একাদশ সংসদ নির্বাচনের ভোট যুদ্ধ আজ  



ইসমাঈল হোসাইন রাসেল, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

১০ বছর পর নৌকা-ধানের শীষ প্রতীকের প্রতিদ্বন্দ্বিতা

প্রথমবারের মতো সংসদ নির্বাচনে ইভিএমে ভোট

একাদশ সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ আজ। বিরোধপূর্ণ রাজনৈতিক পরিস্থিতির মধ্যেও সব দলের অংশগ্রহণে হতে যাচ্ছে এবারের নির্বাচন। সকাল ৮টা থেকে ২৯৯ আসনে ভোটগ্রহণ শুরু হবে। চলবে বিকাল চারটা পর্যন্ত। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোটের সঙ্গে বিএনপির নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ভোটের লড়াইয়ে ভোটাররা যাদের পক্ষে রায় দেবেন তারাই আগামী পাঁচ বছরের জন্য সরকার গঠন করবেন।

শুক্রবার (২৮ ডিসেম্বর) সকাল ৮টা থেকে নির্বাচনী প্রচার বন্ধ হয়েছে। গতকাল রাতের মধ্যেই কেন্দ্রে কেন্দ্রে পৌঁছে গেছে ব্যালট পেপারসহ ভোটগ্রহণ সামগ্রী। নির্বাচন কমিশন সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকবে সারাদেশে বিভিন্ন বাহিনীর প্রায় ছয় লাখ আট হাজার সদস্য। যানবাহন চলাচলের ওপর আরোপ করা হয়েছে বিধিনিষেধ। আজ সারাদেশে সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।

ভোটের মাঠে দীর্ঘ ১০ বছর পর নৌকা ও ধানের শীষ প্রতীকের মধ্যে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হতে যাচ্ছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যুতে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচন বর্জন করে বিএনপিসহ বেশিরভাগ রাজনৈতিক দল। ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগসহ ১২টি রাজনৈতিক দল অংশ নিয়েছিল। এবার প্রেক্ষাপট ভিন্ন। দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে বিএনপি। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ব্যানারে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে বিএনপিসহ জোটের শরিকরা।

দুই শীর্ষ জোটের প্রার্থীদের পাল্টাপাল্টি অভিযোগের মধ্য দিয়ে ইতোমধ্যে প্রচার প্রচারণা শেষ হয়েছে। বিএনপি নেতৃত্বার্ধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট দলীয় প্রার্থীদের প্রচারণায় বাধা দেওয়া, হামলা-মামলার অভিযোগ তুলেছেন। অন্যদিকে আওয়ামী লীগ বলছে বিএনপি জামায়াতের হামলায় তাদের ছয়জন নেতাকর্মী নিহত হয়েছেন। দুই দলের এমন অভিযোগের মধ্যেই আজ ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

নির্বাচন যেন প্রশ্নবিদ্ধ না হয় সেদিকে খেয়াল রাখার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনা বলেন, নির্বাচনের মাঝপথে ঐক্যফ্রন্ট বা বিএনপি ভোট প্রত্যাহারের ঘোষণা দিলেও আওয়ামী লীগসহ মহাজোটের প্রার্থীদের ফলাফল হাতে নিয়ে ঘরে ফিরতে হবে। অভিযোগ করেন, বিএনপি জোট আওয়ামী লীগের উপর হামলা চালিয়ে, নিজেরাই সবার কাছে নালিশ করে বেড়ায়। জিতলে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড আছে আর হারলে তা নিয়ে প্রশ্ন তোলাই বিএনপির নীতি, বলেন শেখ হাসিনা। ফের ক্ষমতায় এলে সমৃদ্ধ দেশ গড়ার পাশাপাশি দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ বাড়াতে ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

এর জবাবে ভোটের মাঠ থেকে কোনোভাবেই সরে দাঁড়াবে না বলে জানিয়েছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষনেতা ও গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন। দেশি-বিদেশি সাংবাদিকদের সাথে আলাদা সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট এবং বিএনপির মধ্যে কারো মতামতে কোনো দ্বিধাদ্বন্দ্ব নেই, নির্বাচন থেকে সরেও যাব না। সকাল সকাল কেন্দ্রে যান। ভোট দিন। আপনারা ভয় পাবেন না। আপনারা গেলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যাবে। জনগণের শক্তির সাথে তারা পারবে না। প্রিজাইডিং ও পোলিং অফিসার যারা ভোট গ্রহণের দায়িত্বে আছেন আপনারা সম্মানিত মানুষ। সততার সাথে দায়িত্ব পালন করলে আপনাদের সম্মান বাড়বে।

