হবিগঞ্জে ২৪ প্রার্থীর মধ্যে জামানত হারালেন ১৬ জন
জেলার ৪টি আসন থেকে নির্বাচনে অংশ নেওয়া স্বতন্ত্রসহ ১০টি রাজনৈতিক দলের ২৪ জন প্রার্থীর মধ্যে ১৬ জন প্রার্থীই তাদের জামানত হারিয়েছেন। এদের মধ্যে রয়েছেন জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি আলহাজ্ব আতিকুর রহমান আতিক ও সাধারণ সম্পাদক শংকর পাল।
জানা যায়, নির্বাচন কমিশনের আইনানুযায়ী সর্বমোট প্রদত্ত ভোটের ৮ ভাগের ১ ভাগ না পেলে ওই প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়। সে মোতাবেক হবিগঞ্জের ১৬ জন প্রার্থী তাদের জামানত বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
জামানত হারানোর তালিকায় আছেন:
হবিগঞ্জ-১ (নবীগঞ্জ-বাহুবল) আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী আতিকুর রহমান আতিক লাঙল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৩ হাজার ৮শ’ ৩৮ ভোট, ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী আবু অঅনিফা আহমেদ হোসেন হাতপাখা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১ হাজার ৫শ’ ৬১ ভোট, বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল বাসদ-এর প্রার্থী মই প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৩শ’ ৮ ভোট, বাংলাদেশ ইসলামি ফন্টের প্রার্থী জুবায়ের আহমেদ মোমবাতি প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২শ’ ৪০ ভোট, কৃষক শ্রমীক জনতালীগের প্রার্থী মো. নূরূল হক গামছা প্রতীক নিয়ে পেয়ে ১শ’ ১০ ভোট। আসনটিতে মোট ভোটার ৩ লাখ ৬৪ হাজার ৯শ' ৩৯ জন। ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন ২ লাখ ৫৬ হাজার ১শ’ ৫৫ জন। এর মধ্যে বাতিল হয়েছে ৩ হাজার ২শ’ ৬৬ ভোট।
হবিগঞ্জ-২ (বানিয়াচং-আজমিরীগঞ্জ) আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী শংকর পাল লাঙল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১ হাজার ১শ’ ৮৭ ভোট, স্বতন্ত্র প্রার্থী আফসার আহমেদ সিংহ প্রর্তীক নিয়ে পেয়েছেন ১ হাজার ৪শ’ ১৩ ভোট, ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী আবুল কামাল মসউদ হাসান হাতপাখা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১ হাজার ১শ’ ৮১ ভোট, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রার্থী এডভোকেট দেবমোহন দেবনাথ গামছা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৪৭ ভোট ও ন্যাশনাল পিপলস্ পার্টির প্রার্থী পরেশ চন্দ্র দাস আম প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২৮৯ ভোট। আসনটিতে মোট ভোটার ৩ লাখ ৬ হাজার ৯শ' ৭৮ জন। এর মধ্যে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন ২ লাখ ৪৬ হাজার ৫শ’ ৬৯ জন। ভোট বাতিল হয়েছে ২ হাজার ৪শ’ ৮৬টি।
হবিগঞ্জ-৩ আসনে বাংলাদেশ কমিউনিটি পার্টির প্রার্থী পীযূষ চক্রবর্তী কাস্তে প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৪শ’ ৩৫ ভোট, বাংলাদেশ ইসলামি আন্দোলনের প্রার্থী মহিব উদ্দিন আহমদ সোহেল হাতপাখা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৪ হাজার ২৬ ভোট, জাতীয় পার্টির প্রার্থী মো. আতিকুর রহমান আতিক লাঙল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৪শ’ ৩৪ ভোট। তবে তিনি তার প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নিয়েছিলেন। আসনটিতে মোট ভোটার ৩ লাখ ২৬ হাজার ৩শ' ৬৩ জন। ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন ২ লাখ ৭১ হাজার ৯শ’ ২৩ জন। এর মধ্যে বাতিল হয়েছে ৫ হাজার ৭৭ ভোট।
হবিগঞ্জ-৪ আসনে জাকের পার্টির প্রার্থী মো. আনছাবুল হক গোলাপ ফুল নিয়ে পেয়েছেন ২ হাজার ৩শ’ ১৯ ভোট, বাংলাদেশ ইসলামি ফ্রন্টের প্রার্থী মাওলানা মোহাম্মদ সোলাইমান খান রাব্বিনী মোমবাতি প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৩ হাজার ২৫ ভোট এবং ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী শেখ মো. সামছুল আলম হাতপাখা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১ হাজার ৯শ’ ৯০ ভোট। আসনটিতে মোট ভোটার ৪ লাখ ২৭ হাজার ২শ ৪৮ জন। ভোট প্রদান করেছেন ৩ লাখ ৬৬ হাজার ২শ’ ৫৯ ভোটার। এর মধ্যে বাতিল হয়েছে ৪শ’ ১৮ ভোট।