খুলনা বিভাগে ৬০ শতাংশ ভোটকেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ



মানজারুল ইসলাম, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
খুলনা বিভাগে ৬০ শতাংশ ভোটকেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ। ছবি: প্রতীকী

খুলনা বিভাগে ৬০ শতাংশ ভোটকেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ। ছবি: প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

খুলনা বিভাগের ৩৬টি সংসদীয় আসনের চার হাজার ৫২৫ কেন্দ্রের মধ্যে দুই হাজার ৭৪২টি কেন্দ্রই ঝুঁকিপূর্ণ। এ অঞ্চলের ঝুঁকিপূর্ণ ভোটকেন্দ্র প্রায় ৬০ শতাংশ।

সম্প্রতি খুলনা রেঞ্জ কার্যালয় থেকে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে ভোটকেন্দ্র ও ভোটার সম্পর্কে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সে পাঠানো প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। যদিও এ তথ্য সংযোজন-বিয়োজন হতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ এসব কেন্দ্রে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কী পরিমাণ সদস্য মোতায়েন থাকবে তা এখনো জানায়নি নির্বাচন কমিশন।

সর্বশেষ গত ১৫ মে খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি) নির্বাচনে অতিরিক্ত ফোর্স মোতায়েনের পরও কেন্দ্র দখল ও জাল ভোটের অভিযোগ উঠে। তার আগে, উপজেলা পরিষদ ও ইউপি পরিষদ নির্বাচনেও ব্যাপক অভিযোগ ছিল। দশ বছর পর অংশগ্রহণমূলক এবারের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সুষ্ঠু পরিবেশ নিয়েই ভাবছে সবাই।

সূত্রমতে, কেসিসি নির্বাচনে ২৮৯টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে ২২৬টিকে ঝুঁকিপূর্ণ এবং ৬৩টিকে সাধারণ হিসেবে চিহ্নিত করেছিল খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে তাদের প্রতিবেদনটি পাওয়া যায়নি। প্রসঙ্গত, ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রসমূহকে গুরুত্বপূর্ণ ও ঝুঁকিমুক্ত কেন্দ্রকে সাধারণ ভোট কেন্দ্র হিসেবে চিহ্নিত করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

খুলনা রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়ের সূত্রমতে, খুলনা জেলার চারটি আসনে গড়ে প্রায় ৭০ শতাংশ কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ। এ চারটি আসনের মোট কেন্দ্রের ২৮৩টি ঝুঁকিপূর্ণ ও ১৯৩ কেন্দ্র সাধারণ। তার মধ্যে খুলনা-১ আসনের বটিয়াঘাটায় ৩৬ ও দাকোপে ২৯, খুলনা-৪ আসনের রূপসায় ৩৪, তেরখাদায় ২৪ ও দিঘলিয়ায় ২৪, খুলনা-৫ আসনের ফুলতলায় ৯ ও ডুমুরিয়ায় ৩৬টি, খুলনা-৬ আসনের পাইকগাছায় ৩৪ ও কয়রায় মাত্র পাঁচটি বাদে ৫৭টি কেন্দ্রই ঝুঁকিপূর্ণ।

এছাড়া, বাগেরহাটের চারটি সংসদীয় আসনের ৪৬৮টি কেন্দ্রের মধ্যে ৩৫৮টিই ঝুঁকিপূর্ণ। তারমধ্যে বাগেরহাট-১ আসনের চিতলমারীতে ১৭, মোল্লাহাটে ২৪ ও ফকিরহাটে ৩৯টি, বাগেরহাট-২ আসনের সদরে ৭৩ ও কচুয়ায় ১৪টি, বাগেরহাট-৩ আসনের রামপালে ৪১ ও মংলায় ৩০টি, বাগেরহাট-৪ আসনের মোড়েলগঞ্জে ৯২ ও শরণখোলায় ২৮টি ঝুঁকিপূর্ণ ভোট কেন্দ্র চিহ্নিত করা হয়েছে।

সাতক্ষীরার চারটি আসনে ৫৯৭টি কেন্দ্রের মধ্যে ৪৯০টিই ঝুঁকিপূর্ণ। তারমধ্যে সাতক্ষীরা-১ আসনের তালায় ৪৭ ও কলারোয়ায় ৬৩টি, সাতক্ষীরা-২ আসনের সদরে ১০৭টি, সাতক্ষীরা-৩ আসনের আশাশুনিতে ৭৩, দেবহাটায় ৩০ এবং সাতক্ষীরা-৪ আসনের শ্যামনগরে ৭৬ ও কালীগঞ্জে ৬৩টি কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ।

