দাদা সাহেব ফালকে অ্যাওয়ার্ড পেলেন জাগরণী চক্রের আরজু



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সমাজ সেবায় বিশেষ অবদানের জন্য ভারতের সম্মানজনক সম্মাননা ‘দাদা সাহেব ফালকে ফিল্ম ফাউন্ডেশন অ্যাওয়ার্ড-২০১৯’ পেয়েছেন জাগরণী চক্র ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক মো. আজাদুল কবির আরজু।

দাদা সাহেব ফালকের ১৫০তম জয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে ১১ মে সন্ধ্যায় মুম্বাইয়ের স্বামী সমরথ নগরের নিঊ মাহাদা গ্রাউন্ডে আয়োজিত অনুষ্ঠানে আরজুর হাতে পুরস্কার তুলে দেন খ্যাতিমান অভিনেতা গজেন্দ্র চৌহান।

সম্মানজনক এই পুরস্কার পেয়ে আরজু বলেন, “আমি ৪৩ বছর ধরে খেটে খাওয়া মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছি। এই প্রাপ্তি সেইসব প্রান্তিক মানুষদের, যাদের জন্য আমি কাজ করার সুযোগ পেয়েছি।”

সমাজটাকে একটু বদলে দেওয়ার ইচ্ছে নিয়ে আরজু ১৯৭৫ সালে যশোর শহরের কয়েকজন যুবককে সঙ্গে নিয়ে গড়ে তোলেন ‘জাগরণী চক্র’ নামে একটি সংগঠন। তার প্রজ্ঞা ও পরিশ্রমে গড়ে ওঠা এই সংস্থাটি সমাজ উন্নয়নে ব্যতিক্রমী ও উদ্ভাবনী কাজের জন্য আজ দেশের সীমানা ছাড়িয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়েও সুপরিচিত। গতানুগতিক উন্নয়ন কার্যক্রমের বাইরে গিয়ে সমাজের সবচেয়ে অবহেলিত জনগোষ্ঠী হরিজনদের নিয়ে কাজ করেছেন। যৌনকর্মীর সন্তানদের জন্য গড়ে তুলেছেন সেল্টার হোম। শহরের বস্তি ও গ্রামের দরিদ্র নারীদের বিনামূল্যে চিকিৎসা ও অস্ত্রোপচারের ব্যবস্থা করেছেন তিনি। যার মাধ্যমে এখনও পর্যন্ত ৫০০২ জন নারী সুস্থ হয়ে ফিরেছেন স্বাভাবিক জীবনে।

প্রতিদিনের আয় ১ ডলারের নিচে এ রকম হতদরিদ্র পরিবারকে সাবলম্বী করতে রংপুর, নাটোর, চুয়াডাঙ্গা ও সাতক্ষীরা জেলার ৪৩ হাজার ৬৩০ জন নারীকে আয়বৃদ্ধিমূলক প্রশিক্ষণ দিয়ে দক্ষতা বৃদ্ধি ও উৎপাদনমুখী সম্পদ হস্তান্তরের মাধ্যমে আত্মনির্ভর করেছেন। দরিদ্র পরিবারের মেধাবী সন্তানদের জন্য উচ্চশিক্ষার পথ সুগম করতে গড়ে তুলেছেন ‘অধ্যাপক শরীফ হোসেন শিক্ষাবৃত্তি তহবিল’।

এর আওতায় ২০০৮ থেকে এ পর্যন্ত বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় এবং কলেজে অধ্যয়নরত ৭৯ জন দরিদ্র-মেধাবী শিক্ষার্থীর শিক্ষা জীবনের দায়িত্ব নিয়েছে সংস্থা। ‘ত্রিশ লক্ষ শহিদের স্মরণে সারা দেশে ৩০ লক্ষ বৃক্ষরোপণ’ মুক্তিযুদ্ধের শহিদদের স্মরণে প্রধানমন্ত্রীর এ ঘোষণায় অনুপ্রাণিত হয়ে ২০১৮ সালে দেশের ৩৪টি জেলায় ২১ লাখ ৩ হাজার ৩৮২টি গাছের চারা রোপণ করেছেন।

   

