ঐক্য প্রক্রিয়া নিয়ে ধোঁয়াশা, ক্ষুব্ধ বিএনপি জোটের শরিকরা  



মুজাহিদুল ইসলাম, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম  
২০ দলীয় জোট

২০ দলীয় জোট

  • Font increase
  • Font Decrease

২০ দলীয় জোটের বৈঠকে গৃহীত সিদ্ধান্ত:

ঐক্য প্রক্রিয়ায় লিয়াঁজো করতে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে দায়িত্ব

সরকার পতনের লক্ষ্যে ২০ দলীয় জোট যুগপৎ আন্দোলন করবে।

নির্বাচনে আসন বন্টনে শরিকদের সর্বোচ্চ ছাড় দেয়া হবে।

ঐক্য প্রক্রিয়ার সঙ্গে জোটের দ্বিধাদ্বন্দ্বের কিছু নেই।

রোববার (৩০ সেপ্টেম্বর) একক জনসভা করবে বিএনপির, তবে ২০ দলের পক্ষ থেকে আলাদা জনসভা ডাকা হবে।

পরবর্তী কর্মসূচিগুলো ২০ দলের ব্যানারে হবে।

বৃহত্তর ঐক্যের স্বার্থে ব্যাক স্টেজে থাকতে রাজি আছে জামায়াত ইসলামী।


বৃহত্তর জাতীয় ঐক্য গড়তে প্রাণপণ চেষ্টা করছে বিএনপি। দফায় দফায় বিএনপির সিনিয়র নেতারা বৈঠক করছেন। কখনো দলীয় ফোরামে কখনো ২০ দলীয় জোট কিংবা জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার বিভিন্ন স্তরের নেতাদের সঙ্গে। লক্ষ্য যে কোনো মূল্যে সরকার বিরোধী একটা জোট গড়ে তোলা। তাতে বড় ধরনের ছাড় দিতেও প্রস্তুত দলটি। তবে বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের শরিকদের কাছে জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া নিয়ে ধোঁয়াশার সৃষ্টি হয়েছে। ফলে এ প্রক্রিয়া নিয়ে ক্ষুব্ধ জোটের শীর্ষ নেতারা।

গত বৃহস্পতিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে ২০ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে বিএনপি। বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, জোটের শরিক নেতারা অভিযোগ করেন ড. কামাল হোসেনের জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া ও একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরীর যুক্তফ্রন্টের সঙ্গে বিএনপির ঐক্য নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। কিন্তু তাদের কিছুই জানানো হচ্ছে না। এমনকি তাদের কেন অন্ধকারে রাখা হচ্ছে সেটাও জানতে চান অনেক শরিক নেতা।

এছাড়া জোটের নেতারা বিএনপিকে জানিয়েছে, রাজপথে লড়াই সংগ্রামে ২০ দলীয় জোটের শরিকরা দীর্ঘ সময় ধরে দলটির পাশে আছে।  তাই ছাড় দিয়ে জাতীয় ঐক্য করতে গিয়ে জোটের শরিকদের যেন বিএনপি ভুলে না যায়। তাদেরকে যেন যথাযথ মূল্যায়ন করা হয়।

এদিকে, রাজনৈতিক অঙ্গনে গুঞ্জন আছে, বৃহত্তর জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে যুক্তফ্রন্ট বিএনপির কাছে ১৫০ সংসদীয় আসন দাবি করেছে। এছাড়া নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না ক্ষমতায় ভারসাম্যের কথা বলে ২ বছর দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নিতে চান। এর প্রেক্ষিতে ২০ দলীয় জোটের বিভিন্ন ফোরামে এমন দাবির তীব্র সমালোচনা করা হয়।

বিএনপির পক্ষ থেকে শরিকদের আশ্বস্ত করা হয়েছে, জোটের স্বার্থ রক্ষা করেই ঐক্য প্রক্রিয়া এগিয়ে নেয়া হবে। আসন নিয়ে ঐক্য প্রক্রিয়ার সঙ্গে জোটের শরিকদের দ্বিধা দ্বন্দ্বের কিছু নেই। ইতোমধ্যে বিএনপি কয়েকটি দাবির সঙ্গে যুক্তফ্রন্ট ও জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার সঙ্গে একমত হলেও যুগপৎ আন্দোলনের অভিন্ন কর্মসূচি কী হবে তা নির্ধারণ করা হয়নি।