এদিকে ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে গিয়ে নির্ভয়ে ভোট দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ। শনিবার দুপুরে রাজধানীর আজিমপুরে সেনা ক্যাম্প পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। ভোটের আগে ও পরে কেউ যাতে নাশকতা করতে না পারে সেজন্য সারা দেশে ৫০ হাজার সেনাসদস্য মোতায়েন রয়েছে বলেও জানান সেনাপ্রধান। সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ বলেন, ‘আমরা সবাইকে আশ্বস্ত করার চেষ্টা করছি। আমাদের লোকজনকে এলাকাভিত্তিক ভাগ করে দিয়েছি, কোথাও পুলিশ কোথাও বিজিবি কোথাও র‌্যাব যাচ্ছে ,কোথাও সেনাবাহিনী যাচ্ছে। আমরা অলরেডি সারা দেশে ৫০ হাজার সেনাবাহিনী মোতায়েন করেছি। তারা সব সময় টহল দিয়ে যাচ্ছে। আমরা সবাইকে কাজের মধ্যে রেখেছি। যাতে কেউ অরাজকতা করতে না পারে সেটিই আমাদের লক্ষ্য থাকবে।

আর নির্বাচন কেন্দ্র করে সংখ্যালঘুসহ কেউ যাতে সহিংসতার শিকার না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীকে সতর্ক থাকতে বলেছেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক। তিনি বলেন, ‘এবারের নির্বাচন অনেক সুন্দরভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। পুলিশ প্রশাসনসহ আমরা প্রত্যেককে বলেছি, আপনারা এমন এক নির্বাচনী পরিবেশ সৃষ্টি করবেন যাতে জনগণের মধ্যে কোনো ভীতি কাজ না করে। আমরা সবাই এমন কোনো ঘটনা না ঘটাই যাতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। এভাবেই আমাদের প্রতিটি দলকে সহনশীলতার পরিচয় দিতে হবে। আমরা সবাই একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের সংস্কৃতি আমাদের দেশে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই।’

নির্বাচন কমিশন বলছে, শান্তিপূর্ণ ভোট নিয়ে কোন শঙ্কার কারণ নেই। কমিশন ইতোমধ্যে যথাযথ ব্যবস্থা নিয়েছে। ভোটাররা নির্বিঘ্ন তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন। নির্বাচনের শেষ মুহূর্তের পরিস্থিতি নিয়ে শনিবার দুপুরে আগারগাঁওয়ে অবস্থিত নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচনের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে বলে জানা প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নূরুল হুদা। তিনি বলেছেন, দেশে প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচনি পরিবেশ বজায় রয়েছে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী প্রার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে।"

নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শাহাদাত হোসেন চৌধুরী (অবঃ) বার্তা২৪.কমকে বলেন, শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য কমিশন সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রায় ছয় লাখের বেশি সদস্য ভোটের মাঠে কাজ করছেন। ভোটররা যাতে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট দিতে পারেন তার জন যতটা প্রস্তুতি দরকার, সেটি আমরা সম্পন্ন করতে পেরেছি। জরুরি প্রয়োজনে পরিবহন কাজের জন্য প্রস্তুত রয়েছে সশস্ত্রবাহিনীর দুটি হেলিকপ্টার।

নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব মোখলেসুর রহমান বার্তা২৪.কমকে বলেন, আমরা ভোটারদের নিরাপত্তার সকল ব্যবস্থা নিয়েছি। ভোটারদের নিরাপত্তায় অন্যান্য বাহিনীর সঙ্গ সেনাবাহিনীর সদস্যরাও মাঠে রয়েছেন। ভোটের জন্য আমরা প্রস্তুত আছি। শান্তিপূর্ণভাবে ভোট সম্পন্ন হবে বলে আমরা আশা করছি।

