আ.লীগের জাতীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রথম সভা আজ



রেজা-উদ্-দৌলাহ প্রধান, স্টাফ করেসেপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
আওয়ামী লীগ

আওয়ামী লীগ

  • Font increase
  • Font Decrease

৮ বিভাগে নির্বাচন পরিচালনা ও ১৫ উপকমিটি গঠন হচ্ছে

৮০ পৃষ্ঠার একটি প্রোফাইল প্রস্তুত করেছে আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটি


একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আসন্ন। আর মাত্র সাড়ে তিন মাস বাকি নির্বাচনের। নির্বাচনে হ্যাটট্রিক জয়ের লক্ষ্য ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের। দলকে টানা তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আনতে নানা রাজনৈতিক কৌশল ও নির্বাচনী প্রচারণার পরিকল্পনা নিয়েছে তারা। জয় নিশ্চিত করতে নির্বাচন কেন্দ্রিক সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হচ্ছে। ইতোমধ্যেই নির্বাচনী প্রস্তুতি গুছিয়ে নিচ্ছে দলটি।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ইতোমধ্যে আওয়ামী লীগের জাতীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটির চেয়ারম্যান দলীয় সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, কো-চেয়ারম্যান এইচ টি ইমাম ও সদস্য সচিব দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। দলের কার্যনির্বাহী সংসদ, উপদেষ্টা পরিষদ এবং সহযোগী সংগঠনের শীর্ষ দুজন নেতা এই কমিটির সদস্য।  আজ শনিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) রাতে গণভবনে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে গঠিত কমিটির প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।  সন্ধ্যা ৭টায় এ বৈঠক শুরু হওয়ার কথা।

আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানিয়েছেন, শনিবার সন্ধ্যা ৭টায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। এতে সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও দলটির নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ১৬ এপ্রিল আনুষ্ঠানিকভাবে আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটি গঠন করা হলেও এর প্রথম বৈঠক হওয়ার কথা ছিল ৬ জুলাই। বিশেষ কারণে সেদিনের বৈঠক বাতিল করা হয়।

শুক্রবার বিকালে আওয়ামী লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর সভায় দলের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের নেতাদের জানিয়েছেন, আজকের বৈঠকে ৮ বিভাগে ‘নির্বাচন পরিচালনা’ কমিটি গঠন করা হবে। বৈঠকে এই আট বিভাগের কমিটি চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়ার পাশাপাশি একই সঙ্গে ১৫টি উপকমিটি গঠন করা হবে।

জানা গেছে, বিভাগীয় নির্বাচন পরিচালনার জন্য আজকের বৈঠকে যে আটটি কমিটি গঠিত হবে তার আহ্বায়ক হবে দলের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যরা। যারা জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেবেন না। আর যুগ্ম আহ্বায়ক ও সদস্য সচিব করা হবে বিভাগীয় দায়িত্বপ্রাপ্ত যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদকদের। এমন খসড়া তালিকা ইতোমধ্যে করা হয়েছে। বিভাগীয় কমিটির সঙ্গে ১৫টি বিভিন্ন উপকমিটির অনুমোদনও আজ অনুমোদন দেওয়া হবে।

দলীয় সূত্র জানায়, শনিবারের জাতীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির বৈঠকে নির্বাচনী প্রচারণা, এজেন্ট প্রশিক্ষণ, ভোটকেন্দ্রভিত্তিক কমিটি গঠন, নির্বাচনসংশ্লিষ্ট তথ্য সংরক্ষণ এবং নির্বাচনী পর্যবেক্ষণ করার কাজ সরাসরি তদারকির সিদ্ধান্ত হবে। এছাড়া গত ১০টি নির্বাচনের পরিসংখ্যান, বর্তমান এমপিদের হালনাগাদ তথ্য, বিনা ভোটে কারা নির্বাচিত, দলের ও দলের বাইরে কার কি অবস্থান তা তুলে ধরা হবে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সামনে। এজন্য ৮০ পৃষ্ঠার একটি প্রোফাইল প্রস্তুত করেছে আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটি।

