ত্রিশালে নৌকাকে জেতাতে একাট্টা তৃণমূল, বিদ্রোহীকে সতর্কবার্তা



উবায়দুল হক, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, ময়মনসিংহ, বার্তা২৪.কম
সমাবেশে বক্তব্য দেন চেয়ারম্যান প্রার্থী ইকবাল হোসেন / ছবি: বার্তা২৪

সমাবেশে বক্তব্য দেন চেয়ারম্যান প্রার্থী ইকবাল হোসেন / ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

নির্বাচন স্থগিত হলেও রীতিমতো উত্তাপ ছড়াচ্ছে ত্রিশাল উপজেলা পরিষদের নির্বাচনী প্রচারণা। আওয়ামী লীগের মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী ইকবাল হোসেনের পক্ষে ঐক্যবদ্ধ হয়ে মাঠে নেমেছেন দলটির তৃণমূল নেতাকর্মীরা। সঙ্গে আছেন জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের নেতারাও।

আর দলীয় বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুল মতিন সরকারের আনারস প্রতীকের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের গুটি কয়েক নেতা। এ ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল নেতারা।

রোববার (৭ এপ্রিল) বিকেল থেকে রাত অবধি স্থানীয় নজরুল ডিগ্রি কলেজ মাঠে আওয়ামী লীগ প্রার্থী ইকবাল হোসেনকে বিজয়ী করার লক্ষ্যে বিশাল কর্মী সমাবেশে দলটির নেতাকর্মীরা শোডাউন করেছেন। আর এ শোডাউনের মধ্য দিয়ে সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে দলের প্রার্থীর বিপক্ষে অবস্থানকারী গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের।

দ্রুত সময়ের মধ্যে তারা নৌকার বিজয় নিশ্চিত করতে একাট্টা না হলে তাদের প্রথমে শোকজ ও পরবর্তীতে আরও বড় ধরনের সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও স্পষ্ট ভাষায় জানিয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল।

জানা যায়, ত্রিশাল উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে লড়ছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন। এই নৌকার মনোনয়ন পেতে জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মতিন সরকারসহ আরও বেশ কয়েকজন লবিং করেছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ইকবালের হাতেই নৌকা প্রতীক তুলে দিয়েছেন দলীয় সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Apr/08/1554693250088.jpg

আর এ ঘটনায় রীতিমত বেঁকে বসেছেন মতিন সরকার। তাকে ভোটের মাঠে সক্রিয় করতে ‘আদাজল খেয়ে’ মাঠে নেমে পড়েন সাবেক সংসদ সদস্য রেজা আলী, ত্রিশাল পৌরসভার মেয়র এবিএম আনিসুজ্জামান, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল হাসান সবুজ, উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান শোভা মিয়া আকন্দসহ গুটি কয়েক নেতা।

জেলার দায়িত্বশীল নেতারা তাদের বারবার বারণ করলেও তারা মতিন সরকারের আনারস প্রতীকের পক্ষেই নিজেদের অবস্থান ধরে রেখেছেন। ফলে ত্রিশালে নৌকার শত্রু হয়ে দাঁড়িয়েছে স্থানীয় আওয়ামী লীগের এসব নেতারা। আর এসব নিয়ে দুপক্ষই পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করে চলেছে নিয়মিত। ইকবালের পক্ষে প্রকাশ্যে অবস্থান নিয়েছে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাজী আজাদ জাহান শামীম ও এম এ কুদ্দুসসহ গুরুত্বপূর্ণ নেতারা।

তারা বেশ কয়েকবার আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ইকবালের পক্ষে সোচ্চার হয়ে নৌকার প্রচারণায় অংশ নিয়েছেন এবং তাকে বিজয়ী করতে স্থানীয় ভোটারদের কাছে আহ্বানও জানিয়েছেন।

অপরদিকে মতিন সরকারের পক্ষে জেলা আওয়ামী লীগের আরেকটি পক্ষের নেতারা অবস্থান নিয়েছেন। তারা মতিন সরকারকে মুরুব্বি, ত্যাগী ও পরীক্ষিত আওয়ামী লীগের দাবি করে তাকে বিজয়ী করতে ভোটারদের দুয়ারে কড়া নাড়ছেন। এমন প্রেক্ষাপটে স্থগিত হয়ে যায় চতুর্থ ধাপের ত্রিশাল উপজেলা পরিষদ নির্বাচন।

