প্রাচীন মিশরের যে আবিষ্কারগুলো ছিল আধুনিক সভ্যতার ভবিষ্যদ্বাণী



আহমেদ দীন রুমি, কন্ট্রিবিউটিং করেসপন্ডেন্ট
মিশরীয় সভ্যতা : মানব ইতিহাসের এক সন্ধিঃক্ষণ

মিশরীয় সভ্যতা : মানব ইতিহাসের এক সন্ধিঃক্ষণ

  • Font increase
  • Font Decrease

নৃতাত্ত্বিক এবং গবেষকদের কাছে প্রাচীন মিশর একটা বিস্ময়। ক্যালেন্ডার থেকে লেখার ধারণা, অপারেশনের যন্ত্রপাতি থেকে আকাশচুম্বি নির্মাণ—মিশরীয় সভ্যতাকে স্বতন্ত্র মর্যাদায় উন্নীত করেছে। ঠিক কিভাবে পিরামিড কিংবা মমি তৈরি করা হতো, এ নিয়ে এখনো দ্বিধাবিভক্ত গবেষকরা।

প্রাচীনকালে সভ্যতাগুলো গড়ে উঠেছে নদীকে কেন্দ্র করে। ভারতে সিন্ধু নদ, মেসোপটেমিয়ায় টাইগ্রিস এবং ইউফ্রেটিস নদীর উপকূল এবং চীনে ইয়োলো নদী। মিশরীয় সভ্যতাও এর ব্যতিক্রম ছিল না। নীল নদের তীরে জন্ম নেওয়া এই সভ্যতা অনেক দিক দিয়েই পৃথিবীকে সমৃদ্ধ করেছে। সভ্যতার কেন্দ্র বলে যে গ্রিকদের কদর করা হয়, সেই গ্রিকরাও মিশরীয়দের কাছে ঋণী। থেলিস, পিথাগোরাস কিংবা খোদ এরিস্টটলের বহু ধারণাই প্রাচীন মিশরীদের থেকে গৃহীত।

যে সব আবিষ্কার মানবসভ্যতার গতিমুখ বদলে দিয়েছে মিশরীয় সভ্যতার এমন কিছু অবদান নিয়েই আজকের আয়োজন।

ধাতব যন্ত্রপাতি

আজ থেকে পাঁচ হাজার বছর আগেই মিশরীয়রা টিন এবং তামাকে মিশ্রিত করে ব্রোঞ্জ তৈরির পদ্ধতি আবিষ্কার করেছিল। ব্রোঞ্জ অন্যান্য ধাতু থেকে অধিক স্থায়ী এবং মজবুত। প্রত্নতাত্ত্বিকদের কাছে এই যুগ ব্রোঞ্জ যুগ বলে স্বীকৃত। 

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Aug/08/1565255025861.jpg
◤ বিশেষ করে ব্রোঞ্জের ব্যবহারে তাদের দক্ষতা বিস্ময়কর ◢


ব্রোঞ্জের নির্মিত আসবাবপত্র, অস্ত্র, নির্মাণ কিংবা প্রসাধনী সামগ্রীর হদিস পাওয়া গেছে। আনুপাতিক মিশ্রণ এবং নির্মাণের নিখুঁত পরিকল্পনায় তাদের দক্ষতা প্রমাণিত।

লেখালেখি

প্রাচীন মিশরীয়রাই প্রথম সাংগঠনিকভাবে লেখালেখি করেছে। আর সেই সাথে লেখাগুলিকে জমা করে রেখেছে পরবর্তী কোনো পাঠকের জানার জন্য। জ্ঞানকে ছড়িয়ে দেবার ইতিহাসের পত্তন সেখান থেকেই। মিশরীয়রা লেখার জন্য ব্যবহার করত হায়ারোগ্লিফিক। শব্দগুলো ছবির মতো এই ভাষায়। নৃতাত্ত্বিকেরা ১০০০ পৃথক অক্ষরকে সনাক্ত করতে সক্ষম হয়েছেন।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Aug/08/1565255161961.jpg
◤ প্রাচীন মিশরীয় হায়ারোগ্লিফিক ◢


হায়ারোগ্লিফিক থেকেই উদ্ভুত হয়েছে হায়ারেটিক এবং ডেমোটিক লিপি। পরবর্তী আরমায়িক এবং গ্রিক লিপির জন্মও সেখান থেকে। এ কারণেই মিশরীয় হায়ারোগ্লিফিককে আধুনিক অনেক ভাষারই পূর্বপুরুষ বলে গণ্য করা যায়।

