যশোরের ছয় আসনেই নৌকার বিজয়



তবিবর রহমান, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, যশোর, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

যশোরের ছয়টি সংসদীয় আসনেই নৌকার প্রার্থীরা বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছেন। রাত ৯টার পর ভোট গণনা শেষে বেসরকারিভাবে ফলাফল জানিয়েছে জেলা রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়।

যশোর-১ (শার্শা) আসনে দুই লাখ ১১ হাজার  ৪৪৩ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী শেখ আফিল উদ্দিন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির প্রার্থী মফিকুল হাসান তৃপ্তি পেয়েছেন চার হাজার ৯৮১ ভোট। এ আসনে হাতপাখা পেয়েছে এক হাজার ৩৩০ এবং পোলাপফুল পেয়েছে এক হাজার ১৭৭ ভোট।

যশোর-২ (ঝিকরগাছা-চৌগাছা) আসনে তিন লাখ ২৫ হাজার ৭৯৩ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মেজর জেনারেল (অব.) নাসির উদ্দীন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জামায়াত নেতা আবু সাঈদ মোহাম্মদ শাহাদাৎ হোসেন ধানের শীষ প্রতীকের পেয়েছেন ১৩ হাজার ৯৪০ ভোট। এ আসনে হাতপাখা পেয়েছে তিন হাজার তিন ভোট। মঈ পেয়েছে ৫৯১, উদীয়মান সূর্য ৭৭ এবং কাঁঠাল পেয়েছে এক হাজার ২৪ ভোট।

যশোর-৩ (সদর) আসনে তিন লক্ষ ৬১ হাজার ৩৩৩ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী কাজী নাবিল আহমেদ। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির প্রার্থী অনিন্দ্য ইসলাম অমিত পেয়েছেন ৩১ হাজার ৭১০ ভোট। এ আসনে লাঙ্গল প্রতীক এক হাজার ৬৯, পোলাপফুল এক হাজার ৬৭, কুলা ৯১৪ এবং তারা প্রতীকের প্রাপ্ত ভোট ২৫।

যশোর-৪ (বাঘারপাড়া-অভয়নগর-বসুন্দিয়া) আসনে দুই লাখ ৭২ হাজার ১শ’ ৬৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী রণজিৎ কুমার রায়। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির প্রার্থী টিএস আইয়ুব পেয়েছেন ৩০ হাজার ৮৭৪ ভোট। এখানে লাঙ্গল এক হাজার ৯৭৮, হাতপাখা ৫ হাজার ৬৫৭, কাঁঠাল ৭৪২, কুলা ৯৯, আম ২০৯ এবং গোপালফুল এক হাজার ৯৬৯ ভোট পেয়েছেন।

যশোর-৫ (মণিরামপুর) আসনে দুই লাখ ৪২ হাজার ৮৫৬ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী স্বপন ভট্টাচার্য্য। এ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী জমিয়াতে মুদারেসিন দলের মুফতি মুহাম্মদ ওয়াক্কাস পেয়েছেন ২৪ হাজার ৬২১ ভোট। এ আসনে লাঙ্গল ৮৮৪, হুক্কা ১২৪, গোলাপফুল’ ৪১৭ এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী কামরুল হাসান বারী পেয়েছে ৮৫৭ ভোট।

যশোর-৬ (কেশবপুর) আসনে এক লাখ ৫৬ হাজার ৫০৩ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ইসমাত আরা সাদেক। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির প্রার্থী আবুল হাসান আজাদ ধানের শীষ প্রতীকে পেয়েছেন ৫ হাজার ৬৭৩ ভোট। এ আসনে গোলাপফুল পেয়েছেন ৩৮০, লাঙ্গল ৩৫১ ও হাতপাখার প্রাপ্ত ভোট এক হাজার ১৭০।  এদিকে, বিচ্ছিন্ন হামলা, অভিযোগ ও ছয় প্রার্থীর ভোট বর্জনের মধ্যে দিয়ে যশোরে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। দুপুরের পর ৪ আসনের ৬ প্রার্থী সংবাদ সম্মেলন করে ও গণমাধ্যমকে জানিয়ে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন।

