জার্মান বিমান বাহিনীর বিরুদ্ধে এক ভারতীয় বীরের উপাখ্যান



মরিয়ম সুলতানা, কন্ট্রিবিউটিং করেসপন্ডেন্ট
পাইলট ইন্দ্রলাল রায়

পাইলট ইন্দ্রলাল রায়

  • Font increase
  • Font Decrease

১৯১৮ সালের ১৮ জুলাই, প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শেষ হওয়ার মাত্র চার মাস আগের ঘটনা। ফ্রান্সের আকাশে জার্মান বিমানবাহিনীর সঙ্গে দুঃসাহসিক ‘ডগ ফাইটে’ নিমগ্ন ব্রিটিশ রাজকীয় বিমানবাহিনীর তরুণ ফাইটার পাইলট ইন্দ্রলাল রায়। এসময় তিনি একটি জার্মান জঙ্গী বিমানকে আক্রমণ করে ভূপাতিত করেন, যেটি ছিল তার নবম শিকার। ৯ জুলাই থেকে ১৮ জুলাই, টানা ১০ দিনে নয়টি জার্মান বিমানকে বিধ্বস্ত করেন তিনি। মাত্র ১৩ দিনে, ১৭০ ঘণ্টার লড়াইয়ে এমন সাফল্য পৃথিবীর ইতিহাসে নজিরবিহীন। তার এই বিরল কৃতিত্বের জন্য তাকে ‘ফ্লাইং এস’ পদকে সম্মানিত করা হয়েছিল। যদিও এই খেতাব পাওয়ার জন্য সাধারণত পাঁচটি শত্রু বিমান ঘায়েল করাই যথেষ্ট, সেখানে তিনি খতম করেছিলেন নয়টি! আজ এই অসামান্য বীরত্বপূর্ণ অকুতোভয় বীর সেনানীর প্রয়াণ দিবস।

ইন্দ্রলালের ডাক নাম ছিল ল্যাডি, এ নামেই তিনি সমধিক পরিচিত। ১৮৯৮ সালের ২ ডিসেম্বর কলকাতায় ল্যাডির জন্ম। ল্যাডি হলেন সেই সময়ের নামকরা ব্যারিস্টার, কলকাতার পাবলিক প্রসিকিউশন্স-এর ডিরেক্টর প্যারীলাল রায় ও ললিতা রায়ের সন্তান। প্যারী আবার ছিলেন বরিশাল জেলার লাকুটিয়া অঞ্চলের জমিদার। তিনি বিশ্বাস করতেন, “ভারত যেহেতু ব্রিটিশ অধ্যুষিত এলাকা, সেহেতু ব্রিটিশদের সাথে দ্রুত তাল মিলানোর জন্য ভারতীয়দের উচিত ইংরেজি ভাষা এবং ওদের আচার-ব্যবহার শেখা।” সন্তানদেরকে ইংরেজদের আদব-কায়দা শেখানোর জন্য তিনি তাঁর বাড়িতে একজন ইংরেজ গভর্নেসও নিয়োগ করেছিলেন।

পরবর্তীতে ইংরেজির প্রতি প্রবল আস্থা থেকে উচ্চ শিক্ষার জন্য তিনি ১৯০১ সালে তার ছয় সন্তান ও স্ত্রীকে লন্ডনে পাঠিয়ে দেন। পরেশ, ইন্দ্র ও ললিত, তিন ছেলেকে ভর্তি করেছিলেন হ্যামারস্মিথে, সেন্ট পল বয়েজ স্কুলে। আর লীলাবতী, মীরাবতী এবং হীরাবতী, তিন মেয়েকে ভর্তি করিয়েছিলেন সেন্ট পল স্কুল অব গার্লস-এ। এদিকে প্যারীলাল ছিলেন যথেষ্ট স্বাস্থ্যসচেতন। তাই কলকাতায় থাকাকালীন তিনি পড়াশোনার পাশাপাশি তার ছেলেদেরকে সাঁতার কাটা, ঘোড়ায় চড়া এবং সাইকেল চালানো শিখিয়েছিলেন। ঠিক সে কারণেই পড়াশোনার পাশাপাশি রাগবি এবং সাঁতারে ছিল ল্যাডির তুখোড় পারদর্শিতা। ল্যাডির বড় ভাই পরেশও ছিলেন স্কুলে বক্সিং চ্যাম্পিয়ন এবং তাকেই বলা হয়, ইন্ডিয়ান বক্সিংয়ের জনক।

