মেঘপাহাড়ের ডাক-৭

মেঘালয়-স্কটল্যান্ড অব দ্য ইস্ট



মাহমুদ হাফিজ, কন্ট্রিবিউটিং এডিটর
লেখক, মাহমুদ হাফিজ

লেখক, মাহমুদ হাফিজ

  • Font increase
  • Font Decrease

মেঘালয়ের রাজধানী শিলংয়ের সকালটি বড় মনোরম হয়ে ধরা দিলো। সচরাচর মেঘলা দিন আজ ঝলমলে রোদের ঝিলিক। তবে ভ্রাম্যমাণ মেঘের ভেলায় তা আবার মাঝে মাঝে ছায়াময় হয়ে ওঠে। বিগত সন্ধ্যায় শিলং পৌঁছে এর রাত্রির রূপটা দেখেছি মাত্র। আসল চিত্রটি চোখের সামনে এলো সকালে। সাতসকালে শৈলকন্যা শিলংয়ের রাস্তায় রাস্তায় ইউনিফর্ম পরা স্কুলগামী ছেলেমেয়েদের কলতান।

হেঁটে বা গাড়িতে ছুটেছে শিক্ষালয়ে। অফিসগামীরা ছুটছে ব্যক্তিগত গাড়ি, ট্যাক্সি বা পাবলিক বাসে। পাহাড়ি সরু রাস্তার পাশে, আবাসিক পাড়াগুলোতে দোকানের ছড়াছড়ি। নাক বোঁচা, ছোট চোখের খাসি- গারো মেয়েরাই সেগুলো চালাচ্ছে। পথে পথে বাঁধভাঙা মানুষের জোয়ার। রাস্তাঘাট ছেলেদের তুলনায় কর্মমুখর লাস্যময়ী মেয়েদের কলহাস্যে মুখর। দেখেই বোঝা যায় মেঘের মেয়ে মেঘালয় কন্যাশাসিত সমাজের আওতাভূক্ত। মাতৃতান্ত্রিক সমাজের ধারায় চলছে এই শহর। 

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jun/15/1560596620638.jpg

পাহাড়ি উপত্যকার শহরটিতে এশিয়ার বৃহত্তম গলফ কোর্স, ক্যান্টনমেন্ট, মন্দির, মসজিদ, গির্জার ছড়াছড়ি। আছে স্টেডিয়াম। সিএম হাউজ, গভর্ণর হাউজ, হাইকোর্ট, বিধানসভা, সেক্রেটারিয়েট নানা সরকারি দফতর। শিক্ষার জন্য রয়েছে সেন্ট এডমন্ড, সেন্ট এ্যান্থনি, সেন্ট মেরি স্কুল ও কলেজসহ অসংখ্য স্কুল কলেজ। শিক্ষার পঁচাত্তর শতাংশ। উচ্চশিক্ষার জন্য রয়েছে নর্থ ইস্টার্ণ হিল ইউনিভার্সিটি-নেহুসহ বেশ কয়েকটি প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ও টেকনিক্যাল কলেজ। বিশ্ব পরিব্রাজকদের আকর্ষণের কেন্দ্রে থাকায় শহরের পাড়ায় পাড়ায় হোটেল-রেস্তোরা। আছে পুলিশ বাজার নামে সিটি সেন্টার। শহরের আনাচে কানাচে বাজার, শপিং মল। পাহাড়ি খাদ, আঁকাবাকা রাস্তা, লেক, গার্ডেন, পাইনগাছের ঘনবন শৈলশহরটিকে দিয়েছে আলাদা বৈচিত্র্য। এর আকাশে সারাক্ষণ মেঘরোদ্রের লুকোচুরি। কখনো মেঘ, কখনো রোদ্দুর, কখনো ঝুমবৃষ্টি এর জলহাওয়ায়। প্রাকৃতিক এসি শহরটিকে প্রকৃতিগত দিক থেকে নাতিশীতোষ্ণ করে রেখেছে। আঁকাবাঁকা রাস্তায় চলতে গিয়ে কখনো ওপর থেকে নিচে শহরের দালানকোঠা দেখা যায়। আবার একই রাস্তা নিচের দিকে নেমে গেলে চোখের তারায় শহরকে দেখা যায় ওপরের পাহাড়ি ঢালে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jun/15/1560596639582.jpg

