ফেসবুক-টুইটারের যুগে বাংলা ভাষা



ড. মাহফুজ পারভেজ, কন্ট্রিবিউটিং এডিটর, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

এ যুগ ফেসবুক, টুইটারের। যার অন্য নাম তথ্য প্রযুক্তির বিশ্ববিপ্লব। বলা হয়, এটাই বিশ্বায়নের আসল চেহারা।

যোগাযোগের বিশ্বায়ন শুধু যে পুরো পৃথিবীকে কাছে নিয়ে এসেছে, তা-ই নয়। বিশ্বায়ন তথ্য-প্রযুক্তির বৈপ্লবিক বিকাশের পথে সমগ্র জগতকে নিবিড়ভাবে কাছে নিয়ে এসেছে। দেশ-মহাদেশকে অদৃশ্য তথ্য প্রবাহের বিদ্যুতে সংযুক্ত করেছে।

এমন প্রবল স্রোতে কান পাতলেই এখন বিশ্বায়নের হাওয়ায় হাওয়ায় বাংলা ভাষার রক্তাস্নাত স্বর আর ব্যাঞ্জণ বর্ণগুলোতে গুঞ্জরিত হতে শোনা যায়। ফেসবুক, টুইটার, গুগুলের দেয়ালে অম্লান ফুটে আছে আ মরি বাংলা ভাষা।

কে না জানে যে, সমকালীন সময়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম তথা ফেসবুক আর টুইটারও হয়ে উঠছে দ্রুততম উপায়ে স্বদেশ অথবা বিদেশের বহু দূর-দূরান্তের সুহৃদ মহলের সঙ্গে সামাজিকভাবে আলাপচারিতার এক নির্ভরযোগ্য সংযোগ মাধ্যম। যারা পঞ্চাশ, ষাট অথবা সত্তরের দশকে স্বপ্নের প্রবাস জীবনে প্রতিষ্ঠিত হতে চেয়ে বিদেশবাসী হয়েছিলেন, তাদের পক্ষে একবিংশ শতকের এই উন্নত টেকনোলজির মাধ্যমে স্বদেশের সঙ্গে, নিজস্ব সংস্কৃতির সঙ্গে, মাতৃভাষার সঙ্গে যোগাযোগ সংরক্ষণ সম্ভবপর ছিল না বলেই সন্তান সন্ততিদের নিয়ে নিজেরাও বিদেশি সংস্কৃতি এবং বিদেশি ভাষাকে গ্রহণ করতে তৎপর হয়েছিলেন। আজ প্রযুক্তি সংকট কাটিয়ে দিয়েছে। তথ্য-প্রযুক্তি এখন বৈশ্বিক বাঙালিকে দিচ্ছে শেকড়ের সন্ধান।

ভাষা, সংস্কৃতি, গান, বাজনা, তথ্য, উপাত্ত, ইতিহাস, ঐতিহ্য সুদূর প্রবাসের একাকী ও নিঃসঙ্গ বাঙালিকে বিরূপ পরিবেশেও সমৃদ্ধ করছে। বিশ্বায়ন আর তথ্য-প্রযুক্তি একদিকে যেমন সুযোগ বাড়িয়েছে। অন্যদিকে কিছু ভাবনার বিষয়ও সামনে নিয়ে এসেছে।

কারণ, বিদ্যমান সুযোগকে কাজে লাগানোর জন্যেও সৃজনশীল ভাবনার দরকার আছে। ইন্টারনেট আসার আগেও এমনটি অনেকেই ভেবেছেন। যেমন, ইন্টারনেট অথবা ইলেকট্রনিক মিডিয়ার যুগ শুরু হওয়ার অনেক আগে থেকেই কোনো কোনো বিখ্যাত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ‘ডিপার্টমেন্ট অফ দ্য ল্যাঙ্গুয়েজেস এন্ড কালচারস অব সাউথ এশিয়া ফ্যাকাল্টি’তে সংস্কৃত, উর্দু, তামিল, পাঞ্জাবি প্রভৃতি দক্ষিণ এশীয় ভাষাগুলোর পাশাপাশি বাংলা ভাষায় শিক্ষালাভের ব্যবস্থাও প্রচলিত ছিল এবং এখনও সেটা রয়েছে ক্রমবর্ধিষ্ণু হারে। বিদেশের এলিমেন্টারি ক্লাসগুলোর সিলেবাসে বাংলা বর্ণমালা, বাংলা শব্দ তালিকার বেসিক শব্দাবলি আর অতি প্রয়োজনীয় ব্যাকরণ বিষয়ক কোর্স সংযুক্ত করা হয়েছে বলেও জানা যাচ্ছে। যারা ইন্টারমিডিয়েট অথবা আরো অ্যাডভান্সড ডিগ্রি অর্জন করতে উৎসুক, তাদের সিলেবাস কমপ্লিট করার জন্য রয়েছে উনিশ ও কুড়ি শতকের বাংলা ক্লাসিক সাহিত্যের সঙ্গে সমসাময়িক বিষয়ের ওপরে বিভিন্ন গবেষণামূলক কোর্স। ক্লাসিক সাহিত্য রচয়িতাদের মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্যরা হলেন, মাইকেল মধুসূদন দত্ত, বঙ্কিমচন্দ্র, রবীন্দ্রনাথ, নজরুল, জীবনানন্দ, বিভূতিভূষণ, তারাশংকর, শরৎচন্দ্রসহ স্বল্প পরিচিত কিন্তু উন্নতমানের কিছুসংখ্যক কবিসাহিত্যিকরা।

