শান্ত ছাত্রলীগ, স্বস্তিতে আওয়ামী লীগ



রেজা-উদ্-দৌলাহ প্রধান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন ছাত্রলীগ সভাপতি শোভন ও সেক্রেটারী রব্বানি, ছবি: সংগৃহীত

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন ছাত্রলীগ সভাপতি শোভন ও সেক্রেটারী রব্বানি, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বেপরোয়া আচরণের জন্য যে ছাত্রলীগকে নিয়ে দু:শ্চিন্তার অন্ত ছিলো না আওয়ামী লীগের, সেই ছাত্রলীগই এখন ‘স্বস্তি’ বয়ে আনছে। জাতীয় নির্বাচনের আগে ‘শৃঙ্খলা ফিরে’ এসেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনটিতে।

সরকারের উন্নয়ন বার্তা নিয়ে তৃণমূলে পৌঁছানোর পাশাপাশি মানবিক আচরণের মধ্য দিয়ে জনগণের আস্থা অর্জনের দিকে মনোযোগ ছাত্রলীগের বর্তমান নেতৃত্বের। হারানো ইমেজ পুনরুদ্ধারে বর্তমান তাদের বেশ কিছু কর্মকাণ্ড বিভিন্ন মহলে প্রশংসাও কুড়িয়েছে। ছাত্রলীগ ‘শৃঙ্খলিত’ থাকায় আওয়ামী লীগ তথা সরকারের মধ্যেও স্বস্তি বিরাজ করছে।

 

বিগত এক দশকে ছাত্রলীগের সভাপতি ও সেক্রেটারিদের কমিটি হওয়ার পরদিন থেকেই ঢাকায় বিলাসবহুল ফ্ল্যাটে বসবাস করতে দেখা গেছে। সেখানে ব্যতিক্রম ছাত্রলীগের বর্তমান সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মহসিন হলের আবাসিক শিক্ষার্থী। কেন্দ্রীয় সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর এখনো হলের কক্ষেই থাকছেন।

শোভন বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘আমি হলের আবাসিক শিক্ষার্থী হিসেবেই হলে থাকছি। কেননা ছাত্রদের সংগঠনের নেতা হিসেবে যদি আমি ছাত্রদের সঙ্গে মিশি তবেই তারা আমাকে সম্মান করবে।’

ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব নিয়ে সংগঠনকে চাঙ্গা করতে মাঠে নেমেছেন গোলাম রব্বানি। নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে সবার আগে সংহতি জানিয়ে তিনি বিভিন্ন কলেজে ছুটে বেরিয়েছেন। সরকারের বার্তা তাদের কাছে পৌঁছে দিয়েছেন। আন্দোলনকে প্রশমিত করতে, বিএনপি-জামায়াতের পাতা ফাঁদে সাধারণ শিক্ষার্থীরা যেন পা না দেয় সে জন্য ছাত্রলীগের বর্তমান নেতৃত্বের কৌশল পরবর্তীতে বিভিন্ন মহলে প্রশংসা কুড়ায়। দায়িত্ব পালনের অতীত অভিজ্ঞতা ও মানবিক গুণাবলির জন্য রব্বানিকে ছাত্রলীগের তৃণমূলের কর্মীরা ‘মানবতার ফেরিওয়লা’ বলেও ডাকে।

গোলাম রব্বানি বার্তা২৪কে বলেন, ‘নেতৃত্ব আমানতের মতো। দেশরত্নের দেওয়া আমানত রক্ষার চেষ্টা করব আমি। ছাত্রলীগের ইমেজ পুনরূদ্ধারে কাজ করে যাব।’

ছাত্রলীগের এক নম্বর ইউনিট হলো- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা। বলা হয়ে থাকে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শান্ত থাকলে বাংলাদেশ শান্ত থাকে। নির্বাচনের বছরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে শান্ত রাখার গুরু দায়িত্ব পড়েছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস ও সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসাইনের ওপর। তারা দু’জনেই আইন বিভাগের শিক্ষার্থী। সৃজনশীল উপায়ে নিজেদের ‘ক্যারিশমা’ দেখানোর চেষ্টা করছেন তারা। ইতোমধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্রিয়াশীল টিএসসিভিত্তিক প্রগতিশীল সংগঠনগুলোকে এক ব্যানারে আনতে তারা গঠন করেছে ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সম্মিলিত শিক্ষার্থী সংসদ।’