যশোর-৩ সদর আসনে বিএনপি প্রার্থী অনিন্দ্য ইসলাম অমিত জানান, তিনি শহরের বারান্দিপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে গিয়ে দেখেন সেখানে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর ছবি ও নৌকা প্রতীক নিয়েই প্রার্থীর লোকজন কেন্দ্রের মধ্যে ঘোরাফেরা করছে। পাশাপাশি নির্বাচন কর্মকর্তারাও আইন মানছেন না।  তিনি এর প্রতিবাদ করলে নৌকার সমর্থকরা তার ওপর চড়াও হয়। দুর্বৃত্তরা তাকে লাঞ্ছিত করার পাশাপাশি তার গাড়ি ভাংচুর করে। পরে তিনি ওই কেন্দ্র থেকে বেরিয়ে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে যান। সেখানে কন্ট্রোল রুমে গিয়ে অভিযোগ করেন। পরে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছেও অভিযোগ করেছেন।  

অমিত আরও অভিযোগ করেন, তিনি সকাল থেকে ১০/১২টি কেন্দ্রে ঘুরেছেন। সব কেন্দ্র থেকেই তার পোলিং এজেন্টদের বের করে দেয়া হয়েছে। কেন্দ্রগুলো বোমাবাজি করা হয়েছে। বিএনপির নেতাকর্মীদের ভোটকেন্দ্রে যেতে বাধা দেয়া হচ্ছে। ক্ষমতাসীনরা কেন্দ্রগুলো দখল করে নিয়ে ভোট কাটছে। প্রশাসন অনিয়ম রোধের পরিবর্তে তাদের সহযোগিতা করছে। পরে অমিত যশোর ইনস্টিটিউট স্কুল কেন্দ্রে গেলে সেখানেও ক্ষমতাসীনদের রোষের মুখে পড়েন।

একই সময় বেলা ১১টার দিকে সেবাসংঘ বালিকা বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দিয়েছেন যশোর-৩ আসনের নৌকার প্রার্থী কাজী নাবিল আহমেদ। ভোট প্রদানের পর তিনি জানান, যশোরে শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখ পরিবেশে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বিএনপি প্রার্থীর অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেন, হামলা-মামলা ও ভোট কাটার ইতিহাস, বিএনপির ইতিহাস।

যশোর প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন করে মফিকুল হাসান তৃপ্তি আশংকা প্রকাশ করে বলেন, আগের রাতেই সন্ত্রাসীরা ভোট কেটে ক্ষমতাসীন প্রার্থীর বাক্সে ভরেন। এ জন্য আজ তার কর্মী সমর্থক এবং ভোটারদের কেন্দ্রে যেতে দেয়া হয়নি। যারা যাওয়ার চেষ্টা করেছে তাদের ভয়ভীতি প্রদর্শন এবং মারধর করা হয়। বিএনপির কর্মী সমর্থকরা ভোট দিতে না পারায় তিনি ভোট প্রত্যাখ্যান করে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে পুনরায় ভোট দাবি করেন।

একই দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেন, যশোর-৫ আসনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী (স্বতন্ত্র) প্রার্থী কামরুল হাসান বারি ও যশোর-৪ আসনে এনপিপির প্রার্থী মুহম্মদ আলী জিন্নাহ। এছাড়া বাকী তিনজনের পক্ষে তাদের নির্বাচনী এজেন্ট গণমাধ্যমে ঘোষণা দিয়ে নির্বাচন বর্জন করেন।

সার্বিক নির্বাচন পরিস্থিতি নিয়ে যশোর জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আবদুল আউয়াল সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, যশোরের ৬টি সংসদীয় আসনে রক্তপাতহীন শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।  ছয় প্রার্থীর নির্বাচন বর্জন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এমন কোনো খবর তাদের জানা নেই।

