বিএনপির সঙ্গে জামায়াত থাকছেই!



মুজাহিদুল ইসলাম, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
বিএনপি ও জামায়াত

বিএনপি ও জামায়াত

  • Font increase
  • Font Decrease

ক্ষমতাসীন মহাজোট তথা আওয়ামী লীগ সরকারের বাইরের রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বৃহত্তর জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে দীর্ঘদিন ধরেই চেষ্টা করছে বিএনপি। সম্প্রতি সেই চেষ্টা অনেকটাই সফল বলে বিএনপি ও ঐক্য প্রক্রিয়ার নেতারা বিভিন্ন ফোরামে বলে আসছিলেন। কিন্তু জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার নেতারা বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের অন্যতম শরিক জামায়াতে ইসলামী নিয়ে প্রশ্ন তোলায় বাঁধে বিপত্তি।

জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার সমন্বয়ক ড. কামাল ও যুক্তফ্রন্টের চেয়ারম্যান একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী জোরালোভাবে জামায়াত ইস্যু নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।

ঐক্য প্রক্রিয়ার অন্যতম এই দুই উদ্যোক্তার আপত্তি যুদ্ধাপরাধী দল হিসেবে জামায়াত ঐক্য প্রক্রিয়ায় থাকতে পারে না। তাদের নিয়েও কোনো ঐক্য নয়। যদিও জামায়াতে ইসলামী সরাসরি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না।

সম্প্রতি রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক কার্যালয়ে ২০ দলীয় জোটের বৈঠকে ঐক্য প্রক্রিয়া নিয়ে জামায়াত ইস্যু নিয়ে আলোচনা হয়। ওই বৈঠকে জামায়াতের উপস্থিত প্রতিনিধি জানান, তাদেরকে পাশ কাটিয়ে যদি ঐক্য হয় তাতেও রাজি আছে দলটি। 

বিএনপির একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে, ঐক্য প্রক্রিয়া এগিয়ে নিতে জামায়াতে ইসলামী প্রধান বাধা হলেও আন্দোলন ও ভোটের মাঠে তাদের গুরুত্ব কম নয়। সেটা বিবেচনায় নিয়ে জামায়াতকে সঙ্গেই রাখতে চায় দলটি।

রোববার (৩০ সেপ্টেম্বর) সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিএনপি আয়োজিত জনসভায় অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনে সরকারের উদ্দেশ্যে বেশকিছু দাবি জানিয়েছে দলটি। একইসঙ্গে নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় গেলে কি পদক্ষেপ গ্রহণ করবে তারও একটা ফিরিস্তি ঐ জনসভায় তুলে ধরা হয়েছে।

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের জনসভায় বিএনপির সিনিয়র নেতারা যে বক্তব্য দিয়েছেন তাতে পরোক্ষভাবে জামায়াতে ইসলামীকে সঙ্গে নিয়েই যে বিএনপি পথ চলবে তা স্পষ্ট।

জনসভায় ঐক্য প্রক্রিয়া ও যুক্তফ্রন্টের নেতাদের উদ্দেশ্যে পরোক্ষভাবে বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, বিএনপি ঐক্যের জন্য সবসময় প্রস্তুত। এই আন্তরিকতাকে কেউ দুর্বলতা ভাববেন না। লোক নেই, জন নেই, বিএনপির ওপর চাপ সৃষ্টি করে অনৈক্যের সুর বাজালে জনগণের কাছে ধিকৃত হবেন। সেই কারণেই গণতন্ত্রের দাবিতে, খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে, অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতে, এই সরকার ও নির্বাচন কমিশনের পদত্যাগের দাবিতে যারা রাজপথের আন্দোলনে আসবে তারাই আমাদের বন্ধু। সে যদি শয়তানও হয়। সুতরাং গণতন্ত্রের স্বার্থে যারা লড়াই করবে, বিএনপি তাদেরকে না করতে পারবে না। আমরা সবাইকে নিয়ে ঐক্য চাই।

একই সভায় ঐক্য প্রক্রিয়া নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, এখন একটা আওয়াজ উঠেছে জাতীয় ঐক্য হবে। হবে কিনা হবে আল্লাহই জানেন। সরকার বহু চেষ্টা করছে যাতে ঐক্য না হয়। হলে ভালো, না হলে ক্ষতি নেই। যাই হোক, ঐক্য হোক না হোক বিএনপিকে আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে। আমরা অন্য কোনো দিকে তাকাতে রাজি নই।

