জন্মদিন স্পেশাল

অমিতাভ সম্পর্কে জানার আছে অনেক



বৃষ্টি শেখ খাদিজা, নিউজরুম এডিটর
অমিতাভ বচ্চন

অমিতাভ বচ্চন

  • Font increase
  • Font Decrease

রূপালি পর্দা ও বাস্তবে অমিতাভ বচ্চনের রয়েছে বর্ণাঢ্য জীবন।

প্রতিদিনই ভক্তদের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকেন বচ্চন পরিবারের কর্তা।

আজ ১১ অক্টোবর বিগ বি’র ৭৬তম জন্মদিন।

কিংবদন্তি এই অভিনেতা সম্পর্কে অনেক কিছুই পাঠকদের জানা।

তবে অজানা ব্যাপারও কম নয়।

অমিতাভের জানা-অজানা তথ্য নিয়ে বার্তা২৪-এর জন্মদিন স্পেশাল—


উচ্চতা
** বলিউডে অমিতাভ বচ্চনই সবচেয়ে লম্বা অভিনেতা। তার উচ্চতা ৬ ফুট ২ ইঞ্চি।

পদবি পরিবর্তন
** অমিতাভের পদবি ছিলো ‘শ্রীবাস্তব’। কিন্তু বাবা হরিবংশ রাই বচ্চন নামের শেষে `বচ্চন' ব্যবহার করায় তিনি আর তা বদলাননি।

নাম পরিবর্তন
** হরিবংশ রাই বচ্চন ছেলের নাম রাখতে চেয়েছিলেন ‘ইনকিলাব’। কিন্তু কবি সুমিত্রা নন্দন পান্তের পরামর্শে তিনি বেঝে নেন ‘অমিতাভ’।

রূপালি পর্দায় পছন্দের নাম
** রূপালি পর্দার জন্য ‘বিজয়’ নামটি বেশি পছন্দ করতেন বিগ বি। অন্তত ২০টি ছবিতে এই নামের চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি।

পড়াশোনা-চাকরি
** দিল্লি থেকে পড়াশোনা শেষ করে কলকাতার একটি শিপিং ফার্মের নির্বাহী হিসেবে কাজ শুরু করেছিলেন অমিতাভ। এটাই ছিলো তার প্রথম চাকরি। তখন ৫০০ রুপি বেতন পেতেন তিনি।

বেতন
** চলচ্চিত্র জগতে পা রাখার আগে অমিতাভের সবশেষ চাকরির বেতন ছিলো ১৬৮০ রুপি।

প্রথম গাড়ি
** কলকাতায় চাকরি করার সময় একটি সেকেন্ডহ্যান্ড ফিয়েট গাড়ি কিনেছিলেন অমিতাভ।

 

বিশেষ কারণ
** সুনীল দত্ত পরিচালিত ও অভিনীত ‘রেশমা অউর শেরা’য় (১৯৭১) বিশেষ কারণে জায়গা পেয়েছিলেন অমিতাভ। সুনীলের স্ত্রী অভিনেত্রী নার্গিস ছিলেন ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর বান্ধবী। আর অমিতাভ ছিলেন ইন্দিরা গান্ধীর ছেলে রাজীব গান্ধীর বন্ধু। সেই সুবাদে অমিতাভকে সুযোগ দিতে নার্গিসকে চিঠি লেখেন ইন্দিরা।

বাংলা ছবির মধ্য দিয়ে রূপালি পদায় অভিষেক
** হিন্দি ছবির অভিনেতা হলেও অমিতাভের অভিষেক হয়েছিল বাংলা চলচ্চিত্রের মাধ্যমে! ১৯৬৯ সালে মৃণাল সেনের বাংলা ছবি ‘ভুবন সোম’-এ ধারাবর্ণনা দিয়ে চলচ্চিত্রাঙ্গনে পা রাখেন তিনি। একইবছর হিন্দি ছবিতে অভিনয়ে অভিষেক হয় তার।

পারিশ্রমিক
** ‘সাত হিন্দুস্তানি’ ছবির মাধ্যমে ১৯৬৯ সালে অভিনয় জগতে পা রাখেন অমিতাভ। এতে কাজ করার বিনিময়ে পারিশ্রমিক হিসেবে তাকে দেওয়া হয়েছিলো এক হাজার রুপি।

