সংসদ সদস্য না, আমি আপনাদের মিয়া ভাই: ফারুক



বৃষ্টি শেখ খাদিজা, নিউজরুম এডিটর
আকবর হোসেন পাঠান ফারুক

আকবর হোসেন পাঠান ফারুক

  • Font increase
  • Font Decrease

‘সারেং বৌ’, ‘নয়নমনি’সহ দুই শতাধিক ছবিতে অভিনয় করেছেন দেশীয় চলচ্চিত্রের প্রখ্যাত অভিনেতা ফারুক। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার জিতেছেন, আজীবন সম্মাননাও পেয়েছেন। এবার হয়েছেন সংসদ সদস্য। বার্তা২৪-এর সঙ্গে নানান বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন গুণী এই মানুষ।

সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর প্রথম কী অনুভূতি হয়েছিল?
আকবর হোসেন পাঠান ফারুক: পাস করার আগে আমরা যে খাটা-খাটুনি করেছি তাতে আনন্দ পাওয়াটা স্বাভাবিক। এই আসনে আমাদের স্বাধীনতার পক্ষের যে নৌকা, তা ছিলো না প্রায় ১৭-১৮ বছর। এ কারণে অঞ্চলটির মানুষগুলোর চাওয়া-পাওয়া, আশা-আকাঙ্খা, মনের ভাষা ছিলো আমার মতোই। ১৮ বছর ধরে এই জায়গায় আওয়ামী লীগ না থাকলেও অনেক এমপি ছিলেন। কিন্তু তারা পুরো এলাকাটি কখনও ঘুরে দেখেননি। আমার এলাকার মানুষই আমাকে বললো, আপনি নির্বাচনে দাঁড়িয়ে যান। আমরা ভোট দেবো। তাদের মন্তব্য ছিল, পাস করার পর এমপিরা আর কেউ কোনো খোঁজ নেয়নি। এটা জেনে তাদের বলেছিলাম, আপনারা এবার ভোট অন্তত দিয়েন। আমি নিজেই আপনাদের কাছে ভোট চাইতে এসেছি। তারা আমাকে অনেক ভালোবাসা দিয়েছেন কখনও অস্বীকার করতে পারবো না। মাঝে মধ্যে ভাবি, একটা সময় চলে যেতে হবে। কিন্তু মানুষ আমাকে কতোটা ভালোবাসে জানতে পারতাম না। চলচ্চিত্র থেকে আমাকে অনেকেই ভালোবাসেন। নির্বাচনে নামার পর মনে হয়েছে, চলচ্চিত্রের ইমেজটা আমাকে অনেক সাহায্য করেছে। মানুষ চলচ্চিত্রের মতো করে আমাকে দেখেছেন, বিশ্বাস রেখেছেন। মানুষগুলো ভেবেছেন, তারা নৌকার একজন মাঝি পেয়েছে।

 

ঢাকা-১৭ আসন থেকে আপনি সংসদ সদস্য হয়েছেন। সেখানে আপনার চ্যালেঞ্জ কোথায় দেখছেন?
ফারুক: পৃথিবীর প্রতিটি জায়গাতেই চ্যালেঞ্জ রয়েছে। ঢাকা-১৭ আসন বলে নয়, বাংলাদেশের প্রতিটি জায়গায় যারাই ভোটের মাধ্যমে পাস করেছেন, তারা কিন্তু একটি কমিটমেন্টের মধ্যে থাকেন বা প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেন, এই এই কাজ করবো। যেসব দিকে খামতি থাকে সেগুলো বলে থাকেন তারা, সেটা ধরে রাখতে পারাই চ্যালেঞ্জ। প্রতিটি মুহূর্তকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিতে হবে। আমি একজন মানুষ, মানুষেরই ভুল হওয়ার আশঙ্কা থাকে বেশি। এই কারণেই চ্যালেঞ্জ নিতে হবে। আর চ্যালেঞ্জ যখন থাকে তখন মানুষ একটু সজাগ থাকে। আমার ক্ষেত্রেও ব্যাপারটা একই।

