যশোরে ৩৭ প্রার্থীর ৩১ জনের জামানত বাজেয়াপ্ত



তবিবর রহমান, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, যশোর, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

একাদশ সংসদ নির্বাচনে যশোরের ৬টি সংসদীয় আসনে অংশগ্রহণকারী ৩৭ প্রার্থীর মধ্যে বিজয়ী ৬ প্রার্থী ছাড়া অন্য ৩১ প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। গণপ্রতিনিধিত্ব আইন ১৯৭২ অনুযায়ী কোনও প্রার্থী নির্বাচনে প্রদত্ত (কাস্টিং ভোট) ভোটের ৮ ভাগের ১ ভাগের কম, অর্থাৎ ১২ দশমিক ৫ শতাংশ ভোট না পেলে তার জামানত বাজেয়াপ্ত হবে। যশোরে শতকরা ৮৩ দশমিক ২০ ভাগ ভোট কাস্ট হলেও ৩১ প্রার্থী ১২ দশমিক ৫ শতাংশ ভোট পাননি। ফলে নির্বাচন কমিশনে জামানত দেওয়া ২০ হাজার টাকা তারা ফেরত পাবেন না।

নির্বাচন অফিস মতে, যশোরের ৬টি সংসদীয় আসনে মোট ভোটার ছিল ২০ লাখ ৯২ হাজার ৪৭২ জন। এরমধ্যে ভোট প্রদান করেন ১৭ লাখ ২৫ হাজার ৫৩৪ জন ভোটার। এ হিসেবে শতকরা ৮৩ দশমিক ২০ ভাগ ভোটার ভোটাধিকার প্রদান করেছেন।

যশোরের রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক মো. আব্দুল আওয়াল স্বাক্ষরিত প্রাথমিক বেসরকারি ফলাফল 'বার্তা প্রেরণ শিট' বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, সংসদীয় যশোর-১ (শার্শা) আসনে মোট ভোটার ছিলেন ২ লাখ ৬৩ হাজার ৬০০ জন। এরমধ্যে ভোট প্রদান করেছেন ২ লাখ ২০ হাজার ৪৫ জন ভোটার। শতকরা হিসেবে ৮৩ দশমিক ৪৮ ভাগ। জামানত বাঁচাতে প্রতি প্রার্থীর ভোটের প্রয়োজন ছিল ২৭ হাজার ৫০৬ ভোট। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ছিলেন ৪জন। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শেখ আফিল উদ্দিন বিজয়ী হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ২ লাখ ১১ হাজার ৪৪৩ ভোট। এ আসনে জামানত বাঁচাতে প্রয়োজনীয় ভোট না পাওয়ায় বিএনপির প্রার্থী মফিকুল হাসান তৃপ্তি (প্রাপ্ত ভোট ৪৯৮১), ইসলামী আন্দোলনের মো. বক্তিয়ার রহমান (প্রাপ্ত ভোট ১৩৩০) ও জাকের পার্টির সাজেদুর রহমান ডব্লিউর (প্রাপ্ত ভোট ১১৭৭) জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে।

যশোর-২ (ঝিকরগাছা-চৌগাছা) আসনে মোট ভোটার ছিলেন ৪ লাখ ৫ হাজার ৮৮২ জন। এরমধ্যে ভোট প্রদান করেছেন ৩ লাখ ৪৫ হাজার ৬২২ জন ভোটার। শতকরা হিসেবে ৮৫ দশমিক ৭৩ ভাগ। জামানত বাঁচাতে প্রতি প্রার্থীর ভোটের প্রয়োজন ছিল ৪৩ হাজার ৪৯৫ ভোট। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ছিলেন ৭জন। এরমধ্যে আওয়ামী লীগের মেজর জেনারেল (অব.) মো. নাসির উদ্দিন তিনি নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন ৩ লাখ ২৫ হাজার ৭৯৩ ভোট। এ আসনে জামানত বাঁচাতে প্রয়োজনীয় ভোট না পাওয়ায় ধানের শীষের প্রার্থী আবু সাঈদ মোহাম্মদ শাহাদাৎ হুসাইন ( প্রাপ্ত ভোট ১৩ হাজার ৯৪০), বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির বিএম সেলিম রেজা (প্রাপ্ত ভোট ১ হাজার ২৫), বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দলের মো. আলাউদ্দিন (প্রাপ্ত ভোট ৫৯১), ইসলামী আন্দোলনের মো. আসাদুজ্জামান (প্রাপ্ত ভোট ৩ হাজার ৩), গণফোরামের এম আছাদুজ্জামান (প্রাপ্ত ভোট ৭) ও জাতীয় পার্টির ফিরোজ শাহর (প্রাপ্ত ভোট ১হাজার ১৮২) জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে।