মেঘালয় ও শিলংকে স্কটল্যান্ড অব দ্য ইস্ট নামে খাতি দিয়েছে বৃটিশরা। এর দৃষ্টিনন্দন উপত্যকা, পাহাড়ি রাস্তা, নয়নাভিরাম মেঘ, নাতিশীতোষ্ণ আবহাওয়া, অগুণতি জলপ্রপাত, ঘন পাইনবন এসব একমাত্র স্কটিশ হাইল্যান্ডের সঙ্গেই তুল্য। এখানে যে ১৮ হোল গল্ফকোর্স আছে, তাও এডিনবরা সংলগ্ন ডালকিত এর গল্ফকোর্স এর সঙ্গে তুলনা করা যায়। গারো, খাসি, জৈন্তিয়া পাহাড়ে পূর্ব, পশ্চিম, উত্তর, দক্ষিণে মোট ১১ টি জেলা নিয়ে মেঘালয় রাজ্য। ভারতের লোকসভার দুটি আসন শিলং ও তুরা। গারো, খাসি, জৈন্তিয়া জাতিসত্তাপ্রধান মেঘালয়ের আদিবাসীদের বেশিরভাগ খ্রীষ্ট ধর্মে দীক্ষিত। শিলং শহরসহ দূর্গম পাহাড়ি গ্রাম পর্যন্ত চার্চ রয়েছে। হিন্দু,মুসলিম, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন এবং প্রাচীন ধর্মাবলম্বীও রয়েছে। এখানকার জাতিসত্তা খ্রীষ্ট ধর্মের যে শাখাটিতে ধর্মান্তরিত হয়েছে তাকে প্রেসবাইটেরিয়ান্স বলা হয়। যা বৃটেন বিশেষ করে স্কটিশ হাইল্যান্ডে অনুসরণ করা হয়।

স্কটল্যান্ড অব দ্য ইস্ট-মেঘালয়ের প্রধান প্রধান শহরের মধ্যে রাজধানী শিলং ছাড়াও রয়েছে নংপোহ, তোরা, উইলিয়ামনগর, রসুবেলপাড়া, নংসতৈন, নংকসেহ, আমপাতি, জোয়াই, বাঘমারা, সোহরা (চেরাপুঞ্জি), ডাউকি।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jun/15/1560596786134.jpg

মেঘালয় উত্তরপূর্ব ভারতের পর্যটন আকর্ষণ কেন্দ্র। সব ঋতুতেই প্রতিবেশী বাংলাদেশ ও ভারতের বিভিন্ন রাজ্য থেকে লাখ লাখ পর্যটক ছুটে আসছে। ছুটে যাচ্ছে মেঘালয়ের পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে। এই রাজ্যের সোহরা বা চেরাপুঞ্জি বৃষ্টির বৃষ্টি রাজধানী। মেঘালয় নামটির হিন্দী অর্থ মেঘের আলয়। বাংলা ভাষায়ও তাই। রাজ্যের পর্যটনকেন্দ্রগুলোর মধ্যে প্রাকৃতিক জলপ্রপাত, লেক, শেকড় সেতু, পরিচ্ছন্ন গ্রাম, পাথুরে নদী, রোমাঞ্চকর ট্রেক, গ্রান্ড ক্যানিয়ন বা মহাগিরিখাদ, মেঘ-কুয়াশাময় পাহাড়ি ভিউপয়েন্ট এবং দূর্গম আদিবাসী গ্রাম অন্যতম। চেরাপুঞ্জির মেঘদল, বৃষ্টি, সেভেন সিস্টার ফলস, ওয়াই সো ডং ফলস, থাংখারাং পার্ক, মাসমাই কেভ, কোহ রামহাহ বা জায়ান্ট রক, বাংলাদেশ ভিউপয়েন্ট, ডাউকির উমগট নদী, মাওলিন্নং ভিলেজ, সোনংপেডেং, উমক্রেন ফলস, বরহিল ফলস, লিভিং রুট ব্রিজ বা জীবন্ত শেকড়সেতু, ওয়াহ রিম্বেন ফলস পর্যটকদের আকর্ষণ করে। শিলংয়ের ওয়ার্ডস লেক, পাশ্ববর্তী নমপোহ’র উমিয়াম লেক, লাবানের গ্রান্ড মদীনা মসজিদ, ব্রুকসাইডের রবীন্দ্রস্মৃতিবিজড়িত বাংলো, স্মিথ ভিলেজ, লেইটলাম গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন, রাসোং ভিলেজ পর্যটকদের টেনে আনে মেঘালয়ে।