স্কুলে পড়ার সময় রাজনীতির সঙ্গে জড়ান আপনি। ছয় দফা আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ছাত্র রাজনীতির স্মৃতিগুলো নিশ্চয়ই মনে পড়ে…
ফারুক: অবশ্যই মনে পড়ে। আমার তো মনে হয়, এই তো গতকালেরই কথা! কারণ যারা মাঠপর্যায়ের নেতাকর্মী তারা কখনও এটা ভুলতে পারবে না। আমরা ছিলাম সেই মাঠপর্যায়ের কর্মী। রাজনীতিতে আমার জড়ানোর শুরুটা হয়েছিলো গান, নাচ, কবিতা পাঠ ও দেশ সম্পর্কে জানার মধ্য দিয়ে। মেট্রিক পরীক্ষা দেওয়ার পর পুরোপুরি জড়িয়ে যাই। তখন বাঙালিরা বাংলায় কথা বলতে পারতো না। রেশন কার্ড নিয়ে লাইনের পর লাইন দাঁড়িয়ে থেকে চাল আনতে হতো। প্রচুর জমি থাকলেও তার ব্যবহার করা যেতো না। বিভিন্ন কারণে পশ্চিম পাকিস্তানিরা আমাদের আটকে রাখতো। এসব জিনিস নিয়ে সোচ্চার হওয়ার সময় রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হয়ে যাই। আমরা যেসব সময় পার করেছি তা ছিলো খুব কঠিন। এখনও যে বেঁচে আছি এটি অনেক বড় ব্যাপার।

সারাজীবন চলচ্চিত্রে যে মেধা ও শ্রম দিয়েছেন, যে কষ্ট করেছেন, সেজন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে আজীবন সম্মাননা পেয়েছেন। এবার রাজনীতির ময়দানে সংসদ সদস্য হলেন। কোন অর্জনকে এগিয়ে রাখবেন?
ফারুক: সংসদের জন্য তো আমি নতুন একজন মানুষ। তবে এটুকু বুঝি সংসদ এমন একটি জায়গা যেখান থেকে সম্পূর্ণ দেশের ভাগ্য নির্ধারণ করা হয়। সংসদ এমন একটি জায়গা যেখানে দাঁড়িয়ে স্বাধীনতার কথা বলা যায়। এখান থেকে যখন স্বাধীনতার কথা বলবো সেটি সারাবাংলা জানবে। আমার আসনের কী কী চাই বা কী কী পেলাম তা আনন্দ নিয়ে বলতে পারবো। আমি দেশকে ভালোবাসি, এটুকুই বলতে চাই।

মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক যত ছবি হয়েছে দেশে, সেগুলোতে মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত চিত্র তুলে ধরা সম্ভব হয়েছে বলে মনে করেন?
ফারুক: নাহ। মুক্তিযুদ্ধের ওপর ছবি নির্মিত হয়েছে হাতেগোনা মাত্র কয়েকটি। কিন্তু এই গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস নিয়ে লাখ লাখ ছবি হতে পারে। চলচ্চিত্র ব্যাপারটি অনেক বড়। স্বাধীনতা নিয়ে কতো লাখ লাখ ছবি নির্মাণ করা যায় তা কল্পনাও করা যেতে পারে না।

আপনার দীর্ঘ কর্মজীবনের বড় একটা অংশ কেটেছে এফডিসিতে। কিন্তু এখন এর সোনালি সময় নেই। এফডিসির দিন ফেরাতে এই স্পটের উন্নয়নে কী কী করা উচিত বলে মনে করেন?
ফারুক: এফডিসিতে আমরা যেই সময় পার করেছি সেটিকে বলা হয় স্বর্ণযুগ। তখনকার দিনগুলো ছিলো ভরা নদীর স্রোতের মতো। পরিচালক কিংবা অভিনেতা থেকে পরিচালক হয়েছেন যারা, সবার মধ্যে ছবি তৈরির আগ্রহ অনেক বেশি ছিলো। ভালো চিত্রনাট্যকার ছিলো, গীতিকার-সুরকার ছিলো। সবকিছু মিলিয়ে তখনকার সময়টাতে গল্প সুন্দর হয়েছে, ছবির মেকিং ভালো ছিলো, অ্যানালগ সিস্টেমে তৈরি হতো সব। তখনকার অনেক পরিচালক মারা গেছেন। অনেকে পাড়ি জমিয়েছেন বিদেশে। যার ফলে একটা শূন্যতা তৈরি হয়। আমি বলবো, যারা চলে গেছেন তাদের দায়িত্ব ছিলো কিছু একটা রেখে যাওয়া। হুট করেই একটা বড় শূন্যতা তৈরি হয়ে যায়। আমি অভিনয় ছেড়েছি ৩০ বছর, চিন্তা করা যায়? ৩০ বছর আগে এক টগবগে যুবক ছিলাম, এই যে আমাকে ধরে রাখবে কে? ধরে রাখার মানুষটা কই? আমরাই আমাদের ক্ষতি করছি। এই চলচ্চিত্রের ক্ষতি দিয়ে কিন্তু অনেক কিছু বোঝানো যায়।