প্যাপিরাস

প্যাপিরাস গাছের মজ্জা থেকে কাগজ তৈরির কৌশল মিশরীয়রাই প্রথম বের করেছে। পরবর্তীতে তাদের এই অবদান পুরো ভূমধ্যসাগরীয় এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। কারণ ভূমধ্যসাগর ছিল উত্তর-দক্ষিণ এবং পূর্বের মধ্যকার বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক কেন্দ্র। কাগজে লিখে পেঁচিয়ে স্ক্রল করে সংগ্রহ করা হতো বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ লেখা।

প্যাপিরাসের সবচেয়ে প্রাচীন নজির আবিষ্কৃত হয় ২০১২ সালে। লোহিত সাগরের উপকূলে ওয়াদি আল জারফ নামের প্রাচীন অঞ্চলে। আবিষ্কৃত প্যাপিরাস ২৫৬০-২৫৫০ খ্রিস্টপূর্বব্দের বলে শনাক্ত করা হয়েছে। গিজা পিরামিডে খননকার্য চালানোর সময়েও পাওয়া গেছে এর নিদর্শন।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Aug/08/1565255521789.jpg

◤ কাগজ, কালি এবং লেখাতে আছে মিশরীদের অবদান ◢


মিশরীয়রা লাইব্রেরির ব্যবহারও সভ্যতাকে উপহার দিয়েছে। সময়ের ব্যবধানে টিকে থাকা একমাত্র লাইব্রেরি টেবটিউনিস মন্দির লাইব্রেরি। বর্তমানে ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগ্রহশালায়।

কালি

খালি কাগজে তো আর লেখা যায় না। সে কথা চিন্তা করেই প্রাচীন মিশরীয়রা প্রথমবারের মতো প্রস্তুত করেছিল কালি। গাছের আঠা, সবজির রস, কিংবা মোম দিয়ে কালি তৈরি করা হতো। আঠা বা রসের সাথে আবার অন্য এক বা একাধিক উপাদান মিশিয়ে তৈরি করা হতো বিভিন্ন রঙ।

ষাঁড়ে টানা লাঙল

নদী তীরবর্তীতে সভ্যতা গড়ে ওঠার পেছনে প্রধানতম কারণ তাদের কৃষি নির্ভরতা। মিশরীরাও ব্যতিক্রম ছিল তাদের থেকে। তবে মিশরীয়দের অগ্রসরতার প্রমাণ, কৃষির জন্য ব্যবহৃত লাঙলের আবিষ্কার। খ্রিস্টপূর্ব ২৫০০ অব্দের দিকে মাটি চাষের জন্য মানুষকে লাঙল টানতে হয়নি; সেই স্থান নিয়েছে ষাঁড়।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Aug/08/1565255715359.jpg
◤ মিশরীয়দের প্রাচীন কৃষি ব্যবস্থা ◢


মিশরীয়রা সবজি এবং গম চাষে বেশ সফলতা দেখিয়েছে। ফসল কাটা কিংবা মাড়াইয়ের জন্যও নিজস্ব ব্যবস্থার উদ্ভাবন ঘটিয়েছিল।

খাল এবং নালা

সেচব্যবস্থার ক্ষেত্রে মিশরীয়রা পালন করেছে পথিকৃতের ভূমিকা। নীল নদ থেকে সবসময় পানি সবখানে পাবার জন্য খাল এবং নালা খনন করা হয়েছিল। তার ফলে নদ থেকে বহু দূরেও জন্ম নিয়েছিল বিশাল চারণভূমি ও ফসলের মাঠ। পানিকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য উদ্ভাবন করা হয়েছিল গেইট। খরার সময় যেন পানির অভাবে বিপর্যয়ে পড়তে না হয়, তার জন্য রাখা হয়েছে পানি সংরক্ষণের ব্যবস্থা।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Aug/08/1565256241207.jpg
◤ প্রাচীন মিশরীয় সেচ ব্যবস্থায় শাদুফের ব্যবহার ◢


মিশরীয়রা জলচক্র আবিষ্কার করেছিল, যার নাম শাদুফ। জলচক্রের একপাশে থাকত বালতি আর অন্য পাশে একটা ভারী বস্তু। বালতিটি নীল নদে ফেলে পূর্ণ করা হতো আগে। তারপর চাকা ব্যবহার করে উত্তোলন করা এবং ঘুরিয়ে নালার উপরে গিয়ে খালি হতো। এভাবে চলত সেচ।