যশোরের ছয়টি সংসদীয় আসনে ৭৯৯টি কেন্দ্রের মধ্যে ৩৬৩টিই ঝুঁকিপূর্ণ। তারমধ্যে যশোর-১ আসনের শার্শা উপজেলায় ৩২, যশোর-২ আসনের চৌগাছায় ৩৫ ও ঝিকরগাছায় ৪৬, যশোর-৩ আসনের সদরে ৯৩, যশোর-৪ আসনের বাঘারপাড়ায় ২৫ ও অভয়নগরে ৪৩, যশোর-৫ আসনের মনিরামপুর উপজেলায় ৩৫ এবং যশোর-৬ আসনে কেশবপুর উপজেলায় ৪০টি ভোটকেন্দ্র গুরুত্বপূর্ণ।

নড়াইলের দু’টি সংসদীয় আসনের ২৪২টি কেন্দ্রের ১৬৫টিই ঝুঁকিপূর্ণ। তার মধ্যে নড়াইল-১ আসনের সদরে ৬৮ ও কালিয়ায় ১৬ এবং নড়াইল-২ আসনের লোহাগড়ায় ৬৩ ও নড়াগাতিতে ১৮টি কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ।

তাছাড়া ঝিনাইদহের ৫৭৮টির মধ্যে ২৫০টি, মাগুরার ২৭৭টির মধ্যে ১৮৭টি, কুষ্টিয়ার ৫৬৫টির মধ্যে ৩২৩, চুয়াডাঙ্গার ৩৩৪টির মধ্যে ১৭২টি, মেহেরপুরে ১৮৯টির মধ্যে ১৫১টি ভোটকেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ।

এমন বাস্তবতায় ২০ দলের খুলনা মহানগর সমন্বয়ক নজরুল ইসলাম মঞ্জু বার্তা২৪.কমকে জানান, পূর্বের অভিজ্ঞতা বলে, এ অঞ্চলে নির্বাচনে সন্ত্রাসীরা প্রভাব বিস্তার করে। নির্বাচনের আগে যদি চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার না করা হয় তাহলে ২০ দল তথা ঐক্যজোটের প্রার্থীদের প্রচারণা ও নিরাপত্তার সংকট সৃষ্টি হবে। পাশাপাশি ভোটাররা নির্বিঘ্নে ভোটকেন্দ্রে যেতে ও নিরাপদে ভোট দিতে পারবে না। তাই সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে অস্ত্র উদ্ধার ও সন্ত্রসীদের গ্রেফতার করতে হবে বলে দাবি করেন তিনি।

অপরদিকে অস্ত্র ও সন্ত্রাসীদের ধরার আহবান জানিয়ে খুলনা মহানগর ১৪ দলের সমন্বয়ক মিজানুর রহমান মিজান বলেন, নির্বাচনে এখন লেভেল প্লেইং ফিল্ড বিরাজ করছে। নির্বাচনী পরিস্থিতি ঘোলাটে করতে বিএনপি-জামায়াত জোট আবারো আগুন সন্ত্রাস ও ভোটারদের জন্য ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি করতে ষড়যন্ত্র করছে। তাই যাদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত থাকার জন্য মামলা রয়েছে তাদের গ্রেফতারে প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

কেএমপি’র মুখপাত্র ও অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার সোনালী সেন জানান, নির্বাচন পূর্ববর্তী, নির্বাচনকালীন ও নির্বাচন পরবর্তী আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সচেষ্ট খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ। ইতোমধ্যেই নগরী ও নগরীর সীমান্তবর্তী এলাকায় টহল জোরদার করা হয়েছে। নিয়মিত চেক পোস্টের সংখ্যা দ্বিগুণ করা হয়েছে। বর্তমানে মহানগরী এলাকায় ৩৪টি চেকপোস্ট পরিচালিত হচ্ছে। পাশাপাশি মহানগরী এলাকায় ৭৯ শতাংশ ভোটকেন্দ্রকে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করে এর আশপাশে সাদা পোশাকে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।

খুলনার রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন জানান, নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন প্রতিরোধে নগরীতে ১৭ জন ম্যাজিস্ট্রেটের অধীন মোবাইল কোর্ট গঠন করে দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি খুলনা-২ আসনের যে ১৫৭টি কেন্দ্রে ইভিএমএর মাধ্যমে ভোটগ্রহণ করা হবে সেসব কেন্দ্রে ৩ জন করে সেনা সদস্য মোতায়েনের বিষয়টি বিবেচনায় রয়েছে। ফলে এ অঞ্চলে নির্বাচনকালীন আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ার আশঙ্কা নেই। যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রশাসনকে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

   