এই ব্যানার থেকে সম্প্রতি ঢাবিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগমনকে স্বাগত জানাতে ৭ মার্চকে স্মরণ করতে ১৯৭১ ফুট দীর্ঘ ও ৭ ফুট চওড়া আলপনা আঁকা হয়েছিল। দৃষ্টিনন্দন সে আলপনা অনেকের নজর কাড়ে। বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় যত্রতত্র ব্যানার ফেস্টুনের ব্যবহার, পড়ার পরিবেশ নষ্ট হয় এমন উচ্চ শব্দসম্পন্ন মাইকের ব্যবহার তারা নিষিদ্ধ করেছে। সম্প্রতি শুরু হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা। ভর্তি পরীক্ষায় আগত বিপুল সংখ্যক পরীক্ষার্থীর সুবিধার্থে আবাসনের ব্যবস্থা নিশ্চিত, তথ্যকেন্দ্র স্থাপন, ফ্রি বাইক সার্ভিস, মেডিকেল টিম, সুপেয় পানির সরবরাহ নিশ্চিত করেছে। ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরাই স্বেচ্ছাসেবকের ভূমিকা নিয়েছে, যা আগত নবীনদের মাঝে সংগঠনের ইতিবাচক ইমেজকেই বৃদ্ধি করেছে।

শুধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নয় অন্যান্য ইউনিটেও ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা শিক্ষর্থীবান্ধব নানা কর্মসূচি বাস্তাবায়ন করছে। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা দেশের প্রথম বোনস লাইব্রেরি স্থাপন করেছে। ১৫ সেট বোনস এবং এনাটমির প্রায় ১৩০টি বই নিয়ে যাত্রা শুরু করা ‘প্রফেসর ডাঃ মনসুর খলিল বোনস লাইব্রেরি’ চমেকে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে বেশ সাড়া ফেলেছে। ময়মনসিংহের ত্রিশালে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালেয়ে ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আপেল মাহমুদ আপেলের উদ্যোগে স্থাপিত ‘জয় বাংলা’ ভাস্কর্য নজর কেড়েছে। সাম্প্রতিক বন্যা, ভূমিধ্বসসহ প্রাকৃতিক দুযোর্গে ছাত্রলীগের ভূমিকা ছিল দেখার মত।

সম্প্রতি মহাসড়কে নিরাপত্তা নিশ্চিতে ছাত্রলীগের বিভিন্ন ইউনিটের নেতা-কর্মীরা বিভিন্ন স্থানে জেব্রা ক্রসিং একেঁছে, হেলমেট পরিধান করে মোটরসাইকেল চালানোর ক্যাম্পেইন শুরু করেছে। নিরক্ষরতা দূরীকরণে ‘স্বাক্ষরতা অভিযান’ শুরু করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। অনলাইনে বিভিন্ন মহলের সরকারবিরোধী প্রোপাগান্ডার জবাব দিতে অনলাইনে সক্রিয় হয়ে উঠেছে ছাত্রলীগ। ইতোমধ্যে সংগঠনের বেশ কিছু নেতা-কর্মী সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ক কর্মশালায় যোগ দিয়ে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। ‘বঙ্গবন্ধু সাইবার ব্রিগেড’ নামে একটি আইটি সেল গঠনের চিন্তাভাবনা চলছে।

গত দেড় মাস নেতিবাচক খবরের শিরোনামে ছাত্রলীগ না থাকায় আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের মাঝেও স্বস্তি বিরাজ করছে। তারা চান ইতিবাচক কর্মকাণ্ডের মধ্যদিয়ে ছাত্রলীগের ইমেজ পুনরুদ্ধারের এই যাত্রা অব্যাহত থাকুক। আওয়ামী লীগের কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতা আলাপকালে বার্তা২৪কে বলেন, দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনা অনেক যাচাই-বাছাই করে এবার ছাত্রলীগের কমিটি করে দিয়েছেন। তাই তাদের কাছে সবার প্রত্যাশা অনেকে। এখন ছাত্রলীগ যেভাবে চলছে তাতে ইতিবাচক কিছু প্রত্যাশাই করা যায়।