ক্যালেন্ডার

মানবসভ্যতাকে সৌরপঞ্জিকার সাথে পরিচয় করিয়ে দেবার ক্ষেত্রে মিশরীয়দের অবদান অনন্য। কৃষি সম্পৃক্ততার দরুণই ঋতু সম্পর্কে বেখবর থাকা হয়ে উঠেনি। নির্দিষ্ট দিন পরপর পূর্ব আকাশে লুব্ধক নক্ষত্রের আগমন এবং সেই সাথে নীল নদে জোয়ারের মিলে যাওয়ার ঘটনা তাদের আগ্রহী করে তোলে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Aug/08/1565256339937.jpg

◤ মিশরীয়দের ব্যবহৃত ক্যালেন্ডার ◢


এভাবে উদ্ভাবিত হয় ৩৬৫দিনের ক্যালেন্ডারের ধারণা, যা বিভক্ত ১২ মাসে। প্রত্যেক মাসে ছিল আবার ৩০দিন করে। বছর শেষে পাঁচ দিন উৎসবের দিন বলে গণ্য করা হতো। সামান্য কিছু ত্রুটি থাকলেও পঞ্জিকার ইতিহাসে তাদের এই প্রচেষ্টা তাৎপর্যপূর্ণ।

ঘড়ি

সূর্যঘড়ির জন্য মিশরীয়রা বিশেষভাবে বিখ্যাত। সূর্যঘড়ি হলো একটা দণ্ড পুতে রেখে তার ছায়ার হ্রাস-বৃদ্ধি হিসাব করে সময় বের করার প্রক্রিয়া। দিনের বিভিন্ন সময়কেই নির্দিষ্ট করা সম্ভব হলো না শুধু এর মাধ্যমে; সেই সাথে জানা গেল দিনের দৈর্ঘ্যের হ্রাস-বৃদ্ধি নিয়ে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Aug/08/1565256516740.jpg
◤ সূর্যঘড়ি ◢


খ্রিস্টপূর্ব ১৬ শতকের দিকের এক শিলালিপি পাওয়া গেছে মিশরীয় সমাধিতে। সেই সাথে মিলেছে ‘আমেনেমহেট’ নামের তৎকালে বহুল প্রচলিত জলঘড়ি। পাথরের পাত্রের তলায় ক্ষুদ্র ফুটো তৈরি করলে একটা নির্দিষ্ট অনুপাতে পানি এই পাত্র থেকে কমে যেতে। আগে থেকেই পাত্রের গায়ে চিহ্ন আঁকা থাকত। সেই চিহ্ন নির্দেশ করত সময়ের। যাজকেরা রাতে এই ঘড়ি ব্যবহারের মাধ্যমে নির্ধারণ করত ধর্মীয় আচার পালনের সময়।

খিলান

আধুনিক নির্মাণে খিলানের জনপ্রিয়তা এর প্রয়োজনের জন্যই। দেয়ালের মাঝখানে খালি স্থান রাখার কথা চিন্তা করেই মূলত খিলানের উদ্ভাবন। রোমান সভ্যতায় খিলানের প্রভূত চমৎকারিত্ব আমাদের বিস্মিত করে। তারও আগে খিলানের ব্যবহার করেছে মিশরীয়রা। পাথরের ওপর পাথর রেখে উপরের দিকে কেন্দ্রে মিলিত হতো দুই পাশ।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Aug/08/1565257117538.jpg
◤ মিশরীয়দের খিলান ◢


তাদের এই প্রক্রিয়া অতোটা আধুনিক না হলেও প্রভাবশালী। পরবর্তী সভ্যতাগুলো নিজেদের মতো করে গ্রহণ ও উন্নত করেছে একে।

কাচ তৈরি

খ্রিস্টপূর্ব পনের শতকের দিকেই মিশরীয়রা কাচ উৎপাদন এবং ব্যবহার শিল্পের পর্যায়ে উন্নীত করেছে। তৈরি হতো বিভিন্ন রঙের কাচের পাত্র এবং আসবাবপত্র। চীনামাটি, বালি কিংবা অনুরূপ পদার্থসমূহকে উত্তপ্ত করে গলিয়ে ফেলা হতো প্রথম দফায়। আকৃতি দেওয়ার জন্য রাখা হতো অনুরূপ মজ্জার চারপাশে। তারপর বেড় এবং হাতল যোগ করার পর সরিয়ে ফেলা হতো ব্যবহৃত মজ্জা।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Aug/08/1565257220504.jpg

◤ কাচ উৎপাদনকে তারা নিয়েছিল শিল্পের পর্যায়ে ◢


এই কাচপাত্র চলে যেত ফিনিশীয়, হিব্রু কিংবা গ্রিকদের কাছে। মিশরীয় কাচের সুনাম ছিল গোটা ভূমধ্যসাগরীয় উপকূল জুড়েই।

