সার্ফিং নিয়ে প্রথমবারের মতো চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছে বাংলাদেশে। নাম ‘ন ডরাই’।আগামী ৮ অক্টোবর মুক্তি পেতে যাচ্ছে ছবিটি। স্টার সিনেপ্লেক্সের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর দিন সিনেমাটি পর্দায় আসছে। বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন স্টার সিনেপ্লেক্সের জ্যেষ্ঠ ব্যবস্থাপক (বিপণন) মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ।
মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘স্টার সিনেপ্লেক্সের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর দিন বাংলাদেশ ও ভারতে সিনেমাটি মুক্তির পরিকল্পনা চলছে। আশা করা যাচ্ছে ৮ অক্টোবর বড় পর্দায় আসছে সিনেমাটি।’
বৃহত্তর চট্টগ্রাম অঞ্চলের ভাষায় নির্মিত সিনেমাটি নারী সার্ফার নাসিমার জীবনের সত্যি ঘটনা অবলম্বনে তৈরি করা হয়েছে। এতে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন সুনেরাহ বিনতে কামাল। তার বিপরীতে অভিনয় করেছেন শরিফুল রাজ।
গত ২০ জুন প্রকাশ করা হয়েছে ছবিটির পোস্টার ও টিজার। যা বেশ সাড়া ফেলেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
‘ন ডরাই’ সিনেমাটি প্রযোজনাও করেছে দেশের সর্বাধুনিক প্রেক্ষাগৃহ ‘স্টার সিনেপ্লেক্স’। এর ইংরেজি নাম ‘ডেয়ার টু সার্ফ’। চিত্রনাট্য লিখেছেন ভারতের ‘বুনোহাঁস’ ও ‘পিংক’ সিনেমার চিত্রনাট্যকার শ্যামল সেনগুপ্ত। সিনেমাটির দৃশ্য ধারণ হয়েছে কক্সবাজার ও সেন্টমার্টিনে।
ছোটপর্দার জনপ্রিয় অভিনেতা ফারহান আহমেদ জোভান পড়েছেন দারুণ ঝামেলায়। তার একটি নাটককে কেন্দ্র করে সোশ্যাল মিডিয়ায় একপক্ষের সমালোচনায় অবশেষে নতজানু হয়ে ভিডিও বার্তা দিলেন তিনি। তাতেও সেই পক্ষের মন গলাতে পারলেন না। উল্টো তারা জোভানের বাকী নাটকগুলোকেও বয়কটের সুর তুলছে!
ঝামেলা এখানেই শেষ নয়। জোভান নতজানু হয়ে দুঃখ প্রকাশ করায় আরেকপক্ষ তাকে দারুণভাবে করছেন সমালোচনা। এই পক্ষে আবার রয়েছেন তারই সহকর্মীরা। তারা জোভানের সাহস ও শিনদাঁড়ার শক্তি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
কিন্তু রেহাই মেলেনি তাতেও। অগত্যা অভিনেতা জোভান নিজেই গা ঢাকা দেন, বন্ধ করে রাখেন নিজের সোশ্যাল হ্যান্ডেল। অবশেষে আজ ১৯ এপ্রিল ভোর রাতে দেখা দিয়েছেন তিনি। একটি ভিডিও বার্তা নিয়ে হাজির হলেন। যেখানে আকুতিভরা কণ্ঠে ক্ষমা চেয়েছেন দর্শকের কাছে।
আতঙ্ক আর অসহায়ত্বে ভরা চাহনিতে জোভান বলেন, ‘এই ঈদে আমার বেশ কিছু নাটক এসেছে। প্রথম দিন থেকেই ভালো রেসপন্স পাচ্ছি। এই ঈদটা আমার খুব সুন্দর ঈদ হতে পারতো আপনাদের ভালোবাসায়, সাপোর্টে। কিন্তু সেটা হয়নি। একটা অনাকাঙ্ক্ষিত বিষয়ে আপনারা যেমন কষ্ট পেয়েছেন, আমিও কষ্ট পাচ্ছি। আমি কিন্তু একদমই ভালো নেই।’
