ঈদ: একার নয়, সকলেরই



ড. মাহফুজ পারভেজ, কন্ট্রিবিউটিং এডিটর, বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

পবিত্র ঈদ উৎসবকে ঘিরে সবার মধ্যেই ঘনীভূত হয়েছে আনন্দের ছোঁয়া। ঈদ উদযাপনের আমেজ লেগেছে রোজাদার মানুষের মধ্যে। কিন্তু, বিশেষ বিশেষ উৎসব, যেমন ঈদ কেবলমাত্র উল্লাস-আনন্দ করার দিন নয়। একটি দার্শনিক ও নৈতিক দিকও আছে ঈদের মতো পবিত্র উৎসবে। উৎসবের সময় এসব গুরুত্বপূর্ণ কথাও মনে রাখা দরকার।

আমরা জানি, ধর্ম ও সংস্কৃতি হাত ধরাধরি করে চলে। ধর্মে প্রভাব যেমন সংস্কৃতিতে দৃশ্যমান; তেমনি সংস্কৃতির প্রভাবও ধর্মের ক্ষেত্রে অলক্ষ্যণীয় নয়। বাঙালি মুসলমানের ধর্মাচার আর পাঞ্জাবি বা মালয়ালম মুসলমানের ধর্মাচার একই রকম নয়। সংস্কৃতির বিভিন্নতার কারণে ধর্মাচারের মধ্যেও পার্থক্য ফুটে ওঠে। এই কথাটি যদি অন্যভাবে বলি, তাহলে আরেকটি চিত্র দেখতে পাই। বাঙালি হিন্দু এবং বাঙালি মুসলমানের অভিন্ন সংস্কৃতি হলেও ধর্মের কারণে একটি সূক্ষè পার্থক্য বিরাজমান রয়েছে দুটি সম্প্রদায়ের মধ্যে।

হিন্দু বাঙালির সব আচরণ, অভ্যাস, পোষাক, খাদ্যাভাস যেমন মুসলমান বাঙালির জন্য প্রযোজ্য নয়; তেমনি বাঙালি মুসলমানের সব কিছু বাঙালি বলেই হিন্দুরা গ্রহণ করে না। একইভাবে, পাঞ্জাবি হিন্দু ও পাঞ্জাবি মুসলমানের মধ্যেও স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য সুস্পষ্ট। যার প্রভাব সমাজে, রাজনীতিতে, অর্থনীতিতে ছায়াপাত করে। ধর্ম ও সংস্কৃতিতে তাই মিলের মতোই পার্থক্যও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এই পার্থক্য কোনোভাবেই মুছে ফেলে সম্ভব নয়। বরং এইসব পার্থক্যের মাধ্যমে বিভিন্ন ধর্ম, সংস্কৃতি, সম্প্রদায়ের বিশিষ্টতা ও স্বাতন্ত্রিকতা ফুটে ওঠে।

এবার আসা যাক ঈদ প্রসঙ্গে। ঈদ একটি নিখাদ ধর্মীয় অনুষ্ঠান। তথাপি এতে সংস্কৃতির নানা বিষয় এসে যুক্ত হয়েছে। এবং লক্ষ্যণীয় বিষয় হলো, এতে একটি পরিবর্তনশীল ধারার বিকাশ হচ্ছে। আজ থেকে পঞ্চাশ বা পঁচিশ বছর আগের ঈদ এবং বর্তমানের ঈদ আয়োজন ও উৎযাপনের দিক থেকে অনেকাটাই বদলে গেছে। বিশেষত, এখন যে বিশ্বায়নের তীব্র পরিস্থিতি চলছে, তাতে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সংস্কৃতির প্রবল দাপট এসে হামলে পড়ছে বিশ্বের দেশে দেশে। বাংলাদেশও এর ব্যতিক্রম নয়। বরং বাংলাদেশের ঈদের নানা আয়োজনে বহু-বিচিত্র সাংস্কৃতিক প্রপঞ্চই প্রাধান্য পাচ্ছে। এই পরিবর্তনের সবগুলোই ভালো এবং গ্রহণযোগ্য নয়। পরিবর্তনের কাছে মাথা নুইয়ে না দিয়ে এর ভালো-মন্দ সম্পর্কে সুস্পষ্ট বিবেচনা রাখাটাও জরুরি।