আসবাবপত্র

হাওয়ার্ড কার্টার ১৯২৩ সালে তুনেনখামেনের সমাধি আবিষ্কার করেন। মজার ব্যাপার হলো, সেখানে পাওয়া গেছে অনেক ফার্নিচার। প্রাচীন মিশরীয়রা যে টেবিল, বিছানা, বসার টুল প্রভৃতির সাথে বেশ ভালোভাবেই পরিচিত ছিল; তা প্রমাণিত।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Aug/08/1565257492943.jpg
◤ প্রাচীন মিশরীয় আসবাবপত্র ◢


প্রথমদিকের টেবিলগুলো ওপরে কিছু রাখার জন্য ব্যবহৃত হলেও পরের দিকে বেশিরভাগ ছিল সেনেতের জন্য। সেনেত ইতিহাসের সবচেয়ে পুরাতন ঘরোয়া খেলার মধ্যে একটা। খ্রিস্টপূর্ব ৩১০০ সালের লিখিত হায়ারোগ্লাফিকেও এর উল্লেখ আছে।

শল্যচিকিৎসার যন্ত্রপাতি

খ্রিস্টপূর্ব ১৬০০ সালের চিকিৎসার প্রণালি লেখা প্যাপিরাসের লিপি পাওয়া গেছে। সেখানে ব্যথা, কাটা, হাড়ভাঙা, স্থানচ্যুতি, ফোঁড়ার মতো ৪৮ প্রকার শল্যচিকিৎসার বিশ্লেষণ, রোগীর পথ্য ও কর্তব্য নিয়ে লেখা আছে। ব্যথাগুলো মূলত বেশির ভাগ মাথা, কাঁধ, গলা, বুক এবং পাঁজর সম্পর্কিত।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Aug/08/1565257716892.jpg
◤ শল্যচিকিৎসাতেও তাদের অবদান পৃথিবীর বাঁক ঘুরিয়ে দেবার মতো ◢


অপারেশনের সময় কর্তব্য এবং বিভিন্ন যন্ত্রের ব্যবহার সম্পর্কেও ধারণা দেওয়া হয়েছে। বাদ যায়নি ব্যান্ডেজ কিংবা প্লাস্টারের কথাও। কালো আর লাল কালির মিশেলে লেখা লিপিটি কায়রো জাদুঘরে রক্ষিত আছে। তার সাথে আছে ক্ষুর, শল্যছুরি, ফর্সেপস্, হুক, পিতলের নিডল এবং অন্যান্য অনেক চিকিৎসা বিষয়ক যন্ত্রপাতি।

টুথপেস্ট

মিশরীয়রা টুথপেস্ট আবিষ্কার করেছিল ষাঁড়ের খুড়, ছাই, পোড়া ডিমের খোসা থেকে। এছাড়া রক সল্ট, পুদিনা এবং কিছু নির্দিষ্ট ফুলকে শুকনো করে কাজে লাগানো হতো। সেই সময়ে তাদের এই প্রচেষ্টাই বর্তমানে টুথপেস্ট হিসাবে রূপান্তরিত হয়ে পৃথিবীব্যাপী সমাদৃত।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Aug/08/1565258065483.jpg
◤ এমনকি টুথব্রাশও তাদের আবিষ্কার ◢


মানব সভ্যতার ইতিহাস আবিষ্কারের ইতিহাস। যে সমাজের আবিষ্কারের ঝুলি যত বেশি সমৃদ্ধ, তারা ততো বেশি অগ্রসর। আধুনিক ইউরোপ কিংবা আমেরিকার দিকে তাকালেই সেকথা উপলব্ধি করা সম্ভব। সেই আবিষ্কারের ইতিহাসে মিশরীয়দের অবদান নির্ধারণ করেছে পরবর্তী পৃথিবীর ভাগ্য। আধুনিক মানব তার দৈনন্দিন জীবনের অনেক কিছুর জন্যই মিশরীয়দের কাছে ঋণী।

   

খাবারের পর প্লেট ধোয়া কষ্ট? তাহলে এই কৌশল আপনার জন্য!