আমরা হাঁটতে থাকি মেঘের বাড়ি মেঘালয়ের রাস্তায়। নাকবোঁচা, ক্ষুদ্রচোখের পাহাড়ি কন্যার ঢল দেখি। দোকানপাটেও তাদের আধিপত্য চোখে পড়ে। ঘোমটা টানা পর্দানশীন, সিঁদুরপরা হিন্দুবধু, টুপিওলা মুসলিম বা পাগিড়ধারি শিখদের দেখে এখানকার ধর্মীয় সম্প্রীতি চোখের সামনে ভেসে ওঠে। গারো, খাসি, জৈন্তিয়া জাতিসত্তার কথা মনে উঠলে যে পাহাড়ি মানুষের চিত্র মনে ভাসে, মেঘালয়ের পাহাড়িরা এর উল্টো। এখানকার পাহাড়ি জাতিসত্তায় শিক্ষিত, আধুনিক ও মার্জিতসম্পন্ন এবং চমৎকার ইংরেজীতে কথা বলে। রাজ্যের সরকারি ভাষাও ইংরেজি। খাসি, গারো ও জৈন্তিয়ারা মাতৃভাষাও ব্যবহার করে। কদাচিৎ শিলংয়ের রাস্তায় পাহাড়ি আদিবাসীর পোশাকে বাঁশের ঝুড়ি পিঠে দুয়েকজন পাহাড়িকে দেখা যায়। তারা হয়তো দূর্গম গ্রাম থেকে রাজধানী শহরে আসা মানুষ। কিন্তু তাদের সংখ্যা নিতান্ত নগণ্য।

আমাদের ছোট্ট পর্যটকদলটি ছোট পাহাড়ি শহরটির এ গলি ও গলি হাঁটি আর প্রতিটি কোণ উপভোগ করি। শহরের ওপর দিয়ে উড়ে যাওয়া মেঘমালা, বৃষ্টি, মেঘভেঙে ঠিকরে বের হয়ে আসা রোদ্দুর, এর ঠান্ডা বাতাস আমাদের মন প্রশান্ত করে দেয়।

 

   

মস্তিস্কেও ঢুকে যাচ্ছে প্লাস্টিক



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
মস্তিস্কেও ঢুকে যাচ্ছে প্লাস্টিক

মস্তিস্কেও ঢুকে যাচ্ছে প্লাস্টিক

  • Font increase
  • Font Decrease

বর্তমান পৃথিবী প্লাস্টিকময়। ছোট বড় থকে প্রায় সবরকম কাজে প্লাস্টিকের ব্যবহারের আধিক্য। তবে এই প্লাস্টিক অজৈব পদার্থে তৈরি হওয়ার কারণে সহজে পচনশীল নয়। বিভিন্ন স্থানে জমে থাকার কারণে এসব পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর।  শুধু পরিবেশ নয়, হার্ট, মগজ, সব জায়গাতেই নাকি ঢুকে রয়েছে প্লাস্টিক। সম্প্রতি এক গবেষণায় এমনটাই জানা গিয়েছে। শুধু তাই নয়, হার্টের নানা রোগ, মস্তিষ্কে রক্ত জমাট বাঁধার পিছনেও এই প্লাস্টিকগুলির অবদান রয়েছে বলে জানাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা।

