‘লিখিত অভিযোগ করেও প্রতিকার নেই’
খুলনা-৪ সংসদীয় আসনে ধানের শীষের কর্মী সমর্থকরা হামলা, নির্যাতন ও মামলার শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মনোনীত প্রার্থী আজিজুল বারী হেলাল।
তিনি বলেছেন, ‘নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কাছে লিখিত অভিযোগ করেও কোনো প্রতিকার মিলছে না। ফলে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পরিবেশ নেই।’
বৃহস্পতিবার (১৩ ডিসেম্বর) দুপুরে খুলনা প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে হেলাল এসব অভিযোগ করেন।
নিরপেক্ষ ও পেশাদার কর্মকর্তাদের পদায়নের মাধ্যমে ভোট গ্রহণের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘হামলা চালিয়ে এবং গায়েবি মামলায় নেতাকর্মীদের কারাগারে পাঠানো হলেও বিএনপি নির্বাচনের মাঠ ছাড়বে না।’
ধানের শীষের এ প্রার্থী বলেন, ‘নির্বাচনের আগে থেকেই গায়েবি মামলা দায়ের শুরু হয়। এর মধ্যে রূপসা থানায় চারটি, তেরখাদায় দুইটি ও দিঘলিয়া থানায় দুইটি গায়েবী মামলায় তিন শতাধিক নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়। এসব মামলায় ৫০ জনকে গ্রেফতার করা হয়। যা নির্বাচনের প্রস্ততি কাজে বিঘ্নিত হচ্ছে।’
তিনি জানান, প্রতীক বরাদ্দের পর ৯ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় রূপসার আনন্দনগর গ্রামে ছাত্রদলের কর্মী সমাবেশে যোগ দেয়ার সময় সন্ত্রাসী হামলায় আমিনুল ইসলাম, নুর ইসলাম, মাসুদ ও শফিককে পিটিয়ে গুরুতর আহত করা হয়। আহত আরও ৭ তেকে ৮ জনকে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেয়া হয়। পরে ১১ ডিসেম্বর রাতে দিঘলিয়ার সেনহাটি ইউনিয়ন থেকে নির্বাচনী প্রচারণা শেষ করে তেরখাদার মধুপুর ইউনিয়নের মোকমপুর বাজারে আসলে দুর্বৃত্তরা হামলা চালায়। এ হামলায় তেরখাদা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রবিউল হোসেন, যুবদল নেতা আজিজুল ইসলামসহ ৫ থেকে ৭ জন গুরুতর আহত হন।
তিনি আরও জানান, এছাড়া নাসিরপুর গ্রামের সাবেক ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মো. নাসিরকে সন্ত্রাসীরা হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে। স্বেচ্ছাসেবক দলের আইচগাতি ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক ফরহাদ নির্বাচনী প্রচার মিছিল শেষে বাড়ি ফেরার সময় মিন্টু মেম্বারের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা তাকে গুপ্তি দিয়ে কুপিয়ে জখম করে।
এ সব অভিযোগ নিয়ে রিটার্নিং অফিসারের কাছে যাওয়া হলে কোনো প্রতিকার মেলেনি বলেও অভিযোগ করেন আজিজুল বারী হেলাল।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক এমপি শেখ মুজিবর রহমান, জেলা বিএনপির সহ সভাপতি খান জুলফিকার আলী জুলু, শেখ আব্দুর রশিদ, অ্যাডভোকেট মোমরেজুল ইসলাম, সাইফুর রহমান মিন্টু, মোল্লা খায়রুল ইসলাম, মেজবাউল আলম, মুর্শিদুর রহমান লিটন, শামীম কবির, তৈয়েবুর রহমান, ইবাদুল হক রুবায়েদ, ইলিয়াস মল্লিক, আতাউর রহমান রনু, আব্দুল মান্নান মিস্ত্রি, মোল্লা সাইফুর রহমান, আরিফুর রহমান, মাহাতাব মেম্বার, নাজমুস সাকির পিন্টু, রফিকুল ইসলাম বাবু, এনামুল হক সজল, মো. ইসমাইল শেখ, লিটন তালুকদার, দিদারুল ইসলাম, রেজাউল ইসলাম প্রমুখ।