উপজেলা পরিষদ নির্বাচন

শেষ সময়ে বিদ্রোহী আতঙ্কে আ’লীগের প্রার্থীরা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, খুলনা, বার্তা ২৪.কম
উপজেলা নির্বাচন, ছবি: বার্তা২৪

উপজেলা নির্বাচন, ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

খুলনায় বইছে পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের হাওয়া। নির্বাচনের আর মাত্র ১ দিন বাকি। ভোটযুদ্ধে অংশ নেয়া প্রার্থীরা শেষমুহুর্তের প্রচার-প্রচারণায় অংশ নিচ্ছেন। ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ঘুরে ভোট প্রার্থনা করছেন। এর মধ্যে বটিয়াঘাটা ও ফুলতলা উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রার্থী আশরাফুল আলম খান ও শেখ আকরাম হোসেন বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। আর ডুমুরিয়া উপজেলা নির্বাচন আগামী এপ্রিলের ১০ তারিখ পর্যন্ত স্থগিত করেছে হাইকোর্ট। বাকি ছয় উপজেলায় চতুর্থ ধাপে ৩১ মার্চ ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

তবে খুলনার এ ছয় উপজেলা পরিষদে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থীদের দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছেন আওয়ামী লীগেরই বিদ্রোহী প্রার্থীরা। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দাকোপ উপজেলা চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ আবুল হোসেন। এ উপজেলায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছেন মুনসুর আলী খান।

পাইকগাছায় উপজেলা চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগ নেতা গাজী মোহাম্মদ আলী। এ উপজেলায় তাকে পড়তে হবে কঠিন লড়াইয়ের মুখে। বিশেষ করে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান রশিদুজ্জামান মোড়ল ও সাবেক এমপিপুত্র শেখ মনিরুল ইসলাম এর সাথে তার ত্রিমুখী লড়াইয়ের সম্ভাবনা রয়েছে।

কয়রায় উপজেলা চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জি এম মহসিন রেজা। এ উপজেলায় আ’লীগ মনোনীত প্রার্থীর বিরুদ্ধে লড়ছেন বিদ্রোহী প্রার্থী এস এম শফিকুল ইসলাম ও আব্দুল্লাহ আল মামুন। ইতোমধ্যে বিদ্রোহী প্রার্থী এস এম শফিকুল ইসলামের প্রচারণায় দেখা গেছে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদককে। এছাড়া ওই দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে।

রূপসায় উপজেলা চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন বর্তমান চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন বাদশা। এ উপজেলায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীদের মধ্যে শক্ত প্রার্থী সাবেক চেয়ারম্যান শেখ আলী আকবর। এছাড়া আওয়ামী লীগের ওলিয়ার রহমান মাস্টারও রয়েছেন বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে।

তেরখাদায় উপজেলা চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন বর্তমান চেয়ারম্যান সরফুদ্দিন বিশ্বাস বাচ্চু। এ উপজেলায় জেলা আওয়ামী লীগের নেতা এড. মোস্তাফিজুর রহমান কালু বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন। এছাড়া আওয়ামী লীগ নেতা শেখ শহিদুল ইসলামও রয়েছেন ভোটের লড়াইয়ে।

দিঘলিয়ায় উপজেলা চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন বর্তমান চেয়ারম্যান খান নজরুল ইসলাম। এ উপজেলায় তার দুই কঠিন প্রতিপক্ষ হয়ে দাঁড়িয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগ নেতা শেখ মারুফুল ইসলাম ও মল্লিক মহিউদ্দিন। এ উপজেলায়ও ত্রিমুখী লড়াইয়ের সম্ভাবনা রয়েছে।

এছাড়া ডুমুরিয়া উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে হাইকোর্টের স্থগিতাদেশের কারণও বিদ্রোহী প্রার্থী। এ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন গুটুদিয়া ইউপি’র সদ্য পদত্যাগী চেয়ারম্যান মোস্তফা সরোয়ার। তার কঠিন প্রতিপক্ষ হয়ে দাঁড়িয়েছেন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান গাজী আব্দুল হাদি’র পুত্র গাজী এজাজ আহম্মেদ ও আওয়ামী লীগ নেতা শাহনেওয়াজ হোসেন জোয়াদ্দার। স্বয়ং স্থানীয় সংসদ সদস্যসহ উপজেলা আওয়ামী লীগের একটি বড় অংশ বিদ্রোহী প্রার্থী শাহনেওয়াজ হোসেন জোয়াদ্দারের পক্ষে কাজ করছেন বলে জানা গেছে। এ উপজেলায় ইতোমধ্যে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর (মোস্তফা ও এজাজ) মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে। এছাড়া প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে স্থানীয় এমপির বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলে ধরেছেন নৌকার প্রার্থী মোস্তফা সারোয়ার। বিদ্রোহী প্রার্থী শাহনেওয়াজ হোসেন জোয়াদ্দারের হাইকোর্টের রিটের কারণে এ উপজেলায় স্থগিত হয়েছে নির্বাচন।

