দেশীয় টিভি চ্যানেলের সংকট কোথায়!



খায়রুল বাসার নির্ঝর

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশে গত দশ বছরে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে টিভি চ্যানেলের সংখ্যা। এতে অভ্যন্তরীণ বিজ্ঞাপনের বাজারে যতোখানি প্রতিযোগিতা তৈরি হয়েছে, প্রচারিত অনুষ্ঠানের মানরক্ষার বেলায় ওই প্রতিযোগিতার রেশ কতোখানি পড়েছে- এ প্রশ্ন প্রবল হয়ে উঠেছে টিভি চ্যানেলের সংখ্যাবৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে।

দেশীয় টিভি চ্যানেলের দর্শক কমে গেছে- এ সংক্রান্ত বিভিন্ন পরিসংখ্যানও সামনে এসেছে ঘুরেফিরে। দুই ঈদে ‘বিশেষ’ অনুষ্ঠানের মান যাচাই করে এ সমালোচনা আরও জোর পায়।

তবে দেশীয় টিভি চ্যানেলের কপালে যে শুধু সমালোচনাই জুটছে তা তো নয়, প্রশংসাও আছে। গত এক বছরে নতুন হিসেবে সবচেয়ে কম সময়ে আলোচনায় উঠে এসেছে দুরন্ত টিভি। দেশের বাজারে রীতিমতো চ্যানেলটি টেক্কা দিচ্ছে বিদেশী কার্টুনভিত্তিক চ্যানেলগুলোর সঙ্গে। এখন অনেক বাবা-মা-ই বাসায় বিদেশি কার্টুন চ্যানেল বন্ধ রেখে এ শিশুতোষ চ্যানেলটি চালিয়ে দিচ্ছে।

এতে যেটা হয়েছে, বিরাট সংখ্যক মা-বাবা শিশুর চোখের সামনে প্রথম যে স্ক্রিনটি তুলে দিতে পারছেন, তাতে পরিশীলিত বাংলা ভাষাটা আছে- এ নিশ্চয়তা থাকছে। কালচারাল হ্যাজার্ডের আশঙ্কা কমার সামান্য হলেও একটা অবলম্বন তৈরি হয়েছে। সঙ্গে এ উদাহরণও দাঁড়িয়ে গেছে যে, চ্যানেল চালুর পরিকল্পনায় স্পেসিফিকেশন অর্থ্যাৎ আমি নির্দিষ্ট করে কী দেখাতে চাই, কেন দেখাতে চাই জাতীয় প্রশ্নগুলো থাকা জরুরি, ব্যবসা এবং স্বার্থসিদ্ধির পার্সেন্টেজ কমিয়ে এনে। সেটা হলে চ্যানেলের সংখ্যার এই লম্বা তালিকায় শুধু একটা নামই বাড়ে। দর্শক স্বাভাবিকভাবেই মুখ ঘুরিয়ে নেয়।

অনুষ্ঠানের ধরণে একটা নির্দিষ্ট অবস্থানে থাকা যে আসলেই কতোটা জরুরী সেটা এর আগেও আমরা দেখেছি। প্রথম সারির সংক্ষিপ্ত তালিকায় উঠে আসতে গানবাংলা চ্যানেলটির খুব বেশি সময় লাগেনি। কারণ পর্দায় কী দেখাবে, সেটা তারা আগেই ঠিক করে রেখেছিলো, তারা জানতো তারা কী করতে যাচ্ছে। দর্শকও নির্দিষ্ট করে জানতো, ওখানে গেলে গান শোনা যায়, দেখা যায়। গান খুঁজতে তাদের হয়রান হতে হয়নি।

দেশীয় টিভি চ্যানেলের কপালে দর্শকশুণ্যতার শনি উপস্থিতির অন্যতম কারণ যদি খুঁজতে যাওয়া হয়, তবে এ অভিযোগ প্রবল আকারে পাওয়া যাবে- বেশিরভাগ চ্যানেলের অভ্যন্তরে গবেষণা শব্দটির অস্তিত্বই নেই। তারা আদতে খুঁজেই দেখে না, একই চ্যানেলে খবর-সিনেমা-নাটক-ফ্যাশন-ট্রাভেলস-গান-নাচসহ যাবতীয় যা কিছু আছে, এতো বিচিত্র অনুষ্ঠানতালিকার ভীড়ে দর্শকের শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা হচ্ছে কিনা! অর্থ্যাৎ দর্শক হয়রান হচ্ছেন কিনা!

