সাকিবের কাছে মাফ চাওয়াইতে হবে কেন: ফারুকী



বিনোদন ডেস্ক, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম
মোস্তফা সরয়ার ফারুকী ও সাকিব আল হাসান

মোস্তফা সরয়ার ফারুকী ও সাকিব আল হাসান

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশের জনপ্রিয় নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। সিনেমা নির্মাণের পাশিপাশি অন্য সবার মত চোখ রাখেন দেশের ক্রিকেটে। চলতি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের ক্রিকেট নিয়ে নিয়মিত কলমও লিখেছেন। এবারের বিশ্বকাপে বাংলাদেশের দলের সফলতা বলতে এক সাকিব আল হাসান। তাকে নিয়ে তাই চলছে তুমুল প্রশংসা। অন্যদিকে সাকিবের এই কৃতিত্বের পাশাপাশি দলের অন্য ক্রিকেটারদের যেভাবে সমালোচনা করা হচ্ছে তার বিরোধিতা করেছেন এই পরিচালক।

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মোস্তফা সরয়ার ফারুকী সাকিব আল হাসানকে নিয়ে লিখেছেন, ‘আমাদের বোধ হয় একটা নায়ক যেমন লাগে, ভিলেনও লাগে। ভিলেন একটার জায়গায় দশটা হইলে আরও ভালো। বিশ্বকাপ নিয়া আমাদের অনলাইন প্রতিক্রিয়া দেইখা এইটা মনে হইলো। অতি অবশ্যই কোনো রকম প্রশ্ন ছাড়াই, সাকিব আল হাসান শুধু বাংলাদেশ না, এবারের বিশ্বকাপেরই নায়ক। তার দৃঢ়প্রতিজ্ঞ পারফরম্যান্স বহু বছর ক্রিকেটপ্রেমীরা মনে রাখবে। আমরা যারা তথাকথিত ‘বেয়াদব’ সাকিবের গুণমুগ্ধ শুধু তারা না, পুরো বাংলাদেশ তাকে নিয়ে গর্বিত। ক্রিকেট বিশ্বের বড় তারকারা পর্যন্ত তাকে নিয়ে লিখছে। শোয়েব আখতারের লেখাটাও পড়লাম। সাকিব যা পাচ্ছে, সেটা তার প্রাপ্যই।’

অন্যদিকে বাকী ক্রিকেটারদের নিয়ে আলোচনা প্রসঙ্গে ফারুকী লিখেছেন, ‘কিন্তু তাকে (সাকিব আল হাসান) বড় করতে গিয়ে বাকি দশ জনকে যেভাবে হেয় করছে কেউ কেউ এটা দেখেতো মনে হয় আর কেউ ক্রিকেটার হইতে চাইবে না। কেউ বলছে বাকি দশ জন অপদার্থ, কেউ বলছে ওদের উচিত সাকিবের কাছে মাফ চাওয়া, আর কেউ কেউ পারলে ওদেরকে বেঁধে এনে সাকিবের কাছে মাফই চাওয়ায়। আমি বুঝলাম না! এইসবের মানে কী?

সাকিবের কাছে মাফ চাওয়াইতে হবে কেন? একজনকে বড় করতে গিয়ে বাকিদের হিউমিলিয়েট করার মানেটা কী? কেউ খারাপ করলে তার প্রতি না সহানুভূতিশীল হইতে হবে, তাকে এগোনোর রাস্তা ধরাইয়া দিতে হবে। আর তাছাড়া বাকি দশ জন কী সত্যি সত্যি ঘুমাইছে? মুশফিক, লিটন দাস, সাইফুদ্দিন, মুস্তাফিজ বিভিন্ন সময়ে এরকম আরও অনেকের ছোট-বড় কন্ট্রিবিউশন মিলাইয়া না বাংলাদেশ!!

এই অ্যাবিউজ করার মানসিকতা কোত্থেকে আসছে? এর সাথে কী ছোটবেলায় বাবা-মায়ের অ্যাবিউসিভ আচরণের সম্পর্ক আছে? মনে আছে দেখতাম, বাচ্চা পরীক্ষায় খারাপ করলে শুধু যে মাইর দিতে তা না, স্কুলের ফার্স্ট বয়ের জুতা পরিষ্কার করতে বলতো। এই সংস্কৃতিরই ছাপ কি এই আচরণ? কথাগুলো না বইলা পারলাম না। এই জন্য ফেসবুক থেকে দূরে থাকা ভালো। এইসব ক্লেদ দেখা লাগে না।’

মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বর্তমানে তার পরিচালিত সর্বশেষ সিনেমা ‘শনিবার বিকেল’ নিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের উৎসবে ব্যস্ত সময় পার করছেন। এছাড়া বলিউড অভিনেতা নওয়াজুদ্দিন সিদ্দিকীকে নিয়ে সিনেমা নির্মাণের ঘোষণা নিয়ে আলোচনায়ও আছেন তিনি।

   

লিজার কোলজুড়ে ফুটফুটে কন্যাসন্তান



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
অন্তঃসত্ত্বা লিজা ও তার স্বামী

অন্তঃসত্ত্বা লিজা ও তার স্বামী

  • Font increase
  • Font Decrease

জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী সানিয়া সুলতানা লিজা মা হয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্লোজআপ ওয়ান তারকার মা হওয়ার খবরটি জানিয়েছেন জনপ্রিয় গীতিকার কবির বকুল।

তিনি জানান, ১৮ মার্চ বাংলাদেশ সময় বিকেল ৪টায় নিউ ইয়র্কের একটি হাসপাতালে কন্যাসন্তান জন্ম দেন লিজা। বর্তমানে মা ও মেয়ে দুজনই সুস্থ আছেন।

ঘরোয়া আয়োজনে ২০২২ সালে বিয়ে করেন লিজা। বর যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বাংলাদেশি ব্যবসায়ী সবুজ খন্দকার। তবে লিজার বিয়ের খবরটি প্রকাশ্যে আসে গেল বছর নভেম্বরে।

;

গ্রামের বাড়ির পথে খালিদের কফিন



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
গ্রামের বাড়ির পথে খালিদের কফিন

গ্রামের বাড়ির পথে খালিদের কফিন

  • Font increase
  • Font Decrease

'সরলতার প্রতিমা’ ও ‘ফেরানো গেল না তাকে’র মত গানের শিল্পী খালিদ সোমবার সন্ধ্যায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। ঢাকায় জানাজা শেষে সংগীত শিল্পী খালিদের মরদেহ গোপালগঞ্জে তার গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

সোমবার (১৮ মার্চ) রাত ১১টায় রাজধানীর গ্রিন রোড জামে মসজিদে খালিদের জানাজা হয়। এই শিল্পীকে শেষ বিদায় জানাতে সেখানে উপস্থিত ছিলেন সংগীত শিল্পী সামিনা চৌধুরী, ফাহমিদা নবী, গীতিকার কবির বকুল, চিত্রনায়ক সাইমন সাদিক, সংগীত শিল্পী জয় শাহরিয়ারসহ অনেকে।

পরিবারের পক্ষ থেকে সাংবাদিকদের জানানো হয়, মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) যোহরের নামাজের পর গোপালগঞ্জ শহরের কোর্ট মসজিদ প্রাঙ্গণে আরেক দফা জানাজা হবে। তারপর শহরের নয়া গোরস্থানে শায়িত হবেন খালিদ।

গোপালগঞ্জে তার বড় ভাই আছেন, তিনিই সব প্রস্তুতি দেখছেন।

সোমবার সন্ধ্যায় গ্রিনরোডের বাসায় হৃদরোগে আক্রান্ত হন খালিদ, সঙ্গে সঙ্গে তাকে নেওয়া হয় কমফোর্ট হাসপাতালে। সন্ধ্যা ৭টায় চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এই শিল্পীর পুরো নাম খালিদ সাইফুল্লাহ। আশি ও নব্বইয়ের দশকের ব্যান্ড সংগীতের শ্রোতারা তাকে খালিদ নামেই চেনেন। ১৯৬৫ সালের ১ অগাস্ট গোপালগঞ্জে জন্ম নেওয়া এ শিল্পী স্ত্রী ও এক ছেলে রেখে গেছেন।

গানের জগতে খালিদের যাত্রা ১৯৮১ সালে। ব্যান্ড দল ‘চাইম’- এ যোগ দেন ১৯৮৩ সালে।

'সরলতার প্রতিমা’, ‘যতটা মেঘ হলে বৃষ্টি নামে’, ‘কোনো কারণেই ফেরানো গেল না তাকে’, ‘হয়নি যাবারও বেলা’, ‘যদি হিমালয় হয়ে দুঃখ আসে’, ‘তুমি নেই তাই’ এমন বহু শ্রোতাপ্রিয় গানে কণ্ঠ দিয়েছেন খালিদ।

১৯৮৯ সালে ‘নাতি খাতি বেলা গেল’ গানটির তুমুল জনপ্রিয়তার পর প্রথম বিদেশ সফরের ডাক আসে। সেবার কাতারের দোহায় একটি অনুষ্ঠানে গান করতে গিয়েছিলেন খালিদ।

