শুক্রবার রাতে ‘শনিবার বিকেল’ ছবির অনেক সুখবর!



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
‘শনিবার বিকেল’ ছবির দৃশ্য

‘শনিবার বিকেল’ ছবির দৃশ্য

  • Font increase
  • Font Decrease

চলচ্চিত্র নিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নানান আয়োজনে আমন্ত্রণ পেয়েছে মোস্তফা সরয়ার ফারুকী পরিচালিত ‘শনিবার বিকেল’। শুক্রবার (১৪ জুন) রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে সুখবরগুলো জানিয়েছেন তিনি।

মিউনিখ আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের সিনেকপ্রো প্রতিযোগিতা বিভাগে নির্বাচিত হয়েছে ‘শনিবার বিকেল’। আগামী ২৯ ও ৩০ জুন আর ১ জুলাই দেখানো হবে এটি।

মিউনিখ উৎসবের এবারের আসরের সিনেকপ্রোতে বিভাগে আছে ৭২তম কান চলচ্চিত্র উৎসবের প্রতিযোগিতা বিভাগে ফিপরেস্কি জয়ী ফিলিস্তিনের ইলিয়া সুলাইমানের ‘ইট মাস্ট বি হ্যাভেন’, আঁ সাঁর্তে রিগার বিভাগে সেরা ব্রাজিলের করিম আইনুজের ‘দ্য ইনভিজিবল লাইফ অব ইউরিজিসি গুজমাও’। কানের প্রতিযোগিতা বিভাগে প্রদর্শিত ইতালির মার্কো বোলেচ্চিওর ‘দ্য ট্রেইটর’, রোমানিয়ার কর্নেলিউ পরমবয়ুর ‘হুইজলার্স’ ও ডিরেক্টরস ফোর্টনাইটে দেখানো আফগানিস্তানের শহরবানু সাদাতের ‘অরফানেজ’।

সিনেকপ্রোতে বিজয়ী ছবি পুরস্কার হিসেবে পাবে ১ লাখ ইউরো অর্থাৎ ৯৫ লাখ টাকা! আগামী ২৭ জুন শুরু হয়ে উৎসবটি চলবে ৫ জুলাই পর্যন্ত। বার্লিনের পর জার্মানির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আয়োজন এটাই। ১৯৮৩ সাল থেকে মিউনিখ উৎসব হয়ে আসছে।

মিউনিখে যাওয়ার আগে যুক্তরাজ্যের লন্ডনে বাগরি ফাউন্ডেশনের লন্ডন ইন্ডিয়ান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে ‘শনিবার বিকেল’-এর দুটি প্রদর্শনী হবে। এর মধ্যে ২৫ জুন বারবিক্যান আর্ট সেন্টারে ও ২৭ জুন জেনেসিসে ছবিটি দেখা যাবে।

এছাড়া এশিয়া প্যাসিফিক স্ক্রিন অ্যাওয়ার্ডসের প্রতিযোগিতা বিভাগে আমন্ত্রণ পেয়েছে ‘শনিবার বিকেল’। এ বছরের ২১ নভেম্বর অস্ট্রেলিয়ার ব্রিসবেনে বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হবে।

এর আগে গত এপ্রিলে ৪১তম মস্কো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে অংশ নেয় ‘শনিবার বিকেল’। সেখানে দুটি মুক্ত জুরি পুরস্কার জেতেন ফারুকী। গত সপ্তাহে অনুষ্ঠিত সিডনি আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে এর প্রদর্শনী হয়েছে।

বহির্বিশ্বে একের পর এক সুখবর থাকলেও বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডে আটকে রেখেছে ‘শনিবার বিকেল’। নিরাপত্তার দোহাই দিয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত রাখা হয়েছে এর সেন্সর সনদ। বলা হচ্ছে, ২০১৬ সালের ১ জুলাই রাতে ঢাকার গুলশানে হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় ভয়াবহ জঙ্গি হামলায় অনুপ্রাণিত ছবিটির গল্প।

ছবিটিতে অভিনয় করেছেন জাহিদ হাসান, নুসরাত ইমরোজ তিশা, মামুনুর রশীদ, ইরেশ যাকের, ইন্তেখাব দিনার, গাউসুল আলম শাওন, নাদের চৌধুরী, ভারতের পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়, ফিলিস্তিনের ইয়াদ হুরানিসহ অনেকে।

চিত্রগ্রহণে ছিলেন কাজাখস্তানের আজিজ জাম্বাকিয়েভ। ২০১৩ সালে ‘হারমনি লেসন’ ছবিতে কাজ করার সুবাদে বার্লিন চলচ্চিত্র উৎসবে সেরা চিত্রগ্রাহকের পুরস্কার সিলভার বিয়ার জিতেছিলেন তিনি।

‘শনিবার বিকেল’ যৌথভাবে প্রযোজনা করেছে আবদুল আজিজের জাজ মাল্টিমিডিয়া, ফারুকীর ছবিয়াল ও আনা কাচকো।