তবে এই পথচলাতে শঙ্কার কথা জানিয়েছে ছাত্রলীগের কয়েকজন সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা। তারা বলেন, শোভন-রব্বানী কেবলমাত্র দায়িত্ব নিয়েছেন। কেন্দ্রীয় কমিটি পূর্ণাঙ্গ করাসহ যখন বিভিন্ন ইউনিট কমিটি গঠন করবে তখন তাদের মূল দক্ষতা কিংবা মুন্সীয়ানার পরিচয় পাওয়া যাবে। এখন কমিটির প্রত্যাশায় সবাই চুপচাপ আছে। কমিটি হওয়া শুরু করলেই গ্রুপিং, ঐক্যে ভাঙ্গন, সংঘর্ষ, ব্লেমগেম মোকাবেলার নানা চ্যালেঞ্জ তাদের সামনে আসবে।

উল্লেখ্য, ছাত্রলীগের ২৯তম জাতীয় সম্মেলনের আড়াই মাস পর নানা নাটকীয়তা শেষে ৩১ জুলাই আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাত্রলীগের শীর্ষ নেতৃত্ব নির্বাচন করেন। কেন্দ্রের সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ, ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ ছাত্রলীগের কমিটিও ঘোষণা দেন তিনি। এর মধ্যদিয়ে এক যুগেরও বেশি সময় ধরে ছাত্রলীগের নিয়ন্ত্রণে থাকা কথিত ‘সিন্ডিকেট’ সংগঠনটির কর্তৃত্ব হারায়।

   

সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বাংলাদেশ যুব মৈত্রী



নিউজ ডেস্ক
সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বাংলাদেশ যুব মৈত্রী

সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বাংলাদেশ যুব মৈত্রী

  • Font increase
  • Font Decrease

সিমন বলিভার ইন্সটিটিউট এর আমন্ত্রণে ভেনিজুয়েলার রাজধানী কারাকাসে ১৮ এপ্রিল থেকে ২১ এপ্রিল অনুষ্ঠিত সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী আন্তর্জাতিক সম্মেলনে অংশগ্রহণ করে বাংলাদেশ যুব মৈত্রী।

সংগঠনের সভাপতি তৌহিদুর রহমান ও ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মানোয়ার হোসেন ১৭ এপ্রিল ঢাকা থেকে ভেনিজুয়েলার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেন।

পৃথিবীর প্রায় ৭০টি দেশের রাজনৈতিক, সামাজিক ও প্রগতিশীল আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ এই সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন। সাম্রাজ্যবাদ পরাশক্তি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের মদদে ফিলিস্তিনসহ পৃথিবীর নানা প্রান্তে মানবতা বিরোধী কার্যক্রম চালাচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে পৃথিবীর শান্তিকামী মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানায় এ সম্মেলন।

সিমন বলিভার ইন্সটিটিউট, আলবা (বলিভারিয়ান এলায়েন্স) ও ইন্টারন্যাশনাল পিপল্স এ্যাসেম্বলির যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠিত এই সম্মেলনে ১৯ এপ্রিল উপস্থিত থেকে বিশে^র যুব শক্তিসহ সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী আন্দোলনে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান ভেনিজুয়েলার রাষ্ট্রপতি নিকোলাস মাদুরো, বলিভিয়ার সাবেক রাষ্ট্রপতি ইভো মোরালেস ও হুন্ডরাসের সাবেক রাষ্ট্রপতি ম্যানুয়েল জেলায়া।

এছাড়াও সম্মেলনে ল্যাটিন আমেরিকাসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের প্রগতিশীল ও কমিউনিস্ট আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। ‘বিকল্প সামাজিক পৃথিবী’ শিরোনামে যুদ্ধবিহীন এক মানবিক ও সমতাভিত্তিক নতুন বিশ্ব ব্যবস্থা গড়ে তোলার প্রত্যয় ব্যক্ত করা হয়।