ভোটের তিন বছর পর কাউন্সিলর হচ্ছেন আলী আহাম্মদ



উপজেলা করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, গৌরীপুর (ময়মনসিংহ)
ভোটের তিন বছর পর কাউন্সিলর হচ্ছেন আলী আহাম্মদ

ভোটের তিন বছর পর কাউন্সিলর হচ্ছেন আলী আহাম্মদ

  • Font increase
  • Font Decrease

ভোট গ্রহণের তিন বছর পর আদালতের রায়ে ময়মনসিংহের গৌরীপুর পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে জয় পেয়েছেন এসএম আলী আহাম্মদ।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) নির্বাচন কমিশনের উপসচিব মো. মিজানুর রহমান এই বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ ও দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনারকে চিঠি দিয়েছেন।

এর আগে মঙ্গলবার এই সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে নির্বাচন কমিশন।

জানা গেছে, ২০২১ সালের ৩০ জানুয়ারি গৌরীপুর পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই নির্বাচনে পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ড থেকে কাউন্সিলর পদে ডালিম প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন এসএম আলী আহাম্মদ। ভোটগ্রহণ শেষে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী উটপাখি প্রতীকের মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম ভূঁইয়াকে বিজয়ী ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।

এদিকে ফলাফল প্রত্যাখান করে আইনের আশ্রয় নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন আলী আহাম্মদ। দীর্ঘ আইনি লড়াই শেষে আদালত পুনরায় ভোট গণনার নির্দেশ দেওয়ার পর দেখা যায় ডালিম প্রতীক ৬০৪ ভোট ও উটপাখি প্রতীক ৫৩৯ ভোট পেয়েছে। গত বছর ২৯ অক্টোবর নিম্ন আদালত আগের ঘোষিত ফলাফল বাতিল করে ডালিম প্রতীকের প্রার্থী আলী আহাম্মদকে বিজয়ী ঘোষণা করেন।

এরপর নিম্ন আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করেন উটপাখি প্রতীকের প্রার্থী মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া। আপিলের পর উচ্চ আদালত গত ২৫ জানুয়ারি নিম্ন আদালতের রায়ের ওপর ৮ সপ্তাহ স্থগিতাদেশ দেন।

এরপর আবারও আইনি লড়াই শুরু হয়। গত ৩ মার্চ উচ্চ আদালত ও নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল আপিলের চূড়ান্ত রায় ঘোষণা করে নিম্ন আদালতের রায় বহাল রাখেন।

এস এম আলী আহাম্মদ বলেন, ‘ভোটারদের প্রতি আমার আস্থা ছিল। পাশাপাশি আমি সবসময় আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ছিলাম। আমার সাথে যে অন্যায় হয়েছিল, তার জন্য ন্যায় বিচার পেতে আইনের দ্বারস্থ হয়েছি। আইনি লড়াইয়ে ন্যায় বিচার পেয়ে জয়ী হয়েছি’।

অপরদিকে মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, ‘এই মুহূর্তে আমি এই বিষয়টি নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাচ্ছি না’।

এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে গৌরীপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. শাকিল আহমেদ বলেন, ‘ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনার স্যার এ বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নেবেন।’

;

গাজীপুরে উপজেলা নির্বাচন উপলক্ষে মতবিনিময় সভা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, গাজীপুর
গাজীপুরে উপজেলা নির্বাচন উপলক্ষে মতবিনিময় সভা

গাজীপুরে উপজেলা নির্বাচন উপলক্ষে মতবিনিময় সভা

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ সাধারণ নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু করতে গাজীপুরে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) বিকেলে গাজীপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের ভাওয়াল সম্মেলন কক্ষে এ সভার আয়োজন করা হয়।

মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর। এতে সভাপতিত্ব করেন- জেলা প্রশাসক আবুল ফাতে মোহাম্মদ সফিকুল ইসলাম।

এসময় আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও সুশৃঙ্খলভাবে করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে নির্দেশনা প্রদানসহ নানা দিক নির্দেশনা দেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর।

এর আগে নির্বাচন কমিশনারকে গাজীপুর সার্কিট হাউজে ফুলেল অভ্যর্থনা জানান জেলা প্রশাসক। পরে পুলিশের একটি দল তাকে গার্ড অফ অনার প্রদান করেন।

সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকবৃন্দ, উপজেলা নির্বাহী অফিসারগণ, রিটার্নিং অফিসার, সহকারী রিটার্নিং অফিসার, নির্বাচন সংশ্লিষ্ট অন্যান্য ব্যক্তিবর্গ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যবৃন্দ।

;

