অবশেষে মুক্তি পাচ্ছে ‘শঙ্কর মুদি’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, কলকাতা, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

কাহিনি, চিত্রনাট্য ও পরিচালনায় অনিকেত চট্টোপাধ্যায়ের সিনেমা, ‘শঙ্কর মুদি’ মুক্তি পাচ্ছে ১৫ই মার্চ। কোনো এক অজানা কারণে ছবির মুক্তি দীর্ঘদিন ধরে আটকে ছিল। তবে সব বাধা কাটিয়ে অবশেষে ছবিটি মুক্তি পেতে চলেছে ছবিটি। শঙ্কর মুদি ছবিটি তৈরি হয়েছে একটি রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে সামাজিক গল্পের উপর ভিত্তি করে। আর পাঁচটা ছবির মত বক্স অফিসে মুনাফার কথা মাথায় রেখে মেক করা হয়নি ছবিটি।

গল্পের মূল বিষয়, গ্লোবালাইজেশনের যুগে খুব সহজেই হাতের নাগালে পাওয়া যায় বিদেশি পণ্য। অপরদিকে রাজপথে মাথা তুলে দাঁড়াচ্ছে পাঁচতারা শপিং মল। কোনো রাজনৈতিক দলগুলোর ভাবা প্রয়োজন মনে করছে না পাড়ার ছোট ছোট দোকানগুলোর ভবিষ্যৎ। ফলে ক্ষতির মুখে পড়ছে পাড়ার দোকনগুলো। দোকানগুলোর সঙ্গে অনিশ্চিত হয়ে পড়ছে দোকানদারের পরিবার। ফলে একটা পাড়ার ভবিষ্যতও অনিশ্চিত হয়ে পড়ছে ধীরেধীরে, ভেঙে যাচ্ছে পাড়ার একতা। নিউক্লিয়ারে পরিণত হচ্ছে পাড়ার পরিবারগুলো। সেই অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ যুক্ত পরিবারগুলোর গল্প উঠে এসেছে শঙ্কর মুদির হাত ধরে। সিনেমাটি ইতিমধ্যে কান ফিল্মফেসটিভ্যাল ও কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে দর্শকদের প্রশংসা পেয়েছে। এবার ১৫ই মার্চ মুক্তি পাচ্ছে সর্বসাধারণের জন্য।

ছবিটির প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন কৌশিক গাঙ্গুলী। আছেন অঞ্জন দত্ত, যীশু সেনগুপ্ত, রুদ্রনীল, শাশ্বত ও সৌমিত্র চ্যাটার্জী। সঙ্গীত পরিচালনায় কবীর সুমন এবং কন্ঠ দিয়েছেন প্রতীক চৌধুরী ও সুমন নিজেও। স্টার কাস্ট ও আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্রের সাফল্যই বলে দিচ্ছে শঙ্কর মুদি এক ও ভিন্ন বাংলা ছবির ইতিহাসে। ছবিটি মুক্তির আগে আয়োজন করা হয়েছিল এক সংবাদ সম্মেলনের, যেখানে উপস্থিত ছিলেন- কৌশিক গাঙ্গুলী, অনিকেত চট্টোপাধ্যায়, শ্রীলা মজুমদার এবং ছবির সংগীত পরিচালক কবীর সুমনসহ প্রমুখেরা।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Mar/03/1551598525839.jpg

