ঢাকা উত্তরের নতুন ১৮ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হলেন যারা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) সংযুক্ত নতুন ১৮টি ওয়ার্ডের সাধারণ কাউন্সিলর ও ছয়টি সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা আবুল কাশেম।

শুক্রবার (১ মার্চ) সকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে স্থাপিত ‘ফলাফল সংগ্রহ ও পরিবেশন কেন্দ্র’ থেকে চূড়ান্ত ফল ঘোষণা করা হয়।

চূড়ান্ত ফলে নির্বাচিত কাউন্সিলরা হলেন:

১৩ নম্বর সংরক্ষিত ওয়ার্ডে বিজয়ী হয়েছেন. মাহফুজা ইসলাম। তার প্রাপ্ত ভোট ১৩ হাজার ৫৩২ (জিপ গাড়ি)। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নিলুফার ইয়াসমিন ইতি পেয়েছেন ১১ হাজার ৯৪০ ভোট (আনারস)।

১৪ নম্বর সংরক্ষিত ওয়ার্ডে কামরুন নাহার (চশমা প্রতীকে) ৮ হাজার ৭৫৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোসা. নাজমা সুলতানা পেয়েছেন ৮ হাজার ৫৭৯ ভোট (আনারস)।

১৫ নম্বর সংরক্ষিত ওয়ার্ডে সোনিয়া সুলতানা রুনা ৭ হাজার ৭৯৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন (আনারস)। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সেলিনা আক্তার  পেয়েছেন ৬ হাজার ১৯৭ ভোট (ডলফিন)।

১৬ নম্বর সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ইলোরা পারভীন ১০ হাজার ৪৯২ ভোটে বিজয়ী হয়েছেন (বেহালা প্রতীকে)। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ফাতেমা খাতুন পেয়েছেন ৮ হাজার ২৩১ ভোট (বই)।

১৭ নম্বর সংরক্ষিত ওয়ার্ডে জাকিয়া সুলতানা ১০ হাজার ৩৪০ ভোটে বিজয়ী হয়েছেন (চশমা প্রতীক)। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আবেদা আক্তার পেয়েছেন ৭ হাজার ১২১ ভোট (বই)।

১৮ নম্বর সংরক্ষিত ওয়ার্ডের সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে কমলা রানী মুক্তা জিপ গাড়ি প্রতীকে ১০ হাজার ৭০৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোছা. জুলিয়া আক্তার বই প্রতীকে পেয়েছেন ৮ হাজার ৯৫০ ভোট।

৩৭ নম্বর ওয়ার্ডে মো. জাহাঙ্গীর আলম ঠেলাগাড়ি প্রতীক নিয়ে ৮ হাজার ২৩৪ ভোটে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো. এমদাদুল হক পেয়েছেন ৩ হাজার ৫৬১ ভোট (লাটিম)।

৩৮ নম্বর ওয়ার্ডে শেখ সেলিম ৫ হাজার ১৪৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন (লাটিম)। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম পেয়েছেন ২ হাজার ৬১২ ভোট (ব্যাডমিন্টন র‌্যাকেট)।

৩৯ নম্বর ওয়ার্ডে ঠেলাগাড়ি প্রতীক নিয়ে মো. শফিকুল ইসলাম ৪ হাজার ৫৬৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ফরিদ আহমেদ পেয়েছেন ৪ হাজার ২৪৫ ভোট (ঘুড়ি)।

৪১ নম্বর ওয়ার্ডে মো. শফিকুল ইসলাম ৩ হাজার ২১২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন (ঠেলাগাড়ি প্রতীকে)। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো. আবদুল্লাহ খান পেয়েছেন ২ হাজার ৯০০ ভোট (রেডিও)। 

৪২ নম্বর ওয়ার্ডে ফারুক আহম্মেদ ৭ হাজার ৯৭৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন (ঘড়ি)। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো. আবদূর রহিম শেখ সৈকত পেয়েছেন ২৩৮ ভোট (ঠেলাগাড়ি)।

৪৪ নম্বর ওয়ার্ডে মো. শফিকুল (শফিক) ৮ হাজার ৭৪৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন (ঠেলাগাড়ি)। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো. কামালউদ্দিন পেয়েছেন ২ হাজার ৬৮১ ভোট (ঘুড়ি)।

৪৬ নম্বর ওয়ার্ডে ৩ হাজার ৭৩৬ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন মো. সাইদুর রহমান সরকার (ঝুড়ি প্রতীকে)। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আলহাজ জামাল উদ্দিন আহমেদ পেয়েছেন ২ হাজার ৬৬০ ভোট (টিফিন ক্যারিয়ার)।

