২৫ মার্চের ভয়াল কালরাতকে স্মরণ করে প্রতি বছর প্রাচ্যনাট আয়োজন করে ‘লালযাত্রা’। এবারও ব্যতিক্রম হচ্ছে না। এজন্য সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে ঢাকার নাট্য সংগঠনটি।
আগামী ২৫ মার্চ বিকাল সাড়ে ৫টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বোপার্জিত স্বাধীনতা চত্বর (টিএসসি) থেকে স্মৃতি চিরন্তন চত্বর (ফুলার রোড সড়কদ্বীপ) পর্যন্ত সবান্ধব হেঁটে যাবেন প্রাচ্যনাটের সদস্যরা। এ সময় তারা গেয়ে যাবেন ‘ধনধান্য পুষ্প ভরা’সহ দেশের গান।
বিজ্ঞাপন
স্মৃতি চিরন্তন চত্বরে সব শহীদের প্রতি সম্মানার্থে প্রদীপ প্রজ্জ্বালনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে এবারের ‘লালযাত্রা’। এর মূল ভাবনা রাহুল আনন্দের। তিনি বলেন, ‘১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ ভয়াল কালরাতে শহীদের তাজা রক্তে ভিজে রাঙা হয় পলাশ, শিমুলসহ হরেক রঙের ফুল। দীর্ঘ কালরাত্রির প্রাক্কালে আমাদের পূর্বপুরুষের লাল রক্তের পথ ধরে স্বাধীন আমরা হেঁটে চলি ঐক্যের বন্ধনে, লালযাত্রায়।’
প্রাচ্যনাটের প্রচার সম্পাদক শশাঙ্ক সাহা জানান, নয় বছর ধরে নিয়মিতভাবে ‘লালযাত্রা’র মাধ্যমে শহীদদের স্মরণ করছে প্রাচ্যনাট। অনুষ্ঠানটি সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
শাহরিয়ার স্বপন বাংলাদেশের একজন সফল তরুণ সংগঠক। তার বেশি পরিচিতি দেশের অন্যতম বড় তারকাবহুল অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠান ‘বাইফা’র ফাউন্ডার হিসেবে।
এছাড়া তিনি ‘বাংলাদেশ অ্যাচিভার্স অ্যাওয়ার্ড’সহ নানা ধরনের ইভেন্ট অর্গানাইজ করে আসছেন বিগত এক দশক ধরে। কাজের স্বাীকৃতিস্বরূপ দেশ-বিদেশের নানা সম্মাননাও পেয়েছেন। তারমধ্যে রয়েছে ভারত, থাইল্যান্ড, দুবাইসহ নানা দেশের পুরস্কার।
এবার ভারতের আরেকটি সম্মানজনক প্রাপ্তি যোগ হলো তার ঝুলিতে। তিনি ‘মহাত্মা গান্ধী শান্তি পুরস্কার ২০২৪’ পেয়েছেন। তরুণ সমাজসেবক, সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড ও মানবাধিকার সংগঠক হিসেবে এই পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। সম্প্রতি ভারতের কলকাতায় অনুষ্ঠিত এই আয়োজনে অংশ নেন শাহরিয়ার স্বপন। তার হাতে পুরস্কার তুলে দেন কলকাতার স্বনামধণ্য ব্যক্তিবর্গ।
পুরস্কার পেয়ে তিনি বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘বিগত এক দশক ধরে নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করছি। প্রতিটি ইভেন্টের মাধ্যমে সমাজের জ্ঞাণী-গুণী মানুষদের সম্মান প্রদাণের চেষ্টা করি। দেশের স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস থেকে শুরু করে নারীশক্তির জয়কে সেলিব্রেট করতে নারী দিবস সম্মাননাসহ নানা ধরনের আয়োজন করে আসছি। এছাড়া সংস্কৃতির প্রতি গভীর ভালোবাসা ও সম্মান থেকে দেশসেরা শিল্পীদের কাজের স্বীকৃতি দিতে একাধিক বড় পরিসরের আয়োজন করে থাকি। আগামীতে দেশের বাইরেও এ ধরনের কাজের মাধ্যমে আমার দেশের সংস্কৃতিকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তুলে ধরার ইচ্ছে। অর্থাৎ আমার সকল কাজই সমাজে শান্তি ও পজিটিভিটি ছড়িয়ে দেবার জন্য। তাই ভারত থেকে সে দেশের জাতির জনকের নামে মহাত্মা গান্ধী শান্তি পুরস্কার পেয়ে আমি গর্বিত। আমার কাজের যথার্থ মূল্যায়ন দেবার জন্য আয়োজকদের ধন্যবাদ জানাই।’
গ্রাম থেকে উঠে আসা শামসুন্নাহার স্মৃতির পরীমণি হয়ে ওঠা অনেকটা সিনেমার কাহিনির মতোই। মাকে হারিয়েছেন খুব কম বয়সেই; তার বাবারও মৃত্যু হয়েছে দুর্বৃত্তের গুলিতে। পরে অভিভাবকের দায়িত্ব নেন নানা শামসুল হক গাজী।
আর আজ তিনি সারাদিন চর্চিত প্রথম স্বামীর সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতের খবরকে কেন্দ্র করে। এরপর আবার তার প্রথম সিনেমা ‘ভালোবাসা সীমাহীন’-এর পরিচালকের লাইফ সাপোর্টের খবর আসে।
তবে পরী আছেন তার নিজের মতো। ফেসবুকে আঁড়ি পাতলে দেখা যায়, তিনি এখন গ্রামে। তার বাড়িতে খাসি কোরবানি করা হয়েছে। মেয়েকে নিয়ে প্রথমবার নিজের নানাবাড়ি গেলেন পরী। এমন সময়ে পরী ফেসবুকে দিলেন এক রহস্যময় স্ট্যাটাস। পরীমণি কণ্ঠশিল্পী হায়দার হোসেনের জনপ্রিয় গানের দু’লাইন তুলে ধরেছেন, ‘নিয়তির ডাকে দিলে যে সাড়া, ফেলে গেলে শুধু নীরবতা। যার চলে যায় সেই বোঝে হায় বিচ্ছেদের কি যন্ত্রণা!’