ইউরোপ, আমেরিকার আগ্রহী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বাংলা ভাষা শিক্ষালাভে দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশের যে সীমিত সংখ্যক ছাত্রছাত্রীর উপস্থিতি সেসব প্রতিষ্ঠানে লক্ষ্য করা যায়, দুঃখের কথা হলো, তাদের বেশিরভাগ শিক্ষার্থী অবাঙালি। প্রবাসী বাঙালির দ্বিতীয় কিংবা পরবর্তী প্রজন্মের মধ্যে পূর্বপুরুষদের ভাষার প্রতি অতীত কিংবা বর্তমানে সেভাবে কখনই সশ্রদ্ধ ঔৎসুক্য অথবা আকর্ষণ লক্ষ্য করা যায়নি, এমন নয়। তবে যে হারে সেটা হওয়া উচিত ছিল, সেটা হয় নি। ইন্টারনেট ও সাইবার জগতেও প্রবাসী প্রজন্ম ভাষা-সংস্কৃতির জন্য জোর কদমে এগিয়ে আসছে না। বরং ঢাকা, কলকাতা থেকেই বাংলাকে নিয়ে কিছু কিছু কাজ হচ্ছে ভার্চুয়াল লাইফে।

সাইবার স্পেসের বাইরে তাকালে দেখা যাচ্ছে, ইউরোপ-আমেরিকার যে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ‘ডিপার্টমেন্ট অফ দ্য ল্যাঙ্গুয়েজেস এন্ড কালচারস অফ সাউথ এশিয়া ফ্যাকাল্টি’ রয়েছে, তারা বিশ্বখ্যাত। যেমন, ইউনিভার্সিটি অফ শিকাগো, ইউনিভার্সিটি অফ পেনসিলভেনিয়া, ইউনিভার্সিটি অফ উইসকন্সিন (যুক্তরাষ্ট্র)। ইউনিভার্সিটি অফ ব্রিটিশ কলাম্বিয়া, ভ্যাংকুভার (কানাডা)। ইউনিভার্সিট অফ লন্ডন, ইউনিভার্সিটি অফ কেম্ব্রিজ, ইউনিভার্সিটি অফ অক্সফোর্ড, স্কুল অব আফ্রিকান অ্যান্ড ওরিয়েন্টাল স্টাডিজ-সোয়াস (যুক্তরাজ্য)। জার্মানি ও অস্ট্রেলিয়াতেও ক্রমবর্ধমান হারে দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক সেন্টার হচ্ছে। কোথাও কোথাও বাংলাদেশ স্টাডিজ চালু হওয়ার কথাও জানা যাচ্ছে। কিন্তু সেখান থেকে বাঙালির চেয়ে বিদেশি শিক্ষার্থী বের হচ্ছে বেশি।

ফলে বাংলাদেশের সমাজ, রাজনীতি, নৃতত্ত্ব, ভাষা, সংস্কৃতিসহ সমুদয় বিষয়ই চর্চা ও গবেষণা হওয়ার সুযোগ ঘটেছে, যা স্বল্প সংখ্যক বিদেশি কাজে লাগালেও প্রবাসী বাঙালি প্রজন্ম পুরোপুরি গ্রহণ করছে না। বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের পৃষ্ঠপোষকতায় প্রবাসীর অংশগ্রহণ আসলেই আশাব্যাঞ্জক নয়।