প্রস্তাবিত বিভিন্ন উপ কমিটির দায়িত্বপ্রাপ্তরা হলেন, নির্বাচনী আইন ও বিধি উপকমিটির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বি মিয়া ও সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট ফজিলাতুননেসা বাপ্পি। নির্বাচন সংক্রান্ত পর্যবেক্ষক সমন্বয় উপকমিটির আহ্বায়ক ড. আবদুর রাজ্জাক ও সদস্য সচিব লে. ক. মোহাম্মদ ফারুক খান। মিডিয়া উপকমিটির আহ্বায়ক ইকবাল সোবহান চৌধুরী ও সদস্য সচিব মোজাম্মেল বাবু। লিগ্যাল এইড উপকমিটির আহ্বায়ক ড. সেলিম মাহমুদ ও সদস্য সচিব মনিরুজ্জামান।  দফতর ও আর্থিক ব্যবস্থাপনা উপকমিটির আহ্বায়ক এসকে হাবিবুল্লাহ ও সদস্য সচিব কাজী বজলুর রহমান। প্রশিক্ষণ উপকমিটির আহ্বায়ক সাবের হোসেন চৌধুরী ও সদস্য সচিব অ্যাড. এবিএম রিয়াজুল কবির কাওছার।  লিয়াজোঁ উপকমিটির আহ্বায়ক রশিদুল আলম ও সদস্য সচিব ড. সেলিম মাহমুদ। প্রচার উপকমিটির আহ্বায়ক আসাদুজ্জামান নূর ও সদস্য সচিব অসীম কুমার উকিল। পেশাজীবী উপকমিটির আহ্বায়ক ইয়াফেস ওসমান ও সদস্য সচিব ডা. রোকেয়া সুলতানা। নির্বাচন কমিশন সমন্বয় উপকমিটির আহ্বায়ক ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর ও সদস্য সচিব অ্যাড. ফজিলাতুননেসা বাপ্পি। সাংস্কৃতিক, সামাজিক ও ক্রীড়া উপকমিটির আহ্বায়ক গোলাম কুদ্দুছ ও সদস্য সচিব মানজার চৌধুরী। আইটি উপকমিটির আহ্বায়ক মোস্তাফা জব্বার ও সদস্য সচিব জোনায়েদ আহম্মেদ পলক। বিদেশি মিশন বা সংস্থা উপকমিটির আহ্বায়ক ড. দীপু মনি ও সদস্য সচিব অ্যাম্বাসেডর মোহাম্মদ জমির। দলের কেন্দ্রীয় কমিটি এবং সহসম্পাদকদের মধ্যে যারা দক্ষ ও নির্বাচন করতে অনিচ্ছুক তারাও উপকমিটিতে থাকছেন বলে জানা গেছে।

এছাড়া সরকারের সাবেক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে ৬৪টি জেলা কমিটি গঠন করা হয়েছে। ঢাকা জেলার দায়িত্বে আছেন সাবেক উপসচিব আবুল মকসুদ, আবুল কাসেম হাওলাদার ও সাবেক এসপি মোস্তাক হোসেন খান।

   

‘বিনা কারণে কারাগার বিএনপির নেতাকর্মীদের স্থায়ী ঠিকানা হয়ে গেছে’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বিনা কারণে কারাগার এখন বিএনপির নেতাকর্মীদের স্থায়ী ঠিকানা হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে জিয়া প্রজন্মদল কেন্দ্রীয় কমিটি কর্তৃক আয়োজিত বিএনপির সকল রাজবন্দীদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে অবস্থান কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, বিএনপির জন্য দিনের আলো যেনো নিষিদ্ধ। বিএনপির নেতাকর্মীরা মুক্ত বাতাস গ্রহণ করা থেকে নিষিদ্ধ। এদেরকে সবসময় কারাগারে থাকতে হয়। বিনা কারণে কারাগার এখন বিএনপির নেতাকর্মীদের স্থায়ী ঠিকানা হয়ে গেছে। বিএনপির নেতাকর্মীদেরকে কারাগারে ঢুকানো, ধরে ফেলা এই কর্মসূচি যেন শেখ হাসিনার শেষই হচ্ছে না। আমার মনে হয় তিনি (শেখ হাসিনা) একটা আতঙ্কের মধ্যে ভুগছেন। এর কারণ হলো, তিনি (শেখ হাসিনা) জানেন তার কোনো জনসমর্থন নেই। জনসমর্থন না থাকলে সেই সরকাররা প্রচণ্ড স্বেচ্ছাচারী হয়, ফ্যাসিস্ট হয়ে ওঠে এবং জনগণের আওয়াজ পেলেই তারা নিপীড়নভাবে সেটাকে দমন করে।