‘রূপান্তর’ নাটকের প্রসঙ্গে জোভানের জবাবদিহি এরকম, “রূপান্তর’ নাটককে ঘিরে যে বিতর্ক তৈরি হয়েছে, তা একদমই অপ্রত্যাশিত। এই নাটকের মাধ্যমে কারও ধর্মীয় অনুভূতিকে আঘাত করার উদ্দেশ্য আমাদের ছিল না। আমি নিজেও একটা মুসলিম পরিবারের ছেলে। আমি জানি, ধর্মকে কতটা বিশ্বাস করি, আল্লাহকে শ্রদ্ধা করি। এই নাটকের মাধ্যমে আমরা কোনও কিছুকে নরমালাইজ করা বা প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করিনি। কেবল একটি চরিত্র উপস্থাপনের চেষ্টা করেছি। কিন্তু সেটার মাধ্যমে এতগুলো মানুষকে কষ্ট দিয়েছি, এর জন্য আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত। সবার কাছে আমি দুঃখ প্রকাশ করছি।”
সবশেষে অনুরোধের সুরে জোভান বলেছেন, ‘দীর্ঘ এগারো বছর যাবত নাটক করছি। আজকে আমার যে অবস্থান, এর পেছনে আমার একার নয়, অবশ্যই দর্শকের ভালোবাসা ও সাপোর্ট ছিল। আমার কাজ করার মূল উদ্দেশ্য হলো দর্শককে একটু বিনোদন দেওয়া, সেজন্যই এত কষ্ট। এরপর থেকে আরেকটু বেশি সচেতন থাকবো চরিত্র বাছাই করতে। যাতে তাদের মনঃক্ষুণ্ণ না হয়, কষ্ট না পায়। আমার যে কাজগুলো আপনাদের ভালো লেগেছে, তার চেয়েও ভালো কাজ উপহার দেবো। শুধু একটাই অনুরোধ, আমার ওপর কষ্ট রাখবেন না। আমার জন্য দোয়া করবেন।’
যদিও জোভানের ভিডিও বার্তার কমেন্ট বক্স দেখলে আঁচ করা যায়, তার এই আর্তনাদ গলাতে পারছে না নেটিজেনদের মন। গণহারে তার নাটক বয়কটের ঘোষণা দিচ্ছে তারা। বিপরীতে অনেকেই জোভানের এই পরাজিত কণ্ঠ ও মুখ দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। বলছেন, প্রকৃত শিল্পী কখনোই এতোটা নতজানু হয় না।
উল্লেখ্য, নীহার আহমেদের চিত্রনাট্যে ‘রূপান্তর’ নাটকটি নির্মিত হয়েছে। এর গল্পটি মূলত একজন তরুণ চিত্রশিল্পীকে ঘিরে। যিনি শৈশবে ট্রেন দুর্ঘটনায় হারিয়েছেন পরিবারের সদস্যদের। যার ফলে তিনি জানতেই পারেননি তার বাবা-মা কে কিংবা কোন ধর্মের মানুষ। বড় হয়েছেন শিশু আশ্রমে। বড় হয়ে হয়েছেন চিত্রকর। পেয়েছেন খ্যাতিও। এর মধ্যে একজন ধনীর দুলালী তার আঁকায় মুগ্ধ হয়ে প্রেমে পড়েন। বিয়ের জন্য পারিবারিকভাবে প্রস্তাব দেওয়া হয় চিত্রকরকে। কিন্তু তিনি সাফ জানিয়ে দেন, তাকে দিয়ে সেটা সম্ভব নয়। এরপর তার চিকিৎসকের মাধ্যমে জানা যায়, তিনি আসলে একটি হরমোন জনিত বিরল জটিলতায় ভুগছেন। তিনি দেখতে পুরুষের মতো হলেও মানসিকভাবে তিনি একজন নারী।