পাশাপাশি বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের উৎকৃষ্ট নিদর্শন বিদেশি ভাষায় অনূদিত হচ্ছে। প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোর বাইরে বিভিন্ন ব্যক্তিগত ও সংস্থার মাধ্যমে তথ্য-যোগাযোগ ব্যবস্থার নানাবিধ সুযোগ সাইবার জগতে বাংলা সংক্রান্ত তথ্যের বিশাল ভাণ্ডার সাজিয়ে দিচ্ছে। এতো কিছু হলেও সেখানে প্রবাসী বাংলা ভাষীর অংশগ্রহণ তুলনামূলকভাবে বাড়ছে না।

বাংলা ভাষীদের অংশগ্রহণ ও সংযুক্তি না বাড়লে বিশ্বায়নের বিরাট বড় দুনিয়ায় বাংলাকে এগিয়ে নিয়ে যাবে কে? বিশ্বের মোট বাঙালির যে ২০-৩০% ভাগ সদস্য প্রবাসে জীবন-যাপন করেন, ভাষা ও সংস্কৃতির প্রশ্নে তারা নিশ্চুপ ও নিস্পৃহ হলে তা কেবল বেদনাবহই নয়, চরম দুঃখজনকও বটে।

   

মস্তিস্কেও ঢুকে যাচ্ছে প্লাস্টিক



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
মস্তিস্কেও ঢুকে যাচ্ছে প্লাস্টিক

মস্তিস্কেও ঢুকে যাচ্ছে প্লাস্টিক

  • Font increase
  • Font Decrease

বর্তমান পৃথিবী প্লাস্টিকময়। ছোট বড় থকে প্রায় সবরকম কাজে প্লাস্টিকের ব্যবহারের আধিক্য। তবে এই প্লাস্টিক অজৈব পদার্থে তৈরি হওয়ার কারণে সহজে পচনশীল নয়। বিভিন্ন স্থানে জমে থাকার কারণে এসব পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর।  শুধু পরিবেশ নয়, হার্ট, মগজ, সব জায়গাতেই নাকি ঢুকে রয়েছে প্লাস্টিক। সম্প্রতি এক গবেষণায় এমনটাই জানা গিয়েছে। শুধু তাই নয়, হার্টের নানা রোগ, মস্তিষ্কে রক্ত জমাট বাঁধার পিছনেও এই প্লাস্টিকগুলির অবদান রয়েছে বলে জানাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা।

সময়ের বিবর্তনে প্লাস্টিক বিভিন্ন আঘাতের কারণে ক্ষয় হয়ে ক্ষুদ্র আকার ধারণ করে। ৫ মিলিমিটারের চেয়ে ছোট আকারের প্লাস্টিককে মাইক্রোপ্লাস্টিক বলে। দিন দিন পরিবেশে মাইক্রোপ্লাস্টিকের পরিমাণ বেড়ে চলেছে। ইতোমধ্যে সমুদ্রে বিপুল পরিমাণে মাইক্রোপ্লাস্টিক দূষণ সৃষ্টি করেছে। পরিবেশের বিভিন্ন প্রাণী তাদের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তবে দিন দিন এই মাইক্রোপ্লাস্টিকের আধিপত্য বেড়েই চলেছে। এমনকি মানব শরীরেও মাইক্রোপ্লাস্টিকের অস্তিত্ব পাওয়া যাচ্ছে। এক গবেষণায় মস্তিস্কে মাইক্রোপ্লাস্টিক পাওয়া গেছে।

ভারতীয় গণমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসে নিউ ম্যাক্সিকোর এনভয়রনমেন্টাল হেলথ পারসপেক্টিভ প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে উল্লেখ করা হয় খাদ্য, পানি এমনকি বায়ুর মাধ্যমেও শরীরে প্রবেশ করে। এসব ক্ষুদ্র প্লাস্টিক কণা আমাদের স্নায়ুবিক নানান অনুভূতির উপরেও মাইক্রো প্লাস্টিক প্রভাব ফেলে।

রক্ত প্রবাহের কারণে তা শরীরের বিভিন্ন স্থানে ভ্রমণ করে বেড়ায়। শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলোতে তা জমা থেকে স্বাভাবিক কাজকর্মে বাধা প্রদান করে। বৃক্ক, লিভার, হৃদপিণ্ডের রক্তনালি ছাড়াও সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় মস্তিষ্ক। মাইক্রোপ্লাস্টিক এসব অঙ্গে দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব ফেলতে পারে। 

