাদেরে পাঠিয়েছেন।

নির্দেশনায় বলা হয়েছে, নির্বাচন উপলক্ষে সাপ্তাহিক ও সরকারি ছুটির দিনে অফিস খোলা রেখে নির্বাচনি কার্যক্রম পরিচালনার ব্যবস্থা করতে হবে।

আগামী ৮ মে প্রথম ধাপে ১৫২ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম ধাপের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ১৫ এপ্রিল। মনোনয়নপত্র বাছাই ১৭ এপ্রিল। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ১৮ থেকে ২০ এপ্রিল। আপিল নিষ্পত্তি ২১ এপ্রিল, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২২ এপ্রিল। প্রতীক বরাদ্দ ২৩ এপ্রিল, আর ভোটগ্রহণ হবে ৮ মে।

নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিয়োগ করা হয়েছে। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দায়ের করা আপিল আবেদন নিষ্পত্তি করবেন আপিল কর্তৃপক্ষ হিসেবে জেলা প্রশাসক।

মোট চার ধাপে অনুষ্ঠেয় ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের পরবর্তীতে তিন ধাপের ভোটগ্রহণ ২৩ ও ২৯ মে এবং ৫ জুন অনুষ্ঠিত হবে। দেশে মোট উপজেলার সংখ্যা ৪৯৫টি।

;

উপজেলা নির্বাচন: প্রার্থীরা সমান ভোট পেলে লটারিতে বিজয়ী নির্ধারণ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপের ১৫২ নির্বাচনে একই পদে প্রার্থীরা সমান ভোট পেলে লটারি করে বিজয়ী নির্ধারণে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

বুধবার (২৭ মার্চ) সংস্থাটির ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান এই নির্দেশনাটি মাঠ পর্যায়ে কর্মকর্তাদের পাঠিয়েছেন।

নির্দেশনায় বলা হয়েছে, চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা সদস্য নির্বাচনের ক্ষেত্রে, ভোট গণনার ফালাফল একত্রীকরণের পর যদি দেখা যায় যে, দুই বা ততোধিক প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর অনুকূলে সমান সংখ্যক ভোট দেওয়ার কারণে উপ-বিধি (২)’র অধীন কোনো প্রার্থীকে নির্বাচিত করা সম্ভব নয়, তাহলে রিটার্নিং অফিসার লটারির মাধ্যমে ফলাফল নির্ধারণ করবেন, লটারি যে প্রার্থীর অনুকূলে যাবে সেই প্রার্থী সবোর্চ্চ ভোট প্রাপ্ত হয়েছেন বলে গণ্য হবে এবং রিটার্নিং অফিসার তাকে নির্বাচিত ঘোষণা করবেন, রিটার্নিং অফিসার কর্তৃক সম্পাদিত লটারির সম্পূর্ণ কার্যক্রম লিপিবদ্ধ করে একটি কার্যবিবরণী প্রস্তুত করবেন এবং উক্ত কার্যবিবরণীতে উপস্থিত প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বা নির্বাচনী এজেন্টের স্বাক্ষর গ্রহণ করবেন।

এছাড়া ভোট গ্রহণের পূর্বে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনীত বৈধ কোনো প্রার্থীর মৃত্যু হলে সংশ্লিষ্ট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদের নির্বাচন কার্যক্রম রিটার্নিং অফিসারগণ বিজ্ঞপ্তির দ্বারা বাতিল করে দেবেন।

পরবর্তীতে কমিশন সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকার সংশ্লিষ্ট পদে নতুন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করবেন এবং কমিশনের উক্ত সিদ্ধান্ত অনুসারে রিটার্নিং অফিসার নির্বাচন অনুষ্ঠানের পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণ করবেন। তবে শর্ত থাকে যে, ইতোপূর্বে কোন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ বলে সাব্যস্ত হয়ে থাকলে এবং তিনি তার প্রার্থিতা প্রত্যাহার না করে থাকলে তাকে নতুন করে মনোনয়নপত্র দাখিল করতে হবে না। ভোট গ্রহণের পূর্বে মহিলা সদস্য পদে মনোনীত বৈধ কোন প্রার্থীর মৃত্যু হলে ভোটগ্রহণ অবশিষ্ট প্রার্থীগণের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে।

আগামী ৮ মে প্রথম ধাপে ১৫২ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম ধাপের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ১৫ এপ্রিল। মনোনয়নপত্র বাছাই ১৭ এপ্রিল। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ১৮ থেকে ২০ এপ্রিল। আপিল নিষ্পত্তি ২১ এপ্রিল, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২২ এপ্রিল। প্রতীক বরাদ্দ ২৩ এপ্রিল, আর ভোটগ্রহণ হবে ৮ মে।

নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিয়োগ করা হয়েছে। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দায়ের করা আপিল আবেদন নিষ্পত্তি করবেন আপিল কর্তৃপক্ষ হিসেবে জেলা প্রশাসক।

মোট চার ধাপে অনুষ্ঠেয় ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের পরবর্তীতে তিন ধাপের ভোটগ্রহণ ২৩ ও ২৯ মে এবং ৫ জুন অনুষ্ঠিত হবে। দেশে মোট উপজেলার সংখ্যা ৪৯৫টি।

;

উপজেলা ভোটে প্রার্থী কে মনোনয়ন দেবে, দলগুলোকে জানাতে বলল ইসি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
উপজেলা ভোটে প্রার্থী কে মনোনয়ন দেবে, দলগুলোকে জানাতে বলল ইসি