জানা গেছে, ছেলের ব্যাংক ঋণের জামিনদার হয়েছিলেন মতিন সরকার। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে পরিশোধিত না হওয়ায় ঋণ খেলাপির অভিযোগ এনে গত ২০ মার্চ উচ্চ আদালতে রিট করেন আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ইকবাল হোসেন। সেই রিটে মতিন সরকারের প্রার্থিতা বাতিল ও চেয়ারম্যান পদে ৬ মাসের জন্য নির্বাচন স্থগিতের আদেশ দেন উচ্চ আদালত। পরে আদালতের রায়ের স্থগিতাদেশ চেয়ে গত ২৮ মার্চ আব্দুল মতিন সরকার চেম্বার জজ আদালতে আবেদন করলে গত ৪ এপ্রিল দু’পক্ষের শুনানি শেষে মতিন সরকারকে বৈধ ঘোষণা করে। ফলে নির্বাচনে অংশগ্রহণের বাঁধা কেটে যায়। ত্রিশাল উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠি হওয়া এখন সময়ের ব্যাপার।

এ বিষয়ে ময়মনসিংহ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা দেওয়ান সারওয়ার জাহান বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘আদালতের রায়ের পর ত্রিশাল উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আর কোনো বাঁধা নেই। নির্বাচন কমিশন সুবিধা মতো সময়ে স্থগিত হওয়া এ উপজেলায় নির্বাচনের ব্যবস্থা করবে।’

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Apr/08/1554693278630.jpg

এদিকে ত্রিশাল উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে শেষ হাসি কে হাসবেন, ইকবাল নাকি মতিন সরকার। এমন বাস্তবতা যখন মুখোমুখি তখন বড় রকমের শোডাউন করে নৌকার পক্ষে গণজোয়ার তৈরি করার প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ইকবাল হোসেন।

স্থানীয় ডিগ্রি কলেজ মাঠে রোববার তাকে বিজয়ী করতে আয়োজিত কর্মী সমাবেশে উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম, ওয়ার্ড এবং ইউনিয়ন থেকে দলে দলে নেতাকর্মীরা একত্রিত হন। এ সময় কয়েক ঘণ্টার জন্য স্থবির হয়ে পড়ে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে বাস চলাচল। সমাবেশস্থলে তিল ধারণের ঠাঁই না থাকায় মূলত দলীয় নেতাকর্মীরা সামনের ওভার ব্রিজ এবং মহাসড়কের বাইরে অবস্থান নেন।

সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল নৌকার ওই বিরোধীতাকারী নেতাদের নাম উল্লেখ করে বলেন, ‘এখনো সময় আছে নৌকার পক্ষে এসে দাঁড়ানোর। অন্যথায় আপনাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

সমাবেশে নৌকার প্রার্থী ইকবাল হোসেন বলেন, ‘ত্রিশালবাসী হাফেজ রুহুল আমিন মাদানীর মতো যোগ্য সংসদ সদস্য পেয়েছে। এই ত্রিশাল ছিল উন্নয়ন বঞ্চিত এক জনপদ। মাত্র তিন মাসে স্থানীয় সংসদ সদস্য ৮০ কিলোমিটার সড়ক অনুমোদন করেছেন। আমি উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে মডেল ত্রিশাল উপজেলা উপহার দেব। আমি গত ৭ বছরে ত্রিশালের প্রায় তিন হাজার মসজিদ-মাদরাসা ও এতিমখানায় রেকর্ড সহায়তা করেছি। আপনারা আমাকে নির্বাচিত করলে আমি চেয়ারম্যানের ভাতাও আপনাদের মাঝে বিলিয়ে দিব।’

   

গাজীপুরে উপজেলা নির্বাচন উপলক্ষে মতবিনিময় সভা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, গাজীপুর
গাজীপুরে উপজেলা নির্বাচন উপলক্ষে মতবিনিময় সভা

গাজীপুরে উপজেলা নির্বাচন উপলক্ষে মতবিনিময় সভা

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ সাধারণ নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু করতে গাজীপুরে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) বিকেলে গাজীপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের ভাওয়াল সম্মেলন কক্ষে এ সভার আয়োজন করা হয়।

মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর। এতে সভাপতিত্ব করেন- জেলা প্রশাসক আবুল ফাতে মোহাম্মদ সফিকুল ইসলাম।

