সুবীর নন্দীর মেডিকেল রিপোর্ট সিঙ্গাপুরে পাঠানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
বিনোদন
একুশে পদকপ্রাপ্ত সংগীতশিল্পী সুবীর নন্দী ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন আছেন। তার চিকিৎসার বিষয়ে সার্বক্ষণিক খোঁজ খবর রাখছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বিজ্ঞাপন
শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সন্ধ্যায় গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে সুবীর নন্দীর চিকিৎসা সম্পর্কে অবহিত করেন শিল্পীদের একটি প্রতিনিধি দল। প্রতিনিধি দলে ছিলেন, সঙ্গীত শিল্পী কুমার বিশ্বজিৎ, তপন চৌধুরী, রফিকুল আলম এবং ডা. সামন্ত লাল সেন।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডা. সামন্ত লাল সেনকে নির্দেশনা দেন সুবীর নন্দীর মেডিকেলের সকল কাগজপত্র সিঙ্গাপুরে পাঠানোর জন্য এবং সেখানকার বিশেষজ্ঞদের মতামত নেওয়ার জন্য। পরে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিজ্ঞাপন
প্রধানমন্ত্রী তাদেরকে জানান, এর আগে ১৯৯৮ সালেও সুবীর নন্দীকে চিকিৎসার জন্য দুইবার সব রকমের সহযোগিতা দেন তিনি।
এর আগে সকালে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে তাঁর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে গিয়ে খোঁজখবর নেন এবং তাঁর স্ত্রী ও কন্যার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
উল্লেখ্য, সুবীর নন্দী বর্তমানে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে আছেন।
অভিনয়ে ২৫ বছর হয়ে গেলো গুণী অভিনেত্রী গোলাম ফরিদা ছন্দার। গতকাল বড়পর্দায় মুক্তি পেয়েছে অভিনীত সিনেমা ‘ভয়াল’। দুটি প্রচার চলতি ধারাবাহিকেও নিয়মিত অভিনয় করছেন। সমসাময়িক বিষয়ে বার্তা২৪.কমের সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি-
২৫ বছরের অভিনয়জীবন, এ প্রসঙ্গে কী বলবেন?
প্রত্যেকের জীবনেই তো অপ্রাপ্তি থাকে। আমিও এর বাইরে নই। যখন নাটকে অভিনয় শুরু করলাম তখন থেকেই নিয়মিত চলচ্চিত্রের প্রস্তাব পেতাম। কিন্তু চলচ্চিত্রে তখন সময়টা একটু অস্থির ছিল। তার পরও নির্মাতারা বলতেন, আমার পছন্দ মতো চরিত্র দেবেন, গল্প নির্বাচন করবেন। তবে ভয়ে তাদের কথায় সায় দিতাম না। এখন মনে হয়, তখন যদি চলচ্চিত্রে কাজ করতাম আজ আমার অবস্থানটা আরো ওপরে হতো। তবে একেবারেই যে প্রাপ্তি নেই তা তো নয়। এখনো ‘সাকিন সারিসুরি’ নাটকের বাসন্তী বৌদি বলে ডাকে মানুষ। এই যে একটা চরিত্র এত দিন ধরে মানুষ মনে রেখেছে, এটাই বা কজনের ভাগ্যে জোটে। যেখানে মা হওয়ার পর মানুষ কাজ কমিয়ে দেয়, সেখানে আমি আরো বেশি কাজ করেছি। এটাও তো বড় পাওয়া। সবচেয়ে তৃপ্তি লাগে যখন ভাবি টাপুর আর টুপুরের কথা। ওরা পর্দায় হাজির হচ্ছে, মানুষ ওদের অভিনয় দেখে খুশি হচ্ছে—এটা আমাকে অনেক বেশি আনন্দ দেয়।
‘ভয়াল’ গতকাল মুক্তি পেলো। ছবিটি নিয়ে প্রত্যাশা কেমন?