শঙ্কর মুদি চরিত্রের অভিনেতা কৌশিক গাঙ্গুলী জানালেন, এটা আমার কাছে খুবই আনন্দের বিষয়, আমার বাবা যন্ত্র সংগীত শিল্পী ছিলেন। মানুষকে আনন্দ দিতেন। সেই টাকায় আমরা খেয়েপড়ে বড় হয়েছি। আমার স্ত্রীও অভিনেত্রী। আমি নিজেও ছবি পরিচালনা করি এবং অভিনয় করি। আর আমার পুত্র অভিনয় করা শুরু করেছে। আমরা মানুষকে আনন্দ দিই। এটাই আমাদের পেশা। আমি যেমন ছবি পরিচালনা করে আনন্দ পাই তেমনি অভিনয় করেও আনন্দ পাই। শঙ্কর মুদি এমন একটা ছবি যেটা বাদ দিয়ে আমাদের সমাজ সম্পূর্ণ হয় না। যে ছবিটা না দেখলে আপনাদের জীবনেও কিছু একটা অসম্পূর্ণ থেকে যাবে। আপনি সমাজের সব কিছুতেই সরাসরি যোগদান করতে পারেন না, সেই জায়গায় এই ছবি আপনাদেরকে একটা সুযোগ করে দেবে, পরোক্ষভাবে, এর সহযোগী হয়ে ওঠার। আপনারা অনিকেত চট্টোপাধ্যায়ের এই ছবিটি দেখলে বুঝতে পারবেন, এই চরিত্রগুলি আমাদের সমাজের মধ্যেই রয়েছে। এটা আমাদের সমাজের আর পাঁচ জন মানুষের জীবনের ঘটনা।

এবিষয়ে পরিচালক অনিকেত চট্টোপাধ্যায় জানালেন, বহুদিন ধরে এরকম একটা ছবি বানানোর ইচ্ছা ছিল কারণ, এই শঙ্কর মুদি গল্পটি আমার পাড়ারই গল্প। এই ছবির প্রত্যেকটা চরিত্রকেই আমি নিজের চোখে দেখেছি এবং এদের সঙ্গে কথা বলেছি। আমাদের দেশে যখন প্রথমবার ফরেন ডিরেক্ট ইনভেস্টমেন্ট আসা শুরু হলো সেই সময় থেকেই কিন্তু বেশ কিছু মানুষজন কাজ হারানো দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলেন। সেই প্রেক্ষাপটেই আমার এই ছবির গল্প। এটা ঠিক যে ছবিটা ২০১৬ সালে তৈরি হয়েছিল, তারপর বিভিন্ন কারণে প্রযোজকদের ঘরে ছবিটি পড়েছিল। তবে অবশেষে ২০১৯ এর ১৫ই মার্চ ছবিটি মুক্তি পেতে চলেছে এটাই আমাদের কাছে আনন্দের। কৌশিক গাঙ্গুলীকে এই ছবিতে ভাবার একমাত্র কারণ হলো তিনি এই বাংলার অন্যতম শ্রেষ্ঠ একজন অভিনেতা।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Mar/03/1551598546778.jpg

অভিনেত্রী অঙ্কিতা জানালেন, এই ছবিটি আমার খুব ছোট্ট একটা চরিত্র। এই ছবিটা করার একমাত্র কারণ হলো ছবির মাধ্যমে যে বক্তব্যকে তুলে ধরা হয়েছে সেটা এক কথায় অসাধারণ। ছবিতে আমার চরিত্রের নাম সীতা। মেয়েটি সেই পাড়ার একটি সাধারণ ঘরের মেয়ে। সে হঠাৎ করেই পাড়ার এক অটোরিকশা চালকের প্রেমে পড়ে যায়। সে বাড়ির কাউকে কিছু না বলেই বিয়ে করে নেয় এবং বিয়ের পর সুখী হয় না। এবং সে শঙ্কর মুদি দোকান থেকে বিষ কিনে আত্মহত্যা করে ।

   

ড. হাফিজের লেখা ' আমরা মুক্তি সেনা'



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ড. হাফিজের লেখা ' আমরা মুক্তি সেনা'

ড. হাফিজের লেখা ' আমরা মুক্তি সেনা'

  • Font increase
  • Font Decrease

 

মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে কেন্দ্র করে ড. হাফিজ রহমানের লেখা দেশাত্মবোধক গান 'আমরা মুক্তি সেনা' রিলিজ হয়েছে। বিখ্যাত সুরকার মিল্টন খন্দকারের সুরে গানটি গেয়েছেন জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী মনির খান ও সহশিল্পীবৃন্দ।

এমকে মিউজিক ২৪ এর ব্যানারে গানটি গত ২৬ মার্চ তাদের নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ করা হয়েছে। গানটির মিউজিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন রফিকুল আজাদ খোকন।