যশোর-৩ (সদর) আসনে মোট ভোটার ছিলেন ৫ লাখ ২৩ হাজার ৩৪৫ জন। এরমধ্যে ভোট প্রদান করেছেন ৪ লাখ ১ হাজার ১৩৬ জন ভোটার। শতকরা হিসেবে ৭৬ দশমিক ৬৫ ভাগ। জামানত বাঁচাতে প্রতি প্রার্থীর ভোটের প্রয়োজন ছিল ৫০ হাজার ১৪২ ভোট। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ছিলেন ৬ জন। এরমধ্যে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের কাজী নাবিল আহমেদ। তিনি নৌকা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৩ লাখ ৬১ হাজার ৩৩৩ ভোট। এ আসনে জামানত বাঁচাতে প্রয়োজনীয় ভোট না পাওয়ায় বিএনপির প্রার্থী অনিন্দ্য ইসলাম অমিত (প্রাপ্ত ভোট ৩১ হাজার ৭১০), জাতীয় পার্টির মো. জাহাঙ্গীর আলম (প্রাপ্ত ভোট ১০ হাজার ৬৯), জাকের পার্টির মনিরুজ্জামান মনির (প্রাপ্ত ভোট ১ হাজার ৬৬৭), বিকল্পধারার মারুফ হাসান কাজল (প্রাপ্ত ভোট ৯১৪) ও জেএসডির সৈয়দ বিপ্লব আজাদ’র (প্রাপ্ত ভোট ২৫ ভোট) জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে।

যশোর-৪ (অভয়নগর-বাঘারপাড়া) আসনে মোট ভোটার ছিলেন ৩ লাখ ৮৬ হাজার ৯৯১ জন। এরমধ্যে ভোট প্রদান করেছেন ৩ লাখ ১৬ হাজার ৩৩৮ জন ভোটার। শতকরা হিসেবে ৮১ দশমিক ৭৪ ভাগ। জামানত বাঁচাতে প্রতি প্রার্থীর ভোটের প্রয়োজন ছিল ৩৯ হাজার ৫৪৩ ভোট। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ছিলেন ৮জন। এরমধ্যে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের রণজিৎ কুমার রায়। তিনি নৌকা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২ লাখ ৭৩ হাজার ২৩৪ ভোট। এ আসনে জামানত বাঁচাতে প্রয়োজনীয় ভোট না পাওয়ায় বিএনপির প্রার্থী টিএস আইয়ুব (প্রাপ্ত ভোট ৩০ হাজার ৮৭৪), জাতীয় পার্টির মো. জহুরুল হক (প্রাপ্ত ভোট ১হাজার ৯৬৬), ইসলামী আন্দোলন নাজমুল হুদা (প্রাপ্ত ভোট ৫ হাজার ৬৯৮), বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির লে. ক. (অব.) এম শাব্বির আহমেদ (প্রাপ্ত ভোট ৭৪২), বিকল্পধারা বাংলাদেশের নাজিম উদ্দিন আল আজাদ (প্রাপ্ত ভোট ৯৯), ন্যাশনাল পিপলস পার্টির মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ (প্রাপ্ত ভোট ১৮০ ও জাকের পার্টির লিটন মোল্লার (প্রাপ্ত ভোট ৯২) জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে।