সংবাদভিত্তিক চ্যানেলগুলোরও আলাদা একটা অবস্থান-চাহিদা আছে ড্রইংরুমে-কর্মস্থলে-চা দোকানের আড্ডায়। এ দেশের মানুষ খবর কেনে, জানতে চায়। কিন্তু যারা সরবরাহ করছে, তাদের মধ্যে অসুস্থ ব্যবসায়িক প্রতিযোগির কিংবা নির্দিষ্ট গোষ্ঠীর স্বার্থসিদ্ধির মানসিকতা চলে এলে কনটেন্টের শরীর থেকে বিশ্বস্ততা শব্দটি ক্রমেই বিলীন হতে থাকে। অথচ দর্শকের চোখের কাছাকাছি পৌঁছুতে সেটাই সবচেয়ে বেশি দরকার।

দেশীয় টিভি চ্যানেলগুলো যখন মান এবং জনপ্রিয়তার দিক থেকে পড়তি, তখন আরেকটি দিকেও নজর রাখতে হবে, চ্যানেলগুলো দাঁড়িয়ে আছে একটি গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে। সময় যতো গড়িয়েছে, সংখ্যা যতো বেড়েছে, ততোই এর সঙ্গে প্রচুর সংখ্যক লোকবল জড়িয়ে পড়েছেন। নানান ক্ষেত্র যোগ হয়ে এটি এখন বড় আকারের টিভি ইন্ডাস্ট্রির রূপ নিয়েছে।

নাটকের আলাদা একটা ইন্ডাস্ট্রি তৈরি হয়েছে, যেটা সম্পূর্ণ টিভি চ্যানেল নির্ভর, এবং সেটিকে পেশা হিসেবে বেছে নেয়া লোকের সংখ্যা নেহায়েত কম নয়। অনেক মানুষ কাজ করছেন, কেউ অভিনয়ে, কেউ পরিচালনায়-লেখায়-চিত্র ও শব্দ ধারণে-কারিগরি ও প্রকৌশলগত নানান বিভাগে। বিনোদনের এ ইন্ডাস্ট্রি অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত টিভি চ্যানেলগুলোর সঙ্গে। নির্ভরশীলও।

মিউজিক এবং ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি যদিও সম্পূর্ণভাবে নির্ভর করে নেই, কিন্তু ছোটপর্দার প্রয়োজনীয়তা এ দুইয়ের ক্ষেত্রেও কম নয়। বিনোদন সেক্টরগুলোর কমার্শিয়াল বেনিফিট অনেকাংশে নির্ভর করে আছে টিভি চ্যানেলগুলোর ওপর।

খেলা, বিশেষ করে ক্রিকেট, বিগত দশকের তুলনায় বর্তমান সময়ে জনপ্রিয়তা এবং বাণিজ্য দুই দিক থেকেই শীর্ষে আছে। টিভি চ্যানেল যেহেতু গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচগুলো সরাসরি প্রচার করে, সঙ্গে যুক্ত হয় ম্যাচ সংশ্লিষ্ট আনুষাঙ্গিক নানান অনুষ্ঠান, ফলে ওই সময় চ্যানেলগুলো বিরাট সংখ্যক দর্শকের মনোযোগ পায়। তাতে চ্যানেলের জনপ্রিয়তার পাশাপাশি বাণিজ্যিক লাভও অনেক।

