শেষ হাসি কার?



আরিফ আহমেদ সিদ্দিকী, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, পাবনা, বার্তা২৪.কম
পাবনার ৫টি আসনে মহাজোট ও ঐক্যফ্রন্ট প্রার্থীরা, ছবি: সংগৃহীত

পাবনার ৫টি আসনে মহাজোট ও ঐক্যফ্রন্ট প্রার্থীরা, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

একাদশ সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শেষে, শেষ হাসি কে হাসবেন এ নিয়ে চলছে পাবনার ৫ টি সংসদীয় আসনে নানা জল্পনা-কল্পনা। পাড়া-মহল্লা, গ্রাম-গঞ্জ, অফিস-আদালত, হাট-বাজার এমনকি চায়ের দোকানেও বইছে নির্বাচনী হাওয়া।

এবারের নির্বাচনে পাবনা-১ (সাঁথিয়া-বেড়ার আংশিক) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকু তৃতীয় বার, পাবনা-২ (সুজানগর-বেড়ার আংশিক) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আহমেদ ফিরোজ কবির প্রথমবার, পাবনা-৩ (চাটমোহর-ভাঙ্গুড়া-ফরিদপুর) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোঃ মকবুল হোসেন তৃতীয়বার, পাবনা-৪ (ঈশ্বরদী-আটঘরিয়া) আসনে শামসুর রহমান শরীফ পঞ্চমবার এবং পাবনা-৫ (সদর) আসনে আওয়ামী লীগের গোলাম ফারুক খোন্দকার প্রিন্স তৃতীয়বারের মতো দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন।

এদিকে পাবনা-১ (সাঁথিয়া-বেড়ার আংশিক) আসনে ঐক্যফ্রন্টের ব্যানারে ধানের শীষের প্রার্থী হয়েছেন আওয়ামী লীগের সাবেক নেতা, সাবেক তথ্য-প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক আবু সাইয়িদ, পাবনা-২ (সুজানগর-বেড়ার আংশিক) আসনে বিএনপির সাবেক সাংসদ একেএম সেলিম রেজা হাবিব, পাবনা-৩ (চাটমোহর-ভাঙ্গুড়া-ফরিদপুর) আসনে সাবেক সাংসদ কেএম আনোয়ারুল ইসলাম, পাবনা-৪ (ঈশ্বরদী-আটঘরিয়া) আসনে তৃতীয়বারের মতো ধানের শীষের টিকিট পেয়েছেন হাবিবুর রহমান হাবিব ও পাবনা-৫ (সদর) আসনে ঐক্যফ্রন্টের ব্যানারে ধানের শীষের টিকিট পেয়েছেন জেলা জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মাওলানা ইকবাল হোসাইন।

পাবনা-১ আসনে নানা শ্রেণির একাধিক ভোটারের সাথে আলাপকালে তারা জানান, প্রচার-প্রচারণা, এলাকার উন্নয়নসহ সার্বিক বিচারে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকু এগিয়ে আছেন। তাদের দাবি, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে সাধারণ ভোটাররা যদি তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন, তাহলে টুকুর বিকল্প নেই।

পাবনা-২ আসনে একাধিক ভোটারের সাথে আলাপে জানা যায়, বিগত সময়ে বিএনপি প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট একেএম সেলিম রেজা হাবিব নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পরদিন আওয়ামী লীগের এক নেতা মারা গেলে তাকে তার নিজের গ্রামের গোরস্থানে দাফন করতে দেননি। এমনি নানা ঘটনার কারণেই তার জনপ্রিয়তায় ব্যাপক ভাটা পড়েছে। অন্যদিকে এ আসনে আওয়ামী লীগের নতুন মুখ আহমেদ ফিরোজ কবির। তিনি ওই আসনে আওয়ামী লীগের সাবেক সাংসদ মরহুম আহমেদ তফিজ উদ্দিনের সন্তান। এলাকায় তার নিজস্ব ও পারিবারিক নানাভাবে গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। ইতোমধ্যে নির্বাচনী মাঠে ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন তিনি।

এখানকার সাধারণ মানুষের দাবি, এমন নেতাকে নির্বাচিত করতে পারলে এলাকায় উন্নয়নের পাশাপাশি সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড, মাদকের ভয়াবহতাসহ নানা দিক থেকে সাধারণ মানুষ উপকৃত হবে।