এ নিয়ে সাতটি ছবি পরিচালনা করলেন ফারুকী। আগেরগুলো হলো ‘ব্যাচেলর’ (২০০৪), ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ (২০০৭) ‘থার্ড পারসন সিঙ্গুলার নাম্বার’ (২০০৯), ‘টেলিভিশন’ (২০১২), ‘পিঁপড়াবিদ্যা’ (২০১৪) ও ‘ডুব’ (২০১৭)।

   

গ্রামের বাড়ির পথে খালিদের কফিন



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
গ্রামের বাড়ির পথে খালিদের কফিন

গ্রামের বাড়ির পথে খালিদের কফিন

  • Font increase
  • Font Decrease

'সরলতার প্রতিমা’ ও ‘ফেরানো গেল না তাকে’র মত গানের শিল্পী খালিদ সোমবার সন্ধ্যায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। ঢাকায় জানাজা শেষে সংগীত শিল্পী খালিদের মরদেহ গোপালগঞ্জে তার গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

সোমবার (১৮ মার্চ) রাত ১১টায় রাজধানীর গ্রিন রোড জামে মসজিদে খালিদের জানাজা হয়। এই শিল্পীকে শেষ বিদায় জানাতে সেখানে উপস্থিত ছিলেন সংগীত শিল্পী সামিনা চৌধুরী, ফাহমিদা নবী, গীতিকার কবির বকুল, চিত্রনায়ক সাইমন সাদিক, সংগীত শিল্পী জয় শাহরিয়ারসহ অনেকে।

পরিবারের পক্ষ থেকে সাংবাদিকদের জানানো হয়, মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) যোহরের নামাজের পর গোপালগঞ্জ শহরের কোর্ট মসজিদ প্রাঙ্গণে আরেক দফা জানাজা হবে। তারপর শহরের নয়া গোরস্থানে শায়িত হবেন খালিদ।

গোপালগঞ্জে তার বড় ভাই আছেন, তিনিই সব প্রস্তুতি দেখছেন।

সোমবার সন্ধ্যায় গ্রিনরোডের বাসায় হৃদরোগে আক্রান্ত হন খালিদ, সঙ্গে সঙ্গে তাকে নেওয়া হয় কমফোর্ট হাসপাতালে। সন্ধ্যা ৭টায় চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এই শিল্পীর পুরো নাম খালিদ সাইফুল্লাহ। আশি ও নব্বইয়ের দশকের ব্যান্ড সংগীতের শ্রোতারা তাকে খালিদ নামেই চেনেন। ১৯৬৫ সালের ১ অগাস্ট গোপালগঞ্জে জন্ম নেওয়া এ শিল্পী স্ত্রী ও এক ছেলে রেখে গেছেন।

গানের জগতে খালিদের যাত্রা ১৯৮১ সালে। ব্যান্ড দল ‘চাইম’- এ যোগ দেন ১৯৮৩ সালে।

'সরলতার প্রতিমা’, ‘যতটা মেঘ হলে বৃষ্টি নামে’, ‘কোনো কারণেই ফেরানো গেল না তাকে’, ‘হয়নি যাবারও বেলা’, ‘যদি হিমালয় হয়ে দুঃখ আসে’, ‘তুমি নেই তাই’ এমন বহু শ্রোতাপ্রিয় গানে কণ্ঠ দিয়েছেন খালিদ।

১৯৮৯ সালে ‘নাতি খাতি বেলা গেল’ গানটির তুমুল জনপ্রিয়তার পর প্রথম বিদেশ সফরের ডাক আসে। সেবার কাতারের দোহায় একটি অনুষ্ঠানে গান করতে গিয়েছিলেন খালিদ।

গত কয়েক বছর ধরে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছিলেন। সেখান থেকে সম্প্রতি দেশে ফেরেন। খালিদের স্ত্রী ও ছেলে যুক্তরাষ্ট্রেই রয়েছেন।গ্রামের বাড়ির পথে খালিদের কফিন

;

খালিদের সেরা ৫ গান



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী খালিদ

জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী খালিদ

  • Font increase
  • Font Decrease

নব্বই দশকের জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী খালিদ। ৬০ বছর বয়সে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে অন্যলোকে পাড়ি দিলেন তিনি। কিন্তু তার স্মৃতি, গায়কী থেকে গেছে শ্রোতাদের মাঝে। এই লেখায় থাকল খালিদের জনপ্রিয় পাঁচটি গানের কথা।

সরলতার প্রতিমা
খালিদের সবচেয়ে জনপ্রিয় গান সরলতার প্রতিমা। গানটি লিখেছিলেন তরুণ। সুর ও সঙ্গীত করেছিলেন জুয়েল-বাবু।

যতটা মেঘ হলে বৃষ্টি নামে
মধ্য নব্বইতে গেয়েছিলেন এই গান। লিখেছিলেন লতিফুল ইসলাম শিবলী। সুর করেছিলেন প্রিন্স মাহমুদ। কাব্যধর্মী গানটি অনেকেরই বেশ পছন্দের।

কোনো কারণেই
প্রিন্স মাহমুদের লেখা ও সুর করা গান। খালিদের কণ্ঠের এই গান শ্রোতাদের কাছে বিরহগীতি হিসেবেই পরিচিত।