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, আজকের যে ঐক্য- এই ঐক্যে মানুষের মধ্যে একটি আকাঙ্ক্ষার সৃষ্টি হয়েছে। একটি চেতনা এবং শক্তির সৃষ্টি হয়েছে। এই ঐক্যের ডাক দিয়েছেন খালেদা জিয়া। খালেদা জিয়ার উক্তি, ঐক্যেই মুক্তি।  গণতন্ত্রের মুক্তি চাই, খালেদা জিয়ার মুক্তি চাই; জনগণের মুক্তি চাই।

এদিকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার আওয়ামী লীগ ও জামায়াত মিলে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি আদায় করেছিল সেই প্রসঙ্গ তোলেন।

তিনি বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জন্য শেখ হাসিনা ১৭৩ দিন হরতাল করেছিলেন। তার সঙ্গে জামায়াতে ইসলামী ছিল। আজকে জামায়াতকে তাদের পক্ষে নেয়া আর সম্ভব হচ্ছে না। আমাদের বক্তব্য হচ্ছে, যার জন্ম এদেশে হয়েছে- যার ভোটার তালিকায় নাম আছে সে ভোট দিতে পারবে যে দলেই হোক না কেন।

দলের ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বার্তা২৪.কমকে বলেন, সকল দলের নিজস্ব একটা রাজনীতি আছে। যেমন আমাদের ২০ দল তো আর এক দল না। বিএনপি, জামায়াত ও অন্যান্য দলেরও রাজনীতি আছে। যুক্তফ্রন্ট ও জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ারও নিজস্ব রাজনীতি আছে। সেখানে সবাই একমঞ্চে আসতে পারলে ভালো। কোনো অসুবিধা নাই।  না আসতে পারলে যার যার অবস্থান থেকে কমন কর্মসূচি দিয়ে আন্দোলন সংগ্রাম করবো। সেজন্য প্রথম চেষ্টা হচ্ছে সকলে একটা প্লাটফর্মে বসা। সেটা যদি না হয় কারো অসুবিধা থাকে। তাহলে সে তার অবস্থান থেকে আন্দোলন করবে অসুবিধা নেই। কর্মসূচি একই থাকবে।

   

সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বাংলাদেশ যুব মৈত্রী



নিউজ ডেস্ক
সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বাংলাদেশ যুব মৈত্রী

সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বাংলাদেশ যুব মৈত্রী

  • Font increase
  • Font Decrease

সিমন বলিভার ইন্সটিটিউট এর আমন্ত্রণে ভেনিজুয়েলার রাজধানী কারাকাসে ১৮ এপ্রিল থেকে ২১ এপ্রিল অনুষ্ঠিত সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী আন্তর্জাতিক সম্মেলনে অংশগ্রহণ করে বাংলাদেশ যুব মৈত্রী।

সংগঠনের সভাপতি তৌহিদুর রহমান ও ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মানোয়ার হোসেন ১৭ এপ্রিল ঢাকা থেকে ভেনিজুয়েলার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেন।

পৃথিবীর প্রায় ৭০টি দেশের রাজনৈতিক, সামাজিক ও প্রগতিশীল আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ এই সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন। সাম্রাজ্যবাদ পরাশক্তি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের মদদে ফিলিস্তিনসহ পৃথিবীর নানা প্রান্তে মানবতা বিরোধী কার্যক্রম চালাচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে পৃথিবীর শান্তিকামী মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানায় এ সম্মেলন।

সিমন বলিভার ইন্সটিটিউট, আলবা (বলিভারিয়ান এলায়েন্স) ও ইন্টারন্যাশনাল পিপল্স এ্যাসেম্বলির যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠিত এই সম্মেলনে ১৯ এপ্রিল উপস্থিত থেকে বিশে^র যুব শক্তিসহ সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী আন্দোলনে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান ভেনিজুয়েলার রাষ্ট্রপতি নিকোলাস মাদুরো, বলিভিয়ার সাবেক রাষ্ট্রপতি ইভো মোরালেস ও হুন্ডরাসের সাবেক রাষ্ট্রপতি ম্যানুয়েল জেলায়া।