সাদাকালো ছবি
** রূপালি পর্দার তারকা অমিতাভ একটি সাদাকালো ছবিতে অভিনয় করেছেন। সেটি হলো তার প্রথম ছবি ‘সাত হিন্দুস্তানি’।

ছিলো না ঘর
** অমিতাভকে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে। শুরুতে মুম্বাইয়ে থাকার ঘর ছিলো না তার। সেই সময় মেরিন ড্রাইভ এলাকায় রাত কাটতো তার। অমিতাভের দুরবস্থায় পাশে ছিলেন সংগীত পরিচালক কল্যাণজি আনন্দজি।

ফ্লপের পর ফ্লপ
** ক্যারিয়ারের শুরুতে অমিতাভের পরপর ১২টি ছবি চলে যায় ফ্লপের খাতায়। তার প্রথম হিট ছবি ‘জঞ্জির’ (১৯৭৩)।

ধারাভাষ্য
** ১৯৭৭ সালে ‘শতরঞ্জ কি খিলাড়ি’ ছবির ধারাবর্ণনায় অমিতাভের কণ্ঠ ব্যবহার করেছিলেন কিংবদন্তি চলচ্চিত্রকার সত্যজিৎ রায়।

পছন্দ হয়নি অমিতাভের কণ্ঠ
** অল ইন্ডিয়া রেডিওতে সংবাদ পাঠক হিসেবে কাজ করতে চেয়েছিলেন অমিতাভ। সত্যজিৎ রায়ের ছবিতে কাজ করার অভিজ্ঞতাও ছিলো তার। অথচ কণ্ঠটা পছন্দ হলো না রেডিও কর্তৃপক্ষের!

বাবার কাজ
** যশ চোপড়া পরিচালিত ‘সিলসিলা’ (১৯৮১) ছবিতে অমিতাভের গাওয়া ‘রঙ বারসে’ গানের কিছু কথা লিখেছিলেন হরিবংশ রাই বচ্চন। এছাড়া ‘অগ্নিপথ’ ছবিতে অমিতাভের আবৃত্তি করা কবিতাও তার বাবার লেখা।

 

গুরুতর আঘাত
** ১৯৮৩ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘কুলি’র একটি অ্যাকশন দৃশ্যে অভিনয় করতে গিয়ে পেটে গুরুতর আঘাত পেয়েছিলেন অমিতাভ। এ কারণে দুই সপ্তাহ হাসপাতালে থাকতে হয়েছে তাকে।

অমিতাভের রোগবালাই
** অ্যাজমা রোগ আছে অমিতাভের। এছাড়া মাংসপেশি দুর্বল হয়ে যাওয়ার বিরল রোগ মায়াসথেনিয়া গ্রেভিস রোগেও ভুগছেন তিনি।

কিছুদিনের বিরতি
** ১৯৯২ সালে কিছুদিনের জন্য রূপালি পর্দার আড়ালে চলে গিয়েছিলেন অমিতাভ। এরপর ১৯৯৭ সালে ‘মৃত্যুদাতা’র মধ্য দিয়ে প্রত্যাবর্তন করেন তিনি।

ছিলো না কোনো কাজ
** ক্যারিয়ারের মধ্যবর্তী সময়ে হাতে কোনো কাজ ছিলো না অমিতাভের। তখন যশ চোপড়ার সঙ্গে কাজ করতে চেয়েছিলেন তিনি। তার প্রযোজিত ‘মোহাব্বাতে’ (২০০০) ছবির মাধ্যমে সেটি পূরণ হয়। এটি পরিচালনা করেন যশ চোপড়ার ছেলে আদিত্য চোপড়া।

লেখার দক্ষতা
** ডান-বাম দুই হাত দিয়েই সমানভাবে লিখতে পারেন সিনিয়র বচ্চন।

দ্বৈত চরিত্র
** মোট ১০টি ছবিতে দ্বৈত চরিত্রে হাজির হয়েছেন অমিতাভ। আর ‘মহান’ (১৯৮৩) ছবিতে তিনটি চরিত্রে দেখা গেছে তাকে।

৩০ ফুট ঝরনা থেকে লাফ
** ‘আকস’ (২০০১) ছবির জন্য বিশেষ কারিগরি সহায়তায় অভিনেতা মনোজ বাজপেয়িসহ ৩০ ফুট উঁচু ঝরনা থেকে লাফিয়ে পড়েন বিগ বি।