   

উপজেলা নির্বাচন: ছুটির দিনেও খোলা থাকবে অফিস



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
উপজেলা নির্বাচন: ছুটির দিনেও খোলা থাকবে অফিস

উপজেলা নির্বাচন: ছুটির দিনেও খোলা থাকবে অফিস

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপের ১৫২ নির্বাচন উপলক্ষ্যে সরকারি ও সাপ্তাহিক ছুটির দিনেও অফিস খোলা রেখে কাজ করার জন্য মাঠ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

সংস্থাটির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার উপসচিব মো. আতিয়ার রহমান এ সংক্রান্ত নির্দেশনা মাঠ পর্যায়ের জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তাদেরে পাঠিয়েছেন।

নির্দেশনায় বলা হয়েছে, নির্বাচন উপলক্ষে সাপ্তাহিক ও সরকারি ছুটির দিনে অফিস খোলা রেখে নির্বাচনি কার্যক্রম পরিচালনার ব্যবস্থা করতে হবে।

আগামী ৮ মে প্রথম ধাপে ১৫২ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম ধাপের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ১৫ এপ্রিল। মনোনয়নপত্র বাছাই ১৭ এপ্রিল। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ১৮ থেকে ২০ এপ্রিল। আপিল নিষ্পত্তি ২১ এপ্রিল, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২২ এপ্রিল। প্রতীক বরাদ্দ ২৩ এপ্রিল, আর ভোটগ্রহণ হবে ৮ মে।

নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিয়োগ করা হয়েছে। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দায়ের করা আপিল আবেদন নিষ্পত্তি করবেন আপিল কর্তৃপক্ষ হিসেবে জেলা প্রশাসক।

মোট চার ধাপে অনুষ্ঠেয় ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের পরবর্তীতে তিন ধাপের ভোটগ্রহণ ২৩ ও ২৯ মে এবং ৫ জুন অনুষ্ঠিত হবে। দেশে মোট উপজেলার সংখ্যা ৪৯৫টি।

;

উপজেলা নির্বাচন: প্রার্থীরা সমান ভোট পেলে লটারিতে বিজয়ী নির্ধারণ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপের ১৫২ নির্বাচনে একই পদে প্রার্থীরা সমান ভোট পেলে লটারি করে বিজয়ী নির্ধারণে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

বুধবার (২৭ মার্চ) সংস্থাটির ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান এই নির্দেশনাটি মাঠ পর্যায়ে কর্মকর্তাদের পাঠিয়েছেন।

নির্দেশনায় বলা হয়েছে, চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা সদস্য নির্বাচনের ক্ষেত্রে, ভোট গণনার ফালাফল একত্রীকরণের পর যদি দেখা যায় যে, দুই বা ততোধিক প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর অনুকূলে সমান সংখ্যক ভোট দেওয়ার কারণে উপ-বিধি (২)’র অধীন কোনো প্রার্থীকে নির্বাচিত করা সম্ভব নয়, তাহলে রিটার্নিং অফিসার লটারির মাধ্যমে ফলাফল নির্ধারণ করবেন, লটারি যে প্রার্থীর অনুকূলে যাবে সেই প্রার্থী সবোর্চ্চ ভোট প্রাপ্ত হয়েছেন বলে গণ্য হবে এবং রিটার্নিং অফিসার তাকে নির্বাচিত ঘোষণা করবেন, রিটার্নিং অফিসার কর্তৃক সম্পাদিত লটারির সম্পূর্ণ কার্যক্রম লিপিবদ্ধ করে একটি কার্যবিবরণী প্রস্তুত করবেন এবং উক্ত কার্যবিবরণীতে উপস্থিত প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বা নির্বাচনী এজেন্টের স্বাক্ষর গ্রহণ করবেন।

এছাড়া ভোট গ্রহণের পূর্বে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনীত বৈধ কোনো প্রার্থীর মৃত্যু হলে সংশ্লিষ্ট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদের নির্বাচন কার্যক্রম রিটার্নিং অফিসারগণ বিজ্ঞপ্তির দ্বারা বাতিল করে দেবেন।