পাবনা-৩ আসনে পরপর তিনবারের নৌকা প্রতীক পাওয়া এবং নির্বাচিত হওয়া সাংসদ মকবুল হোসেন আবারও নৌকা প্রতীকেই নির্বাচন করছেন। অবশ্য গেল দুবারে তিনি নির্বিঘ্নে নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করে জয়ী হয়েছেন। কিন্তু এবারে এক ডজন তরুণ ও প্রবীণ নেতারা মনোনয়নের দৌড় প্রতিযোগিতায় ছিলেন। অবশেষে সকল জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে আওয়ামী লীগের টিকিট পেয়েছেন। সার্বিক বিশ্লেষণে নানা শ্রেণীপেশার মানুষের মধ্যে তিনি বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন। এদিকে বিএনপি প্রার্থী কেএম আনোয়ারুল ইসলাম এলাকায় একজন ত্যাগী নেতা হলেও নানা কারণেই তার জনপ্রিয়তায় বেশ ভাটা পড়েছে। তিনি এমপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর কাছে পরাজিত হওয়ার পর উপজেলা নির্বাচন করেও হেরে যান। সার্বিক ভাবে এ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মকবুল হোসেন এগিয়ে আছেন।

পাবনা-৪ আসনে পঞ্চমবারের মতো নৌকা প্রতীক পেয়েছেন আওয়ামী লীগের বর্ষীয়ান নেতা, ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ। এলাকায় তিনি ডিলু এমপি নামেই খ্যাত। ওই আসনে বিএনপির প্রার্থী চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী হাবিব-সিরাজ। আওয়ামী লীগের প্রার্থী ডিলুর সাথে সিরাজ নতুবা হাবিবই বারবার নির্বাচনী প্রতিযোগিতা করে আসছেন। এবারে বিএনপির টিকিট পেয়েছেন কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতা, চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব। বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে এবারও আওয়ামী লীগ প্রার্থীর কাছে ধরাশায়ী হবেন বিএনপি প্রার্থী হাবিব এমন গুঞ্জন খোদ বিএনপি মহলেই।

পাবনা-৫ আসনে তৃতীয়বারের মতো আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সম্পাদক গোলাম ফারুক খোন্দকার প্রিন্স এমপি। তার কাছে এবারে ঐক্যফ্রন্টের ব্যানারে বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী জেলা জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মাওলানা ইকবাল হোসাইন ধরাশায়ী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করছেন এ অঞ্চলের ভোটাররা। গেল দুই টার্মে যুদ্ধাপরাধী অপরাধে আমৃত্যু সাজায় দণ্ডিত মাওলানা আব্দুস সুবহানকে হারিয়ে এমপি নির্বাচিত হন প্রিন্স। এলাকার গণজোয়ারে আর সাধারণ মানুষের অভিমতেই এবারেও প্রিন্স এমপি নির্বাচিত হচ্ছেন এমন দাবি ভোটারদের।

   

উপজেলা নির্বাচন: ছুটির দিনেও খোলা থাকবে অফিস



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
উপজেলা নির্বাচন: ছুটির দিনেও খোলা থাকবে অফিস

উপজেলা নির্বাচন: ছুটির দিনেও খোলা থাকবে অফিস

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপের ১৫২ নির্বাচন উপলক্ষ্যে সরকারি ও সাপ্তাহিক ছুটির দিনেও অফিস খোলা রেখে কাজ করার জন্য মাঠ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

সংস্থাটির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার উপসচিব মো. আতিয়ার রহমান এ সংক্রান্ত নির্দেশনা মাঠ পর্যায়ের জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তাদেরে পাঠিয়েছেন।

নির্দেশনায় বলা হয়েছে, নির্বাচন উপলক্ষে সাপ্তাহিক ও সরকারি ছুটির দিনে অফিস খোলা রেখে নির্বাচনি কার্যক্রম পরিচালনার ব্যবস্থা করতে হবে।

আগামী ৮ মে প্রথম ধাপে ১৫২ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম ধাপের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ১৫ এপ্রিল। মনোনয়নপত্র বাছাই ১৭ এপ্রিল। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ১৮ থেকে ২০ এপ্রিল। আপিল নিষ্পত্তি ২১ এপ্রিল, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২২ এপ্রিল। প্রতীক বরাদ্দ ২৩ এপ্রিল, আর ভোটগ্রহণ হবে ৮ মে।

নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিয়োগ করা হয়েছে। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দায়ের করা আপিল আবেদন নিষ্পত্তি করবেন আপিল কর্তৃপক্ষ হিসেবে জেলা প্রশাসক।

মোট চার ধাপে অনুষ্ঠেয় ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের পরবর্তীতে তিন ধাপের ভোটগ্রহণ ২৩ ও ২৯ মে এবং ৫ জুন অনুষ্ঠিত হবে। দেশে মোট উপজেলার সংখ্যা ৪৯৫টি।

;

উপজেলা নির্বাচন: প্রার্থীরা সমান ভোট পেলে লটারিতে বিজয়ী নির্ধারণ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপের ১৫২ নির্বাচনে একই পদে প্রার্থীরা সমান ভোট পেলে লটারি করে বিজয়ী নির্ধারণে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