বাবা হচ্ছেন সুপারম্যানখ্যাত হেনরি ক্যাভিল



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
হেনরি ক্যাভিল এবং নাটালি ভিসকুসো

হেনরি ক্যাভিল এবং নাটালি ভিসকুসো

  • Font increase
  • Font Decrease

সম্প্রতিত রিবুট করা হয়েছে ডিসি এক্সটেন্ডেড ইউনিভার্স। জেমস গান এবং পিটার সাফরানের নির্দেশে প্রায় পুরানো সকল অভিনেতাকে বাদ দেওয়া হয়েছে। প্রাক্তন ডিসি ইউনিভার্সে সুপারম্যানের অভিনয় করতেন হেনরি ক্যাভিল। নেটিজেনদের মতে তিনি ছিলেন ‘পারফেক্ট সুপারম্যান’।

তবুও ধর্তাকর্তাদের নির্দেশে চরিত্রটি ছাড়তে হয়েছে। শুধু রয়ে গেছে সুপারম্যান চরিত্রে হেনরির অভিনীত ম্যান অব স্টিল, জাস্টিস লীগ এবং ডার্ক নাইট ট্রিলজি সিনেমাগুলো।    

তবে অতীত ভুলে সামনে এগিয়ে চলছেন অভিনেতা। ব্যক্তিগত এবং পেশাগত দুইক্ষেত্রেই তার নতুন ধাপ শুরু হতে চলেছে। গুঞ্জন রয়েছে শিগগিরই মার্ভেলের কোনো সুপার পাওয়ারড বিয়িং-এর চরিত্রে দেখা যাবে তাকে। পাশাপাশি ব্যক্তিগত জীবনেও এক নতুন অভিজ্ঞতার স্বাদ নিতে চলেছেন তিনি।

বান্ধবী নাটালি ভিসকুসোর সাথে হেনরি ক্যাভিল 

হেনরি ক্যাভিল এবং তার বান্ধবী নাটালি ভিসকুসো দীর্ঘদিন ধরে একত্রে রয়েছেন। ৩ বছরের সম্পর্কে একসঙ্গে আছেন এই তারকা দম্পতি। তবে প্রাক্তন এই সুপারম্যান এবার প্রথমবার বাবা হতে চলেছেন।

সম্প্রতি সকলের সামনে এই সুখবর দেন তারকা দম্পতি। ভক্তরা প্রথম এই ব্যাপারে জানতে পারেন, যখন নাটালি একটি কালো ড্রেস পরে হেনরির সঙ্গে ডেটে যান। সেখানে তার বেবিবাম্প স্পষ্ট নজরে পড়ে। নেটিজেনরা এই দম্পতিকে অভিনন্দন জানান।    

৪০ বছর বয়েসি হেনরি মিডিয়ার সামনে তার অনুভূতি প্রকাশ করেন। সম্প্রতি এই হলিউড তারকা একটি প্রিমিয়ারে যোগ দিয়েছিলেন। নিউ ইয়র্ক সিটিতে ‘দ্য মিনিস্ট্রি অব আনজেন্টালম্যানলি ওয়্যারফেয়ার’ এর সেই প্রিমিয়ারি প্রথম সন্তান নিয়ে অভিব্যক্তি প্রকাশ করেন।

সাক্ষাৎকারে তিনি নিজের উত্তেজনা প্রকাশ করেন। অভিনেতা বলেন, তিনি এবং নাটালি দু’জনেই বেশ উত্তেজিত। তিনি এও বলেন, সকলের জন্য আরও অনেক কিছু অপেক্ষা করছে।   

সাক্ষাৎকার শেষে হেনরি একজন ভালো বাবা হবেন এমন শুভ কামনা জানান সাংবাদিক। এতে হেসে ওঠেন অভিনেতা।

তথ্যসূত্র: পিপল

;

শ্যামল মাওলা ও চমকের ‘ফাঁকি’



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
শ্যামল মাওলা ও চমকের ‘ফাঁকি’

শ্যামল মাওলা ও চমকের ‘ফাঁকি’