পরবর্তীতে কমিশন সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকার সংশ্লিষ্ট পদে নতুন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করবেন এবং কমিশনের উক্ত সিদ্ধান্ত অনুসারে রিটার্নিং অফিসার নির্বাচন অনুষ্ঠানের পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণ করবেন। তবে শর্ত থাকে যে, ইতোপূর্বে কোন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ বলে সাব্যস্ত হয়ে থাকলে এবং তিনি তার প্রার্থিতা প্রত্যাহার না করে থাকলে তাকে নতুন করে মনোনয়নপত্র দাখিল করতে হবে না। ভোট গ্রহণের পূর্বে মহিলা সদস্য পদে মনোনীত বৈধ কোন প্রার্থীর মৃত্যু হলে ভোটগ্রহণ অবশিষ্ট প্রার্থীগণের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে।

আগামী ৮ মে প্রথম ধাপে ১৫২ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম ধাপের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ১৫ এপ্রিল। মনোনয়নপত্র বাছাই ১৭ এপ্রিল। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ১৮ থেকে ২০ এপ্রিল। আপিল নিষ্পত্তি ২১ এপ্রিল, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২২ এপ্রিল। প্রতীক বরাদ্দ ২৩ এপ্রিল, আর ভোটগ্রহণ হবে ৮ মে।

নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিয়োগ করা হয়েছে। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দায়ের করা আপিল আবেদন নিষ্পত্তি করবেন আপিল কর্তৃপক্ষ হিসেবে জেলা প্রশাসক।

মোট চার ধাপে অনুষ্ঠেয় ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের পরবর্তীতে তিন ধাপের ভোটগ্রহণ ২৩ ও ২৯ মে এবং ৫ জুন অনুষ্ঠিত হবে। দেশে মোট উপজেলার সংখ্যা ৪৯৫টি।

;

উপজেলা ভোটে প্রার্থী কে মনোনয়ন দেবে, দলগুলোকে জানাতে বলল ইসি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
উপজেলা ভোটে প্রার্থী কে মনোনয়ন দেবে, দলগুলোকে জানাতে বলল ইসি

উপজেলা ভোটে প্রার্থী কে মনোনয়ন দেবে, দলগুলোকে জানাতে বলল ইসি

  • Font increase
  • Font Decrease

 

আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপের ১৫২ উপজেলা নির্বাচনে ভোটে দলগুলোর প্রার্থী কে মনোনয়ন দেবে, তার নাম ও স্বাক্ষর জানতে চেয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

রোববার (২৪ মার্চ) এই তথ্য জানিয়েছেন সাংবিধানিক সংস্থাটির জনসংযোগ পরিচালক মো. শরিফুল আলম।

ইসি জানায়, তফসিল ঘোষণার সাত দিনের মধ্য এই তথ্য জানাতে হবে। সেই অনুযায়ী আগামী ২৮ মার্চের মধ্য জানাতে হবে।

ইসি জানায়, আগামী ৮ মে বিভিন্ন উপজেলা পরিষদ সাধারণ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বিধিমালা, ২০১৩ এর বিধি ১৫ এর উপবিধি (৩)(গ)(ইইই) অনুযায়ী চেয়ারম্যান/ভাইস চেয়ারম্যান/মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে অংশগ্রহণের জন্য নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সভাপতি বা সাধারণ সম্পাদক বা সমপর্যায়ের পদাধিকারী বা তাহাদের নিকট হতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তির স্বাক্ষরসহ তালিকা সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসারগণকে প্রেরণের জন্য এবং একই সাথে উক্ত পত্রের অনুলিপি নির্বাচন কমিশনে প্রেরণের জন্য বলা হয়েছে।