বঙ্গবন্ধু ১৯৫৭ সালে যখন এফডিসি তৈরি করেন, তিনি কিন্তু অনেকদূর নিয়ে ভেবেছিলেন। তিনি মন্ত্রী ছিলেন, তিনি এটি না করলেও পারতেন। তিনি কিন্তু পেটপুরে খেতে পারতেন। কিন্তু তিনি এটি চাননি। তার বক্তৃতায় পাওয়া যায় একটি কথা, আমার মানুষের অধিকার। হাতের পাঁচ আঙুল সমান হয় না, তবুও তিনি বলে যেতেন আমার মানুষ। এটি তিনি প্রমাণও করে দিয়েছেন। তার মতোই তার মেয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনিও এফডিসির জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। এই যে, আমজাদ হোসেনের কথাই ধরে নেওয়া যাক। তার চিকিৎসার জন্য সহযোগিতা করেছেন। তাকে আমাদের চলচ্চিত্রের সোনালি যুগের কথা তুলে ধরলে তিনি বলেন, ‘আমার মন্ত্রীরা কাজ করে যাচ্ছেন।’ আমার মনে হয় চলচ্চিত্রবান্ধব সরকার এসেছে। এবার যদি না হয় আর কখনও ঠিক হবে না। এফডিসির কোন কোন জায়গায় ত্রুটি রয়েছে তা বের করতে হবে। এফডিসিতে এমনও অনেক মেশিন আছে যা মুম্বাইয়েও নেই।

অ্যানালগ সিস্টেম বন্ধ হয়ে এখন শুরু হয়েছে ডিজিটাল সিস্টেম। এর মাধ্যমে অনেক চুরি বন্ধ করা যায়। কিন্তু চলচ্চিত্র বানাতে গেলে প্রয়োজন প্রশিক্ষণ। তাই আমাদের ছবি বানাতে গেলে ডিজিটাল সিস্টেমে কিছু প্রশিক্ষণ নেওয়া দরকার ছিলো, যা নেওয়া হয়নি। ডিজিটালের একটি ফর্ম্যাট আমাদের নেই। সেটি হলো প্রজেক্টর মেশিন। এটি যদি হয় তাহলে ধীরে ধীরে ইন্ডাস্ট্রি বদলাবে। আর প্রজেক্টর একটি ছোটখাট মেশিন এটি কেনো হতে পারবে না? আমি মনে করি এটা হবে ইনশাল্লাহ। সবচেয়ে বড় ব্যাপার হলো গল্প, যেটি এখন রাতারাতি সাজিয়ে ফেলা হয়। মানুষ ভিসিআর দেখে বলতো গল্পটা লেখো। এমন করলে হবে না।

