মধুর ক্যান্টিনের মিষ্টি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা: প্রতিদিনের মত আজ সকালেও তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠেছি। শুক্রবার অন্যদের ছুটির দিন কিন্তু আমাকে অফিসে যেতে হবে। সময় নিয়ে তৈরি হয়ে নিলাম। হলের সামনে থেকে রিক্সায় করে শাহবাগ; তারপর বাসে করে অফিসে এটাই ছিল পরিকল্পনা।

মহসীন হল থেকে চিরচেনা মলচত্বর, কলাভবন, মধুর ক্যান্টিন, কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে দিয়ে শাহবাগ যাই। আজও সে পথ ধরে রিক্সায় যাচ্ছিলাম। ছুটির দিনের ক্যাম্পাস; মোটামুটি ফাকা। দুয়েকজন মানুষ হাটাহাটি করছে। রিক্সা মধুর ক্যান্টিনের সামনে এলে দেখি সেখানেও কোন ভিড়ভাট্টা নেই। সবে মাত্র ক্যান্টিনের দরজা খুলছে একজন কর্মচারী। খানিকটা বেলা গড়ালেই ছাত্রনেতা-কর্মীদের আড্ডায় জমজমাট হয়ে উঠবে প্রাঙ্গণ।

সকালে নাস্তা করি নি। তাই মধুর ক্যান্টিনে নাস্তা করার কথা মনে হল। একটা সময় ছিল যখন প্রতিদিনের সকালের নাস্তা এখানেই করতাম। সকাল, সন্ধ্যা, রাত বন্ধুদের আড্ডাই হত মধুর ক্যান্টিনে। যা ভাবা তাই কাজ। রিক্সা বিদায় করে দিয়ে ক্যান্টিনের ভেতরে গেলাম। আমার ছাত্রজীবনের মধুর ক্যান্টিন আজো একই রকম আছে। চেয়ার টেবিলগুলা কত পরিচিত। পাউরুটির সঙ্গে ডিমের ঝাল ফ্রাই, কিংবা মিষ্টি আর বড় গ্লাসে করে লাল চা এই ছিল আমাদের নাস্তার উপকরণ। তবে মিষ্টি বেশি খাওয়া হত সে সময়। আজো তাই পাউরুটি আর মিষ্টির অর্ডার দিলাম। খানিকক্ষণ পরই মধুর ক্যান্টিনের কর্মচারী রুবেল অর্ডার নিয়ে আসল। রুবেলের কোনদিন বয়স বাড়ে না। ১০ বছর আগের রুবেল এখনো একইরকম দেখতে।

মধুর ক্যান্টিনের মিষ্টিগুলো ছোট ছোট হয়। ক্যাম্পাসের এই আকারের মিষ্টি আর কোথাও পাওয়া যায় না। সাদা রংয়ের মিষ্টি আর শিরা দিয়ে রুটি খাওয়ার মজাই অন্যরকম। দামেও খুব সস্তা। মাত্র ৫ টাকা। দাম সস্তা হওয়ার পেছনে কারণটা ঐতিহ্যগত। রাজনৈতিক নেতা তথা সবার কথা চিন্তা করেই মধু দা এই ছোট ছোট মিষ্টি তৈরি করতেন। সবসময় খেয়াল রাখতেন ছাত্রছাত্রীদের পকেটের দিকে। অসাধারণ সেই মিষ্টির স্বাদ। সিঙ্গারা, সন্দেশ, চা। ব্যস চার আনায় নাশতা কমপ্লিট। সে সময়ের অনেক খাবারই এখনও পাওয়া যায় এখানে। যার স্বাদ আগের মতোই আছে। তবে সময়ের সঙ্গে পাল্টে গেছে খাবারের আয়োজন। সংযোজন হয়েছে অনেক নতুন খাবার। এখন প্রতি কাপ চা পাওয়া যাচ্ছে ৪-৫ টাকা। সিঙ্গারা, পাটিসাপ্টা পিঠা, মিষ্টি ও দুধের ছানা প্রতি পিছের দাম যথাক্রমে ৫, ১৫, ৫ ও ১০ টাকা।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Aug/10/1533884577117.jpg