বৃহত্তর জাতীয় ঐক্য তৈরিতে গত ২৫ সেপ্টেম্বর যুক্তফ্রন্টের চেয়ারম্যান একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরীর বাসায় লিয়াঁজো কমিটি গঠন করতে একটি বৈঠক আহ্বান করা হয়। তবে বিএনপির অনুরোধ ওই কমিটি গঠন প্রক্রিয়া স্থগিত করা হয়। বিএনপির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বিএনপির জনসভা থেকে একটি রুপরেখা ঘোষণা করা হবে। যার ভিত্তিতে জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া এগিয়ে নেয়া যেতে পারে। এরপর অভিন্ন কর্মসূচি দেয়া হবে।

বৈঠকে বৃহত্তর ঐক্যের প্রশ্নে বিএনপির শরিক দল জামায়াত ইসলামী ছাড়ার দাবি নিয়েও আলোচনা হয়। এক্ষেত্রে জামায়াত ইসলামীর পক্ষ থেকে দলটির শুরা সদস্য আব্দুল হালিম জানান, সরকারের পতনের জন্য যেকোনো মূল্যে জাতীয় ঐক্য হোক। লক্ষ্যে পৌঁছাতে যারা যারা আসতে চাই তাদের নিয়ে ঐক্য গড়ে উঠুক। তাদের কোনো সমস্যা নেই।

এদিকে, আগামী রোববার বিএনপির জনসভায় থেকে কী ঘোষণা আসতে পারে সে বিষয়ে আগে থেকে কিছুই জানাতে চান না দলটির নেতারা। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বার্তা২৪.কম’কে বলেন, ‘বৃহত্তর ঐক্যের মাধ্যমে রাজপথে নেমে দাবি আদায় করা হবে। অপেক্ষা করুন, বড় কর্মসূচি আসছে।’

   

৭ বছর পর কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ময়মনসিংহ
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দীর্ঘ ৭ বছর পর ময়মনসিংহের ত্রিশালে অবস্থিত জাতীয় কবি কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় শাখার ছাত্রলীগের নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) রাতে ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এক বছরের জন্য এই কমিটি ঘোষণা করেন।

বাংলা ভাষা ও বাংলা সাহিত্য বিভাগের শিক্ষার্থী আল মাহমুদ কায়েসকে সভাপতি এবং একই বিভাগের শিক্ষার্থী রাশেদুল ইসলাম সরকার রিয়েলকে সাধারণ সম্পাদক করে ৫২ সদস্য বিশিষ্ট এই কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটিতে ৩৪ জনকে সহ-সভাপতি, ৮ জনকে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং ৮ জনকে সাংগঠনিক সম্পাদক পদে নির্বাচিত করা হয়েছে।

এক বছরের কমিটিতে ৬ বছর অতিবাহিত হওয়ার পর গত বছরের ৪ জুলাই জাতীয় কবি কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করার পর নতুন কমিটির জন্য নেতাকর্মীদের কাছ থেকে সিভি আহবান করে এবং গত বছরের ২৭ সেপ্টেম্বর জাতীয় কবি কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মি সভার আয়োজন করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। কর্মি সভার প্রায় ৬ মাস পর ছাত্রলীগের নতুন কমিটি ঘোষণা করলো কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।

;

আমার স্ত্রী ভারতীয় শাড়ি দিয়ে কাঁথা সেলাই করেছে: রিজভী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপি নেতারা শাল পোড়ান, কিন্তু বউদের শাড়ি পোড়ান না কেন?- প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের জবাবে দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী বলেছেন, আমার নানার বাড়ি ভারতে। বিয়ের পর ভারতে একবার গিয়েছিলাম, আমার ছোট মামা সেখানে থাকেন। আসার সময় আমার স্ত্রীকে একটি শাড়ি দিয়েছিল তারা। আমি কয়েকদিন আগে আমার স্ত্রীকে জিজ্ঞেস করলাম ওই শাড়িটা কই? আমার স্ত্রী বললেন ওটা দিয়ে তো অনেক আগেই কাঁথা সেলাই করা হয়েছে। আমাদের দেশে একটা রেওয়াজ আছে পুরাতন শাড়ি দিয়ে কাঁথা সেলাই করা। আমি মনে করি ডামি সরকারকে যে দেশ প্রকাশ্যে সমর্থন করে সেদেশের পণ্য বর্জন করা ন্যায়সঙ্গত।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে 'আমরা বিএনপি পরিবার' আয়োজিত গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে গুম, খুন ও পঙ্গুত্বের শিকার পরিবারের মধ্যে ঈদ উপহার বিতরণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

