ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে কিছু অজানা তথ্য



মিলু হাসান, কন্ট্রিবিউটর
মুক্তি ও গণতন্ত্র তোরণ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

মুক্তি ও গণতন্ত্র তোরণ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

  • Font increase
  • Font Decrease

১৯২১ সালের ১ জুলাই যাত্রা শুরু করে বাংলাদেশের সবচেয়ে ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। জুলাই মাসের প্রথম দিনটি তাই ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস’ হিসেবে পালিত হয়ে আসছে। ১৯১৭ সালের মার্চ মাসে ইম্পেরিয়াল লেজিসলেটিভ কাউন্সিলে সৈয়দ নওয়াব আলী চৌধুরী সরকারের কাছে অবিলম্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বিল পেশের আহ্বান জানান। ১৯২০ সালের ২৩ মার্চ গভর্নর জেনারেল এ বিলে সম্মতি দেন। এ আইনটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠার ভিত্তি। এ আইন বাস্তবায়নের ফলেই ১৯২১ সালের ১ জুলাই প্রাতিষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর এই দিনে বার্তা২৪-এর পাঠকদের জন্য থাকছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে জানা অজানা কিছু তথ্য।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/01/1561971004728.jpg
কার্জন হল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

 

১.
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ৬০০ একর জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত হলেও বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়টি মাত্র ২০০ একর জমি জুড়ে আছে। প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শুরু হওয়ার কারণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছিল।

 

২.
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ব্যাচের ছাত্র ছিলেন ঢাকা কলেজ ও জগন্নাথ কলেজের ডিগ্রিতে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা। এমনকি শিক্ষক, লাইব্রেরি এবং অন্যান্য উপকরণ দিয়ে সহায়তার কারণে কৃতজ্ঞতাস্বরূপ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কলেজ দুটির নামে নিজেদের দুটি হলের নামকরণ করে—জগন্নাথ হল, ঢাকা হল (যা বর্তমানে ড.মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ হল)।

 

৩.
ঢাবিতে তৎকালীন সময়ে নারীদের শিক্ষার ব্যবস্থা ছিল না। ১৯২১ সালে লীলা নাগের মেধা ও আকাঙ্ক্ষার কারণে তৎকালীন ভাইস চ্যান্সেলর ড. হার্টস তাকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার বিশেষ অনুমতি দেন। তিনি ইংরেজিতে এম.এ ক্লাসে ভর্তি হন। লীলা নাগ ছিলেন কলকাতার বিথুন কলেজ থেকে ইংরেজিতে বি.এ পাশ করা শিক্ষার্থী। নারীদের মধ্যে পরীক্ষার ফলাফলে প্রথম হওয়ায় তিনি পদ্মভূষণ স্বর্ণপদক পেয়েছিলেন। লীলা নাগের পৈতৃক-নিবাস সিলেটে। জন্ম হয়েছিল আসামে। লীলা নাগ পরবর্তীতে বিপ্লবী অমিত রায়কে বিয়ে করেন এবং নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর সহকারী হিসেবে কাজ করেন।

 

৪.
বঙ্গভঙ্গ রদের ক্ষতিপূরণ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

 

৫.
স্বাধীনতার পর—১৯৬১ সালে স্বৈরাচারী শাসক আইয়ুব খানের অর্ডিন্যান্স বাতিল করে জাতীয় সংসদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অর্ডিন্যান্স ১৯৭৩ পাশ হলে এ অর্ডিন্যান্স দ্বারা এখন পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়টি পরিচালিত হয়ে আসছে।

 

৬.
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গ্রন্থাগারে রয়েছে ছয় লাখ আশি হাজারেরও বেশি বই।

 

৭.
ঢাবির মধুর ক্যান্টিনে ১৯০৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল মুসলিম লীগ। মিথ আছে যে মধুর ক্যান্টিন ছিল বাগান বাড়ির নাচঘর।

 

৮.
১৯৭১ সালে পাক বাহিনীর নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার হন মধুদা, তাঁর স্ত্রী, তাঁর ছেলে ও নবপুত্রবধূ।