পোস্টের মন্তব্যের ঘরে পরীর অনুসারীদের একজন লিখেছেন, কথাগুলো সত্য...। নায়িকার সঙ্গে একমত হয়ে অন্য একজন লিখেছেন, ‘যার চলে যায় সেই বোঝে।’
তবে পরীর এই স্ট্যাটাস কার উদ্দেশে তা বোঝা যাচ্ছে না। তিনি কি কথাগুলো তার প্রাক্তন স্বামীর মৃত্যুতে লিখেছেন? নাকি তার নানার মৃত্যুবার্ষিকীতে উপলক্ষ্যে স্মৃতিচারণ?
গেল বছরের ২৩ নভেম্বর রাজধানীর একটি হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় না ফেরার দেশে চলে যান তিনি। দেখতে দেখতে পরীমণির নানার মারা যাওয়ার এক বছর পূর্ণ হলো শনিবার (২৩ নভেম্বর)। নানার প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীতে বরিশালেই আছেন পরীমণি। আয়োজন করেছেন দোয়া-মাহফিলের।
অন্যদিকে ঢাকা-ভাঙ্গা মহাসড়কের মাদারীপুরের শিবচরে সড়ক দুর্ঘটনায় চিত্রনায়িকা পরীমণির প্রথম স্বামী ইসমাইল হোসেন জমাদ্দার নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) ভোরে উপজেলার পাচ্চর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। পরে রাতে জানাজা শেষে নিজবাড়ি ছোট শৌলা গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
গতকাল রাত থেকেই সংবাদ শিরোনামে আলোচিত চিত্রনায়িকা পরীমণি। তার প্রথম স্বামীর মৃত্যুর খবরটি তাকে জড়িয়ে করা হয়েছে, যদিও তার সঙ্গে পরীর কোন সম্পৃক্ততা ছিলো না। একই দিনে আবারও আরেকটি খবরে জুড়ে গেলো পরীর নাম।
অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি পরীমণির প্রথম সিনেমা ‘ভালোবাসা সীমাহীন’-এর পরিচালক শাহ আলম মণ্ডল। হঠাৎ করে অসুস্থ হয়ে পড়লে দিন দিন তার অসুস্থতা বাড়তে থাকে। এরপর দ্রুত মগবাজার কমিউনিটি হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে অন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
এভাবে ৫ হাসপাতাল ঘুরে গতকাল শুক্রবার এই পরিচালককে ভর্তি করানো হয় গুলশানের একটি বেসরকারি হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে। পরিস্থিতির অবনতি হলে আজ শনিবার ভোরে তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়েছে। খবরটি নিশ্চিত করেছেন পরিচালকের স্ত্রী উম্মে কুলসুম।
তিনি জানালেন, শাহ আলম মণ্ডলের শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক। গত দুই দিনে ১৩ ব্যাগ রক্ত দেওয়া হয়েছে। কোনো অবস্থায় তার শরীরের রক্তক্ষরণ বন্ধ হচ্ছে না। চিকিৎসকের বরাতে এই পরিচালকের পরিবার জানিয়েছে, শাহ আলম মণ্ডলের লিভার ফাংশন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং সেটা সিরিয়াস পর্যায়ে আছে। তার জন্য প্রচুর ‘এ’ পজিটিভ রক্তের প্রয়োজন। এর আগে চলতি বছরের জুলাই মাসে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন শাহ আলম মণ্ডল।
