বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে ইশতেহারে ‘ঐক্যফ্রন্টের ১৪ প্রতিশ্রুতি’
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ইশতেহার প্রকাশ করেছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। আগামী নির্বাচনে জয়ী হলে আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে তারা যেসব প্রতিশ্রুতি পালন করবে তার একটা তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নির্বাচনী ইশতেহার। ইশতেহারে প্রজাতন্ত্রের সকল ক্ষমতার মালিক জনগণ' শিরোনামে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন-২০১৮ জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ১৪ টি প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) রাজধানীর পল্টনে একটি হোটেলে ঐক্যফ্রন্টের নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করা হয়।
বিজয়ী হলে আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে আমরা যেসব কাজ সম্পন্ন করব তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য বিষয়গুলোকে এই প্রতিশ্রুতিতে আমরা স্থান পেয়েছে।
প্রতিশ্রুতিগুলো হলো: প্রতিহিংসায় বা জিঘাংসা নয়, জাতীয় ব্যক্তি লক্ষ্য, নাগরিকদের জীবনের নিরাপত্তা এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতা, ক্ষমতার ভারসাম্য, ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ, দুর্নীতি দমন এবং সুশাসন, কর্মসংস্থান এবং শিক্ষা, স্বাস্থ্য, জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, প্রবাসী কল্যাণ, নিরাপদ সড়ক এবং পরিবহন, প্রতিরক্ষা ও পুলিশ, পররাষ্ট্রনীতি এবং জলবায়ু পরিবর্তন
লিখিতভাবে বক্তব্য পাঠ করেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেন।
ড. কামাল হোসেন বলেন, দীর্ঘ প্রায় এক যুগ পর বাংলাদেশে একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছিল কিন্তু এই নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠু এবং গ্রহণযোগ্য হবে কিনা সেটা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। নির্বাচন কমিশন এবং সরকারের নানা রকম পক্ষপাতদূষ্ট আচরণ আমাদেরকে শঙ্কিত করেছে।
তিনি বলেন, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচন নামে যে প্রহসনটি হয়েছিল সেটা সংবিধানে বর্ণিত জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটের মাধ্যমে প্রতিনিধি নির্বাচনের বাধ্যবাধকতার সাথে সম্পূর্ণ সাংঘর্ষিক। এই নির্বাচনের মাধ্যমেই এই জনগণ রাষ্ট্রের মালিকানা হারিয়েছে। জনগণ যখন রাষ্ট্রের মালিক থাকে না তখন রাষ্ট্রের মালিক হয়ে পড়ে কায়েমী স্বার্থবাদী দেশি-বিদেশি নানা গোষ্ঠী। এর মাশুল দিতে হয়েছে এদেশের মানুষকে।
ড. কামাল বলেন, আজকের এই দিনটি গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য যে, জাতীয় ঐক্যফন্টের নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করছি। এটা জনগণের ইশতেহার। জনগণের কল্যাণে জনমতের ভিত্তিতে এটা তৈরি করা হয়েছে এবং সাধারণ মানুষের মতামত গ্রহণের ধারা অব্যাহত থাকবে।
বাংলাদেশকে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তুলতে জনগণের মতামতকেই সর্বাপেক্ষা গুরুত্ব দেয়ার প্রচেষ্টা থাকবে। বাংলাদেশ হবে গুম খুন সন্ত্রাস ও দুর্নীতিমুক্ত শান্তি-সুখের বলেও উল্লেখ করেন ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক।
ড. কামাল হোসেনর পর নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না পূর্ণাঙ্গ ইশতেহার তুলে ধরেন।