সময়ের বিবর্তনে প্লাস্টিক বিভিন্ন আঘাতের কারণে ক্ষয় হয়ে ক্ষুদ্র আকার ধারণ করে। ৫ মিলিমিটারের চেয়ে ছোট আকারের প্লাস্টিককে মাইক্রোপ্লাস্টিক বলে। দিন দিন পরিবেশে মাইক্রোপ্লাস্টিকের পরিমাণ বেড়ে চলেছে। ইতোমধ্যে সমুদ্রে বিপুল পরিমাণে মাইক্রোপ্লাস্টিক দূষণ সৃষ্টি করেছে। পরিবেশের বিভিন্ন প্রাণী তাদের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তবে দিন দিন এই মাইক্রোপ্লাস্টিকের আধিপত্য বেড়েই চলেছে। এমনকি মানব শরীরেও মাইক্রোপ্লাস্টিকের অস্তিত্ব পাওয়া যাচ্ছে। এক গবেষণায় মস্তিস্কে মাইক্রোপ্লাস্টিক পাওয়া গেছে।

ভারতীয় গণমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসে নিউ ম্যাক্সিকোর এনভয়রনমেন্টাল হেলথ পারসপেক্টিভ প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে উল্লেখ করা হয় খাদ্য, পানি এমনকি বায়ুর মাধ্যমেও শরীরে প্রবেশ করে। এসব ক্ষুদ্র প্লাস্টিক কণা আমাদের স্নায়ুবিক নানান অনুভূতির উপরেও মাইক্রো প্লাস্টিক প্রভাব ফেলে।

রক্ত প্রবাহের কারণে তা শরীরের বিভিন্ন স্থানে ভ্রমণ করে বেড়ায়। শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলোতে তা জমা থেকে স্বাভাবিক কাজকর্মে বাধা প্রদান করে। বৃক্ক, লিভার, হৃদপিণ্ডের রক্তনালি ছাড়াও সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় মস্তিষ্ক। মাইক্রোপ্লাস্টিক এসব অঙ্গে দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব ফেলতে পারে। 

ডাক্তার ইয়াতিন সাগভেকার বলেন দৈনন্দিন নানা কাজের মধ্যেই শরীরে মাইক্রোপ্লাস্টিক প্রবেশ করে। তবে পারে তা ত্বক, প্রশ্বাসের বায়ু বা ইনজেশনের মাধ্যমে।     

তিনি আরও বলেন, শুধুমাত্র ২০ মাইক্রোমিটারের চেয়ে ছোট মাইক্রোপ্লাস্টিক শরীরে প্রবেশ করতে পারার কথা। এছাড়া ১০ মাইক্রোমিটার আকারের গুলো মস্তিষ্কের সুক্ষ্ম কোষের ঝিল্লির অতিক্রম করতে সক্ষম হওয়া উচিত।

প্লাস্টিক পরিবেশ্ম প্রানি এমনকি মানুষের জন্যও অনেক ক্ষতিকর। তাই সকলের উচিত যতটা সম্ভব প্লাস্টিক বর্জন করা। পাশাপাশি প্রাকৃতিক উপাদানে তৈরি জিনিসের ব্যবহার বাড়ানো।

;

খাবারের পর প্লেট ধোয়া কষ্ট? তাহলে এই কৌশল আপনার জন্য!