গত কয়েক বছর ধরে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছিলেন। সেখান থেকে সম্প্রতি দেশে ফেরেন। খালিদের স্ত্রী ও ছেলে যুক্তরাষ্ট্রেই রয়েছেন।গ্রামের বাড়ির পথে খালিদের কফিন

;

খালিদের সেরা ৫ গান



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী খালিদ

জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী খালিদ

  • Font increase
  • Font Decrease

নব্বই দশকের জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী খালিদ। ৬০ বছর বয়সে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে অন্যলোকে পাড়ি দিলেন তিনি। কিন্তু তার স্মৃতি, গায়কী থেকে গেছে শ্রোতাদের মাঝে। এই লেখায় থাকল খালিদের জনপ্রিয় পাঁচটি গানের কথা।

সরলতার প্রতিমা
খালিদের সবচেয়ে জনপ্রিয় গান সরলতার প্রতিমা। গানটি লিখেছিলেন তরুণ। সুর ও সঙ্গীত করেছিলেন জুয়েল-বাবু।

যতটা মেঘ হলে বৃষ্টি নামে
মধ্য নব্বইতে গেয়েছিলেন এই গান। লিখেছিলেন লতিফুল ইসলাম শিবলী। সুর করেছিলেন প্রিন্স মাহমুদ। কাব্যধর্মী গানটি অনেকেরই বেশ পছন্দের।

কোনো কারণেই
প্রিন্স মাহমুদের লেখা ও সুর করা গান। খালিদের কণ্ঠের এই গান শ্রোতাদের কাছে বিরহগীতি হিসেবেই পরিচিত।

যদি হিমালয় হয়ে দুঃখ আসে
এই গানটিও প্রিন্স মাহমুদের কথা ও সুরে। খালিদের অসাধারণ গায়কী গানটিকে শ্রোতাদের হৃদয়ে স্থান করে দেয়। গানটি দেড় দশক পরেও জনপ্রিয়তা ধরে রেখেছে।

নাতি খাতি বেলা গেল
হাফিজুর রহমানের এই গানটি করেছিল চাইম। গেয়েছিলেন খালিদ। চাচীর দুঃখ অ্যালবামে স্থান পেয়েছিল লোকগানটি, যার মধ্যেও খালিদ তার স্বাক্ষর রেখে গেছেন।

;

খালিদের সেই গান আজও ফিরে মুখে মুখে



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
সংগীতশিল্পী খালিদ

সংগীতশিল্পী খালিদ

  • Font increase
  • Font Decrease

যার গান শুনে অনেক অনেক তরুণ-তরুণীর বিকেল ঘনিয়ে সন্ধ্যা পেরিয়েছে সেই 'চাইম' ব্যান্ডের ভোকালিস্ট খালিদ পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করেছেন। তার বিদায়ে সঙ্গীতাঙ্গনে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।

গোপালগঞ্জে জন্ম নেওয়া এই শিল্পী ১৯৮১ সাল থেকে গানের ভুবনে পথচলা শুরু করেন। তিনি আশি ও নব্বইয়ের দশকে ভোকালিস্ট হিসেবে ‘চাইম’ ব্যান্ডে যোগ দিয়েছিলেন। খুব অল্প সময়ের মধ্যে তরুণ প্রজন্মের শ্রোতাদের হৃদয় জয় করেন।

তার গাওয়া জনপ্রিয় গানের মধ্যে রয়েছে- ‘সরলতার প্রতিমা’, ‘যতটা মেঘ হলে বৃষ্টি নামে’, ‘কোনো কারণেই ফেরানো গেল না তাকে’, ‘হয়নি যাবারও বেলা’, ‘যদি হিমালয় হয়ে দুঃখ আসে’, ‘তুমি নেই তাই’ ইত্যাদি। গানগুলো এখনও ফিরে মানুষের মুখে মুখে।

অনেকদিন ধরেই গানের সঙ্গে নেই খালিদ। জীবনের শেষ প্রান্তে এসে একেবারেই গান থেকে যেনো দূরে সরেন। বেছে নেন প্রবাস জীবন। আমেরিকার নাগরিকত্ব নিয়ে নিউইয়র্কে বসবাস করতেন। তার এক ছেলে সেখানে পড়াশুনা করেন। মাঝে মাঝে দেশে আসলেও একাই থাকতেন খালিদ। নিজের গন্ডির বাইরে খুব একটা বের হতেন না। কিছুদিন থাকতেন ফের উড়াল দিতেন প্রবাসে। এবারও এলেন। কিন্তু আর প্রবাসে ফেরা হলো না। ফিরলেন অনন্তের পথে।

;