জানা গেছে, নির্বাচনে ভোটার ১০ কোটি ৪২ লাখ ৩৮ হাজার ৬৭৭জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৫ কোটি ২৫ লাখ ৭২ হাজার ৩৬৫জন। আর মহিলা ভোটার ৫ কোটি ১৬  লাখ ৬৬ হাজার ৩১২ জন। ভোটে ৬৬ জন রিটার্নিং অফিসার ( দুইজন বিভাগীয় কমিশন ও ৬৪ জন জেলা প্রশাসক) দায়িত্ব পালন করছেন। নির্বাচনে মোট ভোটকেন্দ্র ৪০ হাজার ১৮৩। ভোকক্ষ ২ লাখ সাত হাজার ৩১২টি। ভোটে ৪০ হাজার ১৮৩জন প্রিজাইডিং অফিসার, দুই লাখ সাত হাজার ৩১২ জন সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার ও ৪ লাখ ১৪ হাজার ৬২৪ জন পোলিং অফিসার দায়িত্ব পালন করবেন।

ভোটে প্রার্থী ১ হাজার ৮৬১ :

সব প্রক্রিয়া শেষে সংসদ নির্বাচনে ভোটের ব্যালটে থাকছে ১ হাজার ৮৬১ প্রার্থীর নাম; তাদের মধ্যে দলীয় প্রার্থী ১৭৩৩ জন; বাকি ১২৮ জন স্বতন্ত্র। আওয়ামী লীগ ও শরিকদের মিলিয়ে নৌকার ২৭২ জন প্রার্থী চূড়ান্ত লড়াইয়ে আছেন। তাদের বিপরীতে ধানের শীষ প্রতীকে বিএনপি ও শরিকদের প্রার্থী সংখ্যা ২৮২। স্বতন্ত্র প্রার্থী রয়েছেন ১২৮ জন।

দলগুলোর মধ্যে এলডিপির ৮ (ধানের শীষ ৪), জেপি ১১ (মহাজোট ২), সাম্যবাদী দল ২, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ ৮ (ধানের শীষ ৪), সিপিবি ৭৪, আওয়ামী লীগ ২৬০ (নৌকা ২৭২), বিএনপি ২৫৭ (ধানের শীষ ২৮২), গণতন্ত্রী পার্টি ৬, ন্যাপ ৯, জাতীয় পার্টি ১৭৫ (মহাজোট ২৫), বিকল্পধারা ২৬ (নৌকা ৩), ওয়ার্কার্স পার্টি ৮ (নৌকা ৫), জাসদ ১১ (নৌকা ৩), জেএসডি ১৯ (ধানের শীষ ৪), জাকের পার্টি ৯০, বাসদ ৪৪, বিজেপি ৩ (ধানের শীষ ১), তরিকত ফেডারেশন ১৭ (নৌকা ১), বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন ২৪, বাংলাদেশ মুসলীম লীগ ৪৮, এনপিপি ৭৯, জমিয়াতে উলামায়ে ইসলাম ৮ (ধানের শীষ ৩), গণফোরাম ২৮ (ধানের শীষ ৭), গণফ্রন্ট ১৩, পিডিপি ১৪, বাংলাদেশ ন্যাপ ৩, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি ১১, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ ১৮, কল্যাণ পার্টি ২ (ধানের শীষ ১), ইসলামী ঐক্যজোট ২৫, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস ৫, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ২৯৮, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট ২৫, জাগপা ৪, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি ২৮, খেলাফত মজলিস ১২ (ধানের শীষ ২), বিএমএল ১, মুক্তিজোট ২, বিএনএফ ৫৭ জন প্রার্থী ভোটের মাঠে রয়েছেন।

ভোটের মাঠে থাকছে ৬ লাখ ৮ হাজার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য:

ভোটে ভোটকেন্দ্র এবং নির্বাচনী এলাকায় প্রায় ৬ লাখ আট হাজার সেনাবাহিনী ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স নিয়োজিত থাকবে। এরমধ্যে পুলিশ প্রায় এক লাখ ২১ হাজার, আনসার প্রায় ৪ লাখ ৪৬ হাজার, গ্রাম পুলিশ প্রায় ৪১ হাজার। ভোটে ৩৮৯ উপজেলায় সেনাবাহিনীর ৪১৪ প্লাটুন (প্রতি প্লাটুনে ৩০ জন), ১৮ উপজেলায় নৌবাহিনীর ৪৮ প্লাটুন, ১২ উপজেলায় কোস্টগার্ডের ৪২ প্লাটুন (প্রতি প্লাটুনে ৩০ জন), বিজিবির ৯৮৩ প্লাটুন (প্রতি প্লাটুনে ৩০ জন), র‌্যাবের প্রায় ৬শ' প্লাটুন (প্রতি প্লাটুনে ৩০ জন), মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্সের প্রায় ২ হাজার প্লাটুন (প্রায় ৬৫ হাজার) দায়িত্ব পালন করবেন। এছাড়াও সারাদেশে জেলা ও মেট্রোপলিটন পুলিশের টহল দল নিয়োজিত আছেন।

ভোটের মাঠে ১ হাজার ৩২৮ জন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট:

ভোটের মাঠে ১৩শ' ২৮ জন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করছেন। এর মধ্যে আচরণবিধি প্রতিপালনের জন্য ৬৫২ জন অবশিষ্ট ৬৭৬ জন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মোবাইল/ স্ট্রাইকিং ফোর্সের সঙ্গে নিয়োজিত থাকবেন। এছাড়াও ৬৪০ জন জুডিশিয়াল মেজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবেন। নির্বাচনে ১২২টি ইলেক্টোরাল ইনকোয়ারি কমিটিতে ২৪৪জন দায়িত্ব পালন করছেন।

নির্বাচনে ৮১টি প্রতিষ্ঠানের ২৫ হাজার ৯শ' জন দেশীয় পর্যবেক্ষক ভোট পর্যবেক্ষণ করবেন। এছাড়াও ফেমবোসা, এএইএ, ওআইসি ও কমনওয়েলথ হতে আমন্ত্রিত ও অন্যান্য বিদেশী পর্যবেক্ষক ৩৮ জন, কূটনৈতিক ও বিদেশী মিশনের ৬৪ জন কর্মকর্তা এবং বাংলাদেশস্থ দূতাবাস, হাইকমিশন বিদেশী সংস্থায় কর্মরত বাংলাদেশী ৬১ জনসহ মোট ১৬৩ জন দায়িত্ব পালন করবেন।

ছয় আসনে ইভিএমে ভোট

নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণের লক্ষ্যে দৈবচয়নের ভিত্তিতে ছয়টি সংসদীয় আসন নির্ধারণ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ছয়টি আসনে প্রায় ২১ লাখ ২৪ হাজার ৪১১ জন ভোটার সংসদ নির্বাচনে প্রথমবারের মতো ইভিএমে ভোট দিতে পারবেন। ছয়টি আসনের মধ্যে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের সাতটি আসন থেকে ঢাকা-১৩, ঢাকা দক্ষিণের সাতটি আসন থেকে ঢাকা-৬, চট্টগ্রাম সিটির তিনটি আসন থেকে চট্টগ্রাম-৯ আসন নির্ধারণ করা হয়েছে। অন্যান্য সিটি করপোরেশনের মধ্যে রংপুর-৩ ও খুলনা- ২ আসন এবং বাকি ২১টি পৌরসভা ও সদর উপজেলা থেকে সাতক্ষীরা-২ আসন নির্ধারণ করা হয়েছে।

ফলাফল ঘোষণা

ফলাফল কেন্দ্রেই গণনা করা হবে। প্রিজাইডিং অফিসার ফলাফল গণনার পর উপস্থিত পোলিং এজেন্টদের কাছে হস্তান্তর করবেন। এরপর তিনি ফলাফল ও মালামাল সহকারী প্রিজাইডিং অফিসারের কার্যালয়ে এসে লিখিতভাবে জমা দেবেন। সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার সেই ফলাফল রিটার্নিং অফিসারের কাছে পাঠাবেন। পরে রিটার্নিং অফিসাররা আরএমএস -এর মাধ্যমে (ইসির ইন্টারন্যাল সাইট) নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে পাঠাবেন। সচিবালয়ে ফলাফল সংগ্রহ ও পরিবেশন কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। সেখান থেকে ৮টি বিভাগের জন্য ৮টি মনিটর থাকবে। সেগুলো আমরা মনিটরে দেখাবো। এই ৮টি বিভাগকে একত্র করে একটি মনিটরে দেখানো হবে। আরও একটি মনিটর থাকবে রাজনৈতিক দলভিত্তিক। এই ১০টি মনিটরের মাধ্যমে ফলাফল দেখানো হবে। ওখানে একটি মঞ্চ থাকবে, সেখান থেকে ফলাফল আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণাও করা হবে।