ফিচার ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

খাওয়ার বিষয়ে সবাই পটু। কিন্তু খাওয়ার পর থালা বাসন ধোয়াকে অনেকেই কষ্টকর কাজ মনে করেন। তাই দেখা যায় খাওয়ার পর অপরিষ্কার অবস্থায়ই থেকে যায় থালা বাসনগুলো। এবার এই কষ্ট কমাতে এক অভিনব কৌশল বেছে নিয়েছেন এক ব্যক্তি।

সম্প্রতি এমন এক ভিডিও নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি। 

হর্ষ গোয়েনকা নামে ভারতের এক শিল্পপতি তাঁর এক্স হ্যন্ডেলে (সাবেক টুইটার) ভিডিওটি শেয়ার করেন। এতে দেখা যায়, থালাবাসন পরিষ্কারের কাজ এড়াতে এক ব্যক্তি মজার এক কৌশল নিয়েছেন। এতে দেখা যায়, এক ব্যক্তি খাবার রান্না করছেন। খাবার আগে তিনি প্লাস্টিক দিয়ে প্লেট, চামচ ও পানির গ্লাস মুড়িয়ে নিচ্ছেন।

শেয়ার করে তিনি মজাচ্ছলে লিখেছেন, "যখন আপনার থালা-বাসন ধোয়ার জন্য পর্যাপ্ত পানি থাকে না..."।

ভিডিওটি শেয়ার করার পর মুহূর্তেই সেটি ভাইরাল হয়ে যায়। ভিডিওটি অনেক বিনোদনের জন্ম দিয়েছে। যদিও কেউ কেউ প্লাস্টিকের মোড়ককে হাস্যকর মনে করেন এবং এর ব্যবহার নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।

এক্স ব্যবহারকারী একজন লিখেছেন, 'পানি সংরক্ষণ ও পুনর্ব্যবহার করা হল মন্ত্র হল এমন কৌশল! তবে প্লাস্টিকের ব্যবহার নতুন করে ভাবাচ্ছে।'

অন্য একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, 'আমি আমার হোস্টেলের দিনগুলিতে এটি করেছি। আমাদের পানি সরবরাহ ছিল না এবং বারবার ধোয়ার কষ্টে এমন কৌশল নিয়েছি।'

আরেক ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘মনে হচ্ছে বেঙ্গালুরুতে পানি–সংকটের সমাধান হয়ে যাচ্ছে।’

;

জলদানব ‘লক নেস’কে খুঁজে পেতে নাসার প্রতি আহ্বান



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রহস্যময় জলদানব জলদানব ‘লক নেস’কে খুঁজে পেতে নাসার প্রতি আহ্বান জানিয়েছে লক নেস সেন্টার। ২০২৩ সালের এই রহস্যময় প্রাণীর শব্দের উৎস ও একে খুঁজে পেতে হাইড্রোফোন ব্যবহার করা হয়েছিল।

স্যার এডওয়ার্ড মাউন্টেনের ৯০তম অভিযানের অংশ হিসেবে আগামী ৩০ মে থেকে ২ জুন পর্যন্ত এই ‘লক নেস মনস্টার’কে খুঁজে পেতে অনুসন্ধান চালানো হবে।

রহস্যময় এই ‘লক নেস মনস্টার’কে ১৯৩৪ সালে প্রথম দেখা যায়। এ পর্যন্ত ১ হাজার ১শ ৫৬ বার দেখা গেছে বলে লক নেস সেন্টার সূত্রে জানা গেছে।

এ বিষয়ে লক নেস সেন্টারের এমি টোড বলেছেন, আমরা আশা করছি, এই রহস্যময় জলদানবকে খুঁজে পেতে মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার গবেষকেরা আমাদের সহযোগিতা করবেন। তারা আমাদের জলদানবকে খুঁজে পেতে যথাযথ নির্দেশনা দেবেন এবং এ বিষয়ে সব কিছু জানাতে সাহায্য করবেন।

তিনি বলেন, আমাদের অভিযানের বিষয়ে যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়েছি। আমরা আশা করছি, নাসার উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে আমরা জলদানব বিষয়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজে পাবো।