আগামী ৮ মে দেশের ১৫২টি উপজেলায় প্রথম ধাপের নির্বাচন হবে। তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র জমার শেষ সময় ১৫ এপ্রিল, বাছাই ১৭ এপ্রিল। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ১৮ থেকে ২০ এপ্রিল। আপিল নিষ্পত্তি ২১ এপ্রিল, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২২ এপ্রিল। প্রতীক বরাদ্দ ২৩ এপ্রিল, আর ভোটগ্রহণ হবে ৮ মে।

নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারি রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিয়োগ করা হয়েছে। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দায়ের করা আপিল আবেদন নিষ্পত্তি করবেন আপিল কর্তৃপক্ষ হিসেবে জেলা প্রশাসক।

মোট চার ধাপে অনুষ্ঠেয় ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের পরবর্তীতে তিন ধাপের ভোট ২৩ ও ২৯ মে এবং ৫ জুন অনুষ্ঠিত হবে। দেশে মোট উপজেলার সংখ্যা ৪৯৫টি।

;

‘স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে ইসি’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’-এ রূপান্তরের কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে। নির্বাচন কমিশন (ইসি) স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে বলে জানিয়েছেন জ্যেষ্ঠ নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আহসান হাবিব খান (অব.)।

রোববার (২৪ মার্চ) নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের আইডেন্টিফিকেশন সিস্টেম ফর এনহ্যান্সিং এক্সেস টু সার্ভিসেস-আইডিইএ (২য় পর্যায়) প্রকল্পের আয়োজিত কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব বলেন।

কর্মশালায় ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম, অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ, আইডিইএ প্রকল্প পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল হাসনাত মোহাম্মদ সায়েম, নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক এসএম আসাদুজ্জামান, আইডিইএ প্রকল্পের অতিরিক্ত প্রকল্প পরিচালক মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান এবং সিস্টেম ম্যানেজার, সিনিয়র জেলা/জেলা নির্বাচন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ইসি আহসান হাবিব জানান, স্বাধীনতার মাস মার্চ। আমি গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি, স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে, যার ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণে উদ্বুদ্ধ হয়েছিল দেশের স্বাধীনতাকামী জনগণ। আমি স্মরণ করছি অমর শহিদদের ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের, যাদের অসীম সাহস ও আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে আমাদের স্বাধীনতা।

তিনি জানান, বাংলাদেশ ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’-এ রূপান্তরে দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে। এরই অংশ হিসেবে, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের এনআইডি অনুবিভাগ ও আইডিইএ প্রকল্প (২য় পর্যায়) মাধ্যমে দেশে-বিদেশে বাংলাদেশি নাগরিকদের জাতীয় পরিচয়পত্র সেবা, স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র, ভোটার তালিকা হালনাগাদ ও প্রস্তুতে কারিগরি সহায়তা করতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। এই কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণের অগ্রযাত্রায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে।

জ্যেষ্ঠ এ নির্বাচন কমিশনার বলেন, নাগরিকের তথ্য/উপাত্ত সংশোধন আবেদন সিএমএস-এ স্বয়ংক্রিয়ভাবে ‘আবেদনের ধরণ/ক্যাটাগরি’ দিতে হবে। যাতে সম্মানিত নাগরিকগণকে দ্রুত সেবা নিশ্চিত করা যায়। উপজেলা পর্যায়ে নাগরিকদের বায়োমেট্রিক যাচাই করা করার সুবিধা চালু করা, বর্তমানে একজন নাগরিককে জেলা পর্যায়ে আসতে হয়। এ সেবাটি সহজ করে, উপজেলা থেকে দেয়া সম্ভব হলে বিপুল সংখ্যক নাগরিকের ভোগান্তি লাঘব হবে। আমি আশা করি দু’দিনব্যাপী আয়োজিত এ কর্মশালায় বিস্তারিতভাবে আলোচিত হবে এবং সংশ্লিষ্ট সমস্যাসমূহ ও এর উত্তরণের উপায় বেরিয়ে আসবে।

;