টানা শুটিং
** ২০০৬ সালে ‘শুটআউট অ্যাট লোখান্ডওয়ালা’য় টানা পাঁচ ঘণ্টায় ২৩টি দৃশ্যে অভিনয় করে ইউনিটের সবাইকে তাক লাগিয়ে দেন অমিতাভ।

একমাত্র অভিনেতা
** অমিতাভ ভারতের একমাত্র অভিনেতা যিনি নিজের ছবির রিমেকেও অভিনয় করেছেন। সত্তর দশকের মাঝামাঝি মুক্তি পাওয়া ধ্রুপদী ছবি ‘শোলে’র রিমেক হয় ২০০৭ সালে। এর নাম ছিল ‘রাম গোপাল ভার্মা কি আগ’। এতে অবশ্য খলচরিত্রে বড় পর্দায় এসেছেন তিনি।

সর্বাধিক মনোনয়ন
** বলিউড তারকাদের মধ্যে ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ডে সেরা অভিনেতা বিভাগে সর্বাধিক ৪১বার মনোনয়ন পেয়েছেন অমিতাভ।

বেসামরিক সম্মাননা
** ভারত সরকারের কাছ থেকে বেসামরিক সম্মাননা হিসেবে ১৯৮৪ সালে পদ্মশ্রী, ২০০১ সালে পদ্মভূষণ ও ২০১৫ সালে পদ্মবিভূষণ খেতাব পান অমিতাভ।

অমিতাভ প্রথম
** এশিয়ার প্রথম অভিনেতা হিসেবে অমিতাভের মোমের মূর্তি স্থান পায় লন্ডনের বিখ্যাত মাদাম তুসো মিউজিয়ামে।

বাড়ির মূল্য
** অমিতাভ বচ্চনের দুই বাড়ি ‘জলসা’ ও ‘প্রতীক্ষা’র মূল্য ২০০ কোটি রুপি। ‘জলসা’ অমিতাভকে উপহার দিয়েছিলেন ‘শোলে’র পরিচালক রমেশ সিপ্পি।

আরামপ্রিয়
** অমিতাভ আরামপ্রিয় মানুষ। তার বাড়ির মেঝের জন্য ইতালি থেকে মার্বেল পাথর আনা হয়। বাথরুমের ফিটিংস এসেছে ফ্রান্স ও জার্মানি থেকে।

নামি-দামি ব্র্যান্ডের স্যুট
** স্যুট পরা পছন্দ করেন অমিতাভ। এক্ষেত্রে তার প্রিয় ব্র্যান্ড গাবানা। প্রতিষ্ঠানটি ৩০ বছর ধরে তার স্যুট তৈরি করে আসছে। পছন্দের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে আছে ফ্র্যাটেলি রসেটিটি ব্র্যান্ড। স্যুট বানানোর জন্য ইতালি থেকে স্যুটের কাপড়, ফ্রান্স থেকে সুতা ও ইংল্যান্ড থেকে বোতাম আনান তিনি।

বিলাসবহুল গাড়ি
** ১১টি বিলাসবহুল গাড়ি আছে অমিতাভের। পরিচালক বিধু বিনোদ চোপড়া ‘একলব্য: দ্য রয়েল গার্ড’ (২০০৭) ছবিতে অভিনয়ের পারিশ্রমিক হিসেবে তাকে একটি রোলস রয়েস ফ্যান্টম উপহার দেন। তবে তার পছন্দের গাড়ি লেক্সাস। কারণ এটি বুলেটপ্রুফ।

ঘড়ির নেশা
** ঘড়ির প্রতি বেশ আগ্রহ রয়েছে বিগ বি’র। এজন্য প্রতিটি উৎসব ও অনুষ্ঠানে একটি করে ঘড়ি কেনেন তিনি।

অমিতাভের শখ
** কলম সংগ্রহ করা অমিতাভের শখ। তার কাছে আছে হাজারের বেশি কলম। চমকপ্রদ তথ্য হলো, জার্মানির মম ব্লা কোম্পানি প্রতি বছর অমিতাভের জন্মদিনে তাকে একটি করে কলম উপহার দেয়।

পছন্দের জায়গা
** যুক্তরাজ্যের লন্ডন ও সুইজারল্যান্ডে বেড়াতে ভালো লাগে অমিতাভ বচ্চনের।

১০ দিনের জন্য ১০ কোটি
** একবার একটি বিজ্ঞাপনী প্রতিষ্ঠান ১০ দিন শুটিংর জন্য অমিতাভকে ১০ কোটি রুপি পারিশ্রমিক দিয়েছে।