রহস্যময় জলদানব খুঁজে পেতে স্বেচ্ছাসেবকের ভূপৃষ্ঠ থেকে যেমন নজর রাখবেন, তেমনি পানির ভেতরে অভিযান চালানোর বিষয়ে তাদেরকে নির্দেশনা দেওয়া হবে। রহস্যময় জলদানবকে খুঁজে পেতে ১৯৭০ দশক ও ১৯৮০ দশকের যে সব তথ্যচিত্র লক নেসের কাছে সংরক্ষিত রয়েছে, সেগুলো যাচাই করে দেখা হবে।

তারপর জলদানব সম্পর্কে স্বেচ্ছাসেবকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেবেন লক নেসের পরিচালক জন ম্যাকলেভারটি।

এ নিয়ে গবেষকদের নিয়ে একটি অনলাইন বিতর্ক অনুষ্ঠিত হবে। যারা রহস্যময় এই জলদানবকে সচক্ষে দেখেছেন, তারাও এ লাইভ বিতর্কে অংশ নেবেন।

নেস হৃদ

যে হ্রদে জলদানব অবস্থান করছে বলে জানা গেছে, অভিযানের অভিযাত্রী দল নৌকায় করে সেখানে যাবেন। এসময় তাদের সঙ্গে থাকবেন গভীর সমুদ্রে অনুসন্ধানকারী দলের ক্যাপ্টেন অ্যালিস্টার মাথিসন। তিনি লক নেস প্রজেক্টে একজন স্কিপার হিসেবে কাজ করছেন। তার সঙ্গে থাকবেন ম্যাকেন্না।

অনুসন্ধান কাজে ১৮ মিটার (৬০ ফুট) হাইড্রোফোন ব্যবহার করা হবে। এটি দিয়ে রহস্যময় শব্দের প্রতিধ্বনি রেকর্ড করা হবে।

দ্য লক নেস সেন্টার ড্রামনাড্রোচিট হোটেলে অবস্থিত। ৯০ বছর আগে অ্যালডি ম্যাককে প্রথম রিপোর্ট করেছিলেন যে তিনি একটি জলদানব দেখেছেন।

লক নেস সেন্টারের জেনারেল ম্যানেজার পল নিক্সন বলেছেন, ২০২৩ সালে নেসিকে খুঁজে পেতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, ফ্রান্স, ইতালি, জাপানসহ আরো অনেক দেশ অনুসন্ধান কাজে অংশ নিয়েছিল। এটি ছিল বড় ধরনের একটি অভিযান।

তিনি বলেন, অনুসন্ধানের সময় যে অদ্ভুত শব্দ শোনা গিয়েছিল, সে শব্দের কোনো ব্যাখ্যা দাঁড় করানো যায়নি। তবে আমরা এবার দৃঢ় প্রতিজ্ঞ যে, জলদানব লক নেসের রহস্য উন্মোচন করতে পারবো।

এ বিষয়ে আমরা সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার করবো। এ রহস্যময় জলদানব লক নেস সম্পর্কে যাদের ধারণা আছে, তাদের সহযোগিতা নেওয়া হবে। পল নিক্সন আরো বলেন, এবার আমরা খুবই উচ্ছ্বসিত যে, জলদানবকে খুঁজে পেতে নতুন ধরনের যন্ত্রপাতি ব্যবহার করবো।

স্কটল্যান্ডের ইনভার্নেসের কাছে এক বিশাল হ্রদের নাম ‘নেস’। স্কটিশ গেলিক ভাষায় হ্রদকে লক (Loch) বলা হয়। আর উচ্চারণ করা হয় ‘লক’। গ্রেট ব্রিটেনের স্বাদুপানির সবচেয়ে একক বৃহত্তম উৎস এ হ্রদটির আয়তন ২২ বর্গ কিলোমিটার, গভীরতা ৮০০ ফুটেরও বেশি। এই হ্রদেই দেখা মিলেছিল সত্যিকারের জলদানব ‘লক নেসের’।

;

স্টেডিয়ামে খেলা দেখার জন্য অফিসে মিথ্যা বলা, শেষ রক্ষা হয়নি তার!