এটা যেমন একটা দিক, তেমনি টিভি চ্যানেলে প্রতিটি ম্যাচ সরাসরি প্রচার হচ্ছে বিধায়, খেলার সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে নানান বাণিজ্য এবং বিজ্ঞাপনের সুবিধা। খেলাধুলার গুরুত্ব সম্প্রসারণে চ্যানেলের এ ভূমিকাটিও অস্বীকার করা যায় না কোনোভাবেই।

বিজ্ঞাপনচিত্রের বাজারও জড়িয়ে আছে এরসঙ্গে। এ সেক্টরেও এখন অনেক মানুষ কাজ করছে, অনেক প্রতিষ্ঠান। আবার দর্শকদের সাংস্কৃতিক মনন গঠনে টিভি চ্যানেলের ভূমিকা-অংশগ্রহণও থাকে অনেকটা। সেটা সরাসরি অর্থনৈতিক মুনাফা এনে দেয় না যদিও, কিন্তু এ ভূমিকাটির গুরুত্ব তাতে কিছুটা কম পড়ে না।

এতো গুরুত্ব এবং প্রত্যাশার কেন্দ্রবিন্দুতে থেকেও দেশীয় টিভি চ্যানেলগুলো কি তাদের দায়িত্ব পুরোপুরি পালন করছে?বিশেষ করে যখন এতো এতো চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি?

নানামুখি চ্যালেঞ্জই দেশীয় টিভি চ্যানেলগুলোর অন্যতম সংকট। এ চ্যালেঞ্জে উতরে উঠতে না পারা প্রধান ব্যর্থতা। আর এ কারণেই যতো সমালোচনার সৃষ্টি।

টিভি চ্যানেলের বাজারে এখন মনোপলি শব্দটি একেবারেই নেই। দর্শকের কাছে অবারিত সুযোগ। অনুষ্ঠানের মানে তাই আকর্ষণীয় হয়ে ওঠার চ্যালেঞ্জ তো ছিলোই, বিদেশি স্যাটেলাইট চ্যানেল সবার কাছে অ্যাভেইলেবল হয়ে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে। ইন্টারনেট সুবিধার প্রসার এ চ্যালেঞ্জকে আরও শতগুণে বাড়িয়ে দিয়েছে।

এখন প্রত্যেকটি ব্রেনই একেকটি প্রচার মাধ্যম হয়ে ওঠার ক্ষমতা রাখে। যে প্রত্যন্ত গ্রামে বসে নতুন কিছু ভাবছে, তার কাছেও চিত্র-শব্দধারণ যন্ত্র আছে, সেও অনলাইন প্লাটফর্ম ব্যবহার করে কনটেন্ট ক্রিয়েটর হয়ে উঠতে পারে। তার সঙ্গেও প্রতিযোগিতা টিভি চ্যানেলের! দেশীয় চ্যানেলগুলো এ সংকট ফেস করছে। তারাও তাই চেষ্টা করছে অনলাইন মাধ্যমে নিজেদেরকে ছড়িয়ে রাখার।

এক সময় যে বিজ্ঞাপনের বাজার ছিলো সম্পূর্ণ টিভি চ্যানেলের দখলে, সেখানেও ভাগ বসিয়েছে নানা অনলাইন মাধ্যম। পত্রিকা-টিভি-বেতার অ্যাডের চেয়ে ডিজিটাল বা অনলাইন বিজ্ঞাপন বাজারের আকৃতি দ্রুত গতিতে বাড়ছে। যে কোনো পণ্যের প্রসারের ব্যাপার এলেই লোকে এখন আগে ভাবে অনলাইনের কথা। এক্ষেত্রে ফেসবুক, ইউটিউব, নানান জনপ্রিয় ওয়েবসাইট মাধ্যমের অভাব নেই।