গাইবান্ধা- ৩ আসনে একজন প্রার্থীর মৃত্যুর কারণে ভোট স্থগিত করে পুনঃতফসিল দেয়া হয়েছে। এই আসনে ২৭ জানুয়ারি ভোটের তারিখ নির্ধারণ করেছে ইসি।

গত ৮ নভেম্বর তফসিল ঘোষণার পর ১২ নভেম্বর পুনঃতফসিল করা হয়। ১০ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দের পর প্রার্থীরা প্রচার শুরু করেন, সেই সুযোগ শেষ হয় ২৮ ডিসেম্বর শুক্রবার সকাল ৮টায়।

   

উপজেলা নির্বাচন: ছুটির দিনেও খোলা থাকবে অফিস



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
উপজেলা নির্বাচন: ছুটির দিনেও খোলা থাকবে অফিস

উপজেলা নির্বাচন: ছুটির দিনেও খোলা থাকবে অফিস

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপের ১৫২ নির্বাচন উপলক্ষ্যে সরকারি ও সাপ্তাহিক ছুটির দিনেও অফিস খোলা রেখে কাজ করার জন্য মাঠ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

সংস্থাটির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার উপসচিব মো. আতিয়ার রহমান এ সংক্রান্ত নির্দেশনা মাঠ পর্যায়ের জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তাদেরে পাঠিয়েছেন।

নির্দেশনায় বলা হয়েছে, নির্বাচন উপলক্ষে সাপ্তাহিক ও সরকারি ছুটির দিনে অফিস খোলা রেখে নির্বাচনি কার্যক্রম পরিচালনার ব্যবস্থা করতে হবে।

আগামী ৮ মে প্রথম ধাপে ১৫২ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম ধাপের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ১৫ এপ্রিল। মনোনয়নপত্র বাছাই ১৭ এপ্রিল। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ১৮ থেকে ২০ এপ্রিল। আপিল নিষ্পত্তি ২১ এপ্রিল, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২২ এপ্রিল। প্রতীক বরাদ্দ ২৩ এপ্রিল, আর ভোটগ্রহণ হবে ৮ মে।

নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিয়োগ করা হয়েছে। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দায়ের করা আপিল আবেদন নিষ্পত্তি করবেন আপিল কর্তৃপক্ষ হিসেবে জেলা প্রশাসক।

মোট চার ধাপে অনুষ্ঠেয় ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের পরবর্তীতে তিন ধাপের ভোটগ্রহণ ২৩ ও ২৯ মে এবং ৫ জুন অনুষ্ঠিত হবে। দেশে মোট উপজেলার সংখ্যা ৪৯৫টি।

;

উপজেলা নির্বাচন: প্রার্থীরা সমান ভোট পেলে লটারিতে বিজয়ী নির্ধারণ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপের ১৫২ নির্বাচনে একই পদে প্রার্থীরা সমান ভোট পেলে লটারি করে বিজয়ী নির্ধারণে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

বুধবার (২৭ মার্চ) সংস্থাটির ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান এই নির্দেশনাটি মাঠ পর্যায়ে কর্মকর্তাদের পাঠিয়েছেন।

নির্দেশনায় বলা হয়েছে, চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা সদস্য নির্বাচনের ক্ষেত্রে, ভোট গণনার ফালাফল একত্রীকরণের পর যদি দেখা যায় যে, দুই বা ততোধিক প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর অনুকূলে সমান সংখ্যক ভোট দেওয়ার কারণে উপ-বিধি (২)’র অধীন কোনো প্রার্থীকে নির্বাচিত করা সম্ভব নয়, তাহলে রিটার্নিং অফিসার লটারির মাধ্যমে ফলাফল নির্ধারণ করবেন, লটারি যে প্রার্থীর অনুকূলে যাবে সেই প্রার্থী সবোর্চ্চ ভোট প্রাপ্ত হয়েছেন বলে গণ্য হবে এবং রিটার্নিং অফিসার তাকে নির্বাচিত ঘোষণা করবেন, রিটার্নিং অফিসার কর্তৃক সম্পাদিত লটারির সম্পূর্ণ কার্যক্রম লিপিবদ্ধ করে একটি কার্যবিবরণী প্রস্তুত করবেন এবং উক্ত কার্যবিবরণীতে উপস্থিত প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বা নির্বাচনী এজেন্টের স্বাক্ষর গ্রহণ করবেন।