গতকাল হলে গিয়ে ছবিটি দেখেছি। তখন দর্শকের সঙ্গে আমার দেখা হয়েছে। শো শেষে অনেকেই বলেছেন যে, ছবিটি ভালো লেগেছে। এই ছবিতে পরিচালক বিপ্লব হায়দার আমাকে অন্য রকম একটা চরিত্র দিয়েছেন। আমিও চেষ্টা করেছি চরিত্রটিকে প্রপার রূপ দিতে। সরাসরি দর্শকের প্রতিক্রিয়া দেখে ভালো লেগেছে।
এটা আমাদের দেশে ইতিহাস। চার বছর ধরে নাটকটি করছি আমরা। যে মেয়েটি মূল চরিত্রে অভিনয় করছে চার বছর আগে সে ছোট ছিল। এখন অনেকটা বড় হয়েছে। চেহারায়ও পরিবর্তন এসেছে। তার পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে পর্দার চরিত্রেও পরিবর্তন এসেছে। আমার চরিত্রটির নাম রুনা খান। যে প্রথমে ছিল গৃহিণী, এরপর চাকরিজীবী, পরে সাংবাদিক ও উকিল হয়েছে। এই যে চরিত্রের বাঁক পরিবর্তন সেটা কিন্তু দর্শক পছন্দ করছে। নইলে তো এত দিন নাটকটি প্রচারিত হতো না। আমি নাট্যকারদের ধন্যবাদ দিতে চাই। সেই সঙ্গে নির্মাতা সাজ্জাদ সুমনও বাহবা পাবেন। তিনি নাটকের চরিত্রগুলোর জন্য সঠিক শিল্পী নির্বাচন করেছেন। আমরা যে কজন এই নাটকে অভিনয় করছি, প্রত্যেকেরই নাটকটির প্রতি ভালোবাসা আছে। সে কারণেই এই দীর্ঘ পথ পাড়ি দেওয়া সম্ভব হয়েছে। সবশেষে দর্শকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা। তারা নাটকটি এখনো ভালোবেসে দেখছেন।
নাটকটি জনপ্রিয় হওয়ার কারণ কী?
প্রথমত গল্পের প্লট ও নাম। দর্শকদের আকৃষ্ট করতে এটা খুব প্রয়োজন। এরপর অভিনয় শিল্পীদের পারফরম। এখানে যারা অভিনয় করেছেন প্রত্যেকেই চরিত্রটিকে সঠিকভাবে ফুটিয়ে তুলতে পেরেছেন। এরপর বলতে হবে চিত্রনাট্যকারদের কথা। তাঁরা প্রতিটি পর্বেই দর্শকদের জন্য টুইস্ট রাখতে পেরেছেন। ফলে পরের পর্ব দেখার জন্য দর্শক আগ্রহ নিয়ে থাকেন।
আগের ও এখনকার ধারাবাহিক নাটকে কোন পার্থক্য চোখে পড়ে?
এটা বলতে গেলে সালাহউদ্দিন লাভলু ভাইয়ের ধারাবাহিকগুলোর প্রসঙ্গ টানতে হয়। তখনকার ধারাবাহিক মানেই আউটডোরের একটা ব্যাপার ছিল। ‘সাকিন সারিসুরি’ নাটকটির শুটিং করেছিলাম পুবাইলের একদম নতুন একটা স্পটে। সেখানে পৌঁছাতে হতো কিছুটা পায়ে হেঁটে আবার কিছুটা নৌকায় করে। আমরা বড় একটা লট একবারে শুটিং করতাম। বাজেটও থাকত অনেক। তখন লাভলু ভাই প্রধান প্রধাণ চরিত্রগুলোর জন্য আলাদা করে ইন্টারভিউ নিতেন। এমনও হয়েছে, চরিত্রের সঙ্গে মানানসই হয়নি বলে বড় বড় অভিনেতারাও বাদ পড়তেন। তখন দুপুরে লাঞ্চের পরে লাভলু ভাই এক ঘণ্টা করে বিশ্রামের সুযোগ দিতেন। এখন কি এসব কল্পনা করা যায়? এখন তো বাজেটই থাকে না। তার ওপর আগের যেমন মাটি ও মানুষের গল্প নিয়ে নাটক হতো এখন তো সেটাও হয় না। এখনকার গল্প অনেক ফার্স্ট। বলতে পারেন প্রাণ নেই। এখনকার নির্মাতাদের শুটিং করার আগেই মাথায় থাকে, নির্দিষ্ট টাকার মধ্যে সব কাজ শেষ করতে হবে। টাকার চিন্তা মাথায় থাকলে ক্রিয়েটিভিটি আসবে কোথা থেকে, বলেন? এই সময়ে লাভলু ভাইও কিন্তু নির্মাণ করছেন। সত্যি বলতে, তিনিও কিন্তু আগের সেই ধারায় নির্মাণ করতে পারছেন না। দুপুরের খাবারের পর বিশ্রাম, ইন্টারভিউ নিয়ে চরিত্র নির্বাচন—কিছুই তিনি করতে পারছেন না আগের মতো। কারণ একমাত্র বাজেট।
আপনার যমজ কন্যা টাপুর-টুপুরও অভিনয়ের সঙ্গে জড়িয়ে গেছে...