বাবা প্যারীলাল চাইতেন, পড়াশোনা শেষ করে বড় ছেলে পরেশ ইন্ডিয়ান সিভিল সার্ভিস পরীক্ষা দিয়ে ভারতীয় প্রশাসন বিভাগে চাকরি করবে। কিন্তু ১৯১৪ সাল, পরেশ তখন কেমব্রিজের ইমানুয়েল কলেজ থেকে সদ্য গ্র্যাজুয়েশন শেষ করেছেন এবং আই এস এসে প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করে যুদ্ধ শুরু হওয়ায় তিনি গিয়ে যোগ দেন সেনাবাহিনীতে। পরেশের তখন ১৫ বছর বয়স। বড় ভাইকে দেখে অনুপ্রাণিত হন ল্যাডি। তিনি ঠিক করেন, পড়াশোনার পর্ব শেষ করে তিনিও বড় ভাইয়ের মতো সেনাবাহিনীতে যোগ দিবেন। আর তখন থেকেই সেনাবাহিনীতে যোগদানের প্রস্তুতি গ্রহণসরূপ স্কুলে ক্যাডার ফোর্সে যোগ দেন ল্যাডি।

ল্যাডি ছিলেন দারুণ মেধাবী এবং তার সেই উজ্জ্বল মেধার স্বাক্ষর হিসেবে শিক্ষা জীবনের শুরু থেকেই তিনি লাভ করেন বেশ কয়েকটা বৃত্তি। তিনি সর্বশেষ অর্জন করেন মর্যাদাপূর্ণ ব্যালিওল বৃত্তি এবং ইংল্যান্ডের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করতে যাওয়ার সুযোগ পান। কিন্তু তার চোখে তখন আকাশে উড়ে বেড়ানোর স্বপ্ন হাতছানি দিচ্ছে। সিদ্ধান্ত নেন, পাইলট হবেন।

স্বপ্নকে ছোঁয়ার জন্য তিনি অক্সফোর্ডে পড়তে না গিয়ে ‘রয়্যাল ফ্লায়িং করপস’-এ যোগ দেওয়ার জন্য আবেদন করেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত তার কমজোরি দৃষ্টিশক্তির জন্য তিনি বাদ পড়ে যান। তারপর তিনি বিক্রি করে দেন তার প্রিয় মোটর সাইকেলটি, সেটা বিক্রির টাকা দিয়ে তিনি দেশের সবথেকে ভালো চক্ষু বিশেষজ্ঞদের একজনের শরণাপন্ন হন এবং চোখের চিকিৎসা করান। এরপর তিনি আবার রয়্যাল ফ্লায়িং করপস-এ আবেদন করেন এবং এবার তিনি কৃতকার্য হন।

১৯১৭ সালের ৪ এপ্রিল তিনি যোগ দেন তার স্বপ্নের রয়েল ফ্লাইয়িং করপস-এ। এই ফ্লাইং কোর থেকে ১৯১৭ সালের ৫ জুলাই সেকেন্ড লেফটেন্যান্ট হিসেবে কমিশন লাভ করেন ১৮ বছর বয়সী ল্যাডি। ল্যাডির একমাত্র লক্ষ্য ছিল জার্মান যুদ্ধ বিমানকে ধরাশায়ী করা। ভেন্ড্রোম-এ প্রশিক্ষণ, টার্নবারি-তে বন্দুক চালনা শিক্ষা ইত্যাদি পেশাগত প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করার পর ওই বছরই অক্টোবর মাসের শেষের দিকে মাত্র ১৮ বছর বয়সী ল্যাডি অর্থাৎ ইন্দ্রলাল রায় বিমান বাহিনীর ৫৬ স্কোয়াড্রনে যোগ দেন এবং পোস্টিং হয় ফ্রান্সের ভাদোম-এ। তার সদা হাস্যোজ্জল মুখ এবং বাকপটু স্বভাবের জন্য তিনি ছিলেন সকলের কাছে প্রিয়।

এর কিছুদিন পরই ১৯১৭ সালের ৬ ডিসেম্বর এসই ফাইভ বিমানে করে আকাশে উড়ছিলেন ইন্দ্র। কিন্তু আচমকা তার বিমানকে লক্ষ্য করে এক জার্মান যুদ্ধবিমান অতর্কিতে হামলা চালায়। নো ম্যানস ল্যান্ডে ভেঙে পড়ে তার বিমান। কথিত আছে, স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে মৃত বলে ঘোষণা করা হয় ইন্দ্রলালকে। এমনকি তার দেহ রাখা হয় মর্গে। কিন্তু হঠাৎ মর্গের দরজায় ভেতর থেকে ধাক্কা। মর্গের ভেতর থেকে এমন ধাক্কা উপস্থিত সকলের জন্য ছিল অপ্রত্যাশিত এবং ভীতিপ্রদ। দরজার ভেতর থেকে কোনো অতিপ্রাকৃত আত্মা না, ধাক্কা দিচ্ছিলেন স্বয়ং ইন্দ্র। অলৌকিকভাবে কিংবা নাটকীয়ভাবে হলেও, সেবারের মতো বেঁচে যান ইন্দ্র।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/18/1563457602275.jpg
ভারত সরকার ইন্দ্রলাল রায়ের জন্মশত বার্ষিকীতে তার সম্মানে স্মারক ডাকটিকেট প্রকাশ করে ◢

