ফ্লপ মাস্টার দুর্গাদাস থেকে মহানায়ক উত্তম কুমার



মরিয়ম সুলতানা, কন্ট্রিবিউটিং করেসপন্ডেন্ট
উত্তম কুমার

উত্তম কুমার

  • Font increase
  • Font Decrease

আজ থেকে ৩৮ বছর আগে—মাত্র ৫৩ বছর বয়সে ১৯৮০ সালের ২৪ জুলাই আপামর বাঙালিকে কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে চলে যান মহানায়ক উত্তম কুমার। ১৯২৬ সালের ৩ সেপ্টেম্বর, কলকাতার ৫১ নম্বর আহিরীটোলায় নানাবাড়িতে তাঁর জন্ম।

তখন ভরদুপুর। কালিপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায়ের বাড়ির পরিচারিকারা এসে তাকে বললেন, “দাদা মশাই, আপনার জন্য একটা খবর আছে। আপনার নাতি হয়েছে।” এই খবর শুনে তিনি বলে উঠলেন, “বেশ উত্তম খবর! নাতির নামও হবে উত্তম।” নানার দেওয়া সেই নামের মর্যাদা রাখতেই যেন পরবর্তীতে তিনি হয়ে উঠলেন এক এবং অদ্বিতীয় উত্তম, বাঙালির মহানায়ক, রুপালি পর্দার গুরু।

উত্তম কুমার কলকাতার সাউথ সাবার্বান স্কুল থেকে ম্যাট্রিক পাশ করেন। তারপর তিনি ভর্তি হন কলকাতার গোয়েংকা কলেজে। কিন্তু জীবন ও জীবিকার তাগিদে মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে উঠে আসা উত্তম গ্র্যাজুয়েশনটা আর শেষ করতে পারেননি। পড়াশোনা ছেড়ে কলকাতা পোর্টে কেরানি পদে চাকুরিতে যোগ দেন তিনি। এরই মাঝে আবার ১৯৪৮ সালে ভালোবেসে বিয়ে করেন গৌরী দেবীকে। এই সময়টাতে তিনি মঞ্চে অভিনয় করেন। ধীরে ধীরে তাঁর ঝোঁক বাড়ে রুপালি পর্দার দিকে।

কিন্তু রুপালি পর্দায় নিজের জায়গা তৈরি করে নেওয়ার জন্য বহু কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে আজকের এই মহানায়ককে। তাঁর সর্বপ্রথম অভিনীত ছবি ‘মায়াডোর’। যদিও শেষ পর্যন্ত ছবিটি মুক্তি পায়নি। তারপর তিনি সুযোগ পান নীতিন বোস পরিচালিত ‘দৃষ্টিদান’ ছবিতে, ১৯৪৮ সালে। এটিই ছিল উত্তম কুমার অভিনীত প্রথম মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি। এর পর ‘কার পাপে’সহ কয়েকটি ছবিতে ছোট ছোট ভূমিকায় অভিনয় করেন তিনি। তবে সেসব কোনো ছবিই ব্যবসাসফল হয়নি। ফলে একটা পর্যায়ে তার নামই হয়ে গিয়েছিল ‘ফ্লপ মাস্টার’। তিনি সেটে ঢুকলেই লোকজন ঠাট্টা তামাশা করে রব তুলত, “এসেছে আমাদের নতুন দুর্গাদাস...”।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/24/1563980576850.jpg
◤ উত্তম কুমার অভিনীত মুক্তিপ্রাপ্ত প্রথম ছবির পোস্টার◢

 

এভাবে একের পর এক ছবি ব্যর্থ হতে লাগলে তিনি হতাশ হয়ে সিদ্ধান্ত নেন, আর চলচ্চিত্রে কাজ করবেন না, চাকরিতে মনোযোগ দেবেন। কিন্তু তখন তাঁর স্ত্রী গৌরী দেবী তাকে বলেন, তিনি যেন চলচ্চিত্র না, বরং চাকরিটা ছেড়ে দিয়ে চলচ্চিত্রে মন দেন। কারণ তিনি ভালোভাবেই জানতেন অভিনয়টা উত্তম কুমারের রক্তে মিশে আছে। তারপর স্ত্রীর কথামতো তিনি চাকরি ছেড়ে এমপি স্টুডিওতে ৩ বছরের জন্য চুক্তিবদ্ধ হন এবং ‘বসু পরিবার’ নামক সিনেমায় এক যৌথ পরিবারের আদর্শবাদী বড় ভাইয়ের চরিত্রে অভিনয় করে দর্শকদের দৃষ্টি কাড়েন। এ সিনেমায় সুপ্রিয়া দেবী ছিলেন তাঁর ছোট বোনের ভূমিকায় এবং এটিই ছিল উত্তম-সুপ্রিয়া অভিনীত প্রথম ছবি।