নাস্তা নাস্তা করতে করতেই মধুর ক্যান্টিনে লোকজন আসা শুরু করেছে। সাধারণত জুম্মার নামাযের পর সাবেকরা পরিবারসহ বেড়াতে আসে। মধুর ক্যান্টিনের টেবিলে বসে নিজেদের ক্যাম্পাস স্মৃতি রোমন্থন করেন। নাস্তা শেষে রুবেলকে ডেকে বিল পরিশোধ করে আমি আবারো বেরিয়ে পড়লাম অফিসের উদ্দেশে।

মধুর ক্যান্টিনের পরিচয়

মধুসূদন দে (প্রিয় মধুদা)র জন্ম ১৯১৯ সালের ১৯ এপ্রিল। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে হানাদারদের হাতে তিনি মারা যান। পিতা আদিত্য চন্দ্র দে। মা নিরদা সুন্দরী দে। বাবার হাত ধরে মধু দা শুরু করেন এই ক্যান্টিন পরিচালনার কাজ। আদিত্য চন্দ্র অসুস্থ হয়ে পড়লে পারিবারিক ব্যবসার হাল ধরেন মধুসূদন দে। তখন মধুসূদনের বয়স ১৪ কি ১৫ বছর হবে। সময়টা ১৯৩৪/১৯৩৫ সাল। চল্লিশের দশকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের হাওয়া লাগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। এর পরপরই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ডাকসুর কার্যক্রম শুরু ও ক্যান্টিন প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেন। সে সময় আনুষ্ঠানিকভাবে ক্যান্টিন পরিচালনার ভার মধুদাকে দেওয়া হয়। যদিও ক্যান্টিনটি ডাকসুর তবুও ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক, কর্মচারীরা একে ‘মধুর স্টল’ বা মধুর ক্যান্টিন বলে সম্বোধন করতেন। ১৯৬২ সালে বর্তমান কলাভবনের শিক্ষকদের লাউন্স রুমে স্থানান্তরিত করা হয় তা। এখানে চলে প্রায় পাঁচ বছর। তারপর ১৯৬৭ সালে স্থানান্তরিত হয়ে সেটি চলে আসে বর্তমান স্থানে। যা একসময় ছিল জলসাঘর। নওয়াব আমলে এ জলসাঘরে নবাবরা বাইজি নাচাতেন। সুরা পান করে আর আমোদ প্রমোদে সময় কাটাতেন এখানে। এ ঘরটির সামনে দুই পাশে দুটি বৃত্তাকার সরু একতলা ঘর আছে। এ ঘর দুটি বাইজিদের সাজঘর ও থাকার ঘর হিসেবে ব্যবহার করা হতো। এই জলসাঘরেই ১৯০৬ সালে প্রতিষ্ঠা লাভ করে মুসলিম লীগ।

   

মাঝরাতে আইসক্রিম, পিৎজা খাওয়া নিষিদ্ধ করল মিলান!



ফিচার ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: স্কাই নিউজ

ছবি: স্কাই নিউজ

  • Font increase
  • Font Decrease

আইসক্রিম, পিৎজা অনেকের কাছেই ভীষণ পছন্দের খাবার। তবে ইউরোপসহ পশ্চিমা দেশগুলোতে মাঝরাতে এসব মুখরোচক খাবার ও পানীয় খাওয়ার প্রবণতা বেশি দেখা যায়। ইতালিতে জেলাটিনের তৈরি আইসক্রিম খুব বিখ্যাত। এজন্য ইতালিতে 'জেলাটো সংস্কৃতি' নামে একটা কালচার গড়ে উঠেছে। সম্প্রতি ইতালির মিলানের বাসিন্দাদের জন্য একটি নতুন আইন প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রতিবেদন- স্কাই নিউজ।

মিলানে বসবাসকারীদের অধিকাংশই মাঝরাতে রাস্তায় ঘোরাঘুরি করে আইসক্রিম, পিৎজা, ফাষ্টফুড জাতীয় খাবার ও পানীয় পান করে থাকে। এতে করে সেখানকার এলাকাবাসীদের রাতের ঘুম বিঘ্নিত হয়। নতুন প্রস্তাবিত আইনে শহরবাসীর রাতের ঘুম নির্বিঘ্ন করতে মধ্যরাতের পর পিৎজা ও পানীয়সহ সব ধরনের টেকওয়ে খাবার নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

