না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন বলিউড ইন্ডাস্ট্রির জনপ্রিয় সুরকার মোহাম্মদ জহুর খৈয়াম হাশমি। সোমবার (১৯ আগস্ট) রাত সাড়ে ৯টার দিকে মুম্বাইয়ের সুজয় হাসপাতালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান তিনি। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯২ বছর।
Mahan sangeetkar Aur bahut nek dil insan Khayyam sahab aaj humare bich nahi rahe. Ye sunkar mujhe itna dukh hua hai jo main bayaa’n nahi kar sakti.Khayyam sahab ke saath sangeet ke ek yug ka anth hua hai.Main unko vinamra shraddhanjali arpan karti hun. pic.twitter.com/8d1iAM2BPd
খৈয়ামের মৃত্যুতে বলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। শোক প্রকাশ করে সংগীতশিল্পী লতা মঙ্গেশকর টুইটারে লিখেছেন, ‘সংগীতের একটা যুগ শেষ হয়ে গেল।’
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও টুইটারে শোকবার্তা জানিয়ে লিখেছেন, অনেক ভাল গান ও সুরের জন্য তাঁকে মনে রাখবে আসমুদ্রহিমাচল। তাঁর মানবিকতার জন্যও খৈয়ামকে সবাই ভালোবাসত।
বিজ্ঞাপন
India will remain grateful to Khayyam Sahab for giving us some of the most memorable compositions, which will be remembered forever. He will also be remembered for his humanitarian gestures to support upcoming artists. His demise is extremely saddening.
— Narendra Modi (@narendramodi) August 19, 2019
১৯২৭ সালে তৎকালীন ব্রিটিশশাসিত ভারতের অবিভক্ত পাঞ্জাবের নয়নেশ্বর জেলায় তাঁর জন্ম। এরপর দিল্লি যান গান শেখার জন্য। সেখান থেকে পাকিস্তানের লাহোরে গিয়ে প্রখ্যাত সুরকার ও সংগীত পরিচালক বাবা গোলাম আহমেদ চিশতির সঙ্গে কাজ করেন। ওই সময় তিনি চলচ্চিত্রে অভিনয় করতে চেয়েছিলেন। তিনি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধেও অংশ নেন।
১৭ বছর বয়সে লুধিয়ানায় এসে খৈয়াম সংগীত নিয়ে কাজ শুরু করেন। বলিউডে তিনি প্রথম কাজ করেন ‘ফুটপাত’ (১৯৫৩) ছবিতে। এরপর পুরো পাঁচ দশকে তিনি ৩৭টি ছবির গানের সুর ও সংগীত পরিচালনা এবং আবহসংগীতের কাজ করেন। তাঁর বেশির ভাগ ছবির গান খুব জনপ্রিয় হয়।
‘উমরাও জান’ (১৯৮১) ছবির জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছিলেন মোহাম্মদ জহুর খৈয়াম হাশমি। এছাড়া ‘কাভি কাভি’ (১৯৭৬) ও ‘উমরাও জান’ ছবি দুটির জন্য পেয়েছেন ফিল্মফেয়ার পুরস্কার। ফিল্মফেয়ার তাঁকে আজীবন সম্মাননা দিয়েছে ২০১০ সালে। পরের বছর সংগীতে অবদান রাখার জন্য ভারতের সরকার তাঁকে ‘পদ্মভূষণ’ সম্মানে ভূষিত করে।
রাজস্থানের দু’শো বছরের পুরনো দুর্গে বিয়ে করলেন বলিউড তারকা অদিতি রাও হায়দরি এবং দক্ষিণি অভিনেতা সিদ্ধার্থ সূর্যনারায়ণ।