 

৯.
ঊনিশ শতকের শুরুতে বিক্রমপুরের শ্রীনগরের জমিদারের সাথে মধুদা’র দাদা নকরীচন্দ্রের ব্যবসায়িক সম্পর্ক তৈরি হয়। পরবর্তী সময়ে ঢাবি প্রতিষ্ঠিত হলে জমিদারী ব্যবসায় ঢাবি এলাকার দায়িত্ব পান নকরীচন্দ্র। নকরীচন্দ্রের মৃত্যুর পর মধুদা’র পিতা আদিত্য চন্দ্র মধুর ক্যান্টিন দেখাশোনার দায়িত্ব পান। ১৯৩৯ সালে পক্ষাঘাতে আদিত্য চন্দ্রের মৃত্যুর পর মধুদা ব্যবসা দেখার দায়িত্ব পান। এভাবেই বংশ পরম্পরায় চলে আসছে ঢাবির মধুর ক্যান্টিনের ব্যবসা।

 

১০.
১৯৭০ সালের ৮ মার্চ থেকে ১৯৯৯ সালের ১৮ ডিসেম্বরের মধ্যবর্তী সময়ে ঢাবিতে কোনো সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়নি। স্বাধীনতার পর ঢাবির প্রথম সমাবর্তন ছিল ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট। যা ছিল ৪০ তম সমাবর্তন। যেখানে উপস্থিত থাকার কথা ছিল রাষ্ট্রপতি পদে অধিষ্ঠিত জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের। কিন্তু ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ভোরবেলা জাতির পিতা নৃশংসভাবে সপরিবারে হত্যাকাণ্ডের শিকার হওয়ায় সে সমাবর্তন আর অনুষ্ঠিত হয়নি। এরপর ৪০তম সমাবর্তন হয় ১৯৯৯ সালের ১৮ ডিসেম্বর।

 

১১.
কিংবদন্তী শিক্ষক ড. আহমদ শরীফ তাঁর চাচা আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদের সংগৃহীত পুঁথি সম্ভার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে বিনামূল্যে দেওয়ার শর্তে ১৯৫০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকুরি পান। তাঁর পোস্ট ছিল সহকারী গবেষক। মূলত পুঁথি নিয়ে গবেষণার জন্যই তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়। পরবর্তীকালে তিনি বাঙলা বিভাগের অধ্যাপক হয়েছিলেন।

 

১২.
স্বাধীনতা পরবর্তীকালে ঢাবি থেকে বের হওয়া বেশিরভাগ কবির স্নাতকে লেখাপড়া ছিল অসম্পূর্ণ। তাঁরা কেউ ঢাবি থেকে কোনো সনদপত্র পাননি যেহেতু স্নাতক সম্পূর্ণ করেননি। যেমন : শামসুর রাহমান, আবুল হাসান, সৈয়দ শামসুল হক, নির্মলেন্দু গুণ, রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহ, আহমদ ছফা।

 

১৩.
বুদ্ধিজীবী, লেখক আহমদ ছফা ঢাবির শিক্ষক হওয়ার জন্য চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাকে নিয়োগ দেয়নি।

 

১৪.
বাঙলাদেশের সব জাতীয় আন্দোলনে ঢাবির শিক্ষার্থীদের অবদান সবচেয়ে বেশি। তবে ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে ঢাবির শিক্ষার্থীরা নেতৃত্ব দিলেও ভাষা শহীদদের কেউ যেমন : সালাম, রফিক, জব্বার, শফিউর রহমান—ঢাবির শিক্ষার্থী ছিলেন না।

 

১৫.
ঢাকার নওয়াব পরিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করতে জমি দিয়েছিল বলে যে মিথটি চালু আছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে সরকারি খাস জমিতে।

 