ধর্মীয় বিবেচনায় মুসলমানদের উৎসব প্রধানত দুটি। ঈদ-উল-ফিতর এবং ঈদ-উল-আযহা। সাধারণ ভাষায় বড় ঈদ ও ছোট ঈদ। কিংবা বকরি ঈদ ও কোরবানি ঈদ। ঈদ-উল-ফিতরের মূল চেতনাটি হলো এক মাস কঠোর সিয়াম বা কৃচ্ছ্বতা সাধনের পর আনন্দে শরিক হওয়া। রোজাদারগণ রমজান শেষে ঈদের অনাবিল আনন্দে রহমত, মাগফিরাত ও নাযাত প্রাপ্তির মাধ্যমে তৃপ্তির উৎসব উৎযাপন করেন ঈদের দিনে, এটাই ধর্মের বিধান। এতে উৎসবের সূত্র ধরে উন্নত খাবার আর পোষাকে প্রসঙ্গ আসে।

তবে যেসব ট্র্যাডিশনাল বাঙালি খাবার এবং মুসলিম ঐতিহ্যের রন্ধন ঈদের জন্য অপরিহার্য ছিল, সেই খাদ্যাভাস বদলাচ্ছে। খাদ্য তালিকায় যুক্ত হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক খাদ্য। ফাস্টফুট দাপট দেখাচ্ছে। বিভিন্ন ধরনের পাণীয় বা ড্রিংসের প্রচলন হচ্ছে। পোষাকের ক্ষেত্রে বিভিন্ন বিদেশি ব্র্যান্ড ও নাম যুক্ত হচ্ছে। লেহেঙ্গা এর মধ্যে মাত্র একটি। ঈদের মূল চেতনার উপরে খানাপিনা আর সাজ-সজ্জা স্থান পাওয়ায় বিষয়টা কিছুটা বৈসাদৃশ্যপূর্ণ হয়েছে।

আরো লক্ষ্যণীয় যে, ঈদের সাংস্কৃতিক উৎযাপনের মধ্যে আগেকার দিনগুলোতে ঐতিহ্যের অনুসরণে প্রধানত ছিল কবর জেয়ারত, পাড়া-প্রতিবেশী-আত্মীয়দের বাড়ি বেড়ানো এবং বিভিন্ন পত্রিকার ঈদ সংখ্যাগুলো পড়ার রেওয়াজ। এখন ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার রমরমা অবস্থায় মানুষের কার্যক্রম বদলে গেছে। শত শত চ্যানেল ঈদ উপলক্ষে পাঁচ দিন বা সাত দিন অনুষ্ঠানমালা সাজাচ্ছে। চলচ্চিত্র, নাটক, বিনোদন, ম্যাগাজিন অনুষ্ঠানসহ হরেক রকমের উপাচারে চ্যানেলগুলোর আয়োজন উপচে পড়ছে। এমনকি, সারা মাসের রোজার সাওয়াব কয়েক দিনের উল্লম্ফনে ধুয়ে-মুছে যাওয়ার মতো দুরবস্থা তৈরি হয়েছে।

দুঃখের বিষয় হলো, ঈদে আর এখন সামাজিক-ধর্মীয় কাজে মানুষকে খুব বেশি পাওয়া যাচ্ছে না। সবাই ঘরমুখো এবং টিভি-পর্দায় মনোযোগী। ফলে সমাজের মানুষের মধ্যে আন্তঃযোগাযোগ, কুশলাদি বিনিময়, সম্পর্ক দৃঢ়করণের কাজটি পিছিয়ে যাচ্ছে। কৃচ্ছ্বতার স্থান দখল করছে বল্গাহীন ভোগ ও উদ্দাম বিনোদন। তরুণ-তরুণীদেরকে তো হাতের কাছে পাওয়াই যাচ্ছে না। তারা ফেসবুক এবং ইন্টারনেট সংযোগ সুবিধা হাতের আইফোন বা এন্ড্রোয়েডে নিয়ে সমাজ-সংসার থেকেই যেন হারিয়ে যাচ্ছে। ফলে ঈদ উপলক্ষ্যে সামাজিক মেলামেশায় ভাটা পড়ছে। সমাজের বুননও শিথিল হচ্ছে এ কারণে। সবাই যেন বাস্তব সমাজ ছেড়ে ভার্চুয়াল সমাজের অধরা জগতের বাসিন্দা হয়ে যাচ্ছে। ভোগের পেয়ালায় উপুড় হয়ে পড়ছে। রোজার চেতনার সঙ্গে যা পুরোটাই অসঙ্গতিপূর্ণ ও বেমানান।

সমাজতত্ত্ববিদদের মধ্যে যারা সমাজ, মানুষ, সংস্কৃতির নানা দিক নিয়ে কাজ করছেন, তারা বিষয়গুলোকে আরো ভালো ভাবে ব্যাখ্যা করতে পারবেন। চলমান পরিবর্তনের ইতিবাচক ও নেতিবাচক দিকগুলোকে চিহ্নিত করা তাদের পক্ষে সম্ভব হবে। ধর্ম নিয়ে যারা কাজ করছে, তারাও ধর্ম আর সংস্কৃতির নানা প্রায়োগিক দিকের ব্যাখ্যা দিয়ে এসব নিয়ে ভালো-মন্দ বলতে পারবেন।