৪৭ নম্বর ওয়ার্ডে ঝুড়ি প্রতীক নিয়ে মোতালেব মিয়া ৬ হাজার ৬৪১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো. খায়রুল আলম পেয়েছেন ১ হাজার ৯৯৫ ভোট (ঘুড়ি)।

৪৮ নম্বর ওয়ার্ডে মাসুদুর রহমান দেওয়ান ৫ হাজার ৭৯৩ ভোট (ঠেলাগাড়ি) পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী এস এম তোফাজ্জল হোসেন (লাটিম প্রতীকে) পেয়েছেন ৫ হাজার ৬৭৭ ভোট।

৪৯ নম্বর ওয়ার্ডে ঘুড়ি প্রতীকে মো. আনিছুর রহমান নাঈম ৯ হাজার ৩৮ পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো. সফিউদ্দিন মোল্লা পেয়েছেন ২ হাজার ৯৬৯ ভোট (ট্রাক্টর)।

৫১ নম্বর ওয়ার্ডে মোহাম্মদ শরীফুর রহমান ২ হাজার ৯২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন (ব্যাডমিন্টন র‌্যাকেট)। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো. মামুন সরকার পেয়েছেন ১ হাজার ১০৬ ভোট (মিষ্টি কুমড়া)।

৫২ নম্বর ওয়ার্ডে মো. ফরিদ আহমেদ বিজয়ী হয়েছেন ২ হাজার ৫৭ ভোট পেয়ে (লাটিম প্রতীকে)। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো. ইব্রাহীম গনি পেয়েছেন ২ হাজার ২৮ ভোট (ব্যাডমিন্টন র‍্যাকেট)।

৫৩ নম্বর ওয়ার্ডে মো. নাসির উদ্দিন ৭ হাজার ৮৫০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন (ঘুড়ি প্রতীকে)। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো. ফিরোজ আলম পেয়েছেন ৩ হাজার ৮৬৩ ভোট (লাটিম)।

৫৪ নম্বর ওয়ার্ডে জাহাঙ্গীর হোসেন ৩ হাজার ৮৭৯ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন (ঝুড়ি প্রতীকে)। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো. মজিবুর পেয়েছেন ২ হাজার ২ ভোট (কাঁটা চামচ)।

উত্তরের ১৮টি ওয়ার্ডের সাধারণ কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ১১৬ জন প্রার্থী আর সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৪৫ জন।

এরআগে গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত এই ওয়ার্ডগুলোতে টানা ভোট নেওয়া হয়।

   

উপজেলা নির্বাচন: ছুটির দিনেও খোলা থাকবে অফিস



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
উপজেলা নির্বাচন: ছুটির দিনেও খোলা থাকবে অফিস

উপজেলা নির্বাচন: ছুটির দিনেও খোলা থাকবে অফিস

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপের ১৫২ নির্বাচন উপলক্ষ্যে সরকারি ও সাপ্তাহিক ছুটির দিনেও অফিস খোলা রেখে কাজ করার জন্য মাঠ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

সংস্থাটির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার উপসচিব মো. আতিয়ার রহমান এ সংক্রান্ত নির্দেশনা মাঠ পর্যায়ের জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তাদেরে পাঠিয়েছেন।

নির্দেশনায় বলা হয়েছে, নির্বাচন উপলক্ষে সাপ্তাহিক ও সরকারি ছুটির দিনে অফিস খোলা রেখে নির্বাচনি কার্যক্রম পরিচালনার ব্যবস্থা করতে হবে।

আগামী ৮ মে প্রথম ধাপে ১৫২ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম ধাপের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ১৫ এপ্রিল। মনোনয়নপত্র বাছাই ১৭ এপ্রিল। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ১৮ থেকে ২০ এপ্রিল। আপিল নিষ্পত্তি ২১ এপ্রিল, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২২ এপ্রিল। প্রতীক বরাদ্দ ২৩ এপ্রিল, আর ভোটগ্রহণ হবে ৮ মে।

নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিয়োগ করা হয়েছে। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দায়ের করা আপিল আবেদন নিষ্পত্তি করবেন আপিল কর্তৃপক্ষ হিসেবে জেলা প্রশাসক।

মোট চার ধাপে অনুষ্ঠেয় ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের পরবর্তীতে তিন ধাপের ভোটগ্রহণ ২৩ ও ২৯ মে এবং ৫ জুন অনুষ্ঠিত হবে। দেশে মোট উপজেলার সংখ্যা ৪৯৫টি।

;

উপজেলা নির্বাচন: প্রার্থীরা সমান ভোট পেলে লটারিতে বিজয়ী নির্ধারণ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপের ১৫২ নির্বাচনে একই পদে প্রার্থীরা সমান ভোট পেলে লটারি করে বিজয়ী নির্ধারণে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