১৬.
রবি ঠাকুরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় বিরোধিতার যে মিথ চালু আছে তার দালিলিক কোনো প্রমাণ নেই।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক বিশ্বজিৎ ঘোষ বলেছেন, “কেউ কেউ কোনো প্রমাণ উপস্থিত না করেই লিখিতভাবে জানাচ্ছেন যে, ১৯১২ খ্রিষ্টাব্দের ২৮ মার্চ কলকাতায় গড়ের মাঠে রবীন্দ্রনাথের সভাপতিত্বে এক বিরাট জনসভা হয়। ওরকম একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছিল বটে, কিন্তু তাতে রবীন্দ্রনাথের উপস্থিতি ছিল অসম্ভব, কেননা সেদিন তিনি কলকাতাতেই ছিলেন না। ১৯১২ সালের ১৯ মার্চ সিটি অব প্যারিস জাহাজযোগে রবীন্দ্রনাথের বিলাতযাত্রার কথা ছিল। তাঁর সফরসঙ্গী ডাক্তার দ্বিজেন্দ্রনাথ মিত্র জাহাজে উঠে পড়েছিলেন, কবির মালপত্রও তাতে তোলা হয়ে গিয়েছিল; কিন্তু আকস্মিকভাবে ওইদিন সকালে রবীন্দ্রনাথ অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে মাদ্রাজ থেকে তাঁর মালপত্র ফিরিয়ে আনা হয়। কলকাতায় কয়েক দিন বিশ্রাম করে ২৪ মার্চ রবীন্দ্রনাথ শিলাইদহে চলে আসেন এবং ২৮ মার্চ থেকে ১২ এপ্রিলের মধ্যে সেখানে বসে ১৮টি গান ও কবিতা রচনা করেন।”

 

তথ্যসূত্র :
১. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও পূর্ববঙ্গীয় সমাজ, সরদার ফজলুল করিম।
২. স্মৃতি-বিস্মৃতির নগরী ঢাকা / মুনতাসীর মামুন।
৩. উইকিপিডিয়া।

   

মাঝরাতে আইসক্রিম, পিৎজা খাওয়া নিষিদ্ধ করল মিলান!



ফিচার ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: স্কাই নিউজ

ছবি: স্কাই নিউজ

  • Font increase
  • Font Decrease

আইসক্রিম, পিৎজা অনেকের কাছেই ভীষণ পছন্দের খাবার। তবে ইউরোপসহ পশ্চিমা দেশগুলোতে মাঝরাতে এসব মুখরোচক খাবার ও পানীয় খাওয়ার প্রবণতা বেশি দেখা যায়। ইতালিতে জেলাটিনের তৈরি আইসক্রিম খুব বিখ্যাত। এজন্য ইতালিতে 'জেলাটো সংস্কৃতি' নামে একটা কালচার গড়ে উঠেছে। সম্প্রতি ইতালির মিলানের বাসিন্দাদের জন্য একটি নতুন আইন প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রতিবেদন- স্কাই নিউজ।

মিলানে বসবাসকারীদের অধিকাংশই মাঝরাতে রাস্তায় ঘোরাঘুরি করে আইসক্রিম, পিৎজা, ফাষ্টফুড জাতীয় খাবার ও পানীয় পান করে থাকে। এতে করে সেখানকার এলাকাবাসীদের রাতের ঘুম বিঘ্নিত হয়। নতুন প্রস্তাবিত আইনে শহরবাসীর রাতের ঘুম নির্বিঘ্ন করতে মধ্যরাতের পর পিৎজা ও পানীয়সহ সব ধরনের টেকওয়ে খাবার নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

তবে মধ্যরাতের পর আইসক্রিম নিষিদ্ধ করার চেষ্টা এবারই প্রথম নয়। ২০১৩ সালে, তৎকালীন মেয়র গিউলিয়ানো পিসাপিয়া অনুরূপ ব্যবস্থা বাস্তবায়নের চেষ্টা করেছিলেন কিন্তু 'অকুপাই জেলাটো' আন্দোলনসহ তীব্র প্রতিক্রিয়ার পরে তিনি এ সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন।