অনেক বলিউড তারকার মতো অদিতি আর সিদ্ধার্থও ডেস্টিনেশন ওয়েডিং করলেন। অনেক তারকার মতো বিয়ের পোশাকের জন্য তারাও বেছে নিয়েছেন বিখ্যান ডিজাইনার সব্যসাচী মুখোপাধ্যায়ের পোশাক। তবে অন্য বিয়ের সঙ্গে মিল বলতে এইটুকুই। অনেক বিষয়েই বলিউডি বিয়ের গদবাঁধা নিয়ম ভেঙেছেনও তারা।
অদিতি-সিদ্ধার্থ বলেছিলেন, ‘ম্যাজিক আর ভালবাসা এখনও ফুরোয়নি’। অদিতি রাও হায়দরি এবং সিদ্ধার্থ সূর্যনারায়ণের অনুরাগীদের সেই ইঙ্গিতই যথেষ্ট ছিল। তারা বুঝে গিয়েছিলেন, মন্দিরে পরিবারের উপস্থিতিতে সামাজিক বিয়ে আর তার পরে ফিল্মজগতের তারকাদের সাক্ষী রেখে সাদামাঠা আইনি বিয়েতেই অদিতি-সিদ্ধার্থের বিয়ের উদযাপন শেষ হচ্ছে না, পিকচার অভি বাকি হ্যায়।
অদিতি-সিদ্ধার্থের বিয়ের ধমাকাদার অনুষ্ঠানের জন্য চলছিল অপেক্ষা। অবশেষে অপেক্ষার অবসান ঘটালেন অভিনেত্রীই। ইনস্টাগ্রামে বিয়ের তৃতীয় অনুষ্ঠানের ছবি দিলেন অভিনেত্রী।
অদিতি-সিদ্ধার্থ তাদের ডেস্টিনেশেন ওয়েডিংয়ের জন্য বেছে নিয়েছিলেন রাজস্থানের বিষাণগড়ের ২৩০ বছরের পুরনো আলিলা দুর্গ। আরাবল্লির নয়নভিরাম দৃশ্যপটে আঁকা ছবির মতো রাজস্থানের ওই দুর্গ বিখ্যাত তার ঐতিহ্যবাহী শিল্পনিদর্শনের জন্য।
তবে অদিতি-সিদ্ধার্থ দুর্গের কোনও প্রাসাদোপম কক্ষে বিয়ের মণ্ডপ বাঁধেননি। বরং দুর্গের ধূসর পাঁচিলের গা ঘেঁষে এক বিরাটদেহী নিমগাছের নীচে মালাবদল করেছেন দু’জন।
মন্দিরে যাগযজ্ঞ করে বিয়ে হয়ে গিয়েছে। কাগজে সইসাবুদের বিয়েও হয়েছে। অদিতি এবং সিদ্ধার্থের তৃতীয় বিবাহ অনুষ্ঠানে দু’জনকে দেখা গেল মালাবদল করতে। তাদের গলায় ছিল জুঁই এবং অন্য নানা রকম সাদা ফুলের গোড়ের মালা। তবে বিয়ের মণ্ডপ সাজানো হয়েছিল অগুনতি রজনীগন্ধার মালা দিয়ে।
তারকাদের বিয়ের পোশাক হয় জমকালো। দীপিকা পাড়ুকোন থেকে শুরু করে অনুষ্কা শর্মা, প্রিয়ঙ্কা চোপড়া, কিয়ারা আদভানি, নয়নতারা, কাজল আগারওয়ালসহ অনেক নায়িকার বিয়ের পোশাক এবং গয়না ছিল জমকালো। আলিয়া ভাটই প্রথম একেবারে ছিমছাম সাজে বিয়ে করেন। তার বিয়ের পোশাক আর গয়না ছিল খুবই হালকা, তবে ইউনিক। কিন্তু অদিতির পোশাকের অনাড়ম্বর ভাব আলিয়াকেও টেক্কা দিয়েছে।
নকশাহীন একরঙা একটি ফুলহাতা ব্লাউজ পরেছেন অদিতি। সঙ্গের অরগ্যাঞ্জার ওড়নাটিতেও কোনও নকশা নেই। শুধু রয়েছে হালকা সোনালি মেরুন পাড়। অদিতির লাল লেহঙ্গার যাবতীয় নকশাও সীমিত ছিল চওড়া পাড়ে।
এর সঙ্গে অদিতি পরেছিলেন একটি মাত্র চোকার হার, ঝুমকো দুল, নথ এবং মাথাপট্টি। হাতে চুড়িও পরেননি অদিতি।
অন্য দিকে সিদ্ধার্থ পরেছিলেন নকশাহীন ক্রিমরঙা সিল্কের শেরওয়ানি-চুড়িদার আর সাদার উপর সাদা কাজ করা অরগ্যাঞ্জার শাল। গলায় অবশ্য সাত ছড়া মুক্তোর হার পরেছিলেন সিদ্ধার্থ। দু’জনেরই পোশাক এবং গয়না তারই নকশা করা বলে জানিয়েছেন সব্যসাচী।