তারপর ১৯৫৩ সালে ‘সাড়ে চুয়াত্তর’ ছবিতে উত্তম কুমার প্রথমবারের মতো জুটিবদ্ধ হন নবাগতা অভিনেত্রী সুচিত্রা সেনের সঙ্গে। এই ছবিটিতে তারা রোমান্টিক জুটির ভূমিকায় থাকলেও এর মূল অভিনেতা ছিলেন ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়, তুলসী চক্রবর্তী, মলিনা দেবী। ছবিটি ব্যবসাসফল হয় এবং এর সাথে সাথে চলচ্চিত্র জগতে উত্তম কুমারও পাকাপাকিভাবে একটা জায়গা গড়ে তোলার সুযোগ পান।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/24/1563980119581.jpg
◤ উত্তম-সুচিত্রা জুটি ◢

 

এর ঠিক এক বছর পর, ১৯৫৪ সালে আশাপূর্ণা দেবীর গল্প অবলম্বনে ‘অগ্নিপরীক্ষা’ ছবিতে আবারও জুটি বাঁধেন উত্তম-সুচিত্রা, যা বিপুল পরিমাণ দর্শক জনপ্রিয়তা পায়। ওই সময়ে গুনে গুনে টানা ৬৫ সপ্তাহ ধরে হলে চলে ছবিটি। ছবিটি দারুণভাবে ব্যবসাসফল হওয়ায় উত্তম কুমারের আসন স্থায়ী হয়ে যায় চলচ্চিত্র জগতে। তারপর একের পর এক মুক্তি পায় উত্তম কুমার-সুচিত্রা সেন অভিনীত ব্যাপক সাড়া জাগানো ছবি ‘শাপমোচন’, ‘শিল্পী’, ‘হারানো সুর’, ‘সাগরিকা’, ‘পথে হলো দেরি’, ‘চাওয়া পাওয়া’, ‘সপ্তপদী’, ‘বিপাশা’, ‘ইন্দ্রাণী’, ‘সূর্য তোরণ’, ‘সবার উপরে’, ‘সাহেব বিবি গোলাম’ ইত্যাদি। সুচিত্রা সেনের সঙ্গে তাঁর জুটি বাংলা ছবির ইতিহাসে সবচেয়ে রোমান্টিক জুটি হিসেবে এখনো পর্যন্ত বিবেচিত।

তবে উত্তম-সুচিত্রা জুটির মতো এত বেশি জনপ্রিয় না হলেও উত্তম-সুপ্রিয়া জুটিকেও দর্শক বেশ ভালোভাবে গ্রহণ করেছিল। তাদের অভিনীত ‘বনপলাশীর পদাবলী’, ‘কাল তুমি আলেয়া’, ‘লাল পাথর’, ‘শোন বরনারী’, ‘মন নিয়ে’, ‘শুধু একটি বছর’, ‘সন্ন্যাসী রাজা’ ইত্যাদি ছবি দারুণ ব্যবসা সফল হয়েছিল।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/24/1563980174543.jpg
◤ উত্তম-সুপ্রিয়া জুটি ◢

 

এদিকে, উত্তম-সাবিত্রী জুটিও পেয়েছিল বিপুল দর্শকপ্রিয়তা। বলা হয় যে উত্তম কুমারের বিপরীতে যারাই অভিনয় করেছেন তাদের মধ্যে সাবিত্রীর অভিনয়ই ছিল সবচেয়ে বেশি সাবলীল। সাবিত্রীর মাঝে বাহ্যিকভাবে প্রবল আকর্ষণী ক্ষমতা ছিল না কিন্তু তার অভিনয়ে ছিল ঝরনা ধারার মতো সরলতা, স্বভাবিকতা। তাঁর এই নিপুণ অভিনয় শৈলির জন্য উত্তম-সাবিত্রী জুটি এত বেশি সমাদৃত হয়েছিল। এই জুটির বহু ছবি ব্যবসাসফল হয়। তার মাঝে উল্লেখযোগ্য হলো ‘নিশিপদ্ম’, ‘নবজন্ম’, ‘মরুতীর্থ হিংলাজ’, ‘অভয়ের বিয়ে’, ‘হাত বাড়ালেই বন্ধু’, ‘কলংকিত নায়ক’, ‘কুহক’, ‘দুই ভাই’, ‘ভ্রান্তি বিলাস’, ‘মোমের আলো’ ইত্যাদি।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/24/1563980219384.jpg
◤ উত্তম-সাবিত্রী জুটি ◢