তবে মধ্যরাতের পর আইসক্রিম নিষিদ্ধ করার চেষ্টা এবারই প্রথম নয়। ২০১৩ সালে, তৎকালীন মেয়র গিউলিয়ানো পিসাপিয়া অনুরূপ ব্যবস্থা বাস্তবায়নের চেষ্টা করেছিলেন কিন্তু 'অকুপাই জেলাটো' আন্দোলনসহ তীব্র প্রতিক্রিয়ার পরে তিনি এ সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন।

এরপর আবারও মিলানে এ আইনটি প্রস্তাব করেছেন ডেপুটি মেয়র মার্কো গ্রানেল্লি। দেশটির ১২টি জেলা এই প্রস্তাবের আওতাভুক্ত হবে বলে জানিয়েছে মিলান কর্তৃপক্ষ। এ বিষয়ে মিলানের মেয়র গ্রানেল্লি বলেন, 'আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে সামাজিকতা ও বিনোদন এবং বাসিন্দাদের শান্তি ও প্রশান্তির মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখা।

প্রস্তাবটি নিম্নলিখিত এলাকাগুলোতে প্রযোজ্য হবে বলে জানিয়েছে মিলান কর্তৃপক্ষ: নোলো, লাজারেটো, মেলজো, ইসোলা, সারপি, ভায়া সিজারিয়ানো, আরকো ডেলা পেস, কোমো-গাইআউলেন্টি, পোর্টা গ্যারিবল্ডি, ব্রেরা, টিসিনিজ এবং দারসেনা-নাভিগলি।

জানা যায়, প্রস্তাবটি মে মাসের মাঝামাঝি থেকে কার্যকর থাকবে এবং নভেম্বর পর্যন্ত চলবে। এটি প্রতিদিন রাত ১২.৩০ টায় এবং সাপ্তাহিক ছুটির দিন এবং সরকারী ছুটির দিনে রাত ১.৩০ টা থেকে প্রয়োগ করা হবে। তবে এ প্রস্তাবের বিরুদ্ধে নাগরিকদের মে মাসের শুরু পর্যন্ত আপিল করার এবং আইন পরিবর্তনের পরামর্শ দেওয়ার সময় রয়েছে।

 

 

 

;

অস্ট্রেলিয়ায় নিখোঁজ কুকুর ফিরলো যুক্তরাজ্যের মালিকের কাছে



ফিচার ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

অস্ট্রেলিয়ায় ঘুরতে এসে নিখোঁজ হয় যুক্তরাজ্যের এক দম্পতির পালিত কুকুর। যুক্তরাজ্যে আসার ১৭ দিন পর মিলো নামের কুকুরটিকে ফিরে পেয়েছেন জেসন হোয়াটনাল নিক রোল্যান্ডস দম্পতি।

হোয়াটনাল এবং তার সঙ্গী নিক সম্প্রতি তাদের কুকুর মিলোকে নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়া পরিদর্শনে যান। তারা যখন সোয়ানসিতে বাড়িতে যাচ্ছিলেন তখন মেলবোর্ন বিমানবন্দরে তার হ্যান্ডলার থেকে কুকুরটি পালিয়ে যায়।

সাড়ে পাঁচ বছর বয়সী কুকুরটিকে অবশেষে মেলবোর্নের শহরতলিতে ১৭ দিন পর খুঁজে পাওয়া যায়।


হোয়াটনাল স্কাই নিউজকে বলেন, ‘মিলোকে ফিরে পাওয়াটা খুবই আশ্চর্যজনক ছিল আমার জন্য। যখন আমি আমার প্রিয় মিলোর (কুকুর) সাথে পুনরায় মিলিত হয়েছিলাম, তখন আমি কান্নায় ভেঙে পড়েছিলাম। আমার কান্না দেখে অন্যরাও কেঁদেছিল। এটি সত্যিই আবেগপ্রবণ ছিল।

তিনি আরও বলেন, বিশ্বের অন্য প্রান্তে থেকে মিলোর কথা চিন্তা করে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছিলাম। আমরা জানতাম না মিলো কোথায় আছে। এটি বেশ হতাশাজনক ছিল আমাদের জন্য, কিছুটা আশা হারিয়ে ফেলেছিলাম। তাকে ফিরে পাবো ভাবিনি।

মিলোকে পাওয়ার জন্য সামাজিক মাধ্যমে জানিয়েছিলাম, তখন স্বেচ্ছাসেবকদের কাছ থেকে সাহায্য আসে, তারা মিলোর সন্ধান দেয়। মিলোকে আমাদের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য তাদের ধন্যবাদ।

;

আমার হাতের পাখা যেন তাদের আরাম দিচ্ছে!