সাধারণত বলিউডের তারকাদের ডেস্টিনেশন ওয়েডিংয়ের খবর চাউর হয়ে যায় অনেক আগে থেকেই। আমন্ত্রিত তারকাদের নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছনো থেকে শুরু করে সেখানে প্রতিদিনের অনুষ্ঠানে তাদের পোশাক-আশাক কার্যকলাপ— সবই ছবিশিকারি মারফত ছড়িয়ে পড়ে ইন্টারনেটে। এ ক্ষেত্রে তেমন হয়নি।
অদিতি-সিদ্ধার্থ নিজেরাই বিয়ের ছবি দিয়ে চমকে দিয়েছেন। অনুরাগীদের মনে তাই প্রশ্ন, অতিথিদের নিয়ে কি তবে বিয়ের একটা চতুর্থ অনুষ্ঠানও করবেন অদিতিরা? বিয়ের ছবির ক্যাপশনে যদিও তেমন কোনও ইঙ্গিত দেননি অদিতি বা সিদ্ধার্থ। তারা শুধু লিখেছেন, ‘জীবনে যদি কিছু ধরে থাকতে হয়, তবে একে অপরকে ধরে রাখাই সবচেয়ে ভাল।’
আজ রাজধানীর আর্মি স্টেডিয়াম মাতাতে প্রস্তুত বলিউড ও পাকিস্তানের জনপ্রিয় গায়ক আতিফ আসলাম। তার মঞ্চে ওঠার আগেই পাওয়া গেলো নতুন খবর। আরেক প্রখ্যাত বলিউড ও পাকিস্তানি গায়ক রাহাত ফতেহ আলী খানও আসছেন ঢাকায় গাইতে।
আগামী ২১ ডিসেম্বর একই ভেন্যুতে 'ইকোস অব রেভ্যুলেশন' শিরোনামে একটি চ্যারিটি কনসার্টে গাইবেন তিনি। কনসার্ট থেকে আয়কৃত অর্থ জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের পরিবারকে সহায়তার জন্য শহীদ জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশনে দান করা হবে। বিশ্বখ্যাত সংগীতজ্ঞ রাহাত ফাতেহ আলী খান ছাড়াও কয়েকটি জনপ্রিয় দেশীয় ব্যান্ড গান পরিবেশন করবেন।
আজ শুক্রবার বিকেল ৪টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মধুর ক্যান্টিনে কনসার্টটির আয়োজক 'স্পিরিটস অফ জুলাই' আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য রাখেন 'স্পিরিটস অফ জুলাই’-এর সদস্য ঢাবির আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী হাসান মাহমুদ রিজভী, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সাদেকুর রহমান সানি, শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন বিভাগের শিক্ষার্থী মো. জাফর আলী এবং ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ওয়াহিদ-উজ-জামান।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, '‘জুলাই-আগস্ট গণআন্দোলনে নিহতদের পরিবার ও আহতদের পাশে দাঁড়াতে আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) একদল শিক্ষার্থী ‘স্পিরিটস অব জুলাই’ নামক এক প্লাটফর্মের মাধ্যমে আগামী ২১ শে ডিসেম্বর (শনিবার) ‘ইকোস অব রেভ্যুলেশন’ শিরোনামে একটি চ্যারিটি কনসার্ট আয়োজন করতে যাচ্ছি। এই কনসার্ট থেকে আয়কৃত সম্পূর্ণ অর্থ আমরা আন্দোলনে আহত-নিহতদের পরিবারকে সহায়তা করার মাধ্যমে তাদের পাশে থাকতে চাই। এ প্রেক্ষিতে ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানের সময় জুলাই গণহত্যায় শহীদ ও আহতদের পরিবার নিয়ে কাজ করা সংস্থা ‘শহীদ জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশন’-এ দান করা হবে।'’