 

ইন্দ্রলাল ছবি আঁকতেন চমৎকার। অসুস্থতার সময় অনেকগুলো স্কেচ করেছিলেন তিনি। অদ্ভুতভাবে তার সবগুলোই ছিল যুদ্ধবিমানের ছবি। কিন্তু ইন্দ্রলাল ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠলেও তৎক্ষণাৎ বিমান চালানোর ছাড়পত্র দেওয়া হয়নি তাকে। মৃত্যুর দুয়ার থেকে ফিরে আসা ইন্দ্রও তখন নাছোড়বান্দা, তিনি না শুনতে নারাজ। অতঃপর তিনি ক্যাপ্টেন জর্জ ম্যাকরয়-এর তত্ত্বাবধানে নিবিড়ভাবে প্রশিক্ষণ নিলেন, পুরনো ছন্দে নতুন করে ফিরে আসার জন্য কষ্ট-ক্লেশ করতে থাকেন। ফিরেও এলেন, আরো বেশি আত্মপ্রত্যয় নিয়ে। ১৯১৮ সালের ২২ জুন ৪০ নম্বর স্কোয়াড্রনে সাময়িক লেফটেন্যান্ট পদে যোগ দেন এবং তিনি বদ্ধপরিকর।

৬ জুলাই, ১৯১৮। দীর্ঘ সাত মাস পর আবারও বিমান নিয়ে ইন্দ্রলাল উড়ে যান যুদ্ধক্ষেত্রে। প্রথম দিনেই তিনি পরাজিত করেন এক জার্মান বিমান। এই জয়ের ছবি তিনি এঁকে রেখেছিলেন তাঁর আঁকার খাতায়। ছবিটির তলায় লিখে রাখেন “৬ জুলাই, ১৯১৮। ৫.৪৫ এএম এন ই অফ আরাস, হ্যানওভার রানার, ২ সিটার, শট ডাউন বাই আই এল রায়।” তিনদিন ধরে চলা যুদ্ধে তিনি সর্বমোট নয়টি জার্মান বোমারু এবং ফাইটার প্লেন বিধ্বস্ত করেন। তিনিই প্রথম ভারতীয় বিমান চালক, যিনি টানা ১৭০ ঘণ্টা বিমান চালানোর রেকর্ড গড়েছিলেন।

কিন্তু এর তিনদিন পর, ২২ জুলাই ১৯১৮ তারিখে ফ্রান্সের আকাশে জার্মান বিমানবাহিনীর সাথে এক সম্মুখ যুদ্ধে তাঁর এসই-৫এ বিমানটি ফ্রান্সের জার্মান অধিকৃত এলাকায় বিধ্বস্ত হয়। জার্মান সেনারা তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার করে সেখানেই সমাহিত করে। কথিত আছে, তাঁর অসাধারণ বীরত্বের কথা মনে রেখে সেই জার্মান শত্রুসেনারাও তিনি যেখানে পতিত হয়েছিলেন, সেখানে ফুলের তোড়া রেখে আসে। ল্যাডির কমান্ডিং অফিসার তার যুদ্ধের বর্ণনা দিয়ে তার মা ললিতা রায়কে একটি চিঠি লিখে জানান, “নয়টা জার্মান বিমানকে ইন্দ্রলাল একা পরাস্ত করেছেন। প্রত্যেক অফিসার তার প্রশংসা করেছেন। সকলের কাছে তিনি খুব জনপ্রিয়ও ছিলেন। আমি নিশ্চিত, তিনি তার এই সাহসিকতার জন্য পুরস্কৃত হবেন।”

এবং ওই বছরই রয়্যাল ফ্লায়িং কর্পস-এর নাম বদলে হয় দ্য রয়্যাল এয়ার ফোর্স। ১৩ দিনে নয়টি জার্মান যুদ্ধবিমান ধ্বংস করার অনন্য সাধারণ কৃতিত্বের জন্য তাকে ব্রিটিশ রাজকীয় বিমান বাহিনীর তরফ থেকে মরণোত্তর ‘ডিস্টিংগুইশড ফ্লাইং ক্রস’ (DFC) উপাধিতে ভূষিত করা হয়। তিনিই প্রথম ভারতীয় যিনি এই সম্মান পেয়েছিলেন। তার মানপত্রে লেখা হয়েছিল, “(ইন্দ্রলাল রায়) ভীষণ সাহসী ও দৃঢ়প্রতিজ্ঞ এক অফিসার, যিনি ১৩ দিনে নয়টি জার্মান বিমানকে পরাস্ত করেছেন। এই স্বল্প সময়ের মধ্যে তিনি অসাধারণ প্রতিভা দেখিয়েছেন।”