তিনি বলেন, বিএনপির ২৫ থেকে ২৬ হাজার নেতাকর্মী একটা ডামি নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রায় চারমাস কারাগারে ছিলেন। কয়েক হাজার নেতাকর্মী এখনো কারাগারে বন্দী রয়েছে। এর জবাব কি শেখ হাসিনা দিতে পারবেন? এর জবাব যদি শেখ হাসিনা দিতে পারতেন তাহলে তিনি অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন দিতেন। শেখ হাসিনা যেভাবেই হোক ক্ষমতায় টিকে থাকতে চায়। তিনি (শেখ হাসিনা) আজকে বলেছেন, ‘রাজবন্দী কেউ নেই ; রাজনৈতিক কারণে কেউ বন্দী নেই। যারা বন্দী রয়েছে তারা বিভিন্ন মামলার আসামি।’

শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে বিএনপির এই সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রী; রাজবন্দী নামে কোনো শব্দ কি আইন গ্রন্থে লেখা আছে? রাজনীতি যারা করে তাদেরকে কারাগারে বিভিন্ন মামলা দিয়েই ঢুকানো হয়। এ রীতি ব্রিটিশ আমল থেকেই চলে আসছে। আপনার বাবা পাকিস্তান আমলে অনেকবার জেলে গিয়েছে। সেখানে আপনার বাবা যে রাজনৈতিক কারণে জেলে গিয়েছে সে কথা লেখা নেই। গাফফার চৌধুরীর একটা লেখা পড়ে জানতে পেরেছি, পাকিস্তান আমলে শেখ মুজিবুর রহমানের নামে ১৭টা দুর্নীতির মামলা দিয়েছিল আইয়ুব খান। কিন্তু, সারাদেশের মানুষ মনে করতো শেখ মুজিবসহ যারা রাজবন্দী রয়েছে তাদের নামে বিভিন্ন মামলা দিয়েই মুলত কারাগারে ঢুকানো হয়। উপমহাদেশে এরকমভাবে অনেকেই কারাগারে গিয়েছেন। মহাত্মা গান্ধীসহ আরও অনেকেই কারাগারে গিয়েছেন। কিন্তু কোথাও রাজনৈতিক কারণে কারাগারে গিয়েছে সেটা লেখা থাকে না। যারা কায়েমি শাসক গোষ্ঠী তারা বিভিন্ন ধরনের অপরাধ দিয়ে তাদের নাম দেয়। আপনি বলছেন তারা (বিএনপির নেতাকর্মী) বিভিন্ন মামলার আসামি। গোটা জাতি মনে করে আপনি ষড়যন্ত্র করে আন্দোলনকামী, গণতন্ত্রকামী, যারা সত্যকথা বলে তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন নাশকতার মামলা, মিথ্যা মামলা দিয়ে আপনি তাদেরকে কারাগারে বন্দী করে রেখেছেন।

শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে তিনি আরও বলেন, আপনার নামে যে ১৫টি মামলা ছিল। সেগুলো কি রাজনৈতিক কোনও মামলা ছিল? সেগুলো দুর্নীতির মামলা ছিল। আপনি ক্ষমতার জোরে সেটি বাতাসে উড়িয়ে দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী আপনাকে বলে রাখি, প্রত্যেকটা জিনিসের রেকর্ড আছে।

জিয়া প্রজন্মদল কেন্দ্রীয় কমিটির চেয়ারম্যান এডভোকেট পারভীন কাউসার মুন্নীর সভাপতিত্বে এবং জিয়া প্রজন্মদল কেন্দ্রীয় কমিটির প্রতিষ্ঠাতা ও মহাসচিব মো. সারোয়ার হোসেন রুবেলের সঞ্চালনায় অবস্থান কর্মসূচিতে আরও উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহবায়ক মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম, বিএনপির সেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর শরাফত আলী শফু, ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দীন নাসির প্রমুখ।