নিশ্চয় বিচিত্র ও বহুমাত্রিক পরিবর্তনশীলতা তাদেরও নজরে এসেছে এবং তারাও বিষয়গুলো নিয়ে ভাবছেন। আমরা মনে করি, ব্যক্তিগত ও পারিবারিক ক্ষেত্রেও এসব ভাবনা জোরদার হওয়া দরকার। নইলে খারাপ পরিবর্তন অচীরেই আমাদের আচ্ছন্ন করবে। সেই রাহু গ্রাস থেকে বের হওয়াও তখন কষ্টকর হবে। উদাহরণ স্বরূপ বলা যায়, বিদেশি চ্যানেলের সিরিয়ালগুলো থেকে মারাত্মক কুপ্রভাব ক্রমে ক্রমে আমাদের গ্রাস করায় আমরা আর তা থেকে বের হতে পারছি না। বরং সেসবের নেতিবাচকতার চাপে নেতিয়ে পড়ছি।

স্মৃতি ও ইতিহাসের নিরিখে আরেক ধরনের তুলনা চলতে পারে। পরিবর্তন সম্পর্কে আচঁ পাওয়া যেতে পারে আগের দিনের ঈদ এবং বর্তমান দিনগুলোর ঈদের মধ্যে। এই তুলনা খুবই নস্টালজিক ও স্মৃতিময়। বয়স, শিক্ষা ও সামাজিক স্তরবিন্যাস ভেদে এই তুলনা বিভিন্ন হবে। তবুও বাস্তবের ঈদের চেয়ে স্মৃতির ঈদ অনেক বেশি আনন্দঘন। তখন ভালো খাবারের জন্য, ভালো পোষাকের জন্য, ঈদের দিনটির জন্য অপেক্ষা করতে হতো।

ঈদের দিনকে মনে হতো মুক্ত ও স্বাধীন দিবস। আর এখন সব সুলভ। রোমাঞ্চ ফিকে হয়ে গেছে। চমক আর নাটকীয়তা নেই। খাবার, পোষাক এতো সহজ্যলভ্য যে, ঈদের আলাদা তাৎপর্য খুঁজে পাওয়া ভার। অবশ্য যারা কঠোর তপস্যার মাধ্যমে রমজানের রোজা, তারাবির নামাজ ও অন্যান্য কর্তব্য পালন করেন, সেইসব নিষ্ঠাবানের জন্য ঈদ জাগতিক উৎসবের চেয়ে আধ্যাত্মিক মাধুর্য্যই বেশি নিয়ে আসে। সেটা অবশ্য ধর্মতত্ত্বের অন্যতর আলোচনার বিষয়।

সাধারণ দৃষ্টিভঙ্গিতে আমরা ঈদ বা অন্য যে কোনো উৎসবে দেশজ সংস্কৃতির বিকাশই কামনা করবো। খাবারে, পোষাকে, আচরণে প্রকৃত স্বদেশী ও স্বধর্মীয় একটি আবহই প্রত্যাশা করবো। সমাজের মধ্যে, পরিবারের মধ্যে শ্রদ্ধা-ভালোবাসা-স্নেহের বন্ধনকেই দৃঢ়তর করারর প্রয়োজনীয়তাকেই অনুভব করবো। উৎসব ব্যক্তিগত আনন্দের চেয়ে বরং ধর্মীয় চেতনা জাগানোর এবং সামাজিক উপভোগেরই বিষয়, এ বাস্তবতাটিই সামনে রাখবো। যার ফলে বিভিন্ন শ্রেণি ও দূরত্বের আত্মীয়-পরিজন যেন আপ্লূত হতে পারেন, সমাজের দরিদ্র ও অবহেলিত শ্রেণিও যেন আনন্দের ভাগ পায়, সেটাই লক্ষ্য রাখার দিকে গুরুত্বারোপ করবো।