বুধবার (২৭ মার্চ) সংস্থাটির ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান এই নির্দেশনাটি মাঠ পর্যায়ে কর্মকর্তাদের পাঠিয়েছেন।

নির্দেশনায় বলা হয়েছে, চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা সদস্য নির্বাচনের ক্ষেত্রে, ভোট গণনার ফালাফল একত্রীকরণের পর যদি দেখা যায় যে, দুই বা ততোধিক প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর অনুকূলে সমান সংখ্যক ভোট দেওয়ার কারণে উপ-বিধি (২)’র অধীন কোনো প্রার্থীকে নির্বাচিত করা সম্ভব নয়, তাহলে রিটার্নিং অফিসার লটারির মাধ্যমে ফলাফল নির্ধারণ করবেন, লটারি যে প্রার্থীর অনুকূলে যাবে সেই প্রার্থী সবোর্চ্চ ভোট প্রাপ্ত হয়েছেন বলে গণ্য হবে এবং রিটার্নিং অফিসার তাকে নির্বাচিত ঘোষণা করবেন, রিটার্নিং অফিসার কর্তৃক সম্পাদিত লটারির সম্পূর্ণ কার্যক্রম লিপিবদ্ধ করে একটি কার্যবিবরণী প্রস্তুত করবেন এবং উক্ত কার্যবিবরণীতে উপস্থিত প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বা নির্বাচনী এজেন্টের স্বাক্ষর গ্রহণ করবেন।

এছাড়া ভোট গ্রহণের পূর্বে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনীত বৈধ কোনো প্রার্থীর মৃত্যু হলে সংশ্লিষ্ট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদের নির্বাচন কার্যক্রম রিটার্নিং অফিসারগণ বিজ্ঞপ্তির দ্বারা বাতিল করে দেবেন।

পরবর্তীতে কমিশন সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকার সংশ্লিষ্ট পদে নতুন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করবেন এবং কমিশনের উক্ত সিদ্ধান্ত অনুসারে রিটার্নিং অফিসার নির্বাচন অনুষ্ঠানের পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণ করবেন। তবে শর্ত থাকে যে, ইতোপূর্বে কোন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ বলে সাব্যস্ত হয়ে থাকলে এবং তিনি তার প্রার্থিতা প্রত্যাহার না করে থাকলে তাকে নতুন করে মনোনয়নপত্র দাখিল করতে হবে না। ভোট গ্রহণের পূর্বে মহিলা সদস্য পদে মনোনীত বৈধ কোন প্রার্থীর মৃত্যু হলে ভোটগ্রহণ অবশিষ্ট প্রার্থীগণের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে।

আগামী ৮ মে প্রথম ধাপে ১৫২ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম ধাপের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ১৫ এপ্রিল। মনোনয়নপত্র বাছাই ১৭ এপ্রিল। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ১৮ থেকে ২০ এপ্রিল। আপিল নিষ্পত্তি ২১ এপ্রিল, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২২ এপ্রিল। প্রতীক বরাদ্দ ২৩ এপ্রিল, আর ভোটগ্রহণ হবে ৮ মে।

নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিয়োগ করা হয়েছে। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দায়ের করা আপিল আবেদন নিষ্পত্তি করবেন আপিল কর্তৃপক্ষ হিসেবে জেলা প্রশাসক।

মোট চার ধাপে অনুষ্ঠেয় ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের পরবর্তীতে তিন ধাপের ভোটগ্রহণ ২৩ ও ২৯ মে এবং ৫ জুন অনুষ্ঠিত হবে। দেশে মোট উপজেলার সংখ্যা ৪৯৫টি।

;

উপজেলা ভোটে প্রার্থী কে মনোনয়ন দেবে, দলগুলোকে জানাতে বলল ইসি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
উপজেলা ভোটে প্রার্থী কে মনোনয়ন দেবে, দলগুলোকে জানাতে বলল ইসি

উপজেলা ভোটে প্রার্থী কে মনোনয়ন দেবে, দলগুলোকে জানাতে বলল ইসি

  • Font increase
  • Font Decrease

 

আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপের ১৫২ উপজেলা নির্বাচনে ভোটে দলগুলোর প্রার্থী কে মনোনয়ন দেবে, তার নাম ও স্বাক্ষর জানতে চেয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

রোববার (২৪ মার্চ) এই তথ্য জানিয়েছেন সাংবিধানিক সংস্থাটির জনসংযোগ পরিচালক মো. শরিফুল আলম।

ইসি জানায়, তফসিল ঘোষণার সাত দিনের মধ্য এই তথ্য জানাতে হবে। সেই অনুযায়ী আগামী ২৮ মার্চের মধ্য জানাতে হবে।