৪ দিন ব্যাপী সম্মেলনের বিভিন্ন পর্বে সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী যুব শক্তি, বিকল্প সামাজিক ব্যবস্থা, মানবতার উপর হুমকি ও ঝুঁকিসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংকট নিয়ে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। এবং মার্কিন সাম্রাজ্যবাদকে পরাস্ত করে সমাজতন্ত্রকে এগিয়ে নেয়ার ঘোষণা দেয়া হয়।

নিয়মিত সভার পাশাপাশি বাংলাদেশ যুব মৈত্রী নেতৃবৃন্দ এশিয়ার বিভিন্ন দেশের প্রগতিশীল যুব সংগঠনের নেতৃবৃন্দদের সাথে একধিক বৈঠক করে এই অঞ্চলে সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী যুব সংগঠন সমূহের সমন্বয়ে একটি ঐক্যবদ্ধ প্ল্যাটর্ফম গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। 

;

ভিডিও ভাইরাল, সেই নারী কাউন্সিলর আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য ও সিটি করপোরেশনের ২০নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত আসনের নারী কাউন্সিলর সৈয়দা রোকসানা ইসলাম চামেলীকে দলীয় ইমেজ নষ্ট ও গঠনতন্ত্র ভঙ্গের অভিযোগে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানানো হয়েছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ একটি সুসংগঠিত ও সুশৃঙ্খল সংগঠন। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী ও সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির গঠনতন্ত্রের ৪৭(৯) ধারা মোতাবেক ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য সৈয়দা রোকসানা ইসলাম চামেলী-কে সংগঠনের শৃঙ্খলার পরিপন্থি কর্মকান্ডের কারণে পদ থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন।

এর আগে একটি ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর ও মহানগর আওয়ামী লীগের এই নেত্রী আবাসিক হোটেলের শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত একটি কক্ষে একজন পুরুষের সঙ্গে অন্তরঙ্গ অবস্থায় রয়েছেন। তার সঙ্গী ওই পুরুষটি চামেলীর ইচ্ছাতেই অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ভিডিও ধারণ করছেন। যা পরে ছড়িয়ে পরে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।

;

ঝিনাইদহ-১ উপ-নির্বাচন

মনোনয়ন প্রত্যাশীদের ফরম সংগ্রহের আহ্বান আওয়ামী লীগের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতীয় সংসদের ৮১ ঝিনাইদহ-১ আসনের উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে আগ্রহী প্রার্থীদের ফরম সংগ্রহের আহ্বান জানিয়েছে আওয়ামী লীগ।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানান আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জাতীয় সংসদের ৮১ ঝিনাইদহ-১ আসনের উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে আগ্রহী প্রার্থীরা আগামী ২৭ এপ্রিল (শনিবার) থেকে ২৯ এপ্রিল (সোমবার) প্রতিদিন সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত দলীয় মনোনয়নের আবেদনপত্র সংগ্রহ ও জমা দিতে পারবেন।

এতে আরো বলা হয়, আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে আগ্রহীরা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা, এমপি'র ধানমণ্ডির রাজনৈতিক কার্যালয় (বাড়ি-৫১/এ, সড়ক-৩/এ, ধানমণ্ডি আ/এ, ধানমণ্ডি, ঢাকা) থেকে দলীয় মনোনয়নের আবেদনপত্র সংগ্রহ এবং জমা প্রদান করতে পারবেন।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সংশ্লিষ্ট নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীরা নিজে অথবা প্রার্থীর একজন যোগ্য প্রতিনিধির মাধ্যমে আবেদনপত্র সংগ্রহ ও জমা দিতে পারবেন।

আবেদনপত্র সংগ্রহের সময় অবশ্যই প্রার্থীর জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি সঙ্গে আনতে হবে এবং আগামী ২৯ এপ্রিল (সোমবার) বিকেল সাড়ে ৪টার মধ্যে আবেদনপত্র জমা দিতে হবে।

;