  • Font increase
  • Font Decrease

ঈদুল ফিতর একদিনের হলেও এই উৎসবের অনুষ্ঠান চলে ৭ দিন অবধি। বিনোদন মাধ্যম সংশ্লিষ্টরা তাই ঈদকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন নাটক এবং সিনেমা উপস্থাপন করে। ঈদের আনন্দ মৌসুমেই আসছে শ্যামল মাওলা এবং রুকাইয়া জাহান চমক অভিনীত টেলিফিল্ম ‘ফাঁকি’।

এই টেলিফিল্মটি প্রকাশ করা হবে চ্যানেল আইতে। ঈদের বিশেষ আয়োজনে ঈদের ৬ষ্ঠ দিন অর্থাৎ, ১৬ এপ্রিল সম্প্রচার করা হবে দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে। টেলিফিল্মের পরিচালনায় করেছেন রাশেদ শামীম স্যাম। ‘ফাঁকি’ টেলিফিল্মটি কাহিনি ও চিত্রনাট্য নিয়ে কাজ করেছেন রিপন মাহমুদ।

এতে প্রধান চরিত্রে শ্যামল মাওলা এবং রুকাইয়া জাহান চমক রয়েছেন। আরও অভিনয় করেছেন, জয়রাজ, সাদমান সামির ও সানজিদা মিলাসহ আরও অনেকে। একটি শান্ত ও সুন্দরভাবে সংসার করা এক দম্পতির জীবনে লুকিয়ে থাকা সন্দেহ এবং হিংস্রতা নিয়ে এগিয়েছে গিয়েছে ফাঁকি'র গল্প।

পরিচালক রাশাদ শামিম স্যাম তার পরিচালিত ফাঁকি টেলিফিল্ম সম্পর্কে বলেন, ‘ফাঁকি মূলত স্বামী-স্ত্রীর দাম্পত্য সম্পর্কের টানাপোড়েনের গল্প। যেখানে দুজন দুজনকে সন্দেহের বশবর্তী হয়ে তাদের প্রেম পরিণত হয় শত্রুতায়। একটা সময় তারা একে অপরকে মেরে ফেলার জন্য খুনি ভাড়া করার পরিকল্পনা করে। এভাবেই ফাঁকি গল্পটি এগিয়ে যায়। শ্যামল মাওলা তার চিরাচরিত চরিত্রের বাইরে নিজেকে ভেঙে এই টেলিফিল্মে অভিনয় করেছেন। অভিনেত্রী চমক ফাঁকি টেলিফিল্মে যে চরিত্রে অভিনয় করেছেন তা এক কথায় দুর্দান্ত। অন্যান্য অভিনয় শিল্পীরাও নিজেদের সর্বোচ্চটুকু দিয়ে আমার এই টেলিফিল্মে অভিনয় করেছেন।’

অভিনেতা শ্যামল মাওলা ফাঁকি টেলিফিল্মটি নিয়ে খুবই আশাবাদী। তিনি বলেন, ‘পরিচালক রাশাদ শামীম স্যাম গতানুগতিক গল্পের বাইরে গিয়ে একটি ব্যতিক্রমধর্মী গল্প বলতে চেষ্টা করেছেন। দর্শক এই টেলিফিল্মের প্রতিটি দৃশ্যে টানটান উত্তেজনা খুঁজে পাবেন।’

সম্পর্কের মাঝে সন্দেহ পাল্টে দিতে সংসার আর জীবনের গতি-প্রকৃতি। যা বিনাশ করে দেয় মানুষের সুখ। এমনই এক মৌলিক গল্প নিয়ে টেলিফিল্ম ফাঁকি দর্শকদের মন জয় করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন পরিচালক রাশাদ শামীম স্যাম।

;

আসছে জীবন-নওশীনের ‘বেপরোয়া প্রেম’



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
জীবন এবং নওশীন

জীবন এবং নওশীন

  • Font increase
  • Font Decrease

কলেজের প্রথম দিনেই চেয়ারম্যানের মেয়ে আফিয়াকে দেখে ভালো লেগে যায় জীবনের। এরপর দুজনের পরিচয় থেকে বন্ধুত্ব এবং সম্পর্ক গড়ে উঠে। একটা সময়ে পরিবারে জানাজানি হলে সম্পর্কের বিষয়টি মানতে চায় না আর তখনই তারা পালিয়ে যাবার সিদ্ধান্ত নেয়। এরপরই গল্প মোড় নেয় অন্যদিকে।