বুধবার (২৭ মার্চ) সংস্থাটির ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান এই নির্দেশনাটি মাঠ পর্যায়ে কর্মকর্তাদের পাঠিয়েছেন।

নির্দেশনায় বলা হয়েছে, চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা সদস্য নির্বাচনের ক্ষেত্রে, ভোট গণনার ফালাফল একত্রীকরণের পর যদি দেখা যায় যে, দুই বা ততোধিক প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর অনুকূলে সমান সংখ্যক ভোট দেওয়ার কারণে উপ-বিধি (২)’র অধীন কোনো প্রার্থীকে নির্বাচিত করা সম্ভব নয়, তাহলে রিটার্নিং অফিসার লটারির মাধ্যমে ফলাফল নির্ধারণ করবেন, লটারি যে প্রার্থীর অনুকূলে যাবে সেই প্রার্থী সবোর্চ্চ ভোট প্রাপ্ত হয়েছেন বলে গণ্য হবে এবং রিটার্নিং অফিসার তাকে নির্বাচিত ঘোষণা করবেন, রিটার্নিং অফিসার কর্তৃক সম্পাদিত লটারির সম্পূর্ণ কার্যক্রম লিপিবদ্ধ করে একটি কার্যবিবরণী প্রস্তুত করবেন এবং উক্ত কার্যবিবরণীতে উপস্থিত প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বা নির্বাচনী এজেন্টের স্বাক্ষর গ্রহণ করবেন।

এছাড়া ভোট গ্রহণের পূর্বে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনীত বৈধ কোনো প্রার্থীর মৃত্যু হলে সংশ্লিষ্ট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদের নির্বাচন কার্যক্রম রিটার্নিং অফিসারগণ বিজ্ঞপ্তির দ্বারা বাতিল করে দেবেন।

পরবর্তীতে কমিশন সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকার সংশ্লিষ্ট পদে নতুন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করবেন এবং কমিশনের উক্ত সিদ্ধান্ত অনুসারে রিটার্নিং অফিসার নির্বাচন অনুষ্ঠানের পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণ করবেন। তবে শর্ত থাকে যে, ইতোপূর্বে কোন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ বলে সাব্যস্ত হয়ে থাকলে এবং তিনি তার প্রার্থিতা প্রত্যাহার না করে থাকলে তাকে নতুন করে মনোনয়নপত্র দাখিল করতে হবে না। ভোট গ্রহণের পূর্বে মহিলা সদস্য পদে মনোনীত বৈধ কোন প্রার্থীর মৃত্যু হলে ভোটগ্রহণ অবশিষ্ট প্রার্থীগণের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে।

আগামী ৮ মে প্রথম ধাপে ১৫২ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম ধাপের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ১৫ এপ্রিল। মনোনয়নপত্র বাছাই ১৭ এপ্রিল। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ১৮ থেকে ২০ এপ্রিল। আপিল নিষ্পত্তি ২১ এপ্রিল, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২২ এপ্রিল। প্রতীক বরাদ্দ ২৩ এপ্রিল, আর ভোটগ্রহণ হবে ৮ মে।

নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিয়োগ করা হয়েছে। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দায়ের করা আপিল আবেদন নিষ্পত্তি করবেন আপিল কর্তৃপক্ষ হিসেবে জেলা প্রশাসক।

মোট চার ধাপে অনুষ্ঠেয় ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের পরবর্তীতে তিন ধাপের ভোটগ্রহণ ২৩ ও ২৯ মে এবং ৫ জুন অনুষ্ঠিত হবে। দেশে মোট উপজেলার সংখ্যা ৪৯৫টি।

;

উপজেলা ভোটে প্রার্থী কে মনোনয়ন দেবে, দলগুলোকে জানাতে বলল ইসি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
উপজেলা ভোটে প্রার্থী কে মনোনয়ন দেবে, দলগুলোকে জানাতে বলল ইসি

উপজেলা ভোটে প্রার্থী কে মনোনয়ন দেবে, দলগুলোকে জানাতে বলল ইসি

  • Font increase
  • Font Decrease

 

আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপের ১৫২ উপজেলা নির্বাচনে ভোটে দলগুলোর প্রার্থী কে মনোনয়ন দেবে, তার নাম ও স্বাক্ষর জানতে চেয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

রোববার (২৪ মার্চ) এই তথ্য জানিয়েছেন সাংবিধানিক সংস্থাটির জনসংযোগ পরিচালক মো. শরিফুল আলম।

ইসি জানায়, তফসিল ঘোষণার সাত দিনের মধ্য এই তথ্য জানাতে হবে। সেই অনুযায়ী আগামী ২৮ মার্চের মধ্য জানাতে হবে।

