ড.কামাল, বি. চৌধুরী, রব, মান্নাদের নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর হাস্যরস



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
সাংবাদিক সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সাংবাদিক সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

  • Font increase
  • Font Decrease

‘সুসময়ে সরব আ স ম আব্দুর রব’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কথাটি বলার সঙ্গে সঙ্গেই গণভবনে সাংবাদিক সম্মেলন কক্ষে হাসির রোল। জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) আ স ম আব্দুর রবকে ছাত্রজীবন থেকে এভাবেই চিনতেন বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।


তিনি বলেন, রব সাহেব একসময় আমাদের ছাত্রলীগ করত । ‘সুসময়ে সরব আ স ম আব্দুর রব। আমরা এই ছাত্রজীবনেই তাকে সবসময় এটাই বলতাম। মানে, সময়ে সরব অসময়ে নীরব আ স ম আব্দুর রব। তো উনি এখন সরব হচ্ছেন সেটা ভালো কথা।’

রোববার (২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে গণভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। নেপালে অনুষ্ঠিত বিমসটেক সম্মেলন নিয়ে এ সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করা হয়।

নাগরিক ঐক্যের আহ্ববায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তিনিও আমাদের পার্টি করতে এসেছিলেন। কিন্তু উনি এখানে খুব একটা স্বস্তি ফিল করেন নি। কারণ সারাজীবন আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে লিখে অভ্যস্ত। যখন আমাদের পার্টি করতে আসল তখন আমি বললাম, আপনার হাত এত ভালো এত সুন্দর লেখেন তা আপনি আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে এতদিন লিখেছেন,  এখন একটু পক্ষে লেখেন। দেখা গেল যে উনি পক্ষে লিখতেই পারেন না।’

উপস্থিত সাংবাদিক ও আওয়ামী লীগ নেতাদের মুখে আবারো মৃদু হাসির রোল।


‘উনাকে পক্ষে লিখতে বললেই- মান্না...জুড়ে দেয় কান্না। গণভবনে আবারো উচ্চ হাসির রোল। প্রধানমন্ত্রীও হাসতে হাসতে আরও বলেন, তা কি করা যাবে উনি আমাদের ছেড়ে চলে গেলেন।’


https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Sep/02/1535890574064.jpg
সাংবাদিক সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

গণফোরাম নেতা ড. কামাল হোসেন ও যুক্তফ্রন্ট ঐক্যের নেতা বি. চৌধুরী, মাহমুদুর রহমান মান্না, আসম আব্দুর রবদের র্নিবাচনী জোটকে স্বাগত জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। তিনি শুধু স্বাগত জানান নি, সেই সঙ্গে যুক্তফ্রন্ট নেতাদের অতীত রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড ও ইতিহাস জাতির সামনে তুলে ধরেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি সাধুবাদ জানাই তারা সব মিলে একটা জোট করছে। এটা ভালো। বাংলাদেশে তো পার্টি দুইটা। একটা আওয়ামী লীগ আরেকটা অ্যান্টি আওয়ামী লীগ। অর্থাৎ আওয়ামী লীগ বিরোধী। আওয়ামী লীগ বিরোধীদের তো একটা জায়গা লাগবে যাওয়ার। কাজেই এ জন্য তারা যে ঐক্য করেছেন আমি সাধুবাদ জানাই। যে ঐক্যটা থাক। ভালো হোক’।

ড. কামাল আদৌ নির্বাচন চান কি না সেই প্রশ্ন তুলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ড. কামাল এবং গং যারা এক হয়েছে তারা আদৌ নির্বাচন চায় কি না এখানেই আমার প্রশ্ন। কারণ বাংলাদেশে তো একটা শ্রেণি বসেই থাকে তারা মনে করে, কোন অসাংবিধানিক অনির্বাচিত এরকম কিছু যদি ক্ষমতা দখল করতে পারে তাহলে তো একটা পতাকা পেতে পারে, তাদের একটু গুরুত্ব বাড়ে।’