;

উপজেলা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না মন্ত্রী-এমপিদের স্বজনরা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলের মন্ত্রী–সংসদ সদস্যদের স্বজনদের নির্বাচনে অংশ না নেয়ার নির্দেশনা দিয়েছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। নির্দেশনায় মন্ত্রী-সাংসদদের সন্তান, পরিবারের সদস্য ও নিকটাত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর কথা বলা হয়েছে।

দলীয় সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সকালে ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগের সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক, দপ্তর সম্পাদক ও উপদপ্তর সম্পাদকদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বৈঠকে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়।

বৈঠক সূত্রে জানা যায়, বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন দলটির দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক, দপ্তর সম্পাদক ও উপদপ্তর সম্পাদক। এতে দলীয় প্রধান শেখ হাসিনার কঠোর নির্দেশনার কথা দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের জানান দলটির সাধারণ সম্পাদক। এ সময় তিনি উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হতে চাওয়া মন্ত্রী ও সাংসদদের স্বজনদের তালিকা করারও নির্দেশনা দেন। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচন প্রভাব মুক্ত রাখার যে কঠোর নির্দেশনা তা সবাইকে তিনি অবগত করেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন বার্তা২৪.কমকে বলেন, বৈঠকে আমাদের সাধারণ সম্পাদক মন্ত্রী-সাংসদদের সন্তান, ভাই বা নিকটাত্বীয়রা উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী যেনো না হয় তা বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা আমাদের জানিয়েছেন।

;

ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপির প্রতিনিধি দলের বৈঠক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকায় নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুকের সঙ্গে বৈঠক করেছে বিএনপি। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) রাজধানীর বারিধারায় ব্রিটিশ হাইকমিশনারের কার্যালয়ে বিএনপির প্রতিনিধি দলের সঙ্গে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সাংগঠনিক সম্পাদক শ্যামা ওবায়েদ অংশ নেন। ব্রিটিশ হাইকমিশন বাংলাদেশের এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্টে এ তথ্য জানানো হয়।

ওই পোস্টের ক্যাপশনে লেখা হয়, বিএনপির রাজনৈতিক কৌশল নিয়ে দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে করেছেন সারাহ কুক।

এ বিষয়ে বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান বলেন, দুপুরের দিকে বৈঠক হয়েছে বলে আমি জানি। তবে, বৈঠকের বিষয়বস্তু সম্পর্কে কিছু জানা নেই।

;

জামিন না দেওয়া প্রাত্যহিক কর্মসূচিতে পরিণত করেছে: মির্জা ফখরুল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, মিথ্যা মামলায় দলের নেতাকর্মীদের সাজা প্রদান ও জামিন না দিয়ে কারাগারে পাঠানোকে আওয়ামী সরকার তাদের প্রাত্যহিক কর্মসূচিতে পরিণত করেছে।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) বিএনপি নেতা হাবিবুর রশিদ হাবিব, মাকসুদ হোসেন এবং সদস্য মোহাম্মদ আরিফ হাসানকে জামিন না দিয়ে কারাগারে পাঠানোর ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা বলেন তিনি।

মির্জা ফখরুল বলেন, মিথ্যা, বানোয়াট ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলায় অন্যায়ভাবে সাজাপ্রাপ্ত বিএনপি নির্বাহী কমিটির সদস্য হাবিবুর রশীদ হাবিবসহ কয়েকজন আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানো হয়।

তিনি বলেন, ৭ জানুয়ারি ডামি ও প্রহসনমূলক নির্বাচনের পর দখলদার আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী কর্তৃক জোরালোভাবে শুরু হয়েছে বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোর নেতাকর্মীদের ওপর অবর্ণনীয় জুলুম—নির্যাতন। ডামি আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকার তাদের অবৈধ ক্ষমতা ধরে রাখার লক্ষ্যে দেশব্যাপী বিরোধী দল ও মতের মানুষদের ঘায়েল করতে লাগামহীন গতিতে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন মামলা দায়েরের মাধ্যমে আদালতকে দিয়ে ফরমায়েশি সাজা দিচ্ছে। জামিন নামঞ্জুর করে কারান্তরীণ করতে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।

;