কিশোর বয়সের ভালোলাগার খুঁনসুটির এরকম গল্পে নির্মিত হয়েছে নাটক ‘বেপরোয়া প্রেম’। এতে আফিয়া ও জীবন চরিত্রে অভিনয় করেছেন তরুণ দুই অভিনয়শিল্পী নওশীন নাহার ও নিলয় আহমেদ। এটি পরিচালনা করেছেন ম ম পৃথ্বী।

নওশীন নাহার বলেন, ‘একদম কিশোর বয়সের ভালো লাগার খুঁনসুটির গল্প। রোমান্টিকতার পাশাপাশি এখানে একটা সামাজিক বার্তা রয়েছে যেটা নাটকটি দেখলে দর্শকরা বুঝতে পারবেন।’

জানা গেছে, আগামীকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টায় নাটকটি ইউটিউবে উন্মুক্ত হবে।

নাটকটিতে দুটি গান রয়েছে যেগুলোতে কন্ঠ দিয়েছেন শোভন রায় ও সারজিল আমিন সিয়াম৷ শাহরিয়ার সোহাগের চিত্রনাট্যে নাটকটিতে আরও অভিনয় করেছেন ফারুক আহমেদ, রকি খান, রত্না খান ও সিয়াম নাসির প্রমুখ।

;

২০ বছরে সিসিমপুর



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রাক-প্রাথমিক ও প্রাথমিক পর্যায়ের শিশুদের শেখাকে আনন্দদায়ক ও উপভোগ্য করার লক্ষ্য নিয়ে ‘সিসিমপুর’ নামে যে কার্যক্রমটির প্রচার শুরু হয়েছিল ২০০৫ সালে, তা ১৯ পেরিয়ে পা রেখেছে পথচলার দুই দশকে। সিসিমপুরের প্রথম প্রচারের দিন হিসেবে প্রতি বছর ১৫ এপ্রিল তারিখটিকে ‘সিসিমপুর দিবস’ হিসেবে উদযাপন করা হয়।

সিসিমপুর তার টেলিভিশন অনুষ্ঠান, মুদ্রিত বিভিন্ন উপকরণ এবং স্কুলভিত্তিক কার্যক্রম ও কমিউনিটি কার্যক্রমের মাধ্যমে শিশুদের শিখন দক্ষতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। যেমন- বর্ণ চেনা, শব্দ থেকে বর্ণ চিহ্নিত করা, বর্ণ দিয়ে শব্দ মেলানো, শব্দ দিয়ে বাক্য তৈরি করতে সাহায্য করে। চারপাশের পরিবেশ থেকে উপকরণ খুঁজে নিয়ে সেগুলোর মাধ্যমে বর্ণ ও শব্দ চিনতে সাহায্য করে। যেমন : ঘর, কলা, আম, টেবিল, ঘড়ি, গরু, গাছ, পাতা, কলম, বই ইত্যাদি শিশুর পরিচিতি বিভিন্ন শব্দ কোন বর্ণ দিয়ে শুরু হয়, তা খেলার ছলে শেখানো হয়। সিসিমপুরের চরিত্রগুলোর মাধ্যমে পরিবেশের বিভিন্ন উপাদান থেকে বিভিন্ন আকার-আকৃতির নাম, রঙের নাম ইত্যাদি শেখানো হয়।

এছাড়া ইন্টারনেটে শিশুদের নিরাপদ রাখার বিষয় নিয়েও বেশ কয়েক বছর ধরে কাজ করছে সিসিমপুর। পাশাপাশি প্রাক প্রাথমিক পর্যায়ের শিশুদের শেখার দক্ষতা বৃদ্ধি, শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ প্রদান এবং অভিভাবক মাঝে সচেতনতা তৈরিতে কাজ করছে সিসিমপুর।