আনকনটেস্টেড হওয়া সাংবিধানিকভাবেই আছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘ড. কামালও তো নির্বাচনে আনকনটেস্টেড জিতে আসছিলেন। জাতির পিতা একটা সিট ছেড়ে দিয়েছিলেন তার জন্য। সে জাতির পিতার ছেড়ে দেওয়া সিটে উনি ইলেকশন করলেন, পেপার সাবমিট করলেন, কেউ কনটেস্ট করেনি, নিজেই আনকনটেস্টেড জিতে এলেন। এখন সেই আনকনটেস্টেড এমপি, আজ নিজেকে সংবিধান প্রণেতাও বলেন, আবার এখন দেখি সেই সংবিধানও তিনি মানতে চাননা।


বি. চৌধুরী প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, তিনি একসময় আমাদের খুবই ঘনিষ্ঠ ছিলেন। এবং স্বাধীনতার পর পর ‘আপনার ডাক্তার’ প্রোগ্রাম টিভিতে হত। এটা কিন্তু বঙ্গবন্ধু বলছিলেন উনাকে একটা করতে।  সেখান থেকে তিনি খুব ভালো জনপ্রিয়তা পান এবং পঁচাত্তরের পরে তিনি বিএনপি করতে যান। কিন্তু খালেদা জিয়াও তো তাকে সম্মান দেননি। বঙ্গভবন থেকে বের করে রেল লাইনের উপরে দিয়ে দৌঁড় দেওয়ালো। উনার ভাগ্যে সেটাই জুটল।


বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর দিকে ইঙ্গিত করে শেখ হাসিনা বলেন, কাদের সিদ্দিকী তিনিও আমাদের সঙ্গে ছিলেন। ৯৬ সালের পার্লামেন্টে হঠাৎ তার মাথায় কে কি ঢুকালো জানি না তিনি রিজাইন করল। স্বতন্ত্র ইলেকশন করে আসলেন যে, আওয়ামী লীগের এমপিরা তাকে ভোট দেবেন, বিএনপির এমপিরাও তাকে ভোট দেবে উনি প্রধানমন্ত্রী হবেন। ’


‘এই মাকাল ফলটা কে দেখালেন জানি না। সেই আশা নিয়ে সে পদত্যাগ করে ইলেকশন করতে গিয়ে নৌকা ছাড়া ইলেকশনে জিততে পারলেন না। কারণ মানুষ তখন নৌকায় ভোট দিয়েছেন, এজন্য তিনি ইলেকশন জিতে আসতে পারলেন না।’


সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের,পররাষ্ট্র মন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলীসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

   

উপজেলা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না মন্ত্রী-এমপিদের স্বজনরা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলের মন্ত্রী–সংসদ সদস্যদের স্বজনদের নির্বাচনে অংশ না নেয়ার নির্দেশনা দিয়েছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। নির্দেশনায় মন্ত্রী-সাংসদদের সন্তান, পরিবারের সদস্য ও নিকটাত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর কথা বলা হয়েছে।

দলীয় সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সকালে ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগের সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক, দপ্তর সম্পাদক ও উপদপ্তর সম্পাদকদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বৈঠকে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়।

বৈঠক সূত্রে জানা যায়, বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন দলটির দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক, দপ্তর সম্পাদক ও উপদপ্তর সম্পাদক। এতে দলীয় প্রধান শেখ হাসিনার কঠোর নির্দেশনার কথা দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের জানান দলটির সাধারণ সম্পাদক। এ সময় তিনি উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হতে চাওয়া মন্ত্রী ও সাংসদদের স্বজনদের তালিকা করারও নির্দেশনা দেন। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচন প্রভাব মুক্ত রাখার যে কঠোর নির্দেশনা তা সবাইকে তিনি অবগত করেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন বার্তা২৪.কমকে বলেন, বৈঠকে আমাদের সাধারণ সম্পাদক মন্ত্রী-সাংসদদের সন্তান, ভাই বা নিকটাত্বীয়রা উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী যেনো না হয় তা বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা আমাদের জানিয়েছেন।