আপনি চলচ্চিত্রের মানুষ। তাই আপনি সংসদ সদস্য হওয়ায় চলচ্চিত্র শিল্পীরা আশাবাদী। সংসদ সদস্য হিসেবে চলচ্চিত্র পরিবারের জন্য কী কী করতে চান?
ফারুক: আমি চলচ্চিত্রের মানুষ, এটা কখনও অস্বীকার করতে পারবো না। সংসদ সদস্য হওয়ার পর থেকে সিনেমার মানুষদের বলছি, আমাকে সংসদ সদস্য বলবেন না। এই পদবী শুনলে কেমন জানি পর হয়ে যাই! আমি আপনাদের মিয়া ভাই। দল আমাকে মনোনয়ন দিয়েছে। জনগণ আমাকে ভোট দিয়েছেন। এর যে সম্মান ও অধিকার তা আমাকে দেখতেই হবে। ঢাকা-১৭ আসনের বাসিন্দারা যেভাবে তাদের জন্য কাজ করার জন্য বলতে পারে, একইভাবে চলচ্চিত্রের মানুষদেরও আমার কাছে প্রত্যাশা থাকতে পারে। আমি চুল থেকে নিয়ে পা পর্যন্ত নায়ক ফারুক। এর মধ্যে এসে জড়ো হলো একটা রাজনীতি। রাজনীতির মধ্য দিয়ে সংসদ সদস্য হয়েছি, এখন চলচ্চিত্রের সুবিধা-অসুবিধার কথা অবশ্যই বলতে পারি। আমার এলাকা আর দেশের কথাও বলতে পারি। তবে দলের চিন্তা-ভাবনাকে প্রাধান্য দেবো। এরপর যা বলার বলবো। আওয়ামী লীগ দেশ স্বাধীন করায় নেতৃত্ব দিয়েছে, তারা সঠিক পথে হাঁটে। আমাদের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ উন্নয়ন, হোক সেটি চলচ্চিত্র বা অন্যান্য ক্ষেত্রে।

নতুন প্রজন্মের উদ্দেশে কিছু বলুন।
ফারুক: আমাদের ছেলেমেয়েরা সবাই নতুন প্রজন্মের, তারা প্রথমত জানেই না এই দেশ কীভাবে হলো। তাই তাদের প্রথম কাজ হবে এই দেশের গৌরবময় ইতিহাস জানার চেষ্টা করা। মুক্তিযুদ্ধ, ৩০ লাখ শহীদের রক্ত, দুই লাখ মা-বোনের সম্ভ্রম, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্ব- এই ব্যাপারগুলো হাজার বছর পর্যন্ত বলে যেতে হবে। প্রজন্মের পর প্রজন্ম যেন সব জানতে পারে। জাতির পিতা কী করে গেছেন তা জানা দরকার সবার। পৃথিবীর যেকোনো প্রান্তে দাঁড়িয়ে যেন নতুন প্রজন্ম মাথা উঁচু করে বলতে পারে আমি বাংলাদেশের। সেজন্য নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানতে বলবো। আমি মনে করি, এই দেশের মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা বিশ্বাস করেন এমন প্রত্যেককে এই দায়িত্ব কাঁধে নিতে হবে। কারণ আমাদের জাতির পিতা কিছু করার আগেই তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। তাকে হত্যা করার মধ্য দিয়ে আমাদের দেশের ইতিহাসকে ধামাচাপা দেওয়ার যেই চেষ্টা করা হয়েছে তা থেকে উঠে আসা কিন্তু অনেক বড় ব্যাপার। এখন আমাদের বারবার বলতে হয় মুক্তিযুদ্ধ কীভাবে হয়েছে।

ভবিষ্যতে কেমন বাংলাদেশ দেখতে চান?
ফারুক: বঙ্গবন্ধু সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন দেখতেন। তাই ভবিষ্যতের কথায় যদি আসি তাহলে সোনার বাংলা গড়তে চাই। বলতে চাই, আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা প্রধানমন্ত্রী ভবিষ্যতে বাস্তবায়ন করবেন, এটি দেখতে চাই।

   

ড. হাফিজের লেখা ' আমরা মুক্তি সেনা'



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ড. হাফিজের লেখা ' আমরা মুক্তি সেনা'

ড. হাফিজের লেখা ' আমরা মুক্তি সেনা'

  • Font increase
  • Font Decrease

 

মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে কেন্দ্র করে ড. হাফিজ রহমানের লেখা দেশাত্মবোধক গান 'আমরা মুক্তি সেনা' রিলিজ হয়েছে। বিখ্যাত সুরকার মিল্টন খন্দকারের সুরে গানটি গেয়েছেন জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী মনির খান ও সহশিল্পীবৃন্দ।