উপজেলা ভোটে প্রার্থী কে মনোনয়ন দেবে, দলগুলোকে জানাতে বলল ইসি

  • Font increase
  • Font Decrease

 

আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপের ১৫২ উপজেলা নির্বাচনে ভোটে দলগুলোর প্রার্থী কে মনোনয়ন দেবে, তার নাম ও স্বাক্ষর জানতে চেয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

রোববার (২৪ মার্চ) এই তথ্য জানিয়েছেন সাংবিধানিক সংস্থাটির জনসংযোগ পরিচালক মো. শরিফুল আলম।

ইসি জানায়, তফসিল ঘোষণার সাত দিনের মধ্য এই তথ্য জানাতে হবে। সেই অনুযায়ী আগামী ২৮ মার্চের মধ্য জানাতে হবে।

ইসি জানায়, আগামী ৮ মে বিভিন্ন উপজেলা পরিষদ সাধারণ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বিধিমালা, ২০১৩ এর বিধি ১৫ এর উপবিধি (৩)(গ)(ইইই) অনুযায়ী চেয়ারম্যান/ভাইস চেয়ারম্যান/মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে অংশগ্রহণের জন্য নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সভাপতি বা সাধারণ সম্পাদক বা সমপর্যায়ের পদাধিকারী বা তাহাদের নিকট হতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তির স্বাক্ষরসহ তালিকা সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসারগণকে প্রেরণের জন্য এবং একই সাথে উক্ত পত্রের অনুলিপি নির্বাচন কমিশনে প্রেরণের জন্য বলা হয়েছে।

আগামী ৮ মে দেশের ১৫২টি উপজেলায় প্রথম ধাপের নির্বাচন হবে। তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র জমার শেষ সময় ১৫ এপ্রিল, বাছাই ১৭ এপ্রিল। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ১৮ থেকে ২০ এপ্রিল। আপিল নিষ্পত্তি ২১ এপ্রিল, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২২ এপ্রিল। প্রতীক বরাদ্দ ২৩ এপ্রিল, আর ভোটগ্রহণ হবে ৮ মে।

নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারি রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিয়োগ করা হয়েছে। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দায়ের করা আপিল আবেদন নিষ্পত্তি করবেন আপিল কর্তৃপক্ষ হিসেবে জেলা প্রশাসক।

মোট চার ধাপে অনুষ্ঠেয় ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের পরবর্তীতে তিন ধাপের ভোট ২৩ ও ২৯ মে এবং ৫ জুন অনুষ্ঠিত হবে। দেশে মোট উপজেলার সংখ্যা ৪৯৫টি।

;

‘স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে ইসি’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’-এ রূপান্তরের কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে। নির্বাচন কমিশন (ইসি) স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে বলে জানিয়েছেন জ্যেষ্ঠ নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আহসান হাবিব খান (অব.)।

রোববার (২৪ মার্চ) নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের আইডেন্টিফিকেশন সিস্টেম ফর এনহ্যান্সিং এক্সেস টু সার্ভিসেস-আইডিইএ (২য় পর্যায়) প্রকল্পের আয়োজিত কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব বলেন।

কর্মশালায় ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম, অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ, আইডিইএ প্রকল্প পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল হাসনাত মোহাম্মদ সায়েম, নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক এসএম আসাদুজ্জামান, আইডিইএ প্রকল্পের অতিরিক্ত প্রকল্প পরিচালক মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান এবং সিস্টেম ম্যানেজার, সিনিয়র জেলা/জেলা নির্বাচন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ইসি আহসান হাবিব জানান, স্বাধীনতার মাস মার্চ। আমি গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি, স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে, যার ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণে উদ্বুদ্ধ হয়েছিল দেশের স্বাধীনতাকামী জনগণ। আমি স্মরণ করছি অমর শহিদদের ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের, যাদের অসীম সাহস ও আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে আমাদের স্বাধীনতা।

তিনি জানান, বাংলাদেশ ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’-এ রূপান্তরে দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে। এরই অংশ হিসেবে, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের এনআইডি অনুবিভাগ ও আইডিইএ প্রকল্প (২য় পর্যায়) মাধ্যমে দেশে-বিদেশে বাংলাদেশি নাগরিকদের জাতীয় পরিচয়পত্র সেবা, স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র, ভোটার তালিকা হালনাগাদ ও প্রস্তুতে কারিগরি সহায়তা করতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। এই কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণের অগ্রযাত্রায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে।

জ্যেষ্ঠ এ নির্বাচন কমিশনার বলেন, নাগরিকের তথ্য/উপাত্ত সংশোধন আবেদন সিএমএস-এ স্বয়ংক্রিয়ভাবে ‘আবেদনের ধরণ/ক্যাটাগরি’ দিতে হবে। যাতে সম্মানিত নাগরিকগণকে দ্রুত সেবা নিশ্চিত করা যায়। উপজেলা পর্যায়ে নাগরিকদের বায়োমেট্রিক যাচাই করা করার সুবিধা চালু করা, বর্তমানে একজন নাগরিককে জেলা পর্যায়ে আসতে হয়। এ সেবাটি সহজ করে, উপজেলা থেকে দেয়া সম্ভব হলে বিপুল সংখ্যক নাগরিকের ভোগান্তি লাঘব হবে। আমি আশা করি দু’দিনব্যাপী আয়োজিত এ কর্মশালায় বিস্তারিতভাবে আলোচিত হবে এবং সংশ্লিষ্ট সমস্যাসমূহ ও এর উত্তরণের উপায় বেরিয়ে আসবে।

;