‘ভয়-ডর উপেক্ষা করে ভোট কেন্দ্রে যাবেন’
ভোটারদের উদ্দেশ্যে সাবেক মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম বলেছেন, ‘আমি সৃষ্টিকর্তা ছাড়া আর কাউকে ভয় করি না। আপনারাও মানুষের হুমকি-ধমকিতে ভয় পাবেন না। ভোট আপনার মূল্যবান অধিকার। তাই আগামী ৩০ তারিখে ভয়-ডর উপেক্ষা করে কেন্দ্রে গিয়ে ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। যাকে খুশি তাকে ভোট দেবেন।’
শুক্রবার (২১ ডিসেম্বর) দুই উপজেলায় গণসংযোগকালে তিনি এসব কথা বলেন।
উপজেলার কোমরগঞ্জের ঋশিপাড়া, দোহারের কুসুমহাটি ইউনিয়নে আউলিয়াবাদ ফকিরবাড়ি, নবাবগঞ্জের বান্দুরায় পৃথক গণসংযোগ এবং উঠান বৈঠক করেন দুইবারের এ সংসদ সদস্য।
তিনি বলেন, বিগত ১০ বছর দোহার-নবাবগঞ্জের উন্নয়নে কাজ করেছি। এসময়ে এ এলাকায় কোনো টেন্ডারবাজি, সন্ত্রাসী কার্যক্রম, মাদকব্যবসা, দুর্নীতি ছিল না। দলীয় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বা অন্য কোনো হয়রানিমূলক আচারণ করা হয়নি কারও প্রতি। দুই উপজেলার (দোহার-নবাবগঞ্জ) বাসিন্দারা শান্তিতে ছিল। আবারো আমাকে মোটরগাড়ি প্রতীকে ভোট দিয়ে বিজয়ী করলে এ এলাকার উন্নয়নের পাশাপাশি মানুষকে শান্তি ও স্বস্তিতে রাখব।’
এদিকে কোমরগঞ্জের ঋশিপাড়ার জনসভায় অ্যাভোকেট সালমা ইসলাম বলেন, ‘হিন্দু ধর্মাবলম্বীসহ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষকে আগে অনেক ভয়-ভীতি প্রদর্শন করত, তাদের জায়গা সম্পত্তি দখল করে নিত। আমার সময়ে সেটা সম্ভব হয়নি, আমাকে নির্বাচিত করলে ভবিষ্যতেও সেটা হতে দেয়া হবে না।’
সাবেক এই প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এ এলাকার জনগণ যখনি কোনো সমস্যার কথা বলেছেন, তখনি পাশে দাঁড়িয়েছি। এলাকার স্কুল-কলেজ, মসজিদ, মন্দির, গির্জা এবং বিভিন্ন সামাজিক প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নে কাজ করেছি। সেই দাবি থেকে আবারও আপনাদের সেবা করার সুযোগ চাই। আপনাদের পাশে থাকতে চাই।’
দোহারের কুসুমহাটি ইউনিয়নের আউলিয়াবাদের জনসভায় মো. মশিউর রহমান বলেন, ‘অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম বিগত ১০ বছরে ব্যাপক উন্নয়ন কাজ করেছেন। এছাড়া এলাকায় শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার স্বার্থে এলাকায় কোনো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড হতে দেননি। এসব কারণে দোহার-নবাবগঞ্জের মানুষ এ এলাকাবাসীকে খুবই পচ্ছন্দ করেন। এজন্য আমরা মোটরগাড়ি প্রতীকে অ্যাডভোকেট সালমা ইসলামকে পুনরায় সংসদ সদস্য হিসেবে বিজয়ী করব।’
একাধিক জনসভায় গণসংযোগের সময় এলাকাবাসী বিগত ১০বছরে দোহার-নবাবগঞ্জে অ্যাডভোকেট সালমা ইসলামের উন্নয়নের কথা স্বীকার করে আসন্ন নির্বাচনে মোটরগাড়ি প্রতীকে ভোট দেয়ার অঙ্গীকার করেন।