ফলে আগামীতে টিভি চ্যানেল বিজ্ঞাপন বাজারে প্রতিযোগিতা করে কতোখানি লাভজনক অবস্থানে থাকতে পারবে সে চিন্তায় কপাল কুঁচকানি তো আছেই। বিশেষ করে যখন বিজ্ঞাপনই এদেশের টিভি চ্যানেলগুলোর আয়ের প্রধান উৎস।কেবল কনটেন্টের বৈচিত্রই এসব সংকট মোকাবেলার একমাত্র উপায়। প্রতিদিনের অনুষ্ঠান তালিকায় যা থাকছে, তাতে কতোখানি নতুনত্ব আছে, কতোখানি বৈচিত্রপূর্ণ এবং একইসঙ্গে বিশ্বাসযোগ্য! এ দিকটি নিয়ে ভাবা উচিত।

 

   

শুটিং ফেলে মাকে নিয়ে হাসপাতালে ছুটলেন আমির খান



মাসিদ রণ, সিনিয়র নিউজরুম এডিটর, বার্তা২৪.কম
মা জিনাত হুসেনের সঙ্গে সুপারস্টার আমির খান

মা জিনাত হুসেনের সঙ্গে সুপারস্টার আমির খান

  • Font increase
  • Font Decrease

বলিউডের অন্য তারকারা সবাই মন্দ না বলা যাবে না। তবে সুপারস্টার আমির খান সবার থেকে একটু আলাদা, সে কথা বলাই যায়। তিনি বরাবরই অন্য তারকাদের থেকে জীবনটাকে আলাদাভাবে দেখেন।

অহেতুক প্রচারণা তিনি পছন্দ করেন না। অন্য অনেক তারকার মতো বিশালবহুল জীবনযাপন পছন্দ নয় তার। পোশাক পরিচ্ছদেও শো অফ একদম অপছন্দ করেন।

তিনি শুধু তার অভিনয়টাকে প্রার্থনা জ্ঞান করেন। সেজন্যই তাকে বলিউডের মিস্টার পারফেকশনিস্টও বলা হয়। এর বাইরে পুরো সময়টাই রেখে দেন নিজের মেধার উন্নয়ন ও পরিবারের জন্য।

যদিও তার দুটি সংসার ভেঙেছে, তবে নিজের মায়ের প্রশ্নে তিনি আর কিছুরই তোয়াক্কা করেন না। বরাবরই মা জিনাত হুসেনকে তিনি আগলে রাখেন, যেটা আসলে সকল সন্তানেরই কর্তব্য।

মা জিনাত হুসেনের সঙ্গে সুপারস্টার আমির খান

আবারও তেমন একটি নজির গড়লেন আমির। নিজের ড্রিম প্রজেক্ট ‘লাল সিং চাড্ডা’র ভরাডুবির পর আমির বেশ মুশড়ে পড়েছিলেন। অনেকদিন নতুন সিনেমায় নিজেকে যুক্ত করেননি। তবে এখন তিনি সেই আগের মতো ডেডিকেশন দিয়ে নতুন ছবি ‘সিতারে জামিন পার’-এর কাজ করছেন।

তারমধ্যেই মায়ের শরীরের কথা চিন্তা করে তাকে নিয়ে হাসপাতালে পৌঁছান। মায়ের রুটিন চেক-আপ শেষে তাকে নিয়ে ঘরে ফেরেন।

প্রসঙ্গত, ২০২২-এর ৩১ অক্টোবর হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আমির খানের মা জিনাত হুসেন। মুম্বাইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। সেই থেকে মায়ের স্বাস্থ্যের দিকে আমিরের নজর আরও বেশি।

তথ্যসূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া

;

জন্মদিনে সিনেমার লম্বা বিরতি ভাঙলেন সিয়াম



মাসিদ রণ, সিনিয়র নিউজরুম এডিটর, বার্তা২৪.কম
‘জংলি’ সিনেমায় মারদাঙ্গা সিয়াম আহমেদ