এ কথা সত্য যে, বৈশ্বিক বা আঞ্চলিক বেনোজলের মাতাল স্রোতে খড়কুটোর মতো ভেসে যাওয়ায় কোনো কৃতিত্ব নেই। কোনো দাম নেই অজানা, অচেনা বহুমূল্যের পোষাকে সঙ সেজে ঘুরে বেড়ানোর মধ্যেও। বরং তৃপ্তি ও মর্যাদা রয়েছে মানুষের অন্তর ও আত্মাকে স্পর্শ করার মধ্যেই। মানুষের সুখে-দুখে সমব্যাথী হওয়ার মধ্যেই রয়েছে মানবিক সাফল্য, ধর্মীয় বোধ, নৈতিকতার বিজয়। ঈদ ও অন্যান্য উৎসবের মানবিক, সামাজিক তাৎপর্যকে প্রাধান্য দিলে অর্থ ও বিত্তের উগ্র প্রতিযোগিতা কিংবা বিদেশের মূর্খ অনুকরণপ্রিয়তা হ্রাস পাবে। মানুষে মানুষে মৈত্রী ও সৌহার্দ্য স্থাপিত হবে। সামাজিক বিন্যাস দৃঢ় হবে এবং মানুষ ও সমাজের নৈতিক মান উচ্চতর হবে। ধর্ম তেমনই আহ্বান জানায়। সংস্কৃতিও সেটাই বলে। নৈতিকতাও তেমনি দাবি করে। এই মূল চেতনার বাইরে গিয়ে পবিত্র ও সার্বজনীন উৎসবকে হট্টগোল ও আত্মগরিমা প্রচার ও প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে পরিণত করা কেবল নিন্দনীয়ই নয়; অপরাধও বটে। নৈতিক দিক থেকেও অগ্রহণযোগ্য।

উৎসব আমার একার নয়, আমাদের সকলেরই। ফলে উৎসবের আয়োজনের সময় আমার বল্গাহীন উপভোগ ও আনন্দ যেন বঞ্চিতের যাতনা আরো বাড়িয়ে না দেয়। দরিদ্র আত্মীয় ও সমাজের নিঃস্ব মানুষকে আরো বঞ্চিত করার ক্ষেত্র বা তৎপরতা যদি ঈদ বা অন্যান্য উৎসবে ঘটে, তবে সেটা হবে চরম দুঃখজনক। অতএব উৎসবের সময় অবশ্যই মানবিক, সামাজিক ও নৈতিক দিকগুলোকে কোনোভাবে লঙ্ঘন করা যাবে না। আমাদের বিবেক ও মনুষ্যত্বের দ্বারা উৎসব আয়োজনের এমন সমন্বয় করতে হবে, যাতে ঐক্য, সম্প্রীতি ও পারস্পরিক সমঝোতা বৃদ্ধি পায়; ক্ষুণ না হয়। উৎসবের শেষে যেন ধনী-দরিদ্র সবাই তৃপ্তি ও সন্তোষের আবহ উপভোগ করতে পারেন। কারো হৃদয় যেন ক্ষত না হয়; কারো দুঃখ যেন আরো ভারী না হয়; কারো বঞ্চনা যেন আরো তীব্র না হয়।

 

দুই ঈদেই পত্রিকায় লাখ লাখ টাকার পোষাক এবং গরু কেনার ছবি ছাপা হয়। সঙ্গে থাকে ক্রেতার ছবিটিও। সেটা যে ইতিবাচক নয়, বুঝতে হবে। পোষাকের দামে বা পশুর ওজনে মানুষের দাম বা ওজন বাড়ে না, এটা জানলে লাখ টাকার লেহেঙ্গা গায়ে উল্লসিত তরুণীটি কিংবা নাদুস গরুর পাশে দাঁড়ানো সুখী ক্রেতাটি লজ্জায় মুখ লুকাতো। মানুষ যে তাদেরকে পশুর সঙ্গে তুলনা করে হাস্যরস ও করুণা করছে, এটা সংশ্লিষ্টরা টাকার গরমে টের পান না। কিন্তু যদি তাদের বিবেক বলে সামান্য কিছু থাকে, তাহলে তারা সতর্ক হতেন। নৈতিক অবস্থান থেকে নিজের মানবিক মর্যাদা বিকাশে সচেষ্ট হতেন; সমাজের অপরাপর মানুষের মানবিক সম্মান ও প্রাপ্য প্রদানের মাধ্যমেই তারা সেটা করতেন। অতএব, ধর্মীয় অনুষ্ঠানে-উৎসবে সংস্কৃতির শুদ্ধতর প্রকাশ এবং মানবিক-সামাজিক-নৈতিকবোধের আলোকিত উদ্ভাসনই কাম্য। সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা। ঈদ মোবারক।

   

খাবারের পর প্লেট ধোয়া কষ্ট? তাহলে এই কৌশল আপনার জন্য!



