রাজবাড়ী-১: সরব নৌকা, দেখা নেই ধানের শীষের
রাজবাড়ী থেকে: আসন্ন সংসদ নির্বাচনে ভোটারদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সারাদেশে শুরু হয়েছে দল ও প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণা। সেই ধারাবাহিকতায় রাজবাড়ীতেও প্রচারণা চলছে। জেলার সদর ও গোয়ালন্দ উপজেলা নিয়ে রাজবাড়ী-১ আসন।
এই আসনটি বরাবরই আওয়ামী লীগের শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। এবারো নৌকা মনোনীত প্রার্থীর বিজয় দেখছেন স্থানীয়রা।
আসনটিতে নৌকার প্রার্থী রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান সংসদ সদস্য শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী কাজী কেরামত আলী। বিএনপি থেকে ধানের শীষ প্রতীকে রয়েছেন জেলা বিএনপির সভাপতি, সাবেক সাংসদ আলী নেওয়াজ মাহমুদ খৈয়ম। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী হাত পাখা প্রতীকে মো.জাহাঙ্গীর আলম খান।
ভোটাররা বলছেন, এ আসনে লড়াই হবে মূলত নৌকা ও ধানের শীষের মধ্যে। আওয়ামী লীগের প্রার্থী কাজী কেরামত আলীর নির্বাচনী প্রচারণা শুরু হয়ে গেলেও প্রচারণায় নেই বিএনপির প্রার্থী নেওয়াজ মাহমুদ খৈয়ম।
সরেজমিনে গোয়ালন্দ উপজেলার বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখা যায়, নৌকার প্রার্থীর পোস্টার, ব্যানার, ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে রাস্তা-ঘাট। কাজী কেরামতের পক্ষে বিভিন্ন স্থানে মাইকিং করেও প্রচারণা চলছে। অন্যদিকে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী আলী নেওয়াজের পক্ষে মাইকিং তো দূরে থাক, কোনো ব্যানার-ফেস্টুনও চোখে পড়ে না।
রাস্তার পাশের চায়ের দোকানে বসে কথা হচ্ছিল সত্তরোর্ধ্ব মেজেক সরদারের সঙ্গে। ভাঙা ভাঙা উচ্চারণে তিনি বার্তা২৪কে বলেন, ‘দেশে বিএনপি আছে নাকি? এখন সব আওয়ামী লীগ। তাদের (বিএনপি) তো বাইরই হতে দেয় না। দেখাও যায় না।’
তবে তিনি জানান, স্থানীয়ভাবেই এ আসনে আওয়ামী লীগের দাপট বেশি। মানুষজন নৌকায় ভোট দেয়।
তার কথা শেষ না হতেই সেখানে এসে যোগ দেন আশি বছর বয়সী মোজাহার মোল্লা। এক সময় নদীর চর এলাকায় বাড়ি ছিল তাদের। নদীভাঙনের শিকার হয়ে জায়গা-জমি সব হারিয়েছেন।
মোজাহার মোল্লা বলেন, ‘শেখ মুজিবর এই এলাকায় প্লেনে করে এসে ভোট চাইত। গোয়ালন্দে তাঁর প্লেন নেমেছিল। তখন থেকেই এখানে নৌকার বিশাল সমর্থক। আমিও আওয়ামী লীগ সাপোর্ট করি। গতবারও কাজী কেরামতকে নৌকায় ভোট দিছিলাম। এবারো দেব।’
তিনি আরো বলেন, ‘সরকারে কে আসল না আসল তাতে আমাদের কোনো উন্নতি নেই। তবে ভোট হলে নৌকায় ভোট দেই। এখানকার বেশিরভাগ মানুষই নৌকা সাপোর্ট করে।’
রাজবাড়ী-১ আসনে মোট ভোটার রয়েছেন তিন লাখ ৪৬ হাজার ৩৭২ জন। যার মধ্যে পুরুষ ভোটার এক লাখ ৭৪ হাজার ৩৯ ও মহিলা ভোটার এক লাখ ৭২ হাজার ৩৩৩ জন।