ভালোবাসার শুরু
** পুনের ফিল্ম ও টেলিভিশন ইনস্টিটিউটে অমিতাভ ও জয়া ভাদুড়ির প্রথম দেখা হয়েছিলো। তারাই একমাত্র দম্পতি, যারা একসঙ্গে ৩০টিরও বেশি ছবিতে অভিনয় করেছেন। বিয়ের পর জয়া ভাদুড়ি হয়ে যান জয়া বচ্চন। তাদের মেয়ে শ্বেতা নন্দা ও ছেলে অভিষেক বচ্চন। অমিতাভ-জয়ার পুত্রবধূ সাবেক বিশ্বসুন্দরী ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন ও নাতনি আরাধ্য বচ্চন।

   

ধর্মকর্মে মন দিয়েছেন অশ্লিল যুগের নায়ক মেহেদি



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
চিত্রনায়ক মেহেদির একাল-সেকাল

চিত্রনায়ক মেহেদির একাল-সেকাল

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢালিউডে যে সময়টা অশ্লিলতায় ছেয়ে গিয়েছিল, সে সময়ের অন্যতম ব্যস্ত নায়ক ছিলেন মেহেদি। ‘পাগল মন’ চলচ্চিত্র দিয়ে সিনেমা জগতে জায়গা করে নেওয়ার পর অনেক ছবিতে অভিনয় করেছেন। তার মধ্যে অশ্লিল ছবির সংখ্যাই বেশি। এখনো ইউটিউবে তার অশ্লিল নাচ গানের ভিডিও’র দেখা মেলে।

কিন্তু মানুষ মাত্রই বদলায়। বাংলা সাহিত্যে বিখ্যাত উক্তি রয়েছে, ‘মানুষ মরে গেলে পচে যায়, কিন্তু বেঁচে থাকলে বদলায়, কারণে-অকারণে বদলায়।’

তেমনি বদল ঘটেছে চিত্রনায়ক মেহেদির জীবনেও। অনেক দিন থেকেই চলচ্চিত্র আঙিনায় তাকে দেখা যায় না। আজ তাকে দেখা গেল চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে। সেখানেই গণমাধ্যমের মুখোমুখি হন মেহেদি।

চিত্রনায়ক মেহেদি

জানালেন, তিনি এখন ধর্মীয় কাজে মনোনিবেশ করেছেন। বললেন, নিয়মিত তবলিগ জামাত চিল্লায় যেতে হচ্ছে। যেহেতু আমি মুসলিম, তাই আমাকে নিয়মিত নামাজ রোজা করতে হবে। এখন সেটা খুব মনোযোগের সঙ্গে করতে হচ্ছে।

চলচ্চিত্র থেকে একেবারে বিচ্ছিন্ন হননি তিনি, সামনে তার চলচ্চিত্র আসছে বলেও জানালেন। বললেন, আমি চলচ্চিত্র থেকে একেবারেই হারিয়ে যাইনি। সামনে মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে আমার চারটি চলচ্চিত্র।

;

শিল্পী সমিতির নির্বাচনে এফডিসিতে ৪০০ সাংবাদিক!



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
আজ শিল্পী সমিতির নির্বাচনে এফডিসির একটি চিত্র

আজ শিল্পী সমিতির নির্বাচনে এফডিসির একটি চিত্র

  • Font increase
  • Font Decrease

এবারের শিল্পী সমিতির নির্বাচনে কোন উত্তাপ নেই। আজ ১৯ এপ্রিল সকাল থেকে ভোট শুরু হলেও ভোটার উপস্থতি কম। এর কারণ হিসেবে অনেকেই বলছেন, শুক্রবার হওয়ায় ভোটগ্রহণ কম।

তবে এই নির্বাচনের সংবাদ সংগ্রহই নাকি করছেন ৪০০ জন সংবাদকর্মী। এমনটা জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার খোরশেদ আলম খসরু বলেন, আমরা যাচাই-বাছাই করে প্রায় ৪০০ জন সাংবাদিক চূড়ান্ত করে পাস দিয়েছি।

এতো সংবাদকর্মী কেন? এই প্রশ্নের জবাবে খসরু বলেন, ধরেন একটা টেলিভিশন চ্যানেল, তারা আবেদন করে ১০ জনের জন্য। কারণ ক্যামেরা পারসন, সংবাদকর্মী, সহকারী থাকেন। তারা আবার দুই শিফটে কাজ করবেন। তাহলে বলুন একটা প্রতিষ্ঠান থেকে যদি ১০ জন হয়। তাহলে সবগুলো প্রতিষ্ঠানের ৪০০ জন হবে না?