ফিচার ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

খাওয়ার বিষয়ে সবাই পটু। কিন্তু খাওয়ার পর থালা বাসন ধোয়াকে অনেকেই কষ্টকর কাজ মনে করেন। তাই দেখা যায় খাওয়ার পর অপরিষ্কার অবস্থায়ই থেকে যায় থালা বাসনগুলো। এবার এই কষ্ট কমাতে এক অভিনব কৌশল বেছে নিয়েছেন এক ব্যক্তি।

সম্প্রতি এমন এক ভিডিও নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি। 

হর্ষ গোয়েনকা নামে ভারতের এক শিল্পপতি তাঁর এক্স হ্যন্ডেলে (সাবেক টুইটার) ভিডিওটি শেয়ার করেন। এতে দেখা যায়, থালাবাসন পরিষ্কারের কাজ এড়াতে এক ব্যক্তি মজার এক কৌশল নিয়েছেন। এতে দেখা যায়, এক ব্যক্তি খাবার রান্না করছেন। খাবার আগে তিনি প্লাস্টিক দিয়ে প্লেট, চামচ ও পানির গ্লাস মুড়িয়ে নিচ্ছেন।

শেয়ার করে তিনি মজাচ্ছলে লিখেছেন, "যখন আপনার থালা-বাসন ধোয়ার জন্য পর্যাপ্ত পানি থাকে না..."।

ভিডিওটি শেয়ার করার পর মুহূর্তেই সেটি ভাইরাল হয়ে যায়। ভিডিওটি অনেক বিনোদনের জন্ম দিয়েছে। যদিও কেউ কেউ প্লাস্টিকের মোড়ককে হাস্যকর মনে করেন এবং এর ব্যবহার নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।

এক্স ব্যবহারকারী একজন লিখেছেন, 'পানি সংরক্ষণ ও পুনর্ব্যবহার করা হল মন্ত্র হল এমন কৌশল! তবে প্লাস্টিকের ব্যবহার নতুন করে ভাবাচ্ছে।'

অন্য একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, 'আমি আমার হোস্টেলের দিনগুলিতে এটি করেছি। আমাদের পানি সরবরাহ ছিল না এবং বারবার ধোয়ার কষ্টে এমন কৌশল নিয়েছি।'

আরেক ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘মনে হচ্ছে বেঙ্গালুরুতে পানি–সংকটের সমাধান হয়ে যাচ্ছে।’

;

জলদানব ‘লক নেস’কে খুঁজে পেতে নাসার প্রতি আহ্বান



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রহস্যময় জলদানব জলদানব ‘লক নেস’কে খুঁজে পেতে নাসার প্রতি আহ্বান জানিয়েছে লক নেস সেন্টার। ২০২৩ সালের এই রহস্যময় প্রাণীর শব্দের উৎস ও একে খুঁজে পেতে হাইড্রোফোন ব্যবহার করা হয়েছিল।

স্যার এডওয়ার্ড মাউন্টেনের ৯০তম অভিযানের অংশ হিসেবে আগামী ৩০ মে থেকে ২ জুন পর্যন্ত এই ‘লক নেস মনস্টার’কে খুঁজে পেতে অনুসন্ধান চালানো হবে।

রহস্যময় এই ‘লক নেস মনস্টার’কে ১৯৩৪ সালে প্রথম দেখা যায়। এ পর্যন্ত ১ হাজার ১শ ৫৬ বার দেখা গেছে বলে লক নেস সেন্টার সূত্রে জানা গেছে।

এ বিষয়ে লক নেস সেন্টারের এমি টোড বলেছেন, আমরা আশা করছি, এই রহস্যময় জলদানবকে খুঁজে পেতে মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার গবেষকেরা আমাদের সহযোগিতা করবেন। তারা আমাদের জলদানবকে খুঁজে পেতে যথাযথ নির্দেশনা দেবেন এবং এ বিষয়ে সব কিছু জানাতে সাহায্য করবেন।

তিনি বলেন, আমাদের অভিযানের বিষয়ে যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়েছি। আমরা আশা করছি, নাসার উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে আমরা জলদানব বিষয়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজে পাবো।

রহস্যময় জলদানব খুঁজে পেতে স্বেচ্ছাসেবকের ভূপৃষ্ঠ থেকে যেমন নজর রাখবেন, তেমনি পানির ভেতরে অভিযান চালানোর বিষয়ে তাদেরকে নির্দেশনা দেওয়া হবে। রহস্যময় জলদানবকে খুঁজে পেতে ১৯৭০ দশক ও ১৯৮০ দশকের যে সব তথ্যচিত্র লক নেসের কাছে সংরক্ষিত রয়েছে, সেগুলো যাচাই করে দেখা হবে।

তারপর জলদানব সম্পর্কে স্বেচ্ছাসেবকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেবেন লক নেসের পরিচালক জন ম্যাকলেভারটি।

এ নিয়ে গবেষকদের নিয়ে একটি অনলাইন বিতর্ক অনুষ্ঠিত হবে। যারা রহস্যময় এই জলদানবকে সচক্ষে দেখেছেন, তারাও এ লাইভ বিতর্কে অংশ নেবেন।