এছাড়া ভোট গ্রহণের পূর্বে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনীত বৈধ কোনো প্রার্থীর মৃত্যু হলে সংশ্লিষ্ট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদের নির্বাচন কার্যক্রম রিটার্নিং অফিসারগণ বিজ্ঞপ্তির দ্বারা বাতিল করে দেবেন।

পরবর্তীতে কমিশন সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকার সংশ্লিষ্ট পদে নতুন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করবেন এবং কমিশনের উক্ত সিদ্ধান্ত অনুসারে রিটার্নিং অফিসার নির্বাচন অনুষ্ঠানের পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণ করবেন। তবে শর্ত থাকে যে, ইতোপূর্বে কোন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ বলে সাব্যস্ত হয়ে থাকলে এবং তিনি তার প্রার্থিতা প্রত্যাহার না করে থাকলে তাকে নতুন করে মনোনয়নপত্র দাখিল করতে হবে না। ভোট গ্রহণের পূর্বে মহিলা সদস্য পদে মনোনীত বৈধ কোন প্রার্থীর মৃত্যু হলে ভোটগ্রহণ অবশিষ্ট প্রার্থীগণের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে।

আগামী ৮ মে প্রথম ধাপে ১৫২ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম ধাপের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ১৫ এপ্রিল। মনোনয়নপত্র বাছাই ১৭ এপ্রিল। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ১৮ থেকে ২০ এপ্রিল। আপিল নিষ্পত্তি ২১ এপ্রিল, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২২ এপ্রিল। প্রতীক বরাদ্দ ২৩ এপ্রিল, আর ভোটগ্রহণ হবে ৮ মে।

নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিয়োগ করা হয়েছে। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দায়ের করা আপিল আবেদন নিষ্পত্তি করবেন আপিল কর্তৃপক্ষ হিসেবে জেলা প্রশাসক।

মোট চার ধাপে অনুষ্ঠেয় ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের পরবর্তীতে তিন ধাপের ভোটগ্রহণ ২৩ ও ২৯ মে এবং ৫ জুন অনুষ্ঠিত হবে। দেশে মোট উপজেলার সংখ্যা ৪৯৫টি।

;

উপজেলা ভোটে প্রার্থী কে মনোনয়ন দেবে, দলগুলোকে জানাতে বলল ইসি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
উপজেলা ভোটে প্রার্থী কে মনোনয়ন দেবে, দলগুলোকে জানাতে বলল ইসি

উপজেলা ভোটে প্রার্থী কে মনোনয়ন দেবে, দলগুলোকে জানাতে বলল ইসি

  • Font increase
  • Font Decrease

 

আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপের ১৫২ উপজেলা নির্বাচনে ভোটে দলগুলোর প্রার্থী কে মনোনয়ন দেবে, তার নাম ও স্বাক্ষর জানতে চেয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

রোববার (২৪ মার্চ) এই তথ্য জানিয়েছেন সাংবিধানিক সংস্থাটির জনসংযোগ পরিচালক মো. শরিফুল আলম।

ইসি জানায়, তফসিল ঘোষণার সাত দিনের মধ্য এই তথ্য জানাতে হবে। সেই অনুযায়ী আগামী ২৮ মার্চের মধ্য জানাতে হবে।

ইসি জানায়, আগামী ৮ মে বিভিন্ন উপজেলা পরিষদ সাধারণ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বিধিমালা, ২০১৩ এর বিধি ১৫ এর উপবিধি (৩)(গ)(ইইই) অনুযায়ী চেয়ারম্যান/ভাইস চেয়ারম্যান/মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে অংশগ্রহণের জন্য নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সভাপতি বা সাধারণ সম্পাদক বা সমপর্যায়ের পদাধিকারী বা তাহাদের নিকট হতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তির স্বাক্ষরসহ তালিকা সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসারগণকে প্রেরণের জন্য এবং একই সাথে উক্ত পত্রের অনুলিপি নির্বাচন কমিশনে প্রেরণের জন্য বলা হয়েছে।

