৪৬ বছর আগে বাবা-মা’র দেখাও হয়নি : জয়া আহসান
জয়া আহসান, বাংলাদেশের অভিনেত্রী। এপার তো বটেই, দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন ওপার বাংলাও।
পাঁচ কন্যার ক্রিসক্রস-এর টিজার ও গান মুক্তি পেল সেদিন। অপ্রত্যাশিত সাড়া ফেলছে সেটি। জয়ার ভাষ্যও তাই।
ভাল হোক কিংবা মন্দ- তার অভিনীত চলচ্চিত্র কিংবা অন্যান্য কাজ নিয়ে বেশিরভাগ দর্শকই গুরুত্বের সঙ্গে মতামত দেন বলে জানিয়েছেন জয়া।
বলেছেন-
কখনো আমার কাজ আমার ভক্তদের গর্ব বাড়িয়ে দেয়, কখনো আমি তাদের হতাশ করি।
যারা জয়ার কাজ এমনকী ব্যক্তি জয়াকে অপছন্দ করেন, তাদেরকে তিনি অপছন্দ করেননা। বরং তাদের ব্যাপারে আরো অনেক বেশি যত্নশীল হোন।
জয়া বিশ্বাস করেন, গঠনমূলক সমালোচনাই একজন শিল্পীকে কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছে দেয়।
বলেছেন-
আমি আমার অভিনয় জীবনে বরাবরই সমালোচকদের দেখানো পথে চলবার চেষ্টা করেছি। তবে শুধুমাত্র ‘বলার জন্য বলা’ নেতিবাচক মন্তব্য কখনো আমার ভেতর প্রতিক্রিয়া তৈরি করতে পারেনি। এ ক্ষেত্রে আমি নির্ভার।
তবে জয়া এবার আর নির্ভার থাকতে পারেননি। লিখেছেন-
ইদানিং ২/১ টি বিষয় আমাকে কিছুটা ভাবিয়ে তুলেছে। বিশেষ করে ইদানিং বেশ কয়েকজন বিভিন্ন পত্রপত্রিকা/ উইকিপিডিয়ার তথ্যসূত্র টেনে আমার বয়স নিয়েও বেশ চর্চা করছেন। বলা হচ্ছে, আমার বয়স নাকি ৪৬! গুজব-গুঞ্জন আমি বরাবরই খাবারের লবনের মত উপভোগ করে গিয়েছি। দু-একজন সমবয়সী কিংবা আমার চেয়ে বয়সে বড় শ্রদ্ধাভাজন সহকর্মী (বিশেষ করে বেশ কয়েকজন অভিনেত্রী) গণমাধ্যমে নিজেদের অধিকার মনে করে আমার বয়স (ভুল তথ্য) নিয়ে চর্চা করেছে-বিষয়টি মজার। তাই এতদিন উপভোগ করেই গিয়েছি। তবে খুব সম্ভবত আমার চুপ থাকাটাকে অনেকে ‘মৌনতা সম্মতির লক্ষণ’ হিসেবে ধরে নিয়েছেন। নিন্দুকেরাও ‘অস্ত্র’ হিসেবে আমার বয়সের ভুল তথ্য প্রচার করে আনন্দ পাচ্ছেন।
এ ক্ষেত্রে তিনি প্রথম ও শেষবারের মতো সবার উদ্দেশ্যে জানিয়েছেন-
বয়স নয়, একজন শিল্পীর প্রকৃত পরিচয় হওয়া উচিত তার কাজ। ৪৬ কিংবা ৫৬ কিংবা তার চেয়েও বেশি বয়স হলেই অভিনেত্রীরা কাজের অযোগ্য কিংবা তারুণ্যদীপ্ত চরিত্রে অভিনয় করতে পারবেন না- এমন ধারণা বিশ্বের কোনো চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রিই পোষণ করেন না। তাই ব্যক্তি জয়া আহসানের যে বয়স, তা নিয়ে আমি এতটুকু বিচলিত নই। তবে ভুল তথ্য প্রচার করে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আমাকে হেয় করার চেষ্টা থেকে বিরত থাকার জন্য সবার উদ্দেশ্যে অনুরোধ করছি। বিশেষ করে আমার কাজ যারা পছন্দ করেন, দায়িত্বশীল যেসব সাংবাদিক আমাকে নিয়ে দু কলম লিখবার মত যোগ্য মনে করেন, তারা ভবিষ্যতে বিষয়টি সংবেদনশীলভাবে দেখবেন বলেই আশা করছি।
যা যা ভুল প্রচার হচ্ছে:
- জয়ার বয়স ৪৬
- বাবার নাম আলী আহসান সিডনী
- জয়ার আরো দুই বোন ও এক ভাই আছে
- বাড়ি ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়া
কিন্তু জয়া জানিয়েছেন:
- ৪৬ বছর আগে আমার বাবা-মা’র বিয়ে তো দূরের কথা, দেখাও হয়নি।
- আমার বাবা ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা এ এস মাসউদ
- আমরা দুই বোন ও এক ভাই
- বাড়ি গোপালগঞ্জ
এইসব প্রকৃত তথ্য জয়া বাধ্য হয়ে শেয়ার করেছেন সামাজিক যোগযোগ মাধ্যম ফেসবুকের একটি পোস্টে। যেন কেউ আর ভুল তথ্য ছড়িয়ে দিয়ে ভক্তদের বিভ্রান্ত করতে না পারে।
জয়া বলেছেন-
সংশ্লিষ্টদের কাছে অনুরোধ, একজন শিল্পীর জীবন বৃত্তান্ত তুলে ধরবার আগে ন্যূনতম একবার তার সাথে কথা বলা উচিত। আশা করছি ভুল শুধরে ভবিষ্যতে আমরা প্রতিটি শিল্পী সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানার চেষ্টা করবো। কারণ ভক্তরা যেমন তার পছন্দের শিল্পী সম্পর্কে ভুল তথ্য কিংবা ভুল ব্যাখ্যা পড়তে পছন্দ করেন না, শিল্পীরাও প্রতিনিয়ত ভুল তথ্য দিয়ে ভক্তদের বিভ্রান্ত করতে চান না।