‘জংলি’ সিনেমায় মারদাঙ্গা সিয়াম আহমেদ

  • Font increase
  • Font Decrease

ক্যারিয়ারের সবচেয়ে সুপারহিট সিনেমা ‘পোড়ামন ২’-এ গ্রামের সহজ-সরল তরুণের চরিত্রে অনবদ্য অভিনয় করলেও চিত্রনায়ক সিয়াম আহমেদের ইমেজ আর্বান হিরোর। দারুণ ফ্যাশন সেন্স, শহুরে চলন বলন, এমনকি চেহারায় আভিজাত্য- সবমিলিয়ে সিয়াম আহমেদ কেতাদুরস্ত তারকা।

তবে কী আবারও নিজেকে বৈচিত্র্যময়তার জানান দিতে আসছেন একাধিকবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত এই তারকা?

নিজের জন্মদিনের সন্ধ্যায় ভালোই ভেলকি দেখালেন এই নায়ক। একেবারে জংলি বেশে হাজির! না, এই ‘জংলি’ কথাটা দিয়ে নায়ককে কটাক্ষ করা হয়নি। সিয়ামের নতুন সিনেমার নামই ‘জংলি’। আর সেই চরিত্রে যে তিনি বাজিমাত করবেন তার আঁচ ঘোষণা পোস্টারেই পাওয়া যাচ্ছে।

‘জংলি’র ফার্স্ট লুকে সিয়ামকে চেনাই দায়! উস্কো খুস্কো বড় চুল, মুখ ভর্তি কাচা পাকা লম্বা দাড়ি, ঠোটে চুরোট গোজা আর চোখে মুখে ভংঙ্কর নেশা! শত্রুকে যে এইমাত্র ঘায়েল করেছেন তার প্রমান হাতভর্তি রক্ত। পায়ের নিচে চাপা পড়ে আছে হয়ত সে!

‘জংলি’ সিনেমার ফার্স্ট লুকে সিয়াম আহমেদ

এভাবেই নতুন ছবির ঘোষণা দিলেন সিয়াম। আর এই ছবির ঘোষণার মধ্য দিয়ে বেশ লম্বা বিরতি ভাঙলেন নায়ক।

ঢালিউডে প্রথমসারির নায়ক হয়েও এতোদিন কেন হাতে নতুন ছবি নিচ্ছিলেন না তা নিয়ে বেশ ভালোই প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়েছে তাকে। এবার জন্মদিনে নতুন ছবির ঘোষণা দিয়ে ভক্তদের অন্যরকম আনন্দ উপহার দিলেন নায়ক।

ছবিটি পরিচালনা করবেন এম রহিম। এর আগেও এই নির্মাতার ‘শান’ ছবিতে অভিনয় করেছিলেন সিয়াম। তার বিপরীতে ছিলেন পূজা চেরী। ছবিটির পোস্টারে জানানো হয়েছে, ‘জংলি’ মুক্তি পাবে আসছে ঈদুল আযহায়। তারমানে বোঝাই যাচ্ছে, ছবিটির কাজ অনেকদূর এগিয়ে নিয়েই ঘোষণাটা দিলেন নায়ক। এতোদিন সবাই না জানলেও তিনি ঠিকই সিনেমার কাজ করে গেছেন চুপিসারে। তবে এই সিনেমায় নায়িকা কে তা এখনো জানানো হয়নি।

ভক্তরা তাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছার পাশাপাশি ‘জংলি’র সাফল্যের জন্যও শুভকামনা জানাচ্ছেন।

;

কোনাল-বালামের ‘রাজকুমার’-এ মজেছে দর্শক



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
(বাঁমে) ‘রাজকুমার’ গানে কোর্টনি কফি ও শাকিব খান, বালাম ও কোনাল (ডানে)

(বাঁমে) ‘রাজকুমার’ গানে কোর্টনি কফি ও শাকিব খান, বালাম ও কোনাল (ডানে)