যশোর-৫ (মণিরামপুর) আসনে মোট ভোটার ছিলেন ৩ লাখ ১৯ হাজার ৮৪ জন। এরমধ্যে ভোট প্রদান করেছেন ২ লাখ ৭৫ হাজার ৭৪ জন ভোটার। শতকরা হিসেবে ৮৬ দশমিক ২১ ভাগ। জামানত বাঁচাতে প্রতি প্রার্থীর ভোটের প্রয়োজন ছিল ৩৪ হাজার ৩৮৫ ভোট। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ছিলেন ৭জন। এরমধ্যে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের আওয়ামী লীগের স্বপন ভট্টাচার্য। তিনি নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন ২ লাখ ৪২ হাজার ৮৫৬ ভোট। এ আসনে জামানত বাঁচাতে প্রয়োজনীয় ভোট না পাওয়ায় ধানের শীষের প্রার্থী মুহাম্মদ ওয়াক্কাস (প্রাপ্ত ভোট ২৪ হাজার ৬২১), জাতীয় পার্টির এমএ হালিম (প্রাপ্ত ভোট ৮৮৪), ইসলামী আন্দোলনের ইবাদুল হক খালাসি (প্রাপ্ত ভোট ২ হাজার ৭৭৪), স্বতন্ত্র প্রার্থী কামরুল ইসলাম বারী (প্রাপ্ত ভোট ৮৫৭), জাপার নিজাম উদ্দিন অমিত (প্রাপ্ত ভোট ১২৪) ও জাকের পার্টির রবিউল ইসলামের (প্রাপ্ত ভোট ৩৮৪) জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে।

যশোর-৬ (কেশবপুর) আসনে মোট ভোটার ছিলেন ১ লাখ ৯৩ হাজার ৫৭০ জন। এরমধ্যে ভোট প্রদান করেছেন ১ লাখ ৬৪ হাজার ৯৮৫ জন ভোটার। শতকরা হিসেবে ৮৫ দশমিক ২৩ ভাগ। জামানত বাঁচাতে প্রতি প্রার্থীর ভোটের প্রয়োজন ছিল ২০ হাজার ৬২৩ ভোট। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ছিলেন ৫জন। এরমধ্যে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের ইসমাত আরা সাদেক। তিনি নৌকা প্রতীকে ভোট পেয়েছেন ১ লাখ ৫ হাজার ৫০৬। এ আসনে জামানত বাঁচাতে প্রয়োজনীয় ভোট না পাওয়ায় বিএনপির প্রার্থী আবুল হোসেন আজাদ (প্রাপ্ত ভোট ৫ হাজার ৬৫৩), ইসলামী আন্দোলনের আবু ইউসুফ বিশ্বাস (প্রাপ্ত ভোট ১হাজার ১৩০), জাতীয় পার্টির মো. মাহবুব আলম (প্রাপ্ত ভোট ৩৪১) ও জাকের পার্টির মো. সাইদুজ্জামানের (প্রাপ্ত ভোট ৩৮০) জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে।

   

সিলেটে ২৮ চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ ৫৮ জনের মনোনয়নপত্র দাখিল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিলেট
সিলেটে ২৮ চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ ৫৮ জনের মনোনয়নপত্র দাখিল

সিলেটে ২৮ চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ ৫৮ জনের মনোনয়নপত্র দাখিল

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রথম ধাপে সিলেটে চারটি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ২৮ চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ ৫৮ জন অনলাইনে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। উপজেলা চারটি হলো- সিলেট সদর, দক্ষিণ সুরমা, বিশ্বনাথও গোলাপগঞ্জ।

উপজেলাগুলোতে চেয়ারম্যান পদে ২৮ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২০ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১০ জন প্রার্থী সোমবার (১৫ এপ্রিল) মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। এরমধ্যে বিশ্বনাথ উপজেলায় সবচেয়ে বেশি চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন।

সিলেট সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৭ জন এবং ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২ জন মনোনয়ন দাখিল করেছেন।

চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমাদানকারীরা হলেন-মো. এজাজুল হক, মো. ইসলাম উদ্দিন, মো. আহাদ মিয়া, মো. সুজাত আলী রফিক, মো. সামসুল ইসলাম, মিল্লাত আহমদ চৌধুরী, ডা. মো. খলিলুর রহমান।