এসময় আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও সুশৃঙ্খলভাবে করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে নির্দেশনা প্রদানসহ নানা দিক নির্দেশনা দেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর।

এর আগে নির্বাচন কমিশনারকে গাজীপুর সার্কিট হাউজে ফুলেল অভ্যর্থনা জানান জেলা প্রশাসক। পরে পুলিশের একটি দল তাকে গার্ড অফ অনার প্রদান করেন।

সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকবৃন্দ, উপজেলা নির্বাহী অফিসারগণ, রিটার্নিং অফিসার, সহকারী রিটার্নিং অফিসার, নির্বাচন সংশ্লিষ্ট অন্যান্য ব্যক্তিবর্গ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যবৃন্দ।

;

উপজেলা নির্বাচন: আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা ২৩ এপ্রিল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য আগামী মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা ডেকেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) নির্বাচন পরিচালনা শাখার উপসচিব মো. আতিয়ার রহমান ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্টদের এ সংক্রান্ত চিঠি পাঠিয়েছেন।

এতে উল্লেখ করা হয়েছে, ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ সাধারণ নির্বাচন সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে অনুষ্ঠানের নিমিত্তে সংশ্লিষ্টদের উপস্থিতিতে এক সভা আগামী ২৩ এপ্রিল বেলা সকাল ১১টায় নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত হবে।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠেয় সভায় নির্বাচন কমিশনারগণ, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিব ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কর্মকর্তাগণ উপস্থিত থাকবেন।

চিঠিতে সভায় যথাসময়ে উপস্থিত থাকার জন্য নির্দেশিত হয়ে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

আতিয়ার রহমান সভার চিঠি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের (সমন্বয় ও সংস্কার) সচিব, স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব, মহাপুলিশ পরিদর্শক, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ/র‍্যাব/কোস্টগার্ড/আনসার ও ভিডিপি/ডিজিএফআই/এনএসআই, মহাপরিচালক ও অতিরিক্ত মহাপুলিশ পরিদর্শককে (এসবি) পাঠিয়েছেন।

চার ধাপে অনুষ্ঠেয় ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ইতিমধ্যে তিন ধাপের তফসিল দিয়েছে ইসি।

প্রথম ধাপের তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিল ও বাছাইয়ের সময় শেষ। বৈধ প্রার্থী এক হাজার ৭৮৬ জন, রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ১৮ থেকে ২০ এপ্রিল। আপিল নিষ্পত্তি ২১ এপ্রিল, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২২ এপ্রিল। প্রতীক বরাদ্দ ২৩ এপ্রিল, আর ১৫২ উপজেলায় ভোটগ্রহণ হবে ৮ মে।

এই ধাপের নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিয়োগ করা হয়েছে। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দায়ের করা আপিল আবেদন নিষ্পত্তি করবেন আপিল কর্তৃপক্ষ হিসেবে জেলা প্রশাসক।

দ্বিতীয় ধাপের তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিল ২১ এপ্রিল শেষ সময়, মনোনয়নপত্র বাছাই ২৩ এপ্রিল, আপিল গ্রহণ ২৪-২৬ এপ্রিল, আপিল নিষ্পত্তি ২৭ থেকে ২৯ এপ্রিল। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ৩০ এপ্রিল, প্রতীক বরাদ্দ প্রতীক বরাদ্দ ২ মে। আর ১৬১ উপজেলায় ভোটগ্রহণ হবে ২১ মে।

এই ধাপের নির্বাচনে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকদের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ভোটারের সংখ্যা ৫ লাখের বেশি যেখানে সেখানে একাধিক সহকারী রিটার্নিং অফিসার নিয়োজিত থাকবেন।

তৃতীয় ধাপের তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়ন ফরম জমার শেষ তারিখ ২ মে, মনোনয়ন যাচাই-বাছাই ৫ মে। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ৬ থেকে ৮মে।

আপিল নিষ্পত্তি ৯ থেকে ১১ মে। প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ১২ই মে। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ ১৩ই মে এবং ভোট ২৯শে মে। এই ধাপে ১১২ উপজেলায় ভোট হবে।

এই ধাপে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে অতিরিক্ত জেলা ও অতিরিক্ত আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা এবং অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে৷

আগামী ৫ জুন চতুর্থ ধাপের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে।

;