গত ১২ নভেম্বর ‘স্পিরিটস অফ জুলাই’ প্লাটফর্মের সঙ্গে জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সঙ্গে এই বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করা হয়েছে বলেও লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করা হয়।
কনসার্টের মূল আকর্ষণ বিশ্বখ্যাত সংগীতজ্ঞ রাহাত ফাতেহ আলী খান বিনা পরিশ্রমে গান পরিবেশন করবেন উল্লেখ করে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, 'বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) তার সঙ্গে ‘স্পিরিটস অফ জুলাই’-এর একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এ চুক্তিতে আমাদের কনসার্টে তিনি বিনা পারিশ্রমিকে পারফর্ম করবেন বলে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়েছেন অর্থাৎ তার পারিশ্রমিকও আহত-নিহতদের পরিবারকে প্রদান করা হবে।'
এ ছাড়া কনসার্টে স্বল্প পারিশ্রমিকে দেশীয় সংগীত ব্যান্ড আর্টসেল, চিরকুট, অ্যাশেজ, আফটারম্যাথ ও র্যাপ সংগীতশিল্পী সেজান এবং হান্নানও গান পরিবেশন করবেন বলে লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করা হয়। সংগীত ছাড়াও কনসার্ট ইভেন্টে জুলাই বিপ্লব-সংক্রান্ত গ্রাফিতি প্রদর্শনী, মঞ্চনাটক এবং মুগ্ধ ওয়াটার জোনসহ আরো বিভিন্ন কর্ণার থাকবে বলে এ সময় উল্লেখ করা হয়।
ডিসেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে কনসার্টের টিকেট বিক্রি শুরু হতে পারে বলে উল্লেখ করে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, 'চ্যারিটি কনসার্টটির টিকিটের শুভেচ্ছা মূল্য মোট তিনটি ক্যাটাগরিতে রাখা হয়েছে, তবে এর পরিমাণ এখনো নির্ধারণ করা হয়নি। শিগগিরই মূল্য নির্ধারণ করে টিকিটের সামগ্রিক বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়ে দেওয়া হবে।'
লিখিত বক্তব্যে আরও বলা হয়, 'অর্থ সংক্রান্ত সার্বিক বিষয়ের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণ ও পরামর্শ প্রদানের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ নিয়ে আমরা ইতোমধ্যে একটি উপদেষ্টা পরিষদ গঠন করেছি। এ পরিষদে রয়েছেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যার এ এফ রহমান হলের প্রাধ্যক্ষ ড. মাহফুজুল হক সুপণ, আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. আনসারুল আলম, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর মোহাম্মদ মাহবুব কায়সার, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক মুহাম্মদ রুহুল আমিন ও অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তানজীম উদ্দিন খান, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস ও সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. সাইফুল আলম চৌধুরী, ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. রেজওয়ানুল হক খান, বারডেম হাসপাতালের অধ্যাপক ডা. মাহবুবুল হাসান মুনির এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির (ডুজা) সভাপতি মহিউদ্দিন মুজাহিদ মাহি।'