ভাইস চেয়ারম্যান পদে-মো.নিজাম উদ্দিন, বিলাশ বোনার্জী, মো.সাইফুল ইসলাম, সেলিম আহমেদ, মো.জাকির হোসাইন, মো.ওলিউর রহমান, নুরুল ইসলাম ও রথীন্দ্র লাল দাস। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে-দিলরুবা বেগম ও হাছিনা আক্তার মনোনয়ন জমা দেন।

দক্ষিণ সুরমা উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৭ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

চেয়ারম্যান পদে- মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম. মোহাম্মদ সুলাইমান হোসেন, মো. জুয়েল আহমদ, মো. বদরুল ইসলাম, মোহাম্মদ শামীম আহমদ, মো. সাহেদ মোশাররফ ও মো.মইনুল ইসলাম মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন দাখিলকারীরা হলেন-মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান, ফয়েজ আহমদ, আলী আছগর খাঁন শামীম, মো.আব্দুর রহমান ও নন্দন চন্দ্র পাল মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। এছাড়া মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে আইরিন রহমান কলি, হালিমা বেগম ও ফাহিমা বেগম।

বিশ্বনাথ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ১১ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জন মনোনয়ন দাখিল করেছেন।

চেয়ারম্যান দাখিলকারীরা হলেন-বীরমুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী এনাম, অ্যাডভোকেট গিয়াস উদ্দিন, আকদ্দুছ আলী, আলতাব হোসেন, শমসাদুর রহমান রাহিন, এআর চেরাগ আলী, সোহেল আহমদ চৌধুরী, গৌছ খান, সেবুল মিয়া ,সফিক উদ্দিন, নিজাম উদ্দিন সিদ্দিকী।

ভাইস চেয়ারম্যান পদে- সিরাজুল ইসলাম, মুহিবুর রহমান সুইট, মো.কাওছার খান, আব্দুর রব সরকার ইসলাম উদ্দিন ও পার্থ সারথী দাশ পাপ্পু মনোনয়নপত্র জমা দেন। এছাড়াও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে জুলিয়া বেগম, বেগম স্বপ্না শাহিন ও করিমা বেগম মনোনয়নপত্র জমা দেন।

গোলাপগঞ্জ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৩ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২জন মনোনয়নপত্র জমা দেন।

চেয়ারম্যান পদে-মঞ্জুর কাদির শাফি, আবু সুফিয়ান ও শাহিদুর রহমান চৌধুরী মনোনয়নপত্র জমা দেন।

ভাইস চেয়ারম্যান পদে- ফরহাদ আহমদ, আবু সুফিয়ান মো. আজম, মো. লবিবুর রহমান, মো. আকমল হোসেন ও নাবেদ হোসেন মনোনয়ন জমা দিয়েছেন।

আর মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে নার্গিস পারভিন ও সেলিনা আক্তার শীলা মনোনয়ন জমা দেন।

এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন সিলেটের সিনিয়র জেলা নির্বাচন অফিসার মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান। তিনি বলেন, এবার সম্পূর্ণ অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা নেওয়া হয়েছে।

নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপের ভোট হবে আগামী ৮ মে। এই ধাপে ১৫২ উপজেলায় ভোটগ্রহণ করার সিদ্ধান্ত দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এর মধ্যে ২২টি উপজেলাতে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে ভোটগ্রহণ করা হবে।

নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, প্রথম ধাপের মনোনয়নপত্র দাখিল ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত, বাছাই ১৭ এপ্রিল, রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ১৮ থেকে ২০ এপ্রিল। আপিল নিষ্পত্তি ২১ এপ্রিল, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২২ এপ্রিল। প্রতীক বরাদ্দ ২৩ এপ্রিল এবং ৮ মে ১৫০ উপজেলায় ভোটগ্রহণ হবে।

;

উপজেলা নির্বাচন: রাঙ্গামাটির ৪ উপজেলায় ৩৭ মনোনয়ন জমা



ডিসট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাঙ্গামাটি
উপজেলা নির্বাচন: রাঙ্গামাটির ৪ উপজেলায় ৩৭ মনোনয়ন জমা