নেস হৃদ

যে হ্রদে জলদানব অবস্থান করছে বলে জানা গেছে, অভিযানের অভিযাত্রী দল নৌকায় করে সেখানে যাবেন। এসময় তাদের সঙ্গে থাকবেন গভীর সমুদ্রে অনুসন্ধানকারী দলের ক্যাপ্টেন অ্যালিস্টার মাথিসন। তিনি লক নেস প্রজেক্টে একজন স্কিপার হিসেবে কাজ করছেন। তার সঙ্গে থাকবেন ম্যাকেন্না।

অনুসন্ধান কাজে ১৮ মিটার (৬০ ফুট) হাইড্রোফোন ব্যবহার করা হবে। এটি দিয়ে রহস্যময় শব্দের প্রতিধ্বনি রেকর্ড করা হবে।

দ্য লক নেস সেন্টার ড্রামনাড্রোচিট হোটেলে অবস্থিত। ৯০ বছর আগে অ্যালডি ম্যাককে প্রথম রিপোর্ট করেছিলেন যে তিনি একটি জলদানব দেখেছেন।

লক নেস সেন্টারের জেনারেল ম্যানেজার পল নিক্সন বলেছেন, ২০২৩ সালে নেসিকে খুঁজে পেতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, ফ্রান্স, ইতালি, জাপানসহ আরো অনেক দেশ অনুসন্ধান কাজে অংশ নিয়েছিল। এটি ছিল বড় ধরনের একটি অভিযান।

তিনি বলেন, অনুসন্ধানের সময় যে অদ্ভুত শব্দ শোনা গিয়েছিল, সে শব্দের কোনো ব্যাখ্যা দাঁড় করানো যায়নি। তবে আমরা এবার দৃঢ় প্রতিজ্ঞ যে, জলদানব লক নেসের রহস্য উন্মোচন করতে পারবো।

এ বিষয়ে আমরা সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার করবো। এ রহস্যময় জলদানব লক নেস সম্পর্কে যাদের ধারণা আছে, তাদের সহযোগিতা নেওয়া হবে। পল নিক্সন আরো বলেন, এবার আমরা খুবই উচ্ছ্বসিত যে, জলদানবকে খুঁজে পেতে নতুন ধরনের যন্ত্রপাতি ব্যবহার করবো।

স্কটল্যান্ডের ইনভার্নেসের কাছে এক বিশাল হ্রদের নাম ‘নেস’। স্কটিশ গেলিক ভাষায় হ্রদকে লক (Loch) বলা হয়। আর উচ্চারণ করা হয় ‘লক’। গ্রেট ব্রিটেনের স্বাদুপানির সবচেয়ে একক বৃহত্তম উৎস এ হ্রদটির আয়তন ২২ বর্গ কিলোমিটার, গভীরতা ৮০০ ফুটেরও বেশি। এই হ্রদেই দেখা মিলেছিল সত্যিকারের জলদানব ‘লক নেসের’।

;

স্টেডিয়ামে খেলা দেখার জন্য অফিসে মিথ্যা বলা, শেষ রক্ষা হয়নি তার!



ফিচার ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বহুল প্রত্যাশিত ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) শুরু হয়েছে ২২ মার্চ থেকে। বিশ্বের নামিদামী সব খেলোয়াড়ের উপস্থিতি থাকায় বিশ্বজুড়ে এই লীগের চাহিদা তুঙ্গে। তাই এর দর্শক সংখ্যাও কত হতে পারে সেটা সহজেই অনুমেয়। যাদের সুযোগ সামর্থ্য থাকে তারা স্টেডিয়ামে বসে খেলা দেখেন আর যাদের সুযোগ না থাকে তারা টেলভিশনের পর্দায়ই বিনোদন খোঁজেন।

সম্প্রতি, এই লীগের একটি ম্যাচ স্টেডিয়ামে দেখতে গিয়ে অদ্ভুত এক কাণ্ডের জন্ম দিয়েছেন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরের নেহা নামে এক নারী ভক্ত। ওইদিন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু ও লখৌন সুপার জায়ান্টসের মধ্যে ম্যাচ চলছিল। সেই খেলা মাঠে বসে দেখতে তিনি পারিবারিক সমস্যার কথা বলে আগেই অফিস থেকে বের হয়ে যান।

তারপর যথারীতি সে মাঠে বসে খেলা উপভোগ করছিল। কিন্তু বিপত্তি বাঁধে অন্য জায়গায়। খেলা চলার এক পর্যায়ে তাকে টিভি স্ক্রিনে দেখতে পায় তার অফিসের বস।