;

ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপির প্রতিনিধি দলের বৈঠক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকায় নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুকের সঙ্গে বৈঠক করেছে বিএনপি। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) রাজধানীর বারিধারায় ব্রিটিশ হাইকমিশনারের কার্যালয়ে বিএনপির প্রতিনিধি দলের সঙ্গে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সাংগঠনিক সম্পাদক শ্যামা ওবায়েদ অংশ নেন। ব্রিটিশ হাইকমিশন বাংলাদেশের এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্টে এ তথ্য জানানো হয়।

ওই পোস্টের ক্যাপশনে লেখা হয়, বিএনপির রাজনৈতিক কৌশল নিয়ে দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে করেছেন সারাহ কুক।

এ বিষয়ে বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান বলেন, দুপুরের দিকে বৈঠক হয়েছে বলে আমি জানি। তবে, বৈঠকের বিষয়বস্তু সম্পর্কে কিছু জানা নেই।

;

জামিন না দেওয়া প্রাত্যহিক কর্মসূচিতে পরিণত করেছে: মির্জা ফখরুল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, মিথ্যা মামলায় দলের নেতাকর্মীদের সাজা প্রদান ও জামিন না দিয়ে কারাগারে পাঠানোকে আওয়ামী সরকার তাদের প্রাত্যহিক কর্মসূচিতে পরিণত করেছে।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) বিএনপি নেতা হাবিবুর রশিদ হাবিব, মাকসুদ হোসেন এবং সদস্য মোহাম্মদ আরিফ হাসানকে জামিন না দিয়ে কারাগারে পাঠানোর ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা বলেন তিনি।

মির্জা ফখরুল বলেন, মিথ্যা, বানোয়াট ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলায় অন্যায়ভাবে সাজাপ্রাপ্ত বিএনপি নির্বাহী কমিটির সদস্য হাবিবুর রশীদ হাবিবসহ কয়েকজন আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানো হয়।

তিনি বলেন, ৭ জানুয়ারি ডামি ও প্রহসনমূলক নির্বাচনের পর দখলদার আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী কর্তৃক জোরালোভাবে শুরু হয়েছে বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোর নেতাকর্মীদের ওপর অবর্ণনীয় জুলুম—নির্যাতন। ডামি আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকার তাদের অবৈধ ক্ষমতা ধরে রাখার লক্ষ্যে দেশব্যাপী বিরোধী দল ও মতের মানুষদের ঘায়েল করতে লাগামহীন গতিতে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন মামলা দায়েরের মাধ্যমে আদালতকে দিয়ে ফরমায়েশি সাজা দিচ্ছে। জামিন নামঞ্জুর করে কারান্তরীণ করতে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।

;

গণতন্ত্র ও আইনের শাসনের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ নেই বিএনপির: ওবায়দুল কাদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

  • Font increase
  • Font Decrease

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিএনপি নেতবৃন্দ লাগাতারভাবে মিথ্যাচার করে যাচ্ছেন। প্রকৃতপক্ষে গণতন্ত্র ও আইনের শাসনের প্রতি তাদের কোনো শ্রদ্ধাবোধ নেই।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিএনপি নেতৃবৃন্দের রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মিথ্যা, বানোয়াট ও মনগড়া বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি একথা বলেন।

বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, একদিকে তারা অগুন-সন্ত্রাসীদের লালন-পালন করছে অন্যদিকে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারীবাহিনী সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করলে বিরোধীদল দমনের মিথ্যা অভিযোগ উপস্থাপন করছে। বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা ও স্থিতিশীলতা বিনষ্টে বিএনপি লাগাতারভাবে ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত ও অপতৎপরতায় লিপ্ত রয়েছে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্বে গণতন্ত্র ও নির্বাচন বানচালের নামে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে মেতে উঠেছিল বিএনপি।