ভারত সরকার ১৯৯৮ সালের ডিসেম্বরে ইন্দ্রলাল রায়ের জন্মশত বার্ষিকীতে তার সম্মানে স্মারক ডাকটিকেট প্রকাশ করে। এছাড়া ফ্রান্সে তাঁর সমাধির ওপর বাংলা ও ফরাসি ভাষায় গৌরবগাঁথা লেখা হয়েছে, “মহাবীরের সমাধি সম্ভ্রম দেখাও, স্পর্শ করো না।” কলকাতায় তার নামে একটি সড়ক আছে। ভবানীপুরে ইন্দিরা সিনেমাহলের কাছে যে সড়কটির নাম ‘ইন্দ্র রায় রোড’।

   

সুন্দরবনের জল-জঙ্গলের রূপকথা



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
খুলনার দাকোপ উপজেলার সুন্দরবন ঘেঁষা গ্রাম নলিয়ান/ছবি: নূর এ আলম

খুলনার দাকোপ উপজেলার সুন্দরবন ঘেঁষা গ্রাম নলিয়ান/ছবি: নূর এ আলম

  • Font increase
  • Font Decrease

ওপাড়ে ঘন বন জঙ্গল, মাঝখানে শিবসা নদী আর এপাড়ে বাঁধের ধারের জমিতে সারিবদ্ধ ঝুলন্ত বাড়ি। জঙ্গলে হেঁটে বেড়ায় চিত্রা হরিণ, নদীর ডাঙ্গায় দেখা মেলে ভোঁদরের। সবুজভাব নদীতে ডিঙি নৌকায় জীবিকার সন্ধানে মাছ ধরে ঝুলন্ত বাড়ির বাসিন্দা। সবমিলে যেন জল-জঙ্গলের রূপকথা।

দৃশ্যটি খুলনার দাকোপ উপজেলার সুন্দরবন ঘেঁষা গ্রাম নলিয়ানের। এখানে জল-জঙ্গলের সঙ্গে মানুষের বসবাস। সুন্দরবনের সৌন্দর্য ও উপকূ্লের তাণ্ডব সহ্য করা নলিয়ানকে ক্যামেরাবন্দি করেছেন বার্তা২৪.কম-এর ফটো এডিটর নূর এ আলম।

শিবসা নদীর বাঁধের পাশে নলিয়ান। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এখানকার মানুষের জীবন চলে ঝুঁকি নিয়ে/ছবি: নূর এ আলম


শিবসা নদীর বাঁধের পাশে নলিয়ান। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এখানকার মানুষের জীবন চলে ঝুঁকি নিয়ে। ঘূর্ণিঝড় আইলার প্রলয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়া এখনকার বাসিন্দারা এখনও মাথা তুলে দাঁড়াতে পারেনি।

জোয়ারের পানির সমান উঁচু খুঁটির ওপর মাচা পেতে বানানো হয়েছে ঘর/ছবি: নূর এ আলম


নিজের বসতভিটা হারানোর পর ঠাঁই হয়েছে বাঁধের ধারের জমিতে। সেখানেও ঘর বানানোর মতো আর মাটি অবশিষ্ট নেই। ফলে জোয়ারের পানির সমান উঁচু খুঁটির ওপর মাচা পেতে বানানো হয়েছে ঘর।

এক একটি ঘর দাঁড়িয়ে আছে নড়বড়ে খুঁটির ওপরে/ছবি: নূর এ আলম


তাই এক একটি ঘর দাঁড়িয়ে আছে নড়বড়ে খুঁটির ওপরে। মোটামুটি মাঝারি ঝড় হলেই ঘরগুলোর ব্যাপক ক্ষতি হয়।

নলিয়ানবাসীর দিনতিপাত করেন মাছ ধরে এবং সুন্দরবনে জীবিকার সন্ধান করে/ছবি: নূর এ আলম


নলিয়ানবাসীর দিনতিপাত করেন মাছ ধরে এবং সুন্দরবনে জীবিকার সন্ধান করে। সুন্দরবনে জেলেরা দিনে রাতে মাছ ধরে, তারা দিন-রাতের হিসাব করে না।