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২৪-২৬ মেয়াদের নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে সকালে। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকাল ৯টা৩০ মিনিটে অভিনেতা ডা. এজাজের ভোট প্রদানের মাধ্যমে শিল্পী সমিতির কার্যালয়ে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। সকাল ৯টায় ভোটগ্রহণ শুরুর কথা থাকলেও ৩০ মিনিটি পরে ভোটগ্রহণ শুরু হয়।

২১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির এই নির্বাচনে ৬ জন স্বতন্ত্রসহ ২টি প্যানেল থেকে ৪৮ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। প্যানেল দুটি হলো মিশা-ডিপজল ও মাহমুদ কলি-নিপুণ।

;

জয় আমাদেরই হবে : মাহমুদ কলি



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
মাহমুদ কলি ও নিপুণ

মাহমুদ কলি ও নিপুণ

  • Font increase
  • Font Decrease

আজ বিএফডিসি প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হচ্ছে ২০২৪ থেকে ২০২৬ মেয়াদের বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন। সকাল সাড়ে ৯টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। চলবে বিকেল সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত।

এ নির্বাচনে জনপ্রিয় খলনায়ক মিশা সওদাগরের বিপক্ষে সভাপতি পদে লড়ছেন এক সময়ের দাপুটে অভিনেতা মাহমুদ কলি। ভোটকেন্দ্র থেকে গণমাধ্যমকে মাহমুদ কলি জানান, পুরো প্যানেলসহ জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী তিনি। তার ভাষ্য, আমি জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী। আশা করছি চলচ্চিত্রের মানুষেরা সুচিন্তিত মতামত দিয়ে কলি-নিপুণ প্যানেলকে জয়যুক্ত করবে।

তিনি আরও বলেন, নির্বাচনের পরিবেশ এখন পর্যন্ত খুবই সুন্দর। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিপুল উপস্থিতি সবার জন্য ভালো। সকালে ভোটারের উপস্থিতি কম ছিল। কিন্তু জুমার নামাযের পর উৎসবমূখর পরিবেশে ভোটাররা ভোট দিচ্ছেন। আনন্দঘন পরিবেশে, সৌহার্দপূর্ণভাবে যাতে ভোটগ্রহণ শেষ হয় এ জন্য সবার সহযোগিতা কামনা করছি।’

কলি-নিপুণ প্যানেলের সঙ্গে লড়ছেন মিশা-ডিপজল প্যানেল

২১ সদস্যবিশিষ্ট কমিটির চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে ৬ জন স্বতন্ত্রসহ ২টি প্যানেল থেকে ৪৮ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। একটি মিশা-ডিপজল পরিষদ, অন্যটি কলি-নিপুণ পরিষদ। এর মধ্যে সভাপতি পদে লড়ছেন একসময়ের জনপ্রিয় নায়ক মাহমুদ কলি ও দাপুটে খল-অভিনেতা মিশা সওদাগর। আর সাধারণ সম্পাদক পদে গেলো আসরের মতো এবারও প্রার্থী হয়েছেন চিত্রনায়িকা নিপুণ আক্তার। তার বিপরীতে দাঁড়িয়েছেন অভিনেতা মনোয়ার হোসেন ডিপজল।

প্রসঙ্গত, এবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন প্রযোজক খোরশেদ আলম খসরু। এবারের মোট ভোটার ৫৭০ জন। তারাই বেছে নেবেন আগামী দুই বছরের চলচ্চিত্র শিল্পীদের নেতা।

;

শিল্পী সমিতির নির্বাচন, কে কোন পদে লড়ছেন?



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
শিল্পী সমিতির নির্বাচন, কে কোন পদে লড়ছেন?

শিল্পী সমিতির নির্বাচন, কে কোন পদে লড়ছেন?