গত ১৫ এপ্রিল সন্ধ্যা ৭টায় ‘রূপান্তর’ নাটকটি উন্মুক্ত করা হয় ইউটিউবে। রাতে বেশ কিছু দর্শকের পক্ষ থেকে আপত্তি পেয়ে সেটি ১৬ এপ্রিল সকালে তুলেও নেওয়া হয়। কিন্তু তাতেও রক্ষা হয়নি। একই নাটক ডাউনলোড করে অসংখ্য ইউটিউব চ্যানেলে আপলোড করছে সমালোচনাকারীদের একটা বড় অংশ। তারাই আবার এমন নাটক নির্মাণ ও প্রচারণার প্রতিবাদ করছেন! এমনকি নির্মাতা-শিল্পীদের হুমকিও দিচ্ছে অনেকে। যা নিয়ে আতঙ্কিত সংশ্লিষ্টরা।
গুণী নির্মাতা বদরুল আনাম সৌদ পরিচালিত দ্বিতীয় সিনেমা ‘শ্যামাকাব্য’ নিয়ে দর্শকের আগ্রহ রয়েছে। এই ছবির মাধ্যমে বড়পর্দায় প্রথমবারের মতো জুটি বেঁধেছেন সদ্য ভারতের ফিল্মফেয়ার পুরস্কারজয়ী অভিনেতা সোহেল মণ্ডল ও জনপ্রিয় লাক্স তারকা নীলাঞ্জনা নীলা। তারা ছাড়াও এক ঝাক তারকা শিল্পীকে নিয়ে নির্মিত সরকারি অনুদানের এই সিনেমাটি গত ২৪ নভেম্বর প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির কথা ছিল।
কিন্তু সে সময় ছবিটি আর মুক্তি পায়নি। তখন নির্মাতা সৌদ জানিয়েছিলেন, ‘‘দেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির জন্যই এই সিদ্ধান্ত। চিন্তা ভাবনা করে দেখলাম, এমন পরিস্থিতিতে দর্শক সিনেমা হলে এসে ছবি দেখতে চাইবেন না। দর্শকের জন্যই তো আমাদের সিনেমা। তাদের নিরাপত্তা ও সুযোগ-সুবিধা বিবেচনা করা জরুরী। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি ‘শ্যামাকাব্য’ জাতীয় নির্বাচনের পরেই মুক্তি দেব।’’
অবশেষে ছবিটি মুক্তির নতুন তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। ছবিটির নায়ক সোহেল মণ্ডল জানান, ‘‘আসছে ৩ মে আপনার নিকটস্ত প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে ‘শ্যামাকাব্য’।’’
সাইকোলজিক্যাল থ্রিলার ধাচের ছবিটিতে প্রেমের বিষয়টিও বেশ স্পষ্ট। এতে নীলাকে দেখা যাবে শ্যামা’র চরিত্রে। আর সোহেল মণ্ডল রয়েছেন আজাদ নামের একটি চরিত্রটি।
নায়ক-নায়িকা দুজনই বললেন, তাদের চরিত্র দুটি একেবারেই নতুন। তাদের রসায়নও দর্শকের মন ছুঁয়ে যাবে বলে তারা আশাবাদী। নীলার ভাষায়, শ্যামা মেয়েটি খুব শান্ত। দেখলে চোখে আরাম দেবে। আর সোহেল এখনই তার চরিত্রের কোন গোমর ফাঁস করতে চান না।
ছবিতে একটি মাত্র গান রয়েছে। নির্মাতা বদরুল আনাম সৌদের লেখা ‘পাখি যাও যাও’ শিরোনামের সেই গানটির সুর ও সংগীতায়োজন করেছেন একাধিক জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত সংগীত পরিচালক ইমন সাহা। চমকপ্রদ বিষয় হলো সেই গানে কণ্ঠ দিয়েছেন ভারতের বিখ্যাত দুজন শিল্পী। একজন হিন্দুস্তানি ক্ল্যাসিক্যাল মিউজিকের কিংবদন্তি পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তী, অন্যজন ভারতের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত শিল্পী ইমন চক্রবর্তী।