পরে এই ঘটনাটির একটি ভিডিও তিনি তার ইন্সটাগ্রাম একাউন্টে শেয়ার করেন। সেখানে তিনি পুরো বিষয়টি নিয়ে খোলাসা করেন।

ওই ভিডিওতে নেহা বলেন, অফিস থেকে পারিবারিক সমস্যার কথা বলে মাঠে এসে খেলা দেখেছি। আমি রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর একজন ভক্ত। কিন্তু টিভি স্ক্রিনে আমার বস আমাকে দেখে ফেলে। পরে তিনি আমাকে জিজ্ঞেস করেছেন আমি কোন দলের সমর্থক হিসেবে খেলা দেখছি। আমি বলেছি রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু।

এরপর বস বলেন, তাহলে আপনি নিশ্চয় গতকাল খুব অসন্তুষ্ট ছিলেন। ওরা ফিল্ডিংয়ে একটি ক্যাচ মিস করার সময় আপনাকে খুব উদ্বিগ্ন চেহারায় দেখেছি। ১৬.৩ ওভারে যখন কিপার ক্যাচ মিস করলো, তখন।

হাতেনাতে ধরা পড়ে যাওয়ার পর নেহা স্বীকার করে নেন, ওটা তিনিই ছিলেন। বলেন, হ্যাঁ, অনুজ রাওয়াত ক্যাচ মিস করেছিল।

এরপর নেহার বস বলেন, মাত্র কয়েক সেকেন্ডের জন্য ক্যামেরায় আপনাকে দেখিয়েছিল। আর তাতেই আমি চিনে ফেলেছি। তাহলে এটাই ছিল গতকাল দ্রুত বেরিয়ে যাওয়ার কারণ।

এরপর তিনি একটি হাসির ইমোজি দিয়ে কথপোকথন শেষ করেন।

ভিডিওটি শেয়ার করার পর রাতারাতি সেটি ভাইরাল হয়ে যায়।

পোস্টের নিচে অনেকেই নিজেদের অভিমত ব্যক্ত করেছেন।

একজন লিখেছেন, এটা ঠিক আছে। ম্যানেজারের উচিত কর্মচারীকে স্বাধীনতা প্রদান করা। যাতে সে সত্য বলতে পারে বা নিজের জীবনকে স্বাধীনভাবে উপভোগ করতে পারে।

আরেকজন লিখেছেন, আপনাকে এর জন্য চাকরি থেকে বরখাস্ত করা উচিত। একে তো আপনি অফিস থেকে মিথ্যা কথা বলে বের হয়েছে আবার নিজেদের ব্যক্তিগত কথা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করেছেন।

;

নওগাঁয় কালের সাক্ষী কয়েক শ বছরের পুরোনো বটগাছ



শহিদুল ইসলাম, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নওগাঁ
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নওগাঁ সদর উপজেলার বক্তারপুর ইউনিয়নের মুরাদপুর গ্রামে বট ও পাকুড় গাছের মেল বন্ধন প্রায় ৩০০ বছরের অধিক সময়ের। প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম কালের সাক্ষী হয়ে এখনো দাঁড়িয়ে আছে রহস্যময় এই বট গাছটি। প্রায় ৫ থেকে ৬ একর জমির ওপরে শাখা-প্রশাখা ছড়িয়ে দর্শনার্থীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছে এই পুরাতন বটগাছটি।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, বট ও পাকুর মিলে বিশাল জায়গাজুড়ে কাল্পনিক এক দৃশ্যের সৃষ্টি হয়েছে। বট গাছের কাণ্ড থেকে কাণ্ড শাখা থেকে প্রশাখা মাটিয়ে লুটে পড়ে আরেক বটগাছের জন্ম দিয়েছে। কাণ্ডগুলো দেখলে বোঝার উপায় নেই যে এটির মূল শাখা কোনটি। লতা থেকে মাটিতে পড়ে সৃষ্টি হয়েছে আরেকটি বটগাছ এভাবে অনেকটা জায়গাজুড়ে এক অন্যরকম সৌন্দর্যে বিমোহিত হয়েছে স্থানটি। বটগাছের নিচে ও পাশে রয়েছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের কালি মন্দির যেখানে কয়েকদিন পর পর বিভিন্ন অনুষ্ঠান করেন তারা।

মুরাদপুর গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দা গৌরাঙ্গ সাহা ( ৫০) এর সাথে কথা হলে তিনি জানান, আসলে এই গাছটির সঠিক বয়স কত সেটি আমরা কেউ জানিনা। আমার বাবা-দাদা তারাও এখানে পূজা করতেন তবে তারা আমাদেকে সঠিক বয়স বলতে পারেনি। আমার দাদার মুখে শুনেছি উনার ছোটবেলাতে সেখানে গিয়ে খেলাধুলা করতেন সে সময় গাছটি ঠিক এমন-ই ছিল। তবে অনুমান করা যায়, এই গাছের বয়স প্রায় ৩০০ থেকে ৪০০ বছরের অধিক হতে পারে।

একই গ্রামের গৃহবধূ লাইলী বেগম ( ৫৫) বলেন, আমার বিয়ে হয়েছে প্রায় ৩০ বছর হলো আর তখন থেকেই এই গাছটি দেখে আসছি। বাড়ি কাছে হওয়ায় প্রতিদিন আশেপাশে আসতে হয় বিভিন্ন কাজে। মূল গাছটি আমরা অনেক খুঁজেছি কিন্তু পাইনি। একটা গাছ থেকে এতগুলো গাছের সৃষ্টি হয়েছে দেখতে ভালোই লাগে। তবে যদি এটি সংরক্ষণের ব্যবস্থা করলে আরো কয়েকশ বছর টিকবে বলে মনে করি।

হালঘোষপাড়া থেকে আসা রায়হান নামের এক দর্শনার্থী বলেন, শুনেছিলাম এখানে অনেক পুরাতন বটগাছ আছে আজকে দেখতে আসলাম। চারিদিকে ছড়িয়ে গেছে এমন বটগাছ আমাদের এলাকায় নেই। দেখে খুব ভালো লাগছে এখন থেকে মাঝেমধ্যেই আসব।


কল্পনা রানী ( ৪৮) বলেন, আমার স্বামীর বাবার মুখ থেকে শুনেছি এটির বয়স প্রায় ৩০০ বছরের অধিক। কিছুদিন পর পর এখানে পূজা হয় বিভিন্ন এলাকা থেকে মানুষ এসে পূজা দেয়। এমন সুন্দর বটগাছ আমি কোনোদিন দেখিনি।

বিমল সাহা নামের এক শিক্ষার্থী জানান, আমরা প্রতিদিন আমরা এখানে এসে ক্রিকেট খেলি। এতো পুরাতন একটি বটের গাছ দেখতে পেয়ে আমাদের খুব ভালো লাগে।

এ বিষয়ে নওগাঁ সরকারি কলেজের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. এনায়েতুস সাকালাইন বার্তা২৪.কমকে বলেন, প্রাকৃতিকভাবে একেকটা উদ্ভিদের আয়ু একেক রকম হয়ে থাকে সেরকম বটগাছ দীর্ঘজীবি উদ্ভিদ। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায়, কোনো কোনো জায়গায় ৫০০ বছর বা অধিক সময়ের বেশি বেঁচে থাকে। এই উদ্ভিদগুলোর অভিযোজন ক্ষমতা অনেক বেশি ও পরিবেশের সাথে এদের খাপখাইয়ে নেওয়ার ক্ষমতাও বেশি এবং যেকোনো প্রতিকূল পরিবেশে এরা মোকাবিলা করতে সক্ষম। বটগাছ গুলো বেশি পানি না পেলেও দীর্ঘদিন বেঁচে থাকে আবার খুব বেশি তাপমাত্রা বা তাপমাত্রা নিচে নেমে গেলেও এ ধরনের উদ্ভিদ সে সময় টিকে থাকতে পারে সেজন্য অনেক সময় বিল্ডিং বাড়ির দেয়ালেও এদের বিস্তার দেখা যায়।

তিনি আরও বলেন, বট গাছগুলোর একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য আছে সেটি হলো ওপরের দিকে একটু বেড়ে অনেকদিকে বিস্তার লাভ করে বেশ বড় জায়গা দখল করে তখন এই উদ্ভিদগুলোর ওপরের অংশের ভার বহন করার জন্য ঠেসমূল গঠন করে তারা। মূল কাণ্ড থেকে আস্তে আস্তে মাটিতে ঠেসমূল নেমে আসে তখন ধীরে ধীরে মোটা হতে থাকে। মূল যে কাণ্ডটা তার থেকে বয়সের সাথে সাথে আরো তৈরি হয় যাতে গাছের ভার বহন করতে সক্ষম হয় এবং এভাবে বিশাল জায়গাজুড়ে একে একে বিস্তার লাভ করে কাণ্ডগুলো। বটগাছে এ ধরনের কর্মকাণ্ড লক্ষ্য করা যায় কিন্তু পাকুড় জাতীয় গাছে কম লক্ষ্য করা যায়।

;