উপজেলার ভোটে দ্বিগুণ বাজেট



ইসমাঈল হোসাইন রাসেল, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের পরিচালনা ও আইনশৃঙ্খলা খাতে বাজেট ধরা হয়েছে প্রায় ৭৯০ কোটি টাকা। যা চতুর্থ উপজেলা নির্বাচনের চেয়ে ৪১৭ কোটি টাকা বেশি। এবারের উপজেলার ভোটে নির্বাচন পরিচালনায় তিনশ কোটি টাকার বেশি এবং আইনশৃঙ্খলা খাতে সাড়ে চারশ কোটি টাকার বেশি বাজেট ধরা হয়েছে।

সর্বশেষ ২০১৪ সালে চতুর্থ উপজেলা পরিষদের ভোটে প্রায় ৩৭৩ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছিল। এই বাজেটে আইনশৃঙ্খলা খাতে প্রায় ২০০ কোটি টাকা ও নির্বাচন পরিচালনায় ১৭৩ কোটি টাকা ব্যয় হয়। এছাড়াও পঞ্চম উপজেলার ভোটে একাদশ সংসদ নির্বাচনের প্রায় ২৬ কোটি টাকা বেশি ব্যয় হচ্ছে। ৩০ ডিসেম্বরের ভোটে ৭৬৪ কোটি টাকা ব্যয় হয়। এরমধ্যে নির্বাচন পরিচালনায় ৩০০ কোটি টাকা; আইশৃঙ্খলা বিহানীর জন্য ব্যয় হয় ৪৬৪ কোটি টাকা।

নির্বাচন কমিশনের বাজেট শাখা জানায়, শুরুতে উপজেলা নির্বাচনের জন্য খসড়া বাজেট ৯১০ কোটি টাকা ধরা হয়েছিল। কিন্তু সব টাকাই উপজেলা নির্বাচনের জন্য নয়। এরমধ্যে ট্যাব, ইভিএম ও অন্যান্য খাতের জন্যও বরাদ্দ যুক্ত ছিল। প্রথমে সকল সদর উপজেলাগুলোতে (৬০টি) ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনের মাধ্যমে ভোট হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এখন ভোট হবে ১০ থেকে ১৫টি উপজেলায়। ইতোপূর্বে ৬০টি উপজেলার জন্য বাজেট ছিল ৩০ কোটি টাকা, সেটি এখন ১০ কোটি টাকায় নেমে আসবে। ফলে এখানেই কমে যাচ্ছে ২০ কোটি টাকা। আর ইভিএম মেশিন বাবদ ৫০ কোটি টাকা কমে গেছে। এছাড়াও ট্যাবের জন্য যে ৫০ কোটি টাকা বাজেট রয়েছে সেটিও উপজেলার ভোটের বাজেটে যুক্ত হবে না। ফলে ভোটে বাজেট দাঁড়ায় সাতশ ৯০ কোটি টাকা।

পাঁচ বছরের মাথায় নির্বাচনী ব্যয় দ্বিগুণ হওয়ার বিষয়ে ইসির বাজেট শাখার কর্মকর্তারা জানান, নির্বাচন কর্মকর্তাদের ভাতা বৃদ্ধি, ধাপে ধাপে ভোট, নির্বাচনী সামগ্রী, ভোটকেন্দ্র ও ভোটকক্ষ আগের তুলনায় বেড়ে যাওয়ায় সার্বিক ব্যয়ও বেড়েছে। নির্বাচন কর্মকর্তাদের ভাতা আগের চেয়ে দিগুণ হয়েছে। বিগত নির্বাচনে তাদের দেড় হাজার টাকা ভাতা দেওয়া হলেও এবার ভাতা দেয়া হচ্ছে চার হাজার টাকা।দ্বিতীয় ধাপের উপজেলার ভোটে ৫০ কোটি টাকার বাজেটের মধ্যে ৩৬ কোটি টাকাই ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের জন্য বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