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন কনসার্টের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ড. মাহফুজুল হক সুপণ, অধ্যাপক ড. আনসারুল আলম, মোহাম্মদ মাহবুব কায়সার, কনসার্টের টাইটেল স্পন্সর প্রতিষ্ঠান প্রাইম ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মানবসম্পদ বিভাগের প্রধান জিয়াউর রহমান ও কনসার্টের আয়োজক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী এস এম এহসান উল্লাহ ধ্রুব, সংগীত বিভাগের ওয়াজীহ তওসীফ, বিশ্বধর্ম ও সংস্কৃতি বিভাগের নূর-এ-আলম, আইন বিভাগের আরাফাত চৌধুরী, ব্যাংকিং অ্যান্ড ইন্স্যুরেন্স শিক্ষার্থী হাসিব-উল-হাসান; জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের শিক্ষার্থী সাদমান নাজিব এবং আইইউবির মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী রাইয়ান রহমান প্রমুখ।
২০০৮ সালে মুক্তি পেয়েছিল ‘স্লামডগ মিলিয়নেয়ার’। সেবার সেরা চলচ্চিত্র, সেরা পরিচালক, সেরা মিউজিকসহ মোট আটটি শাখায় অস্কার জিতে নিয়েছিলো ছবিটি। বলে রাখা ভালো, এই ছবির জন্যই কাঙ্খিত অস্কার ঘরে তোলেন ভারতীয় সুরকার ও সঙ্গীতপরিচালক এআর রহমান। ‘জয় হো’ গানটির কথা ভারতীয় উপমহাদেশের মানুষের ভুলবার কথা নয়। যেখানে প্রধাণ চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন দুই ভারতীয় বংশদ্ভূত অভিনয়শিল্পী দেব প্যাটেল ও ফ্রিদা পিন্টো।
ভারতের বস্তির মানুষের কাহিনী নিয়ে নির্মিত ছবিটিতে আরও দেখা যায় বলিউড সুপারস্টার অনিল কাপুর ও ইরফান খানকেও।
ড্যানি বয়েল পরিচালিত সিনেমাটি মুক্তির পর কেটে গিয়েছে ১৭ বছর। এবার পর্দায় আসতে চলেছে ‘স্লামডগ মিলিয়নেয়ার’এর সিক্যুয়াল! সম্প্রতি মিলেছে এমনই ইঙ্গিত।
নতুনভাবে চালু হওয়া প্রোডাকশন কোম্পানি ‘ব্রিজ ৭’ স্লামডগ মিলিয়নিয়ারের সিক্যুয়াল ও টিভি স্বত্ব কিনে নিয়েছে।
‘ডেডলাইন’-এর প্রতিবেদন অনুসারে, লস অ্যাঞ্জেলেসভিত্তিক এ কোম্পানিটি পরিচালনা করছেন প্রযোজক স্বতী শেঠি এবং অভিজ্ঞ সিএএ এজেন্ট গ্রান্ট কেসম্যান। তারা এ স্বত্বটি কিনেছেন যুক্তরাজ্যভিত্তিক কোম্পানি সেলাডর থেকে।
এদিকে সেলাডর ব্রিজ ৭-এর সঙ্গে মিলে ‘স্লামডগ মিলিয়নেয়ার’র সিক্যুয়ালের কাজ শুরু করতে যাচ্ছে।
তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু প্রকাশ করা হয়নি। স্বতী শেঠি এবং গ্রান্ট কেসম্যান একটি যৌথ বিবৃতিতে বলেছেন, ‘কিছু গল্প সারা জীবন আমাদের মনে থাকে, স্লামডগ মিলিয়নিয়ার তেমনই একটি গল্প যেটা ভুলে যাওয়ার নয়। এটা সেই ধরনের গল্প, যা বিনোদনকে গভীর মানবিক অভিজ্ঞতার সঙ্গে সংযুক্ত করে।’