ওরা কিন্তু নিয়মিত অভিনয় করে না। ভারতের দার্জিলিংয়ে পড়াশোনা করছে দুজন। যখন ছুটিতে দেশে আসে শুধু তখনই দু-একটা কাজ করে। সৌভাগ্যবশত ওদের প্রতিটি কাজই ক্লিক করেছে। দর্শক পছন্দ করেছে। আসলে আমি আর ওদের বাবা সতীর্থ রহমান ওদের স্ক্রিপ্টগুলো নির্বাচন করি। ওরা দার্জিলিং থাকা অবস্থায় অনেকগুলো স্ক্রিপ্ট জমা পড়ে আমাদের কাছে। সেখান থেকে বাছাই করে ওদের ছুটি অনুযায়ী শিডিউল তৈরি করি। ওরা দেশে এসে আগে আমাদের সঙ্গে স্ক্রিপ্টগুলো নিয়ে আলোচনা করে। তারপর শুটিং করে। মা হিসেবে বলব না, দর্শক হিসেবে আমি ওদের অভিনয়ের ভক্ত। পর্দায় ওদের পারফরম দেখে খুব তৃপ্তি পাই।
দীর্ঘ অভিনয় ক্যারিয়ারে নানা ধরনের ছবিতে নানা রকমের চরিত্রে অভিনয় করেছেন দক্ষিণ ভারতীয় সিনেমার সুপারস্টার আল্লু অর্জুন। তবে জাতীয় পুরস্কার উঠেছে ২০২২-এ ‘পুষ্পা’ ছবির জন্য।
অন্যদিকে, এই ছবির নায়িকা রাশমিকা মান্দানাও ক্যারিয়ারে সোনালি সময় পার করছেন। একের পর এক ধামাকা দিয়ে যাচ্ছেন। এর আগে ‘পুষ্পা’ দিয়ে প্যান ইন্ডিয়ান তারকার খেতাব জুটিয়ে নেন। এরপর গত বছর ‘অ্যানিমেল’ দিয়ে বলিউডেও নিজের আসন পাকাপোক্ত করেন।
এবার ‘পুষ্পা ২’ ঘিরে রয়েছেন ব্যাপক আলোচনায়। এমনকী সিনেমাটির জন্য জাতীয় পুরষ্কারও প্রত্যাশা করছেন অভিনেত্রী! গত ২৮ নভেম্বর ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভাল অব ইন্ডিয়ার সমাপনী আসরে উপস্থিত হন এ অভিনেত্রী। সেখানেই তার কাছে বিষয়টি নিয়ে জানতে চাওয়া হয়। সংবাদকর্মী তার কাছে জানতে চান, ‘পুষ্পা ২’ দিয়ে অভিনেত্রী হিসেবে জাতীয় পুরস্কার পাওয়ার সম্ভাবনা আছে? রাশমিকার উত্তর, ‘আশা করছি।’
এদিকে, অভিনেত্রীকে ঘিরে আরও একটি আলোচনা চাউর হয়েছে শোবিজ অঙ্গনে। সেটি হচ্ছে, পারিশ্রমিক বাড়ছে রাশ্মিকার। ‘পুষ্পা ২’ মুক্তির পর নাকি তিনি হতে চলেছেন ভারতের সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক পাওয়া অভিনেত্রী! বেশ কিছুদিন ধরেই এই গুঞ্জন চলছে। তবে সে গুঞ্জন উড়িয়ে দিলেন রাশ্মিকা। অনুষ্ঠানে এ প্রসঙ্গে রাশ্মিকা বলেন, ‘বিষয়টির সঙ্গে আমি একমত নই। কারণ এটা সত্য নয়।’
