গাজীপুর-৫: মিলনের স্ত্রীর গণসংযোগে হামলা
গাজীপুর-৫ আসনে বিএনপির প্রার্থী কারাবন্দী একেএম ফজলুল হক মিলনের স্ত্রী শম্পা হকের গণসংযোগে পুলিশের উপস্থিতিতে হামলা ও গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে। এ সময় দলের চার নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
শুক্রবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে গাজীপুর মহানগরীর পূবাইলের মাজুখান বাজার এলাকয় এ হামলার ঘটনায় পুলিশ উল্টো যুবদল ও ছাত্রদলের দুই নেতাকে আটক করে নিয়ে যায়।
ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা লোঠিসোটা নিয়ে এই হামলা চালায় বলে গাজীপুরের রির্টানিং অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন মিলনের স্ত্রী শম্পা হক।
অভিযোগ করে শম্পা হক জানান, তিনি নেতাকর্মীদের নিয়ে শুক্রবার (২১ ডিসেম্বর) সকাল থেকে গাজীপুর মহানগরীর পূবাইল থানার হায়দারাবাদ এলাকায় লিফলেট বিতরণের মাধ্যমে প্রচারণার কাজ শুরু করেন। এসময় ছাত্রলীগ-যুবলীগের নেতাকর্মীরা গিয়ে তাদের ধাওয়া করে।
তিনি আরও জানান, পরে মেঘডুবী ও কুদাব এলাকায় প্রচারণার কর্মসূচি বাতিল করে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে স্থানীয় মাজুখান বাজারে গণসংযোগে যান তিনি। এ সময় ৩০-৪০ জন লোক হকিস্টিক, রড, লাঠি-সোটা নিয়ে রাস্তায় ব্যারিকেড দেয় এবং ছাত্রলীগ-যুবলীগের নেতাকর্মীরা লাঠি সোটা নিয়ে এসে তার গাড়িসহ দুইটি গাড়িতে হামলা চালান। এসময় নেতাকর্মীদের ওপরও হামলা চালান তারা। পুলিশের কাছে সাহায্য চেয়েও প্রতিকার পাননি তারা। উল্টো গাড়িতে থাকা যুবদল নেতা আওলাদ হোসেন ও ছাত্রদল নেতা মাসুম সরকারকে আটক করে নিয়ে যায় পুলিশ।
শম্পা হক জানান, হামলায় কালীগঞ্জ থানা মহিলা দলের সভানেত্রী চামেলী হক, পূবাইল থানা যুবদল নেতা সোহেল রানা, পলাশ রানা ও মেহেদী হাসান আহত হন। তাদের হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়।
এ ঘটনায় জেলা প্রশাসক ও নির্বাচনের রির্টানিং অফিসারের কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে লিখিত অভিযোগ দেন বিএনপির প্রার্থী মিলনের স্ত্রী শম্পা হক।
এ বিষয়ে গাজীপুর জেলা প্রশাসক ও নির্বাচনের রির্টানিং অফিসার দেওয়ান মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির জানান, অভিযোগটি তদন্তের জন্য গঠিত ইলেক্টোরাল ইনকোয়ারি কমিটিকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
তদন্তের পরে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান তিনি।