 শিবসায় ঝাঁপি জাল ফেলে মাছ ধরছেন জেলে/ছবি: নূর এ আলম


 শিবসায় ঝাঁপি জাল ফেলে মাছ ধরেন তারা। কিনারা দিয়ে কাদায় হাঁটা বেশ কষ্টসাধ্য ব্যাপার।

নারীরাও মাছ ধরতে সুন্দরবনের কাঁদামাটিতে নেমে যান ঠ্যালা জাল নিয়ে/ছবি: নূর এ আলম


এরপরও নারীরাও মাছ ধরতে সুন্দরবনের কাঁদামাটিতে নেমে যান ঠ্যালা জাল নিয়ে। অনেক জেলে ডিঙি নৌকায় করে শিবসায় ঘুরে মাছ শিকার করেন।

জেলেরা ডিঙি নৌকায় করে শিবসায় ঘুরে মাছ শিকার করেন/ছবি: নূর এ আলম


বর্ষায় শিবসার জলে ডুবে থাকা নলিয়ানের এক ঘর থেকে আরেক ঘরে যাওয়ার জন্য এই ডিঙি নৌকাগুলো ব্যবহার করা হয়।

শিবসা নদী/নূর এ আলম


নলিয়ানে উপকূলের বৈরী আবহাওয়ার সঙ্গে যুদ্ধ করা চিত্র শুধু নয়, রয়েছে সুন্দরবনের নৈসর্গিক প্রকৃতি। শিবসার অপার সৌন্দর্য।

গাছে গাছে সাদা বকের উড়াউড়ি/ছবি: নূর এ আলম


নদীর পাড়ে চোখে পড়ে ঘন গাছপালার সবুজ বন। যাতে চোখ জুড়িয়ে আসে।

হোগলা পাতার ঝিরি ঝিরি শব্দ/ছবি: নূর এ আলম


যেখানে রয়েছে হোগলা পাতার ঝিরি ঝিরি শব্দ। গাছে গাছে সাদা বকের উড়াউড়ি, ভেসে আসে পাখির কিচিরমিচির। 

নলিয়ান পর্যটন কেন্দ্রে জঙ্গলের ভেতরে লোহার ব্রিজ/ছবি: নূর এ আলম


পর্যটকদের জন্য জঙ্গল ভেদ করে তৈরি করা লোহার ব্রিজ। পর্যটকরা সুন্দরবনে হাঁটতে হাঁটতে ক্লান্ত হলে এই ব্রিজে হেলেন দিয়ে প্রকৃতির গন্ধ মেখে নেয়।

জঙ্গলে হরিণ খুনশুটিতে ব্যস্ত/ছবি: নূর এ আলম


সুন্দরবনের প্যাঁচেপ্যাঁচে কাঁদায় হেঁটে যেতে যেতে হঠাৎ দেখা মিলে হরিণের দলের সঙ্গে। জঙ্গলে তারা তখন নিজেদের মধ্যে খুনশুটিতে ব্যস্ত।

মায়াবী চোখে তাকিয়ে হরিণ/ছবি: নূর এ আলম


এরই ফাঁকে মায়াবী চোখ নিয়ে তাকিয়ে দেখে দু’পা বিশিষ্ট মানুষের দিকে। আড় চোখে তাকায় গাছের ডালে ঝুলে থাকা বানরের দলও। তারা সারাদিন বনে দৌড়ঝাঁপ করে।

বানরের দৌঁড়ঝাপ/ছবি: নূর এ আলম


নলিয়ানের বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়। শিবসা নদীতে কুমিরও ভেসে ওঠে।

নদীর তীরে দেখা মেলে বিলুপ্তিপ্রায় প্রাণী ভোঁদরের/ছবি: নূর এ আলম


জনশ্রুতি আছে, কুমির আর মানুষের মধ্যে মাঝে মাঝে যুদ্ধও হয়।

 শিবসা নদীতে কুমিরও ভেসে ওঠে। জনশ্রুতি আছে, কুমির আর মানুষের মধ্যে মাঝে মাঝে যুদ্ধও হয়/ছবি: নূর এ আলম

বড় বড় ঘূর্ণিঝড় যারা মোকাবিলা করা নলিয়ানের কাছে কুমির আর এমন কি! সব কিছু তোয়াক্কা করে জীবন যুদ্ধে বেঁচে থাকাটাই বড় বিষয় তাদের কাছে!