যদি হিমালয় হয়ে দুঃখ আসে
এই গানটিও প্রিন্স মাহমুদের কথা ও সুরে। খালিদের অসাধারণ গায়কী গানটিকে শ্রোতাদের হৃদয়ে স্থান করে দেয়। গানটি দেড় দশক পরেও জনপ্রিয়তা ধরে রেখেছে।

নাতি খাতি বেলা গেল
হাফিজুর রহমানের এই গানটি করেছিল চাইম। গেয়েছিলেন খালিদ। চাচীর দুঃখ অ্যালবামে স্থান পেয়েছিল লোকগানটি, যার মধ্যেও খালিদ তার স্বাক্ষর রেখে গেছেন।

;

খালিদের সেই গান আজও ফিরে মুখে মুখে



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
সংগীতশিল্পী খালিদ

সংগীতশিল্পী খালিদ

  • Font increase
  • Font Decrease

যার গান শুনে অনেক অনেক তরুণ-তরুণীর বিকেল ঘনিয়ে সন্ধ্যা পেরিয়েছে সেই 'চাইম' ব্যান্ডের ভোকালিস্ট খালিদ পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করেছেন। তার বিদায়ে সঙ্গীতাঙ্গনে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।

গোপালগঞ্জে জন্ম নেওয়া এই শিল্পী ১৯৮১ সাল থেকে গানের ভুবনে পথচলা শুরু করেন। তিনি আশি ও নব্বইয়ের দশকে ভোকালিস্ট হিসেবে ‘চাইম’ ব্যান্ডে যোগ দিয়েছিলেন। খুব অল্প সময়ের মধ্যে তরুণ প্রজন্মের শ্রোতাদের হৃদয় জয় করেন।

তার গাওয়া জনপ্রিয় গানের মধ্যে রয়েছে- ‘সরলতার প্রতিমা’, ‘যতটা মেঘ হলে বৃষ্টি নামে’, ‘কোনো কারণেই ফেরানো গেল না তাকে’, ‘হয়নি যাবারও বেলা’, ‘যদি হিমালয় হয়ে দুঃখ আসে’, ‘তুমি নেই তাই’ ইত্যাদি। গানগুলো এখনও ফিরে মানুষের মুখে মুখে।

অনেকদিন ধরেই গানের সঙ্গে নেই খালিদ। জীবনের শেষ প্রান্তে এসে একেবারেই গান থেকে যেনো দূরে সরেন। বেছে নেন প্রবাস জীবন। আমেরিকার নাগরিকত্ব নিয়ে নিউইয়র্কে বসবাস করতেন। তার এক ছেলে সেখানে পড়াশুনা করেন। মাঝে মাঝে দেশে আসলেও একাই থাকতেন খালিদ। নিজের গন্ডির বাইরে খুব একটা বের হতেন না। কিছুদিন থাকতেন ফের উড়াল দিতেন প্রবাসে। এবারও এলেন। কিন্তু আর প্রবাসে ফেরা হলো না। ফিরলেন অনন্তের পথে।

;

শেষ সময়টায় প্রবাসী জীবন বেছে নিয়েছিলেন খালিদ



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
সংগীতশিল্পী খালিদ

সংগীতশিল্পী খালিদ

  • Font increase
  • Font Decrease

অনেক দিন ধরেই গানের সঙ্গে ছিলেন না 'সরলতার প্রতিমা' খ্যাত খালিদ। জীবনের শেষ প্রান্তে এসে একেবারেই গান থেকে দূরে সরে যান, বেছে নেন প্রবাস জীবন।

আমেরিকার নাগরিকত্ব নিয়ে নিউইয়র্কে বসবাস করতেন। তার এক ছেলে সেখানে পড়াশুনা করেন। মাঝে মাঝে দেশে আসলেও একাই থাকতেন খালিদ।

নিজের গন্ডির বাইরে খুব একটা বের হতেন না। কিছুদিন থাকতেন ফের উড়াল দিতেন প্রবাসে। এবারও এলেন। কিন্তু আর প্রবাসে ফেরা হলো না। ফিরলেন অনন্তের পথে।

সোমবার (১৮ মার্চ) সন্ধ্যা সোয়া ৭টায় রাজধানীর গ্রিন রোডে একটি হাসপাতালে মারা যান চাইম ব্যান্ডের জনপ্রিয় এ সংগীতশিল্পী। এদিকে তার প্রথম নামাজে জানাজা সোমবার রাত ১১টায় গ্রিন রোড জামে মসজিদে অনুষ্ঠিত হয়।

খালিদের গাওয়া উল্লেখযোগ্য গানের মধ্যে আছে- সরলতার প্রতিমা, যতটা মেঘ হলে বৃষ্টি নামে, কোনো কারণেই ফেরানো গেল না তাকে, হয়নি যাবারও বেলা, যদি হিমালয় হয়ে দুঃখ আসে, তুমি নেই তাই।

অসংখ্য জনপ্রিয় গানের শিল্পী খালিদের গান একসময় পাড়া-মহল্লার শ্রোতাদের মুখে মুখে থাকত, বাজত বিপণি বিতানসহ বিভিন্ন দোকানে।

;