বঙ্গবন্ধুর দেখানো পথেই ‘ট্রেন-বাস-লঞ্চে’ আ.লীগের নির্বাচনী প্রচারণা!



তপন কান্তি রায়, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
রাজশাহীতে নদী পথে নৌকায় করে নির্বাচনী প্রচারণায় হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ও শেখ মুজিবুর রহমান।

রাজশাহীতে নদী পথে নৌকায় করে নির্বাচনী প্রচারণায় হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ও শেখ মুজিবুর রহমান।

  • Font increase
  • Font Decrease

শোষণ নি‌র্যাতন থেকে দেশকে মুক্ত করতে আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ট্রেন-বাস-লঞ্চে করে নির্বাচনী প্রচারে নেমেছিলেন। তার সেই স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ গড়তে আওয়ামী লীগ টানা দুইবার সরকারের ক্ষমতায় থেকে দেশের যে উন্নয়ন কর্ম করছেন সেইসব উন্নয়ন জনগণের নজরে আনতেই এবার বঙ্গবন্ধুর পথেই নির্বাচনী প্রচারণায় নেমেছেন দলটি।

নি‌র্যাতিত বাঙালির ন্যায্য অধিকার আদায়ের দাবিতে সত্তরের আগে নির্বাচনী প্রচারণায় বঙ্গবন্ধু যেমন উত্তরবঙ্গে গেছেন ট্রেনে; তেমনি লঞ্চে গিয়েছিলেন দক্ষিণাঞ্চল। পাকিস্তান শাসকের বিরুদ্ধে জনমত তৈরিতে ঘুরে বেরিয়েছেন ট্রেনে-লঞ্চে।

এর আগেও ১৯৫৪ সালে তেমনি গেছেন প্রত্যন্ত গ্রাম বাংলার মানুষের কাছে। কখন নৌকায় আবার কখনওবা ট্রেনে। তিনি বুঝাতেও সক্ষম হয়েছিলেন অপমর জনতাকে পাকিসস্তানের শোষণের কথা। স্বাধিকার আন্দোলনের মাধ্যমে বাঙালি জাতিকে মুক্তও করছেন শোষণ আর বঞ্ছনার হাত থেকে।

বঙ্গবন্ধু যে স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে চেয়েছিলেন; তাঁর সেই স্বপ্ন পূরণে বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনাও ১৯৯৬ নির্বাচনের আগে ও ২০০০ সালের পরে ট্রেনে দেশের পূর্বাঞ্চল ও উত্তরাঞ্চলে নির্বাচনী প্রচারণায় গিয়েছিলেন ট্রেনে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Sep/22/1537598688457.jpg

আসন্ন একাদশ নির্বাচনকে সামনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের ১০ বছরের উন্নয়ন কর্মসূচি জনতার কাছে পৌঁছাতে উদ্যোগ নিয়েছে আওয়ামী লীগ। এর অংশ হিসেবে শনিবার (২২ সেপ্টেম্বর) আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের নেতৃত্বে এবার সড়কপথে ঢাকা থেকে কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে নির্বাচনী প্রচারণায় রওনা হয়েছে দলটি।

এর আগে ৮ সেপ্টেম্বর উত্তরবঙ্গে ট্রেনযাত্রা করেছে আওয়ামী লীগ। যাত্রা পথে স্টেশনে স্টেশনে নির্বাচনী পথসভাও করে দলের নেতারা।

ট্রেন বাস আর লঞ্চে নির্বাচনীর প্রচারণার বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বার্তা২৪.কমকে বলেন, আমাদের রাজনীতির দিকনির্দেশক ও আদর্শ বঙ্গবন্ধু; আমরা তাঁর রাজনৈতিক দিক নির্দেশনাকেই অনুসরণ করি।

‘সেই সময় জনগণকে সম্পৃক্ত; এভাবে (ট্রেন-লঞ্চ ) বঙ্গবন্ধু তাঁর নির্বাচনী প্রচারণা করেছিলেন। শেখ হাসিনা ২০০১ সালে নির্বাচনে প্রচারণায় ট্রেনে সিলেট এবং খুলনা থেকে সৈয়দপুর গিয়েছিলেন।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Sep/22/1537598713119.jpg

এসময় সৈয়দপুরের উদ্দেশ্য যাত্রাপথে নাটোরে গুলি করেছিল বিএনপি সন্ত্রাসীরা বলেও জানান তিনি।

তিনি জানান, ১০ বছরে দেশের যে উন্নয়ন করেছে আওয়ামী লীগ সরকার; সেই উন্নয়ন জাগরণের সঙ্গে জনগণের সম্পৃক্ততায় জন্য নির্বাচনের প্রচারণা চলছে।

ট্রেন বাস ও লঞ্চে নির্বাচনী প্রচারণার পাশাপাশি ডিজিটাল গণমাধ্যমেও সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরে নির্বাচনী প্রচারণা করছেন বলেও জানান তিনি।

তিনি বলেন, ‘বর্তমানের গণমাধ্যম এখন অনেক শক্তিশালী। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে নির্বাচনী প্রচারণা বেশি হবে। দেশের উন্নয়নের সঙ্গে জনগণকে সম্পৃক্ত করার জন্যই এ কর্মসূচি।’

বঙ্গবন্ধু ট্রেন-লঞ্চে নির্বাচনী প্রচারণা করেছেন বলেও জানান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্‌্য ও গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক।

তিনি বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘নির্বাচনী প্রচারণায় বঙ্গবন্ধু দেশের অাপামর জনতার কাছে বাঙালির মুক্তির কথা তুলে ধরেছিলেন। সেসময়ে যোগাযোগের মাধ্যমগুলো ছিল বাস, ট্রেন ও লঞ্চ। সেগুলোতে করে বঙ্গবন্ধু যেমন তাঁর নির্বাচনী প্রচারণা করেছিলেন, তেমনি বাঙালির মুক্তির দাবিগুলো তিনি তুলে ধরেছিলেন প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের মানুষের কাছে। এমনকি নৌকায় করেও নির্বাচনী প্রচারণার করেছিলেন বঙ্গবন্ধু।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Sep/22/1537598730172.jpg

এই নির্বাচনী প্রচারণা বঙ্গবন্ধুকে অনুসরণ করেই করছে আওয়ামী লীগ-বলে জানান জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানী হারুন অর রশিদ।

তিনি বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া আওয়ামী লীগ। তারা হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর উত্তরাধিকার। বঙ্গবন্ধু অর্থনৈতিক মুক্তি আর উন্নত জাতি প্রতিষ্ঠা করে যেতে পারেননি। যে কারণে বঙ্গবন্ধুর রক্তের উত্তরাধিকার, আদর্শেরও উত্তরাধিকার বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধুর যে আর্দশ ও তার দেখানো সে পথে তিনি চলছেন। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন আর্দশ বাস্তবায়নে তিনি কাজ করে যাচ্ছেন।

তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ যা কিছু করছে। নির্বাচন হোক; নির্বাচনী প্রচারের কৌশল হোক; যে কর্মসূচি বা পরিকল্পনা হাতে নেয়; বঙ্গবন্ধুর আর্দশ ও তার নির্দেশিত পথ অবলম্বন করে আসছে এবং তার সেই রাজনৈতিক শিক্ষা থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আওয়ামী লীগ চলে।

‘বঙ্গবন্ধুর নির্দেশিত পথে আওয়ামী লীগ অগ্রসর হচ্ছে। নির্বাচন ও নির্বাচনী প্রচার যদি বলি; তাও বলা যেতে পারে বঙ্গবন্ধুর পথেই আওয়ামী লীগ হাঁটছে। এর আগে বঙ্গবন্ধু ১৯৫৪ যুক্তফ্রন্ট ও সত্তরে নির্বাচনে ট্রেন,বাস ও লঞ্চে নির্বাচনী প্রচারণায় প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের জনগণের কাছে ছুটে গিয়েছিলেন।

এ সময় বঙ্গবন্ধু লঞ্চের করে বরিশালের রাজাপুরে নির্বাচনীর প্রচারণার স্মৃতিচারণও করেন এই শিক্ষক। সেসময় তিনি বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে করমর্দন করেছিলেন বলেও জানান ।

অধ্যাপক হারুন বলেন, বঙ্গবন্ধু যখন লঞ্চের করে বরিশালের রাজাপুরে নির্বাচনীর প্রচারণায় যান; তখন আমি নিজেই বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে রাজাপুরে হ্যান্ডসেইক করেছিলাম এবং তাঁকে (বঙ্গবন্ধু) রিসিভও করেছিলাম।

তিনি বলেন, ‘নির্বাচনী প্রচারণা একটি গণসংযোগ। গণপরিবহন, বাস, লঞ্চ ট্রেনের মাধ্যমে দ্রুত সাধারণ মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ সম্ভব ছিল সে সময়ে। তখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ছিল না। কাজেই সেই সময়ে যাতায়াতের মাধ্যম হিসেবে এগুলো ব্যবহার করেছিলেন।’  

   

‘বিনা কারণে কারাগার বিএনপির নেতাকর্মীদের স্থায়ী ঠিকানা হয়ে গেছে’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বিনা কারণে কারাগার এখন বিএনপির নেতাকর্মীদের স্থায়ী ঠিকানা হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে জিয়া প্রজন্মদল কেন্দ্রীয় কমিটি কর্তৃক আয়োজিত বিএনপির সকল রাজবন্দীদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে অবস্থান কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, বিএনপির জন্য দিনের আলো যেনো নিষিদ্ধ। বিএনপির নেতাকর্মীরা মুক্ত বাতাস গ্রহণ করা থেকে নিষিদ্ধ। এদেরকে সবসময় কারাগারে থাকতে হয়। বিনা কারণে কারাগার এখন বিএনপির নেতাকর্মীদের স্থায়ী ঠিকানা হয়ে গেছে। বিএনপির নেতাকর্মীদেরকে কারাগারে ঢুকানো, ধরে ফেলা এই কর্মসূচি যেন শেখ হাসিনার শেষই হচ্ছে না। আমার মনে হয় তিনি (শেখ হাসিনা) একটা আতঙ্কের মধ্যে ভুগছেন। এর কারণ হলো, তিনি (শেখ হাসিনা) জানেন তার কোনো জনসমর্থন নেই। জনসমর্থন না থাকলে সেই সরকাররা প্রচণ্ড স্বেচ্ছাচারী হয়, ফ্যাসিস্ট হয়ে ওঠে এবং জনগণের আওয়াজ পেলেই তারা নিপীড়নভাবে সেটাকে দমন করে।

তিনি বলেন, বিএনপির ২৫ থেকে ২৬ হাজার নেতাকর্মী একটা ডামি নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রায় চারমাস কারাগারে ছিলেন। কয়েক হাজার নেতাকর্মী এখনো কারাগারে বন্দী রয়েছে। এর জবাব কি শেখ হাসিনা দিতে পারবেন? এর জবাব যদি শেখ হাসিনা দিতে পারতেন তাহলে তিনি অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন দিতেন। শেখ হাসিনা যেভাবেই হোক ক্ষমতায় টিকে থাকতে চায়। তিনি (শেখ হাসিনা) আজকে বলেছেন, ‘রাজবন্দী কেউ নেই ; রাজনৈতিক কারণে কেউ বন্দী নেই। যারা বন্দী রয়েছে তারা বিভিন্ন মামলার আসামি।’

শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে বিএনপির এই সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রী; রাজবন্দী নামে কোনো শব্দ কি আইন গ্রন্থে লেখা আছে? রাজনীতি যারা করে তাদেরকে কারাগারে বিভিন্ন মামলা দিয়েই ঢুকানো হয়। এ রীতি ব্রিটিশ আমল থেকেই চলে আসছে। আপনার বাবা পাকিস্তান আমলে অনেকবার জেলে গিয়েছে। সেখানে আপনার বাবা যে রাজনৈতিক কারণে জেলে গিয়েছে সে কথা লেখা নেই। গাফফার চৌধুরীর একটা লেখা পড়ে জানতে পেরেছি, পাকিস্তান আমলে শেখ মুজিবুর রহমানের নামে ১৭টা দুর্নীতির মামলা দিয়েছিল আইয়ুব খান। কিন্তু, সারাদেশের মানুষ মনে করতো শেখ মুজিবসহ যারা রাজবন্দী রয়েছে তাদের নামে বিভিন্ন মামলা দিয়েই মুলত কারাগারে ঢুকানো হয়। উপমহাদেশে এরকমভাবে অনেকেই কারাগারে গিয়েছেন। মহাত্মা গান্ধীসহ আরও অনেকেই কারাগারে গিয়েছেন। কিন্তু কোথাও রাজনৈতিক কারণে কারাগারে গিয়েছে সেটা লেখা থাকে না। যারা কায়েমি শাসক গোষ্ঠী তারা বিভিন্ন ধরনের অপরাধ দিয়ে তাদের নাম দেয়। আপনি বলছেন তারা (বিএনপির নেতাকর্মী) বিভিন্ন মামলার আসামি। গোটা জাতি মনে করে আপনি ষড়যন্ত্র করে আন্দোলনকামী, গণতন্ত্রকামী, যারা সত্যকথা বলে তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন নাশকতার মামলা, মিথ্যা মামলা দিয়ে আপনি তাদেরকে কারাগারে বন্দী করে রেখেছেন।

শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে তিনি আরও বলেন, আপনার নামে যে ১৫টি মামলা ছিল। সেগুলো কি রাজনৈতিক কোনও মামলা ছিল? সেগুলো দুর্নীতির মামলা ছিল। আপনি ক্ষমতার জোরে সেটি বাতাসে উড়িয়ে দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী আপনাকে বলে রাখি, প্রত্যেকটা জিনিসের রেকর্ড আছে।

জিয়া প্রজন্মদল কেন্দ্রীয় কমিটির চেয়ারম্যান এডভোকেট পারভীন কাউসার মুন্নীর সভাপতিত্বে এবং জিয়া প্রজন্মদল কেন্দ্রীয় কমিটির প্রতিষ্ঠাতা ও মহাসচিব মো. সারোয়ার হোসেন রুবেলের সঞ্চালনায় অবস্থান কর্মসূচিতে আরও উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহবায়ক মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম, বিএনপির সেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর শরাফত আলী শফু, ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দীন নাসির প্রমুখ।

;

উপজেলা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না মন্ত্রী-এমপিদের স্বজনরা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলের মন্ত্রী–সংসদ সদস্যদের স্বজনদের নির্বাচনে অংশ না নেয়ার নির্দেশনা দিয়েছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। নির্দেশনায় মন্ত্রী-সাংসদদের সন্তান, পরিবারের সদস্য ও নিকটাত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর কথা বলা হয়েছে।

দলীয় সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সকালে ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগের সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক, দপ্তর সম্পাদক ও উপদপ্তর সম্পাদকদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বৈঠকে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়।

বৈঠক সূত্রে জানা যায়, বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন দলটির দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক, দপ্তর সম্পাদক ও উপদপ্তর সম্পাদক। এতে দলীয় প্রধান শেখ হাসিনার কঠোর নির্দেশনার কথা দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের জানান দলটির সাধারণ সম্পাদক। এ সময় তিনি উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হতে চাওয়া মন্ত্রী ও সাংসদদের স্বজনদের তালিকা করারও নির্দেশনা দেন। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচন প্রভাব মুক্ত রাখার যে কঠোর নির্দেশনা তা সবাইকে তিনি অবগত করেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন বার্তা২৪.কমকে বলেন, বৈঠকে আমাদের সাধারণ সম্পাদক মন্ত্রী-সাংসদদের সন্তান, ভাই বা নিকটাত্বীয়রা উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী যেনো না হয় তা বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা আমাদের জানিয়েছেন।

;

ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপির প্রতিনিধি দলের বৈঠক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকায় নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুকের সঙ্গে বৈঠক করেছে বিএনপি। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) রাজধানীর বারিধারায় ব্রিটিশ হাইকমিশনারের কার্যালয়ে বিএনপির প্রতিনিধি দলের সঙ্গে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সাংগঠনিক সম্পাদক শ্যামা ওবায়েদ অংশ নেন। ব্রিটিশ হাইকমিশন বাংলাদেশের এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্টে এ তথ্য জানানো হয়।

ওই পোস্টের ক্যাপশনে লেখা হয়, বিএনপির রাজনৈতিক কৌশল নিয়ে দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে করেছেন সারাহ কুক।

এ বিষয়ে বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান বলেন, দুপুরের দিকে বৈঠক হয়েছে বলে আমি জানি। তবে, বৈঠকের বিষয়বস্তু সম্পর্কে কিছু জানা নেই।

;

জামিন না দেওয়া প্রাত্যহিক কর্মসূচিতে পরিণত করেছে: মির্জা ফখরুল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, মিথ্যা মামলায় দলের নেতাকর্মীদের সাজা প্রদান ও জামিন না দিয়ে কারাগারে পাঠানোকে আওয়ামী সরকার তাদের প্রাত্যহিক কর্মসূচিতে পরিণত করেছে।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) বিএনপি নেতা হাবিবুর রশিদ হাবিব, মাকসুদ হোসেন এবং সদস্য মোহাম্মদ আরিফ হাসানকে জামিন না দিয়ে কারাগারে পাঠানোর ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা বলেন তিনি।

মির্জা ফখরুল বলেন, মিথ্যা, বানোয়াট ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলায় অন্যায়ভাবে সাজাপ্রাপ্ত বিএনপি নির্বাহী কমিটির সদস্য হাবিবুর রশীদ হাবিবসহ কয়েকজন আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানো হয়।

তিনি বলেন, ৭ জানুয়ারি ডামি ও প্রহসনমূলক নির্বাচনের পর দখলদার আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী কর্তৃক জোরালোভাবে শুরু হয়েছে বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোর নেতাকর্মীদের ওপর অবর্ণনীয় জুলুম—নির্যাতন। ডামি আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকার তাদের অবৈধ ক্ষমতা ধরে রাখার লক্ষ্যে দেশব্যাপী বিরোধী দল ও মতের মানুষদের ঘায়েল করতে লাগামহীন গতিতে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন মামলা দায়েরের মাধ্যমে আদালতকে দিয়ে ফরমায়েশি সাজা দিচ্ছে। জামিন নামঞ্জুর করে কারান্তরীণ করতে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।

;