উপজেলা নির্বাচন: রাঙ্গামাটির ৪ উপজেলায় ৩৭ মনোনয়ন জমা

  • Font increase
  • Font Decrease

৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপের ভোটে তিনটি পদে রাঙামাটির সদর উপজেলাসহ মোট চার উপজেলায় চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইসচেয়ারম্যান এই তিন পদে সর্বমোট ৩৭ জন প্রার্থী প্রথমবারের মতো অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। জেলা নির্বাচন অফিস কর্তৃপক্ষ বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

দায়িত্বশীল সূত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, চার উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ১৩ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১৪ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১০ জন আগ্রহী প্রার্থী মনোনয়নপত্র অনলাইনের মাধ্যমে দাখিল করেছেন।

রাঙ্গামাটি সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে আবেদন করেছেন মোট ৬ জন। তারা হলেন শহীদুজ্জামান মহসিন রোমান, মো. শাহজাহান, অন্ন সাধন চাকমা, পঞ্চানন ভট্টাচার্য, বিপ্লব চাকমা ও সুফিয়া কামাল ঝিমি। 

ভাইস চেয়ারম্যান পদে আবেদন করেছেন ৬ জন। তারা হলেন চন্দ্রজিৎ দেওয়ান, দয়াময় চাকমা, দুর্গেশ্বর চাকমা, পলাশ কুসুম চাকমা, মো. মনিরুল ইসলাম ও মো.  রিদওয়ানুল হক সেলিম।

মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে আবেদন করেছেন মোট ৩ জন। তারা হলেন নাসরিন ইসলাম, মনিকা আক্তার ও রিতা চাকমা।

রাঙ্গামাটির কাউখালী উপজেলায় এবারে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য অনলাইনে আবেদন করেছেন ২ জন। তারা হলেন মো. সামশুদ্দোহা চৌধুরী ও মংসুইউ চৌধুরী।

ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য অনলাইনে আবেদন করেছেন ৪ জন। তারা হলেন অংপ্রু মারমা, কে এম আসিফ নেওয়াজ, মো. ফিরোজ আহাম্মদ ও লা থোয়াই মারমা।

মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে আবেদন করেছেন ৩ জন। তারা হলেন এ্যানী চাকমা কৃপা, জান্নাতুল ফেরদৌস ও নিংবাইউ মারমা।

রাঙ্গামাটির জোড়াছড়ি উপজেলায় পদে আবেদন করেছেন সর্বমোট ৩ জন। তারা হলেন কেতন চাকমা, জ্ঞানেন্দু বিকাশ চাকমা ও সুরেশ কুমার চাকমা।

ভাইস চেয়ারম্যান পদে আবেদন করেছেন ২ জন। তারা হলেন কামিনী রঞ্জন চাকমা ও রন্টু চাকমা।

মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে আবেদন করেছেন ২ জন। তারা হলেন, অনিতা দেবী চাকমা ও জ্যোৎস্না তালুকদার।

রাঙ্গামাটির বরকল উপজেলা থেকে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য অনলাইনে আবেদন করেছেন ২ জন। তারা হলেন, বিধান চাকমা ও সন্তোষ কুমার চাকমা।
ভাইস চেয়ারম্যান পদে আবেদন করেছেন ২ জন। জ্ঞান জ্যোতি চাকমা ও পুলিন বিহারি চাকমা।

মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে আবেদন করেছেন ২ জন। তারা হলেন, রাখি চাকমা ও সুচরিতা চাকমা। 

নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, তফসিল অনুযায়ী, প্রথম ধাপের মনোনয়নপত্র বাছাই হবে আগামীকাল বুধবার ১৭ এপ্রিল। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করা যাবে ১৮ থেকে ২০ এপ্রিল। আপিল নিষ্পত্তি হবে ২১ এপ্রিল, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২২ এপ্রিল। পরদিন প্রতীক বরাদ্দের পর প্রচারণা শুরু হবে।

প্রথম ধাপের রাঙামাটির চার উপজেলাসহ সর্বমোট ১৫০টি উপজেলায় ভোটগ্রহণ হবে চলতি বছরের আগামী ৮ মে।

এ ধাপের নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে এবং সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দায়ের করা আপিল আবেদন নিষ্পত্তি করবেন জেলা প্রশাসক।

;

উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হচ্ছেন বিএনপি-জামায়াত নেতারাও