ঢালিউডে যে সময়টা অশ্লিলতায় ছেয়ে গিয়েছিল, সে সময়ের অন্যতম ব্যস্ত নায়ক ছিলেন মেহেদি। ‘পাগল মন’ চলচ্চিত্র দিয়ে সিনেমা জগতে জায়গা করে নেওয়ার পর অনেক ছবিতে অভিনয় করেছেন। তার মধ্যে অশ্লিল ছবির সংখ্যাই বেশি। এখনো ইউটিউবে তার অশ্লিল নাচ গানের ভিডিও’র দেখা মেলে।
কিন্তু মানুষ মাত্রই বদলায়। বাংলা সাহিত্যে বিখ্যাত উক্তি রয়েছে, ‘মানুষ মরে গেলে পচে যায়, কিন্তু বেঁচে থাকলে বদলায়, কারণে-অকারণে বদলায়।’
তেমনি বদল ঘটেছে চিত্রনায়ক মেহেদির জীবনেও। অনেক দিন থেকেই চলচ্চিত্র আঙিনায় তাকে দেখা যায় না। আজ তাকে দেখা গেল চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে। সেখানেই গণমাধ্যমের মুখোমুখি হন মেহেদি।
জানালেন, তিনি এখন ধর্মীয় কাজে মনোনিবেশ করেছেন। বললেন, নিয়মিত তবলিগ জামাত চিল্লায় যেতে হচ্ছে। যেহেতু আমি মুসলিম, তাই আমাকে নিয়মিত নামাজ রোজা করতে হবে। এখন সেটা খুব মনোযোগের সঙ্গে করতে হচ্ছে।
চলচ্চিত্র থেকে একেবারে বিচ্ছিন্ন হননি তিনি, সামনে তার চলচ্চিত্র আসছে বলেও জানালেন। বললেন, আমি চলচ্চিত্র থেকে একেবারেই হারিয়ে যাইনি। সামনে মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে আমার চারটি চলচ্চিত্র।
এবারের শিল্পী সমিতির নির্বাচনে কোন উত্তাপ নেই। আজ ১৯ এপ্রিল সকাল থেকে ভোট শুরু হলেও ভোটার উপস্থতি কম। এর কারণ হিসেবে অনেকেই বলছেন, শুক্রবার হওয়ায় ভোটগ্রহণ কম।
তবে এই নির্বাচনের সংবাদ সংগ্রহই নাকি করছেন ৪০০ জন সংবাদকর্মী। এমনটা জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার খোরশেদ আলম খসরু বলেন, আমরা যাচাই-বাছাই করে প্রায় ৪০০ জন সাংবাদিক চূড়ান্ত করে পাস দিয়েছি।
এতো সংবাদকর্মী কেন? এই প্রশ্নের জবাবে খসরু বলেন, ধরেন একটা টেলিভিশন চ্যানেল, তারা আবেদন করে ১০ জনের জন্য। কারণ ক্যামেরা পারসন, সংবাদকর্মী, সহকারী থাকেন। তারা আবার দুই শিফটে কাজ করবেন। তাহলে বলুন একটা প্রতিষ্ঠান থেকে যদি ১০ জন হয়। তাহলে সবগুলো প্রতিষ্ঠানের ৪০০ জন হবে না?
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২৪-২৬ মেয়াদের নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে সকালে। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকাল ৯টা৩০ মিনিটে অভিনেতা ডা. এজাজের ভোট প্রদানের মাধ্যমে শিল্পী সমিতির কার্যালয়ে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। সকাল ৯টায় ভোটগ্রহণ শুরুর কথা থাকলেও ৩০ মিনিটি পরে ভোটগ্রহণ শুরু হয়।
২১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির এই নির্বাচনে ৬ জন স্বতন্ত্রসহ ২টি প্যানেল থেকে ৪৮ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। প্যানেল দুটি হলো মিশা-ডিপজল ও মাহমুদ কলি-নিপুণ।