এরপর আবারও মিলানে এ আইনটি প্রস্তাব করেছেন ডেপুটি মেয়র মার্কো গ্রানেল্লি। দেশটির ১২টি জেলা এই প্রস্তাবের আওতাভুক্ত হবে বলে জানিয়েছে মিলান কর্তৃপক্ষ। এ বিষয়ে মিলানের মেয়র গ্রানেল্লি বলেন, 'আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে সামাজিকতা ও বিনোদন এবং বাসিন্দাদের শান্তি ও প্রশান্তির মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখা।

প্রস্তাবটি নিম্নলিখিত এলাকাগুলোতে প্রযোজ্য হবে বলে জানিয়েছে মিলান কর্তৃপক্ষ: নোলো, লাজারেটো, মেলজো, ইসোলা, সারপি, ভায়া সিজারিয়ানো, আরকো ডেলা পেস, কোমো-গাইআউলেন্টি, পোর্টা গ্যারিবল্ডি, ব্রেরা, টিসিনিজ এবং দারসেনা-নাভিগলি।

জানা যায়, প্রস্তাবটি মে মাসের মাঝামাঝি থেকে কার্যকর থাকবে এবং নভেম্বর পর্যন্ত চলবে। এটি প্রতিদিন রাত ১২.৩০ টায় এবং সাপ্তাহিক ছুটির দিন এবং সরকারী ছুটির দিনে রাত ১.৩০ টা থেকে প্রয়োগ করা হবে। তবে এ প্রস্তাবের বিরুদ্ধে নাগরিকদের মে মাসের শুরু পর্যন্ত আপিল করার এবং আইন পরিবর্তনের পরামর্শ দেওয়ার সময় রয়েছে।

 

 

 

;

অস্ট্রেলিয়ায় নিখোঁজ কুকুর ফিরলো যুক্তরাজ্যের মালিকের কাছে



ফিচার ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

অস্ট্রেলিয়ায় ঘুরতে এসে নিখোঁজ হয় যুক্তরাজ্যের এক দম্পতির পালিত কুকুর। যুক্তরাজ্যে আসার ১৭ দিন পর মিলো নামের কুকুরটিকে ফিরে পেয়েছেন জেসন হোয়াটনাল নিক রোল্যান্ডস দম্পতি।

হোয়াটনাল এবং তার সঙ্গী নিক সম্প্রতি তাদের কুকুর মিলোকে নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়া পরিদর্শনে যান। তারা যখন সোয়ানসিতে বাড়িতে যাচ্ছিলেন তখন মেলবোর্ন বিমানবন্দরে তার হ্যান্ডলার থেকে কুকুরটি পালিয়ে যায়।

সাড়ে পাঁচ বছর বয়সী কুকুরটিকে অবশেষে মেলবোর্নের শহরতলিতে ১৭ দিন পর খুঁজে পাওয়া যায়।


হোয়াটনাল স্কাই নিউজকে বলেন, ‘মিলোকে ফিরে পাওয়াটা খুবই আশ্চর্যজনক ছিল আমার জন্য। যখন আমি আমার প্রিয় মিলোর (কুকুর) সাথে পুনরায় মিলিত হয়েছিলাম, তখন আমি কান্নায় ভেঙে পড়েছিলাম। আমার কান্না দেখে অন্যরাও কেঁদেছিল। এটি সত্যিই আবেগপ্রবণ ছিল।

তিনি আরও বলেন, বিশ্বের অন্য প্রান্তে থেকে মিলোর কথা চিন্তা করে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছিলাম। আমরা জানতাম না মিলো কোথায় আছে। এটি বেশ হতাশাজনক ছিল আমাদের জন্য, কিছুটা আশা হারিয়ে ফেলেছিলাম। তাকে ফিরে পাবো ভাবিনি।

মিলোকে পাওয়ার জন্য সামাজিক মাধ্যমে জানিয়েছিলাম, তখন স্বেচ্ছাসেবকদের কাছ থেকে সাহায্য আসে, তারা মিলোর সন্ধান দেয়। মিলোকে আমাদের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য তাদের ধন্যবাদ।

;

আমার হাতের পাখা যেন তাদের আরাম দিচ্ছে!