৫ ডিসেম্বর মুক্তি পাবে ‘পুষ্পা ২’। এবারও সিনেমাটিতে প্রধান ভূমিকায় রয়েছেন আল্লু অর্জুন। সঙ্গে রয়েছেন ফাহাদ ফাসিল ও রাশ্মিকা মান্দানা। এরই মধ্যে সিনেমাটি দর্শকের আগ্রহ তুঙ্গে। ট্রেলার থেকে গান, প্রত্যেকটি বিষয় নিয়ে হচ্ছে তুমুল চর্চা। এমনকি ট্রেলার প্রকাশের অনুষ্ঠানে লাখো দর্শকের ঢল দেখে অনেকেই ভাবছেন, বক্স অফিসে ফের চুরমার করতে আসছে ‘পুষ্পা’।
সুকুমার পরিচালিত ‘পুষ্পা ২ : দ্য রুল’ নির্মিত হয়েছে প্রায় ৫০০ কোটি রুপিতে। তবে মুক্তির অনেক আগেই বিভিন্ন স্বত্ব বিক্রি করে সিনেমাটির আয় ছাড়িয়ে গেছে এক হাজার কোটি রুপি! বক্স অফিস বিশ্লেষকদের ধারণা, বড়সড় চমক দেখাতে চলেছে সিনেমাটি।
নেটফ্লিক্সের ‘টু হট টু হ্যান্ডেল’ তারকা ওলগা বেডনারস্কা প্রায় ৪০ কেজি গাঁজাসহ ধরা পড়েছেন। যার বাজারমূল্য দুই কোটি টাকারও বেশি। নেটফ্লিক্সের ‘টু হট টু হ্যান্ডেল’ শো দিয়ে তারকাখ্যাতি পাওয়া এই তারকা যুক্তরাজ্যে ক্লাস বি মাদক আমদানির নিষেধাজ্ঞা ভঙ্গের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন।
এই রিয়ালিটি টিভি তারকা এরই মধ্যে আদালতে ৪০ কেজি গাঁজা যুক্তরাজ্যে নিয়ে আসার চেষ্টা করার কথা স্বীকার করেছেন।
বেডনারস্কাকে অক্টোবর মাসে ম্যানচেস্টার এয়ারপোর্টে থাইল্যান্ড থেকে আসা একটি ফ্লাইট থেকে নামার পর আটক করা হয়। যেখানে কর্মকর্তারা দুটি স্যুটকেসে এক লাখ ৫৭ হাজার ইউরো মূল্যের ‘ক্লাস বি’ মাদক শনাক্ত করেন। বাংলাদেশি টাকায় এর মূল্য প্রায় দুই কোটি ৩৭ লাখ টাকারও বেশি।
গ্রেপ্তারের পর বেশ কয়েক সপ্তাহ হেফাজতে থাকার পর আদালত সিদ্ধান্ত নেয়, তাকে ১৫ দিন পুনর্বাসন কার্যক্রমে অংশ নিতে হবে।
তাকে ২০ মাসের অস্থায়ী সাজাও দেওয়া হয়। সেই সাজায় উল্লেখ করা হয়েছে, অভিনেত্রী যদি ২০২৬ সালের নভেম্বরের মধ্যে কোনো অপরাধ করেন, তবে তাকে ২০ মাস জেল খাটতে হবে।
বেডনারস্কা আদালতে দাবি করেন, তাকে একজন বলেছিল কিছু ডিজাইনার ঘড়ি এবং কাপড় যুক্তরাজ্যে নিয়ে যেতে হবে। সে জন্য তাকে ১৮ হাজার ইউরো এবং ফ্লাইটের খরচ দেওয়া হবে।