রিজভী বলেন, শেখ হাসিনা, আপনি দেশের স্বার্থ নিয়ে তামাশা করেন? আপনি বলেছেন আওয়ামী লীগের নেতারা পালিয়ে গেলে যুদ্ধটা করলো কে? যুদ্ধ করেছে এ দেশের কৃষক, শ্রমিক, ছাত্র, যুবকেরা।

তিনি বলেন, ২০১৪ সালে পার্শ্ববর্তী দেশের কূটনীতিক এসে ভোটারবিহীন সরকারকে প্রকাশ্যে সমর্থন দিয়ে গেলেন। ২০১৮ সালে রাতে ভোট হলো, সে নির্বাচনও তারা স্বীকৃতি দিলেন। এবার ২০২৪ সালে এত বড় একটা ডামি নির্বাচন হয়ে গেলো, তারপরও প্রকাশ্যে তারা বলছেন আমরা এই সরকারের পাশে আছি। অথচ ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা বলছে আমরা সুষ্ঠু নির্বাচনের পক্ষে, আমরা কোনো দলের পক্ষে নই। যারা একটি ভোট ডাকাত সরকারকে প্রকাশ্যে সমর্থন করে সে দেশের পণ্য বর্জন করা ন্যায়সঙ্গত। তাদের বিরুদ্ধে যে সামাজিক আন্দোলন গড়ে উঠেছে আমরা সেই আন্দোলনের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করি।

বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, কেউ মারা গেলে তার আত্মার মাগফেরাত করার মধ্যেও একটা শান্তি আছে। গুম হওয়া একটি পরিবার তার আত্মার মাগফেরাতও কামনা করতে পারে না, তার কবরে গিয়ে মোনাজাতও করতে পারে না। সরকার এমন ভয়াবহ পরিবেশ সৃষ্টি করেছে।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ‘আমরা বিএনপি পরিবার’ সেলের আহ্বায়ক আতিকুর রহমান রুম্মন। এছাড়া বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী অ্যাডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, নির্বাহী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মীর হেলালসহ বিএনপির অঙ্গ সংগঠনের নেতা কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

;

দেশের প্রত্যেক মানুষ স্বাধীনতার সুফল পাচ্ছে: ওবায়দুল কাদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দেশের প্রত্যেক মানুষ এখন স্বাধীনতার সুফল পাচ্ছেন। অগণতান্ত্রিক ও উগ্র সাম্প্রদায়িক অপশক্তির প্রতিভূ বিএনপির ফ্যাসিবাদী দর্শনে জনগণ কখনো সাড়া দেয়নি, দেবেও না। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না বলেই বিএনপি স্বাধীনতার মর্মার্থকে অকার্যকর করতে চায়।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) এক বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন। বিএনপির সাম্প্রতিক বক্তব্যকে নেতাদের মিথ্যা, বানোয়াট ও দুরভিসন্ধিমূলক আখ্যা দিয়ে এর নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি নেতাকর্মীদের ঘর-বাড়ি ও ব্যবসা-বাণিজ্য দখল করে নেওয়া হচ্ছে বলে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল মিথ্যাচার করেছেন। তিনি সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য-প্রমাণ না দিয়ে ঢালাওভাবে বানোয়াট ও ভিত্তিহীন বক্তব্য দিয়েছেন। বরং আমরা দেখতে পাচ্ছি, বিএনপির নেতাকর্মীরা বহাল তবিয়তে ব্যবসা-বাণিজ্য করছেন। কোথাও রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হচ্ছেন না।