ইসির বাজেট শাখার সিনিয়র সহকারি সচিব এনামুল হক বার্তা২৪.কমকে বলেন, উপজেলার ভোটের জন্য সম্ভাব্য সাতশ' ৯০ কোটি টাকার বাজেট ধরা হয়েছে। ইতোমধ্যে দুই ধাপের ভোটের বাজেট বরাদ্দ করা হয়েছে। প্রথম ধাপে নির্বাচন পরিচলার জন্য ৪০ কোটি টাকা ও দ্বিতীয় ধাপের ৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জন্য বাজেটের মধ্যে কোন বাহিনী কত টাকা বরাদ্দ পাবে সেটি এখনও চূড়ান্ত হয়নি।

উল্লেখ্য দেশের ৪৯২ উপজেলার মধ্যে প্রথম ধাপে ৮৩টি, দ্বিতীয় ধাপে ১২৪টি, তৃতীয় ধাপে ১২৭টি ও চতুর্থ ধাপে ১২২টি উপজেলায় ভোট হবে। ঈদুল ফিতরের পর আগামী জুনে বাকি উপজেলায় ভোটের কথা রয়েছে।

 

   

উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হচ্ছেন বিএনপি-জামায়াত নেতারাও



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে সংগঠিত সংসদ নির্বাচন বর্জন করে আসলেও এবার কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করেই উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন বিএনপি ও জামায়াত নেতারা।

প্রথম ধাপের ১৫০টি উপজেলা নির্বাচনের বেশ কয়েকটিতে চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান পদে অনলাইনে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন তারা। তবে কত উপজেলায় মোট কতজন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন তার প্রকৃত তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে এ সংখ্যা ৫০ জনের কম নয় বলে উল্লেখ করেছে  জেলা ও উপজেলা অফিস।

সোমবার (১৫ এপ্রিল) বিকাল ৪টায় প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমার সময় শেষ হয়েছে। আগামী ৮ মে প্রথম ধাপের ১৫০ উপজেলায় ভোটগ্রহণ হবে। 

নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, ১৫০টি উপজেলায় মোট ১৮৯০ প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৬৯৫ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৭২৪ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪৭১ জন রয়েছেন। মনোনয়নপত্র দাখিলের দিনই বাগেরহাট সদর ও মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলা চেয়ারম্যানসহ ১২টি পদে একজন করে প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। 

নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা জানান, এবারই প্রথম পুরোপুরি অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার বাধ্যবাধকতা আরোপ করা হয়েছে। এ কারণে মনোনয়নপত্র দাখিলের দিন রিটার্নিং কর্মকর্তার দপ্তরগুলোতে শোরগোল ছিল না, আচরণ বিধিমালা লঙ্ঘনেরও খবর পাওয়া যায়নি। 

উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বিধিমালায় দলীয় প্রতীক থাকলেও এবার প্রার্থী মনোনয়ন দেবে না বলে আগেই ঘোষণা দিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। এর মধ্য দিয়ে নির্বাচন দলীয় নেতাকর্মীদের জন্য উন্মুক্ত রাখা হয়। অপরদিকে নির্বাচন কমিশনও স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার বিধান শিথিল করে। স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে ২৫০ জন ভোটারের সমর্থনসূচক স্বাক্ষর জমা দেওয়ার বিধান বাতিল করা হয়। তবে জামানতের বিধানে কড়াকড়ি করা হয়েছে। স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার সুযোগ তৈরি হওয়ায় অনেক উপজেলায় বিপুলসংখ্যক প্রার্থী হয়েছেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল ও সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলা চেয়ারম্যান পদে ১১ জন করে প্রার্থী হয়েছেন। নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলায় ১০ জন চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।