ডাক্তার ইয়াতিন সাগভেকার বলেন দৈনন্দিন নানা কাজের মধ্যেই শরীরে মাইক্রোপ্লাস্টিক প্রবেশ করে। তবে পারে তা ত্বক, প্রশ্বাসের বায়ু বা ইনজেশনের মাধ্যমে।     

তিনি আরও বলেন, শুধুমাত্র ২০ মাইক্রোমিটারের চেয়ে ছোট মাইক্রোপ্লাস্টিক শরীরে প্রবেশ করতে পারার কথা। এছাড়া ১০ মাইক্রোমিটার আকারের গুলো মস্তিষ্কের সুক্ষ্ম কোষের ঝিল্লির অতিক্রম করতে সক্ষম হওয়া উচিত।

প্লাস্টিক পরিবেশ্ম প্রানি এমনকি মানুষের জন্যও অনেক ক্ষতিকর। তাই সকলের উচিত যতটা সম্ভব প্লাস্টিক বর্জন করা। পাশাপাশি প্রাকৃতিক উপাদানে তৈরি জিনিসের ব্যবহার বাড়ানো।

;

খাবারের পর প্লেট ধোয়া কষ্ট? তাহলে এই কৌশল আপনার জন্য!



ফিচার ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

খাওয়ার বিষয়ে সবাই পটু। কিন্তু খাওয়ার পর থালা বাসন ধোয়াকে অনেকেই কষ্টকর কাজ মনে করেন। তাই দেখা যায় খাওয়ার পর অপরিষ্কার অবস্থায়ই থেকে যায় থালা বাসনগুলো। এবার এই কষ্ট কমাতে এক অভিনব কৌশল বেছে নিয়েছেন এক ব্যক্তি।

সম্প্রতি এমন এক ভিডিও নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি। 

হর্ষ গোয়েনকা নামে ভারতের এক শিল্পপতি তাঁর এক্স হ্যন্ডেলে (সাবেক টুইটার) ভিডিওটি শেয়ার করেন। এতে দেখা যায়, থালাবাসন পরিষ্কারের কাজ এড়াতে এক ব্যক্তি মজার এক কৌশল নিয়েছেন। এতে দেখা যায়, এক ব্যক্তি খাবার রান্না করছেন। খাবার আগে তিনি প্লাস্টিক দিয়ে প্লেট, চামচ ও পানির গ্লাস মুড়িয়ে নিচ্ছেন।

শেয়ার করে তিনি মজাচ্ছলে লিখেছেন, "যখন আপনার থালা-বাসন ধোয়ার জন্য পর্যাপ্ত পানি থাকে না..."।

ভিডিওটি শেয়ার করার পর মুহূর্তেই সেটি ভাইরাল হয়ে যায়। ভিডিওটি অনেক বিনোদনের জন্ম দিয়েছে। যদিও কেউ কেউ প্লাস্টিকের মোড়ককে হাস্যকর মনে করেন এবং এর ব্যবহার নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।

এক্স ব্যবহারকারী একজন লিখেছেন, 'পানি সংরক্ষণ ও পুনর্ব্যবহার করা হল মন্ত্র হল এমন কৌশল! তবে প্লাস্টিকের ব্যবহার নতুন করে ভাবাচ্ছে।'

অন্য একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, 'আমি আমার হোস্টেলের দিনগুলিতে এটি করেছি। আমাদের পানি সরবরাহ ছিল না এবং বারবার ধোয়ার কষ্টে এমন কৌশল নিয়েছি।'

আরেক ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘মনে হচ্ছে বেঙ্গালুরুতে পানি–সংকটের সমাধান হয়ে যাচ্ছে।’

;

জলদানব ‘লক নেস’কে খুঁজে পেতে নাসার প্রতি আহ্বান



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রহস্যময় জলদানব জলদানব ‘লক নেস’কে খুঁজে পেতে নাসার প্রতি আহ্বান জানিয়েছে লক নেস সেন্টার। ২০২৩ সালের এই রহস্যময় প্রাণীর শব্দের উৎস ও একে খুঁজে পেতে হাইড্রোফোন ব্যবহার করা হয়েছিল।

স্যার এডওয়ার্ড মাউন্টেনের ৯০তম অভিযানের অংশ হিসেবে আগামী ৩০ মে থেকে ২ জুন পর্যন্ত এই ‘লক নেস মনস্টার’কে খুঁজে পেতে অনুসন্ধান চালানো হবে।

রহস্যময় এই ‘লক নেস মনস্টার’কে ১৯৩৪ সালে প্রথম দেখা যায়। এ পর্যন্ত ১ হাজার ১শ ৫৬ বার দেখা গেছে বলে লক নেস সেন্টার সূত্রে জানা গেছে।