আগামী ৮ মে দেশের ১৫২টি উপজেলায় প্রথম ধাপের নির্বাচন হবে। তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র জমার শেষ সময় ১৫ এপ্রিল, বাছাই ১৭ এপ্রিল। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ১৮ থেকে ২০ এপ্রিল। আপিল নিষ্পত্তি ২১ এপ্রিল, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২২ এপ্রিল। প্রতীক বরাদ্দ ২৩ এপ্রিল, আর ভোটগ্রহণ হবে ৮ মে।

নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারি রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিয়োগ করা হয়েছে। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দায়ের করা আপিল আবেদন নিষ্পত্তি করবেন আপিল কর্তৃপক্ষ হিসেবে জেলা প্রশাসক।

মোট চার ধাপে অনুষ্ঠেয় ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের পরবর্তীতে তিন ধাপের ভোট ২৩ ও ২৯ মে এবং ৫ জুন অনুষ্ঠিত হবে। দেশে মোট উপজেলার সংখ্যা ৪৯৫টি।

;

‘স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে ইসি’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’-এ রূপান্তরের কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে। নির্বাচন কমিশন (ইসি) স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে বলে জানিয়েছেন জ্যেষ্ঠ নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আহসান হাবিব খান (অব.)।

রোববার (২৪ মার্চ) নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের আইডেন্টিফিকেশন সিস্টেম ফর এনহ্যান্সিং এক্সেস টু সার্ভিসেস-আইডিইএ (২য় পর্যায়) প্রকল্পের আয়োজিত কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব বলেন।

কর্মশালায় ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম, অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ, আইডিইএ প্রকল্প পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল হাসনাত মোহাম্মদ সায়েম, নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক এসএম আসাদুজ্জামান, আইডিইএ প্রকল্পের অতিরিক্ত প্রকল্প পরিচালক মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান এবং সিস্টেম ম্যানেজার, সিনিয়র জেলা/জেলা নির্বাচন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ইসি আহসান হাবিব জানান, স্বাধীনতার মাস মার্চ। আমি গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি, স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে, যার ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণে উদ্বুদ্ধ হয়েছিল দেশের স্বাধীনতাকামী জনগণ। আমি স্মরণ করছি অমর শহিদদের ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের, যাদের অসীম সাহস ও আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে আমাদের স্বাধীনতা।

তিনি জানান, বাংলাদেশ ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’-এ রূপান্তরে দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে। এরই অংশ হিসেবে, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের এনআইডি অনুবিভাগ ও আইডিইএ প্রকল্প (২য় পর্যায়) মাধ্যমে দেশে-বিদেশে বাংলাদেশি নাগরিকদের জাতীয় পরিচয়পত্র সেবা, স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র, ভোটার তালিকা হালনাগাদ ও প্রস্তুতে কারিগরি সহায়তা করতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। এই কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণের অগ্রযাত্রায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে।

জ্যেষ্ঠ এ নির্বাচন কমিশনার বলেন, নাগরিকের তথ্য/উপাত্ত সংশোধন আবেদন সিএমএস-এ স্বয়ংক্রিয়ভাবে ‘আবেদনের ধরণ/ক্যাটাগরি’ দিতে হবে। যাতে সম্মানিত নাগরিকগণকে দ্রুত সেবা নিশ্চিত করা যায়। উপজেলা পর্যায়ে নাগরিকদের বায়োমেট্রিক যাচাই করা করার সুবিধা চালু করা, বর্তমানে একজন নাগরিককে জেলা পর্যায়ে আসতে হয়। এ সেবাটি সহজ করে, উপজেলা থেকে দেয়া সম্ভব হলে বিপুল সংখ্যক নাগরিকের ভোগান্তি লাঘব হবে। আমি আশা করি দু’দিনব্যাপী আয়োজিত এ কর্মশালায় বিস্তারিতভাবে আলোচিত হবে এবং সংশ্লিষ্ট সমস্যাসমূহ ও এর উত্তরণের উপায় বেরিয়ে আসবে।

;