এমকে মিউজিক ২৪ এর ব্যানারে গানটি গত ২৬ মার্চ তাদের নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ করা হয়েছে। গানটির মিউজিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন রফিকুল আজাদ খোকন।

'আমরা মুক্তি সেনা' গানটি রিলিজের দুই দিনের মধ্যেই হাজার হাজার ভিউজ হয়েছে।

এই বিষয়ে জানতে চাইলে ড. হাফিজ রহমান বলেন,' মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে কেন্দ্র করে একটি গান লেখার ইচ্ছে ছিলো। ২৫ মার্চ। পৃথিবীর ইতিহাসের এক কাল রাত্রি। ১৯৭১ সালের এই রাতে নিরীহ নিরপরাধ ঘুমন্ত বাঙালি জনগোষ্ঠীর ওপর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী নির্মম নৃশংসতা চালায় । তাই আমার লেখা গানটি সেই রাতেই রিলিজ করার পরিকল্পনা করেছিলাম। অবশেষে বাস্তবে রূপায়িত হলো সেই অভিপ্রায়।'

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিখ্যাত সুরকার মিল্টন খন্দকার বলেন, "গানটির কথা খুবই সুন্দর ছিলো। সুর করেছি। কণ্ঠশিল্পীবৃন্দ সুন্দর কণ্ঠ দিয়েছেন। গানটি বাংলাদেশের ইতিহাসে অক্ষয় হয়ে থাকবে।"

;

জন্মদিনে চমকে দিলেন শাকিব খান



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
‘তুফান’-এ শাকিব খানের নতুন লুক

‘তুফান’-এ শাকিব খানের নতুন লুক

  • Font increase
  • Font Decrease

রীতিমতো ‘তুফানি’ কায়দায় প্রকাশিত হলো ঢালিউড সুপারস্টার শাকিব খানের আরও একটি নতুন সিনেমার পোস্টার। অভিনেতার জন্মদিন উপলক্ষে আজ বিকেলে প্রকাশিত হয় সিনেমার পোস্টার।

দ্রুত শাকিবের নতুন লুক ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। লুফে নিয়েছেন ভক্তরা। লম্বা কোঁকড়ানো চুলে সাদা রোদচশমা, গলায় লকেট পরে সোফায় বসে আছেন হিরো! পাশেই মেশিনগান! আর পোস্টার দেখেই বোঝা যাচ্ছে, ভয়ানক রূপে পর্দায় হাজির হতে যাচ্ছেন শাকিব খান। নতুন সিনেমা আর জন্মদিনের অগ্রিম শুভেচ্ছায় ভেসে যাচ্ছেন জনপ্রিয় নায়ক।

শাকিব খানের জন্মদিন উপলক্ষ্যে প্রকাশিত হয়েছে ‘তুফান’-এর নতুন পোস্টার

অবশ্য মঙ্গলবার থেকেই বিশেষ ঘোষণার মধ্য দিয়ে একটি ঝোড়ো তুফানের পূর্বাভাস দেন পরিচালক রায়হান রাফী। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া পোস্টে সবাইকে নিরাপদে থাকার পরামর্শও দেন পরিচালক। এরপর বুধবার বিকেলেই প্রকাশ করেন ‘তুফান’-এর ফার্স্ট অফিশিয়াল লুক। এই পোস্টার আসবে বলেই দুদিন ধরে নানা নাটকীয় আভাস দিচ্ছিলেন পরিচালক।

যদিও তুফানি বেগে উড়তে হলে অপেক্ষা করতে হবে আসছে কোরবানির ঈদ পর্যন্ত। তখনই সিনেমাটি মুক্তির কথা রয়েছে। তবে এত দ্রুত সিনেমাটির পোস্টার প্রকাশের পেছনেও আছে বিশেষ কারণ, তা হলো শাকিব খানের জন্মদিন। তারকার বিশেষ দিন উপলক্ষে আর দেরি করেনি প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান এবং পরিচালক।

‘তুফান’-এ শাকিব খানের সঙ্গে অভিনয় করবেন কলকাতার মিমি চক্রবর্তী ও বাংলাদেশের নাবিলা