 

তবে রোমান্টিক ছবিতে অভিনয়ের পাশাপাশি অনেক ব্যতিক্রমী চরিত্রে অভিনয় করেছেন উত্তম যা তাকে অভিনেতা হিসেবে নিয়ে যায় এক অনন্য উচ্চতায়। ফিরিঙ্গি কবি অ্যান্টনির কথা ধরা যাক। ‘অ্যান্টনি ফিরিঙ্গি’ ছবিতে নাম ভূমিকায় ছিলেন উত্তম কুমার। এখানে একজন কবির জীবনের নিদারুণ কঠিন বাস্তবতাকে তার সুনিপুণ অভিনয় শৈলির মাধ্যমে তুলে ধরেছিলেন উত্তম এবং এজন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও পান।

এছাড়াও তিনি অভিনয় করেন সর্বকালের শ্রেষ্ঠ পরিচালকদের একজন, বাংলা চলচ্চিত্রের অন্যতম পথিকৃৎ, সত্যজিৎ রায়ের ছবিতে। অভিনয় করেন তাঁর ‘নায়ক’ এবং ব্যোমকেশ চরিত্রে ‘চিড়িয়াখানা’য়। সত্যজিৎ রায়ের অধিকাংশ ছবিতেই বাংলার আরেক কিংবদন্তী অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়কে দেখা গেলেও, উত্তম কুমারের উপস্থিতি তাঁর ছবিতে বিরল। যদিও সত্যজিতের মাত্র দুটি ছবিতে অভিনয় করেছেন, দুটোর জন্যই পেয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার।

১৯৮০ সালে উত্তম কুমারের মৃত্যুর পর সত্যজিৎ রায় তাঁর স্মৃতিচারণ করে লেখেন, “উত্তম কুমারকে প্রথম যখন স্ক্রিনে দেখি—তখনও আমি ডিরেক্টর হিসেবে আত্মপ্রকাশ করিনি। অনেকের মুখে এই নতুন নায়কের কথা শুনেছি, এবং কৌতূহল নিয়ে তাকে দেখার অপেক্ষায় ছিলাম। টানা ৩টা সিনেমা দেখে ফেললাম উত্তম কুমারের। ৩টিই নির্মাণ করেছিলেন আমাদের সময়কার সেরা একজন নির্মাতা নির্মল দে। উত্তমের ব্যাপারে প্রথম ইম্প্রেশন ছিল—অসাধারণ! উত্তমের ছিল আকর্ষণীয় ব্যক্তিত্ব, চমৎকার লুক এবং সৌজন্যবোধ।”

উত্তম কুমার সম্বন্ধে সত্যজিৎ আরো বলেছেন, “উত্তমের সাথে কাজ করার অভিজ্ঞতা—আমার ফিল্মমেকিং ক্যারিয়ারের অন্যতম সেরা অভিজ্ঞতা। কাজ শুরুর প্রথমেই ধরে ফেললাম—অভিনয় ব্যাপারটা উত্তমের রক্তের সাথে মিশে আছে। সহজ ভাষায়—জাত অভিনেতা যাকে বলে। দুই শ্রেণীর অভিনেতার সাথেই কাজ করার অভিজ্ঞতা আছে আমার। সেরিব্রেল অ্যাক্টরদের কাছ থেকে কাজ আদায় করে নেয়া যায় বৈকি তবে সেক্ষেত্রে তাদের সাপোর্ট এবং মোটিভেশনের দরকার হয়। এরপর তারা চরিত্রে ঢুকে যায়। তবে বাস্তবতা হচ্ছে—তাদের কাছ থেকে অভিনয়ের সারনির্যাস বের করে আনার ব্যাপারে কোনো গ্যারান্টি নেই। যেটা উত্তমের মতো ইন্সটিঙ্কটিভ অ্যাক্টরের বেলায় আছে। সঙ্গীতের প্রতিও ছিল তাঁর ভীষণ অনুরাগ। হেমন্ত মুখোপাধ্যায়, মান্না দে এবং শ্যামল মিত্রের গানে ঠোঁট মেলাতেন উত্তম কুমার। গান রেকর্ডিংয়ের সময় শিল্পীর পাশে বসে তাঁর অনুভূতি উপলব্ধি করার চেষ্টা করতেন তিনি। এতে করে অভিনয়ের সময় গানের সাথে ঠোঁট মেলানো তাঁর জন্য সহজ হতো।”

