পাবনায় চলছে ভোটগ্রহণ



আরিফ আহমেদ সিদ্দিকী, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, পাবনা, বার্তা২৪.কম
বার্তা২৪.কম

বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

পাবনা জেলার ৯ উপজেলার ৫টি সংসদীয় আসনে রোববার (৩০ ডিসেম্বর) সকাল ৮ টা থেকেই শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। নারী-পুরুষ ভোটাররা ভোট কেন্দ্রে লাইন ধরে ভোটাধিকার প্রয়োগ করছেন।

আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে পাবনার ৫টি আসনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক, বিএনপির ধানের শীষ প্রতীক, জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীক, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের হাতপাখাসহ নানা রাজনৈতিক দলের ২৬ জন প্রার্থী অংশগ্রহণ করেছেন।

জানা গেছে, পাবনার এই ৫টি আসনের হেভিওয়েট প্রার্থীরা তাদের নিজ নিজ এলাকার ভোট কেন্দ্রে ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। তবে পাবনা-৪ আসনের বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী হাবিবুর রহমান হাবিব নির্বাচনের ৪দিন আগে দুর্বৃত্তদের হামলায় গুরুতর আহত হয়ে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। তিনি আদৌ তার ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন কি না এ নিয়ে রয়েছে সন্দেহ।

জেলা রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ৯ উপজেলার ৫টি সংসদীয় আসনে ৮২ ইউনিয়ন ও পৌরসভার ৬৬৭টি ভোট কেন্দ্রে একযোগে ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৫টি আসনে ১৮ লক্ষ ৭৯ হাজার ৭১৬ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে শুরু করেছেন। এদের মধ্যে পুরুষ ভোটার রয়েছেন ৯ লক্ষ ৪৮ হাজার ৮৮২ জন এবং নারী ভোটার রয়েছেন ৯ লক্ষ ৩৩ হাজার ৮৩৪ জন। এবারের নির্বাচনে নতুন ভোটার হয়েছেন ৬৭ হাজার ৯২৪ জন।

জেলা রিটার্নিং অফিসার মো. জসিম উদ্দিন জানান, নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ও উৎসব মুখর পরিবেশে ভোটাররা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের লক্ষ্যে কঠোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Dec/30/1546139555653.jpg
বার্তা২৪.কম

 

পাবনার ৫টি সংসদীয় আসনে ৩০ জন ম্যাজিস্ট্রেট, ৫৭০ জন সেনাবাহিনীর সদস্য, বিজিবির ৩৪১ জন সদস্য, ৮ হাজার ৪ জন আনসার ভিডিপি এবং ৬৬১ জন গ্রাম পুলিশ সদস্যকে ভোট কেন্দ্রে নিয়োজিত করা হয়েছে। এছাড়াও ভোটের পরিবেশ শান্তিপূর্ণ রাখতে সেনাবাহিনী, র্যাব, পুলিশ ও বিজিবির আলাদা আলাদা টিম স্টাইকিং ফোর্স হিসেবে টহল দিচ্ছে।

এদিকে পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গৌতম কুমার বিশ্বাস জানান, স্বতঃর্স্ফূতভাবে ভোটাররা লাইন ধরে ভোট কেন্দ্রে গিয়ে তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করতে শুরু করেছেন। এখন পর্যন্ত জেলার কোথায়ও কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।

এএসপি গৌতম বলেন, যে কোন ধরণের নাশকতা, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বা অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার বিভিন্ন স্তরের সদস্যরা সর্বদা প্রস্তুত। যে কোন ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা কঠোর হাতে প্রতিহত করা হবে বলে জানান পুলিশের এই উর্ধ্বতন কর্মকর্তা।

জেলা নির্বাচন অফিসারের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, জেলার সাঁথিয়া উপজেলার সম্পূর্ণ এবং বেড়া উপজেলার আংশিক এলাকা নিয়ে পাবনা-১ আসন গঠিত।

সাঁথিয়ায় ১টি পৌরসভা ১০টি ইউনিয়নে ভোটার সংখ্যা ২ লক্ষ ৭২ হাজার ৫৮২ ও বেড়ায় ১টি পৌরসভা ৪টি ইউনিয়নে ভোটার সংখ্যা ১ লক্ষ ৮ হাজার ৫৩৪ জন।

পাবনা-২ আসনে সুজানগর উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন ও বেড়া উপজেলার ৫টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত। আসনটির মোট ভোটার ২ লক্ষ ৯৩ হাজার ২৪২ জন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লক্ষ ৪৫ হাজার ১০ জন এবং মহিলা ভোটার ১ লক্ষ ৪৮ হাজার ২৩২ জন।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Dec/30/1546139586659.jpg
বার্তা২৪.কম

 

পাবনা-৩ (চাটমোহর-ভাঙ্গুড়া ও ফরিদপুর)। তিন উপজেলার ২৬ টি ইউনিয়ন ও ৩ টি পৌরসভা মিলে মোট ভোটার সংখ্যা ৪ লক্ষ ২ হাজার ৮৩৬ জন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার সংখ্যা ২ লক্ষ ৯২৯ জন এবং নারী ভোটার সংখ্যা ২ লক্ষ ১ হাজার ৯০৭ জন।