তিনি বলেন, ইতোপূর্বে ২০১৩, ২০১৪ ও ২০১৫ সালে বিএনপি-জামাত অপশক্তি সারাদেশে ভয়াবহ অগ্নিসন্ত্রাস চালিয়ে শত শত নিরীহ মানুষকে নির্বিচারে হত্যা করেছিল। তাদের এই ভয়াবহ সম্মিলিত সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করলেই বিএনপি নেতারা বিরোধী দল দমনের কথা বলে। সরকার বেপরোয়াভাবে কাউকে কারাগারে পাঠাচ্ছে না। বরং সন্ত্রাস ও সহিংসতার অভিযোগে অভিযুক্ত বিএনপির নেতাকর্মীরা আইন ও আদালতের মুখোমুখি হচ্ছে এবং জামিনে মুক্তিও পাচ্ছে। তবে যারা নিরীহ মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করেছে- জনগণের জানমালের ক্ষয়-ক্ষতি করেছে, রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংস করেছে সেসব সন্ত্রাসী ও তাদের গডফাদারদের বিরুদ্ধে আইন-শৃঙ্খলা ও মহামান্য আদালত যথাযথ আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।

বিএনপি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল নয় উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, সে কারণে বিএনপি নেতারা বিরোধী দল দমনের মিথ্যা অভিযোগ তুলে সন্ত্রাসীদের সুরক্ষা দেওয়ার অপচেষ্টা করছে। আমরা দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলতে চাই, আওয়ামী লীগ বিরোধী দল দমনে বিশ্বাস করে না। তবে সন্ত্রাসীদের কোনো ছাড় নেই, সে যে দলেরই হোক না কেন সন্ত্রাসীদের বিচারের মুখোমুখি হতে হবে।

সেতুমন্ত্রী বলেন, বিএনপি নেতৃবৃন্দ উপজেলা নির্বাচন নিয়ে বিভ্রান্তিকর ও রাজনৈতিক শিষ্ঠাচার বর্হিভূত বক্তব্য প্রদান করছে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির বিকাশে বদ্ধপরিকর। জনগণের ক্ষমতায়ন প্রতিষ্ঠা করতে স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন স্তরের নির্বাচন গুরুত্ব অপরিসীম। অবাধ, নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। বিএনপি বরাবরের ন্যায় নির্বাচন ও দেশের গণতন্ত্র বিরোধী অবস্থান নিয়েছে। সে কারণে জনগণও তাদের দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি নির্বাচন বিরোধী অবস্থান নেওয়ায় ভিন্ন প্রেক্ষাপটে আওয়ামী লীগকেও কৌশলগত অবস্থান গ্রহণ করতে হয়েছে। তাই বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবার দলীয় প্রতীক বরাদ্দ দিচ্ছে না। দল ও দলের বাইরে জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য ব্যক্তি যাতে নির্বাচিত হয় সেটাই আওয়ামী লীগ প্রত্যাশা করে। উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মন্ত্রী, এমপি ও দলীয় নেতৃবৃন্দ যাতে কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ করতে না পারে সেজন্য বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে কঠোর সাংগঠনিক নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।

তিনি বলেন, প্রথম ধাপের নির্বাচন উপলক্ষে সারাদেশে প্রার্থীদের ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা এবং জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ পরিলক্ষিত হচ্ছে। দেশের জনগণ যখন নির্বাচনে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করছে বিএনপি নেতারা তখন বরাবরের ন্যায় দেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ও নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার পাঁয়তারা চালাচ্ছে। বিএনপি নির্বাচনী ব্যবস্থাকে বাধাগ্রস্ত ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে ধ্বংস করতে চায়। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নির্বাচনী ব্যবস্থা ও গণতন্ত্রকে সুসংহত করতে নিরন্তন সংগ্রাম চালিয়ে আসছে।

বিবৃতিতে তিনি বিএনপির গণতন্ত্রবিরোধী অপতৎপরতা সম্পর্কে সকলকে সচেতন ও সতর্ক থাকার জন্য অনুরোধ জানিয়ে বলেন, অবাধ-সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশনকে সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রদানের জন্য সংগঠনের নেতাকর্মীদের প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছি।

;