উপজেলা নির্বাচন

যারা মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা: ওবায়দুল কাদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপির স্বজনদের মধ্যে যারা প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেননি, তাদের বিরুদ্ধে সময় মতো ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর ধানমণ্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, পার্টির যারা মন্ত্রী-এমপি এমন পর্যায়ে আছেন তাদের জন্য নির্দেশনা রয়েছে, তাদের সন্তান ও স্বজনরা যেন উপজেলা নির্বাচনে না আসেন। প্রথম পর্যায়ের প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সময় চলে গেছে।

আমরা বিষয়টি আরো আগে অবহিত হলে সিদ্ধান্ত নিতে আমাদের সুবিধা হতো। তারপরেও প্রত্যাহার কেউ কেউ করেছেন। কেউ কেউ করেননি। আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচন কমিশনের যে সময়সীমা, তারপরেও ইচ্ছা করলে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করতে পারবেন। কাজেই, এই বিষয়টি চূড়ান্ত বলে মনে করা যাবে না।

দলীয় নির্দেশনা অমান্য করার বিষয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, দলীয় নির্দেশনা অমান্য করলে ডিসিপ্লিনারি অ্যাকশনের ব্যাপারে চিন্তা করা হবে। সময় মতো এই সিদ্ধান্ত অবশ্যই গ্রহণ করা হবে।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও দলীয় সিদ্ধান্ত যারা অমান্য করেছেন, তাদের বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে জানিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, গত সাধারণ নির্বাচনে, নির্বাচনের পরে এসেছেন, অনেকেই এমপি হননি। অনেকেই মন্ত্রী হননি। এখানেও কিন্তু দলের সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিষয় আছে। দল যার যার কর্মকাণ্ড বিচার করবে। চূড়ান্ত পর্যায় পর্যন্ত যারা প্রত্যাহার করবেন না, সময় মতো দল ব্যবস্থা নেবে।

সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্নোত্তর পর্বে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন ওবায়দুল কাদের। সাংবাদিকরা তার কাছে জানতে চান, বিএনপি বা বিরোধীদলের কোনো কর্মসূচি থাকলে আওয়ামী লীগের কর্মসূচি থাকে। ২৬ তারিখের একটা কর্মসূচি ছিল। লোকজন বলছেন, এটা পাল্টাপাল্টি। যদি পাল্টাপাল্টি হয়ে থাকে, তাহলে আপনারা কি বিএনপিকে চাপে রাখার জন্য দিচ্ছেন, না কি সরকারের মধ্যে অজানা আশঙ্কা কাজ করছে যে, বিএনপি মাঠ দখল করে সরকারকে ফেলে দিতে পারে।

এমন প্রশ্নের উত্তরে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, দেখুন, এখন নির্বাচন হয়ে গেছে। নির্বাচন যারা বয়কট করেছে, তারা নির্বাচন করতে দেবে না, সে স্বপ্ন মাঠে মারা গেছে। নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করতে পারবে না, ৫ দিনের মাথায় পড়ে যাবে। এমন দুঃস্বপ্ন তারা দেখেছিল।

তিনি বলেন, আজকে হ্যাঁ, আমরা এটা মনেই করতে পারি, বিএনপি এক তরফা কোনো সমাবেশ করতে গেলে, তারা অগ্নিসন্ত্রাস করে। জণগনের জানমালের নিশ্চয়তা, সম্পদ রক্ষা সেখানে আমাদেরও সরকারি দল হিসেবে একটা দায়িত্ব আছে। আমরা মাঠে থাকলে তারা অগ্নিসন্ত্রাস করার বিষয়ে একটা মানসিক বাধা তারা পাবে, সে কারণে আমরা এটা করি। আমরা শান্তি সমাবেশ করছি। তারা গণহত্যা বিক্ষোভ অনেক কিছু করছে। 

 শান্তি সমাবেশে শান্তি বজায় রাখছি মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ঢাকায় কি কখনো পাল্টাপাল্টি দুই দলের মধ্যে কোনো সংঘাত হয়েছে! এত শান্তিপূর্ণ পরিবেশ, আমরা শান্তি সমাবেশে শান্তি বজায় রেখেছি।

 সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, মির্জা আজম, এস এম কামাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণবিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন প্রমুখ।

;