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে সংগঠিত সংসদ নির্বাচন বর্জন করে আসলেও এবার কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করেই উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন বিএনপি ও জামায়াত নেতারা।

প্রথম ধাপের ১৫০টি উপজেলা নির্বাচনের বেশ কয়েকটিতে চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান পদে অনলাইনে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন তারা। তবে কত উপজেলায় মোট কতজন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন তার প্রকৃত তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে এ সংখ্যা ৫০ জনের কম নয় বলে উল্লেখ করেছে  জেলা ও উপজেলা অফিস।

সোমবার (১৫ এপ্রিল) বিকাল ৪টায় প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমার সময় শেষ হয়েছে। আগামী ৮ মে প্রথম ধাপের ১৫০ উপজেলায় ভোটগ্রহণ হবে। 

নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, ১৫০টি উপজেলায় মোট ১৮৯০ প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৬৯৫ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৭২৪ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪৭১ জন রয়েছেন। মনোনয়নপত্র দাখিলের দিনই বাগেরহাট সদর ও মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলা চেয়ারম্যানসহ ১২টি পদে একজন করে প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। 

নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা জানান, এবারই প্রথম পুরোপুরি অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার বাধ্যবাধকতা আরোপ করা হয়েছে। এ কারণে মনোনয়নপত্র দাখিলের দিন রিটার্নিং কর্মকর্তার দপ্তরগুলোতে শোরগোল ছিল না, আচরণ বিধিমালা লঙ্ঘনেরও খবর পাওয়া যায়নি। 

উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বিধিমালায় দলীয় প্রতীক থাকলেও এবার প্রার্থী মনোনয়ন দেবে না বলে আগেই ঘোষণা দিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। এর মধ্য দিয়ে নির্বাচন দলীয় নেতাকর্মীদের জন্য উন্মুক্ত রাখা হয়। অপরদিকে নির্বাচন কমিশনও স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার বিধান শিথিল করে। স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে ২৫০ জন ভোটারের সমর্থনসূচক স্বাক্ষর জমা দেওয়ার বিধান বাতিল করা হয়। তবে জামানতের বিধানে কড়াকড়ি করা হয়েছে। স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার সুযোগ তৈরি হওয়ায় অনেক উপজেলায় বিপুলসংখ্যক প্রার্থী হয়েছেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল ও সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলা চেয়ারম্যান পদে ১১ জন করে প্রার্থী হয়েছেন। নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলায় ১০ জন চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।

যেসব উপজেলায় প্রার্থী হয়েছেন বিএনপি ও জামায়াত নেতারা : আমাদের ব্যুরো, জেলা ও উপজেলা অফিস থেকে পাঠানো প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৫ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২ জন মনোনয়ন পত্র দাখিল করেছেন। এ উপজেলায় সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আতাউর রহমান মুকুল চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। বাকি প্রার্থীরা হলেনÑবর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এমএ রশিদ, মুছাপুর ইউপি চেয়ারম্যান ও জেলা জাতীয় পার্টির সহসভাপতি মাকসুদ হোসেন, তার ছেলে মাহমুদুল হাসান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম আবু সুফিয়ান।

প্রার্থী হওয়ার বিষয়ে বিএনপি নেতা আতাউর রহমান মুকুল বলেন, ‘এবার দলীয় প্রতীকে নির্বাচন হবে না। তাই আমি মনোনয়নপত্র দাখিল করেছি। আল্লাহতায়ালা যাকে নির্ধারণ করে রেখেছেন তিনিই নির্বাচিত হবেন। আমি জনগণের খেদমত করে যাচ্ছি। এটাই আমার মূল লক্ষ্য।’  

নাটোরের ধামইরহাট উপজেলায় বিএনপি নেতা মো. আয়েন উদ্দিন ডালিম; মহাদেবপুরে উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন; ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নুরুজ্জামান লস্কর তপু; কুমিল্লার মেঘনায় উপজেলা বিএনপি সভাপতি মো. রমিজ উদ্দিন; একই উপজেলার নাঙ্গলকোটে উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মো. মাজহারুল ইসলাম; চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলায় বিএনপি নেতা মো. আশরাফ হোসেন আলিম ও তার ছেলে আব্দুল্লাহ আল রাইহান; ভোলাহাট উপজেলায় বিএনপির মোহাম্মদ বাবর আলী, মো. আনোয়ারুল ইসলাম ও ইয়াজদানী আলীম আল রাজী; ময়মনসিংহের ফুলপুরে পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এমরান হাসান পল্লব চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছেন। 