ফিচার ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

খাওয়ার বিষয়ে সবাই পটু। কিন্তু খাওয়ার পর থালা বাসন ধোয়াকে অনেকেই কষ্টকর কাজ মনে করেন। তাই দেখা যায় খাওয়ার পর অপরিষ্কার অবস্থায়ই থেকে যায় থালা বাসনগুলো। এবার এই কষ্ট কমাতে এক অভিনব কৌশল বেছে নিয়েছেন এক ব্যক্তি।

সম্প্রতি এমন এক ভিডিও নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি। 

হর্ষ গোয়েনকা নামে ভারতের এক শিল্পপতি তাঁর এক্স হ্যন্ডেলে (সাবেক টুইটার) ভিডিওটি শেয়ার করেন। এতে দেখা যায়, থালাবাসন পরিষ্কারের কাজ এড়াতে এক ব্যক্তি মজার এক কৌশল নিয়েছেন। এতে দেখা যায়, এক ব্যক্তি খাবার রান্না করছেন। খাবার আগে তিনি প্লাস্টিক দিয়ে প্লেট, চামচ ও পানির গ্লাস মুড়িয়ে নিচ্ছেন।

শেয়ার করে তিনি মজাচ্ছলে লিখেছেন, "যখন আপনার থালা-বাসন ধোয়ার জন্য পর্যাপ্ত পানি থাকে না..."।

ভিডিওটি শেয়ার করার পর মুহূর্তেই সেটি ভাইরাল হয়ে যায়। ভিডিওটি অনেক বিনোদনের জন্ম দিয়েছে। যদিও কেউ কেউ প্লাস্টিকের মোড়ককে হাস্যকর মনে করেন এবং এর ব্যবহার নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।

এক্স ব্যবহারকারী একজন লিখেছেন, 'পানি সংরক্ষণ ও পুনর্ব্যবহার করা হল মন্ত্র হল এমন কৌশল! তবে প্লাস্টিকের ব্যবহার নতুন করে ভাবাচ্ছে।'

অন্য একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, 'আমি আমার হোস্টেলের দিনগুলিতে এটি করেছি। আমাদের পানি সরবরাহ ছিল না এবং বারবার ধোয়ার কষ্টে এমন কৌশল নিয়েছি।'

আরেক ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘মনে হচ্ছে বেঙ্গালুরুতে পানি–সংকটের সমাধান হয়ে যাচ্ছে।’

;

জলদানব ‘লক নেস’কে খুঁজে পেতে নাসার প্রতি আহ্বান



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রহস্যময় জলদানব জলদানব ‘লক নেস’কে খুঁজে পেতে নাসার প্রতি আহ্বান জানিয়েছে লক নেস সেন্টার। ২০২৩ সালের এই রহস্যময় প্রাণীর শব্দের উৎস ও একে খুঁজে পেতে হাইড্রোফোন ব্যবহার করা হয়েছিল।

স্যার এডওয়ার্ড মাউন্টেনের ৯০তম অভিযানের অংশ হিসেবে আগামী ৩০ মে থেকে ২ জুন পর্যন্ত এই ‘লক নেস মনস্টার’কে খুঁজে পেতে অনুসন্ধান চালানো হবে।

রহস্যময় এই ‘লক নেস মনস্টার’কে ১৯৩৪ সালে প্রথম দেখা যায়। এ পর্যন্ত ১ হাজার ১শ ৫৬ বার দেখা গেছে বলে লক নেস সেন্টার সূত্রে জানা গেছে।

এ বিষয়ে লক নেস সেন্টারের এমি টোড বলেছেন, আমরা আশা করছি, এই রহস্যময় জলদানবকে খুঁজে পেতে মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার গবেষকেরা আমাদের সহযোগিতা করবেন। তারা আমাদের জলদানবকে খুঁজে পেতে যথাযথ নির্দেশনা দেবেন এবং এ বিষয়ে সব কিছু জানাতে সাহায্য করবেন।

তিনি বলেন, আমাদের অভিযানের বিষয়ে যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়েছি। আমরা আশা করছি, নাসার উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে আমরা জলদানব বিষয়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজে পাবো।

রহস্যময় জলদানব খুঁজে পেতে স্বেচ্ছাসেবকের ভূপৃষ্ঠ থেকে যেমন নজর রাখবেন, তেমনি পানির ভেতরে অভিযান চালানোর বিষয়ে তাদেরকে নির্দেশনা দেওয়া হবে। রহস্যময় জলদানবকে খুঁজে পেতে ১৯৭০ দশক ও ১৯৮০ দশকের যে সব তথ্যচিত্র লক নেসের কাছে সংরক্ষিত রয়েছে, সেগুলো যাচাই করে দেখা হবে।

তারপর জলদানব সম্পর্কে স্বেচ্ছাসেবকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেবেন লক নেসের পরিচালক জন ম্যাকলেভারটি।