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/24/1563981473560.jpg
◤ উত্তম কুমার ও সত্যজিৎ রায় ◢

 

উত্তম কুমার সর্বমোট ২০২টি ছবিতে অভিনয় করেছেন। এর মধ্যে ৩৯টি ছবি ব্লকবাস্টার হিট, ৫৭টি সুপারহিট ও ৫৭টি ছবি ব্যবসাসফল হয়েছে। তাঁর অভিনীত সর্বশেষ ছবি ‘ওগো বধূ সুন্দরী’। বার্নার্ড শ’র নাটক ‘পিগম্যালিয়ন’ অবলম্বনে হলিউডের অড্রে হিপবার্ন অভিনীত বিখ্যাত ছবি ‘মাই ফেয়ার লেডি’র বাংলা রিমেক ছিল ‘ওগো বধূ সুন্দরী’। এ ছবিতে তিনি কোথাও কোথাও ‘মাই ফেয়ার লেডি’র রেক্স হ্যারিসনকেও অতিক্রম করে গেছেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে এই ছবিতে ডাবিং সম্পূর্ণ করে যেতে পারেননি তিনি, তার আগেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে পরলোকগমন করেন। পরে তাঁর ছোটভাই তরুণ কুমার এ ছবিতে কণ্ঠ দিয়েছিলেন।

উল্লেখ্য, তাঁর ভাই তরুণ কুমারও ছিলেন একজন নিয়মিত অভিনেতা। দুজনে বেশ কিছু ব্যবসাসফল ছবিতে একসাথে হাজিরও হয়েছিলেন পর্দায়।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/24/1563981390469.jpg
◤ তরুণ কুমার ◢

 

উত্তম কুমার বাংলা চলচ্চিত্রে অভিনয়ের ধারা পাল্টে দেন। মঞ্চের সেই অতিরঞ্জিত অভিনয়ের ধারা পাল্টে তিনি সহজ-স্বাভাবিক অভিনয় ধারার সূচনা করেন। বাস্তব জীবনে মানুষ যেভাবে হাঁটাচলা করে, কথাবার্তা বলে, চলাফেরা করে; উত্তম কুমার ক্যামেরার সামনে ঠিক তাই করতেন। সাবলীল অভিনয়, নায়কোচিত গ্ল্যামার, নজরকাড়া হাসিতে তিনি ছিলন স্বয়ংসম্পূর্ণ।

এদিকে, গৌরী দেবীকে ভালোবেসে বিয়ে করলেও এক পর্যায়ে তাদের দাম্পত্য জীবনে টানাপোড়েন সৃষ্টি হয়। ১৯৬৩ সালে উত্তম কুমার তার পরিবার ছেড়ে চলে যান। তারপর দীর্ঘ (১৯৬৩-১৯৮০) ১৭ বছর তিনি সেই সময়ের জনপ্রিয় অভিনেত্রী সুপ্রিয়া দেবীর সঙ্গে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত বসবাস করেন।

উত্তম কুমারের সম্মানার্থে কলকাতা মেট্রোর টালিগঞ্জ অঞ্চলের স্টেশনের নাম রাখা হয়েছে মহানায়ক উত্তম কুমার মেট্রো স্টেশন।

   

খাবারের পর প্লেট ধোয়া কষ্ট? তাহলে এই কৌশল আপনার জন্য!



ফিচার ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

খাওয়ার বিষয়ে সবাই পটু। কিন্তু খাওয়ার পর থালা বাসন ধোয়াকে অনেকেই কষ্টকর কাজ মনে করেন। তাই দেখা যায় খাওয়ার পর অপরিষ্কার অবস্থায়ই থেকে যায় থালা বাসনগুলো। এবার এই কষ্ট কমাতে এক অভিনব কৌশল বেছে নিয়েছেন এক ব্যক্তি।

সম্প্রতি এমন এক ভিডিও নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি। 

হর্ষ গোয়েনকা নামে ভারতের এক শিল্পপতি তাঁর এক্স হ্যন্ডেলে (সাবেক টুইটার) ভিডিওটি শেয়ার করেন। এতে দেখা যায়, থালাবাসন পরিষ্কারের কাজ এড়াতে এক ব্যক্তি মজার এক কৌশল নিয়েছেন। এতে দেখা যায়, এক ব্যক্তি খাবার রান্না করছেন। খাবার আগে তিনি প্লাস্টিক দিয়ে প্লেট, চামচ ও পানির গ্লাস মুড়িয়ে নিচ্ছেন।