শাহ আলম মণ্ডলের হাত ধরে চলচ্চিত্রে পা রাখেন সময়ের আলোচিত চিত্রনায়িকা পরীমণি। এই পরিচালক তাকে নিয়ে নির্মাণ করেন ‘ভালোবাসা সীমাহীন’ ছবিটি। পরিচালকের অন্য ছবিগুলো হচ্ছে ‘আপন মানুষ’, ‘ডনগিরি’ এবং ‘লকডাউন লাভ স্টোরি’ (২০২২)। পরিচালক সোহানুর রহমান সোহানের সহকারী হিসেবে শাহ আলম মণ্ডল ২০১১ সালে চলচ্চিত্রে আসেন। প্রথম কাজ করেছেন ‘সত্যের জয়’ ছবিতে। এরপর সহকারী হিসেবে কাজ করেন বদিউল আলম এবং এফআই মানিকের সঙ্গেও।
নায়ক-নায়িকা জুটি হন এ কথা তো সবাই জানেন। কিন্তু কোন কোন সময় কাজের রসায়ন এতোটাই ভালো হয় যে নির্মাতা-শিল্পীও জুটি হয়ে ওঠেন। যেমন সত্যজিৎ রায়-সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, ডেভিড ধাওয়ান-গোবিন্দ, মনিরত্মম-ঐশ্বরিয়া, করণ জোহর-শাহরুখ খান। এইসব জুটি একের পর এক সিনেমা করে মুগ্ধ করেছেন দর্শককে। আবার এমন জুটিও আছে যারা একিট দুটি কাজ করেই এতোটা সাড়া ফেলেন যে তাদের আবার দেখার জন্য অপেক্ষায় থাকেন ভক্তরা। তেমনি একটি জুটি ‘দেবদাস’ সিনেমার নির্মাতা সঞ্জয় লীলা বানশালি আর নায়ক শাহরুখ খান।
সঞ্জয় লীলা বানশালির ‘দেবদাস’ হয়ে দর্শকদের কাঁদিয়েছিলেন শাহরুখ খান। ২০০২ সালের সেই মেগাবাজেট সিনেমা আজও সিনেদুনিয়ায় চর্চিত। তারপর কেটে গিয়েছে ২২টি বছর। বানশালির ফ্রেমে আর দেখা মেলেনি বাদশার।
বারবার জল্পনা শোনা গেলেও, দর্শক-অনুরাগীদের স্বপ্ন সত্যি হয়নি। অতঃপর অধরাই থেকেছে বানশালির ছবিতে আবার কিং খানের ম্যাজিক দেখার সাধ। এবার সম্ভবত ভক্তদের সেই ইচ্ছা পূরণ হতে চলেছে।
শোনা যাচ্ছে, বানশালির ত্রিকোণ প্রেমের সিনেম্যাটিক মহাকাব্য ‘লাভ অ্যান্ড ওয়ার’-এ এবার শাহরুখ খানকে দেখা যাবে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে। যে ছবিতে অভিনয় করছেন আলিয়া ভাট, রণবীর কাপুর এবং ভিকি কৌশল। বলিপাড়ায় জোর জল্পনা, ‘লাভ অ্যান্ড ওয়ার’ ছবিতে কিং খান থাকছেন ক্যামিও চরিত্রে।
সম্প্রতি বানশালির সঙ্গে দেখা করেছেন শাহরুখ। আর সেই সাক্ষাতেই ‘লাভ অ্যান্ড ওয়ার’ সিনেমার এক বিশেষ দৃশ্যে অভিনয়ের জন্য শাহরুখের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। বাদশা সবুজ সংকেত দিলেই ২০২৫ সালে সেই দৃশ্যের শুটিং হবে বলে শোনা গেছে।
সূত্রের খবর, ’লাভ অ্যান্ড ওয়ার’ ছবির দ্বিতীয়ার্ধে এক মোড় ঘোরানো দৃশ্যে বাদশাকে দেখা যাবে। যেখানে কিং খানের সঙ্গে এক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা করবেন রণবীর কাপুর। এই দৃশ্যে ভিকির উল্লেখ অবশ্য পাওয়া যায়নি। তবে এই জল্পনা সত্যি হলে ‘লাভ অ্যান্ড ওয়ার’ যে কিং ম্যাজিকে ‘গেম চেঞ্জার’ হতে পারে, এমনটাই ভবিষ্যদ্বাণী সিনেমহলের।
ইতিমধ্যেই সিনেমার শুটিং শুরু করে দিয়েছেন রণবীর কাপুর এবং ভিকি কৌশল। আলিয়া ভাটও খুব শিগগির শুটিং শুরু করবেন। সিনেমার পর্দায় সঞ্জয় লীলা বানশালির গল্প বলার ধরণ বরাবরই অনবদ্য।
এযাবৎকাল বহু মাস্টারপিস উপহার দিয়েছেন দর্শকদের। এবারের জল্পনা সত্যি হলে ২২ বছর পর পরিচালকের ফ্রেমে দেখা যাবে শাহরুখ খানকে। এবার দেখার বিষয় আলিয়া, ভিকি, রণবীরের ত্রিকোণ প্রেমের গল্প ‘লাভ অ্যান্ড ওয়ার’-এ কিং ম্যাজিক কি আদৌ সত্যি হবে?