এ বিষয়ে লক নেস সেন্টারের এমি টোড বলেছেন, আমরা আশা করছি, এই রহস্যময় জলদানবকে খুঁজে পেতে মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার গবেষকেরা আমাদের সহযোগিতা করবেন। তারা আমাদের জলদানবকে খুঁজে পেতে যথাযথ নির্দেশনা দেবেন এবং এ বিষয়ে সব কিছু জানাতে সাহায্য করবেন।

তিনি বলেন, আমাদের অভিযানের বিষয়ে যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়েছি। আমরা আশা করছি, নাসার উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে আমরা জলদানব বিষয়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজে পাবো।

রহস্যময় জলদানব খুঁজে পেতে স্বেচ্ছাসেবকের ভূপৃষ্ঠ থেকে যেমন নজর রাখবেন, তেমনি পানির ভেতরে অভিযান চালানোর বিষয়ে তাদেরকে নির্দেশনা দেওয়া হবে। রহস্যময় জলদানবকে খুঁজে পেতে ১৯৭০ দশক ও ১৯৮০ দশকের যে সব তথ্যচিত্র লক নেসের কাছে সংরক্ষিত রয়েছে, সেগুলো যাচাই করে দেখা হবে।

তারপর জলদানব সম্পর্কে স্বেচ্ছাসেবকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেবেন লক নেসের পরিচালক জন ম্যাকলেভারটি।

এ নিয়ে গবেষকদের নিয়ে একটি অনলাইন বিতর্ক অনুষ্ঠিত হবে। যারা রহস্যময় এই জলদানবকে সচক্ষে দেখেছেন, তারাও এ লাইভ বিতর্কে অংশ নেবেন।

নেস হৃদ

যে হ্রদে জলদানব অবস্থান করছে বলে জানা গেছে, অভিযানের অভিযাত্রী দল নৌকায় করে সেখানে যাবেন। এসময় তাদের সঙ্গে থাকবেন গভীর সমুদ্রে অনুসন্ধানকারী দলের ক্যাপ্টেন অ্যালিস্টার মাথিসন। তিনি লক নেস প্রজেক্টে একজন স্কিপার হিসেবে কাজ করছেন। তার সঙ্গে থাকবেন ম্যাকেন্না।

অনুসন্ধান কাজে ১৮ মিটার (৬০ ফুট) হাইড্রোফোন ব্যবহার করা হবে। এটি দিয়ে রহস্যময় শব্দের প্রতিধ্বনি রেকর্ড করা হবে।

দ্য লক নেস সেন্টার ড্রামনাড্রোচিট হোটেলে অবস্থিত। ৯০ বছর আগে অ্যালডি ম্যাককে প্রথম রিপোর্ট করেছিলেন যে তিনি একটি জলদানব দেখেছেন।

লক নেস সেন্টারের জেনারেল ম্যানেজার পল নিক্সন বলেছেন, ২০২৩ সালে নেসিকে খুঁজে পেতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, ফ্রান্স, ইতালি, জাপানসহ আরো অনেক দেশ অনুসন্ধান কাজে অংশ নিয়েছিল। এটি ছিল বড় ধরনের একটি অভিযান।

তিনি বলেন, অনুসন্ধানের সময় যে অদ্ভুত শব্দ শোনা গিয়েছিল, সে শব্দের কোনো ব্যাখ্যা দাঁড় করানো যায়নি। তবে আমরা এবার দৃঢ় প্রতিজ্ঞ যে, জলদানব লক নেসের রহস্য উন্মোচন করতে পারবো।

এ বিষয়ে আমরা সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার করবো। এ রহস্যময় জলদানব লক নেস সম্পর্কে যাদের ধারণা আছে, তাদের সহযোগিতা নেওয়া হবে। পল নিক্সন আরো বলেন, এবার আমরা খুবই উচ্ছ্বসিত যে, জলদানবকে খুঁজে পেতে নতুন ধরনের যন্ত্রপাতি ব্যবহার করবো।

স্কটল্যান্ডের ইনভার্নেসের কাছে এক বিশাল হ্রদের নাম ‘নেস’। স্কটিশ গেলিক ভাষায় হ্রদকে লক (Loch) বলা হয়। আর উচ্চারণ করা হয় ‘লক’। গ্রেট ব্রিটেনের স্বাদুপানির সবচেয়ে একক বৃহত্তম উৎস এ হ্রদটির আয়তন ২২ বর্গ কিলোমিটার, গভীরতা ৮০০ ফুটেরও বেশি। এই হ্রদেই দেখা মিলেছিল সত্যিকারের জলদানব ‘লক নেসের’।

;

স্টেডিয়ামে খেলা দেখার জন্য অফিসে মিথ্যা বলা, শেষ রক্ষা হয়নি তার!