শেয়ার করে তিনি মজাচ্ছলে লিখেছেন, "যখন আপনার থালা-বাসন ধোয়ার জন্য পর্যাপ্ত পানি থাকে না..."।

ভিডিওটি শেয়ার করার পর মুহূর্তেই সেটি ভাইরাল হয়ে যায়। ভিডিওটি অনেক বিনোদনের জন্ম দিয়েছে। যদিও কেউ কেউ প্লাস্টিকের মোড়ককে হাস্যকর মনে করেন এবং এর ব্যবহার নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।

এক্স ব্যবহারকারী একজন লিখেছেন, 'পানি সংরক্ষণ ও পুনর্ব্যবহার করা হল মন্ত্র হল এমন কৌশল! তবে প্লাস্টিকের ব্যবহার নতুন করে ভাবাচ্ছে।'

অন্য একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, 'আমি আমার হোস্টেলের দিনগুলিতে এটি করেছি। আমাদের পানি সরবরাহ ছিল না এবং বারবার ধোয়ার কষ্টে এমন কৌশল নিয়েছি।'

আরেক ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘মনে হচ্ছে বেঙ্গালুরুতে পানি–সংকটের সমাধান হয়ে যাচ্ছে।’

;

জলদানব ‘লক নেস’কে খুঁজে পেতে নাসার প্রতি আহ্বান



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রহস্যময় জলদানব জলদানব ‘লক নেস’কে খুঁজে পেতে নাসার প্রতি আহ্বান জানিয়েছে লক নেস সেন্টার। ২০২৩ সালের এই রহস্যময় প্রাণীর শব্দের উৎস ও একে খুঁজে পেতে হাইড্রোফোন ব্যবহার করা হয়েছিল।

স্যার এডওয়ার্ড মাউন্টেনের ৯০তম অভিযানের অংশ হিসেবে আগামী ৩০ মে থেকে ২ জুন পর্যন্ত এই ‘লক নেস মনস্টার’কে খুঁজে পেতে অনুসন্ধান চালানো হবে।

রহস্যময় এই ‘লক নেস মনস্টার’কে ১৯৩৪ সালে প্রথম দেখা যায়। এ পর্যন্ত ১ হাজার ১শ ৫৬ বার দেখা গেছে বলে লক নেস সেন্টার সূত্রে জানা গেছে।

এ বিষয়ে লক নেস সেন্টারের এমি টোড বলেছেন, আমরা আশা করছি, এই রহস্যময় জলদানবকে খুঁজে পেতে মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার গবেষকেরা আমাদের সহযোগিতা করবেন। তারা আমাদের জলদানবকে খুঁজে পেতে যথাযথ নির্দেশনা দেবেন এবং এ বিষয়ে সব কিছু জানাতে সাহায্য করবেন।

তিনি বলেন, আমাদের অভিযানের বিষয়ে যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়েছি। আমরা আশা করছি, নাসার উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে আমরা জলদানব বিষয়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজে পাবো।

রহস্যময় জলদানব খুঁজে পেতে স্বেচ্ছাসেবকের ভূপৃষ্ঠ থেকে যেমন নজর রাখবেন, তেমনি পানির ভেতরে অভিযান চালানোর বিষয়ে তাদেরকে নির্দেশনা দেওয়া হবে। রহস্যময় জলদানবকে খুঁজে পেতে ১৯৭০ দশক ও ১৯৮০ দশকের যে সব তথ্যচিত্র লক নেসের কাছে সংরক্ষিত রয়েছে, সেগুলো যাচাই করে দেখা হবে।

তারপর জলদানব সম্পর্কে স্বেচ্ছাসেবকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেবেন লক নেসের পরিচালক জন ম্যাকলেভারটি।

এ নিয়ে গবেষকদের নিয়ে একটি অনলাইন বিতর্ক অনুষ্ঠিত হবে। যারা রহস্যময় এই জলদানবকে সচক্ষে দেখেছেন, তারাও এ লাইভ বিতর্কে অংশ নেবেন।