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন হচ্ছে আজ শুক্রবার (১৯ এপ্রিল)। এই নির্বাচনে বিজয়ী কমিটি ২০২৪ থেকে ২০২৬ মেয়াদে দায়িত্ব পালন করবে।

২১ সদস্যবিশিষ্ট কমিটির এই নির্বাচনে ছয়জন স্বতন্ত্রসহ দুটি প্যানেল থেকে ৪৮ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। একটি মিশা-ডিপজল পরিষদ, অন্যটি কলি-নিপুণ পরিষদ।

এর মধ্যে সভাপতি পদে লড়ছেন একসময়ের জনপ্রিয় নায়ক মাহমুদ কলি ও দাপুটে খল-অভিনেতা মিশা সওদাগর। আর সাধারণ সম্পাদক পদে গেলো আসরের মতো এবারও প্রার্থী হয়েছেন চিত্রনায়িকা নিপুণ আক্তার। 

তার বিপরীতে দাঁড়িয়েছেন চলচ্চিত্রের মুভি লর্ড ও দানবীর-খ্যাত অভিনেতা মনোয়ার হোসেন ডিপজল। নিজের নির্বাচনী লক্ষ্যের বিষয়ে মিশা সওদাগর বলেছেন, শিল্পীরা বেশি কিছু চায় না, তারা সম্মান চায়। 

ইফতার, পিকনিক, উৎসব এসবে সম্মান চায়। কোনো শিল্পী অসুস্থ হলে যথাসম্ভব তার পাশে থাকা। এসবই আমাদের মূল লক্ষ্য।

অন্যদিকে, আরেক সভাপতি পদের প্রার্থী মাহমুদ কলির লক্ষ্য, মানুষের কাছে চলচ্চিত্রের সুনাম কিছুটা ক্ষুণ্ণ হয়েছে। আমার চেষ্টা থাকবে সেটা পুনরুদ্ধার করা। যদিও হঠাৎ করে তার নির্বাচনে আসা অনেকেই ভালো ভাবে নেয়নি। কারণ, চলচ্চিত্র অভিনয় থেকে বিদায় নেওয়ার পর শিল্পীদের সঙ্গে তার যোগাযোগ বিছিন্ন। গেল নির্বাচনে ভোট দিতে আসেননি তিনি।

দুই প্যানেলের হয়ে কে কোন পদে লড়ছেন, এক নজরে তা জেনে নেওয়া যাক:

মিশা-ডিপজল পরিষদ
সভাপতি পদে মিশা সওদাগর, সহ-সভাপতি পদে প্রার্থী হয়েছেন মাসুম পারভেজ রুবেল ও ডি এ তায়েব। সহ-সাধারণ সম্পাদক আরমান, সাংগঠনিক সম্পাদক জয় চৌধুরী, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আলেকজান্ডার বো, দফতর ও প্রচার সম্পাদক জ্যাকি আলমগীর, সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক ডন এবং কোষাধ্যক্ষ পদপ্রার্থী কমল।

এই প্যানেলে কার্যকরী পরিষদের সদস্য হতে চান অভিনেত্রী সুচরিতা, রোজিনা, আলীরাজ, সুব্রত, দিলারা ইয়াসমিন, শাহনূর, নানা শাহ, রত্না কবির, চুন্নু, সাঞ্জু জন ও ফিরোজ মিয়া (ফিরোজ শাহী)।

কলি-নিপুণ পরিষদ
সভাপতি পদে মাহমুদ কলি, সহ-সভাপতি পদে আছেন ড্যানি সিডাক ও অমিত হাসান। সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে বাপ্পি সাহা। সাংগঠনিক সম্পাদক অঞ্জনা রহমান, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মারুফ আকিব, দফতর ও প্রচার সম্পাদক কাবিলা, সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক মামনুন হাসান ইমন ও কোষাধ্যক্ষ পদে প্রার্থী হয়েছেন আজাদ খান।

এই প্যানেলের কার্যকরী পরিষদের সদস্য পদের জন্য লড়ছেন সুজাতা আজিম, নাদের চৌধুরী, পীরজাদা হারুন, পলি, জেসমিন আক্তার, তানভীর তনু, মো.সাইফুল, সাদিয়া মির্জা, সনি রহমান, হেলেনা জাহাঙ্গীর ও সাইফ খান।

প্রসঙ্গত, এবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন প্রযোজক খোরশেদ আলম খসরু। এবারের মোট ভোটার ৫৭০ জন। তারাই বেছে নেবেন আগামী দুই বছরের চলচ্চিত্র শিল্পীদের নেতা-অভিভাবক।

;