একইভাবে নাটোর সদর উপজেলায় বিএনপি নেতা গোলাম সরোয়ার ও বিএনপি কর্মী সাবেক ভিপি মো. ইসতেয়াক আহম্মেদ (হিরা); একই জেলার নলডাঙ্গা উপজেলায় বিএনপির উপজেলা কমিটির সহ-সভাপতি সরদার আফজাল হোসেন; পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক ভাইস-চেয়ারম্যান ফায়জুল কবির তালুকদার; বান্দরবন সদর উপজেলায় জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আব্দুল কুদ্দুছ; নওগাঁর মহাদেবপুরে থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো. সাজ্জাদ হোসেন; সিলেটের বিশ্বনাথে উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক ও সাবেক ভাস চেয়ারম্যান গৌছ খান, যুক্তরাজ্য বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সেবুল মিয়া ও যুক্তরাজ্য বিএনপি নেতা সফিক উদ্দিন চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছেন। 
একইভাবে আরও অনেক উপজেলায় চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান পদে দলটির অনেক নেতা প্রার্থী হয়েছেন। 

চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে জামায়াতে ইসলামীর উপজেলা আমির আব্দুর রশিদ পাটোয়ারী, নাটোরের ধামইরহাট উপজেলায় নায়েবে আমির মাওলানা মো. আতাউর রহমান, ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলা আমির ওলিউর রহমান, চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে সাবেক জামায়াত নেতা মো. সিরাজুল ইসলাম, কুষ্টিয়া সদর উপজেলায় জেলা জামায়াতের সাধারণ সম্পাদক সুজা উদ্দিন জোয়ার্দার, দিনাজপুরের বিরামপুরে জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির এনামুল হক, লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধা উপজেলায় জামায়াত নেতা হাবিবুর রহমান এবং সিলেটের বিশ্বনাথে উপজেলা আমির নিজাম উদ্দিন সিদ্দিকী চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছেন। এর বাইরে বেশ কয়েকটি উপজেলা নির্বাচনে জামায়াত নেতারা প্রার্থী হয়েছেন। 

;

কুষ্টিয়ার দুই উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ১০ প্রার্থীর মনোনয়ন দাখিল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবিঃ সংগৃহীত

ছবিঃ সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কুষ্টিয়ার দুই উপজেলায় মোট ১০ জন প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। 

এর মধ্যে কুষ্টিয়া সদর উপজেলা পরিষদে ৩ জন এবং খোকসা উপজেলায় মনোনয়ন জমা দিয়েছেন ৭ জন প্রার্থী।

সোমবার (১৫ এপ্রিল) মনোনয়ন দাখিলের শেষ দিনে প্রার্থীরা এ মনোনয়ন জমা দেন।

কুষ্টিয়া সদর উপজেলা পরিষদের প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান কুষ্টিয়া শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান আতা, জেলা জামায়াতের সাধারণ সম্পাদক সুজাউদ্দিন জোয়ারদার ও আবু আহাদ আল মামুন।

খোকসা উপজেলায় প্রার্থী হয়েছেন বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বাবুল আখতার, উপজেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি আব্দুর রহিম খান ও তার ছেলে শাওন মাহমুদ খান, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক আল মাসুম মোরশেদ শান্ত, ওসমানপুর ইউপি চেয়ারম্যান অহিদুল ইসলাম ও তার স্ত্রী ছালেহা বেগম এবং ভাই সাইফুল ইসলাম।

এছাড়াও দুই উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান পদের জন্য মনোনয়ন জমা দিয়েছেন ১২ জন প্রার্থী। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ৩ জন এবং খোকসা উপজেলায় রয়েছেন ৯ জন।

;