এর মধ্যে মাদক আছে তা জানতেন না তিনি। তার এই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক তাকে বলেন, ‘আপনি এমন একজনের ওপর বিশ্বাস রেখেছিলেন, যাকে আপনি খুব ভালোভাবে জানতেন না। এটাও একটা অন্যায়। আপনি মাদক পাচারে সরাসরি যুক্ত হয়েছেন। নিজে লাভবান হওয়ার আশায় যাছাই না করেই অবৈধ জিনিস বহন করেছেন।’
ডেইলি মেইলের প্রতিবেন অনুসারে, যখন অভিনেত্রীকে এয়ারপোর্টে আটক করা হয়, তখন তিনিস স্যুটকেসের কোডও জানতেন না। প্রায় ১৬ হাজার ইউরোর ঋণে ডুবে গিয়েছিলেন অভিনেত্রী। তিনি তার আয় থেকে বেশি খরচ করতেন। ঋণ থেকে বাঁচার জন্যই তিনি অন্যের জিনিস আনা-নেওয়ার সঙ্গে যুক্ত হয়ে পড়েন।
রাজস্থানের দু’শো বছরের পুরনো দুর্গে বিয়ে করলেন বলিউড তারকা অদিতি রাও হায়দরি এবং দক্ষিণি অভিনেতা সিদ্ধার্থ সূর্যনারায়ণ।
অনেক বলিউড তারকার মতো অদিতি আর সিদ্ধার্থও ডেস্টিনেশন ওয়েডিং করলেন। অনেক তারকার মতো বিয়ের পোশাকের জন্য তারাও বেছে নিয়েছেন বিখ্যান ডিজাইনার সব্যসাচী মুখোপাধ্যায়ের পোশাক। তবে অন্য বিয়ের সঙ্গে মিল বলতে এইটুকুই। অনেক বিষয়েই বলিউডি বিয়ের গদবাঁধা নিয়ম ভেঙেছেনও তারা।
অদিতি-সিদ্ধার্থ বলেছিলেন, ‘ম্যাজিক আর ভালবাসা এখনও ফুরোয়নি’। অদিতি রাও হায়দরি এবং সিদ্ধার্থ সূর্যনারায়ণের অনুরাগীদের সেই ইঙ্গিতই যথেষ্ট ছিল। তারা বুঝে গিয়েছিলেন, মন্দিরে পরিবারের উপস্থিতিতে সামাজিক বিয়ে আর তার পরে ফিল্মজগতের তারকাদের সাক্ষী রেখে সাদামাঠা আইনি বিয়েতেই অদিতি-সিদ্ধার্থের বিয়ের উদযাপন শেষ হচ্ছে না, পিকচার অভি বাকি হ্যায়।
অদিতি-সিদ্ধার্থের বিয়ের ধমাকাদার অনুষ্ঠানের জন্য চলছিল অপেক্ষা। অবশেষে অপেক্ষার অবসান ঘটালেন অভিনেত্রীই। ইনস্টাগ্রামে বিয়ের তৃতীয় অনুষ্ঠানের ছবি দিলেন অভিনেত্রী।
অদিতি-সিদ্ধার্থ তাদের ডেস্টিনেশেন ওয়েডিংয়ের জন্য বেছে নিয়েছিলেন রাজস্থানের বিষাণগড়ের ২৩০ বছরের পুরনো আলিলা দুর্গ। আরাবল্লির নয়নভিরাম দৃশ্যপটে আঁকা ছবির মতো রাজস্থানের ওই দুর্গ বিখ্যাত তার ঐতিহ্যবাহী শিল্পনিদর্শনের জন্য।
তবে অদিতি-সিদ্ধার্থ দুর্গের কোনও প্রাসাদোপম কক্ষে বিয়ের মণ্ডপ বাঁধেননি। বরং দুর্গের ধূসর পাঁচিলের গা ঘেঁষে এক বিরাটদেহী নিমগাছের নীচে মালাবদল করেছেন দু’জন।