এছাড়াও সম্মেলনে ল্যাটিন আমেরিকাসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের প্রগতিশীল ও কমিউনিস্ট আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। ‘বিকল্প সামাজিক পৃথিবী’ শিরোনামে যুদ্ধবিহীন এক মানবিক ও সমতাভিত্তিক নতুন বিশ্ব ব্যবস্থা গড়ে তোলার প্রত্যয় ব্যক্ত করা হয়।

৪ দিন ব্যাপী সম্মেলনের বিভিন্ন পর্বে সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী যুব শক্তি, বিকল্প সামাজিক ব্যবস্থা, মানবতার উপর হুমকি ও ঝুঁকিসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংকট নিয়ে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। এবং মার্কিন সাম্রাজ্যবাদকে পরাস্ত করে সমাজতন্ত্রকে এগিয়ে নেয়ার ঘোষণা দেয়া হয়।

নিয়মিত সভার পাশাপাশি বাংলাদেশ যুব মৈত্রী নেতৃবৃন্দ এশিয়ার বিভিন্ন দেশের প্রগতিশীল যুব সংগঠনের নেতৃবৃন্দদের সাথে একধিক বৈঠক করে এই অঞ্চলে সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী যুব সংগঠন সমূহের সমন্বয়ে একটি ঐক্যবদ্ধ প্ল্যাটর্ফম গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। 

;

ভিডিও ভাইরাল, সেই নারী কাউন্সিলর আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য ও সিটি করপোরেশনের ২০নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত আসনের নারী কাউন্সিলর সৈয়দা রোকসানা ইসলাম চামেলীকে দলীয় ইমেজ নষ্ট ও গঠনতন্ত্র ভঙ্গের অভিযোগে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানানো হয়েছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ একটি সুসংগঠিত ও সুশৃঙ্খল সংগঠন। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী ও সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির গঠনতন্ত্রের ৪৭(৯) ধারা মোতাবেক ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য সৈয়দা রোকসানা ইসলাম চামেলী-কে সংগঠনের শৃঙ্খলার পরিপন্থি কর্মকান্ডের কারণে পদ থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন।

এর আগে একটি ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর ও মহানগর আওয়ামী লীগের এই নেত্রী আবাসিক হোটেলের শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত একটি কক্ষে একজন পুরুষের সঙ্গে অন্তরঙ্গ অবস্থায় রয়েছেন। তার সঙ্গী ওই পুরুষটি চামেলীর ইচ্ছাতেই অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ভিডিও ধারণ করছেন। যা পরে ছড়িয়ে পরে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।

;

ঝিনাইদহ-১ উপ-নির্বাচন

মনোনয়ন প্রত্যাশীদের ফরম সংগ্রহের আহ্বান আওয়ামী লীগের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতীয় সংসদের ৮১ ঝিনাইদহ-১ আসনের উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে আগ্রহী প্রার্থীদের ফরম সংগ্রহের আহ্বান জানিয়েছে আওয়ামী লীগ।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানান আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জাতীয় সংসদের ৮১ ঝিনাইদহ-১ আসনের উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে আগ্রহী প্রার্থীরা আগামী ২৭ এপ্রিল (শনিবার) থেকে ২৯ এপ্রিল (সোমবার) প্রতিদিন সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত দলীয় মনোনয়নের আবেদনপত্র সংগ্রহ ও জমা দিতে পারবেন।

এতে আরো বলা হয়, আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে আগ্রহীরা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা, এমপি'র ধানমণ্ডির রাজনৈতিক কার্যালয় (বাড়ি-৫১/এ, সড়ক-৩/এ, ধানমণ্ডি আ/এ, ধানমণ্ডি, ঢাকা) থেকে দলীয় মনোনয়নের আবেদনপত্র সংগ্রহ এবং জমা প্রদান করতে পারবেন।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সংশ্লিষ্ট নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীরা নিজে অথবা প্রার্থীর একজন যোগ্য প্রতিনিধির মাধ্যমে আবেদনপত্র সংগ্রহ ও জমা দিতে পারবেন।

আবেদনপত্র সংগ্রহের সময় অবশ্যই প্রার্থীর জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি সঙ্গে আনতে হবে এবং আগামী ২৯ এপ্রিল (সোমবার) বিকেল সাড়ে ৪টার মধ্যে আবেদনপত্র জমা দিতে হবে।