ফিচার ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বহুল প্রত্যাশিত ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) শুরু হয়েছে ২২ মার্চ থেকে। বিশ্বের নামিদামী সব খেলোয়াড়ের উপস্থিতি থাকায় বিশ্বজুড়ে এই লীগের চাহিদা তুঙ্গে। তাই এর দর্শক সংখ্যাও কত হতে পারে সেটা সহজেই অনুমেয়। যাদের সুযোগ সামর্থ্য থাকে তারা স্টেডিয়ামে বসে খেলা দেখেন আর যাদের সুযোগ না থাকে তারা টেলভিশনের পর্দায়ই বিনোদন খোঁজেন।

সম্প্রতি, এই লীগের একটি ম্যাচ স্টেডিয়ামে দেখতে গিয়ে অদ্ভুত এক কাণ্ডের জন্ম দিয়েছেন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরের নেহা নামে এক নারী ভক্ত। ওইদিন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু ও লখৌন সুপার জায়ান্টসের মধ্যে ম্যাচ চলছিল। সেই খেলা মাঠে বসে দেখতে তিনি পারিবারিক সমস্যার কথা বলে আগেই অফিস থেকে বের হয়ে যান।

তারপর যথারীতি সে মাঠে বসে খেলা উপভোগ করছিল। কিন্তু বিপত্তি বাঁধে অন্য জায়গায়। খেলা চলার এক পর্যায়ে তাকে টিভি স্ক্রিনে দেখতে পায় তার অফিসের বস।

পরে এই ঘটনাটির একটি ভিডিও তিনি তার ইন্সটাগ্রাম একাউন্টে শেয়ার করেন। সেখানে তিনি পুরো বিষয়টি নিয়ে খোলাসা করেন।

ওই ভিডিওতে নেহা বলেন, অফিস থেকে পারিবারিক সমস্যার কথা বলে মাঠে এসে খেলা দেখেছি। আমি রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর একজন ভক্ত। কিন্তু টিভি স্ক্রিনে আমার বস আমাকে দেখে ফেলে। পরে তিনি আমাকে জিজ্ঞেস করেছেন আমি কোন দলের সমর্থক হিসেবে খেলা দেখছি। আমি বলেছি রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু।

এরপর বস বলেন, তাহলে আপনি নিশ্চয় গতকাল খুব অসন্তুষ্ট ছিলেন। ওরা ফিল্ডিংয়ে একটি ক্যাচ মিস করার সময় আপনাকে খুব উদ্বিগ্ন চেহারায় দেখেছি। ১৬.৩ ওভারে যখন কিপার ক্যাচ মিস করলো, তখন।

হাতেনাতে ধরা পড়ে যাওয়ার পর নেহা স্বীকার করে নেন, ওটা তিনিই ছিলেন। বলেন, হ্যাঁ, অনুজ রাওয়াত ক্যাচ মিস করেছিল।

এরপর নেহার বস বলেন, মাত্র কয়েক সেকেন্ডের জন্য ক্যামেরায় আপনাকে দেখিয়েছিল। আর তাতেই আমি চিনে ফেলেছি। তাহলে এটাই ছিল গতকাল দ্রুত বেরিয়ে যাওয়ার কারণ।

এরপর তিনি একটি হাসির ইমোজি দিয়ে কথপোকথন শেষ করেন।

ভিডিওটি শেয়ার করার পর রাতারাতি সেটি ভাইরাল হয়ে যায়।

পোস্টের নিচে অনেকেই নিজেদের অভিমত ব্যক্ত করেছেন।

একজন লিখেছেন, এটা ঠিক আছে। ম্যানেজারের উচিত কর্মচারীকে স্বাধীনতা প্রদান করা। যাতে সে সত্য বলতে পারে বা নিজের জীবনকে স্বাধীনভাবে উপভোগ করতে পারে।

আরেকজন লিখেছেন, আপনাকে এর জন্য চাকরি থেকে বরখাস্ত করা উচিত। একে তো আপনি অফিস থেকে মিথ্যা কথা বলে বের হয়েছে আবার নিজেদের ব্যক্তিগত কথা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করেছেন।

;