১৫০ উপজেলায় বৈধ প্রার্থী ১৭৮৬



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
১৫০ উপজেলায় বৈধ প্রার্থী ১৭৮৬

১৫০ উপজেলায় বৈধ প্রার্থী ১৭৮৬

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপের রিটার্নিং কর্মকর্তা যাচাই বাছাই শেষে মোট বৈধ প্রার্থী দাঁড়াল এক হাজর ৭৮৬ জন।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) মাঠ পর্যায় থেকে পাঠানো তথ্য একীভূত করার পর এ তথ্য জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ।

তিনি জানান, প্রথম ধাপে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইসচেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন এক হাজার ৮৯০ জন। এদের মধ্যে বাছাইয়ে বাতিল হয়েছে ১০৪ জনের মনোনয়নপত্র। আর বৈধ প্রার্থীর সংখ্যা এক হাজার ৭৮৬ জন।

নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ১৮ থেকে ২০ এপ্রিল। আপিল নিষ্পত্তি ২১ এপ্রিল, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২২ এপ্রিল। প্রতীক বরাদ্দ ২৩ এপ্রিল আর ১৫০ উপজেলায় ভোটগ্রহণ হবে ৮ মে।

;

নাটোরের সেই প্রার্থীকে ইসির তলব



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
নাটোরের সেই প্রার্থীকে ইসির তলব

নাটোরের সেই প্রার্থীকে ইসির তলব

  • Font increase
  • Font Decrease

নাটোরের সিংড়া উপজেলা নির্বাচনের চেয়ারম্যান প্রার্থী দেলোয়ার হোসেনকে অপহরণ করার অভিযোগে অপর প্রার্থী মো. লুৎফুল হাবিবকে তলব করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সংস্থাটির উপসচিব মো. আতিয়ার রহমান অভিযুক্তকে এ সংক্রান্ত চিঠি পাঠিয়েছেন।

এতে উল্লেখ করা হয়েছে, ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের ১ম ধাপের ০৮ মে অনুষ্ঠেয় নাটোর জেলার সিংড়া উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে প্রথম আলো পত্রিকায় ‘নাটোরে ৫ ঘণ্টার ব্যবধানে সম্ভাব্য প্রার্থী ও তার ভাইসহ তিনজনকে অপহরণ’ শিরোনামে নাটোরের সিংড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হতে ইচ্ছুক দেলোয়ার হোসেন ও তার ভাইসহ তিনজনকে অপহরণের সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। এ ঘটনায় উক্ত পত্রিকায় আপনি লুৎফুল হাবীবকে দায়ী করা হয়েছে।

ইতোমধ্যে বর্ণিত বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসন এবং গোয়েন্দা সংস্থা হতে প্রতিবেদন পাওয়া গিয়েছে। এছাড়া সকল জাতীয় দৈনিক পত্রিকা ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সচিত্র বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। উল্লিখিত প্রতিবেদন ও পত্রিকান্তে ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা প্রমাণিত হয়েছে। এরূপ ঘটনার জন্য কেন আপনার প্রার্থিতা বাতিল অথবা আপনার বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না সে বিষয়ে লিখিত জবাবসহ নির্বাচন কমিশনে (কক্ষ নং-৩১৪, নির্বাচন ভবন, আগারগাঁও, ঢাকা) আগামী ২২ এপ্রিল সোমবার বিকাল ৪টা ১০ ঘটিকায় ব্যক্তিগতভাবে উপস্থিত হয়ে ব্যাখ্যা প্রদানের জন্য মাননীয় নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত প্রদান করেছেন।

গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত সোমবার অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর নাটোর জেলা নির্বাচন অফিসে গেলে দেলোয়ার হোসেনকে গাড়িতে তুলে নিয়ে গিয়ে আহত অবস্থায় তাকে তার বাড়ির পাশে ফেলে রেখে যায় দুর্বৃত্তরা।

ভুক্তভোগী প্রার্থীর পরিবার এই ঘটনার জন্য আরেক প্রার্থী লুৎফুল হাবীব রুবেল ও তার সমর্থকদের দায়ী করেছে। উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক লুৎফুল কবীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের শ্যালক। দেলোয়ার হোসেন মনোনয়নপত্র দাখিলের আগে লুৎফুল হাবীব ছিলেন একক প্রার্থী।

;