;

উপজেলা নির্বাচন

যারা মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা: ওবায়দুল কাদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপির স্বজনদের মধ্যে যারা প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেননি, তাদের বিরুদ্ধে সময় মতো ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর ধানমণ্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, পার্টির যারা মন্ত্রী-এমপি এমন পর্যায়ে আছেন তাদের জন্য নির্দেশনা রয়েছে, তাদের সন্তান ও স্বজনরা যেন উপজেলা নির্বাচনে না আসেন। প্রথম পর্যায়ের প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সময় চলে গেছে।

আমরা বিষয়টি আরো আগে অবহিত হলে সিদ্ধান্ত নিতে আমাদের সুবিধা হতো। তারপরেও প্রত্যাহার কেউ কেউ করেছেন। কেউ কেউ করেননি। আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচন কমিশনের যে সময়সীমা, তারপরেও ইচ্ছা করলে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করতে পারবেন। কাজেই, এই বিষয়টি চূড়ান্ত বলে মনে করা যাবে না।

দলীয় নির্দেশনা অমান্য করার বিষয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, দলীয় নির্দেশনা অমান্য করলে ডিসিপ্লিনারি অ্যাকশনের ব্যাপারে চিন্তা করা হবে। সময় মতো এই সিদ্ধান্ত অবশ্যই গ্রহণ করা হবে।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও দলীয় সিদ্ধান্ত যারা অমান্য করেছেন, তাদের বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে জানিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, গত সাধারণ নির্বাচনে, নির্বাচনের পরে এসেছেন, অনেকেই এমপি হননি। অনেকেই মন্ত্রী হননি। এখানেও কিন্তু দলের সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিষয় আছে। দল যার যার কর্মকাণ্ড বিচার করবে। চূড়ান্ত পর্যায় পর্যন্ত যারা প্রত্যাহার করবেন না, সময় মতো দল ব্যবস্থা নেবে।

সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্নোত্তর পর্বে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন ওবায়দুল কাদের। সাংবাদিকরা তার কাছে জানতে চান, বিএনপি বা বিরোধীদলের কোনো কর্মসূচি থাকলে আওয়ামী লীগের কর্মসূচি থাকে। ২৬ তারিখের একটা কর্মসূচি ছিল। লোকজন বলছেন, এটা পাল্টাপাল্টি। যদি পাল্টাপাল্টি হয়ে থাকে, তাহলে আপনারা কি বিএনপিকে চাপে রাখার জন্য দিচ্ছেন, না কি সরকারের মধ্যে অজানা আশঙ্কা কাজ করছে যে, বিএনপি মাঠ দখল করে সরকারকে ফেলে দিতে পারে।

এমন প্রশ্নের উত্তরে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, দেখুন, এখন নির্বাচন হয়ে গেছে। নির্বাচন যারা বয়কট করেছে, তারা নির্বাচন করতে দেবে না, সে স্বপ্ন মাঠে মারা গেছে। নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করতে পারবে না, ৫ দিনের মাথায় পড়ে যাবে। এমন দুঃস্বপ্ন তারা দেখেছিল।

তিনি বলেন, আজকে হ্যাঁ, আমরা এটা মনেই করতে পারি, বিএনপি এক তরফা কোনো সমাবেশ করতে গেলে, তারা অগ্নিসন্ত্রাস করে। জণগনের জানমালের নিশ্চয়তা, সম্পদ রক্ষা সেখানে আমাদেরও সরকারি দল হিসেবে একটা দায়িত্ব আছে। আমরা মাঠে থাকলে তারা অগ্নিসন্ত্রাস করার বিষয়ে একটা মানসিক বাধা তারা পাবে, সে কারণে আমরা এটা করি। আমরা শান্তি সমাবেশ করছি। তারা গণহত্যা বিক্ষোভ অনেক কিছু করছে। 

 শান্তি সমাবেশে শান্তি বজায় রাখছি মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ঢাকায় কি কখনো পাল্টাপাল্টি দুই দলের মধ্যে কোনো সংঘাত হয়েছে! এত শান্তিপূর্ণ পরিবেশ, আমরা শান্তি সমাবেশে শান্তি বজায় রেখেছি।

 সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, মির্জা আজম, এস এম কামাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণবিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন প্রমুখ।

;