এ নিয়ে গবেষকদের নিয়ে একটি অনলাইন বিতর্ক অনুষ্ঠিত হবে। যারা রহস্যময় এই জলদানবকে সচক্ষে দেখেছেন, তারাও এ লাইভ বিতর্কে অংশ নেবেন।

নেস হৃদ

যে হ্রদে জলদানব অবস্থান করছে বলে জানা গেছে, অভিযানের অভিযাত্রী দল নৌকায় করে সেখানে যাবেন। এসময় তাদের সঙ্গে থাকবেন গভীর সমুদ্রে অনুসন্ধানকারী দলের ক্যাপ্টেন অ্যালিস্টার মাথিসন। তিনি লক নেস প্রজেক্টে একজন স্কিপার হিসেবে কাজ করছেন। তার সঙ্গে থাকবেন ম্যাকেন্না।

অনুসন্ধান কাজে ১৮ মিটার (৬০ ফুট) হাইড্রোফোন ব্যবহার করা হবে। এটি দিয়ে রহস্যময় শব্দের প্রতিধ্বনি রেকর্ড করা হবে।

দ্য লক নেস সেন্টার ড্রামনাড্রোচিট হোটেলে অবস্থিত। ৯০ বছর আগে অ্যালডি ম্যাককে প্রথম রিপোর্ট করেছিলেন যে তিনি একটি জলদানব দেখেছেন।

লক নেস সেন্টারের জেনারেল ম্যানেজার পল নিক্সন বলেছেন, ২০২৩ সালে নেসিকে খুঁজে পেতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, ফ্রান্স, ইতালি, জাপানসহ আরো অনেক দেশ অনুসন্ধান কাজে অংশ নিয়েছিল। এটি ছিল বড় ধরনের একটি অভিযান।

তিনি বলেন, অনুসন্ধানের সময় যে অদ্ভুত শব্দ শোনা গিয়েছিল, সে শব্দের কোনো ব্যাখ্যা দাঁড় করানো যায়নি। তবে আমরা এবার দৃঢ় প্রতিজ্ঞ যে, জলদানব লক নেসের রহস্য উন্মোচন করতে পারবো।

এ বিষয়ে আমরা সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার করবো। এ রহস্যময় জলদানব লক নেস সম্পর্কে যাদের ধারণা আছে, তাদের সহযোগিতা নেওয়া হবে। পল নিক্সন আরো বলেন, এবার আমরা খুবই উচ্ছ্বসিত যে, জলদানবকে খুঁজে পেতে নতুন ধরনের যন্ত্রপাতি ব্যবহার করবো।

স্কটল্যান্ডের ইনভার্নেসের কাছে এক বিশাল হ্রদের নাম ‘নেস’। স্কটিশ গেলিক ভাষায় হ্রদকে লক (Loch) বলা হয়। আর উচ্চারণ করা হয় ‘লক’। গ্রেট ব্রিটেনের স্বাদুপানির সবচেয়ে একক বৃহত্তম উৎস এ হ্রদটির আয়তন ২২ বর্গ কিলোমিটার, গভীরতা ৮০০ ফুটেরও বেশি। এই হ্রদেই দেখা মিলেছিল সত্যিকারের জলদানব ‘লক নেসের’।

;

স্টেডিয়ামে খেলা দেখার জন্য অফিসে মিথ্যা বলা, শেষ রক্ষা হয়নি তার!



ফিচার ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বহুল প্রত্যাশিত ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) শুরু হয়েছে ২২ মার্চ থেকে। বিশ্বের নামিদামী সব খেলোয়াড়ের উপস্থিতি থাকায় বিশ্বজুড়ে এই লীগের চাহিদা তুঙ্গে। তাই এর দর্শক সংখ্যাও কত হতে পারে সেটা সহজেই অনুমেয়। যাদের সুযোগ সামর্থ্য থাকে তারা স্টেডিয়ামে বসে খেলা দেখেন আর যাদের সুযোগ না থাকে তারা টেলভিশনের পর্দায়ই বিনোদন খোঁজেন।

সম্প্রতি, এই লীগের একটি ম্যাচ স্টেডিয়ামে দেখতে গিয়ে অদ্ভুত এক কাণ্ডের জন্ম দিয়েছেন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরের নেহা নামে এক নারী ভক্ত। ওইদিন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু ও লখৌন সুপার জায়ান্টসের মধ্যে ম্যাচ চলছিল। সেই খেলা মাঠে বসে দেখতে তিনি পারিবারিক সমস্যার কথা বলে আগেই অফিস থেকে বের হয়ে যান।

তারপর যথারীতি সে মাঠে বসে খেলা উপভোগ করছিল। কিন্তু বিপত্তি বাঁধে অন্য জায়গায়। খেলা চলার এক পর্যায়ে তাকে টিভি স্ক্রিনে দেখতে পায় তার অফিসের বস।