পাবনা পৌরসভা ও সদর উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত পাবনা-৫ (সদর) আসন। এই আসনে মোট ভোট রয়েছে ৪ লাখ ২৫ হাজার ১০ জন এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ১৪ হাজার ৪৫০ এবং মহিলা ভোটার ২ লাখ ১০ হাজার ৫৬০ জন।

পাবনা-৪ (ঈশ্বরদী-আটঘরিয়া) নির্বাচনী এলাকায়। দুই উপজেলা মিলে ২ পৌরসভা, ১২ ইউনিয়ন। দু’ উপজেলা মিলে মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লক্ষ ৬১ হাজার ৯৮৯ জন। তন্মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লক্ষ ৮২ হাজার ৩২৬ জন এবং নারী ভোটার সংখ্যা ১ লক্ষ ৭৯ হাজার ৬৬৩ জন।

   

গাজীপুরে উপজেলা নির্বাচন উপলক্ষে মতবিনিময় সভা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, গাজীপুর
গাজীপুরে উপজেলা নির্বাচন উপলক্ষে মতবিনিময় সভা

গাজীপুরে উপজেলা নির্বাচন উপলক্ষে মতবিনিময় সভা

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ সাধারণ নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু করতে গাজীপুরে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) বিকেলে গাজীপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের ভাওয়াল সম্মেলন কক্ষে এ সভার আয়োজন করা হয়।

মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর। এতে সভাপতিত্ব করেন- জেলা প্রশাসক আবুল ফাতে মোহাম্মদ সফিকুল ইসলাম।

এসময় আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও সুশৃঙ্খলভাবে করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে নির্দেশনা প্রদানসহ নানা দিক নির্দেশনা দেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর।

এর আগে নির্বাচন কমিশনারকে গাজীপুর সার্কিট হাউজে ফুলেল অভ্যর্থনা জানান জেলা প্রশাসক। পরে পুলিশের একটি দল তাকে গার্ড অফ অনার প্রদান করেন।

সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকবৃন্দ, উপজেলা নির্বাহী অফিসারগণ, রিটার্নিং অফিসার, সহকারী রিটার্নিং অফিসার, নির্বাচন সংশ্লিষ্ট অন্যান্য ব্যক্তিবর্গ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যবৃন্দ।

;

উপজেলা নির্বাচন: আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা ২৩ এপ্রিল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য আগামী মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা ডেকেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) নির্বাচন পরিচালনা শাখার উপসচিব মো. আতিয়ার রহমান ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্টদের এ সংক্রান্ত চিঠি পাঠিয়েছেন।

এতে উল্লেখ করা হয়েছে, ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ সাধারণ নির্বাচন সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে অনুষ্ঠানের নিমিত্তে সংশ্লিষ্টদের উপস্থিতিতে এক সভা আগামী ২৩ এপ্রিল বেলা সকাল ১১টায় নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত হবে।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠেয় সভায় নির্বাচন কমিশনারগণ, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিব ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কর্মকর্তাগণ উপস্থিত থাকবেন।

চিঠিতে সভায় যথাসময়ে উপস্থিত থাকার জন্য নির্দেশিত হয়ে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

আতিয়ার রহমান সভার চিঠি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের (সমন্বয় ও সংস্কার) সচিব, স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব, মহাপুলিশ পরিদর্শক, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ/র‍্যাব/কোস্টগার্ড/আনসার ও ভিডিপি/ডিজিএফআই/এনএসআই, মহাপরিচালক ও অতিরিক্ত মহাপুলিশ পরিদর্শককে (এসবি) পাঠিয়েছেন।

চার ধাপে অনুষ্ঠেয় ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ইতিমধ্যে তিন ধাপের তফসিল দিয়েছে ইসি।

প্রথম ধাপের তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিল ও বাছাইয়ের সময় শেষ। বৈধ প্রার্থী এক হাজার ৭৮৬ জন, রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ১৮ থেকে ২০ এপ্রিল। আপিল নিষ্পত্তি ২১ এপ্রিল, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২২ এপ্রিল। প্রতীক বরাদ্দ ২৩ এপ্রিল, আর ১৫২ উপজেলায় ভোটগ্রহণ হবে ৮ মে।

এই ধাপের নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিয়োগ করা হয়েছে। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দায়ের করা আপিল আবেদন নিষ্পত্তি করবেন আপিল কর্তৃপক্ষ হিসেবে জেলা প্রশাসক।

দ্বিতীয় ধাপের তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিল ২১ এপ্রিল শেষ সময়, মনোনয়নপত্র বাছাই ২৩ এপ্রিল, আপিল গ্রহণ ২৪-২৬ এপ্রিল, আপিল নিষ্পত্তি ২৭ থেকে ২৯ এপ্রিল। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ৩০ এপ্রিল, প্রতীক বরাদ্দ প্রতীক বরাদ্দ ২ মে। আর ১৬১ উপজেলায় ভোটগ্রহণ হবে ২১ মে।

