ঢাকা উত্তরের নতুন ১৮ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হলেন যারা
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) সংযুক্ত নতুন ১৮টি ওয়ার্ডের সাধারণ কাউন্সিলর ও ছয়টি সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা আবুল কাশেম।
শুক্রবার (১ মার্চ) সকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে স্থাপিত ‘ফলাফল সংগ্রহ ও পরিবেশন কেন্দ্র’ থেকে চূড়ান্ত ফল ঘোষণা করা হয়।
চূড়ান্ত ফলে নির্বাচিত কাউন্সিলরা হলেন:
১৩ নম্বর সংরক্ষিত ওয়ার্ডে বিজয়ী হয়েছেন. মাহফুজা ইসলাম। তার প্রাপ্ত ভোট ১৩ হাজার ৫৩২ (জিপ গাড়ি)। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নিলুফার ইয়াসমিন ইতি পেয়েছেন ১১ হাজার ৯৪০ ভোট (আনারস)।
১৪ নম্বর সংরক্ষিত ওয়ার্ডে কামরুন নাহার (চশমা প্রতীকে) ৮ হাজার ৭৫৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোসা. নাজমা সুলতানা পেয়েছেন ৮ হাজার ৫৭৯ ভোট (আনারস)।
১৫ নম্বর সংরক্ষিত ওয়ার্ডে সোনিয়া সুলতানা রুনা ৭ হাজার ৭৯৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন (আনারস)। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সেলিনা আক্তার পেয়েছেন ৬ হাজার ১৯৭ ভোট (ডলফিন)।
১৬ নম্বর সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ইলোরা পারভীন ১০ হাজার ৪৯২ ভোটে বিজয়ী হয়েছেন (বেহালা প্রতীকে)। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ফাতেমা খাতুন পেয়েছেন ৮ হাজার ২৩১ ভোট (বই)।
১৭ নম্বর সংরক্ষিত ওয়ার্ডে জাকিয়া সুলতানা ১০ হাজার ৩৪০ ভোটে বিজয়ী হয়েছেন (চশমা প্রতীক)। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আবেদা আক্তার পেয়েছেন ৭ হাজার ১২১ ভোট (বই)।
১৮ নম্বর সংরক্ষিত ওয়ার্ডের সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে কমলা রানী মুক্তা জিপ গাড়ি প্রতীকে ১০ হাজার ৭০৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোছা. জুলিয়া আক্তার বই প্রতীকে পেয়েছেন ৮ হাজার ৯৫০ ভোট।
৩৭ নম্বর ওয়ার্ডে মো. জাহাঙ্গীর আলম ঠেলাগাড়ি প্রতীক নিয়ে ৮ হাজার ২৩৪ ভোটে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো. এমদাদুল হক পেয়েছেন ৩ হাজার ৫৬১ ভোট (লাটিম)।
৩৮ নম্বর ওয়ার্ডে শেখ সেলিম ৫ হাজার ১৪৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন (লাটিম)। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম পেয়েছেন ২ হাজার ৬১২ ভোট (ব্যাডমিন্টন র্যাকেট)।
৩৯ নম্বর ওয়ার্ডে ঠেলাগাড়ি প্রতীক নিয়ে মো. শফিকুল ইসলাম ৪ হাজার ৫৬৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ফরিদ আহমেদ পেয়েছেন ৪ হাজার ২৪৫ ভোট (ঘুড়ি)।
৪১ নম্বর ওয়ার্ডে মো. শফিকুল ইসলাম ৩ হাজার ২১২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন (ঠেলাগাড়ি প্রতীকে)। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো. আবদুল্লাহ খান পেয়েছেন ২ হাজার ৯০০ ভোট (রেডিও)।
৪২ নম্বর ওয়ার্ডে ফারুক আহম্মেদ ৭ হাজার ৯৭৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন (ঘড়ি)। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো. আবদূর রহিম শেখ সৈকত পেয়েছেন ২৩৮ ভোট (ঠেলাগাড়ি)।
৪৪ নম্বর ওয়ার্ডে মো. শফিকুল (শফিক) ৮ হাজার ৭৪৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন (ঠেলাগাড়ি)। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো. কামালউদ্দিন পেয়েছেন ২ হাজার ৬৮১ ভোট (ঘুড়ি)।
৪৬ নম্বর ওয়ার্ডে ৩ হাজার ৭৩৬ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন মো. সাইদুর রহমান সরকার (ঝুড়ি প্রতীকে)। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আলহাজ জামাল উদ্দিন আহমেদ পেয়েছেন ২ হাজার ৬৬০ ভোট (টিফিন ক্যারিয়ার)।
৪৭ নম্বর ওয়ার্ডে ঝুড়ি প্রতীক নিয়ে মোতালেব মিয়া ৬ হাজার ৬৪১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো. খায়রুল আলম পেয়েছেন ১ হাজার ৯৯৫ ভোট (ঘুড়ি)।
৪৮ নম্বর ওয়ার্ডে মাসুদুর রহমান দেওয়ান ৫ হাজার ৭৯৩ ভোট (ঠেলাগাড়ি) পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী এস এম তোফাজ্জল হোসেন (লাটিম প্রতীকে) পেয়েছেন ৫ হাজার ৬৭৭ ভোট।
৪৯ নম্বর ওয়ার্ডে ঘুড়ি প্রতীকে মো. আনিছুর রহমান নাঈম ৯ হাজার ৩৮ পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো. সফিউদ্দিন মোল্লা পেয়েছেন ২ হাজার ৯৬৯ ভোট (ট্রাক্টর)।
৫১ নম্বর ওয়ার্ডে মোহাম্মদ শরীফুর রহমান ২ হাজার ৯২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন (ব্যাডমিন্টন র্যাকেট)। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো. মামুন সরকার পেয়েছেন ১ হাজার ১০৬ ভোট (মিষ্টি কুমড়া)।
৫২ নম্বর ওয়ার্ডে মো. ফরিদ আহমেদ বিজয়ী হয়েছেন ২ হাজার ৫৭ ভোট পেয়ে (লাটিম প্রতীকে)। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো. ইব্রাহীম গনি পেয়েছেন ২ হাজার ২৮ ভোট (ব্যাডমিন্টন র্যাকেট)।
৫৩ নম্বর ওয়ার্ডে মো. নাসির উদ্দিন ৭ হাজার ৮৫০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন (ঘুড়ি প্রতীকে)। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো. ফিরোজ আলম পেয়েছেন ৩ হাজার ৮৬৩ ভোট (লাটিম)।
৫৪ নম্বর ওয়ার্ডে জাহাঙ্গীর হোসেন ৩ হাজার ৮৭৯ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন (ঝুড়ি প্রতীকে)। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো. মজিবুর পেয়েছেন ২ হাজার ২ ভোট (কাঁটা চামচ)।
উত্তরের ১৮টি ওয়ার্ডের সাধারণ কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ১১৬ জন প্রার্থী আর সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৪৫ জন।
এরআগে গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত এই ওয়ার্ডগুলোতে টানা ভোট নেওয়া হয়।