যেসব উপজেলায় প্রার্থী হয়েছেন বিএনপি ও জামায়াত নেতারা : আমাদের ব্যুরো, জেলা ও উপজেলা অফিস থেকে পাঠানো প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৫ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২ জন মনোনয়ন পত্র দাখিল করেছেন। এ উপজেলায় সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আতাউর রহমান মুকুল চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। বাকি প্রার্থীরা হলেনÑবর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এমএ রশিদ, মুছাপুর ইউপি চেয়ারম্যান ও জেলা জাতীয় পার্টির সহসভাপতি মাকসুদ হোসেন, তার ছেলে মাহমুদুল হাসান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম আবু সুফিয়ান।

প্রার্থী হওয়ার বিষয়ে বিএনপি নেতা আতাউর রহমান মুকুল বলেন, ‘এবার দলীয় প্রতীকে নির্বাচন হবে না। তাই আমি মনোনয়নপত্র দাখিল করেছি। আল্লাহতায়ালা যাকে নির্ধারণ করে রেখেছেন তিনিই নির্বাচিত হবেন। আমি জনগণের খেদমত করে যাচ্ছি। এটাই আমার মূল লক্ষ্য।’  

নাটোরের ধামইরহাট উপজেলায় বিএনপি নেতা মো. আয়েন উদ্দিন ডালিম; মহাদেবপুরে উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন; ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নুরুজ্জামান লস্কর তপু; কুমিল্লার মেঘনায় উপজেলা বিএনপি সভাপতি মো. রমিজ উদ্দিন; একই উপজেলার নাঙ্গলকোটে উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মো. মাজহারুল ইসলাম; চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলায় বিএনপি নেতা মো. আশরাফ হোসেন আলিম ও তার ছেলে আব্দুল্লাহ আল রাইহান; ভোলাহাট উপজেলায় বিএনপির মোহাম্মদ বাবর আলী, মো. আনোয়ারুল ইসলাম ও ইয়াজদানী আলীম আল রাজী; ময়মনসিংহের ফুলপুরে পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এমরান হাসান পল্লব চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছেন। 

একইভাবে নাটোর সদর উপজেলায় বিএনপি নেতা গোলাম সরোয়ার ও বিএনপি কর্মী সাবেক ভিপি মো. ইসতেয়াক আহম্মেদ (হিরা); একই জেলার নলডাঙ্গা উপজেলায় বিএনপির উপজেলা কমিটির সহ-সভাপতি সরদার আফজাল হোসেন; পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক ভাইস-চেয়ারম্যান ফায়জুল কবির তালুকদার; বান্দরবন সদর উপজেলায় জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আব্দুল কুদ্দুছ; নওগাঁর মহাদেবপুরে থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো. সাজ্জাদ হোসেন; সিলেটের বিশ্বনাথে উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক ও সাবেক ভাস চেয়ারম্যান গৌছ খান, যুক্তরাজ্য বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সেবুল মিয়া ও যুক্তরাজ্য বিএনপি নেতা সফিক উদ্দিন চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছেন। 
একইভাবে আরও অনেক উপজেলায় চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান পদে দলটির অনেক নেতা প্রার্থী হয়েছেন। 

চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে জামায়াতে ইসলামীর উপজেলা আমির আব্দুর রশিদ পাটোয়ারী, নাটোরের ধামইরহাট উপজেলায় নায়েবে আমির মাওলানা মো. আতাউর রহমান, ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলা আমির ওলিউর রহমান, চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে সাবেক জামায়াত নেতা মো. সিরাজুল ইসলাম, কুষ্টিয়া সদর উপজেলায় জেলা জামায়াতের সাধারণ সম্পাদক সুজা উদ্দিন জোয়ার্দার, দিনাজপুরের বিরামপুরে জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির এনামুল হক, লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধা উপজেলায় জামায়াত নেতা হাবিবুর রহমান এবং সিলেটের বিশ্বনাথে উপজেলা আমির নিজাম উদ্দিন সিদ্দিকী চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছেন। এর বাইরে বেশ কয়েকটি উপজেলা নির্বাচনে জামায়াত নেতারা প্রার্থী হয়েছেন। 

;

কুষ্টিয়ার দুই উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ১০ প্রার্থীর মনোনয়ন দাখিল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবিঃ সংগৃহীত