;

ইতিহাসে ২৮ মার্চ: বর্ণবাদের প্রতিবাদে কিংয়ের পক্ষে ২৫ হাজার মানুষ



ফিচার ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
বর্ণবাদের বিরুদ্ধে মিছিলে নামেন মার্টিন লুথার কিং জুনিয়র

বর্ণবাদের বিরুদ্ধে মিছিলে নামেন মার্টিন লুথার কিং জুনিয়র

  • Font increase
  • Font Decrease

মানব ইতিহাস আমাদের অতীতের কথা বলে। আজ যা কিছু বর্তমান তার ভিত্তি তৈরি হয়েছিল আমাদের অতীতের কারণেই। সেই অতীতের গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাগুলো ছাপ রেখে যায় ইতিহাসের পাতায়।  

আজ ২৮ মার্চ, ২০২৪। ইতিহাসের পাতা ওল্টালে দেখঅ যাবে, আজকে ঘটেছিল নানা ঐতিহাসিক ঘটনা। জেনে নেয়া যাক, কি ঘটেছিল আজকের তারিখে!

*মার্টিন লুথার কিং ছিলেন বর্ণবাদের বিপরীত আন্দোলনকারী আফ্রিকান নেতা। ১৯৬৫ সালে তিনি কৃষ্ণাঙ্গদের প্রতি বৈষম্যের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামেন। সেখানে ২৫ হাজারেরও বেশি মানুষ তাকে সমর্থন করে মিছিলে নেমেছিলেন আজকের তারিখে। এই বিক্ষোভ পরবর্তীতে আলাবামায় জাতি, ধর্ম বা বর্ণ নির্বিশেষে সমান অধিকার তৈরিতে বিশেষ প্রভাব ফেলেছিল।    

*যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভেনিয়ায় থ্রি মাইল আইল্যান্ড পারমাণবিক কেন্দ্রে ১৯৭৯ সালে পানির পাম্প ভেঙে দুর্ঘটনা ঘটে। সেখান থেকে চারপাশে তেজস্ক্রিয় বাষ্প এবং আয়োডিন ছড়াতে শুরু করে। নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্লান্টে কর্মরত ৫০০ জন কর্মী এই বাষোপর সংস্পর্শে আসায় শারীরিক সমস্যার আশঙ্কায় ছিল। আমেরিকার জনগণ এই ঘটনায় দুশ্চিন্তাগ্রস্থ হয়ে পড়ে।  

*১৯৮৬ সালে অ্যাচেসন এবং লিলিয়েনথাল পারমারবিক শক্তি সম্পর্কিত একটি রিপোর্ট তৈরি করেন। সেখানে আন্তর্জাতিকভাবে পারমাণবিক শক্তির নিয়ন্ত্রণের পরিকল্পনা উল্লেখ করেন তারা। ২৮ মার্চ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্ট তাদের সেই রিপোর্টটি প্রকাশ করে।

*হিলসবোরো দুর্ঘটনায় প্রায় ১শ লোকের প্রায় গিয়েছিল ১৯৯১ সালে। শেফিল্ডে পিষ্ট হয়ে ৯৬ জন লিভারপুল ফুটবল সমর্থক নিহত হন। এছাড়া আরও দেড় শতাধিক ভক্ত আহত হন। এই বিপর্যয়ে আদালতের রায়ে অসন্তুষ্ট ছিল নিহতদের পরিবার। তাই, আজকের তারিখে তারা রায়ের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছিল।

*১৯৩৬ সালে শুরু হওয়া স্পেনের গৃহযুদ্ধ ১৯৩৯ সালের ২৮ মার্চ শেষ হয়েছিল।

;

তালপাতার পাখায় ঘোরে সংসারের চাকা



মাহবুবা পারভীন, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বগুড়া
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আঁকাবাঁকা রাস্তার দুই ধারে দাঁড়িয়ে আছে সারি সারি তালগাছ। যা দেখে মনে পড়ে যায় রবী ঠাকুরের কবিতা ‘তালগাছ এক পায়ে দাঁড়িয়ে, সব গাছ ছাড়িয়ে, উঁকি মারে আকাশে।’ বলছি বগুড়ার কাহালু উপজেলার আড়োলা গ্রামের কথা। বর্তমানে গ্রামটি তাল পাখার গ্রাম নামে পরিচিত। এই গ্রামে প্রবেশ করতেই দেখা যায় নারী-পুরুষ সবাই তালপাতা দিয়ে পাখা বানানোর কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন। গরমে তালপাতার পাখার বাতাস গা জুড়িয়ে যায়।

বগুড়ার কাহালু উপজেলার পাইকড় ইউনিয়নের পাশাপাশি দুটি গ্রাম। একটির নাম যোগীরভবন, অপরটি আড়োলা আতালপাড়া। ইতোমধ্যে গ্রাম দুটি পাখার গ্রাম হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে।