মন্দিরে যাগযজ্ঞ করে বিয়ে হয়ে গিয়েছে। কাগজে সইসাবুদের বিয়েও হয়েছে। অদিতি এবং সিদ্ধার্থের তৃতীয় বিবাহ অনুষ্ঠানে দু’জনকে দেখা গেল মালাবদল করতে। তাদের গলায় ছিল জুঁই এবং অন্য নানা রকম সাদা ফুলের গোড়ের মালা। তবে বিয়ের মণ্ডপ সাজানো হয়েছিল অগুনতি রজনীগন্ধার মালা দিয়ে।
তারকাদের বিয়ের পোশাক হয় জমকালো। দীপিকা পাড়ুকোন থেকে শুরু করে অনুষ্কা শর্মা, প্রিয়ঙ্কা চোপড়া, কিয়ারা আদভানি, নয়নতারা, কাজল আগারওয়ালসহ অনেক নায়িকার বিয়ের পোশাক এবং গয়না ছিল জমকালো। আলিয়া ভাটই প্রথম একেবারে ছিমছাম সাজে বিয়ে করেন। তার বিয়ের পোশাক আর গয়না ছিল খুবই হালকা, তবে ইউনিক। কিন্তু অদিতির পোশাকের অনাড়ম্বর ভাব আলিয়াকেও টেক্কা দিয়েছে।
নকশাহীন একরঙা একটি ফুলহাতা ব্লাউজ পরেছেন অদিতি। সঙ্গের অরগ্যাঞ্জার ওড়নাটিতেও কোনও নকশা নেই। শুধু রয়েছে হালকা সোনালি মেরুন পাড়। অদিতির লাল লেহঙ্গার যাবতীয় নকশাও সীমিত ছিল চওড়া পাড়ে।
এর সঙ্গে অদিতি পরেছিলেন একটি মাত্র চোকার হার, ঝুমকো দুল, নথ এবং মাথাপট্টি। হাতে চুড়িও পরেননি অদিতি।
অন্য দিকে সিদ্ধার্থ পরেছিলেন নকশাহীন ক্রিমরঙা সিল্কের শেরওয়ানি-চুড়িদার আর সাদার উপর সাদা কাজ করা অরগ্যাঞ্জার শাল। গলায় অবশ্য সাত ছড়া মুক্তোর হার পরেছিলেন সিদ্ধার্থ। দু’জনেরই পোশাক এবং গয়না তারই নকশা করা বলে জানিয়েছেন সব্যসাচী।
সাধারণত বলিউডের তারকাদের ডেস্টিনেশন ওয়েডিংয়ের খবর চাউর হয়ে যায় অনেক আগে থেকেই। আমন্ত্রিত তারকাদের নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছনো থেকে শুরু করে সেখানে প্রতিদিনের অনুষ্ঠানে তাদের পোশাক-আশাক কার্যকলাপ— সবই ছবিশিকারি মারফত ছড়িয়ে পড়ে ইন্টারনেটে। এ ক্ষেত্রে তেমন হয়নি।
অদিতি-সিদ্ধার্থ নিজেরাই বিয়ের ছবি দিয়ে চমকে দিয়েছেন। অনুরাগীদের মনে তাই প্রশ্ন, অতিথিদের নিয়ে কি তবে বিয়ের একটা চতুর্থ অনুষ্ঠানও করবেন অদিতিরা? বিয়ের ছবির ক্যাপশনে যদিও তেমন কোনও ইঙ্গিত দেননি অদিতি বা সিদ্ধার্থ। তারা শুধু লিখেছেন, ‘জীবনে যদি কিছু ধরে থাকতে হয়, তবে একে অপরকে ধরে রাখাই সবচেয়ে ভাল।’