ছবিঃ সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কুষ্টিয়ার দুই উপজেলায় মোট ১০ জন প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। 

এর মধ্যে কুষ্টিয়া সদর উপজেলা পরিষদে ৩ জন এবং খোকসা উপজেলায় মনোনয়ন জমা দিয়েছেন ৭ জন প্রার্থী।

সোমবার (১৫ এপ্রিল) মনোনয়ন দাখিলের শেষ দিনে প্রার্থীরা এ মনোনয়ন জমা দেন।

কুষ্টিয়া সদর উপজেলা পরিষদের প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান কুষ্টিয়া শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান আতা, জেলা জামায়াতের সাধারণ সম্পাদক সুজাউদ্দিন জোয়ারদার ও আবু আহাদ আল মামুন।

খোকসা উপজেলায় প্রার্থী হয়েছেন বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বাবুল আখতার, উপজেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি আব্দুর রহিম খান ও তার ছেলে শাওন মাহমুদ খান, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক আল মাসুম মোরশেদ শান্ত, ওসমানপুর ইউপি চেয়ারম্যান অহিদুল ইসলাম ও তার স্ত্রী ছালেহা বেগম এবং ভাই সাইফুল ইসলাম।

এছাড়াও দুই উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান পদের জন্য মনোনয়ন জমা দিয়েছেন ১২ জন প্রার্থী। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ৩ জন এবং খোকসা উপজেলায় রয়েছেন ৯ জন।

;

নরসিংদী দুই উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ২১ প্রার্থীর মনোনয়ন জমা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নরসিংদী
ছবিঃ সংগৃহীত

ছবিঃ সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নরসিংদীর দুটি উপজেলায় চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মোট মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ২১ জন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৭ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৯ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫ জন।

নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী প্রথম পর্যায়ের উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমাদানের শেষ দিন ছিল আজ।

প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমাদানের শেষ দিনে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও নরসিংদী জেলা নির্বাচন অফিসার মোঃ রবিউল আলম তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

নির্বাচন কমিশন কর্তৃক ঘোষণা অনুযায়ী আগামী ৮ ই মে প্রথম পর্যায়ের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের অংশ হিসেবে নরসিংদী জেলার নরসিংদী সদর উপজেলা ও পলাশ উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এ বছর প্রার্থীদের কোন দলীয় প্রতীক না থাকায় ক্ষমতাসীন দলের একাধিক ব্যক্তি নির্বাচনের মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। অপরদিকে নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ না থাকার অভিযোগ এনে নির্বাচনে অংশগ্রহণ থেকে বিরত রয়েছে বিএনপি। তবে জাতীয় পার্টি থেকে এবং কিছু নতুন মুখ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। নরসিংদী সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক ও বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান আফতাব উদ্দিন ভূঁইয়া এবার নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। তার পরিবর্তে সদর উপজেলায় আওয়ামী লীগ থেকে সমর্থন দেয়া হয়েছে মাধবদী পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর আনোয়ার হোসেনকে।

এছাড়া এবার সদর উপজেলা চেয়ারম্যান পদে যারা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন তারা হলেন- শীলমান্দী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও ব্যবসায়ী আব্দুল বাকির, মো: জলিল হোসেন, হালিমা হাফিজ। ভাইস চেয়ারম্যান পদে মো: শরীফ মিয়া, মোঃ ওয়ালিউর রহমান, মো: মোশারফ হোসেন, রেহানুল ইসলাম ভূঁইয়া, ওসমান গনি, কফিল উদ্দিন ভূঁইয়া। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে সোহানা আক্তার, আনজুমান বেগম ও মোসা: সাহিদা বেগম।

অপরদিকে পলাশ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন তিনজন। তারা হলেন, বর্তমান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি সৈয়দ জাবেদ হোসেন, ঘোড়াশাল পৌরসভার সাবেক মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ শরিফুল হক ও জাতীয় পার্টির পলাশ উপজেলার সদস্য সচিব এডভোকেট মোঃ নজরুল ইসলাম (সারোয়ার মোল্লা)।

ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন তিনজন। তারা হলেন, বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান মো: কারী উল্লাহ সরকার, সাইফুল ইসলাম গাজী ও মোঃ আব্দুল কাইয়ুম। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন দুইজন। তারা হলেন, বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান সেলিনা আক্তার ও সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসিমা সুলতানা।

নির্বাচনে কমিশনের ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই ১৭ এপ্রিল, আপিলের তারিখ ১৮ এপ্রিল, আপিল নিষ্পত্তি ২১শে এপ্রিল, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ২২ এপ্রিল, প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ ২৩ এপ্রিল এবং ৮ মে ভোটগ্রহণ।

;

বরিশালে দুই উপজেলায় ২৬ প্রার্থী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বরিশাল
বরিশালে দুই উপজেলায় ২৬ প্রার্থী

বরিশালে দুই উপজেলায় ২৬ প্রার্থী

  • Font increase
  • Font Decrease

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বরিশাল সদর ও বাকেরগঞ্জে চেয়ারম্যান পদে ১২ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

এছাড়া ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ) পদে ৯ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। সব মিলিয়ে গতকাল মনোনয়নপত্র জমাদানের শেষ দিনে এই দুই উপজেলা থেকে চেয়ারম্যান-ভাইস চেয়ারম্যান পদে মোট ২৬ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। বরিশাল সিনিয়র জেলা নির্বাচন অফিসার ও রিটার্নিং অফিসার ওয়াহিদুজ্জামান মুন্সি এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

বরিশাল সদর থেকে চেয়ারম্যান পদে মাহমুদুল হক খান মামুন, মো. আব্দুল মালেক, মো. মনিরুল ইসলাম এবং মাহবুবুর রহমান মধু, এস এম জাকির হোসেন, ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ) পদে মো. জসিম উদ্দিন, মহিদুল ইসলাম মাহাদ, হাদিস মীর, ফাইজুল ইসলাম, শহিদ মোহাম্মদ শাহনেওয়াজ, ভাইস চেয়ারম্যান (মহিলা) পদে নেহার বেগম, মারিয়া আক্তার এবং হালিমা বেগম মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

অপরদিকে বাকেরগঞ্জ থেকে চেয়ারম্যান পদে বিশ্বাস মতিউর রহমান বাদশা, মিজানুর রহমান, কামরুল ইসলাম সজীব, ফিরোজ আলম খান, শাখাওয়াত হোসেন,রাজিব তালুকদার, নিয়ামত আবদুল্লাহ পলাশ, ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ) পদে আব্দুস সালাম মল্লিক,কামরুল হোসেন, শাহবাজ মিয়া, সাইফুর রহমান। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে জাহানারা বেগম এবং তাহমিনা বেগম মিনু মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

বরিশাল সিনিয়র জেলা নির্বাচন অফিসার ওয়াহিদুজ্জামান মুন্সি বলেন, এবারই প্রথম অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা নেওয়া হয়েছে। আগামী ১৭ এপ্রিল মনোনয়নপত্র যাচাই বাছাই অনুষ্ঠিত হবে। প্রত্যাহারের শেষ সময় ২২ এপ্রিল। ভোট হবে ৮ মে। ইভিএমে ভোট হবে ২২টি উপজেলায়। বাকিগুলোতে ব্যালট পেপারে নির্বাচন হবে। বরিশাল ও বাকেরগঞ্জে ভোট হবে ব্যালটে। থাকছে না দলীয় প্রতীক।

উল্লেখ্য, সংশোধিত নির্বাচন পরিচালনা বিধি ও আচরণ বিধি অনুযায়ী, স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে কোনো সমর্থন সূচক তালিকা দেওয়ার প্রয়োজন নেই। রঙিন পোস্টার ছাপাতে পারবেন প্রার্থীরা। এবার প্রচারণায় বেশি সময় পাচ্ছেন প্রার্থীরা।

;