সম্প্রতি গিয়ে দেখা যায়, দুটি গ্রামে একেক পাড়ায় একেক ধরনের পাখা তৈরি হয়। যোগীরভবন গ্রামে নারীরা তৈরি করেন হাতলপাখা বা ডাঁটপাখা। আর আড়োলা আতালপাড়ায় তৈরি হয় ঘোরানো পাখা বা ঘুন্নী পাখা আর পকেট পাখা। পাখা তৈরির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছেন দুটি গ্রামের সব নারী। শীতের শেষে বসন্তকালে, অর্থাৎ ফাল্গুন মাস থেকে পাখা তৈরির কাজ শুরু হয়।

পাখা তৈরিতে ব্যস্ত নারী

গ্রামে প্রবেশ করতেই চোখে পড়ে বাড়ির উঠানে রং তুলির আঁচড়ে ঘুরানো পাখা রাঙিয়ে তুলছেন সখিনা বেগম। রাঙানো পাখা বাঁধায় করছেন গোলজার। বাঁধা হয়ে গেলে পাখাটি বিক্রি করবেন তিনি।

হাতপাখার গ্রামে এবার ২০ লাখ পাখা বিক্রির প্রস্তুতি চলছে। এই পাখা চৈত্র মাস থেকে ভাদ্র মাস পর্যন্ত বিক্রি হবে।

গ্রামের নারী-পুরুষ, শিশু থেকে শুরু করে বৃদ্ধরা অবসর সময়ে পাখা তৈরির কাজ করেন। বংশ পরম্পরায় এই দুই গ্রামের মানুষ তালপাখা তৈরির কাজ করে আসছেন বলে জানান গ্রামের বাসিন্দারা। গরমে ঘনঘন লোডশেডিংয়ের কারণে দিন দিন বাড়ছে পাখার চাহিদা, সেই সঙ্গে বাড়ছে পাখা তৈরির কাজের পরিধি।

আড়োলা গ্রামের খন্দকার বলেন, দাদার আমল থেকে তারা তাল পাতা দিয়ে হাতপাখা তৈরির কাজ করে আসছেন। কৃষি কাজের পাশাপাশি তালপাখা তৈরির কাজ করেন তিনি। তার স্ত্রীও সংসারের কাজের ফাঁকে রঙের আচর দিয়ে তাল পাখার সৌন্দর্য বৃদ্ধির কাজ করে থাকেন। আকরাম আকন্দ বলেন, গত বছর তিনি পাখা বিক্রি করে সংসার খরচ বাদে এক লাখ টাকা সঞ্চয় করেছেন। তার মতে গত বছর দুই গ্রাম থেকে ১৫ লাখ তালপাখা বিক্রি হয়েছে দেশের বিভিন্ন স্থানে। এবার চাহিদা বাড়ায় ২০ লাখ পাখা বিক্রি হবে বলে তিনি জানান।

জানা যায়, তালগাছের পাতা (স্থানীয় ভাষায় তালের ডাগুর) দিয়ে তিন ধরনের পাখা তৈরি হয়। স্থানীয়ভাবে নাম দেয়া হয়েছে- পকেট পাখা, ঘুরানী পাখা এবং ডাগুর পাখা।

পাখা তৈরিতে তালের পাতা ছাড়াও বাঁশ, সুতা এবং লোহার তার প্রয়োজন হয়। পাখা তৈরির পর বিভিন্ন রঙের আচর দিয়ে সৌন্দর্য বাড়ানো হয়। ১০ টাকায় কেনা তাল গাছের একটি পাতা বা ডাগুড় দিয়ে তৈরি হয় বড় পাখা বা ডাগুর পাখা ২টি, ঘুরানী পাখা ৪টি এবং পকেট পাখা ৬টি।

তালপাতার পাখা

পাখা তৈরির কারিগর জানান, বছরের আশ্বিন মাস থেকে শুরু হয় বাঁশ এবং তালপাতা সংগ্রহের কাজ। এরপর বাঁশ ছোট ছোট আকারে কাটতে হয়। তালপাতাও কেটে পাখা তৈরির উপযোগী করা হয়। ফাল্গুন মাস পর্যন্ত চলে পাখা তৈরির কাজ। চৈত্র মাসের শুরু থেকে পাখার সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য বাহারি রঙ করে বিক্রয় উপযোগী করা হয়।

রাজধানী ঢাকা, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, রংপুর, সৈয়দপুর, কুড়িগ্রাম, নীলফামারি থেকে শুরু করে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ব্যাপারীরা আসেন তালপাখা কিনতে।