'আমরা মুক্তি সেনা' গানটি রিলিজের দুই দিনের মধ্যেই হাজার হাজার ভিউজ হয়েছে।

এই বিষয়ে জানতে চাইলে ড. হাফিজ রহমান বলেন,' মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে কেন্দ্র করে একটি গান লেখার ইচ্ছে ছিলো। ২৫ মার্চ। পৃথিবীর ইতিহাসের এক কাল রাত্রি। ১৯৭১ সালের এই রাতে নিরীহ নিরপরাধ ঘুমন্ত বাঙালি জনগোষ্ঠীর ওপর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী নির্মম নৃশংসতা চালায় । তাই আমার লেখা গানটি সেই রাতেই রিলিজ করার পরিকল্পনা করেছিলাম। অবশেষে বাস্তবে রূপায়িত হলো সেই অভিপ্রায়।'

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিখ্যাত সুরকার মিল্টন খন্দকার বলেন, "গানটির কথা খুবই সুন্দর ছিলো। সুর করেছি। কণ্ঠশিল্পীবৃন্দ সুন্দর কণ্ঠ দিয়েছেন। গানটি বাংলাদেশের ইতিহাসে অক্ষয় হয়ে থাকবে।"

;

জন্মদিনে চমকে দিলেন শাকিব খান



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
‘তুফান’-এ শাকিব খানের নতুন লুক

‘তুফান’-এ শাকিব খানের নতুন লুক

  • Font increase
  • Font Decrease

রীতিমতো ‘তুফানি’ কায়দায় প্রকাশিত হলো ঢালিউড সুপারস্টার শাকিব খানের আরও একটি নতুন সিনেমার পোস্টার। অভিনেতার জন্মদিন উপলক্ষে আজ বিকেলে প্রকাশিত হয় সিনেমার পোস্টার।

দ্রুত শাকিবের নতুন লুক ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। লুফে নিয়েছেন ভক্তরা। লম্বা কোঁকড়ানো চুলে সাদা রোদচশমা, গলায় লকেট পরে সোফায় বসে আছেন হিরো! পাশেই মেশিনগান! আর পোস্টার দেখেই বোঝা যাচ্ছে, ভয়ানক রূপে পর্দায় হাজির হতে যাচ্ছেন শাকিব খান। নতুন সিনেমা আর জন্মদিনের অগ্রিম শুভেচ্ছায় ভেসে যাচ্ছেন জনপ্রিয় নায়ক।

শাকিব খানের জন্মদিন উপলক্ষ্যে প্রকাশিত হয়েছে ‘তুফান’-এর নতুন পোস্টার

অবশ্য মঙ্গলবার থেকেই বিশেষ ঘোষণার মধ্য দিয়ে একটি ঝোড়ো তুফানের পূর্বাভাস দেন পরিচালক রায়হান রাফী। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া পোস্টে সবাইকে নিরাপদে থাকার পরামর্শও দেন পরিচালক। এরপর বুধবার বিকেলেই প্রকাশ করেন ‘তুফান’-এর ফার্স্ট অফিশিয়াল লুক। এই পোস্টার আসবে বলেই দুদিন ধরে নানা নাটকীয় আভাস দিচ্ছিলেন পরিচালক।

যদিও তুফানি বেগে উড়তে হলে অপেক্ষা করতে হবে আসছে কোরবানির ঈদ পর্যন্ত। তখনই সিনেমাটি মুক্তির কথা রয়েছে। তবে এত দ্রুত সিনেমাটির পোস্টার প্রকাশের পেছনেও আছে বিশেষ কারণ, তা হলো শাকিব খানের জন্মদিন। তারকার বিশেষ দিন উপলক্ষে আর দেরি করেনি প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান এবং পরিচালক।

‘তুফান’-এ শাকিব খানের সঙ্গে অভিনয় করবেন কলকাতার মিমি চক্রবর্তী ও বাংলাদেশের নাবিলা