পরে এই ঘটনাটির একটি ভিডিও তিনি তার ইন্সটাগ্রাম একাউন্টে শেয়ার করেন। সেখানে তিনি পুরো বিষয়টি নিয়ে খোলাসা করেন।

ওই ভিডিওতে নেহা বলেন, অফিস থেকে পারিবারিক সমস্যার কথা বলে মাঠে এসে খেলা দেখেছি। আমি রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর একজন ভক্ত। কিন্তু টিভি স্ক্রিনে আমার বস আমাকে দেখে ফেলে। পরে তিনি আমাকে জিজ্ঞেস করেছেন আমি কোন দলের সমর্থক হিসেবে খেলা দেখছি। আমি বলেছি রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু।

এরপর বস বলেন, তাহলে আপনি নিশ্চয় গতকাল খুব অসন্তুষ্ট ছিলেন। ওরা ফিল্ডিংয়ে একটি ক্যাচ মিস করার সময় আপনাকে খুব উদ্বিগ্ন চেহারায় দেখেছি। ১৬.৩ ওভারে যখন কিপার ক্যাচ মিস করলো, তখন।

হাতেনাতে ধরা পড়ে যাওয়ার পর নেহা স্বীকার করে নেন, ওটা তিনিই ছিলেন। বলেন, হ্যাঁ, অনুজ রাওয়াত ক্যাচ মিস করেছিল।

এরপর নেহার বস বলেন, মাত্র কয়েক সেকেন্ডের জন্য ক্যামেরায় আপনাকে দেখিয়েছিল। আর তাতেই আমি চিনে ফেলেছি। তাহলে এটাই ছিল গতকাল দ্রুত বেরিয়ে যাওয়ার কারণ।

এরপর তিনি একটি হাসির ইমোজি দিয়ে কথপোকথন শেষ করেন।

ভিডিওটি শেয়ার করার পর রাতারাতি সেটি ভাইরাল হয়ে যায়।

পোস্টের নিচে অনেকেই নিজেদের অভিমত ব্যক্ত করেছেন।

একজন লিখেছেন, এটা ঠিক আছে। ম্যানেজারের উচিত কর্মচারীকে স্বাধীনতা প্রদান করা। যাতে সে সত্য বলতে পারে বা নিজের জীবনকে স্বাধীনভাবে উপভোগ করতে পারে।

আরেকজন লিখেছেন, আপনাকে এর জন্য চাকরি থেকে বরখাস্ত করা উচিত। একে তো আপনি অফিস থেকে মিথ্যা কথা বলে বের হয়েছে আবার নিজেদের ব্যক্তিগত কথা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করেছেন।

;

নওগাঁয় কালের সাক্ষী কয়েক শ বছরের পুরোনো বটগাছ



শহিদুল ইসলাম, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নওগাঁ
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নওগাঁ সদর উপজেলার বক্তারপুর ইউনিয়নের মুরাদপুর গ্রামে বট ও পাকুড় গাছের মেল বন্ধন প্রায় ৩০০ বছরের অধিক সময়ের। প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম কালের সাক্ষী হয়ে এখনো দাঁড়িয়ে আছে রহস্যময় এই বট গাছটি। প্রায় ৫ থেকে ৬ একর জমির ওপরে শাখা-প্রশাখা ছড়িয়ে দর্শনার্থীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছে এই পুরাতন বটগাছটি।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, বট ও পাকুর মিলে বিশাল জায়গাজুড়ে কাল্পনিক এক দৃশ্যের সৃষ্টি হয়েছে। বট গাছের কাণ্ড থেকে কাণ্ড শাখা থেকে প্রশাখা মাটিয়ে লুটে পড়ে আরেক বটগাছের জন্ম দিয়েছে। কাণ্ডগুলো দেখলে বোঝার উপায় নেই যে এটির মূল শাখা কোনটি। লতা থেকে মাটিতে পড়ে সৃষ্টি হয়েছে আরেকটি বটগাছ এভাবে অনেকটা জায়গাজুড়ে এক অন্যরকম সৌন্দর্যে বিমোহিত হয়েছে স্থানটি। বটগাছের নিচে ও পাশে রয়েছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের কালি মন্দির যেখানে কয়েকদিন পর পর বিভিন্ন অনুষ্ঠান করেন তারা।