মৃত্যুঞ্জয় রায়, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সাতক্ষীরা
ছবি: বার্তা২৪, তালপাতার পাখা বিক্রি করছে পাঁচ বছরের শিশু মাহমুদুল্লাহ

ছবি: বার্তা২৪, তালপাতার পাখা বিক্রি করছে পাঁচ বছরের শিশু মাহমুদুল্লাহ

  • Font increase
  • Font Decrease

আবু বক্কর (৬২)। বয়সের ভারে অসুস্থ হয়ে তিনি এখন পাকা বিক্রেতা। প্রচণ্ড তাপদাহে মানুষ যখন ঠান্ডা বাতাসের প্রশান্তি খুঁজছে, তখন তিনি গ্রামে গ্রামে গিয়ে তালপাতার পাখা বিক্রি করছেন।

আবু বক্কর বার্তা২৪.কমকে বলেন, স্ত্রীসহ ছয় মেয়ে নিয়ে আমার সংসার। তবে মেয়েদের বিয়ে দিতে পেরেছি। কিন্তু বয়সের ভারে ঠিকই আমরা একা থেকে গেলাম। শেষ বয়সে গ্রামে গ্রামে তালপাতা পাখা বিক্রি করে সংসার চালাচ্ছি। শুধু সংসার না, এই টাকায় আমার পায়ের শিরার ব্যথার ওষুধও কিনতে হয়। একবেলা ওষুধ না খেলে চলতে পারি না।

এদিকে, পুরনো ব্যবসার ঋণের বোঝা আর অন্যদিকে অসুস্থ হয়ে ওষুধসহ সংসারের খরচ। শেষ বয়সে তালপাতার পাখাই আমার একমাত্র জীবনসঙ্গী বলেন আবু বক্কর।

তালপাতার পাখা বিক্রি করছেন আবু বক্কর, ছবি- বার্তা২৪.কম

বুধবার (২৪ এপ্রিল) সাতক্ষীরা জেলার তালা উপজেলার কলাগাছি গ্রামের কবিগানের অনুষ্ঠানে সরেজমিন দেখা যায়, একপাশে তালপাতার পাখা বিক্রি করতে ব্যস্ত ছোট্ট পাঁচ বছরের শিশু মাহমুদুল্লাহ। এই গরমে যখন তার ঘরে থাকার কথা, তখন সে নানা-নানীর সঙ্গে এসে তালপাতার পাখা বিক্রি করছে। কবিগানে বসে থাকা সব শ্রোতার কাছে গিয়ে বলছে, পাখা লাগবে, পাখা! কথা বলতে চাইলেও এ পাশ ওপাশ দিয়ে চলে যাচ্ছে, ক্রেতার কাছে।

এক ফাঁকে তাকে কাছে পেয়ে জিজ্ঞাসা করা হয়, এই বয়সে পাখা বিক্রি করছো কেন! এ প্রশ্নের উত্তরে বার্তা২৪.কমকে মাহমুদুল্লাহ বলে, প্রচণ্ড গরমে স্কুল ছুটি। তাই, নানা-নানীর সঙ্গে চলে এসেছি মেলায় পাখা বিক্রি করতে। মানুষজন আমার কাছ থেকে যেন বেশি পাখা কেনে (ক্রয়), তাই আমি মেলায় তাদের সঙ্গে এসেছি।

অনেক উৎসাহের সঙ্গে সে বলে, গরমে আমার হাতের পাখায় যেন তাদের আরাম দিচ্ছে! মেলা হলে আমি সেখানে চলে যাই পাখা বিক্রি করতে। ঘোরাঘুরিও হয় আর টাকা ইনকামও হয়। টাকার জন্য বের হয়ে পড়েছি। আমরা পাখা বিক্রি করে পেট চালাই। নানা-নানী বুড়ো হয়ে গেছে। তাই, আমি সঙ্গে এসে তাদের কষ্টটাকে একটু ভাগাভাগি করে নিচ্ছি।

যেখানে প্রচণ্ড তাপে মানুষজন নাজেহাল, সেখানে ছোট্ট মাহমুদুল্লাহ ছুটে চলেছে এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে পাখা বিক্রি করতে। ছোট্ট শিশু হলেও গরম যেন তার কাছে কিছু না, পেটের তাগিদে!