  • Font increase
  • Font Decrease

নানা আয়োজনের মাধ্যমে উদযাপিত হয়েছে ঢালিউডের শীর্ষ নায়ক শাকিব খানের ৪৫তম জন্মদিন। নিউইয়র্কের টাইমস স্কয়ারে নায়কের পোস্টার টানান ভক্তরা। জন্মদিনের আগের দিনই কোরবানির ঈদের সিনেমা ‘তুফান’র ফার্স্ট লুক প্রকাশিত হয়। মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে যায় সেই পোস্টার। পোস্টারে দুর্ধর্ষ গ্যাংস্টারের মতো হাজির হয়ে সবাইকে চমকে দেন ঢালিউডের বার্থডে বয়।

এবার ঈদে মুক্তি পেতে যাচ্ছে শাকিব খানের বিগ বাজেটের সিনেমা ‘রাজকুমার’। জন্মদিন উপলক্ষে গতকাল সন্ধ্যায় প্রকাশিত হয় সিনেমার টাইটেল ট্র্যাক। ‘রাজকুমার’ গানটিও গেয়েছেন তুমুল জনপ্রিয় গান ‘প্রিয়তমা’র কণ্ঠজুটি বালাম ও কোনাল। ‘রাজকুমার’ গানটিও তেমনই হবে- সেই প্রত্যাশা ছিল গায়ক-গায়িকার।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গানটি অনলাইনে আসার পর পরই মজেছে দর্শক। প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে এ গান ট্রেন্ডিংয়ে উঠে আসে!

এমনকি গানের পাঞ্চ লাইন ও রাজকুমার সং নামগুলোও ট্রেন্ডিংয়ে আছে। গান প্রকাশের চার ঘণ্টার মধ্যে মিলিয়ন ভিউস অতিক্রম করে। এর আগে শাকিবের ‘প্রিয়তমা’ গানেও এমন দেখা গিয়েছিল।
রাজকুমার গান ফেসবুকে ছাড়ার পর ১৮ ঘণ্টায় ২ লাখ ২০ হাজার লাইকস ২৮ হাজার মন্তব্য এবং ১১ হাজারের বেশি শেয়ার দেখা যায়! এতো অল্প সময়ে যা রীতিমত বিস্ময়কর!

বালাম ও কোনাল

গানটিতে শাকিব খান আর মার্কিন অভিনেত্রী কোর্টনি কফির জাদুকরি রসায়নে মুগ্ধ ভক্তরা। যুক্তরাষ্ট্রের চোখজুড়ানো বিভিন্ন স্থানে হয়েছে গানের দৃশ্যধারণ। গানটি লিখেছেন আসিফ ইকবাল এবং সুর-সংগীত করেন আকাশ সেন।

কিছুদিন আগে গুলশানে সীমিত পরিসরে করা এক সংবাদ সম্মেলনে, ‘প্রিয়তমার’ চেয়েও ‘রাজকুমার’কে অনেকাংশেই এগিয়ে রেখেছেন শাকিব খান। বলেছেন, ‘রাজকুমার’ একটি পরিপূর্ণ ছবি। বিশ্বব্যাপী আরও বড় পরিসরে মুক্তি পাবে সিনেমাটি।

কিছুদিন আগে ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে পরিচালক হিমেল আশরাফ লিখেছেন, ‘এমন এমন লোকেশনে, এমন এমন আয়োজনে “রাজকুমার”–এর শুটিং হয়েছে, যা কিছুদিন আগেও বাংলা সিনেমার জন্য স্বপ্ন ছিল। শুধু নিউইয়র্কেই টানা ১৮ দিন শুটিং হয়েছে, যেখানে প্রতিদিন অনেক আমেরিকান পেশাদার কলাকুশলী কাজ করেছেন, সঙ্গে বাংলাদেশের টিম তো ছিলই।