বিদ্রোহী প্রার্থীদের বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ হারুনুর রশীদ বার্তা২৪. কম কে বলেন, ‘চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ দিয়েছে। আর ভাইস চেয়ারম্যান পদে উন্মুক্ত প্রার্থী ঘোষণা করেছে আ’লীগ। স্থানীয় নেতাদের সিদ্ধান্ত নয় এটা। আর নৌকার প্রার্থী মনোনয়ন দেওয়া হলেও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আয়োজনের কারণে চেয়ারম্যান পদ কেন্দ্র থেকে 'ওপেন' রাখা হয়েছে। এখানে যে কেউ প্রার্থী হতে পারে। তবে তিনি দলের সমর্থন পাবেন না। যে কারণে এবার সব উপজেলায়ই দলের একাধিক প্রার্থী।'

   

ভোটের তিন বছর পর কাউন্সিলর হচ্ছেন আলী আহাম্মদ



উপজেলা করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, গৌরীপুর (ময়মনসিংহ)
ভোটের তিন বছর পর কাউন্সিলর হচ্ছেন আলী আহাম্মদ

ভোটের তিন বছর পর কাউন্সিলর হচ্ছেন আলী আহাম্মদ

  • Font increase
  • Font Decrease

ভোট গ্রহণের তিন বছর পর আদালতের রায়ে ময়মনসিংহের গৌরীপুর পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে জয় পেয়েছেন এসএম আলী আহাম্মদ।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) নির্বাচন কমিশনের উপসচিব মো. মিজানুর রহমান এই বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ ও দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনারকে চিঠি দিয়েছেন।

এর আগে মঙ্গলবার এই সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে নির্বাচন কমিশন।

জানা গেছে, ২০২১ সালের ৩০ জানুয়ারি গৌরীপুর পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই নির্বাচনে পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ড থেকে কাউন্সিলর পদে ডালিম প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন এসএম আলী আহাম্মদ। ভোটগ্রহণ শেষে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী উটপাখি প্রতীকের মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম ভূঁইয়াকে বিজয়ী ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।

এদিকে ফলাফল প্রত্যাখান করে আইনের আশ্রয় নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন আলী আহাম্মদ। দীর্ঘ আইনি লড়াই শেষে আদালত পুনরায় ভোট গণনার নির্দেশ দেওয়ার পর দেখা যায় ডালিম প্রতীক ৬০৪ ভোট ও উটপাখি প্রতীক ৫৩৯ ভোট পেয়েছে। গত বছর ২৯ অক্টোবর নিম্ন আদালত আগের ঘোষিত ফলাফল বাতিল করে ডালিম প্রতীকের প্রার্থী আলী আহাম্মদকে বিজয়ী ঘোষণা করেন।

এরপর নিম্ন আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করেন উটপাখি প্রতীকের প্রার্থী মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া। আপিলের পর উচ্চ আদালত গত ২৫ জানুয়ারি নিম্ন আদালতের রায়ের ওপর ৮ সপ্তাহ স্থগিতাদেশ দেন।

এরপর আবারও আইনি লড়াই শুরু হয়। গত ৩ মার্চ উচ্চ আদালত ও নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল আপিলের চূড়ান্ত রায় ঘোষণা করে নিম্ন আদালতের রায় বহাল রাখেন।

এস এম আলী আহাম্মদ বলেন, ‘ভোটারদের প্রতি আমার আস্থা ছিল। পাশাপাশি আমি সবসময় আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ছিলাম। আমার সাথে যে অন্যায় হয়েছিল, তার জন্য ন্যায় বিচার পেতে আইনের দ্বারস্থ হয়েছি। আইনি লড়াইয়ে ন্যায় বিচার পেয়ে জয়ী হয়েছি’।

অপরদিকে মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, ‘এই মুহূর্তে আমি এই বিষয়টি নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাচ্ছি না’।

এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে গৌরীপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. শাকিল আহমেদ বলেন, ‘ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনার স্যার এ বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নেবেন।’

;

গাজীপুরে উপজেলা নির্বাচন উপলক্ষে মতবিনিময় সভা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, গাজীপুর
গাজীপুরে উপজেলা নির্বাচন উপলক্ষে মতবিনিময় সভা

গাজীপুরে উপজেলা নির্বাচন উপলক্ষে মতবিনিময় সভা

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ সাধারণ নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু করতে গাজীপুরে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) বিকেলে গাজীপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের ভাওয়াল সম্মেলন কক্ষে এ সভার আয়োজন করা হয়।

মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর। এতে সভাপতিত্ব করেন- জেলা প্রশাসক আবুল ফাতে মোহাম্মদ সফিকুল ইসলাম।

এসময় আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও সুশৃঙ্খলভাবে করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে নির্দেশনা প্রদানসহ নানা দিক নির্দেশনা দেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর।

এর আগে নির্বাচন কমিশনারকে গাজীপুর সার্কিট হাউজে ফুলেল অভ্যর্থনা জানান জেলা প্রশাসক। পরে পুলিশের একটি দল তাকে গার্ড অফ অনার প্রদান করেন।

সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকবৃন্দ, উপজেলা নির্বাহী অফিসারগণ, রিটার্নিং অফিসার, সহকারী রিটার্নিং অফিসার, নির্বাচন সংশ্লিষ্ট অন্যান্য ব্যক্তিবর্গ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যবৃন্দ।

;

উপজেলা নির্বাচন: আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা ২৩ এপ্রিল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য আগামী মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা ডেকেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) নির্বাচন পরিচালনা শাখার উপসচিব মো. আতিয়ার রহমান ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্টদের এ সংক্রান্ত চিঠি পাঠিয়েছেন।

এতে উল্লেখ করা হয়েছে, ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ সাধারণ নির্বাচন সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে অনুষ্ঠানের নিমিত্তে সংশ্লিষ্টদের উপস্থিতিতে এক সভা আগামী ২৩ এপ্রিল বেলা সকাল ১১টায় নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত হবে।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠেয় সভায় নির্বাচন কমিশনারগণ, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিব ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কর্মকর্তাগণ উপস্থিত থাকবেন।

চিঠিতে সভায় যথাসময়ে উপস্থিত থাকার জন্য নির্দেশিত হয়ে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

আতিয়ার রহমান সভার চিঠি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের (সমন্বয় ও সংস্কার) সচিব, স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব, মহাপুলিশ পরিদর্শক, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ/র‍্যাব/কোস্টগার্ড/আনসার ও ভিডিপি/ডিজিএফআই/এনএসআই, মহাপরিচালক ও অতিরিক্ত মহাপুলিশ পরিদর্শককে (এসবি) পাঠিয়েছেন।

চার ধাপে অনুষ্ঠেয় ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ইতিমধ্যে তিন ধাপের তফসিল দিয়েছে ইসি।

প্রথম ধাপের তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিল ও বাছাইয়ের সময় শেষ। বৈধ প্রার্থী এক হাজার ৭৮৬ জন, রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ১৮ থেকে ২০ এপ্রিল। আপিল নিষ্পত্তি ২১ এপ্রিল, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২২ এপ্রিল। প্রতীক বরাদ্দ ২৩ এপ্রিল, আর ১৫২ উপজেলায় ভোটগ্রহণ হবে ৮ মে।

এই ধাপের নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিয়োগ করা হয়েছে। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দায়ের করা আপিল আবেদন নিষ্পত্তি করবেন আপিল কর্তৃপক্ষ হিসেবে জেলা প্রশাসক।

দ্বিতীয় ধাপের তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিল ২১ এপ্রিল শেষ সময়, মনোনয়নপত্র বাছাই ২৩ এপ্রিল, আপিল গ্রহণ ২৪-২৬ এপ্রিল, আপিল নিষ্পত্তি ২৭ থেকে ২৯ এপ্রিল। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ৩০ এপ্রিল, প্রতীক বরাদ্দ প্রতীক বরাদ্দ ২ মে। আর ১৬১ উপজেলায় ভোটগ্রহণ হবে ২১ মে।

এই ধাপের নির্বাচনে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকদের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ভোটারের সংখ্যা ৫ লাখের বেশি যেখানে সেখানে একাধিক সহকারী রিটার্নিং অফিসার নিয়োজিত থাকবেন।

তৃতীয় ধাপের তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়ন ফরম জমার শেষ তারিখ ২ মে, মনোনয়ন যাচাই-বাছাই ৫ মে। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ৬ থেকে ৮মে।

আপিল নিষ্পত্তি ৯ থেকে ১১ মে। প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ১২ই মে। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ ১৩ই মে এবং ভোট ২৯শে মে। এই ধাপে ১১২ উপজেলায় ভোট হবে।

এই ধাপে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে অতিরিক্ত জেলা ও অতিরিক্ত আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা এবং অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে৷

আগামী ৫ জুন চতুর্থ ধাপের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে।

;

১৫০ উপজেলায় বৈধ প্রার্থী ১৭৮৬



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
১৫০ উপজেলায় বৈধ প্রার্থী ১৭৮৬

১৫০ উপজেলায় বৈধ প্রার্থী ১৭৮৬

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপের রিটার্নিং কর্মকর্তা যাচাই বাছাই শেষে মোট বৈধ প্রার্থী দাঁড়াল এক হাজর ৭৮৬ জন।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) মাঠ পর্যায় থেকে পাঠানো তথ্য একীভূত করার পর এ তথ্য জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ।

তিনি জানান, প্রথম ধাপে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইসচেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন এক হাজার ৮৯০ জন। এদের মধ্যে বাছাইয়ে বাতিল হয়েছে ১০৪ জনের মনোনয়নপত্র। আর বৈধ প্রার্থীর সংখ্যা এক হাজার ৭৮৬ জন।

নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ১৮ থেকে ২০ এপ্রিল। আপিল নিষ্পত্তি ২১ এপ্রিল, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২২ এপ্রিল। প্রতীক বরাদ্দ ২৩ এপ্রিল আর ১৫০ উপজেলায় ভোটগ্রহণ হবে ৮ মে।

;