নেস হৃদ

যে হ্রদে জলদানব অবস্থান করছে বলে জানা গেছে, অভিযানের অভিযাত্রী দল নৌকায় করে সেখানে যাবেন। এসময় তাদের সঙ্গে থাকবেন গভীর সমুদ্রে অনুসন্ধানকারী দলের ক্যাপ্টেন অ্যালিস্টার মাথিসন। তিনি লক নেস প্রজেক্টে একজন স্কিপার হিসেবে কাজ করছেন। তার সঙ্গে থাকবেন ম্যাকেন্না।

অনুসন্ধান কাজে ১৮ মিটার (৬০ ফুট) হাইড্রোফোন ব্যবহার করা হবে। এটি দিয়ে রহস্যময় শব্দের প্রতিধ্বনি রেকর্ড করা হবে।

দ্য লক নেস সেন্টার ড্রামনাড্রোচিট হোটেলে অবস্থিত। ৯০ বছর আগে অ্যালডি ম্যাককে প্রথম রিপোর্ট করেছিলেন যে তিনি একটি জলদানব দেখেছেন।

লক নেস সেন্টারের জেনারেল ম্যানেজার পল নিক্সন বলেছেন, ২০২৩ সালে নেসিকে খুঁজে পেতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, ফ্রান্স, ইতালি, জাপানসহ আরো অনেক দেশ অনুসন্ধান কাজে অংশ নিয়েছিল। এটি ছিল বড় ধরনের একটি অভিযান।

তিনি বলেন, অনুসন্ধানের সময় যে অদ্ভুত শব্দ শোনা গিয়েছিল, সে শব্দের কোনো ব্যাখ্যা দাঁড় করানো যায়নি। তবে আমরা এবার দৃঢ় প্রতিজ্ঞ যে, জলদানব লক নেসের রহস্য উন্মোচন করতে পারবো।

এ বিষয়ে আমরা সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার করবো। এ রহস্যময় জলদানব লক নেস সম্পর্কে যাদের ধারণা আছে, তাদের সহযোগিতা নেওয়া হবে। পল নিক্সন আরো বলেন, এবার আমরা খুবই উচ্ছ্বসিত যে, জলদানবকে খুঁজে পেতে নতুন ধরনের যন্ত্রপাতি ব্যবহার করবো।

স্কটল্যান্ডের ইনভার্নেসের কাছে এক বিশাল হ্রদের নাম ‘নেস’। স্কটিশ গেলিক ভাষায় হ্রদকে লক (Loch) বলা হয়। আর উচ্চারণ করা হয় ‘লক’। গ্রেট ব্রিটেনের স্বাদুপানির সবচেয়ে একক বৃহত্তম উৎস এ হ্রদটির আয়তন ২২ বর্গ কিলোমিটার, গভীরতা ৮০০ ফুটেরও বেশি। এই হ্রদেই দেখা মিলেছিল সত্যিকারের জলদানব ‘লক নেসের’।

;

স্টেডিয়ামে খেলা দেখার জন্য অফিসে মিথ্যা বলা, শেষ রক্ষা হয়নি তার!



ফিচার ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বহুল প্রত্যাশিত ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) শুরু হয়েছে ২২ মার্চ থেকে। বিশ্বের নামিদামী সব খেলোয়াড়ের উপস্থিতি থাকায় বিশ্বজুড়ে এই লীগের চাহিদা তুঙ্গে। তাই এর দর্শক সংখ্যাও কত হতে পারে সেটা সহজেই অনুমেয়। যাদের সুযোগ সামর্থ্য থাকে তারা স্টেডিয়ামে বসে খেলা দেখেন আর যাদের সুযোগ না থাকে তারা টেলভিশনের পর্দায়ই বিনোদন খোঁজেন।

সম্প্রতি, এই লীগের একটি ম্যাচ স্টেডিয়ামে দেখতে গিয়ে অদ্ভুত এক কাণ্ডের জন্ম দিয়েছেন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরের নেহা নামে এক নারী ভক্ত। ওইদিন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু ও লখৌন সুপার জায়ান্টসের মধ্যে ম্যাচ চলছিল। সেই খেলা মাঠে বসে দেখতে তিনি পারিবারিক সমস্যার কথা বলে আগেই অফিস থেকে বের হয়ে যান।

তারপর যথারীতি সে মাঠে বসে খেলা উপভোগ করছিল। কিন্তু বিপত্তি বাঁধে অন্য জায়গায়। খেলা চলার এক পর্যায়ে তাকে টিভি স্ক্রিনে দেখতে পায় তার অফিসের বস।

পরে এই ঘটনাটির একটি ভিডিও তিনি তার ইন্সটাগ্রাম একাউন্টে শেয়ার করেন। সেখানে তিনি পুরো বিষয়টি নিয়ে খোলাসা করেন।