ইসি জানায়, আগামী ৮ মে বিভিন্ন উপজেলা পরিষদ সাধারণ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বিধিমালা, ২০১৩ এর বিধি ১৫ এর উপবিধি (৩)(গ)(ইইই) অনুযায়ী চেয়ারম্যান/ভাইস চেয়ারম্যান/মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে অংশগ্রহণের জন্য নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সভাপতি বা সাধারণ সম্পাদক বা সমপর্যায়ের পদাধিকারী বা তাহাদের নিকট হতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তির স্বাক্ষরসহ তালিকা সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসারগণকে প্রেরণের জন্য এবং একই সাথে উক্ত পত্রের অনুলিপি নির্বাচন কমিশনে প্রেরণের জন্য বলা হয়েছে।

আগামী ৮ মে দেশের ১৫২টি উপজেলায় প্রথম ধাপের নির্বাচন হবে। তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র জমার শেষ সময় ১৫ এপ্রিল, বাছাই ১৭ এপ্রিল। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ১৮ থেকে ২০ এপ্রিল। আপিল নিষ্পত্তি ২১ এপ্রিল, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২২ এপ্রিল। প্রতীক বরাদ্দ ২৩ এপ্রিল, আর ভোটগ্রহণ হবে ৮ মে।

নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারি রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিয়োগ করা হয়েছে। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দায়ের করা আপিল আবেদন নিষ্পত্তি করবেন আপিল কর্তৃপক্ষ হিসেবে জেলা প্রশাসক।

মোট চার ধাপে অনুষ্ঠেয় ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের পরবর্তীতে তিন ধাপের ভোট ২৩ ও ২৯ মে এবং ৫ জুন অনুষ্ঠিত হবে। দেশে মোট উপজেলার সংখ্যা ৪৯৫টি।

;

‘স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে ইসি’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’-এ রূপান্তরের কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে। নির্বাচন কমিশন (ইসি) স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে বলে জানিয়েছেন জ্যেষ্ঠ নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আহসান হাবিব খান (অব.)।

রোববার (২৪ মার্চ) নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের আইডেন্টিফিকেশন সিস্টেম ফর এনহ্যান্সিং এক্সেস টু সার্ভিসেস-আইডিইএ (২য় পর্যায়) প্রকল্পের আয়োজিত কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব বলেন।

কর্মশালায় ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম, অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ, আইডিইএ প্রকল্প পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল হাসনাত মোহাম্মদ সায়েম, নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক এসএম আসাদুজ্জামান, আইডিইএ প্রকল্পের অতিরিক্ত প্রকল্প পরিচালক মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান এবং সিস্টেম ম্যানেজার, সিনিয়র জেলা/জেলা নির্বাচন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ইসি আহসান হাবিব জানান, স্বাধীনতার মাস মার্চ। আমি গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি, স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে, যার ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণে উদ্বুদ্ধ হয়েছিল দেশের স্বাধীনতাকামী জনগণ। আমি স্মরণ করছি অমর শহিদদের ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের, যাদের অসীম সাহস ও আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে আমাদের স্বাধীনতা।

তিনি জানান, বাংলাদেশ ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’-এ রূপান্তরে দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে। এরই অংশ হিসেবে, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের এনআইডি অনুবিভাগ ও আইডিইএ প্রকল্প (২য় পর্যায়) মাধ্যমে দেশে-বিদেশে বাংলাদেশি নাগরিকদের জাতীয় পরিচয়পত্র সেবা, স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র, ভোটার তালিকা হালনাগাদ ও প্রস্তুতে কারিগরি সহায়তা করতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। এই কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণের অগ্রযাত্রায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে।

জ্যেষ্ঠ এ নির্বাচন কমিশনার বলেন, নাগরিকের তথ্য/উপাত্ত সংশোধন আবেদন সিএমএস-এ স্বয়ংক্রিয়ভাবে ‘আবেদনের ধরণ/ক্যাটাগরি’ দিতে হবে। যাতে সম্মানিত নাগরিকগণকে দ্রুত সেবা নিশ্চিত করা যায়। উপজেলা পর্যায়ে নাগরিকদের বায়োমেট্রিক যাচাই করা করার সুবিধা চালু করা, বর্তমানে একজন নাগরিককে জেলা পর্যায়ে আসতে হয়। এ সেবাটি সহজ করে, উপজেলা থেকে দেয়া সম্ভব হলে বিপুল সংখ্যক নাগরিকের ভোগান্তি লাঘব হবে। আমি আশা করি দু’দিনব্যাপী আয়োজিত এ কর্মশালায় বিস্তারিতভাবে আলোচিত হবে এবং সংশ্লিষ্ট সমস্যাসমূহ ও এর উত্তরণের উপায় বেরিয়ে আসবে।

;