মৃত্যুঞ্জয় রায়, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সাতক্ষীরা
ছবি: বার্তা২৪, তালপাতার পাখা বিক্রি করছে পাঁচ বছরের শিশু মাহমুদুল্লাহ

ছবি: বার্তা২৪, তালপাতার পাখা বিক্রি করছে পাঁচ বছরের শিশু মাহমুদুল্লাহ

  • Font increase
  • Font Decrease

আবু বক্কর (৬২)। বয়সের ভারে অসুস্থ হয়ে তিনি এখন পাকা বিক্রেতা। প্রচণ্ড তাপদাহে মানুষ যখন ঠান্ডা বাতাসের প্রশান্তি খুঁজছে, তখন তিনি গ্রামে গ্রামে গিয়ে তালপাতার পাখা বিক্রি করছেন।

আবু বক্কর বার্তা২৪.কমকে বলেন, স্ত্রীসহ ছয় মেয়ে নিয়ে আমার সংসার। তবে মেয়েদের বিয়ে দিতে পেরেছি। কিন্তু বয়সের ভারে ঠিকই আমরা একা থেকে গেলাম। শেষ বয়সে গ্রামে গ্রামে তালপাতা পাখা বিক্রি করে সংসার চালাচ্ছি। শুধু সংসার না, এই টাকায় আমার পায়ের শিরার ব্যথার ওষুধও কিনতে হয়। একবেলা ওষুধ না খেলে চলতে পারি না।

এদিকে, পুরনো ব্যবসার ঋণের বোঝা আর অন্যদিকে অসুস্থ হয়ে ওষুধসহ সংসারের খরচ। শেষ বয়সে তালপাতার পাখাই আমার একমাত্র জীবনসঙ্গী বলেন আবু বক্কর।

তালপাতার পাখা বিক্রি করছেন আবু বক্কর, ছবি- বার্তা২৪.কম

বুধবার (২৪ এপ্রিল) সাতক্ষীরা জেলার তালা উপজেলার কলাগাছি গ্রামের কবিগানের অনুষ্ঠানে সরেজমিন দেখা যায়, একপাশে তালপাতার পাখা বিক্রি করতে ব্যস্ত ছোট্ট পাঁচ বছরের শিশু মাহমুদুল্লাহ। এই গরমে যখন তার ঘরে থাকার কথা, তখন সে নানা-নানীর সঙ্গে এসে তালপাতার পাখা বিক্রি করছে। কবিগানে বসে থাকা সব শ্রোতার কাছে গিয়ে বলছে, পাখা লাগবে, পাখা! কথা বলতে চাইলেও এ পাশ ওপাশ দিয়ে চলে যাচ্ছে, ক্রেতার কাছে।

এক ফাঁকে তাকে কাছে পেয়ে জিজ্ঞাসা করা হয়, এই বয়সে পাখা বিক্রি করছো কেন! এ প্রশ্নের উত্তরে বার্তা২৪.কমকে মাহমুদুল্লাহ বলে, প্রচণ্ড গরমে স্কুল ছুটি। তাই, নানা-নানীর সঙ্গে চলে এসেছি মেলায় পাখা বিক্রি করতে। মানুষজন আমার কাছ থেকে যেন বেশি পাখা কেনে (ক্রয়), তাই আমি মেলায় তাদের সঙ্গে এসেছি।

অনেক উৎসাহের সঙ্গে সে বলে, গরমে আমার হাতের পাখায় যেন তাদের আরাম দিচ্ছে! মেলা হলে আমি সেখানে চলে যাই পাখা বিক্রি করতে। ঘোরাঘুরিও হয় আর টাকা ইনকামও হয়। টাকার জন্য বের হয়ে পড়েছি। আমরা পাখা বিক্রি করে পেট চালাই। নানা-নানী বুড়ো হয়ে গেছে। তাই, আমি সঙ্গে এসে তাদের কষ্টটাকে একটু ভাগাভাগি করে নিচ্ছি।

যেখানে প্রচণ্ড তাপে মানুষজন নাজেহাল, সেখানে ছোট্ট মাহমুদুল্লাহ ছুটে চলেছে এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে পাখা বিক্রি করতে। ছোট্ট শিশু হলেও গরম যেন তার কাছে কিছু না, পেটের তাগিদে!