ফিচার ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বহুল প্রত্যাশিত ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) শুরু হয়েছে ২২ মার্চ থেকে। বিশ্বের নামিদামী সব খেলোয়াড়ের উপস্থিতি থাকায় বিশ্বজুড়ে এই লীগের চাহিদা তুঙ্গে। তাই এর দর্শক সংখ্যাও কত হতে পারে সেটা সহজেই অনুমেয়। যাদের সুযোগ সামর্থ্য থাকে তারা স্টেডিয়ামে বসে খেলা দেখেন আর যাদের সুযোগ না থাকে তারা টেলভিশনের পর্দায়ই বিনোদন খোঁজেন।

সম্প্রতি, এই লীগের একটি ম্যাচ স্টেডিয়ামে দেখতে গিয়ে অদ্ভুত এক কাণ্ডের জন্ম দিয়েছেন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরের নেহা নামে এক নারী ভক্ত। ওইদিন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু ও লখৌন সুপার জায়ান্টসের মধ্যে ম্যাচ চলছিল। সেই খেলা মাঠে বসে দেখতে তিনি পারিবারিক সমস্যার কথা বলে আগেই অফিস থেকে বের হয়ে যান।

তারপর যথারীতি সে মাঠে বসে খেলা উপভোগ করছিল। কিন্তু বিপত্তি বাঁধে অন্য জায়গায়। খেলা চলার এক পর্যায়ে তাকে টিভি স্ক্রিনে দেখতে পায় তার অফিসের বস।

পরে এই ঘটনাটির একটি ভিডিও তিনি তার ইন্সটাগ্রাম একাউন্টে শেয়ার করেন। সেখানে তিনি পুরো বিষয়টি নিয়ে খোলাসা করেন।

ওই ভিডিওতে নেহা বলেন, অফিস থেকে পারিবারিক সমস্যার কথা বলে মাঠে এসে খেলা দেখেছি। আমি রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর একজন ভক্ত। কিন্তু টিভি স্ক্রিনে আমার বস আমাকে দেখে ফেলে। পরে তিনি আমাকে জিজ্ঞেস করেছেন আমি কোন দলের সমর্থক হিসেবে খেলা দেখছি। আমি বলেছি রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু।

এরপর বস বলেন, তাহলে আপনি নিশ্চয় গতকাল খুব অসন্তুষ্ট ছিলেন। ওরা ফিল্ডিংয়ে একটি ক্যাচ মিস করার সময় আপনাকে খুব উদ্বিগ্ন চেহারায় দেখেছি। ১৬.৩ ওভারে যখন কিপার ক্যাচ মিস করলো, তখন।

হাতেনাতে ধরা পড়ে যাওয়ার পর নেহা স্বীকার করে নেন, ওটা তিনিই ছিলেন। বলেন, হ্যাঁ, অনুজ রাওয়াত ক্যাচ মিস করেছিল।

এরপর নেহার বস বলেন, মাত্র কয়েক সেকেন্ডের জন্য ক্যামেরায় আপনাকে দেখিয়েছিল। আর তাতেই আমি চিনে ফেলেছি। তাহলে এটাই ছিল গতকাল দ্রুত বেরিয়ে যাওয়ার কারণ।

এরপর তিনি একটি হাসির ইমোজি দিয়ে কথপোকথন শেষ করেন।

ভিডিওটি শেয়ার করার পর রাতারাতি সেটি ভাইরাল হয়ে যায়।

পোস্টের নিচে অনেকেই নিজেদের অভিমত ব্যক্ত করেছেন।

একজন লিখেছেন, এটা ঠিক আছে। ম্যানেজারের উচিত কর্মচারীকে স্বাধীনতা প্রদান করা। যাতে সে সত্য বলতে পারে বা নিজের জীবনকে স্বাধীনভাবে উপভোগ করতে পারে।

আরেকজন লিখেছেন, আপনাকে এর জন্য চাকরি থেকে বরখাস্ত করা উচিত। একে তো আপনি অফিস থেকে মিথ্যা কথা বলে বের হয়েছে আবার নিজেদের ব্যক্তিগত কথা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করেছেন।

;