ইসি জানায়, আগামী ৮ মে বিভিন্ন উপজেলা পরিষদ সাধারণ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বিধিমালা, ২০১৩ এর বিধি ১৫ এর উপবিধি (৩)(গ)(ইইই) অনুযায়ী চেয়ারম্যান/ভাইস চেয়ারম্যান/মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে অংশগ্রহণের জন্য নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সভাপতি বা সাধারণ সম্পাদক বা সমপর্যায়ের পদাধিকারী বা তাহাদের নিকট হতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তির স্বাক্ষরসহ তালিকা সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসারগণকে প্রেরণের জন্য এবং একই সাথে উক্ত পত্রের অনুলিপি নির্বাচন কমিশনে প্রেরণের জন্য বলা হয়েছে।

আগামী ৮ মে দেশের ১৫২টি উপজেলায় প্রথম ধাপের নির্বাচন হবে। তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র জমার শেষ সময় ১৫ এপ্রিল, বাছাই ১৭ এপ্রিল। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ১৮ থেকে ২০ এপ্রিল। আপিল নিষ্পত্তি ২১ এপ্রিল, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২২ এপ্রিল। প্রতীক বরাদ্দ ২৩ এপ্রিল, আর ভোটগ্রহণ হবে ৮ মে।

নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারি রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিয়োগ করা হয়েছে। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দায়ের করা আপিল আবেদন নিষ্পত্তি করবেন আপিল কর্তৃপক্ষ হিসেবে জেলা প্রশাসক।

মোট চার ধাপে অনুষ্ঠেয় ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের পরবর্তীতে তিন ধাপের ভোট ২৩ ও ২৯ মে এবং ৫ জুন অনুষ্ঠিত হবে। দেশে মোট উপজেলার সংখ্যা ৪৯৫টি।

;

‘স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে ইসি’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’-এ রূপান্তরের কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে। নির্বাচন কমিশন (ইসি) স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে বলে জানিয়েছেন জ্যেষ্ঠ নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আহসান হাবিব খান (অব.)।

রোববার (২৪ মার্চ) নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের আইডেন্টিফিকেশন সিস্টেম ফর এনহ্যান্সিং এক্সেস টু সার্ভিসেস-আইডিইএ (২য় পর্যায়) প্রকল্পের আয়োজিত কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব বলেন।

কর্মশালায় ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম, অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ, আইডিইএ প্রকল্প পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল হাসনাত মোহাম্মদ সায়েম, নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক এসএম আসাদুজ্জামান, আইডিইএ প্রকল্পের অতিরিক্ত প্রকল্প পরিচালক মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান এবং সিস্টেম ম্যানেজার, সিনিয়র জেলা/জেলা নির্বাচন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ইসি আহসান হাবিব জানান, স্বাধীনতার মাস মার্চ। আমি গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি, স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে, যার ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণে উদ্বুদ্ধ হয়েছিল দেশের স্বাধীনতাকামী জনগণ। আমি স্মরণ করছি অমর শহিদদের ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের, যাদের অসীম সাহস ও আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে আমাদের স্বাধীনতা।

তিনি জানান, বাংলাদেশ ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’-এ রূপান্তরে দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে। এরই অংশ হিসেবে, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের এনআইডি অনুবিভাগ ও আইডিইএ প্রকল্প (২য় পর্যায়) মাধ্যমে দেশে-বিদেশে বাংলাদেশি নাগরিকদের জাতীয় পরিচয়পত্র সেবা, স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র, ভোটার তালিকা হালনাগাদ ও প্রস্তুতে কারিগরি সহায়তা করতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। এই কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণের অগ্রযাত্রায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে।

জ্যেষ্ঠ এ নির্বাচন কমিশনার বলেন, নাগরিকের তথ্য/উপাত্ত সংশোধন আবেদন সিএমএস-এ স্বয়ংক্রিয়ভাবে ‘আবেদনের ধরণ/ক্যাটাগরি’ দিতে হবে। যাতে সম্মানিত নাগরিকগণকে দ্রুত সেবা নিশ্চিত করা যায়। উপজেলা পর্যায়ে নাগরিকদের বায়োমেট্রিক যাচাই করা করার সুবিধা চালু করা, বর্তমানে একজন নাগরিককে জেলা পর্যায়ে আসতে হয়। এ সেবাটি সহজ করে, উপজেলা থেকে দেয়া সম্ভব হলে বিপুল সংখ্যক নাগরিকের ভোগান্তি লাঘব হবে। আমি আশা করি দু’দিনব্যাপী আয়োজিত এ কর্মশালায় বিস্তারিতভাবে আলোচিত হবে এবং সংশ্লিষ্ট সমস্যাসমূহ ও এর উত্তরণের উপায় বেরিয়ে আসবে।

;