‘জনগণের সম্পৃক্ততা ছাড়া জাতীয় ঐক্য হচ্ছে ভুয়া’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪. কম
চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে ওবায়দুল কাদের-বার্তা২৪।

চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে ওবায়দুল কাদের-বার্তা২৪।

  • Font increase
  • Font Decrease

৩০ দলের জাতীয় ঐক্যে জনগণের সম্পৃক্ততা নেই-বলে মন্তব্য করেছেন  আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, শনিবার বিকেলে ঢাকার মহানগর নাট্যমঞ্চে জাতীয় ঐক্য ঘোষণা করা হয়েছে শুনলাম। নেতায় নেতায় ঐক্য, ৩০ দলের ৩০ নেতা নিয়ে ঐক্য। এ ঐক্যে জনগণের কোন সম্পৃক্ততা নেই। আওয়ামী লীগকে বাদ দিয়ে জাতীয় ঐক্য হতে পারে না। আন্তর্জাতিক সমীক্ষা বলছে- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনপ্রিয়তা ৬৬ ভাগ, আর আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়তা ৬৪ ভাগ। আওয়ামী লীগের মতো এই জনপ্রিয় দলকে  বাদ দিয়ে দেশে কোনো জাতীয় ঐক্য হতে পারে না। তাদের ঐক্য হবে জাতীয়তাবাদী ও সাম্প্রদায়িক। এই ঐক্য দেশের মানুষ মেনে নেবে না।

শনিবার (২২ সেপ্টেম্বর) প্রথম দিনের ‘রোড মার্চ’শেষে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

কাদের বলেন, সকালে ঢাকা থেকে রওনা দিয়ে তিনটি পথসভা করেছি। পথসভাগুলোতে এতো জনসমাগম যা মহাসমাবেশে পরিণত হয়েছিল। আমি আমার জীবনে এতো লোক দেখিনি। সমাবেশস্থলের বাইরেও প্রচুর লোক দাঁড়িয়ে ছিল। এসব আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়তার কারণে, শেখ হাসিনার জনপ্রিয়তার কারণে। আইআরআই তাদের রিপোর্টে বলেছে, শেখ হাসিনা কত জনপ্রিয়, আমেরিকার পলিটিকো বলেছে শেখ হাসিনা জনপ্রিয়।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Sep/23/1537641653953.jpg

সেতুমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ সুশৃঙ্খল দল, জনপ্রিয় দল, গণমানুষের দল, মুক্তিযুদ্ধের দল। সামনের বিজয়ের মাসে আওয়ামী লীগের কাছে তারা পরাজিত হবে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নৌকা বিজয়ের বন্দরে পৌঁছবে।

এর আগে রাত সাড়ে ৮টায় ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের গাড়ি বহর চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে পৌঁছে। ওবায়দুল কাদেরকে শুভেচ্ছা জানাতে সেখানে ভিড় জমান নেতাকর্মীরা।

ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম এনামুল হক শামীম ও ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, উপ-দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এমএ সালাম ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান।

উত্তরবঙ্গে নির্বাচনী ট্রেনের পর এবার বহর নিয়ে সড়কপথে চট্টগ্রামে এলেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। রোববার (২৩ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রামের কর্ণফুলীতে সকাল ৯টায়, লোহাগাড়ার চুনতিতে বেলা ১১টায় পথসভা অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া কক্সবাজারের চকরিয়া ও ইদগাঁওতে পথসভা অনুষ্ঠিত হবে বলে আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা গেছে।

এদিকে আগামী মাসের শুরুর দিকে লঞ্চে করে দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলোতে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা পথসভা করবেন বলে জানান ওবায়দুল কাদের।

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড জনগণের কাছে তুলে ধরতে ও দলীয় নেতাকর্মীদের চাঙা করতে এমন পরিকল্পনা বলে জানা গেছে।

রাতে সার্কিট হাউজে মেজবানে অংশগ্রহণ করেন ওবায়দুল কাদের।

   

লক্ষ্মীপুরে ছাত্রলীগের চার নেতাকে গুলি: স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতাসহ কারাগারে ৩



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, লক্ষ্মীপুর
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জে ছাত্রলীগের চার নেতাকে গুলির ঘটনায় স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতাসহ ৩ জনকে আটকের পর কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়।

তারা হলেন- থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্য সচিব তাজুল ইসলাম ভূঁইয়া, পাঁচপাড়া গ্রামের মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে ফারুক হোসেন (২৭) ও একই গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে রেজাউল করিম প্রকাশ বাবু।

এর আগে ঘটনার ৩ দিন পর সোমবার (১৫ এপ্রিল) রাতে ভিকটিম এম. সজীবের মা পাঁচপাড়া গ্রামের মৃত সিরাজ মিয়ার স্ত্রী বুলি বেগম বাদী হয়ে থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক কাজী মামুনুর রশিদ বাবলু ও সদস্য সচিব তাজুল ইসলাম ভূঁইয়াসহ ১১ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত আরো ১৮/২০ জনসহ মোট ৩১ জনের বিরুদ্ধে চন্দ্রগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন।

পুলিশ ও এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ১২ এপ্রিল (শুক্রবার) রাত দেড়টার দিকে চন্দ্রগঞ্জ থানাধীন পাঁচপাড়া গ্রামের ছাত্রলীগ নেতা এম. সজীব, সাইফুল পাটোয়ারী, সাইফুল ইসলাম জয়, মো. রাফি, তারেক হোসেন ও রাসেদসহ ৬জন মোটরসাইকেলযোগে স্থানীয় একটি ওয়াজ মাহফিল থেকে চন্দ্রগঞ্জ থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এম. মাসুদকে চন্দ্রগঞ্জ বাজারে পৌঁছে দিয়ে বাড়ি ফিরছিল। এসময় এম. সজীবসহ অন্যান্যরা পাঁচপাড়া গ্রামের যৌদের পুকুর পাড় এলাকায় পৌঁছলে পূর্ব থেকে ওঁৎপেতে থাকা সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা তাদের মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে হামলা চালায়। এসময় সন্ত্রাসীরা কফিল উদ্দীন কলেজ ছাত্রলীগ নেতা এম. সজীবসহ ৪জনকে গুলি করে ও দুইজনকে কুপিয়ে আহত করে। আহতদের স্বজনরা ও এলাকাবাসী তাদের উদ্ধার করে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে এম. সজীব, সাইফুল পাটোয়ারী ও রাফির অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় রাতেই তাদেরকে ঢাকা মেডিকেলে প্রেরণ করা হয়।

মামলার বাদী বুলি বেগম জানান, মারাত্মক আহত এম. সজীবের অবস্থা এখনও আশঙ্কাজনক। তাকে আইসিইউতে রাখা হয়েছে।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) শাহিদ হোসাইন জানিয়েছেন, রাতের অন্ধকারে ছাত্রলীগের চার জনকে গুলি করে ও দুই জনকে কুপিয়ে আহত করার ঘটনায় ১১জন এজাহারনামীয়সহ মোট ৩১জনকে আসামি করে মামলা দায়ের হয়েছে। এর মধ্যে পুলিশ ২নং আসামি তাজুল ইসলাম ভূঁইয়াসহ ৩জনকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা এই হামলার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে।

এ ব্যাপারে চন্দ্রগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. এমদাদুল হক জানিয়েছেন, পূর্বপরিকল্পিতভাবে হত্যার উদ্দেশ্যে এম. সজীবসহ ছাত্রলীগ নেতাকর্মীর উপর হামলা চালানো হয়েছিল। গ্রেফতারকৃতদের জবানবন্দি এবং পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে এর প্রমাণ পাওয়া গেছে।

পুলিশের এই কর্মকর্তা আরও বলেন- চাঞ্চল্যকর এই ঘটনার সাথে জড়িত সবাইকে গ্রেফতার করে দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।

;

মুজিবনগর দিবসে আওয়ামী লীগের কর্মসূচি ঘোষণা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

১৭ এপ্রিল ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভাসহ বিভিন্ন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে আওয়ামী লীগ।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়ার পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানানো হয়েছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে বুধবার (১৭ এপ্রিল) ভোর ৬টায় বঙ্গবন্ধু ভবন, কেন্দ্রীয় কার্যালয় এবং সারাদেশে সংগঠনের সকল কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে।

সকাল ৭টায় বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গণে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করা হবে। সকাল সাড়ে ৯টায় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হবে। এরপর সকাল ৯:৪৫মিনিটে গার্ড অব অনার প্রদান করা হবে।

এদিন সকাল ১০টায় মেহেরপুরের মুজিবনগরের শেখ হাসিনা মঞ্চে এক আলোচনা সভা করা হবে। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফর উল্লাহ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী সিমিন হোসেন রিমি, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল- আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক এস. এম কামাল হোসেন, অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ. ক. ম মোজাম্মেল হক।

সভায় সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ. ফ. ম বাহাউদ্দিন নাছিম। সঞ্চালনা করবেন সাংগঠনিক সম্পাদক বি. এম মোজাম্মেল হক।

এতে আরও উপস্থিত থাকবেন, কিশোরগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য সৈয়দা জাকিয়া নূর লিপি, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ সদস্য অ্যাড. মো. আমিরুল আলম মিলন, পারভীন জামান কল্পনা এমপি, অ্যাডভোকেট গ্লোরিয়া সরকার ঝর্ণা, নির্মল কুমার চ্যাটার্জি, মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফরহাদ হোসেন এমপি, সাধারণ সম্পাদক এম, এ খালেক এবং মেহেরপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য আবু সালেহ মোহাম্মদ নাজমুল হক।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ১৭ই এপ্রিল ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিনস পালন উপলক্ষে আওয়ামী লীগ ঘোষিত কর্মসূচি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনের জন্য আওয়ামী লীগ এবং তার সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনসমূহের সকল স্তরের নেতাকর্মীসহ দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

;

আগুনে ঘর পোড়া চার শিক্ষার্থীর পাশে ছাত্রলীগ



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম ব্যুরো
ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আগুন লাগার খবর শুনে দ্রুত ঘর থেকে বেরিয়ে পড়েছিল তারা। সঙ্গে নিয়ে আসতে পারেনি কোনো কাপড়চোপড়ও। অদূরে দাঁড়িয়ে দেখেছে পুড়ছে তাদের কাপড়, পুড়ছে সব। এরপর থেকে এক কাপড়েই ছিল এই তরুণীরা। সেই তরুণীদের পাশে দাঁড়িয়েছেন চট্টগ্রামের চান্দগাঁও থানা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. নূরুন নবী সাহেদ। নগরীর টেকপাড়া ও এয়াকুব নগর এলাকায় অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ৪ শিক্ষার্থীকে শিক্ষা সামগ্রী ও নতুন পোশাক কিনে দিয়েছেন তিনি।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে ৪ শিক্ষার্থী সুবংকর দাশ, বাবলু দাশ, পূর্ণা দাশ ও অঙ্কিতা দাশকে এ শিক্ষা উপকরণ ও নতুন জামা তুলে দেন নূরুন নবী সাহেদ।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন ফিরিঙ্গিবাজার ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাসান মুরাদ বিল্পব, পাথরঘাটার কাউন্সিলর পুলক খাস্তগীর, সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বেবি দোভাস, নগর যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. সালাউদ্দিন, শিক্ষামন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের ব্যক্তিগত সহকারী রাহুল দাশ প্রমুখ।

এর আগে সোমবার (১৫ এপ্রিল) দুপুরে আগুনে ওই এলাকার ৮৭টি কক্ষ পুড়ে ছাই হয়ে যায়।

 

;

উপজেলা নির্বাচনেও যাচ্ছে না বিএনপি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ন্যায় আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনও বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। সোমবার (১৫ এপ্রিল) রাতে বিএনপি জাতীয় স্থায়ী কমিটির এক ভার্চুয়াল সভায় এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) দলটির সিনিয়র যুগ্ন মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে সিদ্ধান্তের বিস্তারিত তুলে ধরা হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, সভায় বিএনপি নেতারা বলেছেন, বিএনপি শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার ও তার সাজানো নির্বাচন কমিশনের অধীনে এবং প্রশাসন ও পুলিশের প্রকাশ্য একপেশে ভূমিকার জন্য ইতোপূর্বে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ ও স্থানীয় সরকার নির্বাচন বর্জন করেছে। এখনও সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি হয়নি এবং বিদ্যমান অরাজক পরিস্থিতি আরও অবনতিশীল হওয়ায় আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার যৌক্তিক কারণ রয়েছে। এই সরকার ভোট, সংবিধান, ভিন্নমত প্রকাশ, বহুদলের অংশগ্রহণে নির্বাচনসহ মানুষের সহজাত অধিকারগুলোকে নির্দয় দমনের কষাঘাতে বিপর্যস্ত করেছে। আওয়ামী লীগের রাজনীতির একমাত্র ভিত্তি হচ্ছে মানুষকে ভয় দেখিয়ে ক্ষমতা ধরে রাখা। তাই সহিংস সন্ত্রাসের ব্যাপক বিস্তারের ফলশ্রুতিতে এই অবৈধ সরকারের অপরাজনীতি ও নির্বাচনী প্রহসনের অংশীদার না হওয়ার বিষয়ে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ বিএনপি আগামী ৮ই মে থেকে শুরু হওয়া সকল ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বর্জন করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।

আরও বলা হয়, সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি যারা প্রতিটি ক্ষেত্রে জনগণের নিকট জবাবদিহি করে সেই নির্বাচন গণতন্ত্রের অপরিহার্য শর্ত। এই শর্তের অনুপস্থিতিতে স্বৈরতন্ত্র হিংস্র রূপে আত্মপ্রকাশ করে। বর্তমানে বাংলাদেশে এক বিকট স্বৈরাচারের অভ্যুদয় হয়েছে। আওয়ামী দখলদার শাসকগোষ্ঠী ক্ষমতাসীন হয়ে দেড় দশক ধরে অবাধ, সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও সকলের অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন বাংলাদেশ থেকে উচ্ছেদ করেছে।

আওয়ামী লীগের আমলে কখনো জাতীয় ও স্থানীয় সরকার নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়নি। জনগণের ভোটের তোয়াক্কা না করে ক্ষমতাসীন দলের মনোনীত প্রার্থীদেরই আজ্ঞাবাহী নির্বাচন কমিশন বিজয়ী ঘোষণা করে। দখলদার শাসকগোষ্ঠী প্রতিটি নির্বাচনের পূর্বে জনগণকে প্রতারিত করার জন্য নতুন নতুন রণকৌশল গ্রহণ করে।

আরও বলা হয়, প্রাণবন্ত গণতন্ত্রে নিরপেক্ষ নির্বাচনের সংস্কৃতি আওয়ামী লীগ কখনোই রপ্ত করেনি। তাদের অধীনে সকল জাতীয় সংসদ ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী বিরোধী দলের প্রার্থীদের নানাভাবে হামলা, মামলা ও হয়রানির শিকার হতে হয়েছে। মনোনয়ন পত্র তোলা ও জমা দেয়া এবং নির্বাচনী প্রচারণায় হামলা ও শারীরিক আক্রমণসহ পথে পথে বাধা দেয়া হয়। অনেককে মনোনয়নপত্র জমা দিতেও দেওয়া হয়নি।

বিএনপি বলছে, অগণতান্ত্রিক শক্তি কখনো অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচনের মিত্র হতে পারে না। আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী ভোটারবিহীন ৭ জানুয়ারির ডামি নির্বাচনের সকল আয়োজন সম্পন্ন করার পরও তারা আশঙ্কামুক্ত হতে পারেনি। তাই নির্বাচনী পর্যবেক্ষকদেরও নির্বাচন পর্যবেক্ষণের সুযোগ না দেয়া, ইন্টারনেটের গতি শ্লথ করা, নাগরিকদের নজরদারি নস্যাৎ ইত্যাদি নজিরবিহীন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন বিনাশী পদক্ষেপ গ্রহণ করে। এর আগেও জাতীয় ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনে বিরোধী দলের পোলিং এজেন্টদের নানাভাবে বাধা প্রদান করা হয়। কিছু এজেন্টদের ভোটকেন্দ্রে ঢুকতে দেওয়া হলেও পরক্ষণেই তাদেরকে বের করে দেয়া হয়।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে বলা হয়, আওয়ামী লীগ একতরফা নির্বাচন করতে গিয়ে বিএনপিসহ গণতন্ত্রমনা দলগুলোর হাজার হাজার নেতাকর্মীকে কারাগারে ভরে রাখে। ৭ জানুয়ারির ডামি নির্বাচনে বিএনপির শীর্ষ নেতৃবৃন্দসহ প্রায় ২৫ হাজারেরও বেশি নেতাকর্মীকে কারান্তরীণ করা হয়, এদের অনেকেই এখনও কারাগারে মানবেতর জীবন-যাপন করছেন। গুম, খুন অব্যাহত রয়েছে।

;