তুফানের যৌথ প্রযোজনা করছে বাংলাদেশের চরকি, আলফা আই আর ভারত থেকে যুক্ত হচ্ছে এসভিএফ। জানা গেছে, ছবিতে শাকিব খান ছাড়াও থাকছেন পশ্চিমবঙ্গের অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী আর বাংলাদেশের ‘আয়নাবাজি’ অভিনেত্রী নাবিলা। ‘তুফান’-এর ভিলেন হিসেবে পশ্চিমবঙ্গের আরেক জনপ্রিয় অভিনেতা যিশু সেনগুপ্তর নামও শোনা যাচ্ছে।

;

নতুন সিনেমায় ভিন্ন আঙ্গিকে আসাদুজ্জামান নূর



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
আসাদুজ্জামান নূর

আসাদুজ্জামান নূর

  • Font increase
  • Font Decrease

মাঝে সব ধরনের অভিনয় থেকেই দূরে ছিলেন প্রখ্যাত অভিনেতা আসাদুজ্জামান নূর। এরপর একটু একটু করে শুরু করেন মঞ্চ ও টিভি নাটকে। তবে চলচ্চিত্রে কাজ করছিলেন না।

এরপর এক এক করে বেশ কয়েকটি নতুন সিনেমায় চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন এই তারকা। এবার পাওয়া গেল নূরের নতুন আরেকটি ছবির খবর। তবে এবার আর অভিনয় নয়। একটু ভিন্নভাবে যুক্ত হওয়া ছবিটির সঙ্গে।

ভাষা আন্দোলনের আগেভাগের গল্প নিয়ে নির্মিত হচ্ছে চলচ্চিত্র ‘যাপিত জীবন’। সেই ছবিতে যুক্ত হলেন আসাদুজ্জামান নূর। ছবির একটি অংশের জন্য কবিতা আবৃত্তি করলেন তিনি। শনিবার দুপুরে রাজধানীর একটি স্টুডিওতে তার কণ্ঠে কবিতাটি রেকর্ডিং হয়। ছবির পরিচালক হাবিবুল ইসলাম হাবিব জানান, ছবি শেষ হবে আসাদুজ্জামান নূরের কণ্ঠে আবু জাফর ওবায়দুল্লাহর ‘কোনো এক মাকে’ কবিতাটির পাঠের মধ্য দিয়ে।

পরিচালক বলেন, ‘এ অংশ ছবির জন্য খুবই একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এখানে কবিতাটি খুবই প্রাসঙ্গিক। ছবি শেষ হচ্ছে, নেপথ্যে কবিতাটি শোনা যাচ্ছে। গল্পের সঙ্গে চমৎকারভাবে কবিতাটির কথা, মর্ম মিলে যায়। আমার বিশ্বাস, ওই সময় প্রেক্ষাগৃহে দারুণ একটি পরিবেশ তৈরি হবে দর্শকের মাঝে।’

কবিতাটি আবৃত্তির জন্য আসাদুজ্জামান নূরকে নেওয়া প্রসঙ্গে হাবিব আরও বলেন, ‘ছোটবেলা থেকেই নূর ভাইয়ের আবৃত্তি শুনে আসছি। তার আবৃত্তির ভঙ্গি দারুণ। আর ছবির এই জায়গায় তার কণ্ঠ ভালো মানিয়ে যায়। এ ছাড়া এই ছবিতে অনেক গুণীজন যুক্ত আছেন। আরেক গুণী মানুষ হিসেবে নূর ভাইকে চেয়েছি।’

আসাদুজ্জামান নূর

জানালেন, বেশ কিছুদিন আগে কাজটির জন্য আসাদুজ্জামান নূরকে অনুরোধ করেছিলেন তিনি। বলেন, ‘বিষয়টি বুঝিয়ে নূর ভাইকে প্রস্তাব দিয়েছিলাম। শুনেই রাজি হন তিনি। নানা ব্যস্ততায় কাজটি করে দিতে সময় পাচ্ছিলেন না। আজ সময় বের করে কাজটি করে দিলেন তিনি। আমি মনে করি, নূর ভাইয়ের কারণে আমার ছবির মান আরও বেড়ে গেল।’