এই চলচ্চিত্রের গল্পটি মুম্বাইয়ের দুই দরিদ্র ছেলে জামাল এবং সেলিমের জীবনকে কেন্দ্র করে। যাদের একটি মেয়ের সঙ্গে পরিচিত হয়, যার নাম লতিকা। অনিল কাপুরের অভিনীত জনপ্রিয় গেম শো হোস্ট প্রেম কুমারের চরিত্রটি এ সিনেমার একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক ছিল। কাহিনিটি তাদের জীবন সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে এগিয়ে চলে, যার মধ্যে রয়েছে ধর্মীয় দাঙ্গায় তাদের মায়ের মৃত্যু এবং দারিদ্র্য কাটিয়ে ওঠার সংগ্রাম।
সিনেমার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ ছিল জামালের ‘হু ওয়ান্টাস টু বি অ্যা মিলিয়নিয়ার’ গেম শোতে অংশগ্রহণ করা, যেখানে সে ২৫ মিলিয়ন রুপি জিতে নেয় এবং তার এই জয় ছবিতে লাখ লাখ মানুষের অনুপ্রেরণা হয়ে ওঠে।
৮২তম অস্কার অনুষ্ঠানে ঝড় তুলে দিয়েছিল ‘স্লামডগ মিলিয়নেয়ার।’ ২০০৫ সালে বিকাশ স্বরূপের উপন্যাস ‘কিউ অ্যান্ড এ’-এর উপর ভিত্তি করে ছিল সিনেমার মূল গল্প।
ছোটপর্দার পরিচিত অভিনেত্রী জেবা জান্নাত কিছুদিন আগে নিজের বিয়ের ঘোষণা দিয়ে আলোচনায় আসেন।
গত বছরের প্রথম দিকে একটি ঘনিষ্ঠ ভিডিও প্রকাশ করেছিলেন জেবা, যেখানে এক যুবকের সঙ্গে তাকে দেখা যায়। ঘনিষ্ঠ সেই মুহূর্তে যুবকটি অভিনেত্রীর কপালে চুম্বন করছিলেন, আরেকটি দৃশ্যে জেবা তাকে চুম্বন করেন।
ভিডিওটির ক্যাপশনে তিনি ভালোবাসার মূল্যায়ন ও সম্মান নিয়ে একটি বার্তা দিয়েছিলেন। তবে কে এই যুবক এবং তার সঙ্গে তার সম্পর্কের গভীরতা কী, সে বিষয়ে কিছুই স্পষ্ট করেননি। বিষয়টি নিয়ে তখন থেকেই নেটিজেনদের বেশ চর্চা।
বিয়ের ঘোষণা দেওয়ায় যেমন সবাই শুভ কামনা জানিয়েছিল, উচ্ছ্বসিত হয়েছিল।
তবে সম্প্রতি তার এক ফেসবুক পোস্ট ও ভিডিও ঘিরে তৈরি হয়েছে চাঞ্চল্য। যেখানে এই অভিনেত্রীকে হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে থাকতে দেখা যায়।
গত ২৭ নভেম্বর দুটি ছবি পোস্ট করা হয় জেবা জান্নাতের ফেসবুক প্রোফাইলে। সেখানে তাকে হাসপাতালে শুয়ে থাকা অবস্থায় দেখা যায়। ক্যাপশনে লেখা, ‘কাউকে কষ্ট দিও না এবং নিজের থেকেও কষ্ট পেও না। তুমিই একমাত্র মানুষ যে সবসময় সব পরিস্থিতিতে তোমার সঙ্গে থাকে, আর কেউ না। ভাই, জীবন তো একটাই, দরকার নেই আর কোন মানুষের। তুমি ফুল, আকাশের মধ্যরাতের তারাকে সঙ্গে নিয়ে প্রার্থনা করতে পার, একা একা হাটতে পারো। একজন নিষ্ঠুর হৃদয়ের মানুষকে তোমার পবিত্র হৃদয় দিয়ে ভালোবাসা দেওয়ার দরকার নেই। তোমার এর চেয়ে ভালো কিছু প্রাপ্য।’
সবশেষে লেখা, ‘বন্ধুরা, জেবা জান্নাত অসুস্থ। তার জন্য প্রার্থনা করুন।’
এবার অসুস্থতার ভিডিও সবার মনেই প্রশ্ন তুলেছে। অনেক ভক্ত মনে করছেন, এটি তার কোনো নাটকের শুটিংয়ের দৃশ্য।