আরেক পাখা বিক্রেতা তালা উপজেলার হরিণখোলা গ্রামের বাসিন্দা ভদ্রকান্ত সরকার (৭০)। ১২-১৪ বছর ধরে এই পেশায় আছেন তিনি।

চলছে তালপাতার পাখার বিকিকিনি, ছবি- বার্তা২৪.কম

শেষ বয়সে পাখা কেন বিক্রি করছেন এমন প্রশ্নের উত্তরে বার্তা২৪.কমকে ভদ্রকান্ত বলেন, চাল কিনে খেতে হয়। খুব কষ্টের সংসার! ছেলে-মেয়ে আছে। তারা তাদের মতো কাজ করে খায়। মা বাবার বয়স হয়ে গেলে ছেলে আর আমাদের থাকে না। আমরা বৃদ্ধ বয়সে কেমন আছি, সেটা জানার সুযোগ তাদের থাকে না। শেষজীবনটা এভাবে পাখা বিক্রি করে কাটিয়ে দেবো। কী আর করবো! কপালে যা আছে, শেষপর্যন্ত তাই হবে। কপালে ছিল, এমন বৃদ্ধ বয়সে গ্রামে গ্রামে পাখা বিক্রি করতে হবে!

;

৪ লাখ বছর আগে আদিম মানুষের যাত্রা শুরু



ফিচার ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত, নিউ সায়েন্টিস্ট থেকে

ছবি: সংগৃহীত, নিউ সায়েন্টিস্ট থেকে

  • Font increase
  • Font Decrease

৪ লাখ বছর আগে রাশিয়ার সাইবেরিয়া থেকে আদিম মানুষের যাত্রা শুরু হয়েছিল বলে নতুন এক গবেষণা থেকে জানা গেছে। এখান থেকে যাত্রা শুরু করে এই গোত্রের মানুষ পরে উত্তর আমেরিকায় পৌঁছে যায়।

নতুন এক গবেষণা জানাচ্ছে, সাইবেরিয়ায় নতুন একটি এলাকার সন্ধান পাওয়া গেছে, যেখানে ৪ লাখ ১৭ হাজার বছর আগে হোমিনিনস (Hominins) গোত্রের মানুষের উপস্থিতি ছিল। এই গোত্রের মানুষ ডিরিং ইউরিআখ এলাকায় বাস করতেন। সেখান থেকে তারা উত্তর আমেরিকায় পৌঁছে যায় বলে জানিয়েছেন চেক প্রজাতন্ত্রের এক গবেষক।

১৬ এপ্রিল চেক অ্যাকাডেমি অব সায়েন্সেসের গবেষক জন জেনসেন এক সংবাদ সম্মেলন করে নতুন এ তথ্য প্রকাশ করেন। গবেষণাবিষয়ক সংবাদ সাময়িকী নিউ সায়েন্সটিস্ট এ বিষয়ে একটি খবর প্রকাশ করেছে।

সংবাদ সম্মেলনে জন জেনসেন বলেন, আমরা আগে যে ধারণা করতাম, তারও আগে থেকে হোমিনিনস গোত্রের মানুষ সাইবেরিয়ার ডিরিং ইউরিআখ এলাকায় বসবাস করতেন। ৪ লাখ ১৭ বছর আগে থেকেই তারা এই এলাকায় বসবাস করতে বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে। তাদের অবস্থান ছিল উত্তর অক্ষাংশে।

তিনি বলেন, আরেকটি আদিম গোত্রের মানুষের সন্ধান পাওয়া যায়, যারা আর্কটিক অঞ্চলে বাস করতেন। ৪৫ হাজার বছর আগে তাদের সন্ধান পাওয়া যায়নি।

 

;