ওই ভিডিওতে নেহা বলেন, অফিস থেকে পারিবারিক সমস্যার কথা বলে মাঠে এসে খেলা দেখেছি। আমি রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর একজন ভক্ত। কিন্তু টিভি স্ক্রিনে আমার বস আমাকে দেখে ফেলে। পরে তিনি আমাকে জিজ্ঞেস করেছেন আমি কোন দলের সমর্থক হিসেবে খেলা দেখছি। আমি বলেছি রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু।

এরপর বস বলেন, তাহলে আপনি নিশ্চয় গতকাল খুব অসন্তুষ্ট ছিলেন। ওরা ফিল্ডিংয়ে একটি ক্যাচ মিস করার সময় আপনাকে খুব উদ্বিগ্ন চেহারায় দেখেছি। ১৬.৩ ওভারে যখন কিপার ক্যাচ মিস করলো, তখন।

হাতেনাতে ধরা পড়ে যাওয়ার পর নেহা স্বীকার করে নেন, ওটা তিনিই ছিলেন। বলেন, হ্যাঁ, অনুজ রাওয়াত ক্যাচ মিস করেছিল।

এরপর নেহার বস বলেন, মাত্র কয়েক সেকেন্ডের জন্য ক্যামেরায় আপনাকে দেখিয়েছিল। আর তাতেই আমি চিনে ফেলেছি। তাহলে এটাই ছিল গতকাল দ্রুত বেরিয়ে যাওয়ার কারণ।

এরপর তিনি একটি হাসির ইমোজি দিয়ে কথপোকথন শেষ করেন।

ভিডিওটি শেয়ার করার পর রাতারাতি সেটি ভাইরাল হয়ে যায়।

পোস্টের নিচে অনেকেই নিজেদের অভিমত ব্যক্ত করেছেন।

একজন লিখেছেন, এটা ঠিক আছে। ম্যানেজারের উচিত কর্মচারীকে স্বাধীনতা প্রদান করা। যাতে সে সত্য বলতে পারে বা নিজের জীবনকে স্বাধীনভাবে উপভোগ করতে পারে।

আরেকজন লিখেছেন, আপনাকে এর জন্য চাকরি থেকে বরখাস্ত করা উচিত। একে তো আপনি অফিস থেকে মিথ্যা কথা বলে বের হয়েছে আবার নিজেদের ব্যক্তিগত কথা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করেছেন।

;

নওগাঁয় কালের সাক্ষী কয়েক শ বছরের পুরোনো বটগাছ



শহিদুল ইসলাম, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নওগাঁ
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নওগাঁ সদর উপজেলার বক্তারপুর ইউনিয়নের মুরাদপুর গ্রামে বট ও পাকুড় গাছের মেল বন্ধন প্রায় ৩০০ বছরের অধিক সময়ের। প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম কালের সাক্ষী হয়ে এখনো দাঁড়িয়ে আছে রহস্যময় এই বট গাছটি। প্রায় ৫ থেকে ৬ একর জমির ওপরে শাখা-প্রশাখা ছড়িয়ে দর্শনার্থীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছে এই পুরাতন বটগাছটি।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, বট ও পাকুর মিলে বিশাল জায়গাজুড়ে কাল্পনিক এক দৃশ্যের সৃষ্টি হয়েছে। বট গাছের কাণ্ড থেকে কাণ্ড শাখা থেকে প্রশাখা মাটিয়ে লুটে পড়ে আরেক বটগাছের জন্ম দিয়েছে। কাণ্ডগুলো দেখলে বোঝার উপায় নেই যে এটির মূল শাখা কোনটি। লতা থেকে মাটিতে পড়ে সৃষ্টি হয়েছে আরেকটি বটগাছ এভাবে অনেকটা জায়গাজুড়ে এক অন্যরকম সৌন্দর্যে বিমোহিত হয়েছে স্থানটি। বটগাছের নিচে ও পাশে রয়েছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের কালি মন্দির যেখানে কয়েকদিন পর পর বিভিন্ন অনুষ্ঠান করেন তারা।

মুরাদপুর গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দা গৌরাঙ্গ সাহা ( ৫০) এর সাথে কথা হলে তিনি জানান, আসলে এই গাছটির সঠিক বয়স কত সেটি আমরা কেউ জানিনা। আমার বাবা-দাদা তারাও এখানে পূজা করতেন তবে তারা আমাদেকে সঠিক বয়স বলতে পারেনি। আমার দাদার মুখে শুনেছি উনার ছোটবেলাতে সেখানে গিয়ে খেলাধুলা করতেন সে সময় গাছটি ঠিক এমন-ই ছিল। তবে অনুমান করা যায়, এই গাছের বয়স প্রায় ৩০০ থেকে ৪০০ বছরের অধিক হতে পারে।