উপজেলা নির্বাচন: আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা ২৩ এপ্রিল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য আগামী মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা ডেকেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) নির্বাচন পরিচালনা শাখার উপসচিব মো. আতিয়ার রহমান ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্টদের এ সংক্রান্ত চিঠি পাঠিয়েছেন।

এতে উল্লেখ করা হয়েছে, ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ সাধারণ নির্বাচন সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে অনুষ্ঠানের নিমিত্তে সংশ্লিষ্টদের উপস্থিতিতে এক সভা আগামী ২৩ এপ্রিল বেলা সকাল ১১টায় নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত হবে।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠেয় সভায় নির্বাচন কমিশনারগণ, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিব ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কর্মকর্তাগণ উপস্থিত থাকবেন।

চিঠিতে সভায় যথাসময়ে উপস্থিত থাকার জন্য নির্দেশিত হয়ে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

আতিয়ার রহমান সভার চিঠি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের (সমন্বয় ও সংস্কার) সচিব, স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব, মহাপুলিশ পরিদর্শক, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ/র‍্যাব/কোস্টগার্ড/আনসার ও ভিডিপি/ডিজিএফআই/এনএসআই, মহাপরিচালক ও অতিরিক্ত মহাপুলিশ পরিদর্শককে (এসবি) পাঠিয়েছেন।

চার ধাপে অনুষ্ঠেয় ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ইতিমধ্যে তিন ধাপের তফসিল দিয়েছে ইসি।

প্রথম ধাপের তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিল ও বাছাইয়ের সময় শেষ। বৈধ প্রার্থী এক হাজার ৭৮৬ জন, রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ১৮ থেকে ২০ এপ্রিল। আপিল নিষ্পত্তি ২১ এপ্রিল, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২২ এপ্রিল। প্রতীক বরাদ্দ ২৩ এপ্রিল, আর ১৫২ উপজেলায় ভোটগ্রহণ হবে ৮ মে।

এই ধাপের নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিয়োগ করা হয়েছে। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দায়ের করা আপিল আবেদন নিষ্পত্তি করবেন আপিল কর্তৃপক্ষ হিসেবে জেলা প্রশাসক।

দ্বিতীয় ধাপের তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিল ২১ এপ্রিল শেষ সময়, মনোনয়নপত্র বাছাই ২৩ এপ্রিল, আপিল গ্রহণ ২৪-২৬ এপ্রিল, আপিল নিষ্পত্তি ২৭ থেকে ২৯ এপ্রিল। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ৩০ এপ্রিল, প্রতীক বরাদ্দ প্রতীক বরাদ্দ ২ মে। আর ১৬১ উপজেলায় ভোটগ্রহণ হবে ২১ মে।

এই ধাপের নির্বাচনে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকদের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ভোটারের সংখ্যা ৫ লাখের বেশি যেখানে সেখানে একাধিক সহকারী রিটার্নিং অফিসার নিয়োজিত থাকবেন।

তৃতীয় ধাপের তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়ন ফরম জমার শেষ তারিখ ২ মে, মনোনয়ন যাচাই-বাছাই ৫ মে। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ৬ থেকে ৮মে।

আপিল নিষ্পত্তি ৯ থেকে ১১ মে। প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ১২ই মে। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ ১৩ই মে এবং ভোট ২৯শে মে। এই ধাপে ১১২ উপজেলায় ভোট হবে।

এই ধাপে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে অতিরিক্ত জেলা ও অতিরিক্ত আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা এবং অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে৷

আগামী ৫ জুন চতুর্থ ধাপের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে।

;

১৫০ উপজেলায় বৈধ প্রার্থী ১৭৮৬



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
১৫০ উপজেলায় বৈধ প্রার্থী ১৭৮৬

১৫০ উপজেলায় বৈধ প্রার্থী ১৭৮৬

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপের রিটার্নিং কর্মকর্তা যাচাই বাছাই শেষে মোট বৈধ প্রার্থী দাঁড়াল এক হাজর ৭৮৬ জন।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) মাঠ পর্যায় থেকে পাঠানো তথ্য একীভূত করার পর এ তথ্য জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ।

তিনি জানান, প্রথম ধাপে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইসচেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন এক হাজার ৮৯০ জন। এদের মধ্যে বাছাইয়ে বাতিল হয়েছে ১০৪ জনের মনোনয়নপত্র। আর বৈধ প্রার্থীর সংখ্যা এক হাজার ৭৮৬ জন।

নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ১৮ থেকে ২০ এপ্রিল। আপিল নিষ্পত্তি ২১ এপ্রিল, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২২ এপ্রিল। প্রতীক বরাদ্দ ২৩ এপ্রিল আর ১৫০ উপজেলায় ভোটগ্রহণ হবে ৮ মে।

;