আরেক পাখা বিক্রেতা তালা উপজেলার হরিণখোলা গ্রামের বাসিন্দা ভদ্রকান্ত সরকার (৭০)। ১২-১৪ বছর ধরে এই পেশায় আছেন তিনি।

চলছে তালপাতার পাখার বিকিকিনি, ছবি- বার্তা২৪.কম

শেষ বয়সে পাখা কেন বিক্রি করছেন এমন প্রশ্নের উত্তরে বার্তা২৪.কমকে ভদ্রকান্ত বলেন, চাল কিনে খেতে হয়। খুব কষ্টের সংসার! ছেলে-মেয়ে আছে। তারা তাদের মতো কাজ করে খায়। মা বাবার বয়স হয়ে গেলে ছেলে আর আমাদের থাকে না। আমরা বৃদ্ধ বয়সে কেমন আছি, সেটা জানার সুযোগ তাদের থাকে না। শেষজীবনটা এভাবে পাখা বিক্রি করে কাটিয়ে দেবো। কী আর করবো! কপালে যা আছে, শেষপর্যন্ত তাই হবে। কপালে ছিল, এমন বৃদ্ধ বয়সে গ্রামে গ্রামে পাখা বিক্রি করতে হবে!

;

৪ লাখ বছর আগে আদিম মানুষের যাত্রা শুরু



ফিচার ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত, নিউ সায়েন্টিস্ট থেকে

ছবি: সংগৃহীত, নিউ সায়েন্টিস্ট থেকে

  • Font increase
  • Font Decrease

৪ লাখ বছর আগে রাশিয়ার সাইবেরিয়া থেকে আদিম মানুষের যাত্রা শুরু হয়েছিল বলে নতুন এক গবেষণা থেকে জানা গেছে। এখান থেকে যাত্রা শুরু করে এই গোত্রের মানুষ পরে উত্তর আমেরিকায় পৌঁছে যায়।

নতুন এক গবেষণা জানাচ্ছে, সাইবেরিয়ায় নতুন একটি এলাকার সন্ধান পাওয়া গেছে, যেখানে ৪ লাখ ১৭ হাজার বছর আগে হোমিনিনস (Hominins) গোত্রের মানুষের উপস্থিতি ছিল। এই গোত্রের মানুষ ডিরিং ইউরিআখ এলাকায় বাস করতেন। সেখান থেকে তারা উত্তর আমেরিকায় পৌঁছে যায় বলে জানিয়েছেন চেক প্রজাতন্ত্রের এক গবেষক।

১৬ এপ্রিল চেক অ্যাকাডেমি অব সায়েন্সেসের গবেষক জন জেনসেন এক সংবাদ সম্মেলন করে নতুন এ তথ্য প্রকাশ করেন। গবেষণাবিষয়ক সংবাদ সাময়িকী নিউ সায়েন্সটিস্ট এ বিষয়ে একটি খবর প্রকাশ করেছে।

সংবাদ সম্মেলনে জন জেনসেন বলেন, আমরা আগে যে ধারণা করতাম, তারও আগে থেকে হোমিনিনস গোত্রের মানুষ সাইবেরিয়ার ডিরিং ইউরিআখ এলাকায় বসবাস করতেন। ৪ লাখ ১৭ বছর আগে থেকেই তারা এই এলাকায় বসবাস করতে বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে। তাদের অবস্থান ছিল উত্তর অক্ষাংশে।

তিনি বলেন, আরেকটি আদিম গোত্রের মানুষের সন্ধান পাওয়া যায়, যারা আর্কটিক অঞ্চলে বাস করতেন। ৪৫ হাজার বছর আগে তাদের সন্ধান পাওয়া যায়নি।

 

;