বর্তমানে দেশের ৪টি টেলিভিশনে সিসিমপুরের ১৬তম সিজন সম্প্রচারিত হচ্ছে। জনপ্রিয় এই এডুটেনমেন্ট সিরিজটি দুরন্ত, আরটিভি, মাছরাঙা এবং বিটিভিতে প্রচারিত হচ্ছে। তবে শুরু থেকেই বাংলাদেশ টেলিভিশনে বিগত ১৯ বছর ধরে বিরতিহীনভাবে সিসিমপুর সম্প্রচার একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা, যা বাংলাদেশ সরকারের মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ টেলিভিশন এবং সিসিমপুরের আন্তরিক প্রচেষ্টার ফল। তিনটি টেলিভিশনের মাধ্যমে সারা দেশের প্রায় এক কোটি দর্শক অনুষ্ঠানটি উপভোগ করছেন।


প্রতি বছর অমর একুশে গ্রন্থমেলায় শিশুদের কাছে অন্যতম আকর্ষণের বিষয়ে পরিণত হয়েছে সিসিমপুর। মেলায় প্রতি শুক্র-শনি আর ছুটির দিনগুলোতে ইকরি, হালুম, টুকটুকি আর শিকুর সঙ্গে মজার সময় কাটাতে শিশুদের ঢল নামে। যা ইতোমধ্যেই অমর একুশে গ্রন্থমেলার অন্যতম অনুষঙ্গে পরিণত হয়েছে।

সিসিমপুরের ১৯ বছর পূর্তি উপলক্ষে এর নির্মাতা প্রতিষ্ঠান সিসেমি ওয়ার্কশপ বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ শাহ আলম বলেন, ১৯ বছর ধরে শিশুতোষ এই অনুষ্ঠানটি নির্মিত হচ্ছে তিন থেকে আট বছর বয়সী শিশুর প্রারম্ভিক শিক্ষার চাহিদা পূরণের লক্ষ্যকে সামনে রেখে। সেইসঙ্গে সিসিমপুরের লক্ষ্য শিশুর পিতা-মাতা, যতœকারী এবং শিক্ষকরাও। আনন্দ আর খেলার ছলে সিসিমপুর ভূমিকা রেখে চলেছে শিশুর সামগ্রিক বিকাশে। ভাষা-বর্ণ; গণিত; পরিবেশ; সুষম ও পুষ্টিকর খাবার; স্বাস্থ্যসুরক্ষার মতো মৌলিক বিষয়গুলো ছাড়াও সিসিমপুর জেন্ডার সমতা; সামাজিক মূল্যবোধ; নিরাপদে খেলাধুলা করা, ইন্টারনেটে নিরাপদ থাকা, দুর্যোগ প্রতিরোধ, স্বাস্থ্যকর অভ্যাসচর্চা; ভূমিকম্প; রাস্তা পারাপার ও পানিডুবি-বিষয়ক নিরাপত্তা; বিভিন্ন আঘাত প্রতিরোধে সচেতনতা; সঞ্চয় করা, পরিকল্পনা সম্পর্কে ধারণা দেওয়া এবং বাংলাদেশের শিল্প-সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য ইত্যাদি নানা বিষয় শিশুদের শিখতে সাহায্য করেছে সিসিমপুর। পাশাপাশি পারস্পরিক শ্রদ্ধা, মমত্ববোধ, অভিন্নত্ব ও বৈচিত্র্যের প্রতি শ্রদ্ধাসহ দেশের সকল মানুষের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করার বিষয়েও গুরুত্ব দিচ্ছে সিসিমপুর।

সিসেমি ওয়ার্কশপ বাংলাদেশ তার সব কার্যক্রমই সরকারি, বেসরকারি ও আন্তর্জাতিক সংস্থার মাধ্যমে যৌথভাবে পরিচালনা করে থাকে। গত ১৯ বছরে সিসিমপুর বাংলাদেশ সরকারের মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করেছে। ইউএসএআইডির অর্থায়নে সিসিমপুরের পথচলা শুরু এবং ইউএসএআইডি-র এই সহায়তা অদ্যাবধি অব্যাহত রয়েছে ।
নিউইয়র্কভিত্তিক সিসেমি স্ট্রিট নামক শিক্ষামূলক টেলিভিশন-ধারাবাহিকের সহপ্রযোজনা সিসিমপুরের কার্যক্রম বাংলাদেশে পরিচালনা করছে সিসেমি ওয়ার্কশপ বাংলাদেশ।

;