তুফানের যৌথ প্রযোজনা করছে বাংলাদেশের চরকি, আলফা আই আর ভারত থেকে যুক্ত হচ্ছে এসভিএফ। জানা গেছে, ছবিতে শাকিব খান ছাড়াও থাকছেন পশ্চিমবঙ্গের অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী আর বাংলাদেশের ‘আয়নাবাজি’ অভিনেত্রী নাবিলা। ‘তুফান’-এর ভিলেন হিসেবে পশ্চিমবঙ্গের আরেক জনপ্রিয় অভিনেতা যিশু সেনগুপ্তর নামও শোনা যাচ্ছে।

;

নতুন সিনেমায় ভিন্ন আঙ্গিকে আসাদুজ্জামান নূর



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
আসাদুজ্জামান নূর

আসাদুজ্জামান নূর

  • Font increase
  • Font Decrease

মাঝে সব ধরনের অভিনয় থেকেই দূরে ছিলেন প্রখ্যাত অভিনেতা আসাদুজ্জামান নূর। এরপর একটু একটু করে শুরু করেন মঞ্চ ও টিভি নাটকে। তবে চলচ্চিত্রে কাজ করছিলেন না।

এরপর এক এক করে বেশ কয়েকটি নতুন সিনেমায় চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন এই তারকা। এবার পাওয়া গেল নূরের নতুন আরেকটি ছবির খবর। তবে এবার আর অভিনয় নয়। একটু ভিন্নভাবে যুক্ত হওয়া ছবিটির সঙ্গে।

ভাষা আন্দোলনের আগেভাগের গল্প নিয়ে নির্মিত হচ্ছে চলচ্চিত্র ‘যাপিত জীবন’। সেই ছবিতে যুক্ত হলেন আসাদুজ্জামান নূর। ছবির একটি অংশের জন্য কবিতা আবৃত্তি করলেন তিনি। শনিবার দুপুরে রাজধানীর একটি স্টুডিওতে তার কণ্ঠে কবিতাটি রেকর্ডিং হয়। ছবির পরিচালক হাবিবুল ইসলাম হাবিব জানান, ছবি শেষ হবে আসাদুজ্জামান নূরের কণ্ঠে আবু জাফর ওবায়দুল্লাহর ‘কোনো এক মাকে’ কবিতাটির পাঠের মধ্য দিয়ে।

পরিচালক বলেন, ‘এ অংশ ছবির জন্য খুবই একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এখানে কবিতাটি খুবই প্রাসঙ্গিক। ছবি শেষ হচ্ছে, নেপথ্যে কবিতাটি শোনা যাচ্ছে। গল্পের সঙ্গে চমৎকারভাবে কবিতাটির কথা, মর্ম মিলে যায়। আমার বিশ্বাস, ওই সময় প্রেক্ষাগৃহে দারুণ একটি পরিবেশ তৈরি হবে দর্শকের মাঝে।’

কবিতাটি আবৃত্তির জন্য আসাদুজ্জামান নূরকে নেওয়া প্রসঙ্গে হাবিব আরও বলেন, ‘ছোটবেলা থেকেই নূর ভাইয়ের আবৃত্তি শুনে আসছি। তার আবৃত্তির ভঙ্গি দারুণ। আর ছবির এই জায়গায় তার কণ্ঠ ভালো মানিয়ে যায়। এ ছাড়া এই ছবিতে অনেক গুণীজন যুক্ত আছেন। আরেক গুণী মানুষ হিসেবে নূর ভাইকে চেয়েছি।’

আসাদুজ্জামান নূর

জানালেন, বেশ কিছুদিন আগে কাজটির জন্য আসাদুজ্জামান নূরকে অনুরোধ করেছিলেন তিনি। বলেন, ‘বিষয়টি বুঝিয়ে নূর ভাইকে প্রস্তাব দিয়েছিলাম। শুনেই রাজি হন তিনি। নানা ব্যস্ততায় কাজটি করে দিতে সময় পাচ্ছিলেন না। আজ সময় বের করে কাজটি করে দিলেন তিনি। আমি মনে করি, নূর ভাইয়ের কারণে আমার ছবির মান আরও বেড়ে গেল।’