২০২১-২২ বছরের সরকারের অনুদানের ছবি এটি। ২০২২ সালের নভেম্বর মাসে এর শুটিং শুরু হয়।

পরিচালক আরও জানিয়েছেন, পোস্ট প্রোডাকশনের কাজ প্রায় শেষের পথে। আগামী সপ্তাহের শুরু দিকে প্রিভিউয়ের জন্য তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া হবে। চলতি বছরই প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির কথা আছে ছবিটির। সেলিনা হোসেনের গল্প থেকে যৌথভাবে এটি চিত্রনাট্য করেছেন অনিমেষ আইচ ও ইশতিয়াক আহমেদ।

এতে অভিনয় করেছেন আফজাল হোসেন, গাজী রাকায়েত, রোকেয়া প্রাচী, আজাদ আবুল কালাম, জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়, ডলি জহুর, ইমতিয়াজ বর্ষণ, আশনা হাবিব ভাবনা, সমাপ্তি, মৌসুমি হামিদ প্রমুখ।

;

কলকাতার ‘পট্ট নাট্য মেলায়’ পদাতিকের ‘গুনজান বিবির পালা’



মাসিদ রণ, সিনিয়র নিউজরুম এডিটর, বার্তা২৪.কম
‘গুনজান বিবির পালা’ নাটকের দৃশ্য

‘গুনজান বিবির পালা’ নাটকের দৃশ্য

  • Font increase
  • Font Decrease

কলকাতার ‘পট্ট নাট্য মেলা’য় আমন্ত্রন পেয়েছে বাংলাদেশের মঞ্চ নাটকের দল পদাতিক নাট্য সংসদ টিএসসি। আগামীকাল ২৯ মার্চ কলকাতার অনুচিন্তন আর্ট সেন্টারে প্রদর্শিত হবে পদাতিকের ৪১ তম প্রযোজনা ‘গুনজান বিবির পালা’। এই শো উপলক্ষ্যে পদাতিক নাট্য সংসদেও ২২ সদস্য এখন কলকাতায়। নাটকটির রচনা ও নির্দেশনা দিয়েছেন সায়িক সিদ্দিকী।

নাটকে অনেকটা অংশ বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী পালা গানের আঙ্গিকে করা। যে পালা বসে গ্রামের আসরে, বয়াতিদের এক শৈল্পিক নাট্য বয়ানে। শুধু পালাগান নয়, নাটকটিতে কাওয়ালি, পুঁথিসহ আরও অনেক লোকজ দিক তুলে ধরা হয়েছে।

যার প্রেক্ষাপট একটি থিয়েটার দল। বিভিন্ন সমস্যার মধ্য যাদের পথচলা দীর্ঘদিনের। সেই দলের প্রধান নাটকের জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগ করতে রাজী। দলটির একটি নাটক ‘পালা’ আকারে মঞ্চায়ন করা হবে, যা সাত ভাই চ¤পা অবলম্বনে ‘গুনজান বিবির পালা’ নামে দর্শকদের কাছে মঞ্চায়িত হবে। অর্থাৎ নাটকের মধ্যে আরেক নাটক দেখা যায় এই প্রযোজনায়।

‘গুনজান বিবির পালা’ নাটকের দৃশ্য

এর বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন মমিনুল হক দীপু, মশিউর রহমান, শামছি আরা সায়েকা, আমানুজ্জামান, রাবেয়া, নুরুন্নাহার পাপিয়া, শাখাওয়াত হোসেন শিমুল, জয়, সালমান শুভ, আবু নাসেম লিমন, মোঃ ইমরান খাঁন, শরীফুল ইসলাম, জিতু, পলাশ, জিয়া, জেনি, সৃজা, নাজমা ও শ্রেষ্ঠা।

মঞ্চ-সঞ্জীব কুমার দে, আলো- অতিকুল ইসলাম জয়, পোশাক, দ্রব্য ও কোরিওগ্রাফিÑ সাঈদা শামছি আরা, সঙ্গীত- হুমায়ন আজম রেওয়াজ, প্রযোজনা অধীকর্তাÑ সৈয়দ ইশতিয়াক হোসাইন টিটো।

;