এই ধাপের নির্বাচনে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকদের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ভোটারের সংখ্যা ৫ লাখের বেশি যেখানে সেখানে একাধিক সহকারী রিটার্নিং অফিসার নিয়োজিত থাকবেন।

তৃতীয় ধাপের তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়ন ফরম জমার শেষ তারিখ ২ মে, মনোনয়ন যাচাই-বাছাই ৫ মে। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ৬ থেকে ৮মে।

আপিল নিষ্পত্তি ৯ থেকে ১১ মে। প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ১২ই মে। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ ১৩ই মে এবং ভোট ২৯শে মে। এই ধাপে ১১২ উপজেলায় ভোট হবে।

এই ধাপে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে অতিরিক্ত জেলা ও অতিরিক্ত আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা এবং অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে৷

আগামী ৫ জুন চতুর্থ ধাপের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে।

;

১৫০ উপজেলায় বৈধ প্রার্থী ১৭৮৬



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
১৫০ উপজেলায় বৈধ প্রার্থী ১৭৮৬

১৫০ উপজেলায় বৈধ প্রার্থী ১৭৮৬

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপের রিটার্নিং কর্মকর্তা যাচাই বাছাই শেষে মোট বৈধ প্রার্থী দাঁড়াল এক হাজর ৭৮৬ জন।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) মাঠ পর্যায় থেকে পাঠানো তথ্য একীভূত করার পর এ তথ্য জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ।

তিনি জানান, প্রথম ধাপে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইসচেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন এক হাজার ৮৯০ জন। এদের মধ্যে বাছাইয়ে বাতিল হয়েছে ১০৪ জনের মনোনয়নপত্র। আর বৈধ প্রার্থীর সংখ্যা এক হাজার ৭৮৬ জন।

নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ১৮ থেকে ২০ এপ্রিল। আপিল নিষ্পত্তি ২১ এপ্রিল, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২২ এপ্রিল। প্রতীক বরাদ্দ ২৩ এপ্রিল আর ১৫০ উপজেলায় ভোটগ্রহণ হবে ৮ মে।

;

নাটোরের সেই প্রার্থীকে ইসির তলব



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
নাটোরের সেই প্রার্থীকে ইসির তলব

নাটোরের সেই প্রার্থীকে ইসির তলব

  • Font increase
  • Font Decrease

নাটোরের সিংড়া উপজেলা নির্বাচনের চেয়ারম্যান প্রার্থী দেলোয়ার হোসেনকে অপহরণ করার অভিযোগে অপর প্রার্থী মো. লুৎফুল হাবিবকে তলব করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সংস্থাটির উপসচিব মো. আতিয়ার রহমান অভিযুক্তকে এ সংক্রান্ত চিঠি পাঠিয়েছেন।

এতে উল্লেখ করা হয়েছে, ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের ১ম ধাপের ০৮ মে অনুষ্ঠেয় নাটোর জেলার সিংড়া উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে প্রথম আলো পত্রিকায় ‘নাটোরে ৫ ঘণ্টার ব্যবধানে সম্ভাব্য প্রার্থী ও তার ভাইসহ তিনজনকে অপহরণ’ শিরোনামে নাটোরের সিংড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হতে ইচ্ছুক দেলোয়ার হোসেন ও তার ভাইসহ তিনজনকে অপহরণের সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। এ ঘটনায় উক্ত পত্রিকায় আপনি লুৎফুল হাবীবকে দায়ী করা হয়েছে।

ইতোমধ্যে বর্ণিত বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসন এবং গোয়েন্দা সংস্থা হতে প্রতিবেদন পাওয়া গিয়েছে। এছাড়া সকল জাতীয় দৈনিক পত্রিকা ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সচিত্র বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। উল্লিখিত প্রতিবেদন ও পত্রিকান্তে ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা প্রমাণিত হয়েছে। এরূপ ঘটনার জন্য কেন আপনার প্রার্থিতা বাতিল অথবা আপনার বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না সে বিষয়ে লিখিত জবাবসহ নির্বাচন কমিশনে (কক্ষ নং-৩১৪, নির্বাচন ভবন, আগারগাঁও, ঢাকা) আগামী ২২ এপ্রিল সোমবার বিকাল ৪টা ১০ ঘটিকায় ব্যক্তিগতভাবে উপস্থিত হয়ে ব্যাখ্যা প্রদানের জন্য মাননীয় নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত প্রদান করেছেন।

গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত সোমবার অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর নাটোর জেলা নির্বাচন অফিসে গেলে দেলোয়ার হোসেনকে গাড়িতে তুলে নিয়ে গিয়ে আহত অবস্থায় তাকে তার বাড়ির পাশে ফেলে রেখে যায় দুর্বৃত্তরা।

ভুক্তভোগী প্রার্থীর পরিবার এই ঘটনার জন্য আরেক প্রার্থী লুৎফুল হাবীব রুবেল ও তার সমর্থকদের দায়ী করেছে। উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক লুৎফুল কবীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের শ্যালক। দেলোয়ার হোসেন মনোনয়নপত্র দাখিলের আগে লুৎফুল হাবীব ছিলেন একক প্রার্থী।

;