২০২১-২২ বছরের সরকারের অনুদানের ছবি এটি। ২০২২ সালের নভেম্বর মাসে এর শুটিং শুরু হয়।

পরিচালক আরও জানিয়েছেন, পোস্ট প্রোডাকশনের কাজ প্রায় শেষের পথে। আগামী সপ্তাহের শুরু দিকে প্রিভিউয়ের জন্য তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া হবে। চলতি বছরই প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির কথা আছে ছবিটির। সেলিনা হোসেনের গল্প থেকে যৌথভাবে এটি চিত্রনাট্য করেছেন অনিমেষ আইচ ও ইশতিয়াক আহমেদ।

এতে অভিনয় করেছেন আফজাল হোসেন, গাজী রাকায়েত, রোকেয়া প্রাচী, আজাদ আবুল কালাম, জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়, ডলি জহুর, ইমতিয়াজ বর্ষণ, আশনা হাবিব ভাবনা, সমাপ্তি, মৌসুমি হামিদ প্রমুখ।

;

কলকাতার ‘পট্ট নাট্য মেলায়’ পদাতিকের ‘গুনজান বিবির পালা’



মাসিদ রণ, সিনিয়র নিউজরুম এডিটর, বার্তা২৪.কম
‘গুনজান বিবির পালা’ নাটকের দৃশ্য

‘গুনজান বিবির পালা’ নাটকের দৃশ্য

  • Font increase
  • Font Decrease

কলকাতার ‘পট্ট নাট্য মেলা’য় আমন্ত্রন পেয়েছে বাংলাদেশের মঞ্চ নাটকের দল পদাতিক নাট্য সংসদ টিএসসি। আগামীকাল ২৯ মার্চ কলকাতার অনুচিন্তন আর্ট সেন্টারে প্রদর্শিত হবে পদাতিকের ৪১ তম প্রযোজনা ‘গুনজান বিবির পালা’। এই শো উপলক্ষ্যে পদাতিক নাট্য সংসদেও ২২ সদস্য এখন কলকাতায়। নাটকটির রচনা ও নির্দেশনা দিয়েছেন সায়িক সিদ্দিকী।

নাটকে অনেকটা অংশ বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী পালা গানের আঙ্গিকে করা। যে পালা বসে গ্রামের আসরে, বয়াতিদের এক শৈল্পিক নাট্য বয়ানে। শুধু পালাগান নয়, নাটকটিতে কাওয়ালি, পুঁথিসহ আরও অনেক লোকজ দিক তুলে ধরা হয়েছে।

যার প্রেক্ষাপট একটি থিয়েটার দল। বিভিন্ন সমস্যার মধ্য যাদের পথচলা দীর্ঘদিনের। সেই দলের প্রধান নাটকের জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগ করতে রাজী। দলটির একটি নাটক ‘পালা’ আকারে মঞ্চায়ন করা হবে, যা সাত ভাই চ¤পা অবলম্বনে ‘গুনজান বিবির পালা’ নামে দর্শকদের কাছে মঞ্চায়িত হবে। অর্থাৎ নাটকের মধ্যে আরেক নাটক দেখা যায় এই প্রযোজনায়।

‘গুনজান বিবির পালা’ নাটকের দৃশ্য

এর বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন মমিনুল হক দীপু, মশিউর রহমান, শামছি আরা সায়েকা, আমানুজ্জামান, রাবেয়া, নুরুন্নাহার পাপিয়া, শাখাওয়াত হোসেন শিমুল, জয়, সালমান শুভ, আবু নাসেম লিমন, মোঃ ইমরান খাঁন, শরীফুল ইসলাম, জিতু, পলাশ, জিয়া, জেনি, সৃজা, নাজমা ও শ্রেষ্ঠা।

মঞ্চ-সঞ্জীব কুমার দে, আলো- অতিকুল ইসলাম জয়, পোশাক, দ্রব্য ও কোরিওগ্রাফিÑ সাঈদা শামছি আরা, সঙ্গীত- হুমায়ন আজম রেওয়াজ, প্রযোজনা অধীকর্তাÑ সৈয়দ ইশতিয়াক হোসাইন টিটো।

;