যোগীর ভবন গ্রামের মামুনুর রশিদ বলেন, তিনি প্রতি বছর ১৭ থেকে ১৮ হাজার ডাগুর পাখা তৈরি করেন। এই পাখাগুলো বরিশাল, সিরাজগঞ্জ, নওগাঁসহ বিভিন্ন জেলায় বিক্রি হয়। গত বছরের তুলনায় এ বছর পাখার চাহিদা বেশি বলে জানান মামুনুর রশিদ। তিনি বলেন, একটি তাল পাতা বা ডাগুরের দাম ১০ টাকা হলেও বাঁশ ও রঙের দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে খরচ বেড়ে গেছে।

আতাইল পাড়া গ্রামের পারভীন, মর্জিনা, সাবিনা, বেবি, সুমি জানান, তারা প্রতিদিন ২৫ থেকে ৩০টি হাত পাখা তৈরি করে বিক্রি করেন। বছরের ছয় মাস সংসারের কাজের ফাঁকে হাতপাখা তৈরির কাজ করে তারা বাড়তি আয় করছেন। এইসব নারীরা তাদের সৌখিন জিনিস কিনে থাকেন নিজের টাকায়।

পকেট পাখা ১১ টাকা, ঘুরানী পাখা ২০ টাকা এবং ডাগুর পাখা ৩০ টাকা দরে ব্যাপারীরা পাইকারি কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। তারা আবার বিভিন্ন মেলা কিংবা হাটে বাজারে খুচরা বিক্রেতার কাছে বিক্রি করছেন।

গরমের সময় বিদ্যুতের লোডশেডিং বেড়ে যাওয়ার কারণে হাতপাখার চাহিদা বাড়ছে বলে পাখা কিনতে আসা ব্যাপারী করিম জানান। শহর এবং গ্রামে তীব্র গরম থেকে একটু প্রশান্তি পেতে ধনী-গরিব সবাই হাত পাখার ব্যবহার করে আসছেন যুগ যুগ ধরে।

;

ইতিহাসে ২৭ মার্চ:স্পেনে জোড়া বিমান সংঘর্ষে নিহত ৫৮৩



ফিচার ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
স্পেনে জোড়া বিমান সংঘর্ষে নিহত ৫৮৩

স্পেনে জোড়া বিমান সংঘর্ষে নিহত ৫৮৩

  • Font increase
  • Font Decrease

সময় এবং নদীর স্রোত কারো জন্য অপেক্ষা করে না। সময়ের সাথে বছরের পর বছর কেটে যায়। বর্তমান হয় অতীত। তার সাথেই তৈরি হয় ইতিহাসের। মানব সভ্যতায় ঘটে যাওয়া ইতিহাস হয়ে থাকে জাতির কাছে স্মরণীয়। প্রতি বছর যখন ক্যালেন্ডারে একই তারিখগুলো ফিরে আসে, মানুষ পুরনো ঘটনার স্মৃতিচারণ করে।

আজ ২৭ মার্চ, ২০২৪। বিগত বছরগুলোতে এই তারিখে ঘটা অনেক ঘটনা হয়েছে স্মৃতিতে অমলিন। ইতিহাসের পাতায় জুড়ে গেছে নতুন নতুন ঘটনা। চলুন জেনে নিই,আজকের তারিখে কি ঘটেছিল!    

১৯৭৭ সালে স্পেনে টেনেরিফ বিমান দুর্ঘটনা ঘটে। ডাচ এয়ারলাইনের সেই দুর্ঘটনায় কাউকেই জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। রানওয়েতে দু’টো জেট বিমানের সংঘর্ষে এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে। সেখানে উৎপন্ন বিধ্বংসী দাবানলে সর্বমোট ৫৮৩ জনের মৃত্যু নিশ্চিত হয়।

বিশাল এক ঢেউয়ের আঘাতে ১৯৮০ সালে উত্তর সাগরের প্ল্যাটফর্ম ধসে পড়ে। রিগটি ডান্ডি থেকে ২৩৫ মাইল পূর্বে সেই আবাসন প্ল্যাটফর্ম দুর্ঘটনায় ১২৩ জন শ্রমিক মারা যান।

১৯৮৯ সালে সোভিয়েত সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সেই নির্বাচনে কমিউনিটি পার্টির অনেক রাশিয়ান উচ্চতর কর্মকর্তা পরাজিত হন। তৎকালীন সময়ে এই ঘটনাকে একটি বিদ্রোহ হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছিল।     

১৯৬৩ সালে ব্রিটেনে রেললাইন কম ব্যবহৃত হওয়ার কারণে অর্থনৈতিকভাবে বিপুল ক্ষতি হয়। তাই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় মোট রেলব্যবস্থার এক-চতুর্থাংশ সেবা কমিয়ে দেওয়া হবে। এই নিয়ে সুদূরপ্রসারী একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছিল ২৭ মার্চ।

তথ্যসূত্র: বিবিসি

;