একই গ্রামের গৃহবধূ লাইলী বেগম ( ৫৫) বলেন, আমার বিয়ে হয়েছে প্রায় ৩০ বছর হলো আর তখন থেকেই এই গাছটি দেখে আসছি। বাড়ি কাছে হওয়ায় প্রতিদিন আশেপাশে আসতে হয় বিভিন্ন কাজে। মূল গাছটি আমরা অনেক খুঁজেছি কিন্তু পাইনি। একটা গাছ থেকে এতগুলো গাছের সৃষ্টি হয়েছে দেখতে ভালোই লাগে। তবে যদি এটি সংরক্ষণের ব্যবস্থা করলে আরো কয়েকশ বছর টিকবে বলে মনে করি।

হালঘোষপাড়া থেকে আসা রায়হান নামের এক দর্শনার্থী বলেন, শুনেছিলাম এখানে অনেক পুরাতন বটগাছ আছে আজকে দেখতে আসলাম। চারিদিকে ছড়িয়ে গেছে এমন বটগাছ আমাদের এলাকায় নেই। দেখে খুব ভালো লাগছে এখন থেকে মাঝেমধ্যেই আসব।


কল্পনা রানী ( ৪৮) বলেন, আমার স্বামীর বাবার মুখ থেকে শুনেছি এটির বয়স প্রায় ৩০০ বছরের অধিক। কিছুদিন পর পর এখানে পূজা হয় বিভিন্ন এলাকা থেকে মানুষ এসে পূজা দেয়। এমন সুন্দর বটগাছ আমি কোনোদিন দেখিনি।

বিমল সাহা নামের এক শিক্ষার্থী জানান, আমরা প্রতিদিন আমরা এখানে এসে ক্রিকেট খেলি। এতো পুরাতন একটি বটের গাছ দেখতে পেয়ে আমাদের খুব ভালো লাগে।

এ বিষয়ে নওগাঁ সরকারি কলেজের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. এনায়েতুস সাকালাইন বার্তা২৪.কমকে বলেন, প্রাকৃতিকভাবে একেকটা উদ্ভিদের আয়ু একেক রকম হয়ে থাকে সেরকম বটগাছ দীর্ঘজীবি উদ্ভিদ। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায়, কোনো কোনো জায়গায় ৫০০ বছর বা অধিক সময়ের বেশি বেঁচে থাকে। এই উদ্ভিদগুলোর অভিযোজন ক্ষমতা অনেক বেশি ও পরিবেশের সাথে এদের খাপখাইয়ে নেওয়ার ক্ষমতাও বেশি এবং যেকোনো প্রতিকূল পরিবেশে এরা মোকাবিলা করতে সক্ষম। বটগাছ গুলো বেশি পানি না পেলেও দীর্ঘদিন বেঁচে থাকে আবার খুব বেশি তাপমাত্রা বা তাপমাত্রা নিচে নেমে গেলেও এ ধরনের উদ্ভিদ সে সময় টিকে থাকতে পারে সেজন্য অনেক সময় বিল্ডিং বাড়ির দেয়ালেও এদের বিস্তার দেখা যায়।

তিনি আরও বলেন, বট গাছগুলোর একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য আছে সেটি হলো ওপরের দিকে একটু বেড়ে অনেকদিকে বিস্তার লাভ করে বেশ বড় জায়গা দখল করে তখন এই উদ্ভিদগুলোর ওপরের অংশের ভার বহন করার জন্য ঠেসমূল গঠন করে তারা। মূল কাণ্ড থেকে আস্তে আস্তে মাটিতে ঠেসমূল নেমে আসে তখন ধীরে ধীরে মোটা হতে থাকে। মূল যে কাণ্ডটা তার থেকে বয়সের সাথে সাথে আরো তৈরি হয় যাতে গাছের ভার বহন করতে সক্ষম হয় এবং এভাবে বিশাল জায়গাজুড়ে একে একে বিস্তার লাভ করে কাণ্ডগুলো। বটগাছে এ ধরনের কর্মকাণ্ড লক্ষ্য করা যায় কিন্তু পাকুড় জাতীয় গাছে কম লক্ষ্য করা যায়।

;