‘রাজকুমার’ গানে কোর্টনি কফি ও শাকিব খান

পরিচালক হিমেল আশরাফ লিখেছেন, ‘এই গানের সুন্দর চিত্রায়ণের জন্য মুম্বাইয়ের আদিল শেখের মতো কোরিওগ্রাফারকে আমরা নিউইয়র্কে নিয়ে আসি। অন্য একটি গানের জন্য তামিলের অশোক রাজার মতো কোরিওগ্রাফারকে ঢাকায় নিয়ে আসা হয়েছিল। অ্যাকশনের জন্য আমরা চলে গিয়েছিলাম চেন্নাইয়ে, তখন আমেরিকা থেকে ভারতে আনা হয়েছিল কোর্টনি কফি, খলনায়ক ও ফাইটারদের।’

প্রেম, পারিবারিক সম্পর্ক এবং একজন স্বপ্নবাজ তরুণের বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমানোর গল্পে নির্মিত হয়েছে ‘রাজকুমার’। ঈদে ‘প্রিয়তমা’র সব রেকর্ড ভাঙার চ্যালেঞ্জ নিয়ে হলে পা দেবে বিগ বাজেটের এই সিনেমা।

;

সারাজীবন এই ছবি দিয়েই সিয়ামকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাবেন পরী!



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
সিয়ামের সঙ্গে নিজের এই ছবিটির কথাই বলেছেন পরীমনি

সিয়ামের সঙ্গে নিজের এই ছবিটির কথাই বলেছেন পরীমনি

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় নায়ক সিয়াম আহমেদের জন্মদিন আজ। ৩৪ বছরে পদার্পণ করলেন সিয়াম। অভিনেতাকে জন্মদিনে শুভেচ্ছায় ভাসাচ্ছেন ভক্ত অনুরাগী থেকে শুরু করে তারকা সহকর্মীরাও। শুভেচ্ছায় ভাসালেন তার পর্দার নায়িকা পরীমনিও।

সিয়ামের বিশেষ এই দিনে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আবেগঘন পোস্ট দিয়েছেন পরী। এদিন নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে সিয়ামের সঙ্গে উপরের পুরনো ছবিটি শেয়ার করে ক্যাপশনে পরীমনি লিখেছেন, ‘ডিয়ার সিয়াম আহমেদ, আমি সারা জীবন তোমাকে এই ছবিটা দিয়েই বার্থডে উইশ জানাব। এই ছবিটা আমাদের কাছে একটা সুন্দর মেমোরি। প্রতিবছর ঘুরে ঘুরে ঠিক এই দিনে ছবিটার দিকে তাকিয়ে আজকের মতোই ভাববো, আমরা বড় হচ্ছি! আমাদের বন্ধুত্ব দৃঢ় হচ্ছে, পারিবারিকভাবে সখ্যতা বাড়ছে।’

‘বিশ্বসুন্দরী’ সিনেমায় সিয়াম ও পরী

পরীমনি আরো লেখেন, ‘আমরা দুজনেই বাবা-মা হয়েছি। এখন শুধু দারুণ দারুণ কাজ হবে। আমরা কাজেও অনেক বড় হবো দেখো ইনশাআল্লাহ। আমার দেখা একজন গোছানো মানুষ তুমি। জীবনে, সংসারে। দায়িত্ববান, সৎ, পরিশ্রমী একজন ভালো মানুষ। সুস্থতা নিয়ে অনেক আনন্দে বাঁচো। হ্যাপি বার্থডে।’

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পরীমনি পোস্টটি শেয়ার করা মাত্রই সেটি ভাইরাল হয়ে যায়। ভক্তরা হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন মন্তব্যে সিযামকে শুভেচ্ছা জানাতে। জন্মদিনের শুভেচ্ছায় সিক্ত করছেন অভিনেতাকে।

প্রসঙ্গত, সিয়াম ও পরীমনি জুটি হয়ে এ পর্যন্ত দুটি সিনেমায় অভিনয় করেছেন। একটি ‘বিশ্বসুন্দরী’, অন্যটি ‘অ্যাডভেঞ্চার অব সুন্দরবন’।

;