মুরাদপুর গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দা গৌরাঙ্গ সাহা ( ৫০) এর সাথে কথা হলে তিনি জানান, আসলে এই গাছটির সঠিক বয়স কত সেটি আমরা কেউ জানিনা। আমার বাবা-দাদা তারাও এখানে পূজা করতেন তবে তারা আমাদেকে সঠিক বয়স বলতে পারেনি। আমার দাদার মুখে শুনেছি উনার ছোটবেলাতে সেখানে গিয়ে খেলাধুলা করতেন সে সময় গাছটি ঠিক এমন-ই ছিল। তবে অনুমান করা যায়, এই গাছের বয়স প্রায় ৩০০ থেকে ৪০০ বছরের অধিক হতে পারে।

একই গ্রামের গৃহবধূ লাইলী বেগম ( ৫৫) বলেন, আমার বিয়ে হয়েছে প্রায় ৩০ বছর হলো আর তখন থেকেই এই গাছটি দেখে আসছি। বাড়ি কাছে হওয়ায় প্রতিদিন আশেপাশে আসতে হয় বিভিন্ন কাজে। মূল গাছটি আমরা অনেক খুঁজেছি কিন্তু পাইনি। একটা গাছ থেকে এতগুলো গাছের সৃষ্টি হয়েছে দেখতে ভালোই লাগে। তবে যদি এটি সংরক্ষণের ব্যবস্থা করলে আরো কয়েকশ বছর টিকবে বলে মনে করি।

হালঘোষপাড়া থেকে আসা রায়হান নামের এক দর্শনার্থী বলেন, শুনেছিলাম এখানে অনেক পুরাতন বটগাছ আছে আজকে দেখতে আসলাম। চারিদিকে ছড়িয়ে গেছে এমন বটগাছ আমাদের এলাকায় নেই। দেখে খুব ভালো লাগছে এখন থেকে মাঝেমধ্যেই আসব।


কল্পনা রানী ( ৪৮) বলেন, আমার স্বামীর বাবার মুখ থেকে শুনেছি এটির বয়স প্রায় ৩০০ বছরের অধিক। কিছুদিন পর পর এখানে পূজা হয় বিভিন্ন এলাকা থেকে মানুষ এসে পূজা দেয়। এমন সুন্দর বটগাছ আমি কোনোদিন দেখিনি।

বিমল সাহা নামের এক শিক্ষার্থী জানান, আমরা প্রতিদিন আমরা এখানে এসে ক্রিকেট খেলি। এতো পুরাতন একটি বটের গাছ দেখতে পেয়ে আমাদের খুব ভালো লাগে।

এ বিষয়ে নওগাঁ সরকারি কলেজের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. এনায়েতুস সাকালাইন বার্তা২৪.কমকে বলেন, প্রাকৃতিকভাবে একেকটা উদ্ভিদের আয়ু একেক রকম হয়ে থাকে সেরকম বটগাছ দীর্ঘজীবি উদ্ভিদ। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায়, কোনো কোনো জায়গায় ৫০০ বছর বা অধিক সময়ের বেশি বেঁচে থাকে। এই উদ্ভিদগুলোর অভিযোজন ক্ষমতা অনেক বেশি ও পরিবেশের সাথে এদের খাপখাইয়ে নেওয়ার ক্ষমতাও বেশি এবং যেকোনো প্রতিকূল পরিবেশে এরা মোকাবিলা করতে সক্ষম। বটগাছ গুলো বেশি পানি না পেলেও দীর্ঘদিন বেঁচে থাকে আবার খুব বেশি তাপমাত্রা বা তাপমাত্রা নিচে নেমে গেলেও এ ধরনের উদ্ভিদ সে সময় টিকে থাকতে পারে সেজন্য অনেক সময় বিল্ডিং বাড়ির দেয়ালেও এদের বিস্তার দেখা যায়।

তিনি আরও বলেন, বট গাছগুলোর একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য আছে সেটি হলো ওপরের দিকে একটু বেড়ে অনেকদিকে বিস্তার লাভ করে বেশ বড় জায়গা দখল করে তখন এই উদ্ভিদগুলোর ওপরের অংশের ভার বহন করার জন্য ঠেসমূল গঠন করে তারা। মূল কাণ্ড থেকে আস্তে আস্তে মাটিতে ঠেসমূল নেমে আসে তখন ধীরে ধীরে মোটা হতে থাকে। মূল যে কাণ্ডটা তার থেকে বয়সের সাথে সাথে আরো তৈরি হয় যাতে গাছের ভার বহন করতে সক্ষম হয় এবং এভাবে বিশাল জায়গাজুড়ে একে একে বিস্তার লাভ করে কাণ্ডগুলো। বটগাছে এ ধরনের কর্মকাণ্ড লক্ষ্য করা যায় কিন্তু পাকুড় জাতীয় গাছে কম লক্ষ্য করা যায়।

;