তিনি বলেন, অথচ ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতাসীন হওয়ার পর রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়ে লাখ লাখ আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীকে ঘর-বাড়ি ছাড়তে হয়েছিল। নৌকায় ভোট দেওয়ার অপরাধে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের নির্মম অত্যাচার নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছিল। বিএনপি-জামায়াতের ক্যাডারবাহিনী দ্বারা হাজার হাজার নারী ধর্ষিত হয়েছিল। সারাদেশে আওয়ামী লীগের ২১ হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়েছিল।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর খুনি জিয়া-মোশতাক চক্র মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ধূলিসাৎ করে। সামরিক স্বৈরশাসক জিয়াউর রহমান নিজের অবৈধ ও অসাংবিধানিক ক্ষমতাকে পাকাপোক্ত করতে ধর্মের কার্ড ব্যবহার করেন। তিনি ধর্মভিত্তিক রাজনীতি প্রচলন করেন। তিনিই রাষ্ট্র ও সমাজের সকল স্তরে সাম্প্রদায়িকতার বিষবৃক্ষের বীজ বপন এবং উগ্র-সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীকে রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠিত করেন। তখন থেকে বিভেদের রাজনীতির গোড়াপত্তন হয়। বিরোধীদল বিশেষ করে আওয়ামী লীগকে নির্মূল করতে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় অত্যাচার-নির্যাতনের স্টিম রোলার চালানো হয়।

তিনি বলেন, বিএনপি সর্বদা জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। পাকিস্তানি ভাবাদর্শকে পুঁজি করে রাজনীতি করা বিএনপির একান্ত কাম্যই হলো যেকোনো উপায়ে ক্ষমতা দখল, জনকল্যাণ নয়। তারা ক্ষমতায় গিয়ে নিজেরে আখের গুছিয়ে নিয়েছিল। বাংলার জনগণ তাদের দ্বারা প্রতারণার শিকার হয়েছিল। সুতরাং জনগণ এই প্রতারক গোষ্ঠীকে আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না।

;

চুয়াডাঙ্গায় বিএনপি-জামায়াতের ৪৭ নেতা-কর্মী কারাগারে



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চুয়াডাঙ্গা
চুয়াডাঙ্গায় বিএনপি-জামায়াতের ৪৭ নেতা-কর্মী কারাগারে

চুয়াডাঙ্গায় বিএনপি-জামায়াতের ৪৭ নেতা-কর্মী কারাগারে

  • Font increase
  • Font Decrease

চুয়াডাঙ্গায় নাশকতা মামলায় বিএনপি-জামায়াতের ৪৭ নেতা-কর্মীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

হাইকোর্ট থেকে নেয়া আগাম জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সকালে নিম্ন আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে জেলা ও দায়রা জজ মো. জিয়া হায়দার তা নামঞ্জুর করে তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এসময় ৩ নেতা-কর্মীর জামিন দেন তিনি।

এদিকে, একে একে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিলে হাজিরা দিতে আসা প্রায় ৫৩ জন নেতা-কর্মী আদালত থেকে পালিয়ে যান।

বিএনপি দলীয় আইনজীবী অ্যাড. শাহাজাহান মুকুল জানান, নাশকতা মামলায় হাইকোর্ট থেকে ৬ সপ্তাহের আগাম জামিনে ছিলেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা। আগামী রোববার (৩১ মার্চ) আগাম জামিনের মেয়াদ শেষ হবে। বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) ১০৭ জন নেতা-কর্মী চুয়াডাঙ্গা জেলা জজ আদালতে হাজির হয়ে পুনরায় জামিন আবেদন করেন। এদের মধ্যে ৭ জনকে জামিন ও ৪৭ জনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন জেলা ও দায়রা জজ মো. জিয়া হায়দার। এসময় আদালত থেকে ৫৩ জন নেতা-কর্মী হাজিরা না দিয়ে চলে যান। তিনি আরও জানান, তারা ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন।

এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সদস্যসচিব শরীফুজ্জামান শরীফ বলেন, বর্তমান ফ্যাসিস্ট সরকার বিচার বিভাগ, পুলিশ-প্রশাসনসহ সবকিছু হাতের মধ্যে নিয়ে নিয়েছে। মানুষের বিচার বিভাগের প্রতি যে আস্থা ছিল, সেটিও হারিয়ে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, তারা প্রকৃত ন্যায়বিচার পাননি। আদালত ফরমায়